পরিচ্ছেদঃ ১. রোগভোগের সাওয়াব
৯৬৫। আইশা (রাঃ) হতে বর্ণিত আছে, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ যদি কোন মু’মিন ব্যক্তির দেহে কাটা বিদ্ধ হয় অথবা সে যদি এর চেয়ে বেশি কিছুতে আক্রান্ত হয় তবে এর বিনিময়ে আল্লাহ্ তা’আলা তাকে তার মর্যাদা এক ধাপ বাড়িয়ে দেন এবং তার একটি গুনাহ মাফ করে দেন। - সহীহ, রাওযুন নায়ীর (৮১৯), মুসলিম, বুখারী, সংক্ষিপ্ত
সাদ ইবনু আবূ ওয়াক্কাস, আবূ উবাইদা ইবনুল জাররাহ, আবু হুরাইরা, আবু উমামা, আবু সাঈদ, আনাস, আবদুল্লাহ ইবনু আমর, আসাদ ইবনু কুরয, জাবির, ইবনু আব্দুল্লাহ আবদুর রাহমান ইবনু আযহার ও আবু মূসা (রাঃ) হতেও এই অনুচ্ছেদে হাদীস বর্ণিত আছে। আইশা (রাঃ) বর্ণিত হাদীসটিকে আবু ঈসা হাসান সহীহ বলেছেন।
باب مَا جَاءَ فِي ثَوَابِ الْمَرِيضِ
حَدَّثَنَا هَنَّادٌ، حَدَّثَنَا أَبُو مُعَاوِيَةَ، عَنِ الأَعْمَشِ، عَنْ إِبْرَاهِيمَ، عَنِ الأَسْوَدِ، عَنْ عَائِشَةَ، قَالَتْ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " لاَ يُصِيبُ الْمُؤْمِنَ شَوْكَةٌ فَمَا فَوْقَهَا إِلاَّ رَفَعَهُ اللَّهُ بِهَا دَرَجَةً وَحَطَّ عَنْهُ بِهَا خَطِيئَةً " . قَالَ وَفِي الْبَابِ عَنْ سَعْدِ بْنِ أَبِي وَقَّاصٍ وَأَبِي عُبَيْدَةَ بْنِ الْجَرَّاحِ وَأَبِي هُرَيْرَةَ وَأَبِي أُمَامَةَ وَأَبِي سَعِيدٍ وَأَنَسٍ وَعَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَمْرٍو وَأَسَدِ بْنِ كُرْزٍ وَجَابِرِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ وَعَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ أَزْهَرَ وَأَبِي مُوسَى . قَالَ أَبُو عِيسَى حَدِيثُ عَائِشَةَ حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ .
Aishah narrated that:
The Messenger of Allah said: "The believer is not afflicted by the prick of a thorn or what is worse (or greater) than that, except that by it Allah raises him in rank and removes sin from him."
পরিচ্ছেদঃ ১. রোগভোগের সাওয়াব
৯৬৬। আবু সাঈদ আল-খুদরী (রাঃ) হতে বর্ণিত আছে, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ মু’মিন ব্যক্তির প্রতি যে কোন ধরণের দুঃখ-কষ্ট, দুশ্চিন্তা ও রোগ, এমনকি তুচ্ছ যেকোন চিন্তাই আসুক না কেন, এর বিনিময়ে আল্লাহ্ তা’আলা তার গুনাহসমূহ ক্ষমা করে দেন। -– হাসান সহীহ, সহীহাহ (২৫০৩), মুসলিম, বুখারী সংক্ষিপ্ত। বুখারী ও মুসলিমের বর্ণনায় আনহু সায়্যিয়াতিহির পরিবর্তে মিন সায়্যিয়াতিহী উল্লেখ আছে। আর উহাই সংরক্ষিত।
এই হাদীসটিকে আবু ঈসা হাসান বলেছেন। ওয়াকী বলেছেন, তিনি এই হাদীসটি ছাড়া আরকোন রিওয়ায়াতে দুশ্চিন্তাও যে গুনাহর কাফফারা হয় এমন কথা শুনেননি। আবু হুরাইরা (রাঃ)-এর সূত্রেও এই হাদীসটি কেউ কেউ বর্ণনা করেছেন।
باب مَا جَاءَ فِي ثَوَابِ الْمَرِيضِ
حَدَّثَنَا سُفْيَانُ بْنُ وَكِيعٍ، حَدَّثَنَا أَبِي، عَنْ أُسَامَةَ بْنِ زَيْدٍ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ عَمْرِو بْنِ عَطَاءٍ، عَنْ عَطَاءِ بْنِ يَسَارٍ، عَنْ أَبِي سَعِيدٍ الْخُدْرِيِّ، رضى الله عنه قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " مَا مِنْ شَيْءٍ يُصِيبُ الْمُؤْمِنَ مِنْ نَصَبٍ وَلاَ حَزَنٍ وَلاَ وَصَبٍ حَتَّى الْهَمُّ يَهُمُّهُ إِلاَّ يُكَفِّرُ اللَّهُ بِهِ عَنْهُ سَيِّئَاتِهِ " . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ فِي هَذَا الْبَابِ . قَالَ وَسَمِعْتُ الْجَارُودَ يَقُولُ سَمِعْتُ وَكِيعًا يَقُولُ لَمْ يُسْمَعْ فِي الْهَمِّ أَنَّهُ يَكُونُ كَفَّارَةً إِلاَّ فِي هَذَا الْحَدِيثِ . قَالَ وَقَدْ رَوَى بَعْضُهُمْ هَذَا الْحَدِيثَ عَنْ عَطَاءِ بْنِ يَسَارٍ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ رضى الله عنه عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم .
Abu Sa'eed Al-Khudri (may Allah be pleased with him) narrated that:
The Messenger of Allah said: "Nothing afflicts the believer, whether fatigue, grief, disease - even a worry that concerns him - except that by it, Allah removes something from his bad deeds."
পরিচ্ছেদঃ ২. রুগ্ন ব্যক্তিকে দেখতে যাওয়া
৯৬৭৷ সাওবান (রাঃ) হতে বর্ণিত আছে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ কোন মুসলিম তার কোন (রুগ্ন) মুসলিম ভাইকে দেখতে গেলে সে (যতক্ষণ সেখানে থাকে ততক্ষণ) যেন জান্নাতের ফল আহরণ করতে থাকে। – সহীহ, মুসলিম (৮/১৩)
আলী, আবু মূসা, বারাআ, আবু হুরাইরা, আনাস ও জাবির (রাঃ) হতেও এই অনুচ্ছেদে হাদীস বর্ণিত আছে। সাওবান (রাঃ) বর্ণিত হাদীসটিকে আবু ঈসা হাসান সহীহ বলেছেন। এই হাদীসটি আবু গিফার ও আসিম আল-আহওয়াল (রহঃ) এরকমই বৰ্ণনা করেছেন আবু কিলাবা হতে, তিনি আবুল আশআস হতে, তিনি আবু আসমা হতে, তিনি সাওবান (রাঃ)-এর সূত্রে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হতে।
তিরমিয়ী বলেন, মুহাম্মাদ আল-বুখারী (রাহঃ)-কে আমি বলতে শুনেছি, যারা আবুল আশআস হতে আবু আসমার সূত্রে এই হাদীস বর্ণনা করেছেন তাদের সনদসূত্র অধিকতর সহীহ। মুহাম্মাদ (বুখারী) আরও বলেছেনঃ আবু কিলাবার হাদীসগুলি আবূ আমরের সূত্রেই বর্ণিত, কিন্তু এই হাদীসটি আবুল আশ আসের বরাতে আবু আসমা হতেই আমি জানতে পেরেছি।
باب مَا جَاءَ فِي عِيَادَةِ الْمَرِيضِ
حَدَّثَنَا حُمَيْدُ بْنُ مَسْعَدَةَ، حَدَّثَنَا يَزِيدُ بْنُ زُرَيْعٍ، حَدَّثَنَا خَالِدٌ الْحَذَّاءُ، عَنْ أَبِي قِلاَبَةَ، عَنْ أَبِي أَسْمَاءَ الرَّحَبِيِّ، عَنْ ثَوْبَانَ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ " إِنَّ الْمُسْلِمَ إِذَا عَادَ أَخَاهُ الْمُسْلِمَ لَمْ يَزَلْ فِي خُرْفَةِ الْجَنَّةِ " . وَفِي الْبَابِ عَنْ عَلِيٍّ وَأَبِي مُوسَى وَالْبَرَاءِ وَأَبِي هُرَيْرَةَ وَأَنَسٍ وَجَابِرٍ . قَالَ أَبُو عِيسَى حَدِيثُ ثَوْبَانَ حَدِيثٌ حَسَنٌ . وَرَوَى أَبُو غِفَارٍ وَعَاصِمٌ الأَحْوَلُ هَذَا الْحَدِيثَ عَنْ أَبِي قِلاَبَةَ عَنْ أَبِي الأَشْعَثِ عَنْ أَبِي أَسْمَاءَ عَنْ ثَوْبَانَ عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم نَحْوَهُ . وَسَمِعْتُ مُحَمَّدًا يَقُولُ مَنْ رَوَى هَذَا الْحَدِيثَ عَنْ أَبِي الأَشْعَثِ عَنْ أَبِي أَسْمَاءَ فَهُوَ أَصَحُّ . قَالَ مُحَمَّدٌ وَأَحَادِيثُ أَبِي قِلاَبَةَ إِنَّمَا هِيَ عَنْ أَبِي أَسْمَاءَ إِلاَّ هَذَا الْحَدِيثَ فَهُوَ عِنْدِي عَنْ أَبِي الأَشْعَثِ عَنْ أَبِي أَسْمَاءَ .
Thawban narrated that :
the Prophet said: "Indeed the Muslim remains in the Khurfah (harvest) of Paradise while he visits his brother Muslim."
পরিচ্ছেদঃ ২. রুগ্ন ব্যক্তিকে দেখতে যাওয়া
৯৬৮। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হতে সাওবান (রাঃ)-এর সূত্রে (উপরের হাদীসের) এরকমই বর্ণিত আছে। তবে এই বর্ণনাতে আরো আছেঃ প্রশ্ন করা হল, ’খুরফাতুল জান্নাত কি? তিনি বলেনঃ এটা হচ্ছে জান্নাতের কুড়ানো ফল। — সহীহ, মুসলিম
উপরোক্ত হাদীসের মতই রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হতে আহমাদ ইবনু আবদা আয-যাববী (রাহঃ)....সাওবান (রাঃ) সূত্রে বর্ণিত আছে। কিন্তু এই সনদে আবুল-আশআসের উল্লেখ নেই। আবু ঈসা বলেন, হাম্মাদ ইবনু যাইদ হতেও এই হাদীসকে কেউ কেউ বর্ণনা করেছেন, কিন্তু তারা মারফুহিসেবে বর্ণনা করেননি।
باب مَا جَاءَ فِي عِيَادَةِ الْمَرِيضِ
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ وَزِيرٍ الْوَاسِطِيُّ، حَدَّثَنَا يَزِيدُ بْنُ هَارُونَ، عَنْ عَاصِمٍ الأَحْوَلِ، عَنْ أَبِي قِلاَبَةَ، عَنْ أَبِي الأَشْعَثِ، عَنْ أَبِي أَسْمَاءَ، عَنْ ثَوْبَانَ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم نَحْوَهُ . وَزَادَ فِيهِ قِيلَ مَا خُرْفَةُ الْجَنَّةِ قَالَ " جَنَاهَا " .
حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ عَبْدَةَ الضَّبِّيُّ، حَدَّثَنَا حَمَّادُ بْنُ زَيْدٍ، عَنْ أَيُّوبَ، عَنْ أَبِي قِلاَبَةَ، عَنْ أَبِي أَسْمَاءَ، عَنْ ثَوْبَانَ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم نَحْوَ حَدِيثِ خَالِدٍ . وَلَمْ يَذْكُرْ فِيهِ عَنْ أَبِي الأَشْعَثِ . قَالَ أَبُو عِيسَى وَرَوَاهُ بَعْضُهُمْ عَنْ حَمَّادِ بْنِ زَيْدٍ وَلَمْ يَرْفَعْهُ .
(Another chain) from Thawban who narrated that:
The Prophet said similarly, but he added in it: "They said: 'What is the Khurfah of Paradise?' And he said: "Its harvest."
পরিচ্ছেদঃ ২. রুগ্ন ব্যক্তিকে দেখতে যাওয়া
৯৬৯। সুওয়াইর (রহঃ) হতে তার পিতার সূত্রে বর্ণিত আছে, তিনি বলেন, আমার হাত ধরে আলী (রাঃ) বললেন, আমার সাথে চল, অসুস্থ হুসাইনকে দেখে আসি। আমরা তার নিকটে গিয়ে মূসা (রাঃ)-কে হাযির পেলাম। আলী (রাঃ) বললেন, হে আবু মূসা। আপনি কি রোগী দেখতে এসেছেন না এমনি বেড়াতে এসেছেন? তিনি বললেন, না, রোগী দেখতে এসেছি। আলী (রাঃ) বললেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে আমি বলতে শুনেছিঃ কোন মুসলিম যদি অন্যকোন মুসলিম রোগীকে সকাল বেলা দেখতে যায় তাহলে সত্তর হাজার ফিরিশতা তার জন্য সন্ধ্যা পর্যন্ত দুআ করতে থাকে। সে যদি সন্ধ্যায় তাকে দেখতে যায় তবে সত্তর হাজার ফিরিশতা ভোর পর্যন্ত তার জন্য দু’আ করতে থাকে এবং জান্নাতে তার জন্য একটি ফলের বাগান তৈরী হয়।
— সহীহ, তবে হাদীসে বর্ণিত যায়িরাণ শব্দের পরিবর্তে শামিতান শব্দ আছে। -সহীহাহ (১৩৬৭), আর-রা ওয (১১৫৫)
এই হাদীসটিকে আবু ঈসা হাসান গারীব বলেছেন। এটি একাধিকসূত্রে আলী (রাঃ) হতে বর্ণিত আছে। এটিকে মারফু না করে কেউ কেউ মাওকুফ হিসেবে বর্ণনা করেছেন। বর্ণনাকারী আবু ফাখিতার নাম সাঈদ, পিতার নাম ইলাকা।
باب مَا جَاءَ فِي عِيَادَةِ الْمَرِيضِ
حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ مَنِيعٍ، حَدَّثَنَا الْحُسَيْنُ بْنُ مُحَمَّدٍ، حَدَّثَنَا إِسْرَائِيلُ، عَنْ ثُوَيْرٍ، هُوَ ابْنُ أَبِي فَاخِتَةَ عَنْ أَبِيهِ، قَالَ أَخَذَ عَلِيٌّ بِيَدِي قَالَ انْطَلِقْ بِنَا إِلَى الْحَسَنِ نَعُودُهُ . فَوَجَدْنَا عِنْدَهُ أَبَا مُوسَى فَقَالَ عَلِيٌّ عَلَيْهِ السَّلاَمُ أَعَائِدًا جِئْتَ يَا أَبَا مُوسَى أَمْ زَائِرًا فَقَالَ لاَ بَلْ عَائِدًا . فَقَالَ عَلِيٌّ سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ " مَا مِنْ مُسْلِمٍ يَعُودُ مُسْلِمًا غُدْوَةً إِلاَّ صَلَّى عَلَيْهِ سَبْعُونَ أَلْفَ مَلَكٍ حَتَّى يُمْسِيَ وَإِنْ عَادَهُ عَشِيَّةً إِلاَّ صَلَّى عَلَيْهِ سَبْعُونَ أَلْفَ مَلَكٍ حَتَّى يُصْبِحَ وَكَانَ لَهُ خَرِيفٌ فِي الْجَنَّةِ " . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ غَرِيبٌ وَقَدْ رُوِيَ عَنْ عَلِيٍّ هَذَا الْحَدِيثُ مِنْ غَيْرِ وَجْهٍ مِنْهُمْ مَنْ وَقَفَهُ وَلَمْ يَرْفَعْهُ . وَأَبُو فَاخِتَةَ اسْمُهُ سَعِيدُ بْنُ عِلاَقَةَ .
Thuwair [and he is Ibn Abi Fakhitah] narrated that :
His father said: "Ali took me by the hand and said: 'Come with us to pay a visit to Al-Hasan.' So we found that Abu Musa was with him.' Ali - peace be upon him - said: 'O Abu Musa! Did you come to visit (the sick) or merely (stop by to) visit?' He said: 'No, to visit (the sick).' So Ali said: 'I heard the Messenger of Allah saying: "No Muslim visits (the sick) Muslims in the morning, except that sevety-thousand angels, sent Salat upon him until the evening, and he does not visit at night except that seventy thousand angels sent Salat upon him until the morning, and there will be a garden for him in Paradise."
পরিচ্ছেদঃ ৩. মৃত্যু কামনা করা নিষেধ
৯৭০। হারিসা ইবনু মুযাররিব (রাহঃ) হতে বর্ণিত আছে, তিনি বলেন, একদা খাববাব (রাঃ)-এর নিকট আমি হাযির হলাম। তখন তার পেটে (গরম কিছু দিয়ে) তিনি সেঁক দিচ্ছিলেন। তিনি বললেন, আমি যত বিপদের সম্মুখীন হয়েছি, জানি না, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের আর কোন সাহাবী এত বিপদের সম্মুখীন হয়েছেন কি-না। একটি দিরহামও আমার নিকটে ছিল না (নিঃস্ব ছিলাম) রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের যুগে। আর এখন চল্লিশহাজার দিরহাম আমার ঘরের কোণে পড়ে আছে। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যদি আমাদেরকে মৃত্যু কামনা করতে নিষেধ না করতেন তবে অবশ্যই আমি মৃত্যু কামনা করতাম।
— সহীহ, আহকামুল জানায়িয (৫৯), নাসাঈতে শুধুমাত্র মৃত্যু কামনা নিষেধ বর্ণিত আছে।
আবু হুরাইরা, আনাস ও জাবির (রাঃ) হতেও এই অনুচ্ছেদে হাদীস বর্ণিত আছে। খাববাব (রাঃ) বর্ণিত হাদীসটিকে আবূ ঈসা হাসান সহীহ বলেছেন।
باب مَا جَاءَ فِي النَّهْىِ عَنِ التَّمَنِّي، لِلْمَوْتِ
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ بَشَّارٍ، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ جَعْفَرٍ، حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، عَنْ أَبِي إِسْحَاقَ، عَنْ حَارِثَةَ بْنِ مُضَرِّبٍ، قَالَ دَخَلْتُ عَلَى خَبَّابٍ وَقَدِ اكْتَوَى فِي بَطْنِهِ فَقَالَ مَا أَعْلَمُ أَحَدًا مِنْ أَصْحَابِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم لَقِيَ مِنَ الْبَلاَءِ مَا لَقِيتُ لَقَدْ كُنْتُ وَمَا أَجِدُ دِرْهَمًا عَلَى عَهْدِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم وَفِي نَاحِيَةٍ مِنْ بَيْتِي أَرْبَعُونَ أَلْفًا وَلَوْلاَ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم نَهَانَا - أَوْ نَهَى - أَنْ نَتَمَنَّى الْمَوْتَ لَتَمَنَّيْتُ . قَالَ وَفِي الْبَابِ عَنْ أَنَسٍ وَأَبِي هُرَيْرَةَ وَجَابِرٍ . قَالَ أَبُو عِيسَى حَدِيثُ خَبَّابٍ حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ .
وَقَدْ رُوِيَ عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم أَنَّهُ قَالَ " لاَ يَتَمَنَّيَنَّ أَحَدُكُمُ الْمَوْتَ لِضُرٍّ نَزَلَ بِهِ وَلْيَقُلِ اللَّهُمَّ أَحْيِنِي مَا كَانَتِ الْحَيَاةُ خَيْرًا لِي وَتَوَفَّنِي إِذَا كَانَتِ الْوَفَاةُ خَيْرًا لِي ."
Harithah bin Mudarrib said:
"I entered upon Khabab and he had been cauterized on his stomach. He said: 'I do not know any of the Companions of the Prophet who met with the trial I have met with. Indeed I could not find a Dirham during the time of the Prophet, and (now) outside my house there are forty thousand. If it were not that the Messenger of Allah forbade us' - or: 'forbade' - 'from wishing for death, then I would wish for it.'"
পরিচ্ছেদঃ ৩. মৃত্যু কামনা করা নিষেধ
৯৭১। আনাস ইবনু মালিক (রাঃ) হতে বর্ণিত আছে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ তোমাদের মাঝে কোন লোক যেন কোন দুঃখ-কষ্টে জড়িয়ে পড়ার কারণে মৃত্যু কামনা না করে। বরং সে যেন বলে, হে আল্লাহ! যে পর্যন্ত বেঁচে থাকা আমার জন্য কল্যাণকর হয় আমাকে সে পর্যন্ত বাচিয়ে রাখ এবং আমার জন্য যখন মৃত্যু কল্যাণকর হয় তখন আমাকে মৃত্যু দাও।
— সহীহ, ইবনু মাজাহ (৪২৬৫), বুখারী, মুসলিম
হাদীসটি বর্ণনা করেছেন আলী ইবনু হুজুর ইসমাঈল ইবনু ইবরাহীম হতে, তিনি আব্দুল আযীয ইবনু সুহাইব হতে, তিনি আনাস ইবনু মালিক হতে তিনি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হতে।
এই হাদীসটিকে আবু ঈসা হাসান সহীহ বলেছেন।
باب مَا جَاءَ فِي النَّهْىِ عَنِ التَّمَنِّي، لِلْمَوْتِ
وَقَدْ رُوِيَ عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم أَنَّهُ قَالَ " لاَ يَتَمَنَّيَنَّ أَحَدُكُمُ الْمَوْتَ لِضُرٍّ نَزَلَ بِهِ وَلْيَقُلِ اللَّهُمَّ أَحْيِنِي مَا كَانَتِ الْحَيَاةُ خَيْرًا لِي وَتَوَفَّنِي إِذَا كَانَتِ الْوَفَاةُ خَيْرًا لِي ."
حَدَّثَنَا بِذَلِكَ عَلِيُّ بْنُ حُجْرٍ أَخْبَرَنَا إِسْمَاعِيلُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ أَخْبَرَنَا عَبْدُ الْعَزِيزِ بْنُ صُهَيْبٍ عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم بِذَلِكَ . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ .
পরিচ্ছেদঃ ৪. ঝাড়ফুঁকের মাধ্যমে রোগীর জন্য (আল্লাহ তা'আলার) আশ্রয় প্রার্থনা করা
৯৭২। আবু সাঈদ (রাঃ) হতে বর্ণিত আছে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের নিকটে জিবরীল (আঃ) এসে বললেন, হে মুহাম্মাদ! আপনি কি অসুস্থ? তিনি বললেন, হ্যাঁ। তখন জিবরল (আঃ) পাঠ করলেনঃ “আমি আপনাকে আল্লাহ তা’আলার নামে ঝাড়ছি এমন সকল কিছু হতে যা আপনাকে কষ্ট দেয় এবং সকল প্রকার অনিষ্টকর প্রাণী ও সকল হিংসুটে দৃষ্টি হতে। আল্লাহ্ তা’আলার নামে আমি আপনাকে ঝাড়ছি, আপনাকে আল্লাহ্ তা’আলা সুস্থতা দান করুন।
— সহীহ, ইবনু মা-জাহ (৩৫২৩), মুসলিম
باب مَا جَاءَ فِي التَّعَوُّذِ لِلْمَرِيضِ
حَدَّثَنَا بِشْرُ بْنُ هِلاَلٍ الْبَصْرِيُّ الصَّوَّافُ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الْوَارِثِ بْنُ سَعِيدٍ، عَنْ عَبْدِ الْعَزِيزِ بْنِ صُهَيْبٍ، عَنْ أَبِي نَضْرَةَ، عَنْ أَبِي سَعِيدٍ، أَنَّ جِبْرِيلَ، أَتَى النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم فَقَالَ يَا مُحَمَّدُ اشْتَكَيْتَ قَالَ " نَعَمْ " . قَالَ بِاسْمِ اللَّهِ أَرْقِيكَ مِنْ كُلِّ شَيْءٍ يُؤْذِيكَ مِنْ شَرِّ كُلِّ نَفْسٍ وَعَيْنِ حَاسِدٍ بِاسْمِ اللَّهِ أَرْقِيكَ وَاللَّهُ يَشْفِيكَ .
Abu Sa'eed narrated that:
Jibril came to the Prophet and said: "O Muhammad! Are you suffering?" He said: "Yes." He said: "In the Name of Allah, I recite a prayer (Ruqyah) over you, from the evil of every person and evil eye. In the Name of Allah I recite a prayer (Ruqyah) over you, may Allah cure you."
পরিচ্ছেদঃ ৪. ঝাড়ফুঁকের মাধ্যমে রোগীর জন্য (আল্লাহ তা'আলার) আশ্রয় প্রার্থনা করা
৯৭৩। আবদুল আযীয ইবনু সুহাইব (রহঃ) হতে বর্ণিত আছে, তিনি বলেন, আমি ও সাবিত আল-বুনানী আনাস (রাঃ)-এর নিকটে গেলাম। সাবিত বললেন, হে আবু হামযা! আমি অসুস্থ অনুভব করছি। আনাস (রাঃ) বললেন, আমি কি তোমাকে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের ঝাড়ফুকের দু’আ পাঠ করে ঝাড়ব না? তিনি বললেন, হ্যাঁ। আনাস (রাঃ) বললেনঃ “হে আল্লাহ, মানবজাতির প্রভু! কষ্ট-ক্লেশ বিতাড়নকারী, রোগ হতে আপনি মুক্তি দিন, নিরাময়কারী তো আপনিই, আর কোন সুস্থতা দানকারী নেই আপনি ব্যতীত। এমন সুস্থতা আপনি দান করুন আর কোন রোগ যেন থাকতে না পারে"।
— সহীহ, বুখারী
আনাস ও আইশ (রাঃ) হতেও এই অনুচ্ছেদে হাদীস বর্ণিত আছে। আবু সাঈদ (রাঃ) হতে বর্ণিত হাদীসটিকে আবু ঈসা হাসান সহীহ বলেছেন। তিনি বলেন, আবু যুরআকে আমি প্রশ্ন করলামঃ বেশি সহীহ কোনটি, আবদুল আযীয-আবু নাযরা হতে তিনি আবু সাঈদ (রাঃ)-এর সূত্রে বর্ণিত রিওয়ায়াতটি না আবদুল আযীয-আনাস (রাঃ)-এর সূত্রে বর্ণিত হাদীসটি? তিনি উভয় হাদীসকেই সহীহ বলেছেন। আব্দুস সামাদ ইবনু আবদুল ওয়ারিস তার পিতা হতে আব্দুল আযীয ইবনু সুহাইব হতে, তিনি আবু নাযরা হতে, তিনি আবু সাঈদ হতে এবং আব্দুল আযীয ইবনু সুহাইব হতে, তিনি আনাস (রাঃ) হতে হাদীসটি বর্ণনা করেছেন।
باب مَا جَاءَ فِي التَّعَوُّذِ لِلْمَرِيضِ
حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الْوَارِثِ بْنُ سَعِيدٍ، عَنْ عَبْدِ الْعَزِيزِ بْنِ صُهَيْبٍ، قَالَ دَخَلْتُ أَنَا وَثَابِتٌ الْبُنَانِيُّ، عَلَى أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ فَقَالَ ثَابِتٌ يَا أَبَا حَمْزَةَ اشْتَكَيْتُ . فَقَالَ أَنَسٌ أَفَلاَ أَرْقِيكَ بِرُقْيَةِ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ بَلَى . قَالَ " اللَّهُمَّ رَبَّ النَّاسِ مُذْهِبَ الْبَاسِ اشْفِ أَنْتَ الشَّافِي لاَ شَافِيَ إِلاَّ أَنْتَ شِفَاءً لاَ يُغَادِرُ سَقَمًا " . قَالَ وَفِي الْبَابِ عَنْ أَنَسٍ وَعَائِشَةَ . قَالَ أَبُو عِيسَى حَدِيثُ أَبِي سَعِيدٍ حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ . وَسَأَلْتُ أَبَا زُرْعَةَ عَنْ هَذَا الْحَدِيثِ فَقُلْتُ لَهُ رِوَايَةُ عَبْدِ الْعَزِيزِ عَنْ أَبِي نَضْرَةَ عَنْ أَبِي سَعِيدٍ أَصَحُّ أَوْ حَدِيثُ عَبْدِ الْعَزِيزِ عَنْ أَنَسٍ قَالَ كِلاَهُمَا صَحِيحٌ . وَرَوَى عَبْدُ الصَّمَدِ بْنُ عَبْدِ الْوَارِثِ عَنْ أَبِيهِ عَنْ عَبْدِ الْعَزِيزِ بْنِ صُهَيْبٍ عَنْ أَبِي نَضْرَةَ عَنْ أَبِي سَعِيدٍ وَعَنْ عَبْدِ الْعَزِيزِ بْنِ صُهَيْبٍ عَنْ أَنَسٍ .
Abdul-Aziz bin Suhaib said:
"Thabit Al-Bunani and I entered upon Anas bin Malik, and Thabit said: 'O Abu Hamzah! I am suffering from an illness. So Anas said: 'Shall I not recite the Ruqyah of the Messenger of Allah over you?' He said: 'Why, yes.' He said: 'O Allah! Lord of mankind, removed the harm, and cure (him). Indeed You are the One Who cures, there is none who cures except you, a cure that leaves no disease.'"
পরিচ্ছেদঃ ৫. ওয়াসিয়াতের জন্য উৎসাহ দেওয়া
৯৭৪। ইবনু উমার (রাঃ) হতে বর্ণিত আছে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ যদি ওয়াসিয়াত করার মত সম্পদ কোন মুসলিম ব্যক্তির নিকট থাকে তবে নিজের নিকট ওয়াসিয়াতনামা লিখে না রেখে সেলোক যেন দুই রাতও অতিবাহিত না করে।
- সহীহ, ইবনু মা-জাহ (২৬৯৯),বুখারী, মুসলিম
ইবনু আবু আওফা (রাঃ) হতেও এই অনুচ্ছেদে হাদীস বর্ণিত আছে। ইবনু উমর (রাঃ)-এর হাদীসটিকে আবূ ঈসা হাসন সহীহ বলেছেন।
باب مَا جَاءَ فِي الْحَثِّ عَلَى الْوَصِيَّةِ
حَدَّثَنَا إِسْحَاقُ بْنُ مَنْصُورٍ، أَخْبَرَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ نُمَيْرٍ، حَدَّثَنَا عُبَيْدُ اللَّهِ بْنُ عُمَرَ، عَنْ نَافِعٍ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ " مَا حَقُّ امْرِئٍ مُسْلِمٍ يَبِيتُ لَيْلَتَيْنِ وَلَهُ شَيْءٌ يُوصِي فِيهِ إِلاَّ وَوَصِيَّتُهُ مَكْتُوبَةٌ عِنْدَهُ " . قَالَ وَفِي الْبَابِ عَنِ ابْنِ أَبِي أَوْفَى . قَالَ أَبُو عِيسَى حَدِيثُ ابْنِ عُمَرَ حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ .
Ibn Umar narrated that:
The Messenger of Allah said: "A Muslim man has no right to spend two nights while he has something to will, except while his will is recorded with him."
পরিচ্ছেদঃ ৬. এক-তৃতীয়াংশ বা এক-চতুর্থাংশ - সম্পদের ওয়াসিয়াত করা
৯৭৫। সা’দ ইবনু মালিক (রাঃ) হতে বর্ণিত আছে, তিনি বলেন, আমি অসুস্থ হলে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাকে দেখতে এলেন। তিনি বললেনঃ তুমি কি ওয়াসিয়াত করেছ? আমি বললাম, হ্যাঁ। তিনি বললেনঃ কতটুকু? আমি বললাম, আল্লাহ্ তা’আলার রাস্তায় আমার সবটুকু সম্পদ দিয়ে দিয়েছি। তিনি বললেনঃ তোমার সন্তানদের জন্য কি রাখলে? তিনি বললেন, তারা বেশ ধনী। তিনি বললেনঃ দশ ভাগের এক অংশ ওয়াসিয়াত কর। সা’দ (রাঃ) বলেন, আমি বরাবর “তা খুবই কম” বলতে লাগলাম। তিনি শেষে বললেনঃ ওয়াসিয়াত কর তিন ভাগের এক অংশ। আর তিন ভাগের এক অংশও বেশি হয়ে যাচ্ছে।
– সহীহ, ইরওয়া (৮৯৯), সহীহ আবু দাউদ (২৫৫০), বুখারী, মুসলিম, দশভাগের একভাগ ওয়াসিয়াত কর এই অংশ বাদে। এ অংশটুকু যঈফ।
আবু আব্দুর রহমান বলেন, আমরা এক-তৃতীয়াংশের কম ওয়াসিয়াত করাকে মুস্তাহাব মনে করি। কেননা, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ এক-তৃতীয়াংশও অনেক বেশি।
ইবনু আব্বাস (রাঃ) হতেও এই অনুচ্ছেদে হাদীস বর্ণিত আছে। সা’দ (রাঃ) হতে বর্ণিত হাদীসটিকে আবু ঈসা হাসান সহীহ বলেছেন। এটি একাধিকসূত্রে বর্ণিত আছে। কোন কোন বর্ণনায় কাবীর” শব্দ এবং কোন কোন বর্ণনায় ’কাসীর” শব্দের উল্লেখ রয়েছে।
এই হাদীস অনুযায়ী আলিমগণ আমল করার কথা বলেছেন। তারাএক-তৃতীয়াংশের বেশী পরিমান ওয়াসিয়াত করাকে জাইয মনে করেন না বরংএক-তৃতীয়াংশেরও কম সম্পদ ওয়াসিয়াত করাকে মুস্তাহাব মনে করেন।
সুফিয়ান সাওরী বলেনঃ এক-চতুর্থাংশের চেয়ে এক-পঞ্চমাংশ এবং এক-তৃতীয়াংশের চেয়ে এক-চতুর্থাংশ ওয়াসিয়াত করাকে পূর্ববর্তী আলিমগণ মুস্তাহাব মনে করতেন। এক-তৃতীয়াংশ পরিমাণ সম্পত্তি যে লোক ওয়াসিয়াত করল সে লোক তো আর কিছু রাখল না। তার জন্য এক-তৃতীয়াংশের বেশি ওয়াসিয়াত করা জায়িয নয়।
حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ، حَدَّثَنَا جَرِيرٌ، عَنْ عَطَاءِ بْنِ السَّائِبِ، عَنْ أَبِي عَبْدِ الرَّحْمَنِ السُّلَمِيِّ، عَنْ سَعْدِ بْنِ مَالِكٍ، قَالَ عَادَنِي رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم وَأَنَا مَرِيضٌ فَقَالَ " أَوْصَيْتَ " . قُلْتُ نَعَمْ . قَالَ " بِكَمْ " . قُلْتُ بِمَالِي كُلِّهِ فِي سَبِيلِ اللَّهِ . قَالَ " فَمَا تَرَكْتَ لِوَلَدِكَ " . قُلْتُ هُمْ أَغْنِيَاءُ بِخَيْرٍ . قَالَ " أَوْصِ بِالْعُشْرِ " . فَمَا زِلْتُ أُنَاقِصُهُ حَتَّى قَالَ " أَوْصِ بِالثُّلُثِ وَالثُّلُثُ كَثِيرٌ " . قَالَ أَبُو عَبْدِ الرَّحْمَنِ وَنَحْنُ نَسْتَحِبُّ أَنْ يَنْقُصَ مِنَ الثُّلُثِ لِقَوْلِ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " وَالثُّلُثُ كَثِيرٌ " . قَالَ وَفِي الْبَابِ عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ . قَالَ أَبُو عِيسَى حَدِيثُ سَعْدٍ حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ وَقَدْ رُوِيَ عَنْهُ مِنْ غَيْرِ وَجْهٍ وَقَدْ رُوِيَ عَنْهُ " وَالثُّلُثُ كَبِيرٌ " . وَالْعَمَلُ عَلَى هَذَا عِنْدَ أَهْلِ الْعِلْمِ لاَ يَرَوْنَ أَنْ يُوصِيَ الرَّجُلُ بِأَكْثَرَ مِنَ الثُّلُثِ وَيَسْتَحِبُّونَ أَنْ يَنْقُصَ مِنَ الثُّلُثِ . قَالَ سُفْيَانُ الثَّوْرِيُّ كَانُوا يَسْتَحِبُّونَ فِي الْوَصِيَّةِ الْخُمُسَ دُونَ الرُّبُعِ وَالرُّبُعَ دُونَ الثُّلُثِ وَمَنْ أَوْصَى بِالثُّلُثِ فَلَمْ يَتْرُكْ شَيْئًا وَلاَ يَجُوزُ لَهُ إِلاَّ الثُّلُثُ .
حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ، حَدَّثَنَا جَرِيرٌ، عَنْ عَطَاءِ بْنِ السَّائِبِ، عَنْ أَبِي عَبْدِ الرَّحْمَنِ السُّلَمِيِّ، عَنْ سَعْدِ بْنِ مَالِكٍ، قَالَ عَادَنِي رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم وَأَنَا مَرِيضٌ فَقَالَ " أَوْصَيْتَ " . قُلْتُ نَعَمْ . قَالَ " بِكَمْ " . قُلْتُ بِمَالِي كُلِّهِ فِي سَبِيلِ اللَّهِ . قَالَ " فَمَا تَرَكْتَ لِوَلَدِكَ " . قُلْتُ هُمْ أَغْنِيَاءُ بِخَيْرٍ . قَالَ " أَوْصِ بِالْعُشْرِ " . فَمَا زِلْتُ أُنَاقِصُهُ حَتَّى قَالَ " أَوْصِ بِالثُّلُثِ وَالثُّلُثُ كَثِيرٌ " . قَالَ أَبُو عَبْدِ الرَّحْمَنِ وَنَحْنُ نَسْتَحِبُّ أَنْ يَنْقُصَ مِنَ الثُّلُثِ لِقَوْلِ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " وَالثُّلُثُ كَثِيرٌ " . قَالَ وَفِي الْبَابِ عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ . قَالَ أَبُو عِيسَى حَدِيثُ سَعْدٍ حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ وَقَدْ رُوِيَ عَنْهُ مِنْ غَيْرِ وَجْهٍ وَقَدْ رُوِيَ عَنْهُ " وَالثُّلُثُ كَبِيرٌ " . وَالْعَمَلُ عَلَى هَذَا عِنْدَ أَهْلِ الْعِلْمِ لاَ يَرَوْنَ أَنْ يُوصِيَ الرَّجُلُ بِأَكْثَرَ مِنَ الثُّلُثِ وَيَسْتَحِبُّونَ أَنْ يَنْقُصَ مِنَ الثُّلُثِ . قَالَ سُفْيَانُ الثَّوْرِيُّ كَانُوا يَسْتَحِبُّونَ فِي الْوَصِيَّةِ الْخُمُسَ دُونَ الرُّبُعِ وَالرُّبُعَ دُونَ الثُّلُثِ وَمَنْ أَوْصَى بِالثُّلُثِ فَلَمْ يَتْرُكْ شَيْئًا وَلاَ يَجُوزُ لَهُ إِلاَّ الثُّلُثُ .
Sa'd bin Malik said:
"The Messenger of Allah came to visit me while I was sick. He said: 'Do you have a will?' I said: 'Yes.' He said: 'For how much?' I said: 'All of my wealth, for the cause of Allah.' He said: 'What did you leave for your children?'" He (Sa'd) said: "They are rich in goodness.' He said: 'Will a tenth.'" He (Sa'd) said: "He (pbuh) continued decreasing it until he said: 'Will a third, and a third is too great.'" (One of the narrators:) Abdur-Rahman said: "We considered it recommended that it be less than a third, since the Messenger of Allah said: 'And a third is too great.'"
পরিচ্ছেদঃ ৭. অন্তিম সময়ের লোককে তালকীন দেয়া এবং তার জন্য দু’আ করা
৯৭৬। আবু সাঈদ খুদরী (রাঃ) হতে বর্ণিত আছে, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ তোমরা তোমাদের মাঝে অন্তিম সময়ের ব্যক্তিদের উদ্দেশ্যে "লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ" পাঠ করে শুনাও।
— সহীহ, ইবনু মা-জাহ (১৪৪৪, ১৪৪৫), মুসলিম
আবূ হুরায়রা, উম্মু সালামা, আইশ, জাবির ও তালহা ইবনু উবাইদুল্লাহ (রাঃ)-এর স্ত্রী সু’দা আল-মুরিয়্যা (রাঃ) হতেও এই অনুচ্ছেদে হাদীস বর্ণিত আছে। আবু সাঈদ (রাঃ) হতে বর্ণিত হাদীসটিকে আবু ঈসা হাসান গারীব সহীহ বলেছেন।
باب مَا جَاءَ فِي تَلْقِينِ الْمَرِيضِ عِنْدَ الْمَوْتِ وَالدُّعَاءِ لَهُ عِنْدَهُ
حَدَّثَنَا أَبُو سَلَمَةَ، يَحْيَى بْنُ خَلَفٍ الْبَصْرِيُّ حَدَّثَنَا بِشْرُ بْنُ الْمُفَضَّلِ، عَنْ عُمَارَةَ بْنِ غَزِيَّةَ، عَنْ يَحْيَى بْنِ عُمَارَةَ، عَنْ أَبِي سَعِيدٍ الْخُدْرِيِّ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ " لَقِّنُوا مَوْتَاكُمْ لاَ إِلَهَ إِلاَّ اللَّهُ " . قَالَ وَفِي الْبَابِ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ وَأُمِّ سَلَمَةَ وَعَائِشَةَ وَجَابِرٍ وَسُعْدَى الْمُرِّيَّةِ وَهِيَ امْرَأَةُ طَلْحَةَ بْنِ عُبَيْدِ اللَّهِ . قَالَ أَبُو عِيسَى حَدِيثُ أَبِي سَعِيدٍ حَدِيثٌ حَسَنٌ غَرِيبٌ صَحِيحٌ .
Abu Sa'eed Al-Khudri narrated that:
The Prophet said: "Instruct your dying to say: (La illaha illallah) 'None has the right to be worshipped but Allah'
পরিচ্ছেদঃ ৭. অন্তিম সময়ের লোককে তালকীন দেয়া এবং তার জন্য দু’আ করা
৯৭৭৷ উম্মু সালামা (রাঃ) হতে বর্ণিত আছে, তিনি বলেন, আমাদেরকে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ কোন অসুস্থ বা মৃত লোকের নিকটে তোমরা হাযির হলে তার সম্বন্ধে ভাল কথা বলবে। কেননা, তোমরা যেসব কথা বল সে প্রসঙ্গে ফেরেশতাগণ আমীন বলে থাকেন। উম্মু সালামা (রাঃ) বলেন, আবু সালামা (রাঃ) মারা যাবার পর আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের নিকটে এসে বললাম, হে আল্লাহর রাসূল! আবু সালামা মারা গিয়েছে। তিনি বললেনঃ তুমি বল, “হে আল্লাহ! আমাকে এবং তাকে ক্ষমা করে দিন এবং তার পরে আমাকে তার চেয়ে আরও উত্তম পরিণতি দান করুন। উম্মু সালামা (রাঃ) বলেন, আমি বুঝতে পারলাম যে, আল্লাহ্ তা’আলা তার পরবর্তীতে আমাকে তার চাইতে উত্তম ব্যক্তি দান করেছেন। তিনি হচ্ছেন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম।
— সহীহ, ইবনু মা-জাহ (১৪৪৭), মুসলিম
শাকীক হচ্ছেন ইবনু সালামা আবু ওয়াইল আসাদী। উম্মু সালামা (রাঃ) বর্ণিত হাদীসটিকে আবু ঈসা হাসান সহীহ বলেছেন।
মুমূর্ষ রোগীকে লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ-এর তালকীন করা মুস্তাহাব। একদল আলিম বলেন, এই কালিমা যদি সে একবার পাঠ করে নেয় তবে পরে অন্যকথা না বললে পুনরায় তাকে তালকীন করা অনুচিত এবং বারবার এই বিষয়ে তাকে চাপ প্রয়োগ করা উচিত নয়। ইবনুল মুবারাকের মৃত্যুর সময় হাযির হলে তাকে কোন এক লোক লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ-এর তালকীন করতে থাকে এবং এই বিষয়ে বারবার তাকে তাকিদ করতে থাকে। তখন তিনি বললেন, আমি একবার তা বলেছি পরে অন্য কোন কথা না বলা পর্যন্ত আমি এই কথার উপরই প্রতিষ্ঠিত আছি।
আবদুল্লাহ ইবনুল মুবারাক (রাহঃ)-এর এই কথার তাৎপর্য এটাই যা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হতে বর্ণিত আছেঃ “যে লোকের শেষ কথা "লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ হবে সে লোক জান্নাতে যাবে”।
باب مَا جَاءَ فِي تَلْقِينِ الْمَرِيضِ عِنْدَ الْمَوْتِ وَالدُّعَاءِ لَهُ عِنْدَهُ
حَدَّثَنَا هَنَّادٌ، حَدَّثَنَا أَبُو مُعَاوِيَةَ، عَنِ الأَعْمَشِ، عَنْ شَقِيقٍ، عَنْ أُمِّ سَلَمَةَ، قَالَتْ قَالَ لَنَا رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " إِذَا حَضَرْتُمُ الْمَرِيضَ أَوِ الْمَيِّتَ فَقُولُوا خَيْرًا فَإِنَّ الْمَلاَئِكَةَ يُؤَمِّنُونَ عَلَى مَا تَقُولُونَ " . قَالَتْ فَلَمَّا مَاتَ أَبُو سَلَمَةَ أَتَيْتُ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم فَقُلْتُ يَا رَسُولَ اللَّهِ إِنَّ أَبَا سَلَمَةَ مَاتَ . قَالَ " فَقُولِي اللَّهُمَّ اغْفِرْ لِي وَلَهُ وَأَعْقِبْنِي مِنْهُ عُقْبَى حَسَنَةً " . قَالَتْ فَقُلْتُ فَأَعْقَبَنِي اللَّهُ مِنْهُ مَنْ هُوَ خَيْرٌ مِنْهُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم . قَالَ أَبُو عِيسَى شَقِيقٌ هُوَ ابْنُ سَلَمَةَ أَبُو وَائِلٍ الأَسَدِيُّ . قَالَ أَبُو عِيسَى حَدِيثُ أُمِّ سَلَمَةَ حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ . وَقَدْ كَانَ يُسْتَحَبُّ أَنْ يُلَقَّنَ الْمَرِيضُ عِنْدَ الْمَوْتِ قَوْلَ لاَ إِلَهَ إِلاَّ اللَّهُ . وَقَالَ بَعْضُ أَهْلِ الْعِلْمِ إِذَا قَالَ ذَلِكَ مَرَّةً فَمَا لَمْ يَتَكَلَّمْ بَعْدَ ذَلِكَ فَلاَ يَنْبَغِي أَنْ يُلَقَّنَ وَلاَ يُكْثَرَ عَلَيْهِ فِي هَذَا . وَرُوِيَ عَنِ ابْنِ الْمُبَارَكِ أَنَّهُ لَمَّا حَضَرَتْهُ الْوَفَاةُ جَعَلَ رَجُلٌ يُلَقِّنُهُ لاَ إِلَهَ إِلاَّ اللَّهُ وَأَكْثَرَ عَلَيْهِ فَقَالَ لَهُ عَبْدُ اللَّهِ إِذَا قُلْتُ مَرَّةً فَأَنَا عَلَى ذَلِكَ مَا لَمْ أَتَكَلَّمْ بِكَلاَمٍ . وَإِنَّمَا مَعْنَى قَوْلِ عَبْدِ اللَّهِ إِنَّمَا أَرَادَ مَا رُوِيَ عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم " مَنْ كَانَ آخِرُ قَوْلِهِ لاَ إِلَهَ إِلاَّ اللَّهُ دَخَلَ الْجَنَّةَ " .
Umm Salamah narrated:
"The Messenger of Allah said to us: 'When you attend to the sick or dying then say only good, for indeed the angels say "Amin" to what you say.'" She said: "When Abu Salamah died I went to the Prophet and said: 'O Messenger of Allah! Abu Salamah has died.' He said: 'Then say: "O Allah forgive me and him, and give me a good replacement for him." She said: "I said tat, and Allah gave a replace that was better than him: The Messenger of Allah."
পরিচ্ছেদঃ ৮. মৃত্যু যন্ত্রণা প্রসঙ্গে
৯৭৮। আইশা (রাঃ) হতে বর্ণিত আছে, তিনি বলেছেন, আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে মুমূর্যু অবস্থায় দেখেছি একটি পানি ভর্তি বাটি তার সামনে রাখা ছিল। তিনি সেই বাটিতে তার হাত প্রবেশ করাচ্ছিলেন এবং পানি দিয়ে তার মুখমণ্ডল মলছিলেন আর বলছিলেনঃ “হে আল্লাহ! মৃত্যুকষ্ট ও মৃত্যুযন্ত্রণা হ্রাসে আমায় সহায়তা করুন।"
যঈফ, ইবনু মাজাহ (১৬২৩)
আবূ ঈসা বলেন, এই হাদীসটি হাসান সহীহ গারীব।
باب مَا جَاءَ فِي التَّشْدِيدِ عِنْدَ الْمَوْتِ
حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ، حَدَّثَنَا اللَّيْثُ، عَنِ ابْنِ الْهَادِ، عَنْ مُوسَى بْنِ سَرْجِسَ، عَنِ الْقَاسِمِ بْنِ مُحَمَّدٍ، عَنْ عَائِشَةَ، أَنَّهَا قَالَتْ رَأَيْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم وَهُوَ بِالْمَوْتِ وَعِنْدَهُ قَدَحٌ فِيهِ مَاءٌ وَهُوَ يُدْخِلُ يَدَهُ فِي الْقَدَحِ ثُمَّ يَمْسَحُ وَجْهَهُ بِالْمَاءِ ثُمَّ يَقُولُ " اللَّهُمَّ أَعِنِّي عَلَى غَمَرَاتِ الْمَوْتِ " . أَوْ " سَكَرَاتِ الْمَوْتِ " . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ غَرِيبٌ .
Aishah narrated:
"I saw the Messenger of Allah while he was dying. He had a cup with water in it, he put his hand in the cup then wiped his face with the water, then said: 'O Allah! Help me with the throes of death and the agony of death.'"
পরিচ্ছেদঃ ৮. মৃত্যু যন্ত্রণা প্রসঙ্গে
৯৭৯। আইশা (রাঃ) হতে বর্ণিত আছে, তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের মৃত্যু যন্ত্রণা দেখার পর হতে আমার আর কোন ঈর্ষা হয় না অন্য কোন ব্যক্তির সহজ মৃত্যু হলে।
— সহীহ, মুখতাসার শামায়িল মুহাম্মাদীয়া (৩২৫), বুখারী
ইমাম তিরমিয়ী বলেনঃ আমি আবু যুরআকে এ হাদীস প্রসঙ্গে প্রশ্ন করলাম এবং তাকে বললামঃ আব্দুর রাহমান ইবনুল আ’লা ব্যক্তিটি কে? তিনি বললেনঃ ব্যক্তিটি হলেন আল আলা-ইবনুল লাজলাজ।
এই হাদীসটিকে তিনি শুধুমাত্র উল্লেখিত সূত্রেই জেনেছেন।
باب مَا جَاءَ فِي التَّشْدِيدِ عِنْدَ الْمَوْتِ
حَدَّثَنَا الْحَسَنُ بْنُ الصَّبَّاحِ الْبَغْدَادِيُّ، حَدَّثَنَا مُبَشِّرُ بْنُ إِسْمَاعِيلَ الْحَلَبِيُّ، عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ الْعَلاَءِ، عَنْ أَبِيهِ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، عَنْ عَائِشَةَ، قَالَتْ مَا أَغْبِطُ أَحَدًا بِهَوْنِ مَوْتٍ بَعْدَ الَّذِي رَأَيْتُ مِنْ شِدَّةِ مَوْتِ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم . قَالَ سَأَلْتُ أَبَا زُرْعَةَ عَنْ هَذَا الْحَدِيثِ وَقُلْتُ لَهُ مَنْ عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ الْعَلاَءِ فَقَالَ هُوَ ابْنُ الْعَلاَءِ بْنِ اللَّجْلاَجِ . وَإِنَّمَا عَرَّفَهُ مِنْ هَذَا الْوَجْهِ .
Aishah narrated:
"I was not envious of anyone whose death was easy after I saw the severity the death of the Messenger of Allah."
পরিচ্ছেদঃ ৮. মৃত্যু যন্ত্রণা প্রসঙ্গে
৯৮০। আলকামা (রহঃ) হতে বর্ণিত আছে, তিনি বলেনঃ আব্দুল্লাহ ইবনু মাসউদ (রাঃ)-কে বলতে শুনেছি, তিনি বলেনঃ আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে বলতে শুনেছি, অবশ্যই মুমিনের আত্মা (মৃত্যুর সময়) ঘামের সাথে বের হয়, আমি গাধার মত মৃত্যুকে পছন্দ করি না, তাকে প্রশ্ন করা হল, গাধার মত মৃত্যু কি? তিনি বললেনঃ হঠাৎ মৃত্যু।
অত্যন্ত দুর্বল। আল-ইলালুল মুতানাহিয়াহ (১৪৮৮)
باب مَا جَاءَ فِي التَّشْدِيدِ عِنْدَ الْمَوْتِ
حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ الْحَسَنِ، قَالَ حَدَّثَنَا مُسْلِمُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ، قَالَ حَدَّثَنَا حُسَامُ بْنُ الْمِصَكِّ، قَالَ حَدَّثَنَا أَبُو مَعْشَرٍ، عَنْ إِبْرَاهِيمَ، عَنْ عَلْقَمَةَ، قَالَ سَمِعْتُ عَبْدَ اللَّهِ، يَقُولُ سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ " إِنَّ نَفْسَ الْمُؤْمِنِ تَخْرُجُ رَشْحًا وَلاَ أُحِبُّ مَوْتًا كَمَوْتِ الْحِمَارِ " . قِيلَ وَمَا مَوْتُ الْحِمَارِ قَالَ " مَوْتُ الْفَجْأَةِ " .
Alqamah narrated:
"I heard Abdullah saying: 'I heard the Messenger of Allah saying: "The believer's soul seeps out, and I do not like the death like that of a donkey." They said: "And what is the death of a donkey?" He said: "A sudden death."]
পরিচ্ছেদঃ ৯. (যার আমলনামায় প্রথমে ও শেষে ভাল কাজ পাওয়া যাবে তাকে ক্ষমা করে দেওয়া হবে)
৯৮১। আনাস ইবনু মালিক (রাঃ) হতে বর্ণিত আছে, তিনি বলেনঃ রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ বান্দার আমলনামা লিপিবদ্ধকারী দু’জন ফিরিশতা দিবারাত্রির যখনই আমলনামা নিয়ে আল্লাহর কাছে পৌছে, আর আল্লাহ তা’আলা আমল নামার প্রথমে ও শেষে কল্যাণ (দেখতে) পান তখন আল্লাহ তা’আলা বলেনঃ তোমাদেরকে এই কথার উপর সাক্ষি রাখছি যে, আমার বান্দার আমল নামার মাঝখানে যা আছে তা আমি ক্ষমা করে দিলাম।
অত্যন্ত দুর্বল, যঈফা (২২৩৯)
باب
حَدَّثَنَا زِيَادُ بْنُ أَيُّوبَ، حَدَّثَنَا مُبَشِّرُ بْنُ إِسْمَاعِيلَ الْحَلَبِيُّ، عَنْ تَمَّامِ بْنِ نَجِيحٍ، عَنِ الْحَسَنِ، عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " مَا مِنْ حَافِظَيْنِ رَفَعَا إِلَى اللَّهِ مَا حَفِظَا مِنْ لَيْلٍ أَوْ نَهَارٍ فَيَجِدُ اللَّهُ فِي أَوَّلِ الصَّحِيفَةِ وَفِي آخِرِ الصَّحِيفَةِ خَيْرًا إِلاَّ قَالَ اللَّهُ تَعَالَى أُشْهِدُكُمْ أَنِّي قَدْ غَفَرْتُ لِعَبْدِي مَا بَيْنَ طَرَفَىِ الصَّحِيفَةِ " .
Anas bin Malik narrated that:
The Messenger of Allah said: "There is nothing that the two Guardian Angels raise to Allah that they have preserved in a day or night, and Allah finds good in the beginning of the scroll and in the end of the scroll, except that Allah Most High says: 'Bear witness that I have forgiven my servant for what is included in the scroll.'"
পরিচ্ছেদঃ ১০. মু’মিনদের মৃত্যুর সময় কপাল ঘামে
৯৮২। আবদুল্লাহ ইবনু বুরাইদা (রহঃ) হতে তার পিতার সূত্রে বর্ণিত আছে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ কপালের ঘামসহ মুমিনের মৃত্যু হয়। — সহীহ, ইবনু মা-জাহ (১৪৫২)
ইবনু মাসউদ (রাঃ) হতেও এই অনুচ্ছেদে হাদীস বর্ণিত আছে। এই হাদীসটিকে আবু ঈসা হাসান বলেছেন। একদল মুহাদ্দিস বলেন, কাতাদা (রহঃ) আবদুল্লাহ ইবনু বুরাইদা হতে কোন কিছু শুনেছেন বলে আমাদের জানা নেই।
باب مَا جَاءَ أَنَّ الْمُؤْمِنَ يَمُوتُ بِعَرَقِ الْجَبِينِ
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ بَشَّارٍ، حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ سَعِيدٍ، عَنِ الْمُثَنَّى بْنِ سَعِيدٍ، عَنْ قَتَادَةَ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ بُرَيْدَةَ، عَنْ أَبِيهِ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ " الْمُؤْمِنُ يَمُوتُ بِعَرَقِ الْجَبِينِ " . قَالَ وَفِي الْبَابِ عَنِ ابْنِ مَسْعُودٍ . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ . وَقَدْ قَالَ بَعْضُ أَهْلِ الْعِلْمِ لا نَعْرِفُ لِقَتَادَةَ سَمَاعًا مِنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ بُرَيْدَةَ .
Abdullah bin Buraidah narrated from his father, that:
The Prophet said: "The believer dies with sweat on his brow."
পরিচ্ছেদঃ ১১. (মৃত্যুর সময় আল্লাহর নিকট কল্যান আশা করা)
৯৮৩। আনাস (রাঃ) হতে বর্ণিত আছে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এক যুবকের নিকট গেলেন। তখন সে মুমূর্ষ অবস্থায় ছিল। তিনি বললেনঃ তোমার কেমন অনুভব হচ্ছে? যুবকটি বলল, হে আল্লাহর রাসূল! আল্লাহর শপথ, আল্লাহ তা’আলার রহমতের আশা করছি, কিন্তু আবার ভয়ও পাচ্ছি আমার গুনাহগুলোর কারণে। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ যে বান্দার হৃদয়ে এরকম সময়ে এরূপ দুই বিপরীত জিনিস একত্র হয়, আল্লাহ্ তা’আলা অবশ্যই তার আকাঙ্ক্ষিত জিনিস তাকে দান করেন এবং তাকে তার বিপদাশংকা হতে নিরাপদ রাখেন।
– হাসান, ইবনু মা-জাহ (৪২৬১)
এই হাদীসটিকে আবু ঈসা হাসান গারীব বলেছেন। হাদীসটিকে কোন কোন বর্ণনাকারী মুরসাল হিসেবে সাবিতের সূত্রে বর্ণনা করেছেন।
باب
حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ أَبِي زِيَادٍ الْكُوفِيُّ، وَهَارُونُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ الْبَزَّازُ الْبَغْدَادِيُّ، قَالاَ حَدَّثَنَا سَيَّارٌ، هُوَ ابْنُ حَاتِمٍ حَدَّثَنَا جَعْفَرُ بْنُ سُلَيْمَانَ، عَنْ ثَابِتٍ، عَنْ أَنَسٍ، أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم دَخَلَ عَلَى شَابٍّ وَهُوَ فِي الْمَوْتِ فَقَالَ " كَيْفَ تَجِدُكَ " . قَالَ وَاللَّهِ يَا رَسُولَ اللَّهِ إِنِّي أَرْجُو اللَّهَ وَإِنِّي أَخَافُ ذُنُوبِي . فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " لاَ يَجْتَمِعَانِ فِي قَلْبِ عَبْدٍ فِي مِثْلِ هَذَا الْمَوْطِنِ إِلاَّ أَعْطَاهُ اللَّهُ مَا يَرْجُو وَآمَنَهُ مِمَّا يَخَافُ " . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ غَرِيبٌ . وَقَدْ رَوَى بَعْضُهُمْ هَذَا الْحَدِيثَ عَنْ ثَابِتٍ عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم مُرْسَلاً .
Thabit narrated from Anas, that:
The Prophet entered upon a young man while he was dying. So he said: "How do you feel?" He said: "By Allah! O Messenger of Allah! Indeed I hope in Allah and I fear from my sins." So the Messenger of Allah said: "These two will not be gathered in a worshipper's heart at a time such as this, except that Allah will grant him what he hopes and make him safe from what he fears."
পরিচ্ছেদঃ ১২. মৃত্যুসংবাদ ফলাও করে প্রচার করা মাকরূহ
৯৮৪। আবদুল্লাহ্ (রাঃ) হতে বর্ণিত আছে, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ সাবধান! তোমরা মৃত্যুর খবর ঘোষণা থেকে নিবৃত্ত থাক। যেহেতু এটা জাহিলী যুগের কাজ। আবদুল্লাহ্ (রাঃ) বলেন, নাঈ’ শব্দের অর্থ মৃত্যুর খবর ঢালাও করে ঘোষণা করা।
যঈফ, তাখরীজু ইসলাহিল মাসাজিদ (১০৮)
এই অনুচ্ছেদে হুযাইফা (রাঃ) হতেও হাদীস বর্ণিত আছে।
باب مَا جَاءَ فِي كَرَاهِيَةِ النَّعْىِ
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ حُمَيْدٍ الرَّازِيُّ، حَدَّثَنَا حَكَّامُ بْنُ سَلْمٍ، وَهَارُونُ بْنُ الْمُغِيرَةِ، عَنْ عَنْبَسَةَ، عَنْ أَبِي حَمْزَةَ، عَنْ إِبْرَاهِيمَ، عَنْ عَلْقَمَةَ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ " إِيَّاكُمْ وَالنَّعْىَ فَإِنَّ النَّعْىَ مِنْ عَمَلِ الْجَاهِلِيَّةِ " . قَالَ عَبْدُ اللَّهِ وَالنَّعْىُ أَذَانٌ بِالْمَيِّتِ . وَفِي الْبَابِ عَنْ حُذَيْفَةَ .
Abdullah narrated that:
The Prophet said: "Beware of An-Na'i, for indeed announcing one's death is from the deeds of Jahliyyah."