পরিচ্ছেদঃ ১২৭. যে দুয়া পড়ে নামায আরম্ভ করবে।
৭৬৬. মুহাম্মাদ ইবনু রাফে ... আসিম ইবনু হুমাইদ হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি আয়িশা (রাঃ)-কে জিজ্ঞেস করি, রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম রাতের নামায কিরূপে আরম্ভ করতেন? তিনি বলেন, তুমি আমাকে এমন একটি প্রশ্ন করেছ যা ইতিপূর্বে আমাকে আর কেউ করেনি। অতঃপর বলেন, নামাযে দন্ডায়মান হয়ে সর্বপ্রথম আল্লাহু আকবার দশবার, আলহামদু লিল্লাহি দশবার, সুবহানাল্লাহ্ দশবার, লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু দশবার, আস্তাগফিরুল্লাহ দশবার পাঠ করতেন। অতঃপর এই দু’আটি পাঠ করতেনঃ “আল্লাহুম্মাগফির লী ওয়াহদিনী ওয়ারযুকনী, ওয়া আফিনী” এবং কিয়ামতের দিনের সংকীর্ণ স্থান হতে আল্লাহর নিকট নাজাত কামনা করতেন। (নাসাঈ, ইবনু মাজাহ)।
ইমাম আবূ দাউদ (রহঃ) বলেন, রাবী খালিদ রাবীআ হতে, আয়িশা (রাঃ) হতেও অনুরূপ বর্ণনা করেছেন।
باب مَا يُسْتَفْتَحُ بِهِ الصَّلاَةُ مِنَ الدُّعَاءِ
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ رَافِعٍ، حَدَّثَنَا زَيْدُ بْنُ الْحُبَابِ، أَخْبَرَنِي مُعَاوِيَةُ بْنُ صَالِحٍ، أَخْبَرَنِي أَزْهَرُ بْنُ سَعِيدٍ الْحَرَازِيُّ، عَنْ عَاصِمِ بْنِ حُمَيْدٍ، قَالَ سَأَلْتُ عَائِشَةَ بِأَىِّ شَىْءٍ كَانَ يَفْتَتِحُ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قِيَامَ اللَّيْلِ فَقَالَتْ لَقَدْ سَأَلْتَنِي عَنْ شَىْءٍ مَا سَأَلَنِي عَنْهُ أَحَدٌ قَبْلَكَ كَانَ إِذَا قَامَ كَبَّرَ عَشْرًا وَحَمِدَ اللَّهَ عَشْرًا وَسَبَّحَ عَشْرًا وَهَلَّلَ عَشْرًا وَاسْتَغْفَرَ عَشْرًا وَقَالَ " اللَّهُمَّ اغْفِرْ لِي وَاهْدِنِي وَارْزُقْنِي وَعَافِنِي " . وَيَتَعَوَّذُ مِنْ ضِيقِ الْمَقَامِ يَوْمَ الْقِيَامَةِ . قَالَ أَبُو دَاوُدَ وَرَوَاهُ خَالِدُ بْنُ مَعْدَانَ عَنْ رَبِيعَةَ الْجُرَشِيِّ عَنْ عَائِشَةَ نَحْوَهُ .
Narrated Aisha, Ummul Mu'minin:
Asim ibn Humayd said: I asked Aisha: By what words the Messenger of Allah (ﷺ) would begin his supererogatory prayer at night?
She replied: You ask me about a thing of which no one asked me before you. When he stood up, be uttered the takbir (Allah is most great) ten times, and uttered "Praise be to Allah" ten times, and uttered "Glory be to Allah " ten times, and uttered "There is no god but Allah" ten times, and sought forgiveness ten times, and said: O Allah, forgive me, and guide me, and give me sustenance, and keep me well, and he sought refuge in Allah from the hardship of standing before Allah on the Day of Judgment.
Abu Dawud said: This tradition has also been narrated by Khalid b. Ma'dan from Rab'iah al-Jarashi on the authority of 'Aishah.
পরিচ্ছেদঃ ৯/ নিদ্রা থেকে জাগ্রত হওয়ার পর যিক্র
১৬২০। ইসমাত ইবনু ফযল (রহঃ) ... আসিম ইবনু হুমায়দ (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি আয়িশা (রাঃ) কে জিজ্ঞাসা করলাম, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম রাত্রে নিদ্রা থেকে জাগ্রত হওয়ার পর কি করতেন? তিনি বললেন, তুমি আজ আমাকে এমন একটি বিষয়ে প্রশ্ন করেছ, যে বিষয়ে তোমার পূর্বে অন্য কেউ আমাকে প্রশ্ন করেনি। রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম দশবার তাকবীর (আল্লাহু আকবার) দশবার তাহমীদ (আলহামদু লিল্লাহ) দশবার তাসবিহ (সুবহানাল্লাহ) দশবার তাহলীল (লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ) এবং দশবার ইস্তিগফার (আস্তাগফিরুল্লাহ) পড়তেন আর বলতেন,
اللَّهُمَّ اغْفِرْ لِي وَاهْدِنِي وَارْزُقْنِي وَعَافِنِي أَعُوذُ بِاللَّهِ مِنْ ضِيقِ الْمَقَامِ يَوْمَ الْقِيَامَةِ
باب ذِكْرِ مَا يُسْتَفْتَحُ بِهِ الْقِيَامُ
أَخْبَرَنَا عِصْمَةُ بْنُ الْفَضْلِ، قَالَ حَدَّثَنَا زَيْدُ بْنُ الْحُبَابِ، عَنْ مُعَاوِيَةَ بْنِ صَالِحٍ، قَالَ حَدَّثَنَا الأَزْهَرُ بْنُ سَعِيدٍ، عَنْ عَاصِمِ بْنِ حُمَيْدٍ، قَالَ سَأَلْتُ عَائِشَةَ بِمَا كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَسْتَفْتِحُ قِيَامَ اللَّيْلِ قَالَتْ لَقَدْ سَأَلْتَنِي عَنْ شَىْءٍ مَا سَأَلَنِي عَنْهُ أَحَدٌ قَبْلَكَ كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يُكَبِّرُ عَشْرًا وَيَحْمَدُ عَشْرًا وَيُسَبِّحُ عَشْرًا وَيُهَلِّلُ عَشْرًا وَيَسْتَغْفِرُ عَشْرًا وَيَقُولُ " اللَّهُمَّ اغْفِرْ لِي وَاهْدِنِي وَارْزُقْنِي وَعَافِنِي أَعُوذُ بِاللَّهِ مِنْ ضِيقِ الْمَقَامِ يَوْمَ الْقِيَامَةِ " .
It was narrated that 'Asim bin Humaid said:
"I asked 'Aishah with what did he- meaning the Prophet (ﷺ)- start Qiyam Al-Lail? She said: 'You have asked me something which no one before you has asked. The Messenger of Allah (ﷺ) used to say the takbir ten times, the tahmid ten times, the tasbih ten times, and the tahlil ten times, and pray for forgiveness ten times, and say: Allahummaghfirli, wahdini, warzuqni wa 'afini. A'udhu billahi min diqil-maqami yawmal-qiyamah (O Allah, forgive me, guide me, grant me provision and good health. I seek refuge with Allah from the difficulty of standing on the Day of Resurrection.)"
পরিচ্ছেদঃ ৬২. কিয়ামত দিবসের সংকীর্ণাবস্থা হতে আশ্রয় প্রার্থনা করা
৫৫৩৪. ইবরাহীম ইবন ইয়াকূব (রহঃ) ... আসিম ইবন হুমায়দ (রহঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি আয়েশা (রাঃ)-কে জিজ্ঞাসা করলামঃ রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম রাতের নামায কি দিয়ে আরম্ভ করতেন? তিনি বললেনঃ তুমি আমাকে এমন প্রশ্ন করেছ, যে সম্পর্কে আমাকে কেউই জিজ্ঞাসা করেনি। তিনি দশবার তাকবীর বলতেন, দশবার সুবহানাল্লাহ্ বলতেন, দশবার ইস্তিগফার করতেন। পরে বলতেনঃ হে আল্লাহ্! আমাকে ক্ষমা করুন, আমাকে পথ প্রদর্শন করুন, আমাকে রিযক দান করুন, আমাকে নিরাপদ রাখুন, আর তিনি কিয়ামত দিবসের সংকীর্ণাবস্থা হতে আশ্রয় চাইতেন।
الِاسْتِعَاذَةُ مِنْ ضِيقِ الْمَقَامِ يَوْمَ الْقِيَامَةِ
أَخْبَرَنِي إِبْرَاهِيمُ بْنُ يَعْقُوبَ قَالَ حَدَّثَنَا زَيْدُ بْنُ الْحُبَابِ أَنَّ مُعَاوِيَةَ بْنَ صَالِحٍ حَدَّثَهُ وَحَدَّثَنِي أَزْهَرُ بْنُ سَعِيدٍ يُقَالُ لَهُ الْحَرَازِيُّ شَامِيٌّ عَزِيز الْحَدِيث عَنْ عَاصِمِ بْنِ حُمَيْدٍ قَالَ سَأَلْتُ عَائِشَةَ بِمَا كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَفْتَتِحُ قِيَامَ اللَّيْلِ قَالَتْ سَأَلْتَنِي عَنْ شَيْءٍ مَا سَأَلَنِي عَنْهُ أَحَدٌ كَانَ يُكَبِّرُ عَشْرًا وَيُسَبِّحُ عَشْرًا وَيَسْتَغْفِرُ عَشْرًا وَيَقُولُ اللَّهُمَّ اغْفِرْ لِي وَاهْدِنِي وَارْزُقْنِي وَعَافِنِي وَيَتَعَوَّذُ مِنْ ضِيقِ الْمَقَامِ يَوْمَ الْقِيَامَةِ
It was narrated that 'Asim bin Humaid said:
"I asked 'Aishah with what the Messenger of Allah [SAW] would start Qiyam Al-Lail. She said: 'You have asked me about something that no one else has asked me about. He used to say Allahu Akbar ten times, and Subhan-Allah ten times, and Istaghfir-Allah ten times, and he would say, Allahummaghfirli, wahdini, warzuqni, wa'afini (O Allah, forgive me, guide me, grant me provision and give me good health,) and he would seek refuge from the difficulty of the standing on the Day of Resurrection.'
পরিচ্ছেদঃ ৫/১৮০. কোন ব্যক্তি তাহজ্জুদ সালাত আদায় করতে উঠে যে দু‘আ পড়বে।
২/১৩৫৬। আসিম ইবনু হুমাইদ (রহঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি আয়িশাহ (রাঃ)-কে জিজ্ঞেস করলাম যে, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম রাতে সালাত (নামায/নামাজ) আদায় করতে উঠে প্রথমে কী পড়তেন? তিনি বলেন, তুমি আমার নিকট যে সম্পর্কে জিজ্ঞেস করেছো, তোমার আগে সে সম্পর্কে আমাকে আর কেউ জিজ্ঞেস করেনি। তিনি দশবার আল্লাহু আকবার, দশবার আলহামদু লিল্লাহ, দশবার সুবহানাল্লাহ ও দশবার ক্ষমা প্রার্থনা করতেন এবং বলতেনঃ হে আল্লাহ্! আমাকে ক্ষমা করো, আমাকে হিদায়াত দান করো, আমাকে রিযিক দাও এবং আমাকে নিরাপত্তা দান করো। তিনি ক্বিয়ামাত (কিয়ামত) দিবসের ভয়াবহ অবস্থা থেকেও আশ্রয় প্রার্থনা করতেন।
তাহক্বীক্ব আলবানী: হাসান সহীহ। তাখরীজ আলবানী: সহীহ আবী দাউদ ৭৪২। উক্ত হাদিসের রাবী যায়দ ইবনুল হুবাব সম্পর্কে আহমাদ বিন হাম্বল বলেন, তিনি সত্যবাদী কিন্তু হাদিস বর্ণনায় অধিক ভুল করেন। আলী ইবনুল মাদীনী ও উসমান বিন আবু শায়বাহ তাকে সিকাহ বলেছেন।
بَاب مَا جَاءَ فِي الدُّعَاءِ إِذَا قَامَ الرَّجُلُ مِنْ اللَّيْلِ
حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا زَيْدُ بْنُ الْحُبَابِ، عَنْ مُعَاوِيَةَ بْنِ صَالِحٍ، حَدَّثَنِي أَزْهَرُ بْنُ سَعِيدٍ، عَنْ عَاصِمِ بْنِ حُمَيْدٍ، قَالَ سَأَلْتُ عَائِشَةَ مَاذَا كَانَ النَّبِيُّ ـ صلى الله عليه وسلم ـ يَفْتَتِحُ بِهِ قِيَامَ اللَّيْلِ قَالَتْ لَقَدْ سَأَلْتَنِي عَنْ شَىْءٍ مَا سَأَلَنِي عَنْهُ أَحَدٌ قَبْلَكَ كَانَ يُكَبِّرُ عَشْرًا وَيَحْمَدُ عَشْرًا وَيُسَبِّحُ عَشْرًا وَيَسْتَغْفِرُ عَشْرًا وَيَقُولُ " اللَّهُمَّ اغْفِرْ لِي وَاهْدِنِي وَارْزُقْنِي وَعَافِنِي " . وَيَتَعَوَّذُ مِنْ ضِيقِ الْمُقَامِ يَوْمَ الْقِيَامَةِ .
It was narrated that ‘Asim bin Humaid said:
“I asked ‘Aishah: ‘With what did the Prophet (ﷺ) start voluntary prayers?’ She said: ‘You have asked me about something which no one has asked before. He used to say Allahu Akbar ten times, and Al-Hamdu Lillah ten times and Subhan Allah ten times, and he would say Allahumma aghfirli wahdini, warzuqni, wa ‘afini (O Allah, forgive me, guide me, grant me provision and give me good health),” and he would seek refuge from the difficulty of the standing on the Day of Resurrection.”
পরিচ্ছেদঃ ৭. ‘ইশার সালাতের ওয়াক্ত
৪২১। ’আসিম ইবনু হুমাইদ আস-সুকুনী (রহঃ) সূত্রে বর্ণিত। তিনি মু’আয ইবনু জাবাল (রাঃ)-কে বলতে শুনেছেন, আমরা ’ইশার সালাতের জন্য নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর প্রতীক্ষায় ছিলাম। তিনি আসতে এতটা বিলম্ব করলেন যে, কেউ কেউ ধারণা করল, হয়তো তিনি বের হবেন না। আবার কেউ এরূপ মন্তব্য করল যে, হয়তো তিনি (ঘরে) সালাত আদায় করে ফেলেছেন। আমাদের এসব আলোচনার এক পর্যায়ে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বের হয়ে এলেন। অতঃপর লোকেরা যা কিছু বলাবলি করছিল, তা তাঁকেও বলল। তিনি বললেনঃ তোমরা এই (’ইশার) সালাত বিলম্বে আদায় করবে। কারণ এ সালাতের মাধ্যমে অন্য সকল জাতির উপর তোমাদেরকে মর্যাদা দান করা হয়েছে। তোমাদের পূর্বে কোন জাতি এ সালাত আদায় করেনি।[1]
সহীহ।
باب فِي وَقْتِ الْعِشَاءِ الآخِرَةِ
حَدَّثَنَا عَمْرُو بْنُ عُثْمَانَ الْحِمْصِيُّ، حَدَّثَنَا أَبِي، حَدَّثَنَا حَرِيزٌ، عَنْ رَاشِدِ بْنِ سَعْدٍ، عَنْ عَاصِمِ بْنِ حُمَيْدٍ السَّكُونِيِّ، أَنَّهُ سَمِعَ مُعَاذَ بْنَ جَبَلٍ، يَقُولُ : ارْتَقَبْنَا النَّبِيَّ صلي الله عليه وسلم فِي صَلَاةِ الْعَتَمَةِ فَأَخَّرَ حَتَّى ظَنَّ الظَّانُّ أَنَّهُ لَيْسَ بِخَارِجٍ، وَالْقَائِلُ مِنَّا يَقُولُ : صَلَّى فَإِنَّا لَكَذَلِكَ حَتَّى خَرَجَ النَّبِيُّ صلي الله عليه وسلم فَقَالُوا لَهُ كَمَا قَالُوا : فَقَالَ لَهُمْ " أَعْتِمُوا بِهَذِهِ الصَّلَاةِ فَإِنَّكُمْ قَدْ فُضِّلْتُمْ بِهَا عَلَى سَائِرِ الأُمَمِ وَلَمْ تُصَلِّهَا أُمَّةٌ قَبْلَكُمْ " .
- صحيح
Narrated Mu'adh ibn Jabal:
We waited for the Prophet (ﷺ) to offer the night prayer. He delayed until people thought that he would not come out and some of us said that he had offered the prayer. At the moment when we were in this condition the Prophet (ﷺ) came out. People said to him as they were already saying. He said: Observe this prayer when it is dark, for by it you have been made superior to all the peoples, no people having observed it before you.
পরিচ্ছেদঃ ১২১. যে দু‘আ পড়ে সালাত আরম্ভ করতে হয়
৭৬৬। ’আসিম ইবনু হুমায়িদ সূত্রে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম রাতের সালাত কিসের দ্বারা আরম্ভ করতেন সে সম্পর্কে আমি ’আয়িশাহ্ (রাঃ)-কে জিজ্ঞাসা করলে তিনি বলেন, তুমি আমাকে এমন একটি প্রশ্ন করেছ যা ইতিপূর্বে কেউ করেনি। অতঃপর তিনি বলেন, তিনি সালাতে দাঁড়িয়ে প্রথমে দশবার আল্লাহু আকবার, দশবার আলহামদুলিল্লাহ, দশবার সুবহানাল্লাহ, দশবার লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ এবং দশবার আস্তাগফিরুল্লাহ বলতেন। তারপর এই দু’আ পড়তেনঃ ’’আল্লাহুম্মাগফির লী ওয়াহদিনী ওয়ারযুকনী, ওয়া ’আফিনী।’’এছাড়া তিনি কিয়ামতের দিনের সংকীর্ণ স্থান হতে আল্লাহর কাছে আশ্রয় প্রার্থনা করতেন। [1]
হাসান সহীহ।
ইমাম আবূ দাঊদ (রহঃ) বলেন, বর্ণনাকারী খালিদ ইবনু মা’দান, রবী’আহ হতে ’আয়িশাহ্ (রাঃ) সূত্রেও অনুরূপ বর্ণনা করেছেন।
باب مَا يُسْتَفْتَحُ بِهِ الصَّلَاةُ مِنَ الدُّعَاءِ
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ رَافِعٍ، حَدَّثَنَا زَيْدُ بْنُ الْحُبَابِ، أَخْبَرَنِي مُعَاوِيَةُ بْنُ صَالِحٍ، أَخْبَرَنِي أَزْهَرُ بْنُ سَعِيدٍ الْحَرَازِيُّ، عَنْ عَاصِمِ بْنِ حُمَيْدٍ، قَالَ سَأَلْتُ عَائِشَةَ بِأَىِّ شَىْءٍ كَانَ يَفْتَتِحُ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم قِيَامَ اللَّيْلِ فَقَالَتْ لَقَدْ سَأَلْتَنِي عَنْ شَىْءٍ مَا سَأَلَنِي عَنْهُ أَحَدٌ قَبْلَكَ كَانَ إِذَا قَامَ كَبَّرَ عَشْرًا وَحَمِدَ اللهَ عَشْرًا وَسَبَّحَ عَشْرًا وَهَلَّلَ عَشْرًا وَاسْتَغْفَرَ عَشْرًا وَقَالَ " اللهُمَّ اغْفِرْ لِي وَاهْدِنِي وَارْزُقْنِي وَعَافِنِي " . وَيَتَعَوَّذُ مِنْ ضِيقِ الْمَقَامِ يَوْمَ الْقِيَامَةِ .
- حسن صحيح
قَالَ أَبُو دَاوُدَ وَرَوَاهُ خَالِدُ بْنُ مَعْدَانَ عَنْ رَبِيعَةَ الْجُرَشِيِّ عَنْ عَائِشَةَ نَحْوَهُ
Narrated Aisha, Ummul Mu'minin:
Asim ibn Humayd said: I asked Aisha: By what words the Messenger of Allah (ﷺ) would begin his supererogatory prayer at night?
She replied: You ask me about a thing of which no one asked me before you. When he stood up, be uttered the takbir (Allah is most great) ten times, and uttered "Praise be to Allah" ten times, and uttered "Glory be to Allah " ten times, and uttered "There is no god but Allah" ten times, and sought forgiveness ten times, and said: O Allah, forgive me, and guide me, and give me sustenance, and keep me well, and he sought refuge in Allah from the hardship of standing before Allah on the Day of Judgment.
Abu Dawud said: This tradition has also been narrated by Khalid b. Ma'dan from Rab'iah al-Jarashi on the authority of 'Aishah.
পরিচ্ছেদঃ কান্না করার হাদীসসমূহ
(৩৮১) আস্বেম বিন হুমাইদ সাকূনী বলেন, মুআয বিন জাবাল (রাঃ) কে ইয়ামান প্রেরণ করার সময় মহানবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কিছু পথ এগিয়ে দিতে এবং অসিয়ত করতে তাঁর সাথে বের হলেন। মুআয ছিলেন সওয়ারীতে, আর তিনি পায়ে হেঁটে পথ চলছিলেন। অসিয়ত করে অবশেষে তিনি তাঁকে বললেন, হে মুআয! তুমি হয়তো আগামী বছর আমার দেখা পাবে না। সম্ভবতঃ তুমি আমার মসজিদ ও কবরের পাশ দিয়ে পার হবে! এ কথা শুনে আল্লাহর রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সঙ্গহারা হতে হবে জেনে উদ্বিগ্ন হয়ে মুআয কাঁদতে লাগলেন। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাঁকে বললেন, কেঁদো না মুআয! কারণ কান্না হল শয়তানের পক্ষ থেকে।
عَن عَاصِمِ بْنِ حُمَيْدٍ السَّكُونِيِّ أَنَّ مُعَاذًا لَمَّا بَعَثَهُ النَّبِيُّ ﷺ خَرَجَ إِلَى الْيَمَنِ مَعَهُ النَّبِيُّ ﷺ يُوصِيهِ وَمُعَاذٌ رَاكِبٌ وَرَسُولُ اللهِ ﷺ يَمْشِي تَحْتَ رَاحِلَتِهِ فَلَمَّا فَرَغَ قَالَ يَا مُعَاذُ إِنَّكَ عَسَى أَنْ لَا تَلْقَانِي بَعْدَ عَامِي هَذَا وَلَعَلَّكَ أَنْ تَمُرَّ بِمَسْجِدِي وَقَبْرِي فَبَكَى مُعَاذُ بْنُ جَبَلٍ جَشَعًا لِفِرَاقِ رَسُولِ اللهِ ﷺ فَقَالَ النَّبِيُّ ﷺ لا تَبْكِ يَا مُعَاذُ لَلْبُكَاءُ أَوْ إِنَّ الْبُكَاءَ مِنْ الشَّيْطَانِ
পরিচ্ছেদঃ ৯: (নিদ্রা থেকে জাগ্রত হওয়ার পর) যে যিকরের মাধ্যমে কিয়ামুল লায়ল শুরু করা হবে
১৬১৭. ইসমাহ্ ইবনুল ফাযল (রহ.) ..... ‘আসিম ইবনু হুমায়দ (রহ.) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি ‘আয়িশাহ্ (রাঃ) -কে প্রশ্ন করলাম, রসূলুল্লাহ (সা.) কোন যিকরের মাধ্যমে কিয়ামুল লায়ল শুরু করতেন? তিনি বললেন, তুমি আজ আমাকে এমন একটি বিষয়ে প্রশ্ন করেছ, যে বিষয়ে তোমার পূর্বে অন্য কেউ আমাকে প্রশ্ন করেনি। রসূলুল্লাহ (সা.) দশবার তাকবীর (আল্ল-হু আকবার) দশবার তাহমীদ (আলহামদু লিল্লা-হ) দশবার তাসবীহ (সুবহা-নাল্ল-হ) দশবার তাহলীল (লা- ইলাহা ইল্লাল্ল-হ) এবং দশবার ইস্তিগফার (আস্তাগফিরুল্ল-হ) পড়তেন, আর বলতেন -
“আল্ল-হুম্মাগফিরলী ওয়াহদিনী ওয়ারযুকনী ওয়া আ-ফিনী আ’উযু বিল্লা-হি মিন যীকিল মাকা-মি ইয়াওমাল কিয়া-মাহ” (হে আল্লাহ! আমাকে ক্ষমা কর, আমাকে হিদায়াত দান কর, আমাকে রিযক দান কর, আমাকে সুস্থতা দান কর; আমি আল্লাহর নিকট কিয়ামত দিবসের সংকীর্ণতা হতে আশ্রয় চাই)।
باب ذِكْرِ مَا يُسْتَفْتَحُ بِهِ الْقِيَامُ
أَخْبَرَنَا عِصْمَةُ بْنُ الْفَضْلِ، قال: حَدَّثَنَا زَيْدُ بْنُ الْحُبَابِ، عَنْ مُعَاوِيَةَ بْنِ صَالِحٍ، قال: حَدَّثَنَا الْأَزْهَرُ بْنُ سَعِيدٍ، عَنْعَاصِمِ بْنِ حُمَيْدٍ، قال: سَأَلْتُ عَائِشَةَ بِمَا كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَسْتَفْتِحُ قِيَامَ اللَّيْلِ ؟ قَالَتْ: لَقَدْ سَأَلْتَنِي عَنْ شَيْءٍ مَا سَأَلَنِي عَنْهُ أَحَدٌ قَبْلَكَ، كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يُكَبِّرُ عَشْرًا، وَيَحْمَدُ عَشْرًا، وَيُسَبِّحُ عَشْرًا، وَيُهَلِّلُ عَشْرًا، وَيَسْتَغْفِرُ عَشْرًا، وَيَقُولُ: اللَّهُمَّ اغْفِرْ لِي وَاهْدِنِي وَارْزُقْنِي وَعَافِنِي، أَعُوذُ بِاللَّهِ مِنْ ضِيقِ الْمَقَامِ يَوْمَ الْقِيَامَةِ .
تخریج دارالدعوہ: سنن ابی داود/الصلاة ۱۲۱ (۷۶۶)، سنن ابن ماجہ/الإقامة ۱۸۰ (۱۳۵۶)، (تحفة الأشراف: ۱۶۱۶۶) مسند احمد ۶/۱۴۳، ویأتي ہذا الحدیث عند المؤلف برقم: ۵۵۳۷ (حسن صحیح)
صحيح وضعيف سنن النسائي الألباني: حديث نمبر 1618 - حسن صحيح
With what Qiyam should begin
It was narrated that 'Asim bin Humaid said: I asked 'Aishah with what did he- meaning the Prophet (ﷺ)- start Qiyam Al-Lail? She said: 'You have asked me something which no one before you has asked. The Messenger of Allah (ﷺ) used to say the takbir ten times, the tahmid ten times, the tasbih ten times, and the tahlil ten times, and pray for forgiveness ten times, and say: Allahummaghfirli, wahdini, warzuqni wa 'afini. A'udhu billahi min diqil-maqami yawmal-qiyamah (O Allah, forgive me, guide me, grant me provision and good health. I seek refuge with Allah from the difficulty of standing on the Day of Resurrection.)