পরিচ্ছেদঃ
ذِكْرُ الْعِلَّةِ الَّتِي مِنْ أَجْلِهَا قَالَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: (وَمَا جَهِلْتُمْ مِنْهُ فَرُدُّوهُ إِلَى عالِمِهِ)
যে কারণে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ’আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ “আর এর যে সকল বিষয়ে তোমরা জানো না, তা এ সম্পর্কে যারা আলিম, তাদের নিকট সোপর্দ কর”- সে সম্পর্কিত বর্ণনা:
৭৫. ইবনু মাসউদ (রাঃ) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ’আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ কুরআন সাতটি হরফে (সাত পদ্ধতির কিরাআতে) নাযিল হয়েছে। এর প্রত্যেক আয়াতের একটি স্পষ্ট-বাহ্যিক ও একটি অস্পষ্ট-আভ্যন্তরীণ (ব্যাখ্যাসাপেক্ষ দিক) রয়েছে।”[1]
أَخْبَرَنَا عُمَرُ بْنُ مُحَمَّدٍ الْهَمْدَانِيُّ قَالَ: حَدَّثَنَا إِسْحَاقُ بْنُ سُوَيْدٍ الرَّمْلِيُّ قَالَ: حَدَّثَنَا إِسْمَاعِيلُ بْنُ أَبِي أُوَيْسٍ قَالَ: حَدَّثَنِي أَخِي عَنْ سُلَيْمَانَ بْنِ بِلَالٍ عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ عَجْلَانَ عَنْ أَبِي إِسْحَاقَ الْهَمْدَانِيِّ عَنْ أَبِي الْأَحْوَصِ عَنِ ابْنِ مَسْعُودٍ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ:
(أُنْزِلَ الْقُرْآنُ عَلَى سَبْعَةِ أَحْرُفٍ لِكُلِّ آيَةٍ مِنْهَا ظَهْرٌ وَبَطْنٌ)
= [27: 1]
[تعليق الشيخ الألباني]
ضعيف – ((الضعيفة)) (2989).
الحديث: 75 ¦ الجزء: 1 ¦ الصفحة: 197
আরনাউত্ব: সনদ হাসান হবে, যদি আবূ ইসহাক বলতে হামদানী তথা লেখকের বর্ণনা অনুযায়ী, তিনি আমর ইবনু আব্দুল্লাহ আস সাবিঈ হন। আর যদি তিনি ইবরাহীম ইবনু মুসলিম আলহিজরী হন, তবে তিনি দুর্বল (তথা সনদ দূর্বল হবে), যেভাবে তাবারী তার তাফসীরে এটি বর্ণনা করেছেন।
তাখরীজ: তাবারাণী, কাবীর ১০০৯০; বাযযার, ২৩১২।
ظَهْرٌ (স্পষ্ট)’ শব্দের ব্যাখ্যায় ইমাম তাবারী রাহি. বলেন : তিলাওয়াতই হলো স্পষ্ট (বাহ্যিক) দিক, আর, بَطْنٌ অর্থ, এর ব্যাখ্যার মধ্যে যা লুকায়িত রয়েছে।
আহমাদ শাকির রাহি. ظَهْرٌ (স্পষ্ট)’ শব্দের ব্যাখ্যায় বলেন: এর বাক্যমালা থেকে একজন অশিক্ষিত বেদুইন যা বুঝতে পারে। আর, بَطْنٌ অর্থ হলো এর তাফসীর বা ব্যাখ্যা যা মুজতাহিদ ও ফকীহ আলিমগণ অবগত। আর তাবারী রাহি. এখানে কিছু কিছু সূফী ও দরবেশগণ যে খেল-তামাশা করে থাকে কুরআন ও সুন্নাহ নিয়ে, সে অর্থ বোঝাননি।