পরিচ্ছেদঃ ১: ঘরে নফল সালাত আদায় করার প্রতি উদ্বুদ্ধ করা এবং তার ফযীলত বর্ণনা
১৫৯৮. আব্বাস ইবনু আবদুল আযীম (রহ.)….. নাফি (রহ.) হতে বর্ণিত। আবদুল্লাহ ইবনু উমার (রাঃ) বলেন, রসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন: তোমরা নফল সালাত আপন আপন ঘরেই আদায় করবে। (ঘরে নফল সালাত আদায় না করে) ঘরকে কবরের মতো বানিয়ে নিও না।
باب الْحَثِّ عَلَى الصَّلاَةِ فِي الْبُيُوتِ وَالْفَضْلِ فِي ذَلِكَ
أَخْبَرَنَا الْعَبَّاسُ بْنُ عَبْدِ الْعَظِيمِ، قال: حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ مُحَمَّدِ بْنِ أَسْمَاءَ، قال: حَدَّثَنَا جُوَيْرِيَةُ بْنُ أَسْمَاءَ، عَنِالْوَلِيدِ بْنِ أَبِي هِشَامٍ، عَنْ نَافِعٍ، أَنَّ عَبْدَ اللَّهِ بْنَ عُمَرَ، قال: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: صَلُّوا فِي بُيُوتِكُمْ وَلَا تَتَّخِذُوهَا قُبُورًا .
تخریج دارالدعوہ: تفرد بہ النسائي، (تحفة الأشراف: ۸۵۲۰)، وقد أخرجہ: صحیح البخاری/الصلاة ۵۲ (۴۳۲)، التھجد ۳۷ (۱۱۸۷)، صحیح مسلم/المسافرین ۲۹ (۷۷۷)، سنن ابی داود/الصلاة ۲۰۵ (۱۰۴۳)، ۳۴۶ (۱۴۴۸)، سنن الترمذی/الصلاة ۲۱۴ (۴۵۱)، سنن ابن ماجہ/الإقامة ۱۸۶ (۱۳۷۷)، مسند احمد ۲/۶، ۱۶، ۱۲۳ (صحیح)
صحيح وضعيف سنن النسائي الألباني: حديث نمبر 1599 - صحيح
Encouragement to pray in houses and the virtue of doing so
It was narrated from Nafi' that Abdullah bin Umar said: Pray in your houses and do not make them like graves.
পরিচ্ছেদঃ ১: ঘরে নফল সালাত আদায় করার প্রতি উদ্বুদ্ধ করা এবং তার ফযীলত বর্ণনা
১৫৯৯. আহমাদ ইবনু সুলায়মান (রহ.) ..... যায়দ ইবনু সাবিত (রাঃ) হতে বর্ণিত। নবী (সা.) চাটাই দিয়ে মসজিদে একটি হুজরার মতো বানিয়ে নিলেন। রসূলুল্লাহ (সা.) তাতে কয়েক রাত সালাত আদায় করলেন কিছু লোকও তার সাথে জমা হয়ে গেল। পরে এক রাতে তারা তার কোন সাড়া শব্দ না পেয়ে অনুমান করল যে, তিনি হয়ত ঘুমিয়ে আছেন। তাই কেউ কেউ গলা খাকারি দিতে লাগল, যাতে তিনি তাদের সম্মখে বেরিয়ে আসেন। তিনি বললেন, আমি তোমাদের কর্মকাণ্ড বরাবর দেখে আসছি। তাতে আমার ভয় হলো যে, তা তোমাদের ওপর ফরযই না করে দেয়া হয়। যদি তা তোমাদের ওপর ফরয করে দেয়া হতো তবে তোমরা তা যথাযথরূপে আদায় করতে পারতে না। অতএব, হে লোক সকল! তোমরা আপন আপন ঘরেই নফল সালাত আদায় করবে, কেননা ফরয সালাত ছাড়া মানুষের অধিক উত্তম সালাত হলো তার ঘরেই আদায়কৃত সালাত।
باب الْحَثِّ عَلَى الصَّلاَةِ فِي الْبُيُوتِ وَالْفَضْلِ فِي ذَلِكَ
أَخْبَرَنَا أَحْمَدُ بْنُ سُلَيْمَانَ، قال: حَدَّثَنَا عَفَّانُ بْنُ مُسْلِمٍ، قال: حَدَّثَنَا وُهَيْبٌ، قال: سَمِعْتُ مُوسَى بْنَ عُقْبَةَ، قَالَ: سَمِعْتُ أَبَا النَّضْرِ يُحَدِّثُ، عَنْ بُسْرِ بْنِ سَعِيدٍ، عَنْ زَيْدِ بْنِ ثَابِتٍ، أَنّ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، اتَّخَذَ حُجْرَةً فِي الْمَسْجِدِ مِنْ حَصِيرٍ، فَصَلَّى رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِيهَا لَيَالِيَ حَتَّى اجْتَمَعَ إِلَيْهِ النَّاسُ، ثُمَّ فَقَدُوا صَوْتَهُ لَيْلَةً فَظَنُّوا أَنَّهُ نَائِمٌ، فَجَعَلَ بَعْضُهُمْ يَتَنَحْنَحُ لِيَخْرُجَ إِلَيْهِمْ، فَقَالَ: مَا زَالَ بِكُمُ الَّذِي رَأَيْتُ مِنْ صُنْعِكُمْ حَتَّى خَشِيتُ أَنْ يُكْتَبَ عَلَيْكُمْ، وَلَوْ كُتِبَ عَلَيْكُمْ مَا قُمْتُمْ بِهِ فَصَلُّوا أَيُّهَا النَّاسُ فِي بُيُوتِكُمْ، فَإِنَّ أَفْضَلَ صَلَاةِ الْمَرْءِ فِي بَيْتِهِ إِلَّا الصَّلَاةَ الْمَكْتُوبَةَ .
تخریج دارالدعوہ: صحیح البخاری/الأذان ۸۱ (۷۳۱)، الأدب ۷۵ (۶۱۱۳)، الإعتصام ۳ (۷۲۹۰)، صحیح مسلم/المسافرین ۲۹ (۷۸۱)، سنن ابی داود/الصلاة ۲۰۵ (۱۰۴۴)، ۳۴۶ (۱۴۴۷)، سنن الترمذی/الصلاة ۲۱۴ (۴۵۰)، (تحفة الأشراف: ۳۶۹۸)، موطا امام مالک/الجماعة ۱ (۴)، مسند احمد ۵/۱۸۲، ۱۸۳، ۱۸۶، ۱۸۷، سنن الدارمی/الصلاة ۹۶ (۱۴۰۶) (صحیح)
صحيح وضعيف سنن النسائي الألباني: حديث نمبر 1600 - صحيح
Encouragement to pray in houses and the virtue of doing so
It was narrated from Zaid bin Thabit that : The Prophet (ﷺ) used some palm fiber mats to section off a small area in the masjid. And the Messenger of Allah (ﷺ) prayed in it for several nights until the people gathered around him. Then, one night they did not hear his voice, and they thought that he was sleeping, so they cleared their throats to make him come out to them. He said: 'You kept doing that until I feared that it would be made obligatory for you, and if it were made obligatory, you would not be able to do it. O people, pray in your houses, for the best prayer a person offers is in his house, apart from the prescribed (obligatory) prayers.'
পরিচ্ছেদঃ ১: ঘরে নফল সালাত আদায় করার প্রতি উদ্বুদ্ধ করা এবং তার ফযীলত বর্ণনা
১৬০০. মুহাম্মাদ ইবনু বাশশার (রহ.)…. সা’দ ইবনু ইসহাক এর দাদা [কা’ব ইবনু উজরাহ (রা.)] হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সা.) একবার ‘আবদুল আশহাল গোত্রের মসজিদে মাগরিবের সালাত আদায় করলেন। যখন তিনি সালাত আদায় করলেন, কিছু লোক নফল সালাত আদায় করার জন্যে দাড়িয়ে গেল। রসূলুল্লাহ (সা.) বললেন, তোমাদের এ নফল সালাত ঘরেই পড়া উচিত।
باب الْحَثِّ عَلَى الصَّلاَةِ فِي الْبُيُوتِ وَالْفَضْلِ فِي ذَلِكَ
أَخْبَرَنَا مُحَمَّدُ بْنُ بَشَّارٍ، قال: أَنْبَأَنَا إِبْرَاهِيمُ بْنُ أَبِي الْوَزِيرِ، قال: حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ مُوسَى الْفِطْرِيُّ، عَنْ سَعْدِ بْنِ إِسْحَاقَ بْنِ كَعْبِ بْنِ عُجْرَةَ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ جَدِّهِ، قال: صَلَّى رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ صَلَاةَ الْمَغْرِبِ فِي مَسْجِدِ بَنِي عَبْدِ الْأَشْهَلِ، فَلَمَّا صَلَّى قَامَ نَاسٌ يَتَنَفَّلُونَ، فَقَالَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: عَلَيْكُمْ بِهَذِهِ الصَّلَاةِ فِي الْبُيُوتِ .
تخریج دارالدعوہ: سنن ابی داود/الصلاة ۳۰۴ (۱۳۰۰)، سنن الترمذی/فیہ ۳۰۷ (الجمعة ۷۱) (۶۰۴)، (تحفة الأشراف: ۱۱۱۰۷) (صحیح)
صحيح وضعيف سنن النسائي الألباني: حديث نمبر 1601 - صحيح
Encouragement to pray in houses and the virtue of doing so
It was narrated from Sa'd bin Ishaq bin Ka'b bin Ujrah, from his father, that: His grandfather said: The Messenger of Allah (ﷺ) prayed Maghrib in the masjid of Banu 'Abdul-Ashhal, and when he finished praying some people stood up and offered Nafl prayers. The Prophet (ﷺ) said: 'You should offer this prayer in your houses.'
পরিচ্ছেদঃ ২: বিতর এবং তাহাজ্জুদের সালাত
১৬০১. মুহাম্মাদ ইবনু বাশশার (রহ.) ..... সা'দ ইবনু হিশাম (রহ.) হতে বর্ণিত। তিনি ইবনু আব্বাস (রাঃ) এর সাথে দেখা করে তাঁকে বিতর সালাত সম্পর্কে প্রশ্ন করলে তিনি বললেন, আমি কি তোমাকে বিশ্ববাসীর মধ্যে রসূলুল্লাহ (সা.) -এর বিতর সালাত সম্পর্কে অধিক জ্ঞাত ব্যক্তির সংবাদ বলব না? তিনি বললেন, হ্যা। ইবনু আব্বাস (রাঃ) বললেন, তিনি হলেন ‘আয়িশাহ (রাঃ)। তুমি তার খিদমাতে হাজির হয়ে তাকেই প্রশ্ন করে দেখ এবং পরে আমার কাছে এসে তোমাকে দেয়া তার জবাব সম্বন্ধে আমাকে জানাবে।
আমি হাকীম ইবনু আফলাহ-এর নিকট এসে ‘আয়িশাহ্ (রাঃ) -এর নিকট যাওয়ার জন্যে তাঁকে সাথী বানাতে চাইলে তিনি বললেন, আমি তার নিকটবর্তী হব না, কেননা আমি তাঁকে উষ্ট্রীর যুদ্ধ ও সিফফীন ইত্যকার যুদ্ধসমূহে অংশগ্রহণকারী উভয় পক্ষ সম্পর্কে কিছু বলতে নিষেধ করলেও তিনি তা মানেননি বরং তাতে সম্পৃক্ত হয়ে গিয়েছিলেন।
আমি হাকীম ইবনু আফলাহকে ‘আয়িশাহ্ (রাঃ)-এর কাছে যাওয়ার জন্যে কসম দিলে তিনি আমার সাথে ‘আয়িশাহ্ (রাঃ)-এর কাছে গেলেন। আয়িশাহ্ (রাঃ) হাকীম-কে প্রশ্ন করলেন, তোমার সাথে এ কে? আমি বললাম, সা'দ ইবনু হিশাম (রাঃ)। তিনি প্রশ্ন করলেন, হিশাম কে? আমি বললাম ‘আমির-এর পুত্র। তিনি তাঁর প্রতি সহানুভূতিশীল হয়ে বললেন, ‘আমির বড় ভালো মানুষ ছিলেন। সা'দ ইবনু হিশাম (রাঃ) বললেন, হে উম্মুল মু'মিনীন! আপনি আমাকে রসূলুল্লাহ (সা.) -এর স্বভাব চরিত্র সম্পর্কে বলুন। তিনি বললেন, তুমি কুরআন তিলাওয়াত করো না? সা'দ (রহ.) বলেন, আমি বললাম, হ্যা! নিশ্চয় পাঠ করি। আয়িশাহ্ (রাঃ) বললেন, নবী (সা.) -এর স্বভাব-চরিত্র ছিল কুরআন। আমি যখন দাঁড়াতে মনস্থ করলাম তখন রসূলুল্লাহ (সা.) -এর দাঁড়ানোর (রাত্রে নফল সালাত আদায় করার কথা আমার মনে এসে গেল। তিনি বললেন, হে উম্মুল মু'মিনীন! আপনি আমাকে রসূলুল্লাহ (সা.) -এর রাতে নফল সালাত আদায় করা সম্পর্কে বলুন।
তিনি বললেন, তুমি “ইয়া- আইয়ুহাল মুযযাম্মিল” এ সূরাটি পাঠ করো না? আমি বললাম, হ্যা, নিশ্চয় পাঠ করি। তিনি বললেন, আল্লাহ তা'আলা তাহাজ্জুদকে এ সূরার প্রথমাংশে ফরয করেছিলেন, তখন নবী (সা.) এবং তার সাহাবীগণ এক বৎসর পর্যন্ত তাহাজ্জুদের সালাত আদায় করলেন, যাতে তাঁদের পা ফুলে গেল। এক বৎসর পরে আল্লাহ তা'আলা উক্ত সূরার শেষাংশে সহজীকৃত বিধান অবতীর্ণ করলেন। অতএব তাহাজ্জুদের সালাত ফরয হিসেবে অবতীর্ণ হওয়ার পর নফল হিসেবে অবশিষ্ট রয়ে গেল।
আমি ‘আয়িশাহ (রাঃ)-কে বললাম, হে উম্মুল মু'মিনীন! আপনি আমাকে রসূলুল্লাহ (সা.) -এর বিতর সম্পর্কে বলন। তিনি বললেন, আমরা তার জন্যে মিসওয়াক ও উযূর পানি তৈরি করে রাখতাম। রাতে যখন আল্লাহ তা'আলা তাকে জাগানোর ইচ্ছা করতেন তাকে জাগ্রত করে দিতেন। তিনি উঠে মিসওয়াক এবং উযু করতেন এবং আট রাক'আত সালাত আদায় করতেন। তাতে সালাম ফিরানোর জন্যে শুধু অষ্টম রাকআতেই বসতেন। বসে আল্লাহ তা'আলার যিকর এবং দু'আ করতেন। অতঃপর আমাদের শুনিয়ে সালাম ফিরাতেন। অতঃপর বসা অবস্থায় দু'রাক'আত সালাত আদায় করতেন। এরপর আবার এক রাক'আত সালাত আদায় করতেন। তাহলে হে প্রিয় বৎস! সর্বমোট এগারো রাকআত। যখন রসূলুল্লাহ (সা.)-এর বয়স বেড়ে গেল এবং শরীরের ওজন বৃদ্ধি পেয়ে গেল তিনি সাত রাকআত বিতরের সালাত আদায় করতেন। আর সালামের পর বসে থেকে দু' রাকআত সালাত আদায় করতেন। তা হলে হে প্রিয় বৎস! সর্বমোট নয় রাক’আত সালাত আদায় করা হত। আর রসূলুল্লাহ (সা.) যখন কোন সালাত আদায় করতেন, তা নিয়মিত আদায় করতে ভালোবাসতেন। আর যদি তাকে নিদ্রা অথবা কোন অসুখ বা ব্যথা বেদনা তাহাজ্জুদ হতে বিরত রাখত তাহলে তিনি দিনে বারো রাকআত সালাত আদায় করে নিতেন। আমি এটা জানি না যে, নবী (সা.) এক রাত্রে সম্পূর্ণ কুরআন মাজীদ পাঠ করেছেন। আর তিনি সকাল পর্যন্ত পুরো রাত্র তাহাজ্জুদের সালাতও আদায় করতেন না এবং রমযান ছাড়া পুরা মাস সিয়াম পালন করতেন না।
আমি ইবনু আব্বাস (রাঃ) -এর নিকট এসে ‘আয়িশাহ (রাঃ) এর হাদীস তাঁকে বর্ণনা করলে তিনি বললেন, 'আয়িশাহ (রাঃ) সত্যই বলেছেন। আমি যদি তাঁর নিকট কখনও যেতাম তাহলে এ হাদীসটা তাঁর মুখ হতে সরাসরি শুনতে পেতাম। আবূ আবদুর রহমান (নাসায়ী) বলেন, আমার কিতাবে এ রকমই রয়েছে কিন্তু আমি জানি না যে, রসূলুল্লাহ (সা.) -এর বিতরের ব্যাপারে ভুল বর্ণনা কার থেকে হয়েছে।
باب قِيَامِ اللَّيْلِ
أَخْبَرَنَا مُحَمَّدُ بْنُ بَشَّارٍ، قال: حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ سَعِيدٍ، عَنْ سَعِيدٍ، عَنْ قَتَادَةَ، عَنْ زُرَارَةَ، عَنْ سَعْدِ بْنِ هِشَامٍ، أَنَّهُ لَقِيَ ابْنَ عَبَّاسٍ فَسَأَلَهُ عَنِ الْوَتْرِ، فَقَالَ: أَلَا أُنَبِّئُكَ بِأَعْلَمِ أَهْلِ الْأَرْضِ بِوَتْرِ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: نَعَمْ، قَالَ: عَائِشَةُ، ائْتِهَا فَسَلْهَا ثُمَّ ارْجِعْ إِلَيَّ فَأَخْبِرْنِي بِرَدِّهَا عَلَيْكَ، فَأَتَيْتُ عَلَى حَكِيمِ بْنِ أَفْلَحَ فَاسْتَلْحَقْتُهُ إِلَيْهَا، فَقَالَ: مَا أَنَا بِقَارِبِهَا إِنِّي نَهَيْتُهَا أَنْ تَقُولَ فِي هَاتَيْنِ الشِّيعَتَيْنِ شَيْئًا فَأَبَتْ فِيهَا إِلَّا مُضِيًّا، فَأَقْسَمْتُ عَلَيْهِ فَجَاءَ مَعِي فَدَخَلَ عَلَيْهَا، فَقَالَتْ لِحَكِيمٍ: مَنْ هَذَا مَعَكَ ؟ قُلْتُ: سَعْدُ بْنُ هِشَامٍ، قَالَتْ: مَنْ هِشَامٌ ؟ قُلْتُ: ابْنُ عَامِرٍ فَتَرَحَّمَتْ عَلَيْهِ، وَقَالَتْ: نِعْمَ الْمَرْءُ كَانَ عَامِرًا، قَالَ: يَا أُمَّ الْمُؤْمِنِينَ، أَنْبِئِينِي عَنْ خُلُقِ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، قَالَتْ: أَلَيْسَ تَقْرَأُ الْقُرْآنَ، قَالَ: قُلْتُ: بَلَى، قَالَتْ: فَإِنَّ خُلُقَ نَبِيِّ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ الْقُرْآنُ . (حديث موقوف) (حديث مرفوع) فَهَمَمْتُ أَنْ أَقُومَ فَبَدَا لِي قِيَامُ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَقَالَ: يَا أُمَّ الْمُؤْمِنِينَ، أَنْبِئِينِي عَنْ قِيَامِ نَبِيِّ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، قَالَتْ: أَلَيْسَ تَقْرَأُ هَذِهِ السُّورَةَ يَا أَيُّهَا الْمُزَّمِّلُ ؟ قُلْتُ: بَلَى، قَالَتْ: فَإِنَّ اللَّهَ عَزَّ وَجَلَّ افْتَرَضَ قِيَامَ اللَّيْلِ فِي أَوَّلِ هَذِهِ السُّورَةِ، فَقَامَ نَبِيُّ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَأَصْحَابُهُ حَوْلًا حَتَّى انْتَفَخَتْ أَقْدَامُهُمْ، وَأَمْسَكَ اللَّهُ عَزَّ وَجَلَّ خَاتِمَتَهَا اثْنَيْ عَشَرَ شَهْرًا، ثُمَّ أَنْزَلَ اللَّهُ عَزَّ وَجَلَّ التَّخْفِيفَ فِي آخِرِ هَذِهِ السُّورَةِ، فَصَارَ قِيَامُ اللَّيْلِ تَطَوُّعًا بَعْدَ أَنْ كَانَ فَرِيضَةً. (حديث موقوف) (حديث مرفوع) فَهَمَمْتُ أَنْ أَقُومَ فَبَدَا لِي وَتْرُ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَقُلْتُ: يَا أُمَّ الْمُؤْمِنِينَ، أَنْبِئِينِي عَنْ وَتْرِ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، قَالَتْ: كُنَّا نُعِدُّ لَهُ سِوَاكَهُ وَطَهُورَهُ فَيَبْعَثُهُ اللَّهُ عَزَّ وَجَلَّ لِمَا شَاءَ أَنْ يَبْعَثَهُ مِنَ اللَّيْلِ، فَيَتَسَوَّكُ وَيَتَوَضَّأُ وَيُصَلِّي ثَمَانِيَ رَكَعَاتٍ لَا يَجْلِسُ فِيهِنَّ إِلَّا عِنْدَ الثَّامِنَةِ، يَجْلِسُ فَيَذْكُرُ اللَّهَ عَزَّ وَجَلَّ وَيَدْعُو ثُمَّ يُسَلِّمُ تَسْلِيمًا يُسْمِعُنَا، ثُمَّ يُصَلِّي رَكْعَتَيْنِ وَهُوَ جَالِسٌ بَعْدَ مَا يُسَلِّمُ ثُمَّ يُصَلِّي رَكْعَةً فَتِلْكَ إِحْدَى عَشْرَةَ رَكْعَةً يَا بُنَيَّ، فَلَمَّا أَسَنَّ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَأَخَذَ اللَّحْمَ أَوْتَرَ بِسَبْعٍ وَصَلَّى رَكْعَتَيْنِ وَهُوَ جَالِسٌ بَعْدَ مَا سَلَّمَ فَتِلْكَ تِسْعُ رَكَعَاتٍ يَا بُنَيَّ، وَكَانَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِذَا صَلَّى صَلَاةً أَحَبَّ أَنْ يَدُومَ عَلَيْهَا، وَكَانَ إِذَا شَغَلَهُ عَنْ قِيَامِ اللَّيْلِ نَوْمٌ أَوْ مَرَضٌ أَوْ وَجَعٌ صَلَّى مِنَ النَّهَارِ اثْنَتَيْ عَشْرَةَ رَكْعَةً، وَلَا أَعْلَمُ أَنَّ نَبِيَّ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَرَأَ الْقُرْآنَ كُلَّهُ فِي لَيْلَةٍ، وَلَا قَامَ لَيْلَةً كَامِلَةً حَتَّى الصَّبَاحَ، وَلَا صَامَ شَهْرًا كَامِلًا غَيْرَ رَمَضَانَ، فَأَتَيْتُ ابْنَ عَبَّاسٍ فَحَدَّثْتُهُ بِحَدِيثِهَا، فَقَالَ: صَدَقَتْ، أَمَا إِنِّي لَوْ كُنْتُ أَدْخُلُ عَلَيْهَا لَأَتَيْتُهَا حَتَّى تُشَافِهَنِي مُشَافَهَةً، قَالَ أَبُو عَبْد الرَّحْمَنِ: كَذَا وَقَعَ فِي كِتَابِي وَلَا أَدْرِي مِمَّنِ الْخَطَأُ فِي مَوْضِعِ وَتْرِهِ عَلَيْهِ السَّلَامُ.
تخریج دارالدعوہ: صحیح مسلم/المسافرین ۱۸ (۷۴۶)، سنن ابی داود/الصلاة ۳۱۶ (۱۳۴۲، ۱۳۴۳، ۱۳۴۴، ۱۳۴۵)، (تحفة الأشراف: ۱۶۱۰۴)، مسند احمد ۶/۵۳، ۹۴، ۱۰۹، ۱۶۳، ۱۶۸، ۲۳۶، ۲۵۸، سنن الدارمی/الصلاة ۱۶۵ (۱۵۱۶) (صحیح)
صحيح وضعيف سنن النسائي الألباني: حديث نمبر 1602 - صحيح
Qiyam Al-Lail (Voluntary prayers at night)
It was narrated from Sa'd bin Hisham that: He met Ibn 'Abbas and asked him about Witr. He said: Shall I not lead you to one who knows best among the people of the world about the witr of the Messenger of Allah (ﷺ)? He said: Yes. (Ibn Abbas) said: It is 'Aishah. So go to her and ask her (about witr) and then come back to me and tell me the answer that she gives you. So I went to Hakim bin Aflah and asked him to go accompany me to her. He said: I shall not go to her, for I told her not to say anything about these two (conflicting) groups, but she refused (to accept my advice) and went on (to participate in the conflict). I swore an oath, beseeching him (to take me to her). So he came with me and went unto her.
She said to Hakim: Who is this with you? He said: He is Sa'd bin Hisham. She said: Which Hisham? He said: Ibn Amir. She supplicated for mercy for him and said: What a good man Amir was. He said: O Mother of the Believers, tell me about the character of the Messenger of Allah. She said: Don't you read the Qur'an? I said: Yes. She said The character of the Messenger of Allah (ﷺ) was the Qur'an. He said: I wanted to get up (and leave), then I thought of the Qiyam (night prayer) of the Messenger of Allah (ﷺ) and said: Tell me about the Qiyam of the Messenger of Allah (ﷺ). She said: Do you not recite this surah: O you wrapped in garments? I said: Yes. She said: Allah, the Mighty and Sublime, made Qiyam Al-Lail obligatory at the beginning of this surah, so the Messenger of Allah (ﷺ) and his companions prayed Qiyam Al-Lail for one year. Allah (SWT) withheld the latter part of this surah for twelve months, then he revealed the lessening (of this duty) at the end of this surah, so Qiyam Al-Lail became voluntary after it had been obligatory. I felt inclined to stand up (and not ask anything further), then I thought of the witr of the Messenger of Allah (ﷺ). I said: O Mother of the Believers, tell me about the witr of the Messenger of Allah (ﷺ). She said: We used to prepare his siwak and water for his ablution, and Allah (SWT) would wake him when He wished during the night. He would use the siwak, perform ablution, and then pray eight rak'ahs in which he would not sit until he reached the eighth one. Then he would sit and remember Allah (SWT) and supplicate, then he would say the taslim that we could hear. Then he would pray two rak'as sitting after uttering the taslim, then he would pray one rak'ah, and that made eleven rak'ahs, O my son! When the Messenger of Allah (ﷺ) grew older and put on weight, he prayed witr with seven rak'ahs, then he prayed two rak'ahs sitting down after saying the taslim, and that made nine rak'ahs. O my son, when the Messenger of Allah (ﷺ)offered a prayer, he liked to continue to offer it, and when sleep, sickness, or pain distracted him from praying Qiyam Al-Lail, he would pray twelve rak'ahs during the day. I am not aware of the Prophet of Allah (ﷺ) having recited the whole Qur'an during a single night, or praying through the whole night until morning, or fasting a complete month, except Ramadan. I went to Ibn 'Abbas and told him what she had said, and he said: She has spoken the truth. If I could go to her (and meet her face to face) I would so that she could tell me all of that verbally.
পরিচ্ছেদঃ ৩: ‘ইবাদত জ্ঞানে সাওয়াব লাভের নিয়্যাতে কিয়ামুল লায়ল আদায়কারীর নেকী
১৬০২. কুতায়বাহ (রহ.) ..... আবূ হুরায়রাহ্ (রাঃ) হতে বর্ণিত। রসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন: যে ব্যক্তি ‘ইবাদত জ্ঞানে সাওয়াব লাভের আশায় কিয়ামুল লায়ল আদায় করবে তার পূর্ববর্তী সমস্ত (সগীরা) গুনাহ মাফ করে দেয়া হবে।
باب ثَوَابِ مَنْ قَامَ رَمَضَانَ إِيمَانًا وَاحْتِسَابًا
أَخْبَرَنَا قُتَيْبَةُ، عَنْ مَالِكٍ، عَنِ ابْنِ شِهَابٍ، عَنْ حُمَيْدِ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: مَنْ قَامَ رَمَضَانَ إِيمَانًا وَاحْتِسَابًا، غُفِرَ لَهُ مَا تَقَدَّمَ مِنْ ذَنْبِهِ .
تخریج دارالدعوہ: صحیح البخاری/الإیمان ۲۷ (۳۷)، الصوم ۶ (۱۸۹۸)، التراویح ۱ (۲۰۰۹)، صحیح مسلم/المسافرین ۲۵ (۷۵۹)، سنن ابی داود/الصلاة ۳۱۸ (۱۳۷۱)، (تحفة الأشراف: ۱۲۲۷۷)، وقد أخرجہ: سنن الترمذی/الصوم ۱ (۶۸۳)، ۸۳ (۸۰۸)، سنن ابن ماجہ/الإقامة ۱۷۳ (۱۳۲۶)، موطا امام مالک/رمضان ۱ (۲)، مسند احمد ۲/۲۴۱، ۲۸۱، ۲۸۹، ۴۰۸، ۴۲۳، ۴۷۳، ۴۸۶، ۵۰۳، ۲۹، سنن الدارمی/الصوم ۵۴ (۱۸۱۷)، ویأتی عند المؤلف بأرقام: ۲۲۰۱، ۲۲۰۲، ۲۲۰۳ (صحیح)
صحيح وضعيف سنن النسائي الألباني: حديث نمبر 1603 - صحيح
The reward of one who prays Qiyam during Ramadan out of faith and in the hope of reward
It was narrated from Abu Hurairah that: The Messenger of Allah (ﷺ) said: Whoever prays Qiyam during Ramadan out of faith and in the hope of reward, he will be forgiven his previous sins.
পরিচ্ছেদঃ ৩: ‘ইবাদত জ্ঞানে সাওয়াব লাভের নিয়্যাতে কিয়ামুল লায়ল আদায়কারীর নেকী
১৬০৩. মুহাম্মাদ ইবনু ইসমাঈল ইবনু আবূ বকর (রহ.) ..... আবূ হুরায়রাহ (রাঃ) হতে বর্ণিত। রসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন: যে ব্যক্তি ইবাদত জ্ঞানে নেকী লাভের নিয়্যাতে কিয়ামুল লায়ল আদায় করবে, তার পূর্ববর্তী সমস্ত (সগীরা) গুনাহ ক্ষমা করে দেয়া হবে।
باب ثَوَابِ مَنْ قَامَ رَمَضَانَ إِيمَانًا وَاحْتِسَابًا
أَخْبَرَنَا مُحَمَّدُ بْنُ إِسْمَاعِيلَ أَبُو بَكْرٍ، قال: حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ مُحَمَّدِ بْنِ أَسْمَاءَ، قال: حَدَّثَنَا جُوَيْرِيَةُ، عَنْ مَالِكٍ، قال: قَالَ الزُّهْرِيُّ، أَخْبَرَنِي أَبُو سَلَمَةَ بْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ، وَحُمَيْدُ بْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، أَنّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: مَنْ قَامَ رَمَضَانَ إِيمَانًا وَاحْتِسَابًا، غُفِرَ لَهُ مَا تَقَدَّمَ مِنْ ذَنْبِهِ .
تخریج دارالدعوہ: انظر ماقبلہ، (تحفة الأشراف: ۱۲۲۷۷، ۱۵۲۴۸)، ویأتي ہذا الحدیث عند المؤلف برقم: ۵۰۲۸، ۵۰۲۹ (صحیح)
صحيح وضعيف سنن النسائي الألباني: حديث نمبر 1604 - صحيح
The reward of one who prays Qiyam during Ramadan out of faith and in the hope of reward
It was narrated from Abu Hurairah that: The Messenger of Allah (ﷺ) said: Whoever prays Qiyam during Ramadan out of faith and in the hope of reward, he will be forgiven his previous sins.
পরিচ্ছেদঃ ৪: রমযান মাসে কিয়ামুল লায়ল আদায় করা
১৬০৪. কুতায়বাহ্ (রহ.) ..... ‘আয়িশাহ্ (রাঃ) হতে বর্ণিত, রসূলুল্লাহ (সা.) এক রাতে মসজিদে সালাত আদায় করলেন, তার সাথে শারীক হয়ে কিছু সংখ্যক লোক সালাত আদায় করলে। এরপর তিনি পরবর্তী রাতের সালাত আদায় করলে লোকের সংখ্যা বেড়ে গেল। অতঃপর তারা তৃতীয় রাতেও অথবা চতুর্থ রাতের সালাত আদায় করার জন্যে জড়ো হয়ে গেলে রসূলুল্লাহ (সা.) আর তাদের সামনে বের হলেন না। সকাল হলে রসূলুল্লাহ (সা.) বললেন, তোমরা যা করেছিলে আমি তা দেখেছিলাম। তোমাদের ওপর এ সালাত ফরয হয়ে যাওয়ার আশংকা ছাড়া অন্য কোন কিছুই তোমাদের সামনে বের হওয়া থেকে আমাকে বিরত রাখেনি। এ ঘটনা রমযান মাসে ঘটেছিল।
باب قِيَامِ شَهْرِ رَمَضَانَ
أَخْبَرَنَا قُتَيْبَةُ، عَنْ مَالِكٍ، عَنِ ابْنِ شِهَابٍ، عَنْ عُرْوَةَ، عَنْ عَائِشَةَ، أَنّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، صَلَّى فِي الْمَسْجِدِ ذَاتَ لَيْلَةٍ وَصَلَّى بِصَلَاتِهِ نَاسٌ، ثُمَّ صَلَّى مِنَ الْقَابِلَةِ وَكَثُرَ النَّاسُ ثُمَّ اجْتَمَعُوا مِنَ اللَّيْلَةِ الثَّالِثَةِ أَوِ الرَّابِعَةِ، فَلَمْ يَخْرُجْ إِلَيْهِمْ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَلَمَّا أَصْبَحَ، قَالَ: قَدْ رَأَيْتُ الَّذِي صَنَعْتُمْ، فَلَمْ يَمْنَعْنِي مِنَ الْخُرُوجِ إِلَيْكُمْ إِلَّا أَنِّي خَشِيتُ أَنْ يُفْرَضَ عَلَيْكُمْ وَذَلِكَ فِي رَمَضَانَ.
تخریج دارالدعوہ: صحیح البخاری/الأذان ۸۰ (۷۲۹)، الجمعة ۲۹ (۹۲۴)، التھجد ۵ (۱۱۲۹)، التراویح ۱ (۲۰۱۱)، صحیح مسلم/المسافرین ۲۵ (۷۶۱)، سنن ابی داود/الصلاة ۳۱۸ (۱۳۷۳)، (تحفة الأشراف: ۱۶۵۹۴)، موطا امام مالک/رمضان ۱ (۱)، مسند احمد ۶/۱۶۹، ۱۷۷ (صحیح)
صحيح وضعيف سنن النسائي الألباني: حديث نمبر 1605 - صحيح
Qiyam during the month of Ramadan
It was narrated from 'Aishah that: The Messenger of Allah (ﷺ) prayed in the masjid one night, and some people followed his prayer. Then he prayed the following night and more people came. Then they gathered on the third or fourth night and the Messenger of Allah (ﷺ) did not come out to them. When morning came he said: I saw what you did, and nothing prevented me from coming out to you but the fact that I feared that this would be made obligatory for you, and that was in Ramadan.
পরিচ্ছেদঃ ৪: রমযান মাসে কিয়ামুল লায়ল আদায় করা
১৬০৫. ‘উবায়দুল্লাহ ইবনু সাঈদ (রহ.) ..... আবূ যার (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমরা একবার রসূলুল্লাহ (সা.) -এর সাথে সিয়াম পালন করেছিলাম। রমযান মাসে তিনি আমাদের নিয়ে সালাত আদায় করলেন না। যখন মাসের মাত্র সাত রাত বাকী রয়ে গেল, তিনি আমাদের নিয়ে সালাত আদায় করলেন। এমনকি রাতের এক-তৃতীয়াংশ চলে গেল। ষষ্ঠ রাতে আর সালাত আদায় করলেন না। যখন পাঁচ রাত্র বাকী ছিল তিনি আমাদের নিয়ে সালাত আদায় করলেন অর্ধেক রাত অতিবাহিত হওয়া পর্যন্ত। আমি বললাম, হে আল্লাহর রসূল! যদি আপনি আমাদের নিয়ে অত্র রাতের অবশিষ্ট অংশেও নফল সালাত আদায় করতেন! তিনি বললেন, যে ব্যক্তি ইমামের সাথে সালাত আদায় করে ঘরে ফিরে যায় আল্লাহ তা'আলা তার জন্যে পূর্ণ রাত্রি সালাত আদায় করার সাওয়াব লিখে রাখেন। অতঃপর তিনি আর আমাদের নিয়ে সালাত আদায় করলেন না এবং নিজেও আদায় করলেন না। যখন মাসের তিন রাত বাকি রয়ে গেল, তিনি আমাদের নিয়ে ঐ রাতে সালাত আদায় করলেন (এবং ঐ সালাতে) তাঁর সন্তান-সন্ততি এবং পরিবারবর্গও জড়ো করলেন। আমরা আশংকা করতে লাগলাম যে, “ফালাহ” না হারিয়ে ফেলি। আমি বললাম, “ফালাহ” এর অর্থ কি? তিনি বললেন, সাহরী খাওয়ার সময়।
باب قِيَامِ شَهْرِ رَمَضَانَ
أَخْبَرَنَا عُبَيْدُ اللَّهِ بْنُ سَعِيدٍ، قال: حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الْفُضَيْلِ، عَنْ دَاوُدَ بْنِ أَبِي هِنْدٍ، عَنِ الْوَلِيدِ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ، عَنْجُبَيْرِ بْنِ نُفَيْرٍ، عَنْ أَبِي ذَرٍّ، قال: صُمْنَا مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي رَمَضَانَ فَلَمْ يَقُمْ بِنَا حَتَّى بَقِيَ سَبْعٌ مِنَ الشَّهْرِ، فَقَامَ بِنَا حَتَّى ذَهَبَ ثُلُثُ اللَّيْلِ ثُمَّ لَمْ يَقُمْ بِنَا فِي السَّادِسَةِ، فَقَامَ بِنَا فِي الْخَامِسَةِ حَتَّى ذَهَبَ شَطْرُ اللَّيْلِ، فَقُلْتُ: يَا رَسُولَ اللَّهِ، لَوْ نَفَّلْتَنَا بَقِيَّةَ لَيْلَتِنَا هَذِهِ، قَالَ: إِنَّهُ مَنْ قَامَ مَعَ الْإِمَامِ حَتَّى يَنْصَرِفَ كَتَبَ اللَّهُ لَهُ قِيَامَ لَيْلَةٍ ، ثُمَّ لَمْ يُصَلِّ بِنَا وَلَمْ يَقُمْ حَتَّى بَقِيَ ثَلَاثٌ مِنَ الشَّهْرِ، فَقَامَ بِنَا فِي الثَّالِثَةِ وَجَمَعَ أَهْلَهُ وَنِسَاءَهُ حَتَّى تَخَوَّفْنَا أَنْ يَفُوتَنَا الْفَلَاحُ، قُلْتُ: وَمَا الْفَلَاحُ ؟ قَالَ: السُّحُورُ .
تخریج دارالدعوہ: انظر حدیث رقم: ۱۳۶۵ (صحیح)
صحيح وضعيف سنن النسائي الألباني: حديث نمبر 1606 - صحيح
Qiyam during the month of Ramadan
It was narrated that Abu Dharr said: We fasted with the Messenger of Allah (ﷺ) in Ramadan and he did not lead us in praying Qiyam until there were seven days left in the month, when he led us in praying Qiyam until one-third of the night had passed. Then he did not lead us in praying Qiyam when there were six days left. Then he led us praying Qiyam when there were five days left until one-half of the night had passed. I said: O Messenger of Allah! What if we spend the rest of this night praying Nafl? He said: Whoever prays Qiyam with the Imam until he finishes, Allah (SWT) will record for him the Qiyam of a (whole) night. Then he did not lead us in prayer or pray Qiyam until there were three days of the month left. Then he led us in praying Qiyam when there were three days left. He gathered his family and wives (and led us in prayer) until we feared that we would miss Al-Falah. I (one of the narrators) said: What is Al-Falah? He said: The suhur.
পরিচ্ছেদঃ ৪: রমযান মাসে কিয়ামুল লায়ল আদায় করা
১৬০৬. আহমাদ ইবনু সুলায়মান (রহ.) ..... নু'আয়ম ইবনু যিয়াদ আবু ত্বলহাহ্ (রহ.) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি নুমান ইবনু বাশীর (রাঃ)-কে হিমস্ নামক স্থানের মিম্বারে দাঁড়িয়ে বলতে শুনেছি, আমরা একবার রসূলুল্লাহ (সা.) -এর সঙ্গে রমযান মাসের তেইশতম রাতে প্রথম এক-তৃতীয়াংশ পর্যন্ত (তারাবীহের) সালাত আদায় করলাম। অতঃপর পঁচিশতম রাতে তাঁর সঙ্গে অর্ধেক রাত পর্যন্ত (তারাবীহের) সালাত আদায় করলাম। আবার তার সাথে সাতাশতম রাতে (তারাবীহের) সালাত আদায় করতে লাগলাম। এমনকি আমরা আশংকা করলাম যে, “ফালাহ” পাব না। সাহাবীগণ সাহরীকে ফালাহ বলতেন।
باب قِيَامِ شَهْرِ رَمَضَانَ
أَخْبَرَنَا أَحْمَدُ بْنُ سُلَيْمَانَ، قال: حَدَّثَنَا زَيْدُ بْنُ الْحُبَابِ، قال: أَخْبَرَنِي مُعَاوِيَةُ بْنُ صَالِحٍ، قال: حَدَّثَنِي نُعَيْمُ بْنُ زِيَادٍ أَبُو طَلْحَةَ، قال: سَمِعْتُ النُّعْمَانَ بْنَ بَشِيرٍ عَلَى مِنْبَرِ حِمْصَ، يَقُولُ: قُمْنَا مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي شَهْرِ رَمَضَانَ لَيْلَةَ ثَلَاثٍ وَعِشْرِينَ إِلَى ثُلُثِ اللَّيْلِ الْأَوَّلِ، ثُمَّ قُمْنَا مَعَهُ لَيْلَةَ خَمْسٍ وَعِشْرِينَ إِلَى نِصْفِ اللَّيْلِ، ثُمَّ قُمْنَا مَعَهُ لَيْلَةَ سَبْعٍ وَعِشْرِينَ حَتَّى ظَنَنَّا أَنْ لَا نُدْرِكَ الْفَلَاحَ وَكَانُوا يُسَمُّونَهُ السُّحُورَ .
تخریج دارالدعوہ: تفرد بہ النسائي، (تحفة الأشراف: ۱۱۶۴۲)، مسند احمد ۴/۲۷۲ (صحیح)
صحيح وضعيف سنن النسائي الألباني: حديث نمبر 1607 - صحيح
Qiyam during the month of Ramadan
Nu'aim bin Ziyad Abu Talhah said: I heard An-Nu'man bin Bashir on the minbar in Hims saying: We prayed Qiyam with the Messenger of Allah (ﷺ) during Ramadan on the night of the twenty-third until one-third of the night had passed, then we prayed Qiyam with him on the night of the twenty-fifth until one-half of the night had passed, then we prayed Qiyam with him on the night of the twenty-seventh until we thought that we would miss Al-Falah- that is what they used to call suhur.
পরিচ্ছেদঃ ৫: তাহাজ্জুদের প্রতি উৎসাহ দান করা
১৬০৭. মুহাম্মাদ ইবনু 'আবদুল্লাহ ইবনু ইয়াযীদ (রহ.) ..... আবূ হুরায়রাহ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন: যখন তোমাদের কেউ ঘুমায় শয়তান তার মাথায় তিনটা গিট লাগিয়ে দেয়। প্রত্যেক গিট লাগানোর সময় সে বলে, এখনও অনেক রাত বাকী আছে অর্থাৎ তুমি শুয়ে থাক। যদি সে জেগে উঠে আল্লাহর যিকর করে তাহলে একটি গিট খুলে যায়। অতঃপর যদি উযূ করে তাহলে আরও একটি গিট খুলে যায়। যদি সালাত আদায় করে তা হলে সমুদয় গিট খুলে যায় এবং তার সকাল হয় আনন্দ ও উদ্দীপনায়। অন্যথায় তার সকাল হয় অবসাদ ও কষ্টদায়ক।
باب التَّرْغِيبِ فِي قِيَامِ اللَّيْلِ
أَخْبَرَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ يَزِيدَ، قال: حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، عَنْ أَبِي الزِّنَادِ، عَنِ الْأَعْرَجِ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قال: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: إِذَا نَامَ أَحَدُكُمْ عَقَدَ الشَّيْطَانُ عَلَى رَأْسِهِ ثَلَاثَ عُقَدٍ يَضْرِبُ عَلَى كُلِّ عُقْدَةٍ لَيْلًا طَوِيلًا أَيِ ارْقُدْ، فَإِنِ اسْتَيْقَظَ فَذَكَرَ اللَّهَ انْحَلَّتْ عُقْدَةٌ، فَإِنْ تَوَضَّأَ انْحَلَّتْ عُقْدَةٌ أُخْرَى، فَإِنْ صَلَّى انْحَلَّتِ الْعُقَدُ كُلُّهَا فَيُصْبِحُ طَيِّبَ النَّفْسِ نَشِيطًا وَإِلَّا أَصْبَحَ خَبِيثَ النَّفْسِ كَسْلَانَ .
تخریج دارالدعوہ: وقد أخرجہ: صحیح البخاری/التھجد ۱۲ (۱۱۴۲)، بدء الخلق ۱۱ (۳۲۶۹)، موطا امام مالک/المسافرین ۲۸ (۷۷۶)، (تحفة الأشراف: ۱۳۶۸۷)، سنن ابی داود/الصلاة ۳۰۷ (۱۳۰۶)، سنن ابن ماجہ/الإقامة ۱۷۴ (۱۳۲۹)، موطا امام مالک/ صلاة السفر ۲۵ (۹۵)، مسند احمد ۲/۲۴۳، ۲۵۳ (صحیح)
صحيح وضعيف سنن النسائي الألباني: حديث نمبر 1608 - صحيح
Encouragement to pray Qiyam Al-Lail
It was narrated that Abu Hurairah said: The Messenger of Allah (ﷺ) said: 'When any one of you goes to sleep, the Shaitan ties three knots on his head, saying each time: (Sleep) a long night. If he wakes up and remembers Allah (SWT), one knot is undone. If he performs wudu', another knot is undone. If he prays, all the knots are undone and he starts his day in a good mood and feeling energetic. Otherwise he starts his day in a bad mood and feeling lethargic.'
পরিচ্ছেদঃ ৫: তাহাজ্জুদের প্রতি উৎসাহ দান করা
১৬০৮. ইসহাক ইবনু ইব্রাহীম (রহ.) ..... ‘আবদুল্লাহ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সা.) -এর নিকট এমন এক ব্যক্তির উল্লেখ করা হলো, যে সারা রাত সকাল পর্যন্ত ঘুমিয়েছে। তিনি (সা.) বললেন, সে ব্যক্তির দু' কানে শয়তান পেশাব করে দিয়েছে।
باب التَّرْغِيبِ فِي قِيَامِ اللَّيْلِ
أَخْبَرَنَا إِسْحَاقُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ، قال: أَنْبَأَنَا جَرِيرٌ، عَنْ مَنْصُورٍ، عَنْ أَبِي وَائِلٍ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ، قال: ذُكِرَ عِنْدَ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ رَجُلٌ نَامَ لَيْلَةً حَتَّى أَصْبَحَ، قَالَ: ذَاكَ رَجُلٌ بَالَ الشَّيْطَانُ فِي أُذُنَيْهِ .
تخریج دارالدعوہ: صحیح البخاری/التھجد ۱۳ (۱۱۴۴)، بدء الخلق ۱۱ (۳۲۷۰)، صحیح مسلم/المسافرین ۲۸ (۷۷۴)، سنن ابن ماجہ/الإقامة ۱۷۴ (۱۳۳۰)، (تحفة الأشراف: ۹۲۹۷)، مسند احمد ۱/۳۷۵، ۴۲۷ (صحیح)
صحيح وضعيف سنن النسائي الألباني: حديث نمبر 1609 - صحيح
Encouragement to pray Qiyam Al-Lail
It was narrated that Abdullah said: Mention was made in the presence of the Messenger of Allah (ﷺ) about a man who slept all night until morning. He said: 'That is a man in whose ear the Shaitan has urinated.'
পরিচ্ছেদঃ ৫: তাহাজ্জুদের প্রতি উৎসাহ দান করা
১৬০৯. ‘আমর ইবনু 'আলী (রহ.) ..... ‘আবদুল্লাহ (রাঃ) হতে বর্ণিত, এক ব্যক্তি বলল, হে আল্লাহর রসূল! অমুক ব্যক্তি গত রাতে সালাত আদায় না করেই সকাল অবধি ঘুমিয়েছে। তিনি বললেন, সে ব্যক্তির কানে শয়তান পেশাব করে দিয়েছে।
باب التَّرْغِيبِ فِي قِيَامِ اللَّيْلِ
أَخْبَرَنَا عَمْرُو بْنُ عَلِيٍّ، قال: حَدَّثَنَا عَبْدُ الْعَزِيزِ بْنُ عَبْدِ الصَّمَدِ، قال: حَدَّثَنَا مَنْصُورٌ، عَنْ أَبِي وَائِلٍ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ، أَنَّ رَجُلًا، قال: يَا رَسُولَ اللَّهِ، إِنَّ فُلَانًا نَامَ عَنِ الصَّلَاةِ الْبَارِحَةَ حَتَّى أَصْبَحَ، قَالَ: ذَاكَ شَيْطَانٌ بَالَ فِي أُذُنَيْهِ .
تخریج دارالدعوہ: انظر حدیث رقم: ۱۶۰۹ (صحیح)
صحيح وضعيف سنن النسائي الألباني: حديث نمبر 1610 - صحيح
Encouragement to pray Qiyam Al-Lail
It was narrated that Abdullah said: A man said: 'O Messenger of Allah (ﷺ). So-and-so slept and missed the prayer yesterday until morning came.' He said: 'The Shaitan has urinated in that one's ears.'
পরিচ্ছেদঃ ৫: তাহাজ্জুদের প্রতি উৎসাহ দান করা
১৬১০. ইয়াকূব ইবনু ইব্রাহীম (রহ.) ..... আবূ হুরায়রাহ্ (রাঃ) বর্ণিত। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, আল্লাহ তা'আলা ঐ ব্যক্তির ওপর রহম করুন, যে রাতের কিছু অংশ জেগে তাহাজ্জুদের সালাত আদায় করে, অতঃপর তার স্ত্রীকে জাগিয়ে দেয়, সেও তাহাজ্জুদের সালাত আদায় করে। যদি তার স্ত্রী জাগ্রত হতে না চায় তবে তার চেহারায় পানির ছিটা দেয়। ঐ নারীর ওপরও আল্লাহ তা'আলা রহম করুন, যে রাতের কিছু অংশ জেগে তাহাজ্জুদের সালাত আদায় করে। অতঃপর তার স্বামীকেও জাগিয়ে দেয়, সেও তাহাজ্জুদের সালাত আদায় করে। সে যদি জাগ্রত হতে না চায় তবে তার চেহারায় পানির ছিটা দেয়।
باب التَّرْغِيبِ فِي قِيَامِ اللَّيْلِ
أَخْبَرَنَا يَعْقُوبُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ، قال: حَدَّثَنَا يَحْيَى، عَنِ ابْنِ عَجْلَانَ، قال: حَدَّثَنِي الْقَعْقَاعُ، عَنْ أَبِي صَالِحٍ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قال: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: رَحِمَ اللَّهُ رَجُلًا قَامَ مِنَ اللَّيْلِ فَصَلَّى ثُمَّ أَيْقَظَ امْرَأَتَهُ فَصَلَّتْ، فَإِنْ أَبَتْ نَضَحَ فِي وَجْهِهَا الْمَاءَ، وَرَحِمَ اللَّهُ امْرَأَةً قَامَتْ مِنَ اللَّيْلِ فَصَلَّتْ ثُمَّ أَيْقَظَتْ زَوْجَهَا فَصَلَّى، فَإِنْ أَبَى نَضَحَتْ فِي وَجْهِهِ الْمَاءَ .
تخریج دارالدعوہ: سنن ابی داود/الصلاة ۳۰۷ (۱۳۰۸)، ۳۴۸ (۱۴۵۰)، سنن ابن ماجہ/الإقامة ۱۷۵ (۱۳۳۶)، (تحفة الأشراف: ۱۲۸۶۰)، مسند احمد ۲/۲۵۰، ۴۳۶ (حسن صحیح)
صحيح وضعيف سنن النسائي الألباني: حديث نمبر 1611 - حسن صحيح
Encouragement to pray Qiyam Al-Lail
It was narrated that Abu Hurairah said: The Messenger of Allah (ﷺ) said: 'May Allah (SWT) have mercy on a man who gets up at night and prays, then he wakes his wife and she prays, and if she refuses he sprinkles water in her face. And may Allah (SWT) have mercy on a woman who gets up at night and prays, then she wakes her husband and prays, and if he refuses she sprinkles water in his face.'
পরিচ্ছেদঃ ৫: তাহাজ্জুদের প্রতি উৎসাহ দান করা
১৬১১. কুতায়বাহ্ (রহ.) ..... ‘আলী ইবনু আবূ ত্বালিব (রাঃ) হতে বর্ণিত। রসূলুল্লাহ (সা.) তাঁর এবং ফাতিমাহ (রাঃ)-এর কাছে একবার রাতের বেলা আসলেন। তিনি বললেন, তোমরা সালাত আদায় করছ না কেন? আমি বললাম, হে আল্লাহর রসূল! আমাদের প্রাণ তো আল্লাহর হাতে। যখন তিনি তা আমাদের কাছে পাঠাতে মনস্থ করেন পাঠিয়ে দেন। যখন আমি রসূলুল্লাহ (সা.) -কে এ কথা বললাম, তখন তিনি চলে গেলেন। অতঃপর আমি তাকে ফিরে যাওয়ার সময় (আমাদের ওপর রাগান্বিত হয়ে) উরুতে হাত মেরে বলতে শুনেছি, “মানুষ অত্যধিক বিতর্ককারী”।
باب التَّرْغِيبِ فِي قِيَامِ اللَّيْلِ
أَخْبَرَنَا قُتَيْبَةُ، قال: حَدَّثَنَا اللَّيْثُ، عَنْ عُقَيْلٍ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، عَنْ عَلِيِّ بْنِ حُسَيْنٍ، أَنَّ الْحُسَيْنَ بْنَ عَلِيّ حَدَّثَهُ، عَنْعَلِيِّ بْنِ أَبِي طَالِبٍ، أَنّ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ طَرَقَهُ وَفَاطِمَةَ، فَقَالَ: أَلَا تُصَلُّونَ ، قُلْتُ: يَا رَسُولَ اللَّهِ، إِنَّمَا أَنْفُسُنَا بِيَدِ اللَّهِ فَإِذَا شَاءَ أَنْ يَبْعَثَهَا بَعَثَهَا، فَانْصَرَفَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ حِينَ قُلْتُ لَهُ ذَلِكَ، ثُمَّ سَمِعْتُهُ وَهُوَ مُدْبِرٌ يَضْرِبُ فَخِذَهُ، وَيَقُولُ: وَكَانَ الإِنْسَانُ أَكْثَرَ شَيْءٍ جَدَلا سورة الكهف آية 54.
تخریج دارالدعوہ: صحیح البخاری/التھجد ۵ (۱۱۲۷)، تفسیر الکھف ۱ (۴۷۲۴)، الاعتصام ۱۸ (۷۳۴۷)، التوحید ۳۱ (۷۴۶۵)، صحیح مسلم/المسافرین ۲۸ (۷۷۵)، (تحفة الأشراف: ۱۰۰۷۰)، مسند احمد ۱/۱۱۲ (صحیح)
صحيح وضعيف سنن النسائي الألباني: حديث نمبر 1612 - صحيح
Encouragement to pray Qiyam Al-Lail
It was narrated from 'Ali bin Abi Talib that: The Prophet (ﷺ) came to him and Fatimah at night and said: Won't you pray? I said: O Messenger of Allah (ﷺ), our souls are in the hand of Allah and if He wants to make us get up, He will make us get up. The Messenger of Allah (ﷺ) went away when I said that to him. Then as he was leaving I heard him striking his thigh and saying: But, man is ever more quarrelsome than anything.
পরিচ্ছেদঃ ৫: তাহাজ্জুদের প্রতি উৎসাহ দান করা
১৬১২. ‘উবায়দুল্লাহ ইবনু সা'দ ইবনু ইব্রাহীম ইবনু সা'দ (রহ.) ..... ‘আলী ইবনু হুসায়ন-এর দাদা ‘আলী (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সা.) এক রাতে আমার এবং ফাত্বিমাহ্ (রাঃ) -এর কাছে এসে আমাদের তাহাজ্জুদের সালাত আদায় করার জন্যে জাগিয়ে দিলেন। অতঃপর নিজের ঘরে গিয়ে দীর্ঘ রাত তাহাজ্জুদের সালাত আদায় করেন এবং আমাদের কোন সাড়া শব্দ না পেয়ে পুনরায় আমাদের জাগিয়ে দিয়ে গেলেন। তিনি (সা.) বললেন, তোমরা উভয় জাগ্রত হয়ে যাও এবং (তাহাজ্জুদের) সালাত আদায় কর। ‘আলী (রাঃ) বলেন, আমি দু' চোখ রগড়াতে রগড়াতে বসে পড়ে বললাম, আল্লাহর কসম! আমরা তো আল্লাহ তা'আলা যা আমাদের ওপর ফরয করেছেন তাছাড়া অন্য কোন সালাত আদায় করি না। আমাদের প্রাণ তো আল্লাহ তা'আলার হাতে, যখন তিনি তা আমাদের কাছে পাঠিয়ে দিতে চান পাঠিয়ে দেন। আলী (রাঃ) বলেন, তিনি উরুতে হাত মেরে মেরে এ কথা বলতে বলতে চলে গেলেন যে, আল্লাহ তা'আলা আমাদের ওপর যা ফরয করেছেন, তাছাড়া অন্য কোন সালাত আদায় করি না কিন্তু মানুষ অধিকাংশ বিষয়েই বিতর্ককারী”- (সূরাহ আল কাহফ ১৮: ৫৪)।
باب التَّرْغِيبِ فِي قِيَامِ اللَّيْلِ
أَخْبَرَنَا عُبَيْدُ اللَّهِ بْنُ سَعْدِ بْنِ إِبْرَاهِيمَ بْنِ سَعْدٍ، قال: حَدَّثَنَا عَمِّي، قال: حَدَّثَنَا أَبِي، عَنِ ابْنِ إِسْحَاقَ، قال: حَدَّثَنِيحَكِيمُ بْنُ حَكِيمِ بْنِ عَبَّادِ بْنِ حُنَيْفٍ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ مُسْلِمِ بْنِ شِهَابٍ، عَنْ عَلِيِّ بْنِ حُسَيْنٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ جَدِّهِعَلِيِّ بْنِ أَبِي طَالِبٍ، قال: دَخَلَ عَلَيَّ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَعَلَى فَاطِمَةَ مِنَ اللَّيْلِ فَأَيْقَظَنَا لِلصَّلَاةِ، ثُمَّ رَجَعَ إِلَى بَيْتِهِ فَصَلَّى هَوِيًّا مِنَ اللَّيْلِ فَلَمْ يَسْمَعْ لَنَا حِسًّا، فَرَجَعَ إِلَيْنَا فَأَيْقَظَنَا، فَقَالَ: قُومَا فَصَلِّيَا ، قَالَ: فَجَلَسْتُ وَأَنَا أَعْرُكُ عَيْنِي وَأَقُولُ: إِنَّا وَاللَّهِ مَا نُصَلِّي إِلَّا مَا كَتَبَ اللَّهُ لَنَا إِنَّمَا أَنْفُسُنَا بِيَدِ اللَّهِ فَإِنْ شَاءَ أَنْ يَبْعَثَنَا بَعَثَنَا، قَالَ: فَوَلَّى رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَهُوَ يَقُولُ وَيَضْرِبُ بِيَدِهِ عَلَى فَخِذِهِ: مَا نُصَلِّي إِلَّا مَا كَتَبَ اللَّهُ لَنَا وَكَانَ الإِنْسَانُ أَكْثَرَ شَيْءٍ جَدَلا سورة الكهف آية 54 .
تخریج دارالدعوہ: انظر حدیث رقم: ۱۶۱۲ (صحیح)
صحيح وضعيف سنن النسائي الألباني: حديث نمبر 1613 - صحيح
Encouragement to pray Qiyam Al-Lail
It was narrated from Ali bin Husain, from his father, that: Hs grandfather Ali bin Abi Talib said: The Messenger of Allah (ﷺ) came in to Fatimah and I, one night and woke us up to pray, then he went back to his house and prayed for part of the night, and he did not hear any movement from us. He came back to us and woke us up, and said: 'Get up and pray.' I sat up, rubbing my eyes, and said: 'By Allah, we will only pray that which has decreed for us; our souls are in the hand of Allah (SWT) and if He wants to make us get up, He will make us get up.' The Messenger of Allah (ﷺ) turned away, striking his hand on his thigh, saying: 'We will only pray that which Allah (SWT) has decreed for us! But man is ever more quarrelsome than anything.'
পরিচ্ছেদঃ ৬: রাতের সালাতের ফযীলত
১৬১৩. কুতায়বাহ্ ইবনু সা'ঈদ (রহ.) ..... আবূ হুরায়রাহ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন: রমযান মাসের পর সর্বোত্তম সিয়াম হলো মুহাররম মাসের সিয়াম (‘আশূরার সওম) এবং ফরয সালাতের পর সর্বোত্তম সালাত হলো রাতের সালাত।
باب فَضْلِ صَلاَةِ اللَّيْلِ
أَخْبَرَنَا قُتَيْبَةُ بْنُ سَعِيدٍ، قال: حَدَّثَنَا أَبُو عَوَانَةَ، عَنْ أَبِي بِشْرٍ، عَنْ حُمَيْدِ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ هُوَ ابْنُ عَوْفٍ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قال: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: أَفْضَلُ الصِّيَامِ بَعْدَ شَهْرِ رَمَضَانَ شَهْرُ اللَّهِ الْمُحَرَّمُ، وَأَفْضَلُ الصَّلَاةِ بَعْدَ الْفَرِيضَةِ صَلَاةُ اللَّيْلِ .
تخریج دارالدعوہ: صحیح مسلم/الصیام ۳۸ (۱۱۶۳)، سنن ابی داود/الصیام ۵۵ (۲۴۲۹)، سنن الترمذی/الصل ا۲۰۸ (۴۳۸) الصوم ۴۰ (۷۴۰)، سنن ابن ماجہ/الصیام ۴۳ (۱۷۴۲)، (تحفة الأشراف: ۱۲۲۹۲)، مسند احمد ۲/۳۰۳، ۳۲۹، ۳۴۲، ۳۴۴، ۵۳۵، سنن الدارمی/الصلاة ۱۶۶ (۱۵۱۷)، الصوم ۴۵ (۱۷۹۸، ۱۷۹۹) (صحیح)
صحيح وضعيف سنن النسائي الألباني: حديث نمبر 1614 - صحيح
The virtue of Night Prayer
It was narrated from Humaid bin 'Abdur-Rahman- that is Ibn 'Awf, that Abu Hurairah said: The Messenger of Allah (ﷺ) said: 'The best fasting after the month of Ramadan is the month of Allah, Al-Muharram, and the best prayer is prayer at night.'
পরিচ্ছেদঃ ৬: রাতের সালাতের ফযীলত
১৬১৪. সুওয়াইদ ইবনু নাসর (রহ.) ..... আবূ বিশর জা'ফর ইবনু আবূ ওয়াহশিয়্যাহ (রহ.) হতে বর্ণিত। তিনি হুমায়দ ইবনু 'আবদুর রহমান (রাঃ)-কে বলতে শুনেছেন যে, রসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ফরয সালাতের পর সর্বোত্তম সালাত হলো তাহাজ্জুদের সালাত। আর রমযানের সিয়ামের পর সর্বোত্তম সিয়াম হলো মুহাররম মাসের সিয়াম ('আশূরার রোযা)। শুবাহ্ ইবনু হাজ্জাজ (রহ.) উক্ত হাদীসকে সাহাবীর নাম উল্লেখ করে বর্ণনা করেছেন।
باب فَضْلِ صَلاَةِ اللَّيْلِ
أَخْبَرَنَا سُوَيْدُ بْنُ نَصْرٍ، قال: أَنْبَأَنَا عَبْدُ اللَّهِ، قال: حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، عَنْ أَبِي بِشْرٍ جَعْفَرِ بْنِ أَبِي وَحْشِيَّةَ، أَنَّهُ سَمِعَ حُمَيْدَ بْنَ عَبْدِ الرَّحْمَنِ، يَقُولُ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: أَفْضَلُ الصَّلَاةِ بَعْدَ الْفَرِيضَةِ قِيَامُ اللَّيْلِ، وَأَفْضَلُ الصِّيَامِ بَعْدَ رَمَضَانَ الْمُحَرَّمُ أَرْسَلَهُ شُعْبَةُ بْنُ الْحَجَّاجِ.
تخریج دارالدعوہ: انظر ما قبلہ (صحیح بما قبلہ) (یہ مرسل ہے لیکن پچھلی روایت متصل ہے)
صحيح وضعيف سنن النسائي الألباني: حديث نمبر 1615 - صحيح لغيره
The virtue of Night Prayer
It was narrated from Abu Bishr Ja'far bin Abi Wahshiyyah that: He heard Humaid bin 'Abdur-Rahman say: The Messenger of Allah (ﷺ) said: 'The best prayer after the obligatory (fard) prayers is prayer at night and the best fasting after the month of Ramadan is Al-Muharram.' Shu'bah bin Al-Hajjaj narrated it in Mursal form.
পরিচ্ছেদঃ ৭: সফরকালীন সময়ে রাতে সালাত আদায় করার ফযীলত
১৬১৫. মুহাম্মাদ ইবনুল মুসান্না (রহ.) ..... আবূ যার (রাঃ)-এর সূত্রে নবী (সা.) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, তিন ব্যক্তিকে আল্লাহ তা'আলা ভালবাসেন। (১) ঐ ব্যক্তিকে যে ব্যক্তি কোন সম্প্রদায়ের কাছে এসে আল্লাহর ওয়াস্তে সাহায্য চায়; তার এবং উক্ত সম্প্রদায়ের মধ্যকার কোন আত্মীয়তার সম্বন্ধের দোহাই দিয়ে সাহায্য চায় না। সম্প্রদায়ের লোকেরা তাকে সাহায্য দানে অস্বীকৃতি জানায় কিন্তু (তাদের মধ্য থেকে) এক ব্যক্তি তাদের পিছন থেকে গিয়ে তাকে গোপনে কিছু দান করে। তার দান সম্পর্কে আল্লাহ তা'আলা এবং গ্রহীতা ব্যক্তি ব্যতীত অন্য কেউ অবগত হয় না। (২) ঐ ব্যক্তি যখন তার সহযাত্রীগণ রাতে সফর করে, ঘুম যখন তাদের কাছে অধিক প্রিয় হয়ে দাঁড়ায় এবং তারা সফর ক্ষান্ত দিয়ে ঘুমায়, তখন সে জাগ্রত হয়ে আমার (আল্লাহ তা'আলা) দরবারে কায়মনোবাক্যে কান্নাকাটি করে দু'আ করে এবং আমার কুরআন কারীমের আয়াত তিলাওয়াত করে। (৩) ঐ ব্যক্তি যে কোন সেনা দলের সাথে যুদ্ধে গিয়ে শত্রুবাহিনীর মুকাবিলা হওয়ার পর স্বীয় বাহিনী পরাজিত পরও সে সামনে অগ্রসর হয়ে শহীদ হয় অথবা বিজয়ী হয়।
باب فَضْلِ صَلاَةِ اللَّيْلِ فِي السَّفَرِ
أَخْبَرَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الْمُثَنَّى، قال: حَدَّثَنَا مُحَمَّدٌ، قال: حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، عَنْ مَنْصُورٍ، قال: سَمِعْتُ رِبْعِيًّا، عَنْ زَيْدِ بْنِ ظَبْيَانَ رَفَعَهُ إِلَى أَبِي ذَرٍّ، عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: ثَلَاثَةٌ يُحِبُّهُمُ اللَّهُ عَزَّ وَجَلَّ، رَجُلٌ أَتَى قَوْمًا فَسَأَلَهُمْ بِاللَّهِ وَلَمْ يَسْأَلْهُمْ بِقَرَابَةٍ بَيْنَهُ وَبَيْنَهُمْ فَمَنَعُوهُ، فَتَخَلَّفَهُمْ رَجُلٌ بِأَعْقَابِهِمْ فَأَعْطَاهُ سِرًّا لَا يَعْلَمُ بِعَطِيَّتِهِ إِلَّا اللَّهُ عَزَّ وَجَلَّ وَالَّذِي أَعْطَاهُ، وَقَوْمٌ سَارُوا لَيْلَتَهُمْ حَتَّى إِذَا كَانَ النَّوْمُ أَحَبَّ إِلَيْهِمْ مِمَّا يُعْدَلُ بِهِ نَزَلُوا فَوَضَعُوا رُءُوسَهُمْ، فَقَامَ يَتَمَلَّقُنِي وَيَتْلُو آيَاتِي، وَرَجُلٌ كَانَ فِي سَرِيَّةٍ فَلَقُوا الْعَدُوَّ فَانْهَزَمُوا فَأَقْبَلَ بِصَدْرِهِ حَتَّى يُقْتَلَ أَوْ يُفْتَحَ لَهُ .
تخریج دارالدعوہ: سنن الترمذی/صفة الجنة ۲۵ (۲۵۶۸)، (تحفة الأشراف: ۱۱۹۱۳)، مسند احمد ۵/۱۵۳، ویأتی عند المؤلف برقم: ۲۵۷۱ (کلھم بسیاق فیہ زیادة) (ضعیف) (اس کے راوی ’’ زیدبن ظبیان ‘‘ لین الحدیث ہیں)
صحيح وضعيف سنن النسائي الألباني: حديث نمبر 1616 - ضعيف
The virtue of night prayer while traveling
It was narrated from Zaid bin Zabyan who attributed it to Abu Dharr that: The Prophet (ﷺ) said: There are three whom Allah (SWT) loves: A man who comes to some people and asks (to be given something) for the sake of Allah and not for the sake of their relationship, but they do not give him, so a man stayed behind and gave it to him in secret, and no one knew of his giving except Allah (SWT) and the one to whom he gave it. People who travel all night until sleep becomes dearer to them than anything equated with it, so they lay down their heads (and slept), then a man among them got up and started praying to Me and beseeching Me, reciting My Verses. And a man who was on a campaign and met the enemy and they fled, but he went forward (pursuing them) until he was killed or victory was granted.
পরিচ্ছেদঃ ৮: তাহাজ্জুদের সালাতের জন্যে জাগ্রত হওয়ার সময়
১৬১৬. মুহাম্মাদ ইবনু ইবরাহীম আল বাসরী (রহ.) ..... মাসরূক (রহ.) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি ‘আয়িশাহ্ (রাঃ)-কে বললাম, রসূলুল্লাহ (সা.) -এর কাছে কোন কাজটি অধিক প্রিয় ছিল? তিনি বললেন, নিয়মিত আমল। আমি বললাম, তিনি রাতের কোন সময়ে জাগ্রত হতেন? তিনি বললেন, যখন মোরগের ডাকের আওয়াজ শুনতে পেতেন।
باب وَقْتِ الْقِيَامِ
أَخْبَرَنَا مُحَمَّدُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ الْبَصْرِيُّ، عَنْ بِشْرٍ هُوَ ابْنُ الْمُفَضَّلِ، قال: حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، عَنْ أَشْعَثَ بْنِ سُلَيْمٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ مَسْرُوقٍ، قال: قُلْتُ لِعَائِشَةَ: أَيُّ الْأَعْمَالِ أَحَبُّ إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ ؟ قَالَتْ: الدَّائِمُ، قُلْتُ: فَأَيُّ اللَّيْلِ كَانَ يَقُومُ ؟ قَالَتْ: إِذَا سَمِعَ الصَّارِخَ .
تخریج دارالدعوہ: صحیح البخاری/التھجد ۷ (۱۱۳۲)، الرقاق ۱۸ (۶۴۶۱)، صحیح مسلم/المسافرین ۱۷ (۷۴۱)، سنن ابی داود/الصلاة ۳۱۲ (۱۳۱۷)، (تحفة الأشراف: ۱۷۶۵۹)، مسند احمد ۶/۹۴، ۱۱۰، ۱۴۷، ۲۰۳، ۲۷۹ (صحیح)
صحيح وضعيف سنن النسائي الألباني: حديث نمبر 1617 - صحيح
The time for Qiyam
It was narrated that Masruq said: I said to 'Aishah: 'Which deed was most beloved to the Messenger of Allah (ﷺ)?' She said: 'That which was done persistently.' I said: 'At what part of the night did he pray Qiyam?' She said: 'When he heard the rooster.'
পরিচ্ছেদঃ ৯: (নিদ্রা থেকে জাগ্রত হওয়ার পর) যে যিকরের মাধ্যমে কিয়ামুল লায়ল শুরু করা হবে
১৬১৭. ইসমাহ্ ইবনুল ফাযল (রহ.) ..... ‘আসিম ইবনু হুমায়দ (রহ.) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি ‘আয়িশাহ্ (রাঃ) -কে প্রশ্ন করলাম, রসূলুল্লাহ (সা.) কোন যিকরের মাধ্যমে কিয়ামুল লায়ল শুরু করতেন? তিনি বললেন, তুমি আজ আমাকে এমন একটি বিষয়ে প্রশ্ন করেছ, যে বিষয়ে তোমার পূর্বে অন্য কেউ আমাকে প্রশ্ন করেনি। রসূলুল্লাহ (সা.) দশবার তাকবীর (আল্ল-হু আকবার) দশবার তাহমীদ (আলহামদু লিল্লা-হ) দশবার তাসবীহ (সুবহা-নাল্ল-হ) দশবার তাহলীল (লা- ইলাহা ইল্লাল্ল-হ) এবং দশবার ইস্তিগফার (আস্তাগফিরুল্ল-হ) পড়তেন, আর বলতেন -
“আল্ল-হুম্মাগফিরলী ওয়াহদিনী ওয়ারযুকনী ওয়া আ-ফিনী আ’উযু বিল্লা-হি মিন যীকিল মাকা-মি ইয়াওমাল কিয়া-মাহ” (হে আল্লাহ! আমাকে ক্ষমা কর, আমাকে হিদায়াত দান কর, আমাকে রিযক দান কর, আমাকে সুস্থতা দান কর; আমি আল্লাহর নিকট কিয়ামত দিবসের সংকীর্ণতা হতে আশ্রয় চাই)।
باب ذِكْرِ مَا يُسْتَفْتَحُ بِهِ الْقِيَامُ
أَخْبَرَنَا عِصْمَةُ بْنُ الْفَضْلِ، قال: حَدَّثَنَا زَيْدُ بْنُ الْحُبَابِ، عَنْ مُعَاوِيَةَ بْنِ صَالِحٍ، قال: حَدَّثَنَا الْأَزْهَرُ بْنُ سَعِيدٍ، عَنْعَاصِمِ بْنِ حُمَيْدٍ، قال: سَأَلْتُ عَائِشَةَ بِمَا كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَسْتَفْتِحُ قِيَامَ اللَّيْلِ ؟ قَالَتْ: لَقَدْ سَأَلْتَنِي عَنْ شَيْءٍ مَا سَأَلَنِي عَنْهُ أَحَدٌ قَبْلَكَ، كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يُكَبِّرُ عَشْرًا، وَيَحْمَدُ عَشْرًا، وَيُسَبِّحُ عَشْرًا، وَيُهَلِّلُ عَشْرًا، وَيَسْتَغْفِرُ عَشْرًا، وَيَقُولُ: اللَّهُمَّ اغْفِرْ لِي وَاهْدِنِي وَارْزُقْنِي وَعَافِنِي، أَعُوذُ بِاللَّهِ مِنْ ضِيقِ الْمَقَامِ يَوْمَ الْقِيَامَةِ .
تخریج دارالدعوہ: سنن ابی داود/الصلاة ۱۲۱ (۷۶۶)، سنن ابن ماجہ/الإقامة ۱۸۰ (۱۳۵۶)، (تحفة الأشراف: ۱۶۱۶۶) مسند احمد ۶/۱۴۳، ویأتي ہذا الحدیث عند المؤلف برقم: ۵۵۳۷ (حسن صحیح)
صحيح وضعيف سنن النسائي الألباني: حديث نمبر 1618 - حسن صحيح
With what Qiyam should begin
It was narrated that 'Asim bin Humaid said: I asked 'Aishah with what did he- meaning the Prophet (ﷺ)- start Qiyam Al-Lail? She said: 'You have asked me something which no one before you has asked. The Messenger of Allah (ﷺ) used to say the takbir ten times, the tahmid ten times, the tasbih ten times, and the tahlil ten times, and pray for forgiveness ten times, and say: Allahummaghfirli, wahdini, warzuqni wa 'afini. A'udhu billahi min diqil-maqami yawmal-qiyamah (O Allah, forgive me, guide me, grant me provision and good health. I seek refuge with Allah from the difficulty of standing on the Day of Resurrection.)