পরিচ্ছেদঃ
ذِكْرُ إِثْبَاتِ النُّصْرَةِ لِأَصْحَابِ الْحَدِيثِ إِلَى قِيَامِ الساعة
কিয়ামত সংঘটিত না হওয়া পর্যন্ত আসহাবুল হাদীস (হাদীস অনুসরনকারী)-দের জন্য সাহায্য লাভের প্রমাণ- এ সম্পর্কিত বর্ণনা:
৬১. মুয়াবিয়া ইবনু কুররাহ (রহঃ) তাঁর পিতা হতে বর্ণনা করেন, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ আমার উম্মাতের একটি দল অব্যাহতভাবে কিয়ামত পর্যন্ত সাহায্যপ্রাপ্ত হতে থাকবে এবং যারা তাদের অপদস্থ করতে চায় তারা তাদের কোন ক্ষতি করতে সক্ষম হবে না।[1]
أَخْبَرَنَا عُمَرُ بْنُ مُحَمَّدٍ الْهَمْدَانِيُّ قَالَ: حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ بَشَّارٍ حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ جَعْفَرٍ حَدَّثَنَا شُعْبَةُ عَنْ مُعَاوِيَةَ بْنِ قُرَّةَ عَنْ أَبِيهِ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ:
(لَا تَزَالُ طَائِفَةٌ مِنْ أُمَّتِي مَنْصُورِينَ لَا يَضُرُّهُمْ خِذْلَانُ مَنْ خَذَلَهُمْ حَتَّى تقوم الساعة) (1).
= [2: 1]
[تعليق الشيخ الألباني]
صحيح - ((الصحيحة)) (270 و 403).
(1) هذا تمام الحديث الآتي برقم (7258)
الحديث: 61 ¦ الجزء: 1 ¦ الصفحة: 189
আরনাউত্ব: বুখারী মুসলিমের শর্তানুযায়ী সহীহ।
তাখরীজ: ইবনু মাজাহ, মুকাদ্দমা ৬; আহমাদ ৫/৩৪; তিরমিযী, ২১৯২।
এটি ছাওবান (রাঃ) হতে মুসলিম ১৯২০ ও অন্যরা; মুগীরাহ ইবনু শু’বাহ (রাঃ) হতে বুখারী৩৬৪০ ও অন্যরা; মুয়াবিয়া (রাঃ) হতে বুখারী ৩৪৬১; জাবির ইবনু সামুরাহ (রাঃ) হতে মুসলিম ১৭৪; জাবির ইবনু আব্দুল্লাহ (রাঃ) হতে মুসলিম ১৯২৩; উকবাহ ইবনু আমির (রাঃ) হতে মুসলিম ১৯২৪; উমার ইবনু খাত্তাব (রাঃ) হতে দারেমী ২/২১৩, হাকিম ৪/৪৪৯; ইমরান ইবনু হুসাইন (রাঃ) হতে আবূ দাউদ ২৪৮৪ এবং আবূ উমামাহ (রাঃ) হতে আহমাদ ৫/২৬৯ তে বর্ণনা করেছেন।
বুখারী বলেন: তারা হলেন আহলুল ইলম (তথা আলিমগণ); আহমাদ বলেন: তারা যদি আহলুল হাদীস না হন, তাহলে আমার জানা নেই তারা আর কারা।’ এর ব্যাখ্যায় কাযী আয়ায বলেন : আহমাদ এ দ্বারা আহলুস সুন্নাহ ওয়াল জামা’আহ ও আহলুল হাদীসের আকীদা পোষণকারীদেরকে বুঝিয়েছেন।
আর ইমাম নববী বলেন: একদল দ্বারা অনেক প্রকারের মুমিনদের বুঝিয়েছেন মুজাহিদ, ফকীহ, মুহাদ্দিস, মুফাস্সির, সৎকাজের আদেশ ও অসৎকাজে নিষেধকারী কর্তৃপক্ষ, যাহিদ, আবিদ সকলকেই বুঝানো হয়েছে। (শরহে মুসলিম ১৩/৬৬-৬৭)
পরিচ্ছেদঃ
ذِكْرُ الْإِخْبَارِ عَنْ سَمَاعِ الْمُسْلِمِينَ السُّنَنَ خَلَفٍ عن سَلَفٍ
পূর্ববর্তী মুসলিমদের থেকে পরবর্তী মুসলিমদের (ইলমী বিষয়) শোনার রীতি সম্পর্কিত বর্ণনা:
৬২. ইবনু আব্বাস (রাঃ) সূত্রে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ তোমরা ভালভাবে (হাদীস তথা জ্ঞানের কথা) শুনে রাখবে। কেননা লোকেরা তোমাদের কাছ থেকে তা শুনবে। অতঃপর তোমাদের কাছ থেকে যারা শুনবে তাদের কাছ থেকেও পরবর্তীরা শুনবে।[1]
أَخْبَرَنَا الْحَسَنُ بْنُ سُفْيَانَ قَالَ: حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ جَعْفَرٍ الْبَرْمَكِيُّ قَالَ: حَدَّثَنَا عُبَيْدُ اللَّهِ بْنُ مُوسَى عَنْ شَيْبَانَ عَنِ الْأَعْمَشِ عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ عَنْ سَعِيدِ بْنِ جُبَيْرٍ عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ عَنْ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قال:
(تَسْمَعُونَ ويُسْمَعُ مِنْكُمْ ويُسْمَعُ مِمَّنْ يَسْمَعُ مِنْكُمْ)
= [69: 3]
[تعليق الشيخ الألباني]
صحيح – ((الصحيحة)) (1784).
[ص: 190]
عَبْدُ اللَّهِ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ الرَّازِيُّ: ثِقَةٌ كوفي
الحديث: 62 ¦ الجزء: 1 ¦ الصفحة: 189
আরনাউত্ব: সহীহ।
তাখরীজ: আবূ দাউদ ৩৬৫৯; হাকিম ১/৯৫; আহমাদ ১/৩২১;
পরিচ্ছেদঃ
ذِكْرُ الْإِخْبَارِ عَمَّا يُسْتَحَبُّ لِلْمَرْءِ كَثْرَةُ سَمَاعِ الْعِلْمِ ثُمَّ الِاقْتِفَاءُ وَالتَّسْلِيمُ
কোন ব্যক্তির জন্য মুস্তাহাব (পছন্দনীয়) হলো প্রচুর ইলম (হাদীস) শোনা এবং তা অনুসরণ করা ও মেনে চলা- এ সম্পর্কিত বর্ণনাসমূহ:
৬৩. আবূ হুমাইদ এবং আবূ উসাইদ হতে বর্ণিত, নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন: যখন তোমরা আমার পক্ষ হতে হাদীস শুনবে, তোমাদের অন্তর/ বিবেক তা চিনতে পারবে এবং তোমাদের শরীরের লোম ও চামড়া তার প্রতি ঝুঁকে যাবে এবং এটি তোমাদের কাছে অতীব নিকটতম মনে হবে, কেননা আমি তো তোমাদের অতি ঘনিষ্ঠ, আপনজন। অপরদিকে, যখন তোমরা আমার পক্ষ হতে হাদীস শুনবে, আর তোমাদের অন্তর/ বিবেক তা প্রত্যাখ্যান করবে (চিনবে না) এবং তোমাদের শরীরের লোম ও চামড়া তাতে (ভীত শঙ্কিত হয়ে) দ্রুতগতিতে নাড়া দিয়ে উঠবে এবং এটি তোমাদের থেকে ভীষণ দূরবর্তী (অসম্ভব) মনে হবে, কেননা আমি তো তা থেকে তোমাদের চেয়েও অধিক দূরবর্তী।”[1]
أَخْبَرَنَا أَبُو يَعْلَى قَالَ: حَدَّثَنَا أَبُو خَيْثَمَةَ قَالَ: حَدَّثَنَا أَبُو عَامِرٍ الْعَقَدِيُّ قَالَ: حَدَّثَنَا سُلَيْمَانُ بْنُ بِلَالٍ عَنْ رَبِيعَةَ بْنِ أَبِي عَبْدِ الرَّحْمَنِ عَنْ عَبْدِ الْمَلِكِ بْنِ سَعِيدِ بْنِ سُوَيْدٍ عَنْ أَبِي حُمَيْدٍ وَأَبِي أُسَيْدٍ أَنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ:
إِذَا سَمِعْتُمُ الْحَدِيثَ عَنِّي تَعْرِفُهُ قُلُوبُكُمْ وَتَلِينُ لَهُ أَشْعَارُكُمْ وَأَبْشَارُكُمْ وَتَرَوْنَ أَنَّهُ مِنْكُمْ قَرِيبٌ فأنا أولاكم به وإذا سمعتم الحديث عتي تُنْكِرُهُ قُلُوبُكُمْ وَتَنْفِرُ عَنْهُ أَشْعَارُكُمْ وَأَبْشَارُكُمْ وَتَرَوْنَ أنه منكم بعيد فأنا أبعدكم منه)
= [66: 3]
[تعليق الشيخ الألباني]
حسن ـ ((الصحيحة)) (732).
الحديث: 63 ¦ الجزء: 1 ¦ الصفحة: 190
আরনাউত্ব: মুসলিমের শর্তানুযায়ী সহীহ।
তাখরীজ: আহমাদ ৩/৪৯৭, ৫/৪২৫; বাযযার, ১৮৭; মাজমাউয যাওয়াইদ ১/১৪৯-১৫০; বুখারী, তারীখুল কাবীর ৩/৪৭৪।
এ হাদীসের সম্বোধনকৃত ব্যক্তিবর্গ হলেন সাহাবীগণ, তাদের অন্তরের তাকওয়া, ইলমের পরিপূর্নতা, ন্যায়পরায়নতা ও রাসূল (সাঃ) এর সিরাত সম্পর্কে সর্বাধিক জ্ঞানী হওয়া ইত্যাদি বৈশিষ্টের কারণে। দেখুন, আলবানী, সহীহাহ হাদীস নং ৭৩২ এর টীকা।
পরিচ্ছেদঃ ১. সুন্নাহ তথা হাদীস মুখস্ত করা ছেড়ে দিয়ে শুধু লিখার উপর নির্ভর করে বসে থাকার আশঙ্কায় সুন্নাহ বা হাদীস লিখার নিষেধাজ্ঞা:
৬৪. আবু সাঈদ আল খুদরী (রাঃ) থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, আমার মুখ নিঃসৃত বাণী (হাদীস) তোমরা লিপিবদ্ধ করো না, কুরআন ছাড়া। আর কেউ যদি আমার কথা লিপিবদ্ধ করে থাকে তবে যেন সেটা যেন মুছে ফেলে। [1]
আবূ হাতিম (ইবনু হিব্বান) রহ. বলেন: রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম যে কুরআন ব্যতীত হাদীস লিখে রাখতে নিষেধ করেছেন- এ দ্বারা উদ্দেশ্য হলো, সুন্নাহ তথা হাদীস মুখস্ত করা পরিত্যাগ করে লিখে রাখার উপর নির্ভর না করা এবং তা মুখস্ত রাখা ও সে সম্পর্কে চিন্তা গবেষণা করার বিষয়ে উৎসাহিত করা। তবে এটি বিশুদ্ধ হওয়ার দলীল হলো রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম কর্তৃক তাঁর খুতবা আবূ শাহকে লিখে দেওয়া এবং আব্দুল্লাহ ইবনু আমর (রাঃ) কে (হাদীস) লিখে রাখতে অনুমতি প্রদান।
بَابُ الزَّجْرِ عَنْ كِتْبَةِ الْمَرْءِ السُّنَنَ مَخَافَةَ أَنْ يَتَّكِلَ عَلَيْهَا دُونَ الْحِفْظِ لَهَا
أَخْبَرَنَا الْحَسَنُ بْنُ سُفْيَانَ قَالَ: حَدَّثَنَا كَثِيرُ بْنُ يَحْيَى ـ صَاحِبُ الْبَصْرِيِّ (1) ـ قَالَ: حَدَّثَنَا هَمَّامٌ عَنْ زَيْدِ بْنِ أَسْلَمَ عَنْ عَطَاءِ بْنِ يَسَارٍ عَنْ أَبِي سَعِيدٍ الْخُدْرِيِّ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ:
(لَا تَكْتُبُوا عَنِّي إِلَّا الْقُرْآنَ فَمَنْ كَتَبَ عَنِّي شيئاً فَلْيَمْحُهُ)
= [56: 2]
[تعليق الشيخ الألباني]
صحيح - انظر التعليق: م.
قال أبو حاتم: زَجْرُهُ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَنِ الْكِتْبَةِ عَنْهُ سِوَى الْقُرْآنِ أَرَادَ بِهِ الْحَثَّ عَلَى حِفْظِ السُّنَنِ دُونَ الِاتِّكَالِ عَلَى كِتْبَتِها وَتَرْكِ حِفْظِهَا والتفقُّه فِيهَا.
وَالدَّلِيلُ عَلَى صِحَّةِ هَذَا إِبَاحَتُهُ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لِأَبِي شاهٍ كَتْبَ الْخُطْبَةِ الَّتِي سَمِعَهَا مِنْ [ص: 192] رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وإذْنُهُ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لِعَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَمْرٍو بِالْكِتْبَةِ.
(1) تابعهُ جمعٌ عن همامٍ .... به: عند مسلم (8/ 229)، والنسائي في ((الكبرى)) (3/ 431 و 5/ 10 – 11)، والدارمي (1/ 119) , وأحمد (3/ 12 و 21/ 39 و 56)، وغيرهم.
واستدركه الحاكم (1/ 126 – 127) على مسلمٍ؛ فوهم!
وخالف هماماً: عبد الرحمن بنُ زيد بن أسلم، فقال: عن أبيه، عَنْ عَطَاءِ بْنِ يَسَارٍ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ؛ أخرجه البزارُ (194).
وعبد الرحمن ضعيف جداً.
الحديث: 64 ¦ الجزء: 1 ¦ الصفحة: 191
আরনাউত্ব: মুসলিমের শর্তানুযায়ী সহীহ।
তাখরীজ: আহমাদ ৩/১২, ২১, ৩৯, ৫৬; মুসলিম ৩০০৪; দারেমী ১/১১৯; নাসাঈ, ফাযাইলুল কুরআন ৩৩; হাকিম ১/১২৬, ১২৭। হাকিম ও যাহাবী একে সহীহ বলেছেন।
পরিচ্ছেদঃ
৬৫. আবূ যার্ (রাঃ) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আমাদের কে ছেড়ে চলে গেছেন। তবে (আসমানে) ডানা মেলে উড়ে যাওয়া সকল পাখিই আমাদেরকে তাঁর কোনো ইলমের কথা স্মরণ করিয়ে দেয়।[1]
আবূ হাতিম (ইবনু হিব্বান) বলেনঃ (আমাদেরকে তাঁর)’ এ কথার অর্থ হলো, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের আদেশ, নিষেধ, বিবরণ, কর্ম ও অনুমোদনসমূহ।
أَخْبَرَنَا الْحُسَيْنُ بْنُ أَحْمَدَ بْنِ بِسْطَامٍ بِالْأُبُلَّةِ حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ يَزِيدَ (1): حَدَّثَنَا سُفْيَانُ عَنْ فِطْرٍ عَنْ أَبِي الطُّفَيْلِ عَنْ أَبِي ذَرٍّ قَالَ:
(تَرَكَنَا رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَمَا طَائِرٌ يَطِيرُ بجناحيه إلا عندنا منه علم)
= [78: 1]
[تعليق الشيخ الألباني]
صحيح – انظر التعليق أدناه.
قَالَ أَبُو حَاتِمٍ: مَعْنَى: عِنْدَنَا مِنْهُ؛ يَعْنِي بِأَوَامِرِهِ وَنَوَاهِيهِ وَأَخْبَارِهِ وَأَفْعَالِهِ وَإِبَاحَاتِهِ صَلَّى اللَّهُ عليه وسلم.
(1) وعنه رواه البزار (1/ 88/147)، قال: كتب إليَّ محمد بن يزيد بن عبد الله المقرىء .... وهذا إسنادٌ صحيح.
وأخرجه أحمد (5/ 153) من طريق الأعمش، عن منذر: ثنا أشياخ، قالوا: قال أبو ذر .... به.
وهذا إسنادٌ جيد، والأشياخ جمعٌ من التابعين لا تضرُّ جهالتُهم.
وأخرجه أبو يعلى (5109) من طريقٍ أخرى عن أبي الدرداء.
الحديث: 65 ¦ الجزء: 1 ¦ الصفحة: 192
আরনাউত্ব: সহীহ।
তাখরীজ: তাবারাণী, ১৬৪৭; বাযযার, ১৪৭; আহমাদ ৫/১৫৩, ১৬২; তায়ালিসী ৪৭৯; হাইসামী, মাজমা ৮/২৬৩।
এটি আবূ দারদা (রাঃ) হতেও বর্ণিত আছে, আবূ ইয়ালা, ৫১০৯; হাইসামী, মাজমা ৮/২৬৪। হাইসামী বলেন: এর রাবীগণ সহীহ হাদীসের রাবী।
পরিচ্ছেদঃ
ذِكْرُ دُعَاءِ الْمُصْطَفَى صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لِمَنْ أَدَّى مِنْ أُمَّتِهِ حَدِيثًا سَمِعَهُ
নাবী মুস্তফা সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের উম্মাতের যে ব্যক্তি তার থেকে কোন হাদীস শুনবে এবং (অন্যের নিকট) পৌঁছে দেবে, সেই ব্যক্তির জন্য নাবী মুস্তফা সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের দুআর বর্ণনাঃ
৬৬. আবদুল্লাহ ইবনু মাসউদ (রাযিঃ) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেনঃ আল্লাহ তা’আলা সেই ব্যক্তিকে দীপ্তিময় করুন, যে আমার কোন কথা (হাদীস) শুনেছে এবং যেভাবে শুনেছে সেভাবেই অন্যের নিকট তা (হাদীসটি) পৌঁছে দিয়েছে। এমন অনেক ব্যক্তি আছে যার নিকট হাদীস পৌছানো হয়, নিজ কানে তা শ্রবনকারী (যিনি শুনে তার নিকট পৌছে দিচ্ছেন), তার চেয়ে তা অধিক সংরক্ষণকারী হয়ে থাকেন।[1]
أَخْبَرَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عُمَرَ بْنِ يُوسُفَ قَالَ: حَدَّثَنَا نَصْرُ بْنُ عَلِيٍّ الْجَهْضَمِيُّ قَالَ: حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ دَاوُدَ عَنْ عَلِيِّ بْنِ صَالِحٍ عَنْ سِمَاكِ بْنِ حَرْبٍ عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ مَسْعُودٍ عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ مَسْعُودٍ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ:
(نَضَّرَ اللَّهُ امرءاً سَمِعَ مِنَّا حَدِيثًا فَبَلَّغَهُ كَمَا سَمِعَهُ فَرُبَّ مُبَلَّغٍ أوعَى من سامِعٍ) [ص: 193]
= [12: 5]
[تعليق الشيخ الألباني]
صحيح - ((التعليق الرغيب)) (1/ 63).
الحديث: 66 ¦ الجزء: 1 ¦ الصفحة: 192
আরনাউত্ব: হাসান।
তাখরীজ: আহমাদ ১/৪৩৭; তিরমিযী ২৬৫৭; ইবনু মাজাহ, মুকাদ্দিমা ২৩২।
পরিচ্ছেদঃ
ذِكْرُ رَحْمَةِ اللَّهِ جَلَّ وَعَلَا مَنْ بلَّغ أُمَّةَ الْمُصْطَفَى صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ حَدِيثًا صحيحاً عنه
যে ব্যক্তি নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের উম্মাতের নিকট কোন একটি সহীহ হাদীস পৌঁছে দিবেন, তার উপর আল্লাহ জাল্লা ওয়া আলা’র রহমত বর্ষনের বর্ণনা:
৬৭. আবান ইবনু উসমান (রহঃ) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, কোন একদিন যাইদ ইবনু সাবিত (রাযিঃ) ঠিক দুপুরের সময় মারওয়ানের নিকট হতে বেরিয়ে আসলেন। আমরা নিজেদের মধ্যে বলাবলি করলাম, সম্ভবতঃ কোন ব্যাপারে প্রশ্ন করার জন্যই এ সময়ে মারওয়ান তাকে ডেকে পাঠিয়েছেন। সুতরাং আমরা উঠে গিয়ে তাকে এ বিষয়ে প্রশ্ন করলাম। তিনি বললেন, হ্যাঁ, তিনি আমার কাছে কয়েকটি কথা জিজ্ঞেস করেছেন, যা আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম -এর নিকট শুনেছি। আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম -কে বলতে শুনেছিঃ আল্লাহ তা’আলা সেই ব্যক্তির উপর রহম করুন, যে আমার কোন কথা শুনেছে, তারপর তা সঠিকভাবে মনে রেখেছে এবং সেভাবেই অন্যের নিকট পৌছে দিয়েছে। এমন অনেক লোক আছে, যারা নিজেদের তুলনায় উচ্চতর জ্ঞানের অধিকারীর নিকট জ্ঞান পৌছে দিতে পারে। আর অনেক জ্ঞানের বাহক এমন রয়েছে যারা নিজেরা প্রজ্ঞার (তথা গভীর জ্ঞানের) অধিকারী নয়। তিনটি বিষয়ে কোন মুসলিম ব্যাক্তির অন্তর যেন প্রতারিত[1] না হয়ঃ নিষ্ঠার সাথে আল্লাহ্র সন্তুষ্টির জন্য কাজ করা, মুসলিম নেতৃবৃন্দের কল্যাণ কামনা করা এবং জামা’আত (ঐক্যবদ্ধ মুসলিম জনগোষ্ঠী)-এর সাথে আবশ্যকীয়ভাবে সম্পৃক্ত থাকা। কারণ, তাদের দুআ তাদের পেছনে থেকেও তাদেরকে বেষ্টন করে রাখে।”[2]
أَخْبَرَنَا أَبُو خَلِيفَةَ قَالَ: حَدَّثَنَا مُسَدَّدٌ قَالَ: حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ سَعِيدٍ عَنْ شُعْبَةَ قَالَ: حَدَّثَنِي عُمَرُ بْنُ سُلَيْمَانَ – هُوَ ابْنُ عَاصِمِ بْنِ عُمَرَ بْنِ الْخَطَّابِ – عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ أَبَانَ – هُوَ ابْنُ عُثْمَانَ بْنِ عَفَّانَ عَنْ أَبِيهِ قَالَ:
خَرَجَ زَيْدُ بْنُ ثَابِتٍ مِنْ عِنْدِ مَرْوَانَ قَرِيبًا مِنْ نِصْفِ النَّهَارِ فَقُلْتُ: مَا بَعَثَ إِلَيْهِ إِلَّا لِشَيْءٍ سَأَلَهُ فَقُمْتُ إِلَيْهِ فَسَأَلْتُهُ فَقَالَ: أَجَلْ سَأَلَنَا عَنْ أَشْيَاءَ سَمِعْنَاهَا مِنْ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ:
(رحم الله امرءاً سَمِعَ مِنِّي حَدِيثًا فَحَفِظَهُ حَتَّى يُبَلِّغَهُ غَيْرَهُ فَرُبَّ حَامِلِ فِقْهٍ إِلَى مَنْ هُوَ أَفْقَهُ منه وَرُبَّ حامل فقه ليس بفقيه ثلاث خِصَالٍ لَا يَغِلُّ عليهنَّ قَلْبُ مُسْلِمٍ: إِخْلَاصُ الْعَمَلِ لِلَّهِ وَمُنَاصَحَةُ أُلَاةِ الْأَمْرِ وَلُزُومُ الْجَمَاعَةِ فإن دعوتهم تحيط من ورائهم)
= [2: 1] [تعليق الشيخ الألباني]
صحيح - سيأتي بأتم (679).
الحديث: 67 ¦ الجزء: 1 ¦ الصفحة: 193
[2] আলবানী: সহীহ।
আরনাউত্ব: সহীহ।
তাখরীজ: আহমাদ ৫/১৮৩; আবূ দাউদ ৩৬৬০; তিরমিযী ২৬৫৬; ইবনু মাজাহ, মুকাদ্দিমা ২৩০।
পরিচ্ছেদঃ
ذِكْرُ الْبَيَانِ بِأَنَّ هَذَا الْفَضْلِ إِنَّمَا يَكُونُ لِمَنْ أَدَّى مَا وَصَفْنَا كَمَا سَمِعَهُ سَوَاءً مِنْ غَيْرِ تَغْيِيرٍ وَلَا تَبْدِيلٍ فِيهِ
এ ফযীলত কেবল ঐ ব্যক্তির জন্যই, আমরা যেমন বলেছি, যে যেভাবে শুনেছে, কোন পরিবর্তন ও পরিবর্ধন না করে সেভাবেই হুবহু অন্যের নিকট বর্ণনা করেছে- এ সম্পর্কিত বর্ণনাঃ
৬৮. আবদুল্লাহ ইবনু মাসউদ (রাযিঃ) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেনঃ আল্লাহ তা’আলা সেই ব্যক্তিকে রহম করুন, যে আমার কোন কথা (হাদীস) শুনেছে এবং যেভাবে শুনেছে সেভাবেই অন্যের নিকট তা (হাদীসটি) পৌঁছে দিয়েছে। এমন অনেক ব্যক্তি আছে যার নিকট হাদীস পৌছানো হয়, নিজ কানে তা শ্রবনকারী (যিনি শুনে তার নিকট পৌছে দিচ্ছেন), তার চেয়ে তা অধিক সংরক্ষণকারী হয়ে থাকেন।[1]
أَخْبَرَنَا الْحَسَنُ بْنُ سُفْيَانَ قَالَ: حَدَّثَنَا صَفْوَانُ بْنُ صَالِحٍ قَالَ: حَدَّثَنَا الْوَلِيدُ بْنُ مُسْلِمٍ قَالَ: حَدَّثَنَا شَيْبَانُ قَالَ: حَدَّثَنِي سِمَاكُ بْنُ حَرْبٍ عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ [ص: 194] بْنِ عَبْدِ اللَّهِ عَنْ أَبِيهِ ابْنِ مَسْعُودٍ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ:
(رَحِمَ اللَّهُ مَنْ سَمِعَ مِنِّي حَدِيثًا فَبَلَّغَهُ كَمَا سَمِعَهُ فرُبَّ مُبَلَّغٍ أوعى له من سامع)
= [2: 1]
[تعليق الشيخ الألباني]
صحيح – تقدم (66).
الحديث: 68 ¦ الجزء: 1 ¦ الصفحة: 193
আরনাউত্ব: হাসান।
তাখরীজ: এটি ৬৬ নং এ গত হয়েছে।
পরিচ্ছেদঃ
ذِكْرُ إِثْبَاتِ نَضَارَةِ الْوَجْهِ فِي الْقِيَامَةِ مَنْ بلَّغ لِلْمُصْطَفَى صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ سُنَّةً صَحِيحَةً كَمَا سَمِعَهَا
যে ব্যক্তি নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের কোন একটি সহীহ সুন্নাহ (হাদীস) পৌঁছে দিবেন, ঠিক সেভাবেই যেভাবে তিনি শুনেছেন, কিয়ামত দিবসে তার চেহারা দীপ্তিময় হওয়ার প্রমানের বিবরণঃ
৬৯. আবদুল্লাহ ইবনু মাসউদ (রাযিঃ) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে বলতে শুনেছি, তিনি বলেছেনঃ আল্লাহ তা’আলা সেই ব্যক্তিকে রহম করুন, যে আমার কোন কথা (হাদীস) শুনেছে এবং যেভাবে শুনেছে সেভাবেই অন্যের নিকট তা (হাদীসটি) পৌঁছে দিয়েছে। এমন অনেক ব্যক্তি আছে যার নিকট হাদীস পৌছানো হয়, নিজ কানে তা শ্রবনকারী (যিনি শুনে তার নিকট পৌছে দিচ্ছেন), তার চেয়ে তা অধিক সংরক্ষণকারী হয়ে থাকেন।[1]
أَخْبَرَنَا ابْنُ خُزَيْمَةَ قَالَ: حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عُثْمَانَ الْعِجْلِيُّ قَالَ: حَدَّثَنَا عُبَيْدُ اللَّهِ بْنُ مُوسَى عَنْ إِسْرَائِيلَ عَنْ سِمَاكٍ عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ مَسْعُودٍ عَنْ أَبِيهِ قَالَ: سَمِعْتُ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يقول:
(نَضَّرَ الله امرءاً سَمِعَ مِنَّا حَدِيثًا فَبَلَّغَهُ كَمَا سَمِعَهُ فرُبَّ مُبَلَّغٍ أوعى من سامع)
= [2: 1]
[تعليق الشيخ الألباني]
صحيح - انظر ما قبله.
الحديث: 69 ¦ الجزء: 1 ¦ الصفحة: 194
আরনাউত্ব: হাসান।
তাখরীজ: আহমাদ ১/৪৩৭; এটি ৬৬ নং এ গত হয়েছে।
পরিচ্ছেদঃ
ذِكْرُ عَدَدِ الْأَشْيَاءِ الَّتِي اسْتَأْثَرَ اللَّهُ تَعَالَى بِعِلْمِهَا دُونَ خَلْقِهِ
যে সকল বিষয়ের জ্ঞান আল্লাহ তা’আলা তাঁর কোন সৃষ্টিকে না দিয়ে একান্ত নিজের জন্য সংরক্ষণ করেছেন, সেই সকল বিষয়ের সংখ্যার বর্ণনাঃ
৭০. ইবনু ’উমার (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু ’আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, গায়েব (অদৃশ্য)-এর চাবিকাঠি পাঁচটি, (যা আল্লাহ্ ব্যতীত কেউ জানে না)। তা হলোঃ মায়ের জরায়ুতে কী আছে, তা আল্লাহ্ ব্যতীত আর কেউ জানে না। আগামী দিন কী হবে, তা আল্লাহ্ ব্যতীত আর কেউ জানে না। বৃষ্টি কখন আসবে, তা আল্লাহ্ ব্যতীত আর কেউ জানে না। কোন ব্যক্তি জানে না তার মৃত্যু কোথায় হবে এবং ক্বিয়ামাত কবে সংঘটিত হবে, তা আল্লাহ্ ব্যতীত আর কেউ জানে না।[1]
أَخْبَرَنَا مُحَمَّدُ بْنُ إِسْحَاقَ بْنِ إِبْرَاهِيمَ مَوْلَى ثَقِيفٍ حَدَّثَنَا أَبُو عُمَرَ الدُّورِيُّ حَفْصُ بْنُ عُمَرَ حَدَّثَنَا إِسْمَاعِيلُ بْنُ جَعْفَرٍ عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ دِينَارٍ عَنِ ابْنِ عُمَرَ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ:
(مَفَاتِيحُ الْغَيْبِ خَمْسٌ: لَا يَعْلَمُ مَا تَضَعُ الْأَرْحَامُ أَحَدٌ إِلَّا اللَّهُ وَلَا يَعْلَمُ مَا فِي غَدٍ إِلَّا اللَّهُ وَلَا يَعْلَمُ مَتَى يَأْتِي الْمَطَرُ إِلَّا اللَّهُ وَلَا تَدْرِي نَفْسٌ [ص: 195] بأي أرض تموت ولايعلم متى تقوم الساعة)
= [30: 3]
[تعليق الشيخ الألباني]
صحيح - ((الصحيحة)) (2903): خ.
الحديث: 70 ¦ الجزء: 1 ¦ الصفحة: 194
আরনাউত্ব: এ সনদে একজন দুর্বল রাবী হাফস ইবনু উমার আদ-দূরী রয়েছে। তবে তার মুতাবিয়াত রয়েছে যা সহীহ।
তাখরীজ: বাগাবী, শারহুস সুন্নাহ ১১৭০; বুখারী, ৪৬৯৭; ৭৩৭৯; আহমাদ ২/২৪, ৫২, ৫৮, ৮৬।
পরিচ্ছেদঃ
ذِكْرُ خَبَرٍ ثَانٍ يُصَرِّحُ بِصِحَّةِ مَا ذَكَرْنَاهُ
দ্বিতীয় হাদীস যা প্রমাণ করে যে, আমরা যা বর্ণনা করেছি তা-ই সঠিক- এ সংক্রান্ত বর্ণনাঃ
৭১. ইবনু ’উমার (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু ’আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, গায়েব (অদৃশ্য)-এর চাবিকাঠি পাঁচটি, যা আল্লাহ্ ব্যতীত কেউ জানে না। তা হলোঃ মায়ের জরায়ুতে কী আছে, তা আল্লাহ্ ব্যতীত আর কেউ জানে না। আগামী দিন কী হবে, তা আল্লাহ্ ব্যতীত আর কেউ জানে না। বৃষ্টি কখন আসবে, তা আল্লাহ্ ব্যতীত আর কেউ জানে না। তার মৃত্যু কোথায় হবে এবং ক্বিয়ামাত (কিয়ামত) কবে সংঘটিত হবে, তা আল্লাহ্ ব্যতীত আর কেউ জানে না।[1]
أَخْبَرَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ السَّامِيُّ حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ أَيُّوبَ الْمَقَابِرِيُّ حَدَّثَنَا إِسْمَاعِيلُ بْنُ جَعْفَرٍ قَالَ: وَأَخْبَرَنِي عَبْدُ اللَّهِ بْنُ دِينَارٍ أَنَّهُ سَمِعَ ابْنَ عُمَرَ يَقُولُ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ:
(مَفَاتِيحُ الْغَيْبِ خَمْسٌ لَا يَعْلَمُهَا إِلَّا اللَّهُ: لَا يَعْلَمُ مَا تَغِيضُ الْأَرْحَامُ أَحَدٌ إِلَّا اللَّهُ وَلَا مَا فِي غَدٍ إِلَّا اللَّهُ وَلَا يَعْلَمُ مَتَى يَأْتِي الْمَطَرُ إِلَّا اللَّهُ وَلَا تَدْرِي نَفْسٌ بِأَيِّ أَرْضٍ تَمُوتُ وَلَا يَعْلَمُ مَتَى تَقُومُ السَّاعَةُ أَحَدٌ إِلَّا الله).
= [30: 3]
[تعليق الشيخ الألباني]
صحيح: خ ـ انظر ما قبله.
الحديث: 71 ¦ الجزء: 1 ¦ الصفحة: 195
আরনাউত্ব: এর সনদ সহীহ মুসলিমের শর্তানুযায়ী সহীহ।
তাখরীজ: এটি পূর্বের হাদীসের পুনরাবৃত্তি।
পরিচ্ছেদঃ
ذِكْرُ الزَّجْرِ عَنِ الْعِلْمِ بِأَمْرِ الدُّنْيَا مَعَ الِانْهِمَاكِ فِيهَا وَالْجَهْلِ بِأَمْرِ الْآخِرَةِ وَمُجَانَبَةِ أَسْبَابِهَا
দুনিয়াবী বিষয়ে জ্ঞান অর্জন ও এতে নিমগ্ন হয়ে যাওয়া এবং আখিরাতের বিষয়ে অজ্ঞ থাকা ও এজাতীয় উপকরণ থেকে বিরত থাকার নিষেধাজ্ঞা সংক্রান্ত বর্ণনাঃ
৭২. আবূ হুরাইরা (রাঃ) হতে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেনঃ “নিশ্চয়ই আল্লাহ প্রত্যেক এমন ব্যক্তিকে ঘৃণা করেন, যে কঠোর স্বভাব-ভীষণ অহংকারী, ভীষণ কৃপণ, হাটে-বাজারে শোরগোল-চিৎকারকারী, রাতে মৃতদেহ (এর মত নিশ্চল), দিনে গাধা, দুনিয়াবী বিষয়ে মহাজ্ঞানী, আখিরাতের বিষয়ে নিরেট অজ্ঞ।”[1]
أَخْبَرَنَا أَحْمَدُ بْنُ مُحَمَّدِ بْنِ الْحَسَنِ قَالَ: حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ يُوسُفَ السُّلَمِيُّ قَالَ: أَخْبَرَنَا عَبْدُ الرَّزَّاقِ قَالَ: أَخْبَرَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ سَعِيدِ بْنِ أَبِي هِنْدٍ عَنْ أَبِيهِ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ:
(إِنَّ اللَّهَ يُبْغِضُ كُلَّ جَعْظَرِيُّ جَوَّاظٍ سَخَّابٍ بِالْأَسْوَاقِ جِيفَةٍ بِاللَّيْلِ حِمَارٍ بِالنَّهَارِ عَالِمٍ بِأَمْرِ الدُّنْيَا جَاهِلٍ بِأَمْرِ الْآخِرَةِ)
= [76: 2] [ص: 196]
[تعليق الشيخ الألباني]
ضعيف - ((الضعيفة)) (2304).
আরনাউত্ব: এর সনদ মুসলিমের শর্তানুযায়ী সহীহ।
তাখরীজ: বাইহাকী, আস সুনান ১০/১৯৪।
পরিচ্ছেদঃ
ذِكْرُ الزَّجْرِ عَنْ تَتَّبُعِ الْمُتَشَابِهِ مِنَ الْقُرْآنِ للمرء المسلم
মুসলিম ব্যক্তির জন্য কুরআনের মুতাশাবিহা (অস্পষ্ট অর্থবিশিষ্ট) আয়াতের পিছনে পড়া নিষিদ্ধ – এ সংক্রান্ত বর্ণনাঃ
৭৩. ’আয়িশাহ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ’আলাইহি ওয়াসাল্লাম আল্লাহ’র এ বাণী {هُوَ الَّذِي أَنْزَلَ عَلَيْكَ الْكِتَابَ مِنْهُ آيَاتٌ مُحْكَمَاتٌ .... } [آل عمران: 7] ’’ তিনিই তোমার প্রতি এ কিতাব অবতীর্ণ করেছেন যার কতক আয়াত সুস্পষ্ট, দ্ব্যর্থহীন। ... এ আয়াতের শেষ পর্যন্ত- (সূরাহ আলে ইমরান ৩/৭) পাঠ করলেন। অতঃপর তিনি বলেনঃ যারা মুতাশাবিহাত আয়াতের পেছনে ছুটে তাদের যখন তুমি দেখবে তখন মনে করবে যে, তাদের কথাই আল্লাহ তা’আলা (পূর্বের আয়াতে) বুঝিয়েছেন। সুতরাং তাদের পরিত্যাগ করবে।[1]
أَخْبَرَنَا الْحَسَنُ بْنُ سُفْيَانَ قَالَ: حَدَّثَنَا حِبَّانُ قَالَ: أَخْبَرَنَا عَبْدُ اللَّهِ حَدَّثَنَا يَزِيدُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ التُّسْتَرِيُّ قَالَ: حَدَّثَنِي ابْنُ أَبِي مُلَيْكَةَ عَنِ الْقَاسِمِ بْنِ مُحَمَّدٍ عَنْ عَائِشَةَ:
أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ تَلَا قَوْلَ اللَّهِ: {هُوَ الَّذِي أَنْزَلَ عَلَيْكَ الْكِتَابَ مِنْهُ آيَاتٌ مُحْكَمَاتٌ .... } [آل عمران: 7] إِلَى آخِرِهَا فَقَالَ:
(إِذَا رَأَيْتُمُ الَّذِينَ يتَّبعون مَا تَشَابَهَ مِنْهُ فَاعْلَمُوا أَنَّهُمُ الَّذِينَ عَنَى اللَّهُ فَاحْذَرُوهُمْ)
= [3: 2]
[تعليق الشيخ الألباني]
صحيح: ق.
الحديث: 73 ¦ الجزء: 1 ¦ الصفحة: 196
আরনাউত্ব: এর সনদ বুখারী মুসলিমের শর্তানুযায়ী সহীহ।
তাখরীজ: তায়ালিসী ১৪৩৩; আহমাদ ৬/২৫৬; বুখারী, ৪৫৪৭; মুসলিম ২৬৬৫; আবূ দাউদ ৪৫৯৮; তিরমিযী, ২৯৯৩;, ২৯৯৪।
পরিচ্ছেদঃ
৭৪. আবূ হুরাইরা (রাঃ) হতে বর্নিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ’আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ কুরআন সাতটি হরফে (সাত পদ্ধতির কিরাআতে) নাযিল হয়েছে। আর কুরআনের ব্যাপারে বিতর্ক করা কুফরী- তিনি এটি তিনবার বলেছেন। কুরআনের যে বিষয় তোমরা জান, তা আমল কর। আর এর যে সকল বিষয়ে তোমরা জানো না, তা এ সম্পর্কে যারা আলিম, তাদের নিকট সোপর্দ কর।[1]
আবূ হাতিম (ইবনু হিব্বান) বলেনঃ রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ’আলাইহি ওয়াসাল্লামের বাণীঃ কুরআনের যে বিষয় তোমরা জান, তা আমল কর।”- এর অর্থ হলো, এর মধ্যে ’সাধ্যমত’ শব্দটিকে তিনি মনে মনে গোপন রেখেছেন, যার দ্বারা তিনি বুঝিয়েছেনঃ “কুরআনের যে বিষয় তোমরা জান, তা ’সাধ্যমত’ আমল কর।” আর তাঁর বাণীঃ আর এর যে সকল বিষয়ে তোমরা জানো না, তা এ সম্পর্কে যারা আলিম, তাদের নিকট সোপর্দ কর”- এতে এ বিষয়টির বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা রয়েছে, আর তা হলো,’ যে জানে না, তাকে জিজ্ঞেস করো না।’
أَخْبَرَنَا أَحْمَدُ بْنُ عَلِيِّ بْنِ الْمُثَنَّى قَالَ: حَدَّثَنَا أَبُو خَيْثَمَةَ قَالَ: حَدَّثَنَا أَنَسُ بْنُ عِيَاضٍ عَنْ أَبِي حَازِمٍ عَنْ أَبِي سَلَمَةَ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عليه وسلم قال:
(أُنْزِلَ الْقُرْآنُ عَلَى سَبْعَةِ أَحْرُفٍ وَالْمِرَاءُ فِي الْقُرْآنِ كُفْرٌ ـ ثَلَاثًا ـ مَا عَرَفْتُمْ مِنْهُ فَاعْمَلُوا بِهِ وَمَا جَهِلْتُمْ مِنْهُ فرُدُّوهُ إِلَى عالِمِهِ).
= [27: 1]
[تعليق الشيخ الألباني]
صحيح - ((الصحيحة)) (1522).
قَالَ أَبُو حَاتِمٍ: قَوْلُهُ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: (مَا عَرَفْتُمْ مِنْهُ فَاعْمَلُوا بِهِ) أَضْمَرَ فِيهِ الِاسْتِطَاعَةَ يُرِيدُ: اعْمَلُوا بِمَا عَرَفْتُمْ مِنَ الْكِتَابِ ـ مَا اسْتَطَعْتُمْ ـ. [ص: 197]
وَقَوْلُهُ: (وَمَا جَهِلْتُمْ مِنْهُ فردُّوه إِلَى عَالِمِهِ) فِيهِ الزَّجْرُ عَنْ ضِدِّ هَذَا الْأَمْرِ وَهُوَ أَنْ لَا يَسْأَلُوا مَنْ لا يعلم.
الحديث: 74 ¦ الجزء: 1 ¦ الصفحة: 196
আরনাউত্ব: এর সনদ বুখারী মুসলিমের শর্তানুযায়ী সহীহ।
তাখরীজ: আহমাদ ২/৩৩২; বাযযার, ২৩১৩; হাইসামী, মাজমা ৭/১৫১; হাইসামী বলেন, আহমাদ দুটি সনদে বর্ণনা করেছেন। এর একটি সনদের রাবী সহীহ হাদীসের রাবী।
পরিচ্ছেদঃ
ذِكْرُ الْعِلَّةِ الَّتِي مِنْ أَجْلِهَا قَالَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: (وَمَا جَهِلْتُمْ مِنْهُ فَرُدُّوهُ إِلَى عالِمِهِ)
যে কারণে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ’আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ “আর এর যে সকল বিষয়ে তোমরা জানো না, তা এ সম্পর্কে যারা আলিম, তাদের নিকট সোপর্দ কর”- সে সম্পর্কিত বর্ণনা:
৭৫. ইবনু মাসউদ (রাঃ) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ’আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ কুরআন সাতটি হরফে (সাত পদ্ধতির কিরাআতে) নাযিল হয়েছে। এর প্রত্যেক আয়াতের একটি স্পষ্ট-বাহ্যিক ও একটি অস্পষ্ট-আভ্যন্তরীণ (ব্যাখ্যাসাপেক্ষ দিক) রয়েছে।”[1]
أَخْبَرَنَا عُمَرُ بْنُ مُحَمَّدٍ الْهَمْدَانِيُّ قَالَ: حَدَّثَنَا إِسْحَاقُ بْنُ سُوَيْدٍ الرَّمْلِيُّ قَالَ: حَدَّثَنَا إِسْمَاعِيلُ بْنُ أَبِي أُوَيْسٍ قَالَ: حَدَّثَنِي أَخِي عَنْ سُلَيْمَانَ بْنِ بِلَالٍ عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ عَجْلَانَ عَنْ أَبِي إِسْحَاقَ الْهَمْدَانِيِّ عَنْ أَبِي الْأَحْوَصِ عَنِ ابْنِ مَسْعُودٍ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ:
(أُنْزِلَ الْقُرْآنُ عَلَى سَبْعَةِ أَحْرُفٍ لِكُلِّ آيَةٍ مِنْهَا ظَهْرٌ وَبَطْنٌ)
= [27: 1]
[تعليق الشيخ الألباني]
ضعيف – ((الضعيفة)) (2989).
الحديث: 75 ¦ الجزء: 1 ¦ الصفحة: 197
আরনাউত্ব: সনদ হাসান হবে, যদি আবূ ইসহাক বলতে হামদানী তথা লেখকের বর্ণনা অনুযায়ী, তিনি আমর ইবনু আব্দুল্লাহ আস সাবিঈ হন। আর যদি তিনি ইবরাহীম ইবনু মুসলিম আলহিজরী হন, তবে তিনি দুর্বল (তথা সনদ দূর্বল হবে), যেভাবে তাবারী তার তাফসীরে এটি বর্ণনা করেছেন।
তাখরীজ: তাবারাণী, কাবীর ১০০৯০; বাযযার, ২৩১২।
ظَهْرٌ (স্পষ্ট)’ শব্দের ব্যাখ্যায় ইমাম তাবারী রাহি. বলেন : তিলাওয়াতই হলো স্পষ্ট (বাহ্যিক) দিক, আর, بَطْنٌ অর্থ, এর ব্যাখ্যার মধ্যে যা লুকায়িত রয়েছে।
আহমাদ শাকির রাহি. ظَهْرٌ (স্পষ্ট)’ শব্দের ব্যাখ্যায় বলেন: এর বাক্যমালা থেকে একজন অশিক্ষিত বেদুইন যা বুঝতে পারে। আর, بَطْنٌ অর্থ হলো এর তাফসীর বা ব্যাখ্যা যা মুজতাহিদ ও ফকীহ আলিমগণ অবগত। আর তাবারী রাহি. এখানে কিছু কিছু সূফী ও দরবেশগণ যে খেল-তামাশা করে থাকে কুরআন ও সুন্নাহ নিয়ে, সে অর্থ বোঝাননি।
পরিচ্ছেদঃ
ذِكْرُ الزَّجْرِ عَنْ مُجَادَلَةِ النَّاسِ فِي كِتَابِ اللَّهِ مَعَ الْأَمْرِ بِمُجَانَبَةِ مَنْ يَفْعَلُ ذَلِكَ
আল্লাহর কিতাব সম্পর্কে লোকদের তর্ক-বিতর্ক করা থেকে নিষেধ ও যারা এ কাজ (তর্ক-বিতর্ক) করে, তাদের থেকে দূরে থাকার নির্দেশ সংক্রান্ত বর্ণনাঃ
৭৬. আয়িশাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, নাবীউল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এ আয়াত তিলাওয়াত করলেনঃ {هُوَ الَّذِي أَنْزَلَ عَلَيْكَ الْكِتَابَ مِنْهُ آيَاتٌ مُحْكَمَاتٌ هُنَّ أُمُّ الكتاب وأُخر متشابهات ... } إلى قوله: {أولو الألباب} [آل عمران: 7] [(অনুবাদ) তিনি তোমার প্রতি এই কিতাব নাযিল করেছেন যার কতক আয়াত সুস্পষ্ট, দ্ব্যর্থহীন, এগুলো কিতাবের মূল অংশ, আর অন্যগুলো রূপক। যাদের অন্তরে সত্য লঙ্ঘন প্রবণতা আছে শুধু তারাই বিশৃঙ্খলা ও ভুল ব্যাখ্যার উদ্দেশে যা রূপক তার অনুসরণ করে। আল্লাহ ব্যতীত আর কেউ তার ব্যাখ্যা জানে না।
আর যারা সুগভীর জ্ঞানের অধিকারী তারা বলে, আমরা এর প্রতি ঈমান আনলাম, সমস্তই আমাদের রবের নিকট থেকে আগত। বোধশক্তিসম্পন্ন ব্যাক্তিগণ ব্যতীত অপর কেউ শিক্ষা গ্রহণ করে না- (সূরাহ আল ইমরান ৩:৭)।]
অতঃপর তিনি বলেনঃ হে আয়িশাহ! যখন তুমি কোন লোকদেরকে এ আয়াতের ব্যাখ্যায় বাদানুবাদ করতে দেখবে, তখন মনে করবে যে, এরা সেই সকল লোক যাদের কথা আল্লাহ (পূর্বের আয়াতে) বুঝিয়েছেন। তোমরা তাদের পরিহার করবে।
মাতার বলেন: আমি তাঁর থেকে মুখস্ত রেখেছি, তিনি বলেছেন: তোমরা তাদের সাথে বসবে না, কেননা, এরাই সেই সকল লোক, যাদের কথা আল্লাহ (পূর্বের আয়াতে) বুঝিয়েছেন। তোমরা তাদের পরিহার করবে।[1]
আবূ হাতিম (ইবনু হিব্বান) রাহি. বলেনঃ এ হাদীসটি মাতার আল ওয়ার্রাক থেকে আইয়্যূব এবং ইবনু আবী মুলাইকা একত্রে শুনেছেন।
أَخْبَرَنَا الْحَسَنُ بْنُ سُفْيَانَ الشَّيْبَانِيُّ قَالَ: حَدَّثَنَا عَاصِمُ بْنُ النَّضْرِ الْأَحْوَلُ قَالَ: حَدَّثَنَا الْمُعْتَمِرُ بْنُ سُلَيْمَانَ قَالَ: سَمِعْتُ أَيُّوبَ يُحَدِّثُ عَنِ ابْنِ أَبِي مُلَيْكَةَ عَنْ عَائِشَةَ أَنَّهَا قَالَتْ:
قرأ نبي الله صلى عَلَيْهِ وَسَلَّمَ هَذِهِ الْآيَةَ: {هُوَ الَّذِي أَنْزَلَ عَلَيْكَ الْكِتَابَ مِنْهُ آيَاتٌ مُحْكَمَاتٌ هُنَّ أُمُّ الكتاب وأُخر متشابهات ... } إلى قوله: {أولو الألباب} [آل عمران: 7] قَالَتْ: فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ:
(إذ رأيتم الذين يجادولون فِيهِ فَهُمُ الَّذِينَ عَنَى اللَّهُ فَاحْذَرُوهُمْ) قَالَ [ص: 198] مَطَرٌ: حَفِظْتُ أَنَّهُ قَالَ:
(لَا تُجَالِسُوهُمْ فَهُمُ الذين عنى الله فاحذروهم)
= [3: 2]
[تعليق الشيخ الألباني]
صحيح: ق؛ دون قول مطر: ((لا تجالسوهم .... )).
قَالَ أَبُو حَاتِمٍ: سَمِعَ هَذَا الْخَبَرَ أَيُّوبُ عَنْ مَطَرٍ الْوَرَّاقِ وَابْنِ أَبِي مُلَيْكَةَ جَمِيعًا.
الحديث: 76 ¦ الجزء: 1 ¦ الصفحة: 197
আরনাউত্ব: এর সনদ মুসলিমের শর্তানুযায়ী সহীহ।
তাখরীজ: আহমাদ ৬/৪৮; ইবনু মাজাহ ৪৭; তাবারী, ৬৬০৫, ৬৬০৬, ৬৬০৭, ৬৬০৯; তাহাবী, মুশকিলুল আসার ৩/২০৮।
পরিচ্ছেদঃ
ذِكْرُ وَصْفِ الْعِلْمِ الَّذِي يُتَوَقَّعُ دُخُولُ النَّارِ فِي الْقِيَامَةِ لِمَنْ طَلَبَهُ
এমন ইলমের বিবরণ যা কোন ব্যক্তি অর্জন করলে তাকে কিয়ামতের দিন জাহান্নামে প্রবেশের অগ্রিম সংবাদ দেওয়া হয়েছে:
৭৭. জাবির (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেনঃ তোমরা আলিমদের উপর বাহাদুরী প্রকাশের জন্য, নির্বোধদের সাথে ঝগড়া-বিতর্ক করার জন্য এবং জনসভার উপর বড়ত্ব প্রকাশ করার জন্য (ধর্মীয়) জ্ঞান শিক্ষা করো না। যে ব্যাক্তি এরূপ করবে, তার জন্য রয়েছে আগুন আর আগুন।[1]
أَخْبَرَنَا أَحْمَدُ بْنُ مُحَمَّدِ بْنِ سَعِيدٍ الْمَرْوَزِيُّ بِالْبَصْرَةِ قَالَ: حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ سَهْلِ بْنِ عَسْكَرٍ قَالَ: حَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي مَرْيَمَ عَنْ يَحْيَى بْنِ أَيُّوبَ عَنِ ابْنِ جُرَيْجٍ عَنْ أَبِي الزُّبَيْرِ عَنْ جَابِرٍ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ:
(لَا تَعَلَّمُوا الْعِلْمَ لِتُبَاهُوا بِهِ الْعُلَمَاءَ وَلَا تُمَارُوا بِهِ السُّفَهَاءَ وَلَا تخيَّروا بِهِ الْمَجَالِسَ فَمَنْ فَعَلَ ذلك فالنار النار)
= [109: 2]
[تعليق الشيخ الألباني]
صحيح لغيره ـ ((التعليق الرغيب)) (1/ 68).
الحديث: 77 ¦ الجزء: 1 ¦ الصفحة: 198
আরনাউত্ব: এর কয়েকটি শাহিদ থাকায় তা শক্তিশালী, সহীহ।
তাখরীজ: ইবনু মাজাহ ২৫৩, ২৫৪। মূলতঃ এটি কয়েকজন সাহাবী হতে বর্ণিত হয়েছে। যেমনঃ ইবনু উমার হতে ইবনু মাজাহ ২৫৩; কা’ব ইবনু মালিক হতে তিরমিযী ২৬৫৬; হুযাইফা হতে ইবনু মাজাহ ২৫৯; আবূ হুরাইরা হতে ইবনু মাজাহ ২৬০; আনাস হতে বাযযার ১৭৮ তে। এর প্রত্যেকটি সনদই যয়ীফ।
পরিচ্ছেদঃ
৭৮. আবূ হুরাইরাহ (রাঃ) বর্ণনা করেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেনঃ যে ইলমের দ্বারা আল্লাহর সন্তুষ্টি অন্বেষণ করা হয়, কোনো লোক যদি দুনিয়াবী স্বার্থ লাভের জন্য তা শিক্ষা করে, তবে সে কিয়ামতের দিন জান্নাতের সুগন্ধ পাবে না।[1]
أَخْبَرَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ يَحْيَى بْنِ مُحَمَّدِ بْنِ مَخْلَدٍ قَالَ: حَدَّثَنَا أَبُو الرَّبِيعِ سُلَيْمَانُ بْنُ دَاوُدَ قَالَ: حَدَّثَنَا ابْنُ وَهْبٍ قَالَ: أَخْبَرَنِي أَبُو يَحْيَى بْنُ سُلَيْمَانَ الْخُزَاعِيُّ عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ مَعْمَرٍ الْأَنْصَارِيِّ عَنْ سَعِيدِ بْنِ يَسَارٍ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ:
(مَنْ تعلَّم عِلْمًا مِمَّا يُبْتَغَى بِهِ وَجْهُ اللَّهِ لَا يتعلَّمه إِلَّا ليُصيب بِهِ عَرَضًا مِنَ الدُّنْيَا لَمْ يجد عَرْفَ الجنة يوم القيامة) [ص: 199]
= [109: 2]
[تعليق الشيخ الألباني]
صحيح - ((اقتضاء العلم العمل)) (102)، ((المشكاة)) (277).
[78/*]ـ وَأَخْبَرَنَا عُمَرُ بْنُ مُحَمَّدِ بْنِ بُجَيْرٍ حَدَّثَنَا أَبُو الطَّاهِرِ بْنُ السَّرْحِ أَنْبَأَنَا ابْنُ وَهْبٍ ... بأسناده مثله.
الحديث: 78 ¦ الجزء: 1 ¦ الصفحة: 198
আরনাউত্ব: সহীহ।
তাখরীজ: হাকিম ১/৮৫; আবূ দাউদ ৩৬৬৪; আহমাদ ২/৩৩৮; ইবনু মাজাহ ২৫২।
পরিচ্ছেদঃ
ذِكْرُ الزَّجْرِ عَنْ مُجَالَسَةِ أَهْلِ الْكَلَامِ وَالْقَدَرِ وَمُفَاتِحَتِهِمْ بِالنَّظَرِ وَالْجِدَالِ
আহলে কালাম (তর্কশাস্ত্রবিদ) ও কাদরিয়াহ মতবাদের লোকদের বসা ও তাদের প্রতি নজর করা ও ঝগড়া-বিতর্ক শুরু করা নিষিদ্ধ হওয়ার বর্ণনাঃ
৭৯. উমার ইবনুল খাত্তাব (রাঃ) সূত্রে বর্ণিত। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ যারা তাকদীরে বিশ্বাস করে না, তোমরা তাদের সঙ্গে ওঠা-বসা করো না এবং (তোমাদেরকে সম্বোধন করার) আগে তাদেরকে সম্বোধন করো না।[1]
أَخْبَرَنَا أَحْمَدُ بْنُ عَلِيِّ بْنِ الْمُثَنَّى قَالَ: حَدَّثَنَا أَبُو خَيْثَمَةَ وَهَارُونُ بْنُ مَعْرُوفٍ قَالَا: حدثنا المقرىء قَالَ: حَدَّثَنَا سَعِيدُ بْنُ أَبِي أَيُّوبَ عَنْ عَطَاءِ بْنِ دِينَارٍ عَنْ حَكِيمِ بْنِ شَرِيكٍ عَنْ يَحْيَى بْنِ مَيْمُونٍ الْحَضْرَمِيِّ عَنْ رَبِيعَةَ الْجُرَشِيِّ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ عَنْ عُمَرَ بْنِ الْخَطَّابِ أَنَّهُ قَالَ: سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقُولُ:
(لَا تُجَالِسُوا أَهْلَ القَدَرِ ولا تفاتحوهم)
= [23: 1]
[تعليق الشيخ الألباني]
ضعيف - ((الطحاوية)) (242)، ((الظلال)) (330).
الحديث: 79 ¦ الجزء: 1 ¦ الصفحة: 199
আরনাউত্ব: যয়ীফ। হাকিম ইবনু শারিকের অজ্ঞাত পরিচয় হওয়ার কারণে।
তাখরীজ: হাকিম ১/৮৫; আবূ দাউদ ৪৭১০, ৪৭২০; আহমাদ ১/৩০।
পরিচ্ছেদঃ
ذِكْرُ مَا كَانَ يَتَخَوَّفُ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَلَى أُمَّتِهِ جِدَالَ الْمُنَافِقِ
নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাঁর উম্মাতের উপরে মুনাফিকদের ঝগড়া-বিতর্কের যে আশংকা করেছেন, তার বর্ণনাঃ
৮০. ইমরান ইবনু হুসাইন (রাঃ) হতে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ আমার উম্মাতের জন্য যে বিষয়টি সবচেয়ে বেশি ভয় করি, তা হলো মুনাফিকদের ঝগড়া-বিতর্ক, যারা হবে কথায় জ্ঞানী (কিন্তু আমলে সে ইলমের প্রকাশ নাই)।[1]
أَخْبَرَنَا أَبُو يَعْلَى حَدَّثَنَا خَلِيفَةُ بْنُ خَيَّاطٍ حَدَّثَنَا خَالِدُ بْنُ الْحَارِثِ حَدَّثَنَا حُسَيْنٌ الْمُعَلِّمُ عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ بُرَيْدَةَ عَنْ عِمْرَانَ بْنِ حُصَيْنٍ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ:
(أَخْوَفُ مَا أَخَافُ عَلَيْكُمْ جدال المنافق عليم اللسان)
= [22: 3]
[تعليق الشيخ الألباني]
صحيح - ((التعليق الرغيب)) (1/ 78).
الحديث: 80 ¦ الجزء: 1 ¦ الصفحة: 199
আরনাউত্ব: বুখারীর শর্তানুযায়ী সহীহ।
তাখরীজ: বাযযার ১৬৮, ১৬৯, ১৭০; তাবারাণী, কাবীর ১৮/৫৯৩; আহমাদ ১/২২, ৪৪; হাইসামী, মাজমা ১/১৮৭।