পরিচ্ছেদঃ দাস-দাসী আযাদ করার ফযীলাত প্রসঙ্গে
১৪১৮। আবূ হুরাইরা (রাঃ) হতে বৰ্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, যে কোন মুসলিম কোন মুসলিমকে দাসত্ব থেকে মুক্তি দান করবে ঐ দাসের প্রতিটি অঙ্গের মুক্তির বিনিময়ে মুক্তিদাতার প্রত্যেক অঙ্গকে আল্লাহ জাহান্নামের আগুন থেকে মুক্তি দান করবেন।[1]
عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ - رضي الله عنه - قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ - صلى الله عليه وسلم: «أَيُّمَا امْرِئٍ مُسْلِمٍ أَعْتَقَ امْرَأً مُسْلِمًا, اسْتَنْقَذَ اللَّهُ بِكُلِّ عُضْوٍ مِنْهُ عُضْوًا مِنْهُ مِنَ النَّارِ». مُتَّفَقٌ عَلَيْهِ
-
صحيح. رواه البخاري (2517)، ومسلم (1509) (24) وفيه قصة
Abu Hurairah (RAA) narrated that The Messenger of Allah (ﷺ) said:
“Any Muslim, who emancipates another Muslim man, Allah will set free from Hell Fire an organ of his body, for every organ of the other’s (i.e. from the body of the emancipated person ).” Agreed upon.
পরিচ্ছেদঃ দাস-দাসী আযাদ করার ফযীলাত প্রসঙ্গে
১৪১৯। তিরমিযীতে আবূ উমামা (রাঃ) হতে বর্ণিত হাদীসে আছে- যে মুসলিম দু’জন মুসলিম মহিলাকে দাসত্ব থেকে মুক্তি দান করবে। ঐ দু’জন মহিলার মুক্তির বিনিময়ে জাহান্নামের আগুন হতে তার মুক্তি লাভ হবে। ইমাম তিরমিযী হাদীসটিকে সহীহ বলেছেন।[1]
وَلِلتِّرْمِذِيِّ وَصَحَّحَهُ; عَنْ أَبِي أُمَامَةَ: «وَأَيُّمَا امْرِئٍ مُسْلِمٍ أَعْتَقَ امْرَأَتَيْنِ مُسْلِمَتَيْنِ, كَانَتَا فِكَاكَهُ مِنَ النَّارِ
-
صحيح. رواه الترمذي (1547) وفيه: «وأيما امرأة مسلمة أعتقت امرأة مسلمة، كانت فكاكها من النار. يجزيء كل عضو منها عضوا منها» وقال: «حسن صحيح». ثم قال: «وفي الحديث ما يدل على أن عتق الذكور للرجال أفضل من عتق الإناث» وانظر ما بعده
At-Tirmidhi transmitted on the authority of Abu Umamah (RAA), “The Messenger of Allah (ﷺ) said:
“Any Muslim man, who emancipates two Muslim women, they will be his release from Hell Fire.” At-Tirmidhi graded it as Sahih.
পরিচ্ছেদঃ দাস-দাসী আযাদ করার ফযীলাত প্রসঙ্গে
১৪২০। আবূ দাউদে কা’ব ইবনু মুররা কর্তৃক বর্ণিত হাদীসে আছে, কোন মুসলিম নারী যদি কোন মুসলিম নারীকে দাসত্ব থেকে মুক্ত করে তবে এটা তার জাহান্নাম হতে মুক্তিলাভের কারণ হবে।[1]
وَلِأَبِي دَاوُدَ: مِنْ حَدِيثِ كَعْبِ بْنِ مُرَّةَ: «وَأَيُّمَا امْرَأَةٍ أَعْتَقَتْ امْرَأَةً مُسْلِمَةً, كَانَتْ فِكَاكَهَا مِنَ النَّارِ
-
صحيح. رواه أبو داود (3967)، وله شواهد، أحدها الحديث السابق
Abu Dawud transmitted on the authority of Ka’b bin Murrah (RAA), “The Messenger of Allah (ﷺ) said:
“Any Muslim woman, who emancipates another Muslim woman, she will be her release from Hell Fire.”
পরিচ্ছেদঃ কোন কৃতদাস আযাদ করা সর্বোত্তম
১৪২১। আবূ যার (রাঃ) হতে বৰ্ণিত। তিনি বলেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে আমি জিজ্ঞেস করলাম, কোন ’আমল উত্তম? তিনি বললেন, আল্লাহর প্রতি ঈমান আনা এবং তাঁর পথে জিহাদ করা। আমি জিজ্ঞেস করলাম, কোন ধরনের ক্রীতদাস মুক্ত করা উত্তম? তিনি বললেন, যে ক্রীতদাসের মূল্য অধিক এবং যে ক্রীতদাস তার মনিবের কাছে অধিক আকর্ষণীয়।[1]
وَعَنْ أَبِي ذَرٍّ - رضي الله عنه - قَالَ: سَأَلْتُ النَّبِيَّ - صلى الله عليه وسلم - أَيُّ الْعَمَلِ أَفْضَلُ قَالَ: «إِيمَانٌ بِاللَّهِ, وَجِهَادٌ فِي سَبِيلِهِ». قُلْتُ: فَأَيُّ الرِّقَابِ أَفْضَلُ قَالَ: «أَعْلَاهَا ثَمَنًا, وَأَنْفَسُهَا عِنْدَ أَهْلِهَا». مُتَّفَقٌ عَلَيْهِ
-
صحيح. رواه البخاري (2518)، ومسلم (84) واللفظ للبخاري، وزادا، والسياق للبخاري أيضا: قلت: فإن لم أفعل؟ قال: تعين ضائعا، أو تصنع لأخرق. قال: فإن لم أفعل؟ قال: تدع الناس من الشر؛ فإنها صدقة تصدق بها على نفسك
Abu Dharr (RAA) narrated, I asked the Messenger of Allah (ﷺ) ‘Which action is the most excellent?’ He replied, “Faith in Allah and Jihad in His Cause.” I then asked, ‘Which slaves are the most excellent (for the purpose of emancipating them)’ and he replied, “Those whose prices are the highest and are the most valuable to their owners.” Agreed upon.
পরিচ্ছেদঃ শরীকানা দাস-দাসী মুক্তকারীর প্রসঙ্গ
১৪২২। ’আবদুল্লাহ ইবনু ’উমার (রাঃ) হতে বৰ্ণিত। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, কেউ যদি কোন ক্রীতদাস হতে নিজের অংশ মুক্ত করে আর ক্রীতদাসের মূল্য পরিমাণ অর্থ তার কাছে থাকে, তবে তার উপর দায়িত্ব হবে ক্রীতদাসের ন্যায্য মূল্য নির্ণয় করা। তারপর সে শরীকদেরকে তাদের প্রাপ্য অংশ পরিশোধ করবে এবং ক্রীতদাসটি তার পক্ষ হতে মুক্ত হয়ে যাবে, কিন্তু (সে পরিমাণ অর্থ) না থাকলে তার পক্ষ হতে ততটুকুই মুক্ত হবে যতটুকু সে মুক্ত করেছে।[1]
وَعَنِ ابْنِ عُمَرَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُمَا قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ - صلى الله عليه وسلم: «مَنْ أَعْتَقَ شِرْكًا لَهُ فِي عَبْدٍ, فَكَانَ لَهُ مَالٌ يَبْلُغُ ثَمَنَ الْعَبْدِ, قُوِّمَ قِيمَةَ عَدْلٍ, فَأَعْطَى شُرَكَاءَهُ حِصَصَهُمْ, وَعَتَقَ عَلَيْهِ الْعَبْدُ, وَإِلَّا فَقَدْ عَتَقَ مِنْهُ مَا عَتَقَ». مُتَّفَقٌ عَلَيْهِ
-
صحيح. رواه البخاري (2522)، ومسلم (1501) و «شركا»: نصيبا
Ibn 'Umar (RAA) narrated that The Messenger of Allah (ﷺ) said:
“Anyone who emancipates his share in a slave and has enough money to pay the full price for him, a fair price for the slave should be fixed. His partners should be given their shares, and the slave should thus be emancipated. Otherwise he is emancipated only to the extent of the first man’s share.” Agreed upon.
পরিচ্ছেদঃ শরীকানা দাস-দাসী মুক্তকারীর প্রসঙ্গ
১৪২৩। বুখারী ও মুসলিমে আবূ হুরাইরা (রাঃ) হতে বর্ণিত অন্য একটি রেওয়ায়েতে আছে, একাকী পূর্ণ আযাদ করতে সক্ষম না হলে মূল্য ধার্য করা হবে। আর ’মূল্য সংগ্রহের জন্য দাসের পক্ষ থেকে চেষ্টা চলবো’। এতে তার উপরে কোন কঠোরতা আরোপ করা হবে না।[1]
বলা হয়ে থাকে যে, চেষ্টা করার জন্য যে বাক্যটি বর্ণিত হয়েছে তা ’মুদরাজ’ বা কোন রাবীর নিজস্ব বক্তব্য- হাদীসের অংশ নয়। প্রকৃত পক্ষে এটিও হাদীসেরই অংশ।[2]
وَلَهُمَا: عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ - رضي الله عنه: «وَإِلَّا قُوِّمَ عَلَيْهِ, وَاسْتُسْعِيَ غَيْرَ مَشْقُوقٍ عَلَيْهِ». وَقِيلَ: إِنَّ السِّعَايَةَ مُدْرَجَةٌ فِي الْخَبَرِ
-
صحيح. رواه البخاري (2527)، ومسلم (1503) وأوله: «من أعتق نصيبا - أو شقيصا - في مملوك، فخلاصه عليه في ماله إن كان له مال، وإلا
[2] বুখারী ২৪৯২, ২৫০৪, মুসলিম ১৫০৩, তিরমিযী ১৩৪৩, আবূ দাউদ ৩৯৩৭, ৩৯৩৮, ইবনু মাজাহ ২৫২৭, আহমাদ ৭৪১৯, ৮৩৬০, ১০৪৯১।
Abu Hurairah (RAA) narrated that The Messenger of Allah (ﷺ) said:
“Otherwise he will be required to work to pay for his freedom, but he must not be overburdened.” Agreed upon.
পরিচ্ছেদঃ পিতাকে দাসত্ব থেকে মুক্ত করার ফযীলাত
১৪২৪। আবূ হুরাইরা (রাঃ) হতে বৰ্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন: কোন পুত্র তার পিতার হাক্ব আদায় করতে সক্ষম হবে না, কিন্তু যদি পিতাকে গোলাম অবস্থায় পায় আর তাকে ক্রয় করে আযাদ করে (তবে তার পিতার হাক্ব পরিশোধ হতে পারে)।[1]
وَعَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ - رضي الله عنه - قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ - صلى الله عليه وسلم: «لَا يَجْزِي وَلَدٌ وَالِدَهُ, إِلَّا أَنْ يَجِدَهُ مَمْلُوكًا فَيُعْتِقَهُ». رَوَاهُ مُسْلِمٌ
-
صحيح. رواه مسلم (1510) وزاد: «فيشتريه» بعد قوله: مملوكا
Abu Hurairah (RAA), narrated that The Messenger of Allah said, “A son cannot ever repay his parents what he owes them, unless he finds them in slavery, then buys them and emancipates them.” Related by Muslim.
পরিচ্ছেদঃ কোন ব্যক্তি মাহরামের মনিব হলে ঐ মাহরাম দাস আযাদ বলে গণ্য হবে
১৪২৫। সামুরাহ (রাঃ) হতে বৰ্ণিত। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, যে ব্যক্তি এমন কোন আত্মীয়ের (রক্ত সম্পর্কযুক্ত লোকের) মনিব হয় যাদের মধ্যে বিয়ে হারাম তবে সে (উক্ত গোলাম) আযাদ হয়ে যায়।
একদল হাদীস বিশেষজ্ঞ এটিকে মাওকূফ বলেছেন।[1]
وَعَنْ سَمُرَةَ - رضي الله عنه: أَنَّ النَّبِيَّ - صلى الله عليه وسلم - قَالَ: «مَنْ مَلَكَ ذَا رَحِمٍ مَحْرَمٍ, فَهُوَ حُرٌّ». رَوَاهُ أَحْمَدُ, وَالْأَرْبَعَةُ وَرَجَّحَ جَمْعٌ مِنَ الْحُفَّاظِ أَنَّهُ مَوْقُوفٌ
-
صحيح. رواه أحمد (5/ 15 و 20)، وأبو داود (3949)، والترمذي (1365)، والنسائي في «الكبرى» كما في «التحفة»، وابن ماجه (2524) من طريق الحسن، عن سمرة. وله شاهد من حديث ابن عمر بإسناد صحيح. رواه ابن ماجه (2525)، وابن الجارود (972)
যে কোন দাস নিজের মুক্তির জন্য একশত উকিয়া ধাৰ্য করে, অতঃপর দশ উকিয়া ব্যতিত সম্পূর্ণই পরিশোধ করে তাহলে সেই দাস (বলে গণ্য হবে)। আর যে কোন দাস একশত দিনারের বিনিময়ে নিজের মুক্তি চায়। অতঃপর দশ দিনার ব্যতিত আর সবটুকুই পরিশোধ করে তাহলেও সে দাস বলে গণ্য হবে। আবূ দাউদ ৩৯৪৯, তিরমিযী ১৩৬৫, ইবনু মাজাহ ২৫২৪, আহমাদ ১৯৬৫৪, ১৯৬৯২, ১৯৭১৫।
Samurah bin Jundub (RAA) narrated that The Messenger of Allah (ﷺ) said:
“Whoever obtains possession of a relative, who is next of kin, that person becomes free.” Related by Ahmad and the four Imams. Some scholars are of the opinion that it is Mawquf (not connected to the Prophet.)
পরিচ্ছেদঃ মৃত্যুর সময় সকল দাসকে মুক্ত করার বিধান যখন ঐ দাসগুলোই তার একমাত্র সম্পদ
১৪২৬। ’ইমরান ইবনু হুসাইন (রাঃ) হতে বর্ণিত কোন এক ব্যক্তি মৃত্যুর সময় তার ছয়টি দাস মুক্ত করে দেন, ঐ দাসগুলো ছাড়া তার আর কোন সম্পদ ছিল না। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাদেরকে ডেকে পাঠালেন ও তিন ভাগে বিভক্ত করে দিলেন। তার পর প্রত্যেক ভাগের উপর লটারী দিয়ে এর ভিত্তিতে দু’টো দাসকে মুক্ত করে দিলেন ও চারজনকে দাস করে রাখলেন এবং তাকে (এদের মনিবকে) কঠোর কথা বললেন।[1]
وَعَنْ عِمْرَانَ بْنِ حُصَيْنٍ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُمَا: أَنَّ رَجُلًا أَعْتَقَ سِتَّةً مَمْلُوكِينَ لَهُ, عِنْدَ مَوْتِهِ, لَمْ يَكُنْ لَهُ مَالٌ غَيْرَهُمْ, فَدَعَا بِهِمْ رَسُولُ اللَّهِ - صلى الله عليه وسلم - فَجَزَّأَهُمْ أَثْلَاثًا, ثُمَّ أَقْرَعَ بَيْنَهُمْ, فَأَعْتَقَ اثْنَيْنِ, وَأَرَقَّ أَرْبَعَةً, وَقَالَ لَهُ قَوْلًا شَدِيدًا. رَوَاهُ مُسْلِمٌ
-
صحيح. رواه مسلم (1668)
’Imran bin Husain (RAA) narrated, ‘A man who had no other property emancipated six of his slaves at the time of his death. Allah’s Messenger (ﷺ)sent for them, and after dividing them into three groups, he cast lots among them, set two of them free and kept four in slavery, and spoke very harshly to the man (who emancipated them).’ Related by Muslim.
পরিচ্ছেদঃ যে ব্যক্তি স্বীয় দাসকে আযাদ করে দেয় এবং তাকে সেবা করার শর্ত করে
১৪২৭। সাফীনাহ (রাঃ) হতে বৰ্ণিত। তিনি বলেন, আমি (নবীর সহধর্মিণী) উম্মু সালামাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর দাস ছিলাম। তিনি আমাকে বলেন, আমি তোমাকে এই শর্তে আযাদ করে দিচ্ছি যে, তুমি তোমার জীবন কাল পর্যন্ত রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর খিদমত করবে।[1]
وَعَنْ سَفِينَةَ - رضي الله عنه - قَالَ: كُنْتُ مَمْلُوكًا لِأُمِّ سَلَمَةَ فَقَالَتْ: أُعْتِقُكَ, وَأَشْتَرِطُ عَلَيْكَ أَنْ تَخْدِمَ رَسُولَ اللَّهِ - صلى الله عليه وسلم - مَا عِشْتَ. رَوَاهُ أَحْمَدُ, وَأَبُو دَاوُدَ, وَالنَّسَائِيُّ, وَالْحَاكِمُ
-
حسن. رواه أحمد (5/ 221)، وأبو داود (3932)، والنسائي في «الكبرى» (3/ 190 - 191)، والحاكم (2/ 213 - 214) من طريق سعيد بن جمهان - وهو حسن الحديث - عن سفينة، به. وزادوا إلا أحمد: «قال: قلت: لو أنك لم تشترطي علي ما فارقت رسول الله صلى الله عليه وسلم ما عشت. قال: فأعتقتني، واشترطت علي أن أخدم رسول الله صلى الله عليه وسلم ما عشت
Safinah (RAA) narrated, ‘I was a slave of Umm Salamah and she said, ‘I shall emancipate you, but on the condition that you serve Allah’s Messenger (ﷺ) as long as you live.’ Related by Ahmad, Abu Dawud, An-Nasa’i and Al-Hakim.
পরিচ্ছেদঃ ওয়ালা (দাসত্ব মুক্তি সূত্রে উত্তরাধিকার) ঐ ব্যক্তির সাব্যস্ত হবে যে দাসকে আযাদ করে দেয়
১৪২৮। ’আয়িশা (রাঃ) হতে বৰ্ণিত। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, ওয়ালা (দাসত্ব মুক্তিসূত্রে উত্তরাধিকার) ঐ ব্যক্তির জন্য সাব্যস্ত হবে যে দাসকে আযাদ করে দেয়।[1]
وَعَنْ عَائِشَةَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهَا; أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ - صلى الله عليه وسلم - قَالَ: «إِنَّمَا الْوَلَاءُ لِمَنْ أَعْتَقَ». مُتَّفَقٌ عَلَيْهِ فِي حَدِيثٍ
'A’ishah (RAA) narrated that The Messenger of Allah (ﷺ) said:
“Wala’ is (legally) for the manumitter.” Agreed upon. It is part of a long Hadith.
পরিচ্ছেদঃ ওয়ালা’র বিধানাবলী
১৪২৯। ইবনু উমার (রাঃ) হতে বৰ্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন: ওয়ালা একটা বলিষ্ঠ সম্পর্ক যেমন রক্তের সম্পর্ক (ঘনিষ্ঠ ও স্থায়ী হয়ে থাকে)। অতএব তা বিক্রি করা যায় না, এবং দান করাও যায় না।[1]
وَعَنِ ابْنِ عُمَرَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُمَا قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ - صلى الله عليه وسلم: «الْوَلَاءُ لُحْمَةٌ كَلُحْمَةِ النَّسَبِ, لَا يُبَاعُ وَلَا يُوهَبُ». رَوَاهُ الشَّافِعِيُّ, وَصَحَّحَهُ ابْنُ حِبَّانَ, وَالْحَاكِمُ. وَأَصْلُهُ فِي «الصَّحِيحَيْنِ» بِغَيْرِ هَذَا اللَّفْظِ
Ibn 'Umar (RAA) narrated that The Messenger of Allah (ﷺ) said:
“The Wala’ (of a manumitted slave) is considered as one’s lineage, not to be sold or donated (refer to hadith no. 984).” Related by Ash-Shafi’i. Ibn Hibban and Al-Hakim graded it as Sahih. It is also related by Al-Bukhari and Muslim with different wording.
পরিচ্ছেদঃ ১. মুদাব্বার, মুকাতাব, উম্মু ওয়ালাদের বর্ণনা - মুদাব্বার গোলাম বিক্রির বিধান
১৪৩০। জাবির (রাঃ) হতে বর্ণিত যে, আনসার গোত্রের এক লোক তার গোলামকে মুদাব্বির বানালো (মনিবের মৃত্যু হলে গোলাম মুক্ত হয়ে যাবে)। ঐ গোলাম ছাড়া তার আর কোন মাল ছিল না। খবরটি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর কাছে পৌছল। তিনি বললেন, গোলামটিকে আমার নিকট হতে কে কিনে নেবে? নুআয়ম ইবনু নাহহা (রাঃ) তাকে আটশ’ দিরহামের বিনিময়ে কিনে নিল।[1]
বুখারীর শব্দে আছে, লোকটি তার দাসকে আযাদ করে দেয়ার পর অভাবগ্ৰস্ত হয়ে পড়ে।
নাসায়ীর বর্ণনায় আছে, লোকটির কার্জ ছিল। ফলে গোলামটিকে আটশত দিরহামের বিনিময়ে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বিক্রয় করে তাকে দিয়ে বললেন, তুমি তোমার ঋণ পরিশোধ করে দাও।
عَنْ جَابِرٍ - رضي الله عنه: أَنَّ رَجُلًا مِنْ الْأَنْصَارِ أَعْتَقَ غُلَامًا لَهُ عَنْ دُبُرٍ, لَمْ يَكُنْ لَهُ مَالٌ غَيْرُهُ, فَبَلَغَ ذَلِكَ النَّبِيَّ - صلى الله عليه وسلم. فَقَالَ: «مَنْ يَشْتَرِيهِ مِنِّي» فَاشْتَرَاهُ نُعَيْمُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ بِثَمَانِمَائَةِ دِرْهَمٍ. مُتَّفَقٌ عَلَيْهِ وَفِي لَفْظٍ لِلْبُخَارِيِّ: فَاحْتَاجَ وَفِي رِوَايَةٍ لِلنَّسَائِيِّ: وَكَانَ عَلَيْهِ دَيْنٌ, فَبَاعَهُ بِثَمَانِمَائَةِ دِرْهَمٍ, فَأَعْطَاهُ وَقَالَ: اقْضِ دَيْنَكَ
-
صحيح. رواه البخاري (6716)، ومسلم (997) وزاد مسلم: «فجاء بها رسول الله صلى الله عليه وسلم، فدفعها إليه. ثم قال: ابدأ بنفسك فتصدق عليها، فإن فضل شيء فلأهلك، فإن فضل عن أهلك شيء فلذي قرابتك، فإن فضل عن ذي قرابتك شيء فهكذا وهكذا. يقول: فبين يديك وعن يمينك وعن شمالك
البخاري (2141) والمراد بالذي احتاج، هو الأنصاري. ووقع عند النسائي: «وكان محتاجا
رواه النسائي (8/ 246)، وزاد: وأنفق على عيالك
Jabir bin ·Abdullah (RAA) narrated that A man from the Ansar declared that his slave lad would be free after his death (would be Mudabbar), yet he had no other property. When the Prophet heard of that he said, “Who will buy him from me?” And Nu'aim bin 'Abdullah bought him for eight hundred Dirhams. Agreed upon. In a narration by Al-Bukhari:
“The man became needy,’ (so the Prophet took the slave and said...).’ A version by An-Nasa’i says, “The man had a debt, so the Prophet sold the slave for eight hundred Dirhams and gave him the money and said, “Pay off your debt.”
পরিচ্ছেদঃ ১. মুদাব্বার, মুকাতাব, উম্মু ওয়ালাদের বর্ণনা - চুক্তিবদ্ধ দাসের কিছু পাওনা পরিশোধ করলে তার বিধান
১৪৩১। ’আমর ইবনু শু’আইব (রহঃ) তার পিতা হতে, তিনি তাঁর দাদা হতে বর্ণনা করেছেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, মুকাতাব গোলাম স্বীয় মুক্তির জন্য নির্ধারিত অর্থের মধ্যে একটা দিরহাম পরিশোধ করতে বাকী থাকা পর্যন্ত সে দাস (বলে গণ্য হবে)।[1]
وَعَنْ عَمْرِو بْنِ شُعَيْبٍ, عَنْ أَبِيهِ, عَنْ جَدِّهِ, عَنِ النَّبِيِّ - صلى الله عليه وسلم: «قَالَ: «الْمُكَاتَبُ عَبْدٌ مَا بَقِيَ عَلَيْهِ مِنْ مُكَاتَبَتِهِ دِرْهَمٌ». أَخْرَجَهُ أَبُو دَاوُدَ بِإِسْنَادٍ حَسَنٍ (1) وَأَصْلُهُ عِنْدَ أَحْمَدَ, وَالثَّلَاثَةِ, وَصَحَّحَهُ الْحَاكِمُ
-
حسن. رواه أبو داود (3926)
رواه أحمد (2/ 178 و 206 و 209)، وأبو داود (3927)، والنسائي في «الكبرى» (3/ 197)، والترمذي (1260)، وابن ماجه (2519)، والحاكم (2/ 218) من طريق عمرو بن شعيب أيضا، به. ولفظه كما عند أبي داود: «أيما عبد كاتب على مئة أوقية فأداها إلا عشرة أواق فهو عبد. وأيما عبد كاتب على مئة دينار فأداها إلا عشرة دنانير فهو عبد
'Amro bin Shu’aib narrated on the authority of his father, on the authority of his grandfather (RAA), That the Messenger of Allah (ﷺ) said:
“A slave who entered into an agreement to buy his freedom is still a slave as long as a Dirham of the agreed price remains to be paid.” Related by Abu Dawud with a good chain of narrators. The full hadith is related by Ahmad and the three Imams. Al-Hakim graded it to be Sahih.
পরিচ্ছেদঃ ১. মুদাব্বার, মুকাতাব, উম্মু ওয়ালাদের বর্ণনা - চুক্তিবদ্ধ দাসের পাওনা পরিশোধের সামর্থ্য থাকলে তার হুকুম
১৪৩২। উম্মু সালামাহ (রাঃ) হতে বৰ্ণিত। তিনি বলেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, তোমাদের (মেয়ে জাতির বা নবীর সহধর্মিণীদের) কারো যখন কোন মুকাতাব গোলাম থাকে আর সে গোলামের নিকটে চুক্তিকৃত টাকা পরিশোধ করার সামৰ্থ্য থাকে তবে ঐ রূপ গোলাম থেকে সে যেন পৰ্দা করে।[1]
وَعَنْ أُمِّ سَلَمَةَ -رَضِيَ اللَّهُ عَنْهَا- قَالَتْ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ - صلى الله عليه وسلم: «إِذَا كَانَ لِإِحْدَاكُنَّ مُكَاتَبٌ, وَكَانَ عِنْدَهُ مَا يُؤَدِّي, فَلْتَحْتَجِبْ مِنْهُ». رَوَاهُ الْخَمْسَةُ (1) وَصَحَّحَهُ التِّرْمِذِيُّ
-
ضعيف. رواه أحمد (6/ 289 و 308 و 311)، وأبو داود (3928)، والنسائي في «الكبرى» (3/ 198)، والترمذي (1261)، وابن ماجه (2520) من طريق نبهان مولى أم سلمة، عنها به، ونبهان مجهول كما قال غير واحد، وقال الشافعي: «لم أرى من رضيت من أهل العلم يثبت حديث نبهان هذا
Umm Salamah (RAA) narrated that The Messenger of Allah (ﷺ) said:
“When a slave of one of your women has made an agreement to pay for his freedom (i.e. he is a Mukatib) and can pay the full price, she must veil herself from him.” Related by Ahmad and the four Imams. At-Tirmidhi graded it as Sahih.
পরিচ্ছেদঃ ১. মুদাব্বার, মুকাতাব, উম্মু ওয়ালাদের বর্ণনা - মুকাতাব দাসের রক্তপণ
১৪৩৩। ইবনু ’আব্বাস (রাঃ) হতে বৰ্ণিত। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, মুকাতাব গোলাম নিহত হলে তার দিয়াত (খুনের ক্ষতিপূরণ) যে পরিমাণ অংশ আযাদ ছিল সে পরিমাণের জন্য আযাদের রক্ত পণ দিতে হবে। আর যে অংশ দাস ছিল সে পরিমাণের জন্য গোলামের অনুরূপ রক্ত মূল্য (দিয়াত) দিতে হবে।[1]
وَعَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ - رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُمَا: أَنَّ النَّبِيَّ - صلى الله عليه وسلم - قَالَ: «يُودَى الْمُكَاتَبُ بِقَدْرِ مَا عَتَقَ مِنْهُ دِيَةَ الْحُرِّ, وَبِقَدْرِ مَا رَقَّ مِنْهُ دِيَةَ الْعَبْدِ». رَوَاهُ أَحْمَدُ, وَأَبُو دَاوُدَ, وَالنَّسَائِيُّ
-
صحيح. رواه أحمد (1/ 222 - 223 و 226 و 260)، وأبو داود (4581)، والنسائي (8/ 46) واللفظ لأحمد
Ibn ’Abbas (RAA) narrated that The Messenger of Allah (ﷺ) said:
“The Diyah (Blood money) of a slave who had made an agreement to buy his freedom (Mukatib) and had been killed, is paid at the rate paid for a free man (as a Diyah) as much as he has paid of the amount agreed upon, and at the rate paid for a slave as the remainder is concerned.” Related by Ahmad, Abu Dawud and Au-Nasa’i.
পরিচ্ছেদঃ ১. মুদাব্বার, মুকাতাব, উম্মু ওয়ালাদের বর্ণনা - রাসূল (ﷺ) কোন দাস-দাসী রেখে মৃত্যুবরণ করেননি
১৪৩৪। উম্মুল যু’মিনীন যুওয়াইরিয়ার ভাই ’আমর ইবনুল হারিস (রাঃ) হতে বৰ্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাঁর ইন্তিকালের সময় কোন দিরহাম (রৌপ্য মুদ্রা), কোন দিনার, কোন গোলাম বা কোন দাসী আর না কোন বস্তু রেখে গিয়েছিলেন। তবে তাঁর একটা মাত্র সাদা রং-এর খচ্চর, যুদ্ধাস্ত্র ও কিছু জমিও ছিল যা সাদাকাহ করে রেখেছিলেন।[1]
وَعَنْ عَمْرِو بْنِ الْحَارِثِ - أَخِي جُوَيْرِيَةَ أُمِّ الْمُؤْمِنِينَ - رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُمَا - قَالَ: «مَا تَرَكَ رَسُولُ اللَّهِ - صلى الله عليه وسلم - عِنْدَ مَوْتِهِ دِرْهَمًا, وَلَا دِينَارًا, وَلَا عَبْدًا, وَلَا أَمَةً, وَلَا شَيْئًا, إِلَّا بَغْلَتَهُ الْبَيْضَاءَ, وَسِلَاحَهُ, وَأَرْضًا جَعَلَهَا صَدَقَةً». رَوَاهُ الْبُخَارِيُّ
-
صحيح. رواه البخاري (2739)
’Amro bin al-Harith, the brother of Juwairiyah the mother of Believers (the wife of the Prophet (ﷺ)) narrated, ‘When Allah’s Messenger (ﷺ) died, he did not leave a Dinar or a Dirham, a slave or a slave-woman, or anything but his white she-mule, his weapons and a piece of land which he appointed as Sadaqah.’ Related by Al-Bukhari.
পরিচ্ছেদঃ ১. মুদাব্বার, মুকাতাব, উম্মু ওয়ালাদের বর্ণনা - উম্মুল ওয়ালাদ মনিবের মৃত্যুর পর আযাদ হয়ে যাবে
১৪৩৫। ইবনু আব্বাস (রাঃ) হতে বৰ্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, যে কোন দাসী তার মনিবের ঔরসজাত সন্তান প্রসব করবে সে তার মানবের মৃত্যুর পর আযাদ হয়ে যাবে।
একদল হাদীস বিশারদ এটিকে ’উমার (রাঃ) হতে বর্ণিত মাওকুফ হাদীস হওয়াকেই প্রাধান্য দিয়েছেন।[1]
وَعَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ - صلى الله عليه وسلم: «أَيُّمَا أَمَةٍ وَلَدَتْ مِنْ سَيِّدِهَا, فَهِيَ حُرَّةٌ بَعْدَ مَوْتِهِ». أَخْرَجَهُ ابْنُ مَاجَهْ, وَالْحَاكِمُ بِإِسْنَادٍ ضَعِيفٍ
وَرَجَّحَ جَمَاعَةٌ وَقْفَهُ عَلَى عُمَرَ
-
ضعيف. رواه ابن ماجه (2515)، والحاكم (2/ 19)
Ibn ’Abbas (RAA) narrated that Allah’s Messenger (ﷺ) said:
“When a man’s slave-woman bears him a child she becomes free at his death.” Related by Ibn Majah and Al-Hakim with a weak chain of narrators.
পরিচ্ছেদঃ ১. মুদাব্বার, মুকাতাব, উম্মু ওয়ালাদের বর্ণনা - মুকাতাব দাস-দাসীকে সহযোগীতা করার ফযীলত
১৪৩৬। সাহল ইবনু হুনাইফ (রাঃ) হতে বৰ্ণিত। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, যে ব্যক্তি কোন মুজাহিদ (দ্বীনের পথের সংগ্রামী)-কে সাহায্য করবে বা কোন ঋণী ব্যক্তিকে (যার সাংসারিক অভাব-অনটনের কারণে ঋণ হয়েছে) বা মুকাতাব দাস বা দাসীকে দাসত্ব থেকে মুক্তির জন্য সাহায্য করবে তাকে আল্লাহ ছায়াহীন কিয়ামতের কঠিন দিনে ছায়া প্রদান করবেন।[1]
وَعَنْ سَهْلِ بْنِ حُنَيْفٍ - رضي الله عنه - أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ - صلى الله عليه وسلم - قَالَ: «مَنْ أَعَانَ مُجَاهِدًا فِي سَبِيلِ اللَّهِ, أَوْ غَارِمًا فِي عُسْرَتِهِ, أَوْ مُكَاتَبًا فِي رَقَبَتِهِ, أَظَلَّهُ اللَّهُ يَوْمَ لَا ظِلَّ إِلَّا ظِلُّهُ». رَوَاهُ أَحْمَدُ, وَصَحَّحَهُ الْحَاكِمُ
-
ضعيف. رواه أحمد (3/ 487)، والحاكم (2/ 89 - 90 و 217) وفي سنده عبد الله بن سهل بن حنيف، وهو مجهول
Sahl bin Hunaif (RAA) narrated that the Messenger of Allah (ﷺ) said:
“He who assists a Mujahid for Allah’s sake, a debtor who is in distress (being unable to pay his debt) or a slave who had made an agreement to buy his freedom, Allah will shade him, with His Shade, on the Day when there will be no shade but His.” Related by Ahmad and Al- Hakim graded it as Sahih.