পরিচ্ছেদঃ
ذِكْرُ الْإِخْبَارِ عَمَّا يُسْتَحَبُّ لِلْمَرْءِ كَثْرَةُ سَمَاعِ الْعِلْمِ ثُمَّ الِاقْتِفَاءُ وَالتَّسْلِيمُ
কোন ব্যক্তির জন্য মুস্তাহাব (পছন্দনীয়) হলো প্রচুর ইলম (হাদীস) শোনা এবং তা অনুসরণ করা ও মেনে চলা- এ সম্পর্কিত বর্ণনাসমূহ:
৬৩. আবূ হুমাইদ এবং আবূ উসাইদ হতে বর্ণিত, নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন: যখন তোমরা আমার পক্ষ হতে হাদীস শুনবে, তোমাদের অন্তর/ বিবেক তা চিনতে পারবে এবং তোমাদের শরীরের লোম ও চামড়া তার প্রতি ঝুঁকে যাবে এবং এটি তোমাদের কাছে অতীব নিকটতম মনে হবে, কেননা আমি তো তোমাদের অতি ঘনিষ্ঠ, আপনজন। অপরদিকে, যখন তোমরা আমার পক্ষ হতে হাদীস শুনবে, আর তোমাদের অন্তর/ বিবেক তা প্রত্যাখ্যান করবে (চিনবে না) এবং তোমাদের শরীরের লোম ও চামড়া তাতে (ভীত শঙ্কিত হয়ে) দ্রুতগতিতে নাড়া দিয়ে উঠবে এবং এটি তোমাদের থেকে ভীষণ দূরবর্তী (অসম্ভব) মনে হবে, কেননা আমি তো তা থেকে তোমাদের চেয়েও অধিক দূরবর্তী।”[1]
أَخْبَرَنَا أَبُو يَعْلَى قَالَ: حَدَّثَنَا أَبُو خَيْثَمَةَ قَالَ: حَدَّثَنَا أَبُو عَامِرٍ الْعَقَدِيُّ قَالَ: حَدَّثَنَا سُلَيْمَانُ بْنُ بِلَالٍ عَنْ رَبِيعَةَ بْنِ أَبِي عَبْدِ الرَّحْمَنِ عَنْ عَبْدِ الْمَلِكِ بْنِ سَعِيدِ بْنِ سُوَيْدٍ عَنْ أَبِي حُمَيْدٍ وَأَبِي أُسَيْدٍ أَنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ:
إِذَا سَمِعْتُمُ الْحَدِيثَ عَنِّي تَعْرِفُهُ قُلُوبُكُمْ وَتَلِينُ لَهُ أَشْعَارُكُمْ وَأَبْشَارُكُمْ وَتَرَوْنَ أَنَّهُ مِنْكُمْ قَرِيبٌ فأنا أولاكم به وإذا سمعتم الحديث عتي تُنْكِرُهُ قُلُوبُكُمْ وَتَنْفِرُ عَنْهُ أَشْعَارُكُمْ وَأَبْشَارُكُمْ وَتَرَوْنَ أنه منكم بعيد فأنا أبعدكم منه)
= [66: 3]
[تعليق الشيخ الألباني]
حسن ـ ((الصحيحة)) (732).
الحديث: 63 ¦ الجزء: 1 ¦ الصفحة: 190
আরনাউত্ব: মুসলিমের শর্তানুযায়ী সহীহ।
তাখরীজ: আহমাদ ৩/৪৯৭, ৫/৪২৫; বাযযার, ১৮৭; মাজমাউয যাওয়াইদ ১/১৪৯-১৫০; বুখারী, তারীখুল কাবীর ৩/৪৭৪।
এ হাদীসের সম্বোধনকৃত ব্যক্তিবর্গ হলেন সাহাবীগণ, তাদের অন্তরের তাকওয়া, ইলমের পরিপূর্নতা, ন্যায়পরায়নতা ও রাসূল (সাঃ) এর সিরাত সম্পর্কে সর্বাধিক জ্ঞানী হওয়া ইত্যাদি বৈশিষ্টের কারণে। দেখুন, আলবানী, সহীহাহ হাদীস নং ৭৩২ এর টীকা।