পরিচ্ছেদঃ ২: বিতর এবং তাহাজ্জুদের সালাত
১৬০১. মুহাম্মাদ ইবনু বাশশার (রহ.) ..... সা'দ ইবনু হিশাম (রহ.) হতে বর্ণিত। তিনি ইবনু আব্বাস (রাঃ) এর সাথে দেখা করে তাঁকে বিতর সালাত সম্পর্কে প্রশ্ন করলে তিনি বললেন, আমি কি তোমাকে বিশ্ববাসীর মধ্যে রসূলুল্লাহ (সা.) -এর বিতর সালাত সম্পর্কে অধিক জ্ঞাত ব্যক্তির সংবাদ বলব না? তিনি বললেন, হ্যা। ইবনু আব্বাস (রাঃ) বললেন, তিনি হলেন ‘আয়িশাহ (রাঃ)। তুমি তার খিদমাতে হাজির হয়ে তাকেই প্রশ্ন করে দেখ এবং পরে আমার কাছে এসে তোমাকে দেয়া তার জবাব সম্বন্ধে আমাকে জানাবে।
আমি হাকীম ইবনু আফলাহ-এর নিকট এসে ‘আয়িশাহ্ (রাঃ) -এর নিকট যাওয়ার জন্যে তাঁকে সাথী বানাতে চাইলে তিনি বললেন, আমি তার নিকটবর্তী হব না, কেননা আমি তাঁকে উষ্ট্রীর যুদ্ধ ও সিফফীন ইত্যকার যুদ্ধসমূহে অংশগ্রহণকারী উভয় পক্ষ সম্পর্কে কিছু বলতে নিষেধ করলেও তিনি তা মানেননি বরং তাতে সম্পৃক্ত হয়ে গিয়েছিলেন।
আমি হাকীম ইবনু আফলাহকে ‘আয়িশাহ্ (রাঃ)-এর কাছে যাওয়ার জন্যে কসম দিলে তিনি আমার সাথে ‘আয়িশাহ্ (রাঃ)-এর কাছে গেলেন। আয়িশাহ্ (রাঃ) হাকীম-কে প্রশ্ন করলেন, তোমার সাথে এ কে? আমি বললাম, সা'দ ইবনু হিশাম (রাঃ)। তিনি প্রশ্ন করলেন, হিশাম কে? আমি বললাম ‘আমির-এর পুত্র। তিনি তাঁর প্রতি সহানুভূতিশীল হয়ে বললেন, ‘আমির বড় ভালো মানুষ ছিলেন। সা'দ ইবনু হিশাম (রাঃ) বললেন, হে উম্মুল মু'মিনীন! আপনি আমাকে রসূলুল্লাহ (সা.) -এর স্বভাব চরিত্র সম্পর্কে বলুন। তিনি বললেন, তুমি কুরআন তিলাওয়াত করো না? সা'দ (রহ.) বলেন, আমি বললাম, হ্যা! নিশ্চয় পাঠ করি। আয়িশাহ্ (রাঃ) বললেন, নবী (সা.) -এর স্বভাব-চরিত্র ছিল কুরআন। আমি যখন দাঁড়াতে মনস্থ করলাম তখন রসূলুল্লাহ (সা.) -এর দাঁড়ানোর (রাত্রে নফল সালাত আদায় করার কথা আমার মনে এসে গেল। তিনি বললেন, হে উম্মুল মু'মিনীন! আপনি আমাকে রসূলুল্লাহ (সা.) -এর রাতে নফল সালাত আদায় করা সম্পর্কে বলুন।
তিনি বললেন, তুমি “ইয়া- আইয়ুহাল মুযযাম্মিল” এ সূরাটি পাঠ করো না? আমি বললাম, হ্যা, নিশ্চয় পাঠ করি। তিনি বললেন, আল্লাহ তা'আলা তাহাজ্জুদকে এ সূরার প্রথমাংশে ফরয করেছিলেন, তখন নবী (সা.) এবং তার সাহাবীগণ এক বৎসর পর্যন্ত তাহাজ্জুদের সালাত আদায় করলেন, যাতে তাঁদের পা ফুলে গেল। এক বৎসর পরে আল্লাহ তা'আলা উক্ত সূরার শেষাংশে সহজীকৃত বিধান অবতীর্ণ করলেন। অতএব তাহাজ্জুদের সালাত ফরয হিসেবে অবতীর্ণ হওয়ার পর নফল হিসেবে অবশিষ্ট রয়ে গেল।
আমি ‘আয়িশাহ (রাঃ)-কে বললাম, হে উম্মুল মু'মিনীন! আপনি আমাকে রসূলুল্লাহ (সা.) -এর বিতর সম্পর্কে বলন। তিনি বললেন, আমরা তার জন্যে মিসওয়াক ও উযূর পানি তৈরি করে রাখতাম। রাতে যখন আল্লাহ তা'আলা তাকে জাগানোর ইচ্ছা করতেন তাকে জাগ্রত করে দিতেন। তিনি উঠে মিসওয়াক এবং উযু করতেন এবং আট রাক'আত সালাত আদায় করতেন। তাতে সালাম ফিরানোর জন্যে শুধু অষ্টম রাকআতেই বসতেন। বসে আল্লাহ তা'আলার যিকর এবং দু'আ করতেন। অতঃপর আমাদের শুনিয়ে সালাম ফিরাতেন। অতঃপর বসা অবস্থায় দু'রাক'আত সালাত আদায় করতেন। এরপর আবার এক রাক'আত সালাত আদায় করতেন। তাহলে হে প্রিয় বৎস! সর্বমোট এগারো রাকআত। যখন রসূলুল্লাহ (সা.)-এর বয়স বেড়ে গেল এবং শরীরের ওজন বৃদ্ধি পেয়ে গেল তিনি সাত রাকআত বিতরের সালাত আদায় করতেন। আর সালামের পর বসে থেকে দু' রাকআত সালাত আদায় করতেন। তা হলে হে প্রিয় বৎস! সর্বমোট নয় রাক’আত সালাত আদায় করা হত। আর রসূলুল্লাহ (সা.) যখন কোন সালাত আদায় করতেন, তা নিয়মিত আদায় করতে ভালোবাসতেন। আর যদি তাকে নিদ্রা অথবা কোন অসুখ বা ব্যথা বেদনা তাহাজ্জুদ হতে বিরত রাখত তাহলে তিনি দিনে বারো রাকআত সালাত আদায় করে নিতেন। আমি এটা জানি না যে, নবী (সা.) এক রাত্রে সম্পূর্ণ কুরআন মাজীদ পাঠ করেছেন। আর তিনি সকাল পর্যন্ত পুরো রাত্র তাহাজ্জুদের সালাতও আদায় করতেন না এবং রমযান ছাড়া পুরা মাস সিয়াম পালন করতেন না।
আমি ইবনু আব্বাস (রাঃ) -এর নিকট এসে ‘আয়িশাহ (রাঃ) এর হাদীস তাঁকে বর্ণনা করলে তিনি বললেন, 'আয়িশাহ (রাঃ) সত্যই বলেছেন। আমি যদি তাঁর নিকট কখনও যেতাম তাহলে এ হাদীসটা তাঁর মুখ হতে সরাসরি শুনতে পেতাম। আবূ আবদুর রহমান (নাসায়ী) বলেন, আমার কিতাবে এ রকমই রয়েছে কিন্তু আমি জানি না যে, রসূলুল্লাহ (সা.) -এর বিতরের ব্যাপারে ভুল বর্ণনা কার থেকে হয়েছে।
باب قِيَامِ اللَّيْلِ
أَخْبَرَنَا مُحَمَّدُ بْنُ بَشَّارٍ، قال: حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ سَعِيدٍ، عَنْ سَعِيدٍ، عَنْ قَتَادَةَ، عَنْ زُرَارَةَ، عَنْ سَعْدِ بْنِ هِشَامٍ، أَنَّهُ لَقِيَ ابْنَ عَبَّاسٍ فَسَأَلَهُ عَنِ الْوَتْرِ، فَقَالَ: أَلَا أُنَبِّئُكَ بِأَعْلَمِ أَهْلِ الْأَرْضِ بِوَتْرِ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: نَعَمْ، قَالَ: عَائِشَةُ، ائْتِهَا فَسَلْهَا ثُمَّ ارْجِعْ إِلَيَّ فَأَخْبِرْنِي بِرَدِّهَا عَلَيْكَ، فَأَتَيْتُ عَلَى حَكِيمِ بْنِ أَفْلَحَ فَاسْتَلْحَقْتُهُ إِلَيْهَا، فَقَالَ: مَا أَنَا بِقَارِبِهَا إِنِّي نَهَيْتُهَا أَنْ تَقُولَ فِي هَاتَيْنِ الشِّيعَتَيْنِ شَيْئًا فَأَبَتْ فِيهَا إِلَّا مُضِيًّا، فَأَقْسَمْتُ عَلَيْهِ فَجَاءَ مَعِي فَدَخَلَ عَلَيْهَا، فَقَالَتْ لِحَكِيمٍ: مَنْ هَذَا مَعَكَ ؟ قُلْتُ: سَعْدُ بْنُ هِشَامٍ، قَالَتْ: مَنْ هِشَامٌ ؟ قُلْتُ: ابْنُ عَامِرٍ فَتَرَحَّمَتْ عَلَيْهِ، وَقَالَتْ: نِعْمَ الْمَرْءُ كَانَ عَامِرًا، قَالَ: يَا أُمَّ الْمُؤْمِنِينَ، أَنْبِئِينِي عَنْ خُلُقِ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، قَالَتْ: أَلَيْسَ تَقْرَأُ الْقُرْآنَ، قَالَ: قُلْتُ: بَلَى، قَالَتْ: فَإِنَّ خُلُقَ نَبِيِّ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ الْقُرْآنُ . (حديث موقوف) (حديث مرفوع) فَهَمَمْتُ أَنْ أَقُومَ فَبَدَا لِي قِيَامُ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَقَالَ: يَا أُمَّ الْمُؤْمِنِينَ، أَنْبِئِينِي عَنْ قِيَامِ نَبِيِّ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، قَالَتْ: أَلَيْسَ تَقْرَأُ هَذِهِ السُّورَةَ يَا أَيُّهَا الْمُزَّمِّلُ ؟ قُلْتُ: بَلَى، قَالَتْ: فَإِنَّ اللَّهَ عَزَّ وَجَلَّ افْتَرَضَ قِيَامَ اللَّيْلِ فِي أَوَّلِ هَذِهِ السُّورَةِ، فَقَامَ نَبِيُّ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَأَصْحَابُهُ حَوْلًا حَتَّى انْتَفَخَتْ أَقْدَامُهُمْ، وَأَمْسَكَ اللَّهُ عَزَّ وَجَلَّ خَاتِمَتَهَا اثْنَيْ عَشَرَ شَهْرًا، ثُمَّ أَنْزَلَ اللَّهُ عَزَّ وَجَلَّ التَّخْفِيفَ فِي آخِرِ هَذِهِ السُّورَةِ، فَصَارَ قِيَامُ اللَّيْلِ تَطَوُّعًا بَعْدَ أَنْ كَانَ فَرِيضَةً. (حديث موقوف) (حديث مرفوع) فَهَمَمْتُ أَنْ أَقُومَ فَبَدَا لِي وَتْرُ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَقُلْتُ: يَا أُمَّ الْمُؤْمِنِينَ، أَنْبِئِينِي عَنْ وَتْرِ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، قَالَتْ: كُنَّا نُعِدُّ لَهُ سِوَاكَهُ وَطَهُورَهُ فَيَبْعَثُهُ اللَّهُ عَزَّ وَجَلَّ لِمَا شَاءَ أَنْ يَبْعَثَهُ مِنَ اللَّيْلِ، فَيَتَسَوَّكُ وَيَتَوَضَّأُ وَيُصَلِّي ثَمَانِيَ رَكَعَاتٍ لَا يَجْلِسُ فِيهِنَّ إِلَّا عِنْدَ الثَّامِنَةِ، يَجْلِسُ فَيَذْكُرُ اللَّهَ عَزَّ وَجَلَّ وَيَدْعُو ثُمَّ يُسَلِّمُ تَسْلِيمًا يُسْمِعُنَا، ثُمَّ يُصَلِّي رَكْعَتَيْنِ وَهُوَ جَالِسٌ بَعْدَ مَا يُسَلِّمُ ثُمَّ يُصَلِّي رَكْعَةً فَتِلْكَ إِحْدَى عَشْرَةَ رَكْعَةً يَا بُنَيَّ، فَلَمَّا أَسَنَّ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَأَخَذَ اللَّحْمَ أَوْتَرَ بِسَبْعٍ وَصَلَّى رَكْعَتَيْنِ وَهُوَ جَالِسٌ بَعْدَ مَا سَلَّمَ فَتِلْكَ تِسْعُ رَكَعَاتٍ يَا بُنَيَّ، وَكَانَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِذَا صَلَّى صَلَاةً أَحَبَّ أَنْ يَدُومَ عَلَيْهَا، وَكَانَ إِذَا شَغَلَهُ عَنْ قِيَامِ اللَّيْلِ نَوْمٌ أَوْ مَرَضٌ أَوْ وَجَعٌ صَلَّى مِنَ النَّهَارِ اثْنَتَيْ عَشْرَةَ رَكْعَةً، وَلَا أَعْلَمُ أَنَّ نَبِيَّ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَرَأَ الْقُرْآنَ كُلَّهُ فِي لَيْلَةٍ، وَلَا قَامَ لَيْلَةً كَامِلَةً حَتَّى الصَّبَاحَ، وَلَا صَامَ شَهْرًا كَامِلًا غَيْرَ رَمَضَانَ، فَأَتَيْتُ ابْنَ عَبَّاسٍ فَحَدَّثْتُهُ بِحَدِيثِهَا، فَقَالَ: صَدَقَتْ، أَمَا إِنِّي لَوْ كُنْتُ أَدْخُلُ عَلَيْهَا لَأَتَيْتُهَا حَتَّى تُشَافِهَنِي مُشَافَهَةً، قَالَ أَبُو عَبْد الرَّحْمَنِ: كَذَا وَقَعَ فِي كِتَابِي وَلَا أَدْرِي مِمَّنِ الْخَطَأُ فِي مَوْضِعِ وَتْرِهِ عَلَيْهِ السَّلَامُ.
تخریج دارالدعوہ: صحیح مسلم/المسافرین ۱۸ (۷۴۶)، سنن ابی داود/الصلاة ۳۱۶ (۱۳۴۲، ۱۳۴۳، ۱۳۴۴، ۱۳۴۵)، (تحفة الأشراف: ۱۶۱۰۴)، مسند احمد ۶/۵۳، ۹۴، ۱۰۹، ۱۶۳، ۱۶۸، ۲۳۶، ۲۵۸، سنن الدارمی/الصلاة ۱۶۵ (۱۵۱۶) (صحیح)
صحيح وضعيف سنن النسائي الألباني: حديث نمبر 1602 - صحيح
Qiyam Al-Lail (Voluntary prayers at night)
It was narrated from Sa'd bin Hisham that: He met Ibn 'Abbas and asked him about Witr. He said: Shall I not lead you to one who knows best among the people of the world about the witr of the Messenger of Allah (ﷺ)? He said: Yes. (Ibn Abbas) said: It is 'Aishah. So go to her and ask her (about witr) and then come back to me and tell me the answer that she gives you. So I went to Hakim bin Aflah and asked him to go accompany me to her. He said: I shall not go to her, for I told her not to say anything about these two (conflicting) groups, but she refused (to accept my advice) and went on (to participate in the conflict). I swore an oath, beseeching him (to take me to her). So he came with me and went unto her.
She said to Hakim: Who is this with you? He said: He is Sa'd bin Hisham. She said: Which Hisham? He said: Ibn Amir. She supplicated for mercy for him and said: What a good man Amir was. He said: O Mother of the Believers, tell me about the character of the Messenger of Allah. She said: Don't you read the Qur'an? I said: Yes. She said The character of the Messenger of Allah (ﷺ) was the Qur'an. He said: I wanted to get up (and leave), then I thought of the Qiyam (night prayer) of the Messenger of Allah (ﷺ) and said: Tell me about the Qiyam of the Messenger of Allah (ﷺ). She said: Do you not recite this surah: O you wrapped in garments? I said: Yes. She said: Allah, the Mighty and Sublime, made Qiyam Al-Lail obligatory at the beginning of this surah, so the Messenger of Allah (ﷺ) and his companions prayed Qiyam Al-Lail for one year. Allah (SWT) withheld the latter part of this surah for twelve months, then he revealed the lessening (of this duty) at the end of this surah, so Qiyam Al-Lail became voluntary after it had been obligatory. I felt inclined to stand up (and not ask anything further), then I thought of the witr of the Messenger of Allah (ﷺ). I said: O Mother of the Believers, tell me about the witr of the Messenger of Allah (ﷺ). She said: We used to prepare his siwak and water for his ablution, and Allah (SWT) would wake him when He wished during the night. He would use the siwak, perform ablution, and then pray eight rak'ahs in which he would not sit until he reached the eighth one. Then he would sit and remember Allah (SWT) and supplicate, then he would say the taslim that we could hear. Then he would pray two rak'as sitting after uttering the taslim, then he would pray one rak'ah, and that made eleven rak'ahs, O my son! When the Messenger of Allah (ﷺ) grew older and put on weight, he prayed witr with seven rak'ahs, then he prayed two rak'ahs sitting down after saying the taslim, and that made nine rak'ahs. O my son, when the Messenger of Allah (ﷺ)offered a prayer, he liked to continue to offer it, and when sleep, sickness, or pain distracted him from praying Qiyam Al-Lail, he would pray twelve rak'ahs during the day. I am not aware of the Prophet of Allah (ﷺ) having recited the whole Qur'an during a single night, or praying through the whole night until morning, or fasting a complete month, except Ramadan. I went to Ibn 'Abbas and told him what she had said, and he said: She has spoken the truth. If I could go to her (and meet her face to face) I would so that she could tell me all of that verbally.