হাদীস সম্ভার ১৬/ দণ্ডবিধি
১৬২৬

পরিচ্ছেদঃ প্রাণ-হত্যা

(১৬২৬) ইবনে মাসঊদ (রাঃ) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, কিয়ামতের দিন (মানবিক অধিকারের বিষয়) সর্বপ্রথমে লোকেদের মধ্যে যে বিচার করা হবে তা রক্ত সম্পর্কিত হবে।

وَعَنِ ابْنِ مَسْعُودٍ قَالَ : قَالَ رَسُولُ اللهِ ﷺ أَوَّلُ مَا يُقْضَى بَيْنَ النَّاسِ يَوْمَ القِيَامَةِ فِي الدِّمَاء

وعن ابن مسعود قال : قال رسول الله ﷺ اول ما يقضى بين الناس يوم القيامة في الدماء

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
১৬/ দণ্ডবিধি
১৬২৭

পরিচ্ছেদঃ প্রাণ-হত্যা

(১৬২৭) আবূ হুরাইরা (রাঃ) হতে বর্ণিত, আল্লাহর রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, প্রত্যেক মুসলিমের রক্ত, সম্ভম ও ধন-সম্পদ অন্য মুসলিমের উপর হারাম।

وَعَنْ أَبِيْ هُرَيْرَةَ أَنَّ رَسُولَ اللهِ ﷺ قَالَ كُلُّ المُسْلِمِ عَلَى المُسْلِمِ حَرَامٌ : دَمُهُ وَعِرْضُهُ وَمَالُهُ

وعن ابي هريرة ان رسول الله ﷺ قال كل المسلم على المسلم حرام : دمه وعرضه وماله

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ আবূ হুরায়রা (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
১৬/ দণ্ডবিধি
১৬২৮

পরিচ্ছেদঃ প্রাণ-হত্যা

(১৬২৮) ইবনে মাসঊদ (রাঃ) হতে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, মুসলিমকে গালি দেওয়া ফাসেকী (আল্লাহর অবাধ্যাচরণ) এবং তার সাথে লড়াই করা কুফরী।

وَعَنِ ابْنِ مَسْعُودٍ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللهِ ﷺ سِبَابُ المُسْلِمِ فُسُوقٌ وَقِتالُهُ كُفْرٌ متفق عَلَيْهِ

وعن ابن مسعود قال: قال رسول الله ﷺ سباب المسلم فسوق وقتاله كفر متفق عليه

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
১৬/ দণ্ডবিধি
১৬২৯

পরিচ্ছেদঃ প্রাণ-হত্যা

(১৬২৯) ইবনে উমার (রাঃ) বলেন, আমরা বিদায়ী হজ্জ্বের ব্যাপারে আলাপণ্ডআলোচনা করেছিলাম। এমতবস্থায় যে, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাদের মাঝে উপস্থিত ছিলেন। আর আমরা জানতাম না যে, বিদায়ী হজ্জ কী? পরিশেষে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আল্লাহর প্রশংসা করলেন। অতঃপর কানা দাজ্জালের কথা বিস্তারিতভাবে আলোচনা করলেন। তিনি বললেন, আল্লাহ যে নবীই পাঠিয়েছেন, তিনি নিজ জাতিকে তার ব্যাপারে ভয় দেখিয়েছেন। নূহ ও তাঁর পরে আগমনকারী নবীগণ তার ব্যাপারে ভীতি প্রদর্শন করেছেন। যদি সে তোমাদের মধ্যে বের হয়, তবে তার অবস্থা তোমাদের কাছে গোপন থাকবে না।

তোমাদের কাছে এ কথা গোপন নয় যে, তোমাদের প্রভু কানা নয়, আর দাজ্জাল কানা হবে। তার ডান চোখ কানা হবে, তার চোখটি যেন (গুচ্ছ থেকে) ভেসে ওঠা আঙ্গুর। সতর্ক হয়ে যাও, নিশ্চয় আল্লাহ তাআলা তোমাদের প্রতি তোমাদের রক্ত ও মাল হারাম ক’রে দিয়েছেন; যেমন তোমাদের এদিন হারাম তোমাদের এই শহরে, তোমাদের এই মাসে। শোনো! আমি কি (আল্লাহর পয়গাম) পৌঁছে দিয়েছি? সাহাবীগণ বললেন, ’হ্যাঁ।’ অতঃপর তিনি তিনবার বললেন, হে আল্লাহ! তুমি সাক্ষী থাক। (অতঃপর বললেন,) তোমাদের জন্য বিনাশ অথবা আফশোস। দেখো, তোমরা আমার পর এমন কাফের হয়ে যেয়ো না যে, তোমরা এক অপরের গর্দান মারবে।

وَعَنِ ابنِ عُمَرَ رَضِيَ اللهُ عَنْهُمَا قَالَ : كُنَّا نَتَحَدَّثُ عَنْ حَجَّةِ الوَدَاعِ والنَّبيُّ ﷺ بَيْنَ أظْهُرِنَا وَلا نَدْرِي مَا حَجَّةُ الوَدَاعِ حَتَّى حَمِدَ اللهَ رَسُول الله ﷺ وَأثْنَى عَلَيهِ ثُمَّ ذَكَرَ المَسْيحَ الدَّجَّال فَأطْنَبَ في ذِكْرِهِ وَقَالَ مَا بَعَثَ اللهُ مِنْ نَبيٍّ إلاَّ أنْذَرَهُ أُمَّتَهُ، أنْذَرَهُ نُوحٌ وَالنَّبِيُّونَ مِنْ بَعْدِهِ وَإِنَّهُ إنْ يَخْرُجْ فِيكُمْ فَما خَفِيَ عَليْكُمْ مِنْ شَأنِه فَلَيْسَ يَخْفَى عَليْكُم إنَّ رَبَّكُمْ لَيْسَ بأعْوَرَ وإنَّهُ أعْوَرُ عَيْنِ اليُمْنَى كَأنَّ عَيْنَهُ عِنَبَةٌ طَافِيَةٌ ألا إنَّ الله حَرَّمَ عَلَيْكُمْ دِمَاءكُمْ وَأمْوَالَكُمْ كحُرْمَةِ يَوْمِكُمْ هَذَا في بَلَدِكُم هَذَا في شَهْرِكُمْ هَذَا ألا هَلْ بَلّغْتُ ؟ قَالُوا : نَعَمْ قَالَ اللَّهُمَّ اشْهَدْ ثلاثاً وَيْلَكُمْ أَوْ وَيْحَكُمْ - انْظُروا : لا تَرْجعُوا بَعْدِي كُفّاراً يَضْرِبُ بَعْضُكُمْ رِقَابَ بَعْضٍ

وعن ابن عمر رضي الله عنهما قال : كنا نتحدث عن حجة الوداع والنبي ﷺ بين اظهرنا ولا ندري ما حجة الوداع حتى حمد الله رسول الله ﷺ واثنى عليه ثم ذكر المسيح الدجال فاطنب في ذكره وقال ما بعث الله من نبي الا انذره امته، انذره نوح والنبيون من بعده وانه ان يخرج فيكم فما خفي عليكم من شانه فليس يخفى عليكم ان ربكم ليس باعور وانه اعور عين اليمنى كان عينه عنبة طافية الا ان الله حرم عليكم دماءكم واموالكم كحرمة يومكم هذا في بلدكم هذا في شهركم هذا الا هل بلغت ؟ قالوا : نعم قال اللهم اشهد ثلاثا ويلكم او ويحكم - انظروا : لا ترجعوا بعدي كفارا يضرب بعضكم رقاب بعض

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
১৬/ দণ্ডবিধি
১৬৩০

পরিচ্ছেদঃ প্রাণ-হত্যা

(১৬৩০) আব্দুল্লাহ বিন আমর (রাঃ) কর্তৃক বর্ণিত, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, যে ব্যক্তি কোন (মুসলিম রাষ্ট্রে বসবাসকারী) যিম্মী (অথবা সন্ধিচুক্তির পর বিপক্ষের কাউকে) হত্যা করবে সে ব্যক্তি জান্নাতের সুবাসও পাবে না। অথচ তার সুবাস ৪০ বছরে অতিক্রম্য দূরবর্তী স্থান হতে পাওয়া যাবে।

عَنْ عَبْدِ اللهِ بْنِ عَمْرٍو عَنِ النَّبِيِّ ﷺ قَالَ مَنْ قَتَلَ نَفْسًا مُعَاهَدًا لَمْ يَرِحْ رَائِحَةَ الْجَنَّةِ وَإِنَّ رِيحَهَا لَيُوجَدُ مِنْ مَسِيرَةِ أَرْبَعِينَ عَامًا

عن عبد الله بن عمرو عن النبي ﷺ قال من قتل نفسا معاهدا لم يرح راىحة الجنة وان ريحها ليوجد من مسيرة اربعين عاما

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
১৬/ দণ্ডবিধি
১৬৩১

পরিচ্ছেদঃ প্রাণ-হত্যা

(১৬৩১) ইবনে উমার (রাঃ) কর্তৃক বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, মু’মিন ব্যক্তি তার দ্বীনের প্রশস্ততায় থাকে; যতক্ষণ না সে অবৈধ রক্তপাতে লিপ্ত হয়।

عَنِ ابنِ عُمَرَ رَضِيَ اللهُ عَنْهُمَا قَالَ قَالَ رَسُولُ اللهِ ﷺ لَنْ يَزَالَ الْمُؤْمِنُ فِي فُسْحَةٍ مِنْ دِينِهِ مَا لَمْ يُصِبْ دَمًا حَرَامًا

عن ابن عمر رضي الله عنهما قال قال رسول الله ﷺ لن يزال المومن في فسحة من دينه ما لم يصب دما حراما

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
১৬/ দণ্ডবিধি
১৬৩২

পরিচ্ছেদঃ প্রাণ-হত্যা

(১৬৩২) আবূ বকরাহ নুফাই বিন হারেস সাক্বাফী (রাঃ) হতে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, যখন দু’জন মুসলিম তরবারি নিয়ে আপোসে লড়াই করে, তখন হত্যাকারী ও নিহত দু’জনই দোযখে যাবে। আমি বললাম, ’হে আল্লাহর রসূল! হত্যাকারীর দোযখে যাওয়া তো স্পষ্ট; কিন্তু নিহত ব্যক্তির ব্যাপার কি?’ তিনি বললেন, সেও তার সঙ্গীকে হত্যা করার জন্য লালায়িত ছিল। (বুখারী ৩১, ৬৮৭৫, মুসলিম ৭৪৩৪) অন্য এক বর্ণনায় আছে,

إِذَا الْمُسْلِمَانِ حَمَلَ أَحَدُهُمَا عَلَى أَخِيهِ السِّلاَحَ فَهُمَا فِى جُرُفِ جَهَنَّمَ فَإِذَا قَتَلَ أَحَدُهُمَا صَاحِبَهُ دَخَلاَهَا جَمِيعًا

দুইজন মুসলিম যখন একে অপরের উপর অস্ত্র চালনা করে, তখন তারা দোযখের কিনারায় অবস্থান করে। অতঃপর যখন তাদের একজন অপরজনকে হত্যা করে, তখন উভয়েই দোযখে যায়। (মুসলিম ৭৪৩৭)

وعَنْ أَبِي بَكرَةَ نُفيع بنِ الحارثِ الثقَفيِّ أَنَّ النَّبيَّ ﷺ قَالَ إِذَا التَقَى المُسلِمَان بسَيْفَيهِمَا فالقَاتِلُ وَالمَقْتُولُ في النّارِ قُلتُ : يَا رَسُولَ اللهِ هذا القَاتِلُ فَمَا بَالُ المقْتُولِ ؟ قَالَ إنَّهُ كَانَ حَريصاً عَلَى قتلِ صَاحِبهِ متفقٌ عليه

وعن ابي بكرة نفيع بن الحارث الثقفي ان النبي ﷺ قال اذا التقى المسلمان بسيفيهما فالقاتل والمقتول في النار قلت : يا رسول الله هذا القاتل فما بال المقتول ؟ قال انه كان حريصا على قتل صاحبه متفق عليه

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ আবূ বাকরা (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
১৬/ দণ্ডবিধি
১৬৩৩

পরিচ্ছেদঃ প্রাণ-হত্যা

(১৬৩৩) আবূ হুরাইরা (রাঃ) কর্তৃক বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, সাতটি ধ্বংসকারী কর্ম হতে দূরে থাক। সকলে বলল, ’হে আল্লাহর রসূল! তা কী কী?’ তিনি বললেন, আল্লাহর সাথে শির্ক করা, যাদু করা, ন্যায় সঙ্গত অধিকার ছাড়া আল্লাহ যে প্রাণ হত্যা করা হারাম করেছেন তা হত্যা করা, সূদ খাওয়া, এতীমের মাল ভক্ষণ করা, (যুদ্ধক্ষেত্র হতে) যুদ্ধের দিন পলায়ন করা এবং সতী উদাসীনা মুমিনা নারীর চরিত্রে মিথ্যা কলঙ্ক দেওয়া।

عَنْ أَبِى هُرَيْرَةَ أَنَّ رَسُولَ اللهِ ﷺ قَالَ اجْتَنِبُوا السَّبْعَ الْمُوبِقَاتِ قِيلَ: يَا رَسُولَ اللهِ وَمَا هُنَّ قَالَ الشِّرْكُ بِاللهِ وَالسِّحْرُ وَقَتْلُ النَّفْسِ الَّتِى حَرَّمَ اللهُ إِلاَّ بِالْحَقِّ وَأَكْلُ مَالِ الْيَتِيمِ وَأَكْلُ الرِّبَا وَالتَّوَلِّى يَوْمَ الزَّحْفِ وَقَذْفُ الْمُحْصَنَاتِ الْغَافِلاَتِ الْمُؤْمِنَاتِ

عن ابى هريرة ان رسول الله ﷺ قال اجتنبوا السبع الموبقات قيل: يا رسول الله وما هن قال الشرك بالله والسحر وقتل النفس التى حرم الله الا بالحق واكل مال اليتيم واكل الربا والتولى يوم الزحف وقذف المحصنات الغافلات المومنات

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ আবূ হুরায়রা (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
১৬/ দণ্ডবিধি
১৬৩৪

পরিচ্ছেদঃ প্রাণ-হত্যা

(১৬৩৪) মুআবিয়া (রাঃ) কর্তৃক বর্ণিত, আল্লাহর রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, যে ব্যক্তি মুশরিক হয়ে মারা যায় অথবা ইচ্ছাকৃতভাবে কোন মুমিনকে হত্যা করে, সে ব্যক্তির পাপ ছাড়া অন্যান্য ব্যক্তির পাপকে আল্লাহ মাফ করে দিতে পারেন।

عن مُعَاوِيَةَ قَالَ قَالَ رَسُولُ اللهِ ﷺ كُلُّ ذَنْبٍ عَسَى اللهُ أَنْ يَغْفِرَهُ إِلاَّ مَنْ مَاتَ مُشْرِكًا أَوْ مُؤْمِنٌ قَتَلَ مُؤْمِنًا مُتَعَمِّدًا

عن معاوية قال قال رسول الله ﷺ كل ذنب عسى الله ان يغفره الا من مات مشركا او مومن قتل مومنا متعمدا

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
১৬/ দণ্ডবিধি
১৬৩৫

পরিচ্ছেদঃ প্রাণ-হত্যা

(১৬৩৫) আব্দুল্লাহ বিন আমর (রাঃ) কর্তৃক বর্ণিত, আল্লাহর রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, একজন মুসলিমকে খুন করার চাইতে জগৎ ধ্বংস হয়ে যাওয়া আল্লাহর নিকট অধিক সহজ।

عَنْ عَبْدِ اللهِ بْنِ عَمْرٍو عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ لَزَوَالُ الدُّنْيَا أَهْوَنُ عِنْدَ اللهِ مِنْ قَتْلِ رَجُلٍ مُسْلِمٍ

عن عبد الله بن عمرو عن النبي صلى الله عليه وسلم قال لزوال الدنيا اهون عند الله من قتل رجل مسلم

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
১৬/ দণ্ডবিধি
১৬৩৬

পরিচ্ছেদঃ প্রাণ-হত্যা

(১৬৩৬) ইবনে আব্বাস (রাঃ) কর্তৃক বর্ণিত, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, কিয়ামতের দিন খুন হয়ে নিহত ব্যক্তি তার খুনীকে তার মাথা ও কপালের চুল ধরে উপস্থিত করবে। আর সে সময় তার শিরাগুলো থেকে রক্তের ফিনকি ছুটবে। সে বলবে, ’হে আমার প্রতিপালক! আপনি একে জিজ্ঞাসা করুন, ও কেন আমাকে খুন করেছে?’ পরিশেষে সে তাকে আরশের নিকটবর্তী করবে।

عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ عَنِ النَّبِىِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ يَجِىءُ الْمَقْتُولُ بِالْقَاتِلِ يَوْمَ الْقِيَامَةِ نَاصِيَتُهُ وَرَأْسُهُ بِيَدِهِ وَأَوْدَاجُهُ تَشْخُبُ دَمًا يَقُولُ يَا رَبِّ هَذَا قَتَلَنِى حَتَّى يُدْنِيَهُ مِنَ الْعَرْشِ

عن ابن عباس عن النبى صلى الله عليه وسلم قال يجىء المقتول بالقاتل يوم القيامة ناصيته وراسه بيده واوداجه تشخب دما يقول يا رب هذا قتلنى حتى يدنيه من العرش

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
১৬/ দণ্ডবিধি
১৬৩৭

পরিচ্ছেদঃ প্রাণ-হত্যা

(১৬৩৭) উবাদাহ বিন সামেত (রাঃ) কর্তৃক বর্ণিত, আল্লাহর রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, যে ব্যক্তি কোন মুমিনকে হত্যা করে তা নিয়ে আনন্দ উপভোগ করবে সে ব্যক্তির নফল, ফরয কোন ইবাদতই আল্লাহ কবুল করবেন না।

عَنْ عُبَادَةَ بْنِ الصَّامِتِ عَنْ رَسُولِ اللهِ ﷺ أَنَّهُ قَالَ مَنْ قَتَلَ مُؤْمِنًا فَاعْتَبَطَ بِقَتْلِهِ لَمْ يَقْبَلِ اللهُ مِنْهُ صَرْفًا وَلاَ عَدْلاً

عن عبادة بن الصامت عن رسول الله ﷺ انه قال من قتل مومنا فاعتبط بقتله لم يقبل الله منه صرفا ولا عدلا

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
১৬/ দণ্ডবিধি
১৬৩৮

পরিচ্ছেদঃ প্রাণ-হত্যা

(১৬৩৮) আবূ হুরাইরা (রাঃ) কর্তৃক বর্ণিত, আবুল কাসেম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, যে ব্যক্তি তার (মুসলিম) ভাইয়ের প্রতি কোন লৌহদণ্ড (লোহার অস্ত্র) দ্বারা ইঙ্গিত করে সে ব্যক্তিকে ফিরিশতাবর্গ অভিশাপ করেন; যদিও সে তার নিজের সহোদর ভাই হোক না কেন। (অর্থাৎ, তাকে মারার ইচ্ছা না থাকলেও ইঙ্গিত করে ভয় দেখানো গোনাহর কাজ।)

عَنْ أَبِيْ هُرَيْرَةَ قَالَ قَالَ أَبُو الْقَاسِمِ ﷺ مَنْ أَشَارَ إِلَى أَخِيهِ بِحَدِيدَةٍ فَإِنَّ الْمَلاَئِكَةَ تَلْعَنُهُ حَتَّى وَإِنْ كَانَ أَخَاهُ لأَبِيهِ وَأُمِّهِ

عن ابي هريرة قال قال ابو القاسم ﷺ من اشار الى اخيه بحديدة فان الملاىكة تلعنه حتى وان كان اخاه لابيه وامه

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ আবূ হুরায়রা (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
১৬/ দণ্ডবিধি
১৬৩৯

পরিচ্ছেদঃ প্রাণ-হত্যা

(১৬৩৯) জুন্দুব বিন আব্দুল্লাহ (রাঃ) কর্তৃক বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, (মরণের পর) মানুষের যে অংশটি সবার আগে পঁচে দুর্গন্ধময় হবে তা হল তার পেট। সুতরাং যে ব্যক্তি সক্ষম যে, সে কেবল হালাল ছাড়া অন্য কিছু (হারাম) ভক্ষণ করবে না, সে যেন তা-ই করে। আর যে ব্যক্তি সক্ষম যে, সে আঁজলা পরিমাণ খুন বহিয়ে তার ও জান্নাতের মাঝে কোন অন্তরায় সৃষ্টি করবে না, সেও যেন তা-ই করে।

عن جندب بن عبد الله قَالَ : قَالَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِنَّ أَوَّلَ مَا يُنْتِنُ مِنْ الْإِنْسَانِ بَطْنُهُ فَمَنْ اسْتَطَاعَ أَنْ لَا يَأْكُلَ إِلَّا طَيِّبًا فَلْيَفْعَلْ وَمَنْ اسْتَطَاعَ أَنْ لَا يُحَالَ بَيْنَهُ وَبَيْنَ الْجَنَّةِ بِمِلْءِ كَفِّهِ مِنْ دَمٍ أَهْرَاقَهُ فَلْيَفْعَلْ

عن جندب بن عبد الله قال : قال رسول الله صلى الله عليه وسلم ان اول ما ينتن من الانسان بطنه فمن استطاع ان لا ياكل الا طيبا فليفعل ومن استطاع ان لا يحال بينه وبين الجنة بملء كفه من دم اهراقه فليفعل

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
১৬/ দণ্ডবিধি
১৬৪০

পরিচ্ছেদঃ প্রাণ-হত্যা

(১৬৪০) আবূ হুরাইরা (রাঃ) কর্তৃক বর্ণিত, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ’’যে ব্যক্তি শাসকের আনুগত্য থেকে বের হয়ে এবং জামাআত থেকে পৃথক হয়ে মারা যাবে সে ব্যক্তি জাহেলিয়াতের মরণ মরবে।

যে ব্যক্তি অন্ধ ফিতনার পতাকাতলে (হক-নাহক না জেনেই) যুদ্ধ করবে, অন্ধ পক্ষপাতিত্ব বা গোঁড়ামির ফলে ক্রুদ্ধ হবে অথবা অন্ধ পক্ষপাতিত্বের প্রতি আহবান করবে অথবা অন্ধ পক্ষপাতিত্বকে সাহায্য করবে, অতঃপর সে খুন হলে তার খুন জাহেলিয়াতের খুন।

আর যে ব্যক্তি আমার উম্মতের বিরুদ্ধে তরবারি বের করে ভালো-মন্দ সকল মানুষকে হত্যা করবে এবং তার মুমিনকেও হত্যা করতে ছাড়বে না, চুক্তিবদ্ধ মানুষের চুক্তিও পূরণ করবে না, সে ব্যক্তি আমার দলভুক্ত নয় এবং আমিও তার দলভুক্ত নই।

عَنْ أَبِى هُرَيْرَةَ عَنِ النَّبِىِّ ﷺ أَنَّهُ قَالَ مَنْ خَرَجَ مِنَ الطَّاعَةِ وَفَارَقَ الْجَمَاعَةَ فَمَاتَ مَاتَ مِيتَةً جَاهِلِيَّةً وَمَنْ قَاتَلَ تَحْتَ رَايَةٍ عُمِّيَّةٍ يَغْضَبُ لِعَصَبَةٍ أَوْ يَدْعُو إِلَى عَصَبَةٍ أَوْ يَنْصُرُ عَصَبَةً فَقُتِلَ فَقِتْلَةٌ جَاهِلِيَّةٌ وَمَنْ خَرَجَ عَلَى أُمَّتِى يَضْرِبُ بَرَّهَا وَفَاجِرَهَا وَلاَ يَتَحَاشَ مِنْ مُؤْمِنِهَا وَلاَ يَفِى لِذِى عَهْدٍ عَهْدَهُ فَلَيْسَ مِنِّى وَلَسْتُ مِنْهُ

عن ابى هريرة عن النبى ﷺ انه قال من خرج من الطاعة وفارق الجماعة فمات مات ميتة جاهلية ومن قاتل تحت راية عمية يغضب لعصبة او يدعو الى عصبة او ينصر عصبة فقتل فقتلة جاهلية ومن خرج على امتى يضرب برها وفاجرها ولا يتحاش من مومنها ولا يفى لذى عهد عهده فليس منى ولست منه

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ আবূ হুরায়রা (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
১৬/ দণ্ডবিধি
১৬৪১

পরিচ্ছেদঃ প্রাণ-হত্যা

(১৬৪১) আমর বিন শুআইব নিজ পিতা ও তিনি তাঁর দাদা হতে বর্ণনা ক’রে বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, আল্লাহ আযযা অজাল্লার সবচেয়ে বেশি অবাধ্য মানুষ সেই ব্যক্তি, যে আল্লাহর হারাম-সীমানার ভিতরে খুন করেছে অথবা যে তার খুনী নয়, তাকে খুন করেছে অথবা জাহেলী যুগের খুনের বদলা নিতে খুন করেছে।

عَنْ عَمْرِو بْنِ شُعَيْبٍ عَنْ أَبِيهِ عَنْ جَدِّهِ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللهِ ﷺ إِنَّ أَعْتَى النَّاسِ عَلَى اللهِ عَزَّ وَجَلَّ مَنْ قَتَلَ فِي حَرَمِ اللهِ أَوْ قَتَلَ غَيْرَ قَاتِلِهِ أَوْ قَتَلَ بِذُحُولِ الْجَاهِلِيَّةِ

عن عمرو بن شعيب عن ابيه عن جده قال: قال رسول الله ﷺ ان اعتى الناس على الله عز وجل من قتل في حرم الله او قتل غير قاتله او قتل بذحول الجاهلية

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
১৬/ দণ্ডবিধি
১৬৪২

পরিচ্ছেদঃ ব্যভিচার

(১৬৪২) আব্দুল্লাহ বিন যায়দ (রাঃ) বলেন, আমি শুনেছি, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, আরবের মরণ! আরবের মরণ! আমি তোমাদের উপর আমার সবচেয়ে অধিক যে জিনিসের ভয় হয়, তা হল ব্যভিচার ও গুপ্ত কুপ্রবৃত্তি।

وعَنْ عَبْدِ اللهِ بْنِ زيد رَضِيَ اللهُ عَنْهُ قَالَ سَمِعْتُ رَسُوْلَ الله صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقُوْلُ يَا نَعَايَا الْعَرَبِ يَا نَعَايَا الْعَرَبِ إِنَّ أَخْوَفَ مَا أَخَافُ عَلَيْكُمُ الزنا، وَالشَّهْوَةُ الْخَفِيَّةُ

وعن عبد الله بن زيد رضي الله عنه قال سمعت رسول الله صلى الله عليه وسلم يقول يا نعايا العرب يا نعايا العرب ان اخوف ما اخاف عليكم الزنا، والشهوة الخفية

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
১৬/ দণ্ডবিধি
১৬৪৩

পরিচ্ছেদঃ ব্যভিচার

(১৬৪৩) আবূ বারযাহ আসলামী (রাঃ) কর্তৃক বর্ণিত, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, আমি তোমাদের জন্য যে সকল জিনিস ভয় করি, তার মধ্যে অন্যতম হল তোমাদের উদর ও যৌন-সংক্রান্ত ভ্রষ্টকারী কুপ্রবৃত্তি এবং ভ্রষ্টকারী ফিতনা।

عَنْ أَبِي بَرْزَةَ الْأَسْلَمِيِّ عَنِ النَّبِيِّ ﷺ قَالَ إِنَّ مِمَّا أَخْشَى عَلَيْكُمْ شَهَوَاتِ الْغَيِّ فِي بُطُونِكُمْ وَفُرُوجِكُمْ وَمُضِلَّاتِ الْفِتَنِ

عن ابي برزة الاسلمي عن النبي ﷺ قال ان مما اخشى عليكم شهوات الغي في بطونكم وفروجكم ومضلات الفتن

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
১৬/ দণ্ডবিধি
১৬৪৪

পরিচ্ছেদঃ ব্যভিচার

(১৬৪৪) আবূ হুরাইরা (রাঃ) কর্তৃক বর্ণিত, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, নিশ্চয় আল্লাহ তাআলা আদম সন্তানের ব্যভিচারের অংশ লিখে দিয়েছেন, যা সে অবশ্যই পেয়ে থাকবে। সুতরাং চক্ষুর ব্যভিচার দর্শন, জিহ্বার ব্যভিচার হল কথন, মন আশা ও কামনা করে এবং জননেন্দ্রিয় তা সত্যায়ন অথবা মিথ্যায়ন করে।

عَنْ أَبِيْ هُرَيْرَةَ أَنَّ النَّبِىَّ ﷺ قَالَ إِنَّ اللهَ كَتَبَ عَلَى ابْنِ آدَمَ حَظَّهُ مِنَ الزِّنَى أَدْرَكَ ذَلِكَ لاَ مَحَالَةَ فَزِنَى الْعَيْنَيْنِ النَّظَرُ وَزِنَى اللِّسَانِ النُّطْقُ وَالنَّفْسُ تَمَنَّى وَتَشْتَهِى وَالْفَرْجُ يُصَدِّقُ ذَلِكَ أَوْ يُكَذِّبُهُ

عن ابي هريرة ان النبى ﷺ قال ان الله كتب على ابن ادم حظه من الزنى ادرك ذلك لا محالة فزنى العينين النظر وزنى اللسان النطق والنفس تمنى وتشتهى والفرج يصدق ذلك او يكذبه

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ আবূ হুরায়রা (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
১৬/ দণ্ডবিধি
১৬৪৫

পরিচ্ছেদঃ ব্যভিচার

(১৬৪৫) আবূ হুরাইরা (রাঃ) কর্তৃক বর্ণিত, আল্লাহর রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, কোন ব্যভিচারী যখন ব্যভিচার করে, তখন মু’মিন থাকা অবস্থায় সে ব্যভিচার করতে পারে না। কোন চোর যখন চুরি করে, তখন মু’মিন থাকা অবস্থায় সে চুরি করতে পারে না এবং কোন মদ্যপায়ী যখন মদ্যপান করে, তখন মু’মিন থাকা অবস্থায় সে মদ্যপান করতে পারে না।

عَنْ أَبِيْ هُرَيْرَةَ إِنَّ رَسُولَ اللهِ ﷺ قَالَ لاَ يَزْنِى الزَّانِي حِينَ يَزْنِي وَهُوَ مُؤْمِنٌ وَلاَ يَسْرِقُ السَّارِقُ حِينَ يَسْرِقُ وَهُوَ مُؤْمِنٌ وَلاَ يَشْرَبُ الْخَمْرَ حِينَ يَشْرَبُهَا وَهُوَ مُؤْمِنٌ

عن ابي هريرة ان رسول الله ﷺ قال لا يزنى الزاني حين يزني وهو مومن ولا يسرق السارق حين يسرق وهو مومن ولا يشرب الخمر حين يشربها وهو مومن

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ আবূ হুরায়রা (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
১৬/ দণ্ডবিধি
দেখানো হচ্ছেঃ থেকে ২০ পর্যন্ত, সর্বমোট ৬০ টি রেকর্ডের মধ্য থেকে পাতা নাম্বারঃ 1 2 3 পরের পাতা »