পরিচ্ছেদঃ ১০. জানাবাতের গোসলে কতটুকু পরিমাণ পানি ব্যাবহার করা মুস্তাহাব, পুরুষ এবং স্ত্রীলোকের একই অবস্থায় একই পাত্র থেকে পানি নিয়ে গোসল করা এবং তাদের উভয়ের মধ্যে একজনের অবশিষ্ট পানি দিয়ে অপরজনের গোসল করার বিবরণ
৬৩১। আবূ কামিল আল জাহদারী (রহঃ) ও আমর ইবনু আলী (রহঃ) ... সাফীনা (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, এক সা’ পানিতে রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর জানবাতের গোসল সস্পন্ন হয়ে যেত এবং এক মুদ্দ পানিতে উযূ (ওজু/অজু/অযু) হয়ে যেত।
باب الْقَدْرِ الْمُسْتَحَبِّ مِنَ الْمَاءِ فِي غُسْلِ الْجَنَابَةِ وَغُسْلِ الرَّجُلِ وَالْمَرْأَةِ فِي إِنَاءٍ وَاحِدٍ فِي حَالَةٍ وَاحِدَةٍ وَغُسْلِ أَحَدِهِمَا بِفَضْلِ الآخَرِ
وَحَدَّثَنَا أَبُو كَامِلٍ الْجَحْدَرِيُّ، وَعَمْرُو بْنُ عَلِيٍّ، كِلاَهُمَا عَنْ بِشْرِ بْنِ الْمُفَضَّلِ، - قَالَ أَبُو كَامِلٍ حَدَّثَنَا بِشْرٌ، - حَدَّثَنَا أَبُو رَيْحَانَةَ، عَنْ سَفِينَةَ، قَالَ كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يُغَسِّلُهُ الصَّاعُ مِنَ الْمَاءِ مِنَ الْجَنَابَةِ وَيُوَضِّؤُهُ الْمُدُّ .
Safina reported:
The Messenger of Allah (ﷺ) took a bath with one Sa` of water because of sexual intercourse and performed ablution with one Mudd.
পরিচ্ছেদঃ ১০. জানাবাতের গোসলে কতটুকু পরিমাণ পানি ব্যাবহার করা মুস্তাহাব, পুরুষ এবং স্ত্রীলোকের একই অবস্থায় একই পাত্র থেকে পানি নিয়ে গোসল করা এবং তাদের উভয়ের মধ্যে একজনের অবশিষ্ট পানি দিয়ে অপরজনের গোসল করার বিবরণ
৬৩২। আবূ বকর ইবনু আবূ শায়বা (রহঃ) ও আলী ইবনু হুজর (রহঃ) ... রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সাহাবী সাফীনা (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এক সা’ পানি দিয়ে গোসল এবং এক মুদ্দ পানি দিয়ে পবিত্রতা অর্জন করতেন। বর্ণনাকারী আবূ রায়হানা বলেন, সাফীনা (রাঃ) বৃদ্ধ হয়ে গিয়েছিলেন। তাই তার হাদীসের উপর আমি আস্থা রাখতে পারছি না।
باب الْقَدْرِ الْمُسْتَحَبِّ مِنَ الْمَاءِ فِي غُسْلِ الْجَنَابَةِ وَغُسْلِ الرَّجُلِ وَالْمَرْأَةِ فِي إِنَاءٍ وَاحِدٍ فِي حَالَةٍ وَاحِدَةٍ وَغُسْلِ أَحَدِهِمَا بِفَضْلِ الآخَرِ
وَحَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا ابْنُ عُلَيَّةَ، ح وَحَدَّثَنِي عَلِيُّ بْنُ حُجْرٍ، حَدَّثَنَا إِسْمَاعِيلُ، عَنْ أَبِي رَيْحَانَةَ، عَنْ سَفِينَةَ، - قَالَ أَبُو بَكْرٍ - صَاحِبُ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَغْتَسِلُ بِالصَّاعِ وَيَتَطَهَّرُ بِالْمُدِّ . وَفِي حَدِيثِ ابْنِ حُجْرٍ أَوْ قَالَ وَيُطَهِّرُهُ الْمُدُّ . وَقَالَ وَقَدْ كَانَ كَبِرَ وَمَا كُنْتُ أَثِقُ بِحَدِيثِهِ .
Safina reported that Abu Bakr, the Companion of the Messenger of Allah (way peace be upon him), observed:
The Messenger of Allah (ﷺ) took a bath with one Sa' of water and performed ablution with one Mudd (of water) ; and in the hadith narrated by Ibn Hujr the words are: One Mudd sufficed for his (Holy Prophet's) ablution. And Ibn Hujr said that (his Shaikh) Isma'il was much advanced in age, and it was because of this that he could not fully rely on him for this tradition.
পরিচ্ছেদঃ ৪৮০. দাঁড়ি পাখীর গোশত খাওয়া।
৩৭৫৫. ফযল ইবন সাহল (রহঃ) ..... আমর ইবন সাফীনা (রহঃ) তাঁর পিতা হতে, তিনি তাঁর দাদা থেকে বর্ণনা করেন। তিনি বলেনঃ আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর সঙ্গে থাকাবস্থায় দাঁড়ি পাখীর মাংস খেয়েছিলাম।
باب فِي أَكْلِ لَحْمِ الْحُبَارَى
حَدَّثَنَا الْفَضْلُ بْنُ سَهْلٍ، حَدَّثَنَا إِبْرَاهِيمُ بْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ مَهْدِيٍّ، حَدَّثَنِي بُرَيْهُ بْنُ عُمَرَ بْنِ سَفِينَةَ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ جَدِّهِ، قَالَ أَكَلْتُ مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم لَحْمَ حُبَارَى .
Narrated Safinah:
I ate the flesh of a bustard along with the Prophet (ﷺ).
পরিচ্ছেদঃ ৩. কোন শর্তে গোলাম আযাদ করা সম্পর্কে।
৩৮৯১. মুসাদ্দাদ (রহঃ) .... সাফীনা (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ আমি উম্মু সালাম (রাঃ) এর ক্রীতদাস ছিলাম। তিনি বলেনঃ আমি তোমাকে এ শর্তে আযাদ করছি যে, তুমি আজীবন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর খিদমাত করবে। তখন আমি বলিঃ যদি আপনি এরূপ শর্তে আরোপ নাও করেন, তবুও আমি যতদিন জীবিত থাকবো রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর খিদমাত হতে বিরত থাকবো না। পরে তিনি এ শর্তে আমাকে আযাদ করে দেন।
باب فِي الْعِتْقِ عَلَى الشَّرْطِ
حَدَّثَنَا مُسَدَّدُ بْنُ مُسَرْهَدٍ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الْوَارِثِ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ جُمْهَانَ، عَنْ سَفِينَةَ، قَالَ كُنْتُ مَمْلُوكًا لأُمِّ سَلَمَةَ فَقَالَتْ أُعْتِقُكَ وَأَشْتَرِطُ عَلَيْكَ أَنْ تَخْدُمَ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم مَا عِشْتَ . فَقُلْتُ إِنْ لَمْ تَشْتَرِطِي عَلَىَّ مَا فَارَقْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم مَا عِشْتُ فَأَعْتَقَتْنِي وَاشْتَرَطَتْ عَلَىَّ .
Narrated Umm Salamah, Ummul Mu'minin:
Safinah said: I was a slave of Umm Salamah, and she said: I shall emancipate you, but I stipulate that you must serve the Messenger of Allah (ﷺ) as long as you live. I said: Even if you do not make a stipulation, I shall not leave the Messenger of Allah (ﷺ). She then emancipated me and made the stipulation with me.
পরিচ্ছেদঃ ৯. খিলাফাত সম্পর্কে।
৪৫৭৫. সাওয়ার ইবন আবদুল্লাহ্ (রহঃ) .... সাফীনা (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ নবুওয়াতের খিলাফত এর সময়কাল হলো ত্রিশ বছর। এরপর আল্লাহ্ যাকে ইচ্ছা রাজত্ব বা বাদশাহী দান করবেন।
রাবী সাঈদ (রহঃ) বলেনঃ সাফীনা (রাঃ) আমাকে বলেনঃ তুমি হিসাব কর। আবূ বকর (রাঃ)-এর শাসনকাল হবে দু’ বছর, উমর (রাঃ)-এর দশ বছর, উছমান (রাঃ)-এর বার বছর এবং আলী (রাঃ)-এর অর্থাৎ ছ’বছর।
রাবী সাঈদ বলেনঃ তখন আমি সাফীনা (রাঃ)-কে জিজ্ঞাসা করি যে, বনূ-মারওয়ান এরূপ ধারণা করে যে, আলী (রাঃ) খলীফাদের অন্তর্ভুক্ত নন। তিনি বলেনঃ বনূ-মারওয়ানরা মিথ্যা বলেছে।
باب فِي الْخُلَفَاءِ
حَدَّثَنَا سَوَّارُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الْوَارِثِ بْنُ سَعِيدٍ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ جُمْهَانَ، عَنْ سَفِينَةَ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " خِلاَفَةُ النُّبُوَّةِ ثَلاَثُونَ سَنَةً ثُمَّ يُؤْتِي اللَّهُ الْمُلْكَ - أَوْ مُلْكَهُ - مَنْ يَشَاءُ " . قَالَ سَعِيدٌ قَالَ لِي سَفِينَةُ أَمْسِكْ عَلَيْكَ أَبَا بَكْرٍ سَنَتَيْنِ وَعُمَرَ عَشْرًا وَعُثْمَانَ اثْنَتَىْ عَشْرَةَ وَعَلِيٌّ كَذَا . قَالَ سَعِيدٌ قُلْتُ لِسَفِينَةَ إِنَّ هَؤُلاَءِ يَزْعُمُونَ أَنَّ عَلِيًّا عَلَيْهِ السَّلاَمُ لَمْ يَكُنْ بِخَلِيفَةٍ . قَالَ كَذَبَتْ أَسْتَاهُ بَنِي الزَّرْقَاءِ يَعْنِي بَنِي مَرْوَانَ .
Narrated Safinah:
The Prophet (ﷺ) said: The Caliphate of Prophecy will last thirty years; then Allah will give the Kingdom of His Kingdom to anyone He wills.
Sa'id told that Safinah said to him: Calculate Abu Bakr's caliphate as two years, 'Umar's as ten, 'Uthman's as twelve and 'Ali so and so. Sa'id said: I said to Safinah: They conceive that 'Ali was not a caliph. He replied: The buttocks of Marwan told a lie.
পরিচ্ছেদঃ ১/১. নাপাকী হতে উযূ ও গোসলের জন্য প্রয়োজনীয় পানির পরিমাণ।
১/২৬৭। সাফীনাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এক মুদ্দ পানি দিয়ে উযূ (ওজু/অজু/অযু) করতেন এবং এক সা পানি দিয়ে গোসল করতেন।
তাহক্বীক্ব আলবানী: সহীহ।
بَاب مَا جَاءَ فِي مِقْدَارِ الْمَاءِ لِلْوُضُوءِ وَالْغُسْلِ مِنْ الْجَنَابَةِ
حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا إِسْمَاعِيلُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ، عَنْ أَبِي رَيْحَانَةَ، عَنْ سَفِينَةَ، قَالَ كَانَ رَسُولُ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ يَتَوَضَّأُ بِالْمُدِّ وَيَغْتَسِلُ بِالصَّاعِ .
It was narrated that Safinah said:
"The Messenger of Allah used to perform ablution with a Mudd (of water) and bath with a Sa'."
পরিচ্ছেদঃ এক মুদ পরিমান পানি দিয়ে উযু করা।
৫৬. আহমদ ইবনু মানী ও আলী ইবনু হজর (রহঃ) .... সাফীনা রাদিয়াল্লাহু আনহা থেকে বর্ণনা করেন যে, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামএ ক মুদ পরিমাণ পানি দিয়ে উযূ (ওজু/অজু/অযু) এবং এক সা’ পরিমাণ পানি দিয়ে গোসল করতেন। - ইবনু মাজাহ ২৬৭, তিরমিজী হাদিস নম্বরঃ [আল মাদানী প্রকাশনী]
এই বিষয়ে আয়িশা, জাবির ও আনাস ইবনু মালক রাদিয়াল্লাহু আনহুম থেকেও হাদিস বর্ণিত আছে। ইমাম আবূ ঈসা তিরমিযী (রহঃ) বলেন, সাফীনা রাদিয়াল্লাহু আনহা বর্ণিত এই হাদিসটি হাসান এবং সহীহ। রাবী আবূ রায়হানার নাম হল আবদুল্লাহ ইবনু মাতার। আলিমগণের কেউ কেউ একমুদ পরিপাণ পানি দিয়ে উযূ এবং সা’ পরিমাণ পানি দিয়ে গোসল করার বিধান দিয়েছেন। ইমাম শাফিঈ, আহমদ ও ইসহাক (রহঃ) বলেন, উযূ গোসলের জন্য বিশেষ এমন একটা পরিমাণ নির্ধারণ করা যে, এর কম বা বেশী পরিমাণ পানি ব্যাবহার করা জায়েয হবে না এই হাদিসটির মর্ম তা নয়। বরং কতটুকু পরমাণ পানি উযূ বা গোসলেন জন্য যথেষ্ট তা বর্ণনা করাই হল এর উদ্দেশ্য।
باب فِي الْوُضُوءِ بِالْمُدِّ
حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ مَنِيعٍ، وَعَلِيُّ بْنُ حُجْرٍ، قَالاَ حَدَّثَنَا إِسْمَاعِيلُ ابْنُ عُلَيَّةَ، عَنْ أَبِي رَيْحَانَةَ، عَنْ سَفِينَةَ، أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم كَانَ يَتَوَضَّأُ بِالْمُدِّ وَيَغْتَسِلُ بِالصَّاعِ . قَالَ وَفِي الْبَابِ عَنْ عَائِشَةَ وَجَابِرٍ وَأَنَسِ بْنِ مَالِكٍ . قَالَ أَبُو عِيسَى حَدِيثُ سَفِينَةَ حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ . وَأَبُو رَيْحَانَةَ اسْمُهُ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ مَطَرٍ . وَهَكَذَا رَأَى بَعْضُ أَهْلِ الْعِلْمِ الْوُضُوءَ بِالْمُدِّ وَالْغُسْلَ بِالصَّاعِ . وَقَالَ الشَّافِعِيُّ وَأَحْمَدُ وَإِسْحَاقُ لَيْسَ مَعْنَى هَذَا الْحَدِيثِ عَلَى التَّوْقِيتِ أَنَّهُ لاَ يَجُوزُ أَكْثَرُ مِنْهُ وَلاَ أَقَلُّ مِنْهُ وَهُوَ قَدْرُ مَا يَكْفِي .
Safinah narrated:
"The Prophet would perform Wudu with a Mudd, and he would perform Ghusl with a Sa."
পরিচ্ছেদঃ হুবারা খাওয়া।
১৮৩৫। ফাযল ইবনু সাহল আ’রাজ বাগদাদী (রহঃ) ... সাফিনাহ রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত যে, তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর সঙ্গে হুবারা*-এর মাংস খেয়েছি। যঈফ, ইরওয়া ২৫০০, তিরমিজী হাদিস নম্বরঃ ১৮২৮ [আল মাদানী প্রকাশনী]
এই হাদীসটি গারীব। এই সূত্র ছাড়া এই হাদীস সম্পর্কে আমরা অবহিত নই। ইবরাহীম ইবনু উমার ইবনু সুফায়না (রহঃ) থেকে ইবনু ফুদায়ক (রহঃ) হাদীস বর্ণনার করেছেন এবং তিনি (ইবরাহীমে পরিবর্তে) বুরায়দা ইবনু উমার ইবনু সুফায়না উল্লেখ করেছেন।
باب مَا جَاءَ فِي أَكْلِ الْحُبَارَى
حَدَّثَنَا الْفَضْلُ بْنُ سَهْلٍ الأَعْرَجُ الْبَغْدَادِيُّ، حَدَّثَنَا إِبْرَاهِيمُ بْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ مَهْدِيٍّ، عَنْ إِبْرَاهِيمَ بْنِ عُمَرَ بْنِ سَفِينَةَ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ جَدِّهِ، قَالَ أَكَلْتُ مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم لَحْمَ حُبَارَى . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ غَرِيبٌ لاَ نَعْرِفُهُ إِلاَّ مِنْ هَذَا الْوَجْهِ . وَإِبْرَاهِيمُ بْنُ عُمَرَ بْنِ سَفِينَةَ رَوَى عَنْهُ ابْنُ أَبِي فُدَيْكٍ وَيُقَالُ بُرَيْهُ بْنُ عُمَرَ بْنِ سَفِينَةَ .
Narrated Ibrahim bin 'Umar bin Safinah:
From his father, from his grandfather that he said: "I ate bustard meat with the Messenger of Allah (ﷺ)."
[Abu 'Eisa said:] This Hadith is Gharib, we do not know of it except from this route. Ibn Abi Fudaik reported from Ibrahim bin 'Umar bin Safinah and he has been called Buraih bin 'Umar bin Safinah.
পরিচ্ছেদঃ খিলাফত।
২২২৯. আহমাদ ইবন মানী’ (রহঃ) ..... সাফীনা রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ আমার উম্মতের খিলাফত হবে ত্রিশ বছর। এরপর হবে বাদশাহী। সহীহ, সহিহাহ ৪৫৯, ১৫৩৪, ১৫৩৫, তিরমিজী হাদিস নম্বরঃ ২২২৬ [আল মাদানী প্রকাশনী]
বর্ণনাকারী সাঈদ (রহঃ) বলেন, অতপর সাফিনা রাদিয়াল্লাহু আনহু আমাকে বললেনঃ আবূ বকর রাদিয়াল্লাহু আনহু-এর খিলাফত কাল গণনা কর। পরে বললেনঃ উমার ও উসমান রাদিয়াল্লাহু আনহু-এর খিলাফতকাল গণনা কর। এরপর বললেনঃ আলী রাদিয়াল্লাহু আনহু-এর খিলাফতকাল গণনা কর। গনে দেখলাম যে, এ পর্যন্ত ত্রিশ বছর হয়ে যায়।
সাঈদ (রহঃ) বলেনঃ আমি তাঁকে বললাম, বানূ উমাইয়ারা তো বলে যে তাদের মাঝেও খিলাফত বিদ্যমান? তিনি বললেনঃ যারকার সন্তানরা (বানূ উমাইয়া) মিথ্যা বলেছে বরং এরা তো নিকৃষ্ট বাদশাহের অন্তর্ভুক্ত বাদশাহের দল। এ বিষয়ে উমার ও আলী রাদিয়াল্লাহু আনহুমা থেকে বর্ণিত আছে যে, তারা বলেনঃ নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম খিলাফত বিষয়ে কোন ওয়াসীয়ত করে যান নাই।
এ হাদীসটি হাসান। একাধিক রাবী এটি সাঈদ ইবন জুমহান (রহঃ) এর বরাতে বর্ণনা করেছেন। তাঁর রিওয়ায়াত ছাড়া এটি সম্পর্কে আমরা অবহিত নই।
بَابُ مَا جَاءَ فِي الخِلاَفَةِ
حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ مَنِيعٍ، حَدَّثَنَا سُرَيْجُ بْنُ النُّعْمَانِ، حَدَّثَنَا حَشْرَجُ بْنُ نُبَاتَةَ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ جُمْهَانَ، قَالَ حَدَّثَنِي سَفِينَةُ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " الْخِلاَفَةُ فِي أُمَّتِي ثَلاَثُونَ سَنَةً ثُمَّ مُلْكٌ بَعْدَ ذَلِكَ " . ثُمَّ قَالَ لِي سَفِينَةُ أَمْسِكْ خِلاَفَةَ أَبِي بَكْرٍ وَخِلاَفَةَ عُمَرَ وَخِلاَفَةَ عُثْمَانَ . ثُمَّ قَالَ لِي أَمْسِكْ خِلاَفَةَ عَلِيٍّ . قَالَ فَوَجَدْنَاهَا ثَلاَثِينَ سَنَةً . قَالَ سَعِيدٌ فَقُلْتُ لَهُ إِنَّ بَنِي أُمَيَّةَ يَزْعُمُونَ أَنَّ الْخِلاَفَةَ فِيهِمْ . قَالَ كَذَبُوا بَنُو الزَّرْقَاءِ بَلْ هُمْ مُلُوكٌ مِنْ شَرِّ الْمُلُوكِ . قَالَ أَبُو عِيسَى وَفِي الْبَابِ عَنْ عُمَرَ وَعَلِيٍّ قَالاَ لَمْ يَعْهَدِ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم فِي الْخِلاَفَةِ شَيْئًا . وَهَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ قَدْ رَوَاهُ غَيْرُ وَاحِدٍ عَنْ سَعِيدِ بْنِ جُمْهَانَ وَلاَ نَعْرِفُهُ إِلاَّ مِنْ حَدِيثِ سَعِيدِ بْنِ جُمْهَانَ .
Sa'eed bin Jumhan narrated:
"Safinah narrated to me, he said: 'The Messenger of Allah(s.a.w) said: "Al-Khilafah will be in my Ummah for thirty years, then there will be monarchy after that."' Then Safinah said to me: 'Count the Khilafah of Abu Bakr,' then he said: 'Count the Khilafah of 'Umar and the Khilafah of 'Uthman.' Then he said to me: 'Count the Khilafah of 'Ali."' He said: "So we found that they add up to thirty years." Sa'eed said: "I said to him: 'Banu Umaiyyah claim that the Khilafah is among them.' He said: 'Banu Az-Zarqa' lie, rather they are a monarchy, among the worst of monarchies."'
পরিচ্ছেদঃ ৪২. এক মুদ্দ পানি দিয়ে ওযু করা
৫৬। সাফীনাহ (রাঃ) হতে বর্ণিত আছে, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ’এক মুদ্দ’ পানি দিয়ে ওযু করতেন এবং এক সা পানি দিয়ে গোসল করতেন। —সহীহ। ইবনু মাজাহ– (২৬৭)।
এ অনুচ্ছেদে আয়িশাহ, জাবির ও আনাস ইবনু মালিক (রাঃ) হতে বর্ণিত হাদীসও রয়েছে। আবু ঈসা বলেনঃ সাফীনার হাদীসটি হাসান সহীহ। আবু রায়হানার নাম আব্দুল্লাহ ইবনু মাতার। একদল বিশেষজ্ঞ আলিম বলেছেন, ওযু এক মুদ্দ এবং গোসল এক সা পানি দিয়েই করতে হবে। কিন্তু ইমাম শাফিঈ, আহমাদ ও ইসহাক বলেছেন, হাদীসের তাৎপর্য এটা নয় যে, এক মুদ বা এক সা-এর বেশি বা কম পানি ব্যবহার করা যাবে না, বরং এটা একটা পরিমাণ যা ওযু ও গোসলের জন্য যথেষ্ট।
حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ مَنِيعٍ، وَعَلِيُّ بْنُ حُجْرٍ، قَالاَ حَدَّثَنَا إِسْمَاعِيلُ ابْنُ عُلَيَّةَ، عَنْ أَبِي رَيْحَانَةَ، عَنْ سَفِينَةَ، أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم كَانَ يَتَوَضَّأُ بِالْمُدِّ وَيَغْتَسِلُ بِالصَّاعِ . قَالَ وَفِي الْبَابِ عَنْ عَائِشَةَ وَجَابِرٍ وَأَنَسِ بْنِ مَالِكٍ . قَالَ أَبُو عِيسَى حَدِيثُ سَفِينَةَ حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ . وَأَبُو رَيْحَانَةَ اسْمُهُ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ مَطَرٍ . وَهَكَذَا رَأَى بَعْضُ أَهْلِ الْعِلْمِ الْوُضُوءَ بِالْمُدِّ وَالْغُسْلَ بِالصَّاعِ . وَقَالَ الشَّافِعِيُّ وَأَحْمَدُ وَإِسْحَاقُ لَيْسَ مَعْنَى هَذَا الْحَدِيثِ عَلَى التَّوْقِيتِ أَنَّهُ لاَ يَجُوزُ أَكْثَرُ مِنْهُ وَلاَ أَقَلُّ مِنْهُ وَهُوَ قَدْرُ مَا يَكْفِي .
Safinah narrated:
"The Prophet would perform Wudu with a Mudd, and he would perform Ghusl with a Sa."
পরিচ্ছেদঃ ২৩. ওযুতে কতটুকু পানি যথেষ্ট হবে
৭১১. সাফীনাহ রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এক মুদ্দ পানি দ্বারা ওযু করতেন এবং এক সা’আ পানি দ্বারা গোসল করতেন।[1]
তাখরীজ: ইবনু আবী শাইবা ১/৬৫; আহমাদ ৫/২২২; আবু আউয়ানাহ ১/২৩৩; ইবনুল জারুদ, মুনতাকা নং ৬২; সহীহ মুসলিম ৩২৬ (৫৩); ইবনু মাজাহ ২৬৭; বাইহাকী ১/১৯৫।
সা’আ: হলো চার মুদ্দের সমপরিমাণ। যার পরিমাণ শাফিঈদের নিকট ২১৭৫ গ্রাম ও হানাফীদের নিকট ৩৮০০ গ্রাম- ড. যুহাইলী, ফিকহুল ইসলামী ওয়া আদিল্লাতুহ।
بَابُ كَمْ يَكْفِي فِي الْوُضُوءِ مِنَ الْمَاءِ
أَخْبَرَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عِيسَى حَدَّثَنَا ابْنُ عُلَيَّةَ حَدَّثَنَا أَبُو رَيْحَانَةَ عَنْ سَفِينَةَ قَالَ كَانَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَتَوَضَّأُ بِالْمُدِّ وَيَغْتَسِلُ بِالصَّاعِ
إسناده صحيح
পরিচ্ছেদঃ ১০.অপবিত্রতার গোসলে কতটুকু পরিমাণ পানি ব্যবহার মুস্তাহাব, পুরুষ এবং মেয়েলোক একই অবস্থায় একই পাত্র থেকে পানি নিয়ে গোসল করা এবং তাদের উভয়ের মধ্যে একজনের অবশিষ্ট পানি দিয়ে অপরজনের গোসল করার বর্ণনা।
৬২৫-(৫২/৩২৬) আবূ কামিল আল জাহদারী (রহঃ) ও ’আমর ইবনু ’আলী (রহঃ) ..... সাফীনাহ (রাযিঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, এক সা পানিতে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর অপবিত্রতার গোসল সম্পন্ন হয়ে যেত এবং এক মুদ্ পানিতে ওযু হয়ে যেত। (ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ৬২৯, ইসলামিক সেন্টারঃ ৬৪৪)
باب الْقَدْرِ الْمُسْتَحَبِّ مِنَ الْمَاءِ فِي غُسْلِ الْجَنَابَةِ وَغُسْلِ الرَّجُلِ وَالْمَرْأَةِ فِي إِنَاءٍ وَاحِدٍ فِي حَالَةٍ وَاحِدَةٍ وَغُسْلِ أَحَدِهِمَا بِفَضْلِ الآخَرِ
وَحَدَّثَنَا أَبُو كَامِلٍ الْجَحْدَرِيُّ، وَعَمْرُو بْنُ عَلِيٍّ، كِلاَهُمَا عَنْ بِشْرِ بْنِ الْمُفَضَّلِ، - قَالَ أَبُو كَامِلٍ حَدَّثَنَا بِشْرٌ، - حَدَّثَنَا أَبُو رَيْحَانَةَ، عَنْ سَفِينَةَ، قَالَ كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يُغَسِّلُهُ الصَّاعُ مِنَ الْمَاءِ مِنَ الْجَنَابَةِ وَيُوَضِّؤُهُ الْمُدُّ .
Chapter: The amount of water with which it is recommended to perform ghusl in the case of janabah; a man and woman washing from a single vessel; one of them washing with the left-over water of the other
Safina reported: The Messenger of Allah (ﷺ) took a bath with one Sa` of water because of sexual intercourse and performed ablution with one Mudd.
পরিচ্ছেদঃ ১০.অপবিত্রতার গোসলে কতটুকু পরিমাণ পানি ব্যবহার মুস্তাহাব, পুরুষ এবং মেয়েলোক একই অবস্থায় একই পাত্র থেকে পানি নিয়ে গোসল করা এবং তাদের উভয়ের মধ্যে একজনের অবশিষ্ট পানি দিয়ে অপরজনের গোসল করার বর্ণনা।
৬২৬-(৫৩/...) আবূ বকর ইবনু আবূ শাইবাহ (রহঃ) ও আলী ইবনু হুজুর (রহঃ) ..... সাফীনাহ (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সাহাবা আবূ বকর (রাযিঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এক সা’ পানি দিয়ে গোসল এবং এক মুদ পানি দিয়ে পবিত্রতা অর্জন (ওযু) করতেন। আর ইবনু হুজুর তার বর্ণিত হাদীসে রয়েছে অথবা তিনি বলেছেন, এক মুদ (পানি) তাকে অপবিত্রতা থেকে পবিত্র করতেন। তিনি (আবূ রাইহানাহ) বলেনঃ সাফীনাহ অত্যন্ত বৃদ্ধ হয়ে গিয়েছিলেন। তাই আমি তার বর্ণিত হাদীসের উপর নির্ভর করতে পারি না। (ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ৬৩০, ইসলামিক সেন্টারঃ ৬৪৫)
باب الْقَدْرِ الْمُسْتَحَبِّ مِنَ الْمَاءِ فِي غُسْلِ الْجَنَابَةِ وَغُسْلِ الرَّجُلِ وَالْمَرْأَةِ فِي إِنَاءٍ وَاحِدٍ فِي حَالَةٍ وَاحِدَةٍ وَغُسْلِ أَحَدِهِمَا بِفَضْلِ الآخَرِ
وَحَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا ابْنُ عُلَيَّةَ، ح وَحَدَّثَنِي عَلِيُّ بْنُ حُجْرٍ، حَدَّثَنَا إِسْمَاعِيلُ، عَنْ أَبِي رَيْحَانَةَ، عَنْ سَفِينَةَ، - قَالَ أَبُو بَكْرٍ - صَاحِبُ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَغْتَسِلُ بِالصَّاعِ وَيَتَطَهَّرُ بِالْمُدِّ . وَفِي حَدِيثِ ابْنِ حُجْرٍ أَوْ قَالَ وَيُطَهِّرُهُ الْمُدُّ . وَقَالَ وَقَدْ كَانَ كَبِرَ وَمَا كُنْتُ أَثِقُ بِحَدِيثِهِ .
Chapter: The amount of water with which it is recommended to perform ghusl in the case of janabah; a man and woman washing from a single vessel; one of them washing with the left-over water of the other
Safina reported that Abu Bakr, the Companion of the Messenger of Allah (way peace be upon him), observed: The Messenger of Allah (ﷺ) took a bath with one Sa' of water and performed ablution with one Mudd (of water) ; and in the hadith narrated by Ibn Hujr the words are: One Mudd sufficed for his (Holy Prophet's) ablution. And Ibn Hujr said that (his Shaikh) Isma'il was much advanced in age, and it was because of this that he could not fully rely on him for this tradition.
পরিচ্ছেদঃ ৮. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - ওয়ালীমাহ্ (বৌভাত)
৩২২১-[১২] সাফীনাহ্ (রাঃ) (উম্মুল মু’মিনীন উম্মু সালামাহ্ (রাঃ)-এর মুক্ত দাসী) হতে বর্ণিত। একদিন জনৈক ব্যক্তি ’আলী ইবনু আবূ ত্বালিব (রাঃ)-এর মেহমান হলে তার জন্য খাবারের আয়োজন করেন। এমতাবস্থায় ফাতিমা (রাঃ) বললেন, আমরা যদি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে দা’ওয়াত করি আর তিনি আমাদের সাথে আহার করতেন, তবে কতই না উত্তম হত! অতঃপর তারা তাঁকে দা’ওয়াত করলেন। তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) এসে ঘরের দরজায় দুই পাশের দুই চৌকাঠ ধরে দাঁড়িয়ে দেখলেন যে, ঘরের এককোণে একটি রঙিন নকশাদার পর্দা ঝুলছে। এটা দেখে তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) ফিরে যেতে লাগলে ফাতিমা (রাঃ) তাঁর পিছু ছুটে বললেন, হে আল্লাহর রসূল! আপনাকে ঘরে প্রবেশ করা থেকে কিসে পিছুটান দিয়েছে (বাধাদান করেছে)? উত্তরে তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বললেন, আমার পক্ষে অথবা কোনো নবীর পক্ষে নকশাকৃত এমন সুসজ্জিত ঘরে প্রবেশ ঠিক নয়। (আহমাদ, ইবনু মাজাহ)[1]
وَعَنْ سَفِينَةَ: أَنَّ رَجُلًا ضَافَ عَلِيَّ بْنَ أَبِي طَالِبٍ فَصَنَعَ لَهُ طَعَامًا فَقَالَتْ فَاطِمَةُ: لَوْ دَعَوْنَا رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَأَكَلَ مَعَنَا فَدَعَوْهُ فَجَاءَ فَوَضَعَ يَدَيْهِ عَلَى عِضَادَتَيِ الْبَابِ فَرَأَى الْقِرَامَ قَدْ ضُرِبَ فِي نَاحِيَةِ الْبَيْتِ فَرَجَعَ. قَالَتْ فَاطِمَةُ: فَتَبِعْتُهُ فَقُلْتُ: يَا رَسُولَ اللَّهِ مَا رَدَّكَ؟ قَالَ: «إِنَّهُ لَيْسَ لِي أَوْ لِنَبِيٍّ أَنْ يَدْخُلَ بَيْتا مزوقا» . رَوَاهُ أَحْمد وَابْن مَاجَه
ব্যাখ্যা: হাদীসের বর্ণনাকারী হলেন, উম্মুল মু’মিনীন উম্মু সালমাহ্ (রাঃ)-এর আযাদকৃত দাসী।
এক ব্যক্তি ‘আলী -এর মেহমান হয়েছিল। ‘আরবদের পরিভাষায় إِذَا نَزَلَ بِه ضَيْفًا যখন কোনো বাড়ীতে মেহমান আসে তখন বলা হয় «ضَافَه ضَيْفًا» অর্থাৎ তার নিকটে মেহমান এসেছে। আবার «ضَافَ الرَّجُلُ» লোকটি মেহমানদারী করল; ঐ সময় বলা হয় «إِذَا نَزَلَ بِه ضَيْفًا» যখন তার নিকট মেহমান (হয়েছে) আগমন করে।
ফাতিমা (রাঃ) রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে দা‘ওয়াতের ইচ্ছা পোষণ করার কারণ হলো খাদ্যে বরকত লাভ করা, আর খানার অনুষ্ঠানটাও সুন্দর হওয়া। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর সর্বোচ্চ সম্মান প্রর্দশন এবং পিতৃত্বেও পরিচয় তো আছেই। ইচ্ছা মোতাবেক তাকে দা‘ওয়াত করাও হলো এবং তিনি সময়মত আসলেনও, কিন্তু ঘরের দরজার দু’দিকে দুই চৌকাঠে হাত দিয়ে ঘরের মধ্যে তাকাতেই ভিতরে খুব উন্নত চিকন রঙিন পশমী নকশাদার পর্দার কাপড় টাঙ্গানো দেখলেন। এটা দেখেই তিনি খানাপিনা না করে সোজা বাড়ী রওনা হলেন। ফাতিমা (রাঃ) পিছে পিছে এসে বললেন, হে আল্লাহর রসূল! আপনি আমাদের ঘরে না ঢুকে এবং খাদ্য গ্রহণ না করেই ফিরে আসার কারণ কি? উত্তরে তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বললেন, আমার মতো মানুষের অথবা কোনো নাবীর জন্য উচিত নয় এমন ঘরে প্রবেশ করা যা খুব চাকচিক্যময় করে সাজানো হয়। হাদীসে (مُزَوَّقًا) শব্দ এসেছে, যার অর্থ সাজানো, অলংকৃত ও নকশাদার করা, চাকচিক্য করে তোলা ইত্যাদি।
ইবনুল মালিক ঐ হাদীসের মুতাবা‘আত করে বলেন, «كَانَ ذٰلِكَ مُزَيَّنًا مُنَقَّشًا» অর্থাৎ পর্দার কাপড়টি ছিল নকশাদার এবং অলংকৃত। কেউ কেউ বলেছেন ওটা নকশাদার ছিল এমনটি নয় তবে তা বর সাজানোর আসনের মতো ছিল, যা দিয়ে ঘরের প্রাচীর বা বেড়াকে ঢেকে রেখেছে। এটাই রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর মনের ব্যাকুলতা সৃষ্টি করেছিল। যা অহংকারীদের কাজের সাদৃশ্য। এ দ্বারা সুস্পষ্টভাবে প্রতীয়মান যে, যেখানে অপছন্দনীয় কাজ বিদ্যমান সেখানে দা‘ওয়াত গ্রহণ করা আবশ্যক নয়।
(‘আওনুল মা‘বূদ ৬ষ্ঠ খন্ড, হাঃ ৩৭৫১; মিরকাতুল মাফাতীহ)
পরিচ্ছেদঃ ১. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - অংশীদারী গোলাম মুক্তি করা ও নিকটাত্মীয়কে ক্রয় করা এবং অসুস্থাবস্থায় গোলাম মুক্তি করা
৩৩৯৮-[১১] সাফীনাহ্ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি উম্মু সালামাহ্ (রাঃ)-এর গোলাম ছিলাম। (একদিন) তিনি আমাকে বললেন, আমি তোমাকে এ শর্তে মুক্তি দিতে চাই যে, তুমি যতদিন জীবিত থাকবে ততদিন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর খিদমাত করবে। তখন আমি বললাম, আপনি এ শর্তারোপ না করলেও আমি যতদিন বেঁচে থাকব ততদিন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর খিদমাত হতে দূরে থাকব না। অতঃপর তিনি আমাকে মুক্ত করে দিলেন এবং আমার ওপর উক্ত শর্তারোপ করলেন। (আবূ দাঊদ ও ইবনু মাজাহ)[1]
وَعَن سفينة قَالَ: كُنْتُ مَمْلُوكًا لِأُمِّ سَلَمَةَ فَقَالَتْ: أُعْتِقُكَ وَأَشْتَرِطُ عَلَيْكَ أَنْ تَخْدُمَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مَا عِشْتَ فَقُلْتُ: إِنْ لَمْ تَشْتَرِطِي عَلَيَّ مَا فَارَقْتُ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مَا عِشْتُ فَأَعْتَقَتْنِي وَاشْتَرَطَتْ عَلَيَّ. رَوَاهُ أَبُو دَاوُدَ وَابْنُ مَاجَهْ
ব্যাখ্যা: নায়লুল আওত্বারে এসেছে, ‘আল্লামা শাওকানী এ হাদীস দ্বারা দালীল গ্রহণ করেছেন যে, শর্ত জুড়ে দিয়ে গোলাম আযাদ করা বৈধ। ইবনু রুশ্দ বলেনঃ মতানৈক্য হয়নি যখন মুনীব তার দাসকে আযাদ করে এ শর্তের ভিত্তিতে সে যেন কয়েক বছর তার খিদমাত করে আযাদ করা পরিপূর্ণ হবে না তার খিদমাত ব্যতিরেকে। শারহুস্ সুন্নাতে ইবনু রাসলান বলেনঃ এ ব্যাপারে মতানৈক্য রয়েছে ইবনু সিরীন অনুরূপ শর্তকে সাব্যস্ত করেছেন। (‘আওনুল মা‘বূদ ৭ম খন্ড, হাঃ ৩৯২৭)
পরিচ্ছেদঃ ২. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - যেসব প্রাণী খাওয়া হালাল ও হারাম
৪১২৫-[২২] সাফীনাহ্ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর সাথে হুবারা-এর মাংস খেয়েছি। (আবূ দাঊদ)[1]
হাদীসটি য‘ঈফ হওয়ার কারণ হলো এর সনদে ‘‘বুরায়হ ইবনু সাফিনাহ্ আল হাশিমী’’ নামক একজন বর্ণনাকারী আছেন। যিনি তার পিতার থেকে অনেক মুনকার হাদীস বর্ণনা করেছেন। দেখুন- মিজানুল ই‘তিদাল ৩/২০১ পৃঃ, হাঃ ৬৪২৬। শারহুস্ সুন্নাহ্ ২৮০৮, আস্ সুনানুল কুবরা লিল বায়হাক্বী ১৯৮৯০, আল মু‘জামুল কাবীর লিত্ব ত্ববারানী ৬৩২১।
وَعَنْ سَفِينَةَ قَالَ: أَكَلْتُ مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لَحْمَ حُبَارَى. رَوَاهُ أَبُو دَاوُد
ব্যাখ্যাঃ আলোচ্য হাদীস থেকে প্রমাণিত হয় যে, হুবারা বা বন্য পাখির গোশত হালাল। (তুহফাতুল আহ্ওয়াযী ৫ম খন্ড, হাঃ ১৮২৮)
পরিচ্ছেদঃ দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ
৫৩৯৫-[১৭] সাফীনাহ্ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি নবী (সা.) -কে বলতে শুনেছি। [রাসূল (সা.) এ বলেছেন] খিলাফত ত্রিশ বছর অবশিষ্ট থাকবে। অতঃপর তা রাজতন্ত্রে পরিবর্তিত হয়ে যাবে। বর্ণনাকারী সাফীনাহ (রাঃ) বলেন, তা এরূপে বর্ণনা করে নাও- আবূ বা সিদ্দীক (রাঃ)-এর খিলাফতকাল দু বছর, ’উমার (রাঃ)-এর খিলাফতকাল দশ বছর, উসমান (রাঃ)-এর বারো বছর এবং ’আলী (রাঃ)-এর ছয় বছর। (আহমাদ, তিরমিযী ও আবূ দাউদ)
اَلْفصْلُ الثَّنِفْ
وَعَن سفينة قَالَ: سَمِعْتُ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقُولُ: «الْخِلَافَةُ ثَلَاثُونَ سَنَةً ثُمَّ تَكُونُ مُلْكًا» . ثُمَّ يَقُولُ سَفِينَةُ: أَمْسِكْ: خِلَافَةَ أَبِي بَكْرٍ سَنَتَيْنِ وَخِلَافَةَ عُمَرَ عَشْرَةً وَعُثْمَانَ اثْنَتَيْ عَشْرَةَ وَعَلِيٍّ سِتَّةً. رَوَاهُ أَحْمَدُ وَالتِّرْمِذِيُّ وَأَبُو دَاوُدَ
اسنادہ حسن ، رواہ احمد (5 / 220 ۔ 221 ح 22264) و الترمذی (2226 وقال : حسن) و ابوداؤد (4646) ۔
(حسن)
ব্যাখ্যা : উপর্যুক্ত হাদীসে রাসূলুল্লাহ (সা.) ও নুবুওয়্যাতের পর খিলাফত কতদিন স্থায়ী হবে তার একটি মেয়াদ উল্লেখ করেছেন। তৎপরবর্তী সময়ে মুসলিম বিশ্বে রাষ্ট্র ব্যবস্থার ধরণ কিরূপ হবে তা প্রিয়নবী (সা.) উপস্থাপন করেছেন।
খিলাফাতে রাশিদার মেয়াদকাল ছিল ৩০ বছর। আবূ বাকর (রাঃ) ২ বছর ৩ মাস ১০ দিন, ‘উমার (রাঃ)- ১০ বছর ৬ মাস ৮ দিন, ‘উসমান (রাঃ) ১১ বছর ১১ মাস ৯ দিন, ‘আলী (রাঃ) ৪ বছর ৯ মাস ৭ দিন, হাসান (রাঃ) ৭ মাস।
মুসনাদে আহমাদে সাফীনাহ্ (রাঃ) কর্তৃক বর্ণিত হাদীসে এসেছে, আমার উম্মতের খিলাফতকাল হবে ৩০ বছর। অতঃপর রাজা-বাদশাহদের রাজত্ব কায়িম হবে। ইমাম বায়হাক্বী তদীয় ‘আল মাদখাল’ গ্রন্থে সাফীনাহ্ কর্তৃক বর্ণিত হাদীসে উল্লেখিত আছে- প্রথম রাজত্ব ছিল মু'আবিয়াহ্ (রাঃ)-এর অধীন। শারহুস্ সুন্নাহ গ্রন্থে রয়েছে, যারা খিলাফাতে রাশিদার আদলে সুন্নাতে রাসূল (সা.) -কে আঁকড়ে ধরে শাসনকার্য পরিচালনা করেছেন তারাই খলীফাহ্। পক্ষান্তরে যারা খিলাফাতে রাশিদার পরিপন্থী কাজ করেছেন তারা নিজেদেরকে খলীফাহ্ দাবী করলেও সেই দাবী যথার্থ নয়। বরং তারা রাজা হিসেবে গণ্য হবেন।
ইমাম বুখারী (রহিমাহুল্লাহ) তদীয় ‘তারীখ’ গ্রন্থে এবং ইমাম হাকিম তার মুসতাদরাক গ্রন্থে আবূ হুরায়রাহ্ (রাঃ) হতে বর্ণিত, খিলাফত হবে মদীনায় এবং রাজতন্ত্র হবে শাম দেশে। (মিরকাতুল মাফাতীহ)
পরিচ্ছেদঃ ৩. শর্তসাপেক্ষে দাসত্বমুক্তি
৩৯৩২। সাফীনাহ (রাঃ) সূত্রে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি উম্মু সালামাহ (রাঃ)-এর কৃতদাস ছিলাম। তিনি বললেন, আমি তোমাকে আযাদ করবো এ শর্তে যে, যতো দিন তুমি জীবিত থাকবে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর খেদমত করবে। আমি বললাম, আপনি যদি এ শর্ত আরোপ নাও করতেন, তবুও আমি আমার জীবদ্দশা পর্যন্ত রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর সঙ্গ ত্যাগ করতাম না। অতঃপর তিনি আমাকে উক্ত শর্তে আযাদ করলেন।[1]
হাসান।
بَابٌ فِي الْعِتْقِ عَلَى الشَّرْطِ
حَدَّثَنَا مُسَدَّدُ بْنُ مُسَرْهَدٍ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الْوَارِثِ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ جُمْهَانَ، عَنْ سَفِينَةَ، قَالَ: كُنْتُ مَمْلُوكًا لِأُمِّ سَلَمَةَ فَقَالَتْ: أُعْتِقُكَ وَأَشْتَرِطُ عَلَيْكَ أَنْ تَخْدُمَ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مَا عِشْتَ فَقُلْتُ: وَإِنْ لَمْ تَشْتَرِطِي عَلَيَّ مَا فَارَقْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مَا عِشْتُ فَأَعْتَقَتْنِي، وَاشْتَرَطَتْ عَلَيَّ
حسن
Narrated Umm Salamah, Ummul Mu'minin:
Safinah said: I was a slave of Umm Salamah, and she said: I shall emancipate you, but I stipulate that you must serve the Messenger of Allah (ﷺ) as long as you live. I said: Even if you do not make a stipulation, I shall not leave the Messenger of Allah (ﷺ). She then emancipated me and made the stipulation with me.
পরিচ্ছেদঃ ৯. খলিফাগণ সম্পর্কে
৪৬৪৬। সাফিনাহ (রাঃ) সূত্রে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ নাবুওয়াতের ভিত্তিতে পরিচালিত খিলাফাত ত্রিশ বছর অব্যাহত থাকবে। অতঃপর আল্লাহ যাকে ইচ্ছা রাজত্ব বা তাঁর রাজত্ব দান করবেন। সাঈদ (রহঃ) বলেন, আমাকে সাফিনাহ (রাঃ) বলেছেন, হিসেব করো, আবূ বকর (রাঃ) দু’ বছর, উমার (রাঃ) দশ বছর, উসমান (রাঃ) বারো বছর ও আলী (রাঃ) এতো বছর খিলাফাতের দায়িত্ব পালন করেছেন। সাঈদ (রহঃ) বলেন, আমি সাফিনাহ (রাঃ)-কে বললাম, এরা ধারণা করে যে, আলী (রাঃ) খলিফা ছিলেন না। তিনি বলেন, বনী যারকা অর্থাৎ মারওয়ানের বংশধরগণ মিথ্যা বলেছেন।[1]
হাসান সহীহ।
بَابٌ فِي الْخُلَفَاءِ
حَدَّثَنَا سَوَّارُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الْوَارِثِ بْنُ سَعِيدٍ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ جُمْهَانَ، عَنْ سَفِينَةَ، قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: خِلَافَةُ النُّبُوَّةِ ثَلَاثُونَ سَنَةً، ثُمَّ يُؤْتِي اللَّهُ الْمُلْكَ أَوْ مُلْكَهُ مَنْ يَشَاءُ قَالَ سَعِيدٌ قَالَ لِي سَفِينَةُ: أَمْسِكْ عَلَيْكَ أَبَا بَكْرٍ سَنَتَيْنِ، وَعُمَرُ عَشْرًا، وَعُثْمَانُ اثْنَتَيْ عَشْرَةَ، وَعَلِيٌّ كَذَا قَالَ سَعِيدٌ، قُلْتُ: لِسَفِينَةَ إِنَّ هَؤُلَاءِ يَزْعُمُونَ أَنَّ عَلِيًّا عَلَيْهِ السَّلَام لَمْ يَكُنْ بِخَلِيفَةٍ قَالَ: كَذَبَتْ أَسْتَاهُ بَنِي الزَّرْقَاءِ يَعْنِي بَنِي مَرْوَانَ
حسن صحيح
Narrated Safinah:
The Prophet (ﷺ) said: The Caliphate of Prophecy will last thirty years; then Allah will give the Kingdom of His Kingdom to anyone He wills.
Sa'id told that Safinah said to him: Calculate Abu Bakr's caliphate as two years, 'Umar's as ten, 'Uthman's as twelve and 'Ali so and so. Sa'id said: I said to Safinah: They conceive that 'Ali was not a caliph. He replied: The buttocks of Marwan told a lie.
পরিচ্ছেদঃ ৯. খলিফাগণ সম্পর্কে
৪৬৪৭। সাফিনাহ (রাঃ) সূত্রে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, নাবুওয়াতি পন্থায় খিলাফাত ত্রিশ বছর পরিচালিত হবে। অতঃপর যাকে ইচ্ছা আল্লাহ রাজত্ব বা তাঁর রাজত্ব দান করবেন।[1]
হাসান সহীহ।
بَابٌ فِي الْخُلَفَاءِ
حَدَّثَنَا عَمْرُو بْنُ عَوْنٍ، حَدَّثَنَا هُشَيْمٌ، عَنِ الْعَوَّامِ بْنِ حَوْشَبٍ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ جُمْهَانَ، عَنْ سَفِينَةَ، قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: خِلَافَةُ النُّبُوَّةِ ثَلَاثُونَ سَنَةً، ثُمَّ يُؤْتِي اللَّهُ الْمُلْكَ مَنْ يَشَاءُ، أَوْ مُلْكَهُ مَنْ يَشَاءُ
حسن صحيح
Safinah reported the Messenger of Allah (ﷺ) as saying:
The caliphate of Prophecy will last thirty years; then Allah will give the Kingdom to whom he wishes; or his kingdom to whom he wishes.