সহীহ বুখারী (তাওহীদ পাবলিকেশন) ৫৯/ সৃষ্টির সূচনা (كتاب بدء الخلق)
৩১৯০

পরিচ্ছেদঃ ৫৯/১. মহান আল্লাহর বাণীঃ তিনিই সৃষ্টির সূচনা করেন, তারপর তিনিই পুনরায় তা সৃষ্টি করবেন এটা তার জন্য খুব সহজ। (সূরা রূম ২৭)

قَالَ الرَّبِيْعُ بْنُ خُثَيْمٍ وَالْحَسَنُ كُلٌّ عَلَيْهِ هَيِّنٌ هَيْنٌ وَهَيِّنٌ مِثْلُ لَيْنٍ وَلَيِّنٍ وَمَيْتٍ وَمَيِّتٍ وَضَيْقٍ وَضَيِّقِ )أَفَعَيِيْنَا( : أَفَأَعْيَا عَلَيْنَا حِيْنَ أَنْشَأَكُمْ وَأَنْشَأَ خَلْقَكُمْ )لُغُوْبٌ( (فاطر : 38) النَّصَبُ )أَطْوَارًا( (نوح : 14)  طَوْرًا كَذَا وَطَوْرًا كَذَا عَدَا طَوْرَهُ أَيْ قَدْرَهُ

রাবী ইবনু খুসাইম এবং হাসান বসরী (রহ.) বলেন, সব কিছুই তাঁর জন্য সহজ। আর هَيْنٌهَيِّنٌ যার অর্থ সহজ, উচ্চারণের দিক দিয়ে যথাক্রমে  لَيْنٌلَيِّنٌ , مَيْتٌمَيِّتٌ এবং ضَيْقٍضَيِّقٌ এর অনুরূপ। এর অর্থ أَفَعَيِيْنَا আমার পক্ষে কি এটা কঠিন, যখন তিনি তোমাদের পয়দা করেছেন এবং তোমাদের সৃষ্টির সূচনা করেছেন? لُغُوْبٌ ক্লান্তি। أَطْوَارًا বিভিন্ন অবস্থায় عَدَا طَوْرَهُ -সে তার মর্যাদা অতিক্রম করল।


৩১৯০. ‘ইমরান ইবনু হুসাইন (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, বানূ তামীমের একদল লোক নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর নিকট এল, তখন তিনি তাদের বললেন, হে তামীম সম্প্রদায়! সুসংবাদ গ্রহণ কর। তখন তারা বলল, আপনি তো সুসংবাদ জানিয়েছেন, এবার আমাদের দান করুন। এতে তাঁর মুখমণ্ডল বিবর্ণ হয়ে গেল। এমন সময় তাঁর কাছে ইয়ামানের লোকজন এল। তখন তিনি বললেন, হে ইয়ামানবাসী! তোমরা সুসংবাদ গ্রহণ কর। কেননা তামীম সম্প্রদায়ের লোকেরা তা গ্রহণ করেনি। তারা বলল, আমরা গ্রহণ করলাম। তখন নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সৃষ্টির সূচনা এবং আরশ সম্পর্কে বর্ণনা করেন। এর মধ্যে জনৈক ব্যক্তি এসে বলল, হে ইমরান! তোমার উটনীটি পালিয়ে গেছে। হায়! আমি যদি উঠে না চলে যেতাম। [১] (৩১৯১, ৪৩৬৫, ৪৩৮৬, ৭৪১৮) (আধুনিক প্রকাশনীঃ ২৯৫০, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ২৯৬১)

 

بَابُ مَا جَاءَ فِيْ قَوْلِ اللهِ تَعَالَىوَهُوَ الَّذِىْ يَبْدَؤُا الْخَلْقَ ثُمَّ يُعِيْدُه” وَهُوَ أهْوَنُ عَلَيْهِ

حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ كَثِيْرٍ أَخْبَرَنَا سُفْيَانُ عَنْ جَامِعِ بْنِ شَدَّادٍ عَنْ صَفْوَانَ بْنِ مُحْرِزٍ عَنْ عِمْرَانَ بْنِ حُصَيْنٍ رَضِيَ اللهُ عَنْهُمَا قَالَ جَاءَ نَفَرٌ مِنْ بَنِيْ تَمِيْمٍ إِلَى النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم فَقَالَ يَا بَنِيْ تَمِيْمٍ أَبْشِرُوْا قَالُوْا بَشَّرْتَنَا فَأَعْطِنَا فَتَغَيَّرَ وَجْهُهُ فَجَاءَهُ أَهْلُ الْيَمَنِ فَقَالَ يَا أَهْلَ الْيَمَنِ اقْبَلُوْا الْبُشْرَى إِذْ لَمْ يَقْبَلْهَا بَنُوْ تَمِيْمٍ قَالُوْا قَبِلْنَا فَأَخَذَ النَّبِيُّ يُحَدِّثُ بَدْءَ الْخَلْقِ وَالْعَرْشِ فَجَاءَ رَجُلٌ فَقَالَ يَا عِمْرَانُ رَاحِلَتُكَ تَفَلَّتَتْ لَيْتَنِيْ لَمْ أَقُمْ

حدثنا محمد بن كثير اخبرنا سفيان عن جامع بن شداد عن صفوان بن محرز عن عمران بن حصين رضي الله عنهما قال جاء نفر من بني تميم الى النبي صلى الله عليه وسلم فقال يا بني تميم ابشروا قالوا بشرتنا فاعطنا فتغير وجهه فجاءه اهل اليمن فقال يا اهل اليمن اقبلوا البشرى اذ لم يقبلها بنو تميم قالوا قبلنا فاخذ النبي يحدث بدء الخلق والعرش فجاء رجل فقال يا عمران راحلتك تفلتت ليتني لم اقم


Narrated `Imran bin Husain:

Some people of Bani Tamim came to the Prophet (ﷺ) and he said (to them), "O Bani Tamim! rejoice with glad tidings." They said, "You have given us glad tidings, now give us something." On hearing that the color of his face changed then the people of Yemen came to him and he said, "O people of Yemen ! Accept the good tidings, as Bani Tamim has refused them." The Yemenites said, "We accept them. Then the Prophet (ﷺ) started taking about the beginning of creation and about Allah's Throne. In the mean time a man came saying, "O `Imran! Your she-camel has run away!'' (I got up and went away), but l wish I had not left that place (for I missed what Allah's Messenger (ﷺ) had said).


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
৫৯/ সৃষ্টির সূচনা (كتاب بدء الخلق) 59/ Beginning of Creation
৩১৯১

পরিচ্ছেদঃ ৫৯/১. মহান আল্লাহর বাণীঃ তিনিই সৃষ্টির সূচনা করেন, তারপর তিনিই পুনরায় তা সৃষ্টি করবেন এটা তার জন্য খুব সহজ। (সূরা রূম ২৭)

৩১৯১. ‘ইমরান ইবনু হুসাইন (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি আমার উটনীটি দরজার সঙ্গে বেঁধে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর নিকট উপস্থিত হলাম। তখন তাঁর নিকট তামীম সম্প্রদায়ের কিছু লোক এল। তিনি বললেন, হে তামীম সম্প্রদায়! তোমরা সুসংবাদ গ্রহণ কর। উত্তরে তারা বলল, আপনি তো আমাদের সুসংবাদ দিয়েছেন, এবার আমাদেরকে কিছু দান করুন। একথা দু’বার বলল। অতঃপর তাঁর নিকট ইয়ামানের কিছু লোক আসল। তিনি তাদের বললেন, হে ইয়ামানবাসী! তোমরা সুসংবাদ গ্রহণ কর। কারণ বানূ তামীম তা গ্রহণ করেনি। তারা বলল, হে আল্লাহর রাসূল! আমরা তা গ্রহণ করলাম। তারা আরো বলল, আমরা দ্বীন সম্পর্কে কিছু জিজ্ঞেস করার জন্য আপনার খেদমতে এসেছিলাম। তখন তিনি বললেন, একমাত্র আল্লাহই ছিলেন, আর তিনি ছাড়া আর কোন কিছুই ছিল না। তাঁর আরশ ছিল পানির উপরে। অতঃপর তিনি লাওহে মাহফুজে সব কিছু লিপিবদ্ধ করলেন এবং আকাশ ও পৃথিবী সৃষ্টি করলেন। এ সময় একজন ঘোষণাকারী ঘোষণা করল, হে ইবনু হুসাইন! আপনার উটনী পালিয়ে গেছে। তখন আমি এর খোঁজে চলে গেলাম। দেখলাম তা এত দূরে চলে গেছে যে, তার এবং আমার মধ্যে মরীচিকাময় ময়দান দূরত্ব হয়ে পড়েছে। আল্লাহর কসম! আমি তখন উটনীটিকে একেবারে ছেড়ে দেয়ার ইচ্ছা করলাম। (৩১৯০) (ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ২৯৬২)

بَابُ مَا جَاءَ فِيْ قَوْلِ اللهِ تَعَالَىوَهُوَ الَّذِىْ يَبْدَؤُا الْخَلْقَ ثُمَّ يُعِيْدُه” وَهُوَ أهْوَنُ عَلَيْهِ

حَدَّثَنَا عُمَرُ بْنُ حَفْصِ بْنِ غِيَاثٍ حَدَّثَنَا أَبِيْ حَدَّثَنَا الأَعْمَشُ حَدَّثَنَا جَامِعُ بْنُ شَدَّادٍ عَنْ صَفْوَانَ بْنِ مُحْرِزٍ أَنَّهُ حَدَّثَهُ عَنْ عِمْرَانَ بْنِ حُصَيْنٍ رَضِيَ اللهُ عَنْهُمَا قَالَ دَخَلْتُ عَلَى النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم وَعَقَلْتُ نَاقَتِيْ بِالْبَابِ فَأَتَاهُ نَاسٌ مِنْ بَنِيْ تَمِيْمٍ فَقَالَ اقْبَلُوْا الْبُشْرَى يَا بَنِيْ تَمِيْمٍ قَالُوْا قَدْ بَشَّرْتَنَا فَأَعْطِنَا مَرَّتَيْنِ ثُمَّ دَخَلَ عَلَيْهِ نَاسٌ مِنْ أَهْلِ الْيَمَنِ فَقَالَ اقْبَلُوْا الْبُشْرَى يَا أَهْلَ الْيَمَنِ إِذْ لَمْ يَقْبَلْهَا بَنُوْ تَمِيْمٍ قَالُوْا قَدْ قَبِلْنَا يَا رَسُوْلَ اللهِ قَالُوْا جِئْنَاكَ نَسْأَلُكَ عَنْ هَذَا الأَمْرِ قَالَ كَانَ اللهُ وَلَمْ يَكُنْ شَيْءٌ غَيْرُهُ وَكَانَ عَرْشُهُ عَلَى الْمَاءِ وَكَتَبَ فِي الذِّكْرِ كُلَّ شَيْءٍ وَخَلَقَ السَّمَوَاتِ وَالأَرْضَ فَنَادَى مُنَادٍ ذَهَبَتْ نَاقَتُكَ يَا ابْنَ الْحُصَيْنِ فَانْطَلَقْتُ فَإِذَا هِيَ يَقْطَعُ دُوْنَهَا السَّرَابُ فَوَاللهِ لَوَدِدْتُ أَنِّيْ كُنْتُ تَرَكْتُهَا

حدثنا عمر بن حفص بن غياث حدثنا ابي حدثنا الاعمش حدثنا جامع بن شداد عن صفوان بن محرز انه حدثه عن عمران بن حصين رضي الله عنهما قال دخلت على النبي صلى الله عليه وسلم وعقلت ناقتي بالباب فاتاه ناس من بني تميم فقال اقبلوا البشرى يا بني تميم قالوا قد بشرتنا فاعطنا مرتين ثم دخل عليه ناس من اهل اليمن فقال اقبلوا البشرى يا اهل اليمن اذ لم يقبلها بنو تميم قالوا قد قبلنا يا رسول الله قالوا جىناك نسالك عن هذا الامر قال كان الله ولم يكن شيء غيره وكان عرشه على الماء وكتب في الذكر كل شيء وخلق السموات والارض فنادى مناد ذهبت ناقتك يا ابن الحصين فانطلقت فاذا هي يقطع دونها السراب فوالله لوددت اني كنت تركتها


Narrated Imran bin Husain:

I went to the Prophet (ﷺ) and tied my she-camel at the gate. The people of Bani Tamim came to the Prophet (ﷺ) who said "O Bani Tamim! Accept the good tidings." They said twice, 'You have given us the good tidings, now give us something" Then some Yemenites came to him and he said, "Accept the good tidings, O people of Yemem, for Bani Tamim refused them." They said, "We accept it, O Allah's Messenger (ﷺ)! We have come to ask you about this matter (i.e. the start of creations)." He said, "First of all, there was nothing but Allah, and (then He created His Throne). His throne was over the water, and He wrote everything in the Book (in the Heaven) and created the Heavens and the Earth." Then a man shouted, "O Ibn Husain! Your she-camel has gone away!" So, I went away and could not see the she-camel because of the mirage. By Allah, I wished I had left that she-camel (but not that gathering).


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
৫৯/ সৃষ্টির সূচনা (كتاب بدء الخلق) 59/ Beginning of Creation
৩১৯২

পরিচ্ছেদঃ ৫৯/১. মহান আল্লাহর বাণীঃ তিনিই সৃষ্টির সূচনা করেন, তারপর তিনিই পুনরায় তা সৃষ্টি করবেন এটা তার জন্য খুব সহজ। (সূরা রূম ২৭)

৩১৯২. তারিক ইবনু শিহাব (রহ.) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি ‘উমার (রাঃ)-কে বলতে শুনেছি, একদা নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাদের মধ্যে দাঁড়ালেন। অতঃপর তিনি আমাদের সৃষ্টির সূচনা সম্পর্কে জ্ঞাত করলেন। অবশেষে তিনি জান্নাতবাসী ও জাহান্নামবাসীর নিজ নিজ নির্দিষ্ট স্থানে প্রবেশ করার কথাও উল্লেখ করলেন। যে ব্যক্তি এ কথাটি স্মরণ রাখতে পেরেছে, সে স্মরণ রেখেছে আর যে ভুলে যাবার সে ভুলে গেছে। (আধুনিক প্রকাশনীঃ ২৯৫১, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ২৯৬২ শেষাংশ)

بَابُ مَا جَاءَ فِيْ قَوْلِ اللهِ تَعَالَىوَهُوَ الَّذِىْ يَبْدَؤُا الْخَلْقَ ثُمَّ يُعِيْدُه” وَهُوَ أهْوَنُ عَلَيْهِ

وَرَوَى عِيْسَى عَنْ رَقَبَةَ عَنْ قَيْسِ بْنِ مُسْلِمٍ عَنْ طَارِقِ بْنِ شِهَابٍ قَالَ سَمِعْتُ عُمَرَ يَقُوْلُ قَامَ فِيْنَا النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم مَقَامًا فَأَخْبَرَنَا عَنْ بَدْءِ الْخَلْقِ حَتَّى دَخَلَ أَهْلُ الْجَنَّةِ مَنَازِلَهُمْ وَأَهْلُ النَّارِ مَنَازِلَهُمْ حَفِظَ ذَلِكَ مَنْ حَفِظَهُ وَنَسِيَهُ مَنْ نَسِيَهُ

وروى عيسى عن رقبة عن قيس بن مسلم عن طارق بن شهاب قال سمعت عمر يقول قام فينا النبي صلى الله عليه وسلم مقاما فاخبرنا عن بدء الخلق حتى دخل اهل الجنة منازلهم واهل النار منازلهم حفظ ذلك من حفظه ونسيه من نسيه


Narrated 'Umar:
One day the Prophet (ﷺ) stood up amongst us for a long period and informed us about the beginning of creation (and talked about everything in detail) till he mentioned how the people of Paradise will enter their places and the people of Hell will enter their places. Some remembered what he had said, and some forgot it.


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
৫৯/ সৃষ্টির সূচনা (كتاب بدء الخلق) 59/ Beginning of Creation
৩১৯৩

পরিচ্ছেদঃ ৫৯/১. মহান আল্লাহর বাণীঃ তিনিই সৃষ্টির সূচনা করেন, তারপর তিনিই পুনরায় তা সৃষ্টি করবেন এটা তার জন্য খুব সহজ। (সূরা রূম ২৭)

৩১৯৩. আবূ হুরাইরাহ্ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, মহান আল্লাহ বলেন, আদম সন্তান আমাকে গালি দেয় অথচ আমাকে গালি দেয়া তার উচিত নয়। আর সে আমাকে মিথ্যা জানে অথচ তার উচিত নয়। আমাকে গালি দেয়া হচ্ছে, তার এ উক্তি যে, আমার সন্তান আছে। আর তার মিথ্যা মনে করা হচ্ছে, তার এ উক্তি, যেভাবে আল্লাহ আমাকে প্রথমে সৃষ্টি করেছেন, সেভাবে কখনও তিনি আমাকে আবার সৃষ্টি করবেন না। (৪৯৭৪, ৪৯৭৫) (আধুনিক প্রকাশনীঃ ২৯৫২, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ২৯৬৩)

بَابُ مَا جَاءَ فِيْ قَوْلِ اللهِ تَعَالَىوَهُوَ الَّذِىْ يَبْدَؤُا الْخَلْقَ ثُمَّ يُعِيْدُه” وَهُوَ أهْوَنُ عَلَيْهِ

حَدَّثَنِيْ عَبْدُ اللهِ بْنُ أَبِيْ شَيْبَةَ عَنْ أَبِيْ أَحْمَدَ عَنْ سُفْيَانَ عَنْ أَبِي الزِّنَادِ عَنْ الأَعْرَجِ عَنْ أَبِيْ هُرَيْرَةَ قَالَ قَالَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم أُرَاهُ قَالَ اللهُ تَعَالَى يَشْتِمُنِيْ ابْنُ آدَمَ وَمَا يَنْبَغِيْ لَهُ أَنْ يَشْتِمَنِيْ وَيُكَذِّبُنِيْ وَمَا يَنْبَغِيْ لَهُ أَمَّا شَتْمُهُ فَقَوْلُهُ إِنَّ لِيْ وَلَدًا وَأَمَّا تَكْذِيْبُهُ فَقَوْلُهُ لَيْسَ يُعِيْدُنِيْ كَمَا بَدَأَنِي

حدثني عبد الله بن ابي شيبة عن ابي احمد عن سفيان عن ابي الزناد عن الاعرج عن ابي هريرة قال قال النبي صلى الله عليه وسلم اراه قال الله تعالى يشتمني ابن ادم وما ينبغي له ان يشتمني ويكذبني وما ينبغي له اما شتمه فقوله ان لي ولدا واما تكذيبه فقوله ليس يعيدني كما بداني


Narrated Abu Huraira:

Allah's Messenger (ﷺ) said, "Allah the Most Superior said, "The son of Adam slights Me, and he should not slight Me, and he disbelieves in Me, and he ought not to do so. As for his slighting Me, it is that he says that I have a son; and his disbelief in Me is his statement that I shall not recreate him as I have created (him) before."


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ আবূ হুরায়রা (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
৫৯/ সৃষ্টির সূচনা (كتاب بدء الخلق) 59/ Beginning of Creation
৩১৯৪

পরিচ্ছেদঃ ৫৯/১. মহান আল্লাহর বাণীঃ তিনিই সৃষ্টির সূচনা করেন, তারপর তিনিই পুনরায় তা সৃষ্টি করবেন এটা তার জন্য খুব সহজ। (সূরা রূম ২৭)

৩১৯৪. আবূ হুরাইরাহ্ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, আল্লাহ যখন সৃষ্টির কাজ শেষ করলেন, তখন তিনি তাঁর কিতাব লাওহে মাহ্ফুজে লিখেন, যা আরশের উপর তাঁর নিকট আছে। নিশ্চয়ই আমার রহমত আমার ক্রোধের উপর প্রবল। (৭৪০৪, ৭৪১২, ৭৪৫৩, ৭৫৫৩, ৭৫৫৪) (মুসলিম ৪৯/৪ হাঃ ২৭৫১, আহমাদ ৯৬০৩) (আধুনিক প্রকাশনীঃ ২৯৫৩, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ২৯৬৪)

بَابُ مَا جَاءَ فِيْ قَوْلِ اللهِ تَعَالَىوَهُوَ الَّذِىْ يَبْدَؤُا الْخَلْقَ ثُمَّ يُعِيْدُه” وَهُوَ أهْوَنُ عَلَيْهِ

حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ بْنُ سَعِيْدٍ حَدَّثَنَا مُغِيْرَةُ بْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ الْقُرَشِيُّ عَنْ أَبِي الزِّنَادِ عَنْ الأَعْرَجِ عَنْ أَبِيْ هُرَيْرَةَ قَالَ قَالَ رَسُوْلُ اللهِ صلى الله عليه وسلم لَمَّا قَضَى اللهُ الْخَلْقَ كَتَبَ فِيْ كِتَابِهِ فَهُوَ عِنْدَهُ فَوْقَ الْعَرْشِ إِنَّ رَحْمَتِيْ غَلَبَتْ غَضَبِي

حدثنا قتيبة بن سعيد حدثنا مغيرة بن عبد الرحمن القرشي عن ابي الزناد عن الاعرج عن ابي هريرة قال قال رسول الله صلى الله عليه وسلم لما قضى الله الخلق كتب في كتابه فهو عنده فوق العرش ان رحمتي غلبت غضبي


Narrated Abu Huraira:

Allah's Messenger (ﷺ) said, "When Allah completed the creation, He wrote in His Book which is with Him on His Throne, "My Mercy overpowers My Anger."


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ আবূ হুরায়রা (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
৫৯/ সৃষ্টির সূচনা (كتاب بدء الخلق) 59/ Beginning of Creation
৩১৯৫

পরিচ্ছেদঃ ৫৯/২. সাত যমীন সম্পর্কে যা বর্ণিত হয়েছে।

وَقَوْلِ اللهِ تَعَالَى )اللهُ الَّذِيْ خَلَقَ سَبْعَ سَمَوَاتٍ وَّمِنَ الْأَرْضِ مِثْلَهُنَّ يَتَنَزَّلُ الْأَمْرُ بَيْنَهُنَّ لِتَعْلَمُوْا أَنَّ اللهَ عَلٰى كُلِّ شَيْءٍ قَدِيْرٌ وَأَنَّ اللهَ قَدْ أَحَاطَ بِكُلِّ شَيْءٍ عِلْمًا(  وَالسَّقْفِ الْمَرْفُوعِ : السَّمَاءُ. سَمْكَهَا : بِنَاءَهَا.

الْحُبُكُ : اسْتِوَاؤُهَا وَحُسْنُهَا. وَأَذِنَتْ : سَمِعَتْ وَأَطَاعَتْ. وَأَلْقَتْ : أَخْرَجَتْ مَا فِيْهَا مِنْ الْمَوْتَى وَتَخَلَّتْ عَنْهُمْ. طَحَاهَا : دَحَاهَا. بِالسَّاهِرَةِ : وَجْهُ الأَرْضِ كَانَ فِيْهَا الْحَيَوَانُ نَوْمُهُمْ وَسَهَرُهُمْ.

মহান আল্লাহর বাণীঃ আল্লাহ্ সেই সত্তা, যিনি সৃষ্টি করেছেন সাত আসমান এবং এর অনুরূপ যমীনও। (আত-ত্বলাক (তালাক)ঃ ১২)

وَالسَّقْفِ الْمَرْفُوعِ  আকাশ। سَمْكَهَا -এর ভিত্তি الْحُبُكُ তার সমতা ও সৌন্দর্য أَذِنَتْ-সে শুনল ও মান্য করল। أَلْقَتْ সে (যমীন) তার সকল মৃতকে বের করে দেবে এবং তা খালি হয়ে যাবে ওদের থেকে। طَحَاهَا তাকে সকল দিক হতে বিছিয়ে দিয়েছে।  السَّاهِرَة ভূপৃষ্ঠ যা সকল প্রাণীর নিদ্রা ও জাগরণের স্থান।


৩১৯৫. আবূ সালামাহ ইবনু ‘আবদির রাহমান (রাঃ) হতে বর্ণিত। (তিনি বলেন), কয়েকজন লোকের সঙ্গে একখন্ড ভূমি নিয়ে তাঁর ঝগড়া ছিল। ‘আয়িশাহ (রাঃ)-এর নিকট এসে তা জানালেন। তিনি বললেন, হে আবূ সালামাহ! জমা-জমির গোলমাল হতে দূরে থাক। কেননা, আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, যে লোক এক বিঘত পরিমাণ অন্যের জমি অন্যায়ভাবে আত্মসাৎ করেছে, কিয়ামতের দিন সাত তবক যমীনের হার তার গলায় পরিয়ে দেয়া হবে। (২৪৫৩) (আধুনিক প্রকাশনীঃ ২৯৫৪, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ২৯৬৫)

 

بَابُ مَا جَاءَ فِيْ سَبْعِ أَرَضِيْنَ

حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ عَبْدِ اللهِ أَخْبَرَنَا ابْنُ عُلَيَّةَ عَنْ عَلِيِّ بْنِ الْمُبَارَكِ حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ أَبِيْ كَثِيْرٍ عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ إِبْرَاهِيْمَ بْنِ الْحَارِثِ عَنْ أَبِيْ سَلَمَةَ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ وَكَانَتْ بَيْنَهُ وَبَيْنَ أُنَاسٍ خُصُومَةٌ فِيْ أَرْضٍ فَدَخَلَ عَلَى عَائِشَةَ فَذَكَرَ لَهَا ذَلِكَ فَقَالَتْ يَا أَبَا سَلَمَةَ اجْتَنِبْ الأَرْضَ فَإِنَّ رَسُوْلَ اللهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ مَنْ ظَلَمَ قِيْدَ شِبْرٍ طُوِّقَهُ مِنْ سَبْعِ أَرَضِيْنَ

حدثنا علي بن عبد الله اخبرنا ابن علية عن علي بن المبارك حدثنا يحيى بن ابي كثير عن محمد بن ابراهيم بن الحارث عن ابي سلمة بن عبد الرحمن وكانت بينه وبين اناس خصومة في ارض فدخل على عاىشة فذكر لها ذلك فقالت يا ابا سلمة اجتنب الارض فان رسول الله صلى الله عليه وسلم قال من ظلم قيد شبر طوقه من سبع ارضين


Narrated Muhammad bin Ibrahim bin Al-Harith:

from Abu Salama bin `Abdur-Rahman who had a dispute with some people on a piece of land, and so he went to `Aisha and told her about it. She said, "O Abu Salama, avoid the land, for Allah's Messenger (ﷺ) said, 'Any person who takes even a span of land unjustly, his neck shall be encircled with it down seven earths.' "


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
৫৯/ সৃষ্টির সূচনা (كتاب بدء الخلق) 59/ Beginning of Creation
৩১৯৬

পরিচ্ছেদঃ ৫৯/২. সাত যমীন সম্পর্কে যা বর্ণিত হয়েছে।

৩১৯৬. সালিম (রহ.)-এর পিতা হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, যে লোক অন্যায়ভাবে কারো ভূমির সামান্যতম অংশও আত্মসাৎ করবে, কিয়ামতের দিন সাত তবক যমীনের নীচে তাকে ধ্বসিয়ে দেয়া হবে। (২৪৫৪) (আধুনিক প্রকাশনীঃ ২৯৫৫, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ২৯৬৬)

بَابُ مَا جَاءَ فِيْ سَبْعِ أَرَضِيْنَ

حَدَّثَنَا بِشْرُ بْنُ مُحَمَّدٍ أَخْبَرَنَا عَبْدُ اللهِ عَنْ مُوسَى بْنِ عُقْبَةَ عَنْ سَالِمٍ عَنْ أَبِيْهِ قَالَ قَالَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم مَنْ أَخَذَ شَيْئًا مِنْ الأَرْضِ بِغَيْرِ حَقِّهِ خُسِفَ بِهِ يَوْمَ الْقِيَامَةِ إِلَى سَبْعِ أَرَضِيْنَ

حدثنا بشر بن محمد اخبرنا عبد الله عن موسى بن عقبة عن سالم عن ابيه قال قال النبي صلى الله عليه وسلم من اخذ شيىا من الارض بغير حقه خسف به يوم القيامة الى سبع ارضين


Narrated Salim's father:

The Prophet (ﷺ) said, "Any person who takes a piece of land unjustly will sink down the seven earths on the Day of Resurrection."


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
৫৯/ সৃষ্টির সূচনা (كتاب بدء الخلق) 59/ Beginning of Creation
৩১৯৭

পরিচ্ছেদঃ ৫৯/২. সাত যমীন সম্পর্কে যা বর্ণিত হয়েছে।

৩১৯৭. আবূ বকরাহ (রাঃ) হতে বর্ণিত। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, আল্লাহ যে দিন আসমান ও যমীন সৃষ্টি করেছেন, সে দিন হতে সময় যেভাবে আবর্তিত হচ্ছিল আজও তা সেভাবে আবর্তিত হচ্ছে। বারো মাসে এক বছর। এর মধ্যে চারটি মাস সম্মানিত। যুল-কা‘দাহ, যূল-হিজ্জাহ ও মুহাররাম। তিনটি মাস পরস্পর রয়েছে। আর একটি মাস হলো রজব-ই-মুযারা[1] যা জুমাদা ও শা‘বান মাসের মাঝে অবস্থিত। (৬৭) (আধুনিক প্রকাশনীঃ ২৯৫৬, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ২৯৬৭)

بَابُ مَا جَاءَ فِيْ سَبْعِ أَرَضِيْنَ

حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الْمُثَنَّى حَدَّثَنَا عَبْدُ الْوَهَّابِ حَدَّثَنَا أَيُّوْبُ عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ سِيْرِيْنَ عَنْ ابْنِ أَبِيْ بَكْرَةَ عَنْ أَبِيْ بَكْرَةَ عَنْ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ الزَّمَانُ قَدْ اسْتَدَارَ كَهَيْئَتِهِ يَوْمَ خَلَقَ اللهُ السَّمَوَاتِ وَالأَرْضَ السَّنَةُ اثْنَا عَشَرَ شَهْرًا مِنْهَا أَرْبَعَةٌ حُرُمٌ ثَلَاثَةٌ مُتَوَالِيَاتٌ ذُو الْقَعْدَةِ وَذُو الْحِجَّةِ وَالْمُحَرَّمُ وَرَجَبُ مُضَرَ الَّذِيْ بَيْنَ جُمَادَى وَشَعْبَانَ

حدثنا محمد بن المثنى حدثنا عبد الوهاب حدثنا ايوب عن محمد بن سيرين عن ابن ابي بكرة عن ابي بكرة عن النبي صلى الله عليه وسلم قال الزمان قد استدار كهيىته يوم خلق الله السموات والارض السنة اثنا عشر شهرا منها اربعة حرم ثلاثة متواليات ذو القعدة وذو الحجة والمحرم ورجب مضر الذي بين جمادى وشعبان


Narrated Abu Bakra:

The Prophet (ﷺ) said. "(The division of time has turned to its original form which was current when Allah created the Heavens and the Earths. The year is of twelve months, out of which four months are sacred: Three are in succession Dhul-Qa' da, Dhul-Hijja and Muharram, and (the fourth is) Rajab of (the tribe of) Mudar which comes between Jumadi-ath-Thaniyah and Sha ban."


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ আবূ বাকরা (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
৫৯/ সৃষ্টির সূচনা (كتاب بدء الخلق) 59/ Beginning of Creation
৩১৯৮

পরিচ্ছেদঃ ৫৯/২. সাত যমীন সম্পর্কে যা বর্ণিত হয়েছে।

৩১৯৮. সা‘ঈদ ইবনু যায়িদ ইবনে ‘আমর ইবনে নুফাইর (রাঃ) হতে বর্ণিত। ‘আরওয়া’ নামক এক মহিলা এক সাহাবীর বিরুদ্ধে মারওয়ানের নিকট তার ঐ পাওনার ব্যাপারে মামলা দায়ের করল, যা তার ধারণায় তিনি নষ্ট করেছেন। ব্যাপার শুনে সা‘ঈদ (রাঃ) বললেন, আমি কি তার সামান্য হকও নষ্ট করতে পারি? আমি তো সাক্ষ্য দিচ্ছি, আমি আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে বলতে শুনেছি, যে ব্যক্তি জুলুম করে অন্যের এক বিঘত যমীনও আত্মসাৎ করে, কিয়ামতের দিন সাত তবক যমীনের শিকল তার গলায় পরিয়ে দেয়া হবে। ইবনু আবিয যিনাদ (রহ.) হিশাম (রহ.) থেকে, তিনি তাঁর পিতা হতে বর্ণনা করতে গিয়ে বলেছেন, তিনি (হিশামের পিতা ‘উরওয়াহ) (রাঃ) বলেন, সা‘ঈদ ইবনু যায়দ (রাঃ) আমাকে বলেছেন, আমি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর নিকট উপস্থিত হলাম (তখন তিনি এ হাদীস বর্ণনা করেন)। (২৪৫২) (আধুনিক প্রকাশনীঃ ২৯৫৭, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ২৯৬৮)

بَابُ مَا جَاءَ فِيْ سَبْعِ أَرَضِيْنَ

حَدَّثَنِيْ عُبَيْدُ بْنُ إِسْمَاعِيْلَ قال : حَدَّثَنَا أَبُوْ أُسَامَةَ عَنْ هِشَامٍ عَنْ أَبِيْهِ عَنْ سَعِيْدِ بْنِ زَيْدِ بْنِ عَمْرِو بْنِ نُفَيْلٍ أَنَّهُ خَاصَمَتْهُ أَرْوَى فِيْ حَقٍّ زَعَمَتْ أَنَّهُ انْتَقَصَهُ لَهَا إِلَى مَرْوَانَ، فَقَالَ سَعِيْدٌ : أَنَا أَنْتَقِصُ مِنْ حَقِّهَا شَيْئًا؟ أَشْهَدُ لَسَمِعْتُ رَسُوْلَ اللهِ صلى الله عليه وسلم يَقُوْلُ : مَنْ أَخَذَ شِبْرًا مِنْ الأَرْضِ ظُلْمًا فَإِنَّهُ يُطَوَّقُهُ يَوْمَ الْقِيَامَةِ مِنْ سَبْعِ أَرَضِيْنَ. قَالَ ابْنُ أَبِي الزِّنَادِ عَنْ هِشَامٍ عَنْ أَبِيْهِ قَالَ : قَالَ لِيْ سَعِيْدُ بْنُ زَيْدٍ : دَخَلْتُ عَلَى النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم . . .

حدثني عبيد بن اسماعيل قال : حدثنا ابو اسامة عن هشام عن ابيه عن سعيد بن زيد بن عمرو بن نفيل انه خاصمته اروى في حق زعمت انه انتقصه لها الى مروان، فقال سعيد : انا انتقص من حقها شيىا؟ اشهد لسمعت رسول الله صلى الله عليه وسلم يقول : من اخذ شبرا من الارض ظلما فانه يطوقه يوم القيامة من سبع ارضين. قال ابن ابي الزناد عن هشام عن ابيه قال : قال لي سعيد بن زيد : دخلت على النبي صلى الله عليه وسلم . . .


Narrated Sa`id bin Zaid bin `Amr bin Nufail:

That Arwa sued him before Marwan for a right, which she claimed, he had deprived her of. On that Sa`id said, "How should I deprive her of her right? I testify that I heard Allah's Messenger (ﷺ) saying, 'If anyone takes a span of land unjustly, his neck will be encircled with it down seven earths on the Day of Resurrection."


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ সাঈদ ইবনু যায়দ (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
৫৯/ সৃষ্টির সূচনা (كتاب بدء الخلق) 59/ Beginning of Creation
৩১৯৯

পরিচ্ছেদঃ ৫৯/৪. সূর্য ও চন্দ্রের অবস্থান।

59/3. بَابُ فِي النُّجُومِ

৫৯/৩. অধ্যায় : নক্ষত্ররাজি সম্পর্কে।

وَقَالَ قَتَادَةُ )وَلَقَدْ زَيَّنَّا السَّمَآءَ الدُّنْيَا بِمَصَابِيْحَ( (الملك : 5) خَلَقَ هَذِهِ النُّجُومَ لِثَلَاثٍ جَعَلَهَا زِيْنَةً لِلسَّمَاءِ وَرُجُومًا لِّلشَّيَاطِيْنِ وَعَلَامَاتٍ يُهْتَدَى بِهَا فَمَنْ تَأَوَّلَ فِيْهَا بِغَيْرِ ذَلِكَ أَخْطَأَ وَأَضَاعَ نَصِيْبَهُ وَتَكَلَّفَ مَا لَا عِلْمَ لَهُ بِهِ

وَقَالَ ابْنُ عَبَّاسٍ )هَشِيْمًا( (الكهف : 45) مُتَغَيِّرًا )وَالْأَبُّ( مَا يَأْكُلُ الأَنْعَامُ )وَالْأَنَامُ( الْخَلْقُ )بَرْزَخٌ( (المؤمنون : 100)

حَاجِبٌ وَقَالَ مُجَاهِدٌ )أَلْفٰفًا( (النباء : 16) : مُلْتَفَّةً )وَالْغُلْبُ( : الْمُلْتَفَّةُ )فِرٰشًا( (البقرة : 22)  : مِهَادًا كَقَوْلِهِ )وَلَكُمْ فِي الْأَرْضِ مُسْتَقَرٌّ( (البقرة : 36) )نَكِدًا( (الأعراف : 58) : قَلِيْلًا

কাতাদাহ (রহ.) বলেন, (আল্লাহ তা’আলার বাণীঃ) আর আমি তো নিকটবর্তী আসমানকে প্রদীপ মালা দিয়ে শুশোভিত করেছি (মুল্কঃ ৫) [এ সম্পর্কে ক্বাতাদাহ (রহ.) বলেন] এ সব নক্ষত্ররাজি তিনটি উদ্দেশে সৃষ্টি করা হয়েছে। (১) এদেরকে আসমানের সৌন্দর্য করেছেন (২) শয়তানদের প্রতি নিক্ষেপের জন্য (৩) এবং পথ ও দিক নির্ণয়ের আলামত হিসেবে। অতএব যে ব্যক্তি এদের সম্পর্কে এছাড়া অন্য কোন ব্যাখ্যা দেয় সে ভুল করে, নিজ প্রাপ্য হারায় এবং সে এমন বিষয়ে কষ্ট করে যে বিষয়ে তার কোন জ্ঞান নেই।

আর ইবনু ’আব্বাস (রাঃ) বলেন, (هَشِيْمًا)-অর্থ পরিবর্তন (আল-কাহাফঃ ৪৫)  আর (الْأَبُّ) অর্থ তৃণ যা চতুষ্পদ জন্তু ভক্ষণ করে, (الْأَنَامُ)-অর্থ মাখলুক (بَرْزَخٌ) অর্থ প্রতিবন্ধক (মু’মিনূনঃ ১০০)

আর মুজাহিদ (রহ.) বলেন, (أَلْفَافًا) অর্থ জড়ানো (নাবাঃ ১৬) আর (الْغُلْبُ) অর্থ ঘন ও সন্নিবেশিত বাগান। (فِرٰشًا) অর্থ বিছানা (বাক্বারাহঃ ২২)। যেমন মহান আল্লাহর বাণীঃ আর তোমাদের জন্য রয়েছে পৃথিবীতে অবস্থান স্থল- (বাক্বারাহঃ ৩৬)। (نَكِدًا)-অর্থ অল্প (আ’রাফঃ ৫৮)।


بِحُسْبَانٍ (الرحمن : 5)

উভয়েই (সূর্য ও চন্দ্র) সুনির্দিষ্ট কক্ষে বিচরণ করে।’’ (আর-রহমানঃ ৫)

قَالَ مُجَاهِدٌ : كَحُسْبَانِ الرَّحَى. وَقَالَ غَيْرُهُ : بِحِسَابٍ وَمَنَازِلَ لَا يَعْدُوَانِهَا. حُسْبَانٌ : جَمَاعَةُ حِسَابٍ، مِثْلُ شِهَابٍ وَشُهْبَانٍ. ضُحَاهَا : ضَوْءُهَا. أَنْ تُدْرِكَ الْقَمَرَ : لَا يَسْتُرُ ضَوْءُ أَحَدِهِمَا ضَوْءَ الآخَرِ وَلَا يَنْبَغِيْ لَهُمَا ذَلِكَ، سَابِقُ النَّهَارِ يَتَطَالَبَانِ حَثِيْثَيْنِ نَسْلَخُ، نُخْرِجُ أَحَدَهُمَا مِنْ الآخَرِ وَنُجْرِيْ كُلَّ وَاحِدٍ مِنْهُمَا. وَاهِيَةٌ : وَهْيُهَا تَشَقُّقُهَا. أَرْجَائِهَا : مَا لَمْ يَنْشَقَّ مِنْهَا فَهُمْ عَلَى حَافَتَيْهَا كَقَوْلِكَ : عَلَى أَرْجَاءِ الْبِئْرِ. أَغْطَشَ وَ جَنَّ : أَظْلَمَ وَقَالَ الْحَسَنُ : كُوِّرَتْ تُكَوَّرُ حَتَّى يَذْهَبَ ضَوْءُهَا. وَاللَّيْلِ وَمَا وَسَقَ جَمَعَ مِنْ دَابَّةٍ. اتَّسَقَ : اسْتَوَى. بُرُوْجًا : مَنَازِلَ الشَّمْسِ وَالْقَمَرِ. الْحَرُوْرُ بِالنَّهَارِ مَعَ الشَّمْسِ. وَقَالَ ابْنُ عَبَّاسٍ : وَرُؤْبَةُ الْحَرُوْرُ بِاللَّيْلِ وَالسَّمُومُ بِالنَّهَارِ. يُقَالُ : يُوْلِجُ يُكَوِّرُ. وَلِيْجَةً : كُلُّ شَيْءٍ أَدْخَلْتَهُ فِيْ شَيْءٍ.

মুজাহিদ (রহ.) বলেন, উভয়ের আবর্তন চাকার আবর্তনের অনুরূপ। আর অন্যেরা বলেন, উভয় এমন এক নির্দিষ্ট হিসাব ও স্থানের দ্বারা নিয়ন্ত্রিত যা তারা অর্থাৎ চন্দ্র-সূর্য লংঘন করতে পারে না। حُسْبَانٌ হল حِسَاب শব্দের বহুবচন, যেমন   شِهَاب এর বহুবচন হল شُهْبَان- ضُحَاهَا এর অর্থ তার জ্যোতি। أَنْ تُدْرِكَ الْقَمَرَ  চন্দ্র-সূর্যের একটির জ্যোতি অপরটির জ্যোতিকে ঢাকতে পারে না, আর তাদের পক্ষে এটা সম্ভব নয়। سَابِقُ النَّهَارِ  রাত দিনকে দ্রুত অতিক্রম করে। উভয়ে দ্রুত অতিক্রম করতে চায়। نَسْلَخُ আমি উভয়ের একটিকে অপরটি হতে বের করে আনি আর তাদের প্রতিটি চালিত করা হয় وَاهِيَةٌ এবং وَهْيُهَا এর অর্থ তার বিদীর্ণ হওয়া। أَرْجَائِهَا  তার সেই অংশ যা বিদীর্ণ হয়নি আর তারা তার উভয় পার্শ্বে থাকবে। যেমন তোমার উক্তি عَلَى أَرْجَاءِ الْبِئْرِ  কূপের তীরে أَغْطَشَ وَ جَنَّ  অন্ধকারে ছেয়ে গেল। হাসান বসরী (রহ.) বলেন, كُوِّرَتْ অর্থ লেপটিয়ে দেয়া হবে, যাতে তার জ্যোতি নিঃশেষ হয়ে যাবে। আর বলা হয়ে থাকে وَاللَّيْلِ وَمَا وَسَقَ  এর অর্থ আর শপথ রজনীর এবং তার যে জীবজন্তু একত্রিত করল। اتَّسَقَ বরাবর হল। بُرُوْجًا চন্দ্র সূর্যের কক্ষ ও নির্ধারিত স্থান। الْحَرُوْرُ -গরম বাতাস যা দিনের বেলায় সূর্যের সঙ্গে প্রবাহিত হয়। ইবনু ’আব্বাস (রাঃ) বলেন,  الْحَرُوْرُ রাত্রি বেলার আর السَّمُومُ দিনের বেলার লু হাওয়া। বলা হয় يُوْلِجُ  অর্থ প্রবিষ্ট করে বা করবে وَلِيْجَة  অর্থ এমন প্রতিটি বস্তু যা তুমি অন্যটির মধ্যে ঢুকিয়েছ।


৩১৯৯. আবূ যার (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সূর্য অস্ত যাবার সময় আবূ যার (রাঃ)-কে বললেন, তুমি কি জান, সূর্য কোথায় যায়? আমি বললাম, আল্লাহ এবং তাঁর রাসূলই ভাল জানেন। তিনি বললেন, তা যেতে যেতে আরশের নীচে গিয়ে সাজ্দাহয় পড়ে যায়। অতঃপর সে আবার উদিত হবার অনুমতি চায় এবং তাকে অনুমতি দেয়া হয়। আর শীঘ্রই এমন সময় আসবে যে, সিজ্দা করবে কিন্তু তা কবূল করা হবে না এবং সে অনুমতি চাইবে কিন্তু তাকে অনুমতি দেয়া হবে না। তাকে বলা হবে, যে পথ দিয়ে আসলে ঐ পথেই ফিরে যাও। তখন সে পশ্চিম দিক হতে উদিত হয়— এটাই মর্ম হল মহান আল্লাহর বাণীরঃ ’’আর সূর্য নিজ গন্তব্যে (অথবা) কক্ষ পথে চলতে থাকে। এটা পরাক্রমশালী, সর্বজ্ঞের নিয়ন্ত্রণ।’’ (ইয়াসীন ৩৮) (৪৮০২, ৪৮০৩, ৭৪২৪, ৭৪৩৩) (আধুনিক প্রকাশনীঃ ২৯৫৮, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ২৯৬৯)

بَابُ صِفَةِ الشَّمْسِ وَالْقَمَرِ

حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ يُوسُفَ حَدَّثَنَا سُفْيَانُ عَنْ الأَعْمَشِ عَنْ إِبْرَاهِيْمَ التَّيْمِيِّ عَنْ أَبِيْهِ عَنْ أَبِيْ ذَرٍّ قَالَ قَالَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم لِأَبِيْ ذَرٍّ حِيْنَ غَرَبَتْ الشَّمْسُ أَتَدْرِيْ أَيْنَ تَذْهَبُ قُلْتُ اللهُ وَرَسُوْلُهُ أَعْلَمُ قَالَ فَإِنَّهَا تَذْهَبُ حَتَّى تَسْجُدَ تَحْتَ الْعَرْشِ فَتَسْتَأْذِنَ فَيُؤْذَنُ لَهَا وَيُوشِكُ أَنْ تَسْجُدَ فَلَا يُقْبَلَ مِنْهَا وَتَسْتَأْذِنَ فَلَا يُؤْذَنَ لَهَا يُقَالُ لَهَا ارْجِعِيْ مِنْ حَيْثُ جِئْتِ فَتَطْلُعُ مِنْ مَغْرِبِهَا فَذَلِكَ قَوْلُهُ تَعَالَى وَالشَّمْسُ تَجْرِيْ لِمُسْتَقَرٍّ لَّهَا ذٰلِكَ تَقْدِيْرُ الْعَزِيْزِ الْعَلِيْمِ (يس : 38)

حدثنا محمد بن يوسف حدثنا سفيان عن الاعمش عن ابراهيم التيمي عن ابيه عن ابي ذر قال قال النبي صلى الله عليه وسلم لابي ذر حين غربت الشمس اتدري اين تذهب قلت الله ورسوله اعلم قال فانها تذهب حتى تسجد تحت العرش فتستاذن فيوذن لها ويوشك ان تسجد فلا يقبل منها وتستاذن فلا يوذن لها يقال لها ارجعي من حيث جىت فتطلع من مغربها فذلك قوله تعالى والشمس تجري لمستقر لها ذلك تقدير العزيز العليم (يس : 38)


Narrated Abu Dhar:

The Prophet (ﷺ) asked me at sunset, "Do you know where the sun goes (at the time of sunset)?" I replied, "Allah and His Apostle know better." He said, "It goes (i.e. travels) till it prostrates Itself underneath the Throne and takes the permission to rise again, and it is permitted and then (a time will come when) it will be about to prostrate itself but its prostration will not be accepted, and it will ask permission to go on its course but it will not be permitted, but it will be ordered to return whence it has come and so it will rise in the west. And that is the interpretation of the Statement of Allah: "And the sun Runs its fixed course For a term (decreed). that is The Decree of (Allah) The Exalted in Might, The All- Knowing." (36.38)


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
৫৯/ সৃষ্টির সূচনা (كتاب بدء الخلق) 59/ Beginning of Creation
৩২০০

পরিচ্ছেদঃ ৫৯/৪. সূর্য ও চন্দ্রের অবস্থান।

৩২০০. আবূ হুরাইরাহ্ (রাঃ) সূত্রে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, কিয়ামতের দিন সূর্য ও চন্দ্র দু’টিকেই গুটিয়ে নেয়া হবে। (আধুনিক প্রকাশনীঃ ২৯৫৯, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ২৯৭০)

بَابُ صِفَةِ الشَّمْسِ وَالْقَمَرِ

حَدَّثَنَا مُسَدَّدٌ حَدَّثَنَا عَبْدُ الْعَزِيْزِ بْنُ الْمُخْتَارِ حَدَّثَنَا عَبْدُ اللهِ الدَّانَاجُ قَالَ حَدَّثَنِيْ أَبُوْ سَلَمَةَ بْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ عَنْ أَبِيْ هُرَيْرَةَ عَنْ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ (الشَّمْسُ وَالْقَمَرُ مُكَوَّرَانِ يَوْمَ الْقِيَامَةِ)

حدثنا مسدد حدثنا عبد العزيز بن المختار حدثنا عبد الله الداناج قال حدثني ابو سلمة بن عبد الرحمن عن ابي هريرة عن النبي صلى الله عليه وسلم قال (الشمس والقمر مكوران يوم القيامة)


Narrated Abu Huraira:

The Prophet (ﷺ) said, "The sun and the moon will be folded up (deprived of their light) on the Day of Resurrection."


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ আবূ হুরায়রা (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
৫৯/ সৃষ্টির সূচনা (كتاب بدء الخلق) 59/ Beginning of Creation
৩২০১

পরিচ্ছেদঃ ৫৯/৪. সূর্য ও চন্দ্রের অবস্থান।

৩২০১. ‘আবদুল্লাহ ইবনু ‘উমার (রাঃ) হতে বর্ণিত। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, কারো মৃত্যু কিংবা জন্মের কারণে সূর্য গ্রহণ ও চন্দ্রগ্রহণ হয় না, বরং এ দু’টো আল্লাহর নিদর্শনসমূহের মধ্যে দু’টি নিদর্শন মাত্র। কাজেই তোমরা যখন তা ঘটতে দেখবে তখন সালাত আদায় করবে। (১০৪২) (আধুনিক প্রকাশনীঃ ২৯৬০, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ২৯৭১)

بَابُ صِفَةِ الشَّمْسِ وَالْقَمَرِ

حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ سُلَيْمَانَ قَالَ حَدَّثَنِيْ ابْنُ وَهْبٍ قَالَ أَخْبَرَنِيْ عَمْرٌو أَنَّ عَبْدَ الرَّحْمَنِ بْنَ الْقَاسِمِ حَدَّثَهُ عَنْ أَبِيْهِ عَنْ عَبْدِ اللهِ بْنِ عُمَرَ رَضِيَ اللهُ عَنْهُمَا أَنَّهُ كَانَ يُخْبِرُ عَنْ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ إِنَّ الشَّمْسَ وَالْقَمَرَ لَا يَخْسِفَانِ لِمَوْتِ أَحَدٍ وَلَا لِحَيَاتِهِ وَلَكِنَّهُمَا آيَتَانِ مِنْ آيَاتِ اللهِ فَإِذَا رَأَيْتُمُوْهُمَا فَصَلُّوْا

حدثنا يحيى بن سليمان قال حدثني ابن وهب قال اخبرني عمرو ان عبد الرحمن بن القاسم حدثه عن ابيه عن عبد الله بن عمر رضي الله عنهما انه كان يخبر عن النبي صلى الله عليه وسلم قال ان الشمس والقمر لا يخسفان لموت احد ولا لحياته ولكنهما ايتان من ايات الله فاذا رايتموهما فصلوا


Narrated `Abdullah bin `Umar:

The Prophet (ﷺ) said, "The sun and the moon do not eclipse because of someone's death or life (i.e. birth), but they are two signs amongst the Signs of Allah. So, if you see them (i.e. eclipse) offer the (eclipse) prayer.


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
৫৯/ সৃষ্টির সূচনা (كتاب بدء الخلق) 59/ Beginning of Creation
৩২০২

পরিচ্ছেদঃ ৫৯/৪. সূর্য ও চন্দ্রের অবস্থান।

৩২০২. ‘আবদুল্লাহ ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, সূর্য এবং চন্দ্র আল্লাহর নিদর্শনসমূহের মধ্য হতে দু’টি নিদর্শন। কারো মৃত্যু কিংবা জন্মের কারণে সূর্যগ্রহণ ও চন্দ্রগ্রহণ হয় না। কাজেই তোমরা যখন তা ঘটতে দেখবে তখন আল্লাহর যিক্র করবে। (আধুনিক প্রকাশনীঃ ২৯৬১, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ২৯৭২)

بَابُ صِفَةِ الشَّمْسِ وَالْقَمَرِ

حَدَّثَنَا إِسْمَاعِيْلُ بْنُ أَبِيْ أُوَيْسٍ قَالَ : حَدَّثَنِيْ مَالِكٌ عَنْ زَيْدِ بْنِ أَسْلَمَ عَنْ عَطَاءِ بْنِ يَسَارٍ عَنْ عَبْدِ اللهِ بْنِ عَبَّاسٍ، رَضِيَ اللهُ عَنْهُمَا، قَالَ : قَالَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم : إِنَّ الشَّمْسَ وَالْقَمَرَ آيَتَانِ مِنْ آيَاتِ اللهِ لَا يَخْسِفَانِ لِمَوْتِ أَحَدٍ وَلَا لِحَيَاتِهِ، فَإِذَا رَأَيْتُمْ ذَلِكَ فَاذْكُرُوْا اللهَ.

حدثنا اسماعيل بن ابي اويس قال : حدثني مالك عن زيد بن اسلم عن عطاء بن يسار عن عبد الله بن عباس، رضي الله عنهما، قال : قال النبي صلى الله عليه وسلم : ان الشمس والقمر ايتان من ايات الله لا يخسفان لموت احد ولا لحياته، فاذا رايتم ذلك فاذكروا الله.


Narrated `Abdullah bin `Abbas:

The Prophet (ﷺ) said, "The sun and the moon are two signs amongst the Signs of Allah. They do not eclipse because of someone's death or life. So, if you see them (i.e. eclipse), celebrate the Praises of Allah (i.e. pray).


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
৫৯/ সৃষ্টির সূচনা (كتاب بدء الخلق) 59/ Beginning of Creation
৩২০৩

পরিচ্ছেদঃ ৫৯/৪. সূর্য ও চন্দ্রের অবস্থান।

৩২০৩. ‘আয়িশাহ (রাঃ) হতে বর্ণিত যে, যেদিন সূর্যগ্রহণ হল, সে দিন আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সালাতে দাঁড়ালেন। অতঃপর তাকবীর বললেন এবং দীর্ঘ কিরাআত পাঠ করলেন। অতঃপর দীর্ঘ রুকু করলেন অতঃপর তিনি মাথা উঠালেন এবং বললেন, سَمِعَ اللهُ لِمَنْ حَمِدَهُ  এবং তিনি আগের মত দাঁড়ালেন। আর দীর্ঘ কিরাআত পাঠ করলেন কিন্তু তা প্রথম কিরাআত থেকে কম ছিল। অতঃপর তিনি দীর্ঘক্ষণ রুকু‘ করলেন কিন্তু তা প্রথম রাক‘আতের চেয়ে কম ছিল। অতঃপর তিনি দীর্ঘ সাজ্দাহ করলেন। তিনি শেষ রাক‘আতেও ঐ রকমই করলেন, পরে সালাম ফিরালেন। এ সময় সূর্য উজ্জ্বল হয়ে গেছে। তখন তিনি মানুষদের উদ্দেশে খুত্বা দিলেন। তিনি সূর্য ও চন্দ্র গ্রহণ সম্পর্কে বললেন, অবশ্যই এ দু’টি আল্লাহর নিদর্শনাবলীর মধ্যে দু’টি নিদর্শন। কারো মৃত্যু ও জন্মের কারণে সূর্যগ্রহণ-চন্দ্রগ্রহণ হয় না। অতএব যখনই তোমরা তা ঘটতে দেখবে তখনই সালাতে ভয়-ভীতি নিয়ে লিপ্ত হবে। (১০৪৪) (আধুনিক প্রকাশনীঃ ২৯৬২, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ২৯৭৩)

بَابُ صِفَةِ الشَّمْسِ وَالْقَمَرِ

حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ بُكَيْرٍ حَدَّثَنَا اللَّيْثُ عَنْ عُقَيْلٍ عَنْ ابْنِ شِهَابٍ قَالَ أَخْبَرَنِيْ عُرْوَةُ أَنَّ عَائِشَةَ رَضِيَ اللهُ عَنْهَا أَخْبَرَتْهُ أَنَّ رَسُوْلَ اللهِ صلى الله عليه وسلم يَوْمَ خَسَفَتْ الشَّمْسُ قَامَ فَكَبَّرَ وَقَرَأَ قِرَاءَةً طَوِيْلَةً ثُمَّ رَكَعَ رُكُوعًا طَوِيْلًا ثُمَّ رَفَعَ رَأْسَهُ فَقَالَ سَمِعَ اللهُ لِمَنْ حَمِدَهُ وَقَامَ كَمَا هُوَ فَقَرَأَ قِرَاءَةً طَوِيْلَةً وَهِيَ أَدْنَى مِنْ الْقِرَاءَةِ الأُوْلَى ثُمَّ رَكَعَ رُكُوعًا طَوِيْلًا وَهِيَ أَدْنَى مِنْ الرَّكْعَةِ الأُوْلَى ثُمَّ سَجَدَ سُجُوْدًا طَوِيْلًا ثُمَّ فَعَلَ فِي الرَّكْعَةِ الآخِرَةِ مِثْلَ ذَلِكَ ثُمَّ سَلَّمَ وَقَدْ تَجَلَّتْ الشَّمْسُ فَخَطَبَ النَّاسَ فَقَالَ فِيْ كُسُوفِ الشَّمْسِ وَالْقَمَرِ إِنَّهُمَا آيَتَانِ مِنْ آيَاتِ اللهِ لَا يَخْسِفَانِ لِمَوْتِ أَحَدٍ وَلَا لِحَيَاتِهِ فَإِذَا رَأَيْتُمُوْهُمَا فَافْزَعُوْا إِلَى الصَّلَاةِ

حدثنا يحيى بن بكير حدثنا الليث عن عقيل عن ابن شهاب قال اخبرني عروة ان عاىشة رضي الله عنها اخبرته ان رسول الله صلى الله عليه وسلم يوم خسفت الشمس قام فكبر وقرا قراءة طويلة ثم ركع ركوعا طويلا ثم رفع راسه فقال سمع الله لمن حمده وقام كما هو فقرا قراءة طويلة وهي ادنى من القراءة الاولى ثم ركع ركوعا طويلا وهي ادنى من الركعة الاولى ثم سجد سجودا طويلا ثم فعل في الركعة الاخرة مثل ذلك ثم سلم وقد تجلت الشمس فخطب الناس فقال في كسوف الشمس والقمر انهما ايتان من ايات الله لا يخسفان لموت احد ولا لحياته فاذا رايتموهما فافزعوا الى الصلاة


Narrated `Aisha:

On the day of a solar eclipse, Allah's Messenger (ﷺ) stood up (to offer the eclipse prayer). He recited Takbir, recited a long recitation (of Holy Verses), bowed a long bowing, and then he raised h is head saying. "Allah hears him who sends his praises to Him." Then he stayed standing, recited a long recitation again, but shorter than the former, bowed a long bowing, but shorter than the first, performed a long prostration and then performed the second rak`a in the same way as he had done the first. By the time he had finished his prayer with Taslim, the solar eclipse had been over. Then he addressed the people referring to the solar and lunar eclipses saying, "These are two signs amongst the Signs of Allah, and they do not eclipse because of anyone's death or life. So, if you see them, hasten for the Prayer."


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
৫৯/ সৃষ্টির সূচনা (كتاب بدء الخلق) 59/ Beginning of Creation
৩২০৪

পরিচ্ছেদঃ ৫৯/৪. সূর্য ও চন্দ্রের অবস্থান।

৩২০৪. আবূ মাস‘ঊদ (রাঃ) হতে বর্ণিত। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, সূর্যগ্রহণ ও চন্দ্রগ্রহণ কারো মৃত্যু ও জন্মের কারণে হয় না। উভয়টি আল্লাহর নিদর্শনসমূহের মধ্যে হতে দু’টি নিদর্শন। অতএব যখন তোমরা তা ঘটতে দেখবে, তখন তোমরা সালাত আদায় করবে। (১০৪১) (আধুনিক প্রকাশনীঃ ২৯৬৩, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ২৯৭৪)

بَابُ صِفَةِ الشَّمْسِ وَالْقَمَرِ

حَدَّثَنِيْ مُحَمَّدُ بْنُ الْمُثَنَّى حَدَّثَنَا يَحْيَى عَنْ إِسْمَاعِيْلَ قَالَ حَدَّثَنِيْ قَيْسٌ عَنْ أَبِيْ مَسْعُوْدٍ عَنْ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ الشَّمْسُ وَالْقَمَرُ لَا يَنْكَسِفَانِ لِمَوْتِ أَحَدٍ وَلَا لِحَيَاتِهِ وَلَكِنَّهُمَا آيَتَانِ مِنْ آيَاتِ اللهِ فَإِذَا رَأَيْتُمُوْهُمَا فَصَلُّوْا

حدثني محمد بن المثنى حدثنا يحيى عن اسماعيل قال حدثني قيس عن ابي مسعود عن النبي صلى الله عليه وسلم قال الشمس والقمر لا ينكسفان لموت احد ولا لحياته ولكنهما ايتان من ايات الله فاذا رايتموهما فصلوا


Narrated Abu Mas`ud:

The Prophet (ﷺ) said, "the sun and the moon do not eclipse because of the death or life of someone, but they are two signs amongst the Signs of Allah. So, if you see them, offer the Prayer (of eclipse).


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
৫৯/ সৃষ্টির সূচনা (كتاب بدء الخلق) 59/ Beginning of Creation
৩২০৫

পরিচ্ছেদঃ ৫৯/৫. আল্লাহ তা‘আলার এ বাণী সম্বন্ধে যা বর্ণিত হয়েছেঃ তিনিই স্বীয় রাহমাতের বৃষ্টির পূর্বে বিস্তৃতরূপে বায়ুকে প্রেরণ করেন। (আল-ফুরকান ৪৮)

(قَاصِفًا) تَقْصِفُ كُلَّ شَيْءٍ.
(لَوَاقِحَ) مَلاَقِحَ مُلْقِحَةً.
(إِعْصَارٌ) رِيحٌ عَاصِفٌ، تَهُبُّ مِنَ الأَرْضِ إِلَى السَّمَاءِ كَعَمُودٍ فِيهِ نَارٌ.
(صِرٌّ) بَرْدٌ.
(نُشُرًا) مُتَفَرِّقَةً.

قَاصِفًا    অর্থ যা সব কিছু ভেঙ্গে দেয়।  لَوَاقِحَ و مَلَاقِحَ শব্দদ্বয় مُلْقِحَة  শব্দের বহুবচন, যার অর্থ বৃষ্টি বর্ষণকারী। إِعْصَارٌ ঝঞ্ঝা বায়ু যা যমীন হতে আকাশের দিকে স্তম্ভাকারে প্রবাহিত হতে থাকে, যাতে আগুন বিরাজ করে। صِرٌّ অর্থ শীতল। نُشُرًا অর্থ বিস্তৃত।


৩২০৫. ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ) হতে বর্ণিত। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, পূর্বের বাতাস দ্বারা আমাকে সাহায্য করা হয়েছে, আর পশ্চিমের বাতাস দ্বারা আদ জাতিকে হালাক করা হয়েছে। (১০৩৫) (আধুনিক প্রকাশনীঃ ২৯৬৪, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ২৯৭৫)

 

بَابُ مَا جَاءَ فِيْ قَوْلِهِ وَهُوَ الَّذِيْ يُرْسَلَ الرِّيٰحَ نُشُرًام بَيْنَ يَدَيْ رَحْمَتِه

حَدَّثَنَا آدَمُ حَدَّثَنَا شُعْبَةُ عَنْ الْحَكَمِ عَنْ مُجَاهِدٍ عَنْ ابْنِ عَبَّاسٍ رَضِيَ اللهُ عَنْهُمَا عَنْ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ نُصِرْتُ بِالصَّبَا وَأُهْلِكَتْ عَادٌ بِالدَّبُوْرِ

حدثنا ادم حدثنا شعبة عن الحكم عن مجاهد عن ابن عباس رضي الله عنهما عن النبي صلى الله عليه وسلم قال نصرت بالصبا واهلكت عاد بالدبور


Narrated Ibn `Abbas:

The Prophet (ﷺ) said, "I have been made victorious with the Saba (i.e. easterly wind) and the people of 'Ad were destroyed with the Dabur (i.e. westerly wind) ."


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
৫৯/ সৃষ্টির সূচনা (كتاب بدء الخلق) 59/ Beginning of Creation
৩২০৬

পরিচ্ছেদঃ ৫৯/৫. আল্লাহ তা‘আলার এ বাণী সম্বন্ধে যা বর্ণিত হয়েছেঃ তিনিই স্বীয় রাহমাতের বৃষ্টির পূর্বে বিস্তৃতরূপে বায়ুকে প্রেরণ করেন। (আল-ফুরকান ৪৮)

৩২০৬. ‘আয়িশাহ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যখন আকাশে মেঘ দেখতেন, তখন একবার সামনে আগাতেন, আবার পেছনে সরে যেতেন। আবার কখনও ঘরে প্রবেশ করতেন, আবার বেরিয়ে যেতেন আর তাঁর মুখমণ্ডল মলিন হয়ে যেত। পরে যখন আকাশ বৃষ্টি বর্ষণ করত তখন তাঁর এ অবস্থা দূর হত। ‘আয়িশাহ (রাঃ)-এর কারণ জানতে চাইলে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, আমি জানি না, এ মেঘ এমন মেঘও হতে পারে যা দেখে আদ জাতি বলেছিলঃ অতঃপর যখন তারা তাদের উপত্যকার দিকে উক্ত মেঘমালাকে এগোতে দেখল। (৪৬ঃ ২৪) (৪৮২৯) (মুসলিম ৯/৩ হাঃ ৮৯৯) (আধুনিক প্রকাশনীঃ ২৯৬৫, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ২৯৭৬)

بَابُ مَا جَاءَ فِيْ قَوْلِهِ وَهُوَ الَّذِيْ يُرْسَلَ الرِّيٰحَ نُشُرًام بَيْنَ يَدَيْ رَحْمَتِه

حَدَّثَنَا مَكِّيُّ بْنُ إِبْرَاهِيْمَ حَدَّثَنَا ابْنُ جُرَيْجٍ عَنْ عَطَاءٍ عَنْ عَائِشَةَ رَضِيَ اللهُ عَنْهَا قَالَتْ كَانَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم إِذَا رَأَى مَخِيْلَةً فِي السَّمَاءِ أَقْبَلَ وَأَدْبَرَ وَدَخَلَ وَخَرَجَ وَتَغَيَّرَ وَجْهُهُ فَإِذَا أَمْطَرَتْ السَّمَاءُ سُرِّيَ عَنْهُ فَعَرَّفَتْهُ عَائِشَةُ ذَلِكَ فَقَالَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم مَا أَدْرِيْ لَعَلَّهُ كَمَا قَالَ قَوْمٌ : فَلَمَّا رَأَوْهُ عَارِضًا مُّسْتَقْبِلَ أَوْدِيَتِهِمْ (الأحقاف : 24) الآيَةَ

حدثنا مكي بن ابراهيم حدثنا ابن جريج عن عطاء عن عاىشة رضي الله عنها قالت كان النبي صلى الله عليه وسلم اذا راى مخيلة في السماء اقبل وادبر ودخل وخرج وتغير وجهه فاذا امطرت السماء سري عنه فعرفته عاىشة ذلك فقال النبي صلى الله عليه وسلم ما ادري لعله كما قال قوم : فلما راوه عارضا مستقبل اوديتهم (الاحقاف : 24) الاية


Narrated Ata:

`Aisha said If the Prophet (ﷺ) saw a cloud In the sky, he would walk to and fro in agitation, go out and come in, and the color of his face would change, and if it rained, he would feel relaxed." So `Aisha knew that state of his. So the Prophet (ﷺ) said, I don't know (am afraid), it may be similar to what happened to some people referred to in the Holy Qur'an in the following Verse: -- "Then when they saw it as a dense cloud coming towards their valleys, they said, 'This is a cloud bringing us rain!' Nay, but, it is that (torment) which you were asking to be hastened a wind wherein is severe torment." (46.24)


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
৫৯/ সৃষ্টির সূচনা (كتاب بدء الخلق) 59/ Beginning of Creation
৩২০৭

পরিচ্ছেদঃ ৫৯/৬. ফেরেশতাদের বর্ণনা।

وَقَالَ أَنَسٌ قَالَ عَبْدُ اللهِ بْنُ سَلَامٍ لِلنَّبِيِّ صلىالله عليه وسلم إِنَّ جِبْرِيْلَ عَلَيْهِ السَّلَام عَدُوُّ الْيَهُوْدِ مِنْ الْمَلَائِكَةِ وَقَالَ ابْنُ عَبَّاسٍ وَإِنَّا لَنَحْنُ الصَّآفُّوْنَ الْمَلَائِكَةُ

আনাস ইবনু মালিক (রাঃ) বলেন, ‘আবদুল্লাহ ইবনু সালাম (রাঃ) নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর কাছে বললেন, ফেরেশতাদের মধ্যে জিব্রাঈল (আঃ) ইয়াহূদীদের শত্রু। [১] আর ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ) বলেছেন, وإنا لَنَحْنُ الصَّافُّوْنَ অর্থ আমরা তো (ফেরেশতাকুল) সারিবদ্ধভাবে দন্ডায়মান- (সাফফাতঃ ১৬৫)। (আধুনিক প্রকাশনীঃ ২৯৬৬)


৩২০৭. মালিক ইবনু সা‘সা‘আ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, আমি কা‘বা ঘরের নিকট নিদ্রা ও জাগরণ- এ দু’অবস্থার মাঝামাঝি অবস্থায় ছিলাম। অতঃপর তিনি দু’ব্যক্তির মাঝে অপর এক ব্যক্তি অর্থাৎ নিজের অবস্থা উল্লেখ করে বললেন, আমার নিকট সোনার একটি পেয়ালা নিয়ে আসা হল- যা হিকমত ও ঈমানে ভরা ছিল। অতঃপর আমার বুক হতে পেটের নীচ পর্যন্ত চিরে ফেলা হল। অতঃপর আমার পেট যমযমের পানি দিয়ে ধোয়া হল। অতঃপর তা হিকমত ও ঈমানে পূর্ণ করা হল এবং আমার নিকট সাদা রঙের চতুষ্পদ জন্তু আনা হল, যা খচ্চর হতে ছোট আর গাধা হতে বড় অর্থাৎ বোরাক। অতঃপর তাতে চড়ে আমি জিব্রাঈল (আঃ) সহ চলতে চলতে পৃথিবীর নিকটতম আসমানে গিয়ে পৌঁছলাম। জিজ্ঞেস করা হল, এ কে? উত্তরে বলা হল, জিব্রাঈল। জিজ্ঞেস করা হল, আপনার সঙ্গে আর কে? উত্তর দেয়া হল, মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম। প্রশ্ন করা হল তাঁকে আনার জন্য কি পাঠানো হয়েছে? তিনি বললেন, হ্যাঁ। বলা হল, তাঁকে মারহাবা, তাঁর আগমন কতই না উত্তম। অতঃপর আমি আদম (আঃ)-এর নিকট গেলাম। তাঁকে সালাম করলাম। তিনি বললেন, পুত্র ও নবী! তোমার প্রতি মারহাবা। অতঃপর আমরা দ্বিতীয় আসমানে গেলাম। জিজ্ঞেস করা হল, এ কে? তিনি বললেন, আমি জিব্রাঈল। জিজ্ঞেস করা হল, আপনার সঙ্গে আর কে? তিনি বললেন, মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম। প্রশ্ন করা হল, তাঁকে আনার জন্য কি পাঠানো হয়েছে? তিনি বললেন, হ্যাঁ। বলা হল, তাঁকে মারহাবা আর তাঁর আগমন কতই না উত্তম। অতঃপর আমি ‘ঈসা ও ইয়াহইয়া (আঃ)-এর নিকট আসলাম। তাঁরা উভয়ে বললেন, ভাই ও নবী! আপনার প্রতি মারহাবা। অতঃপর আমরা তৃতীয় আসমানে পৌঁছলাম। জিজ্ঞেস করা হল, এ কে? উত্তরে বলা হল, আমি জিব্রাঈল। প্রশ্ন করা হল, আপনার সঙ্গে কে? বলা হল, মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম। জিজ্ঞেস করা হল, তাঁকে আনার জন্য কি পাঠানো হয়েছে? তিনি বললেন, হ্যাঁ। বলা হল, তাঁকে মারহাবা আর তাঁর আগমন কতই না উত্তম। অতঃপর আমি ইউসুফ (আঃ)-এর নিকট গেলাম। তাঁকে আমি সালাম করলাম। তিনি বললেন, ভাই ও নবী! আপনাকে মারহাবা। অতঃপর আমরা চতুর্থ আসমানে পৌঁছলাম। প্রশ্ন করা হল, এ কে? তিনি বললেন, আমি জিবরাঈল। জিজ্ঞেস করা হল, আপনার সঙ্গে কে? বলা হল, মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম। প্রশ্ন করা হল, তাঁকে আনার জন্য কি পাঠানো হয়েছে? জবাবে বলা হল, হ্যাঁ। বলা হল, তাঁকে মারহাবা আর তাঁর আগমন কতই না উত্তম। অতঃপর আমি ইদ্রীস (আঃ)-এর নিকট গেলাম। আমি তাঁকে সালাম করলাম। তিনি বললেন, ভাই ও নবী! আপনাকে মারহাবা। এরপর আমরা পঞ্চম আসমানে পৌঁছলাম। জিজ্ঞেস করা হল, এ কে? বলা হয় আমি জিব্রাঈল। প্রশ্ন হল আপনার সঙ্গে আর কে? বলা হল, মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম। প্রশ্ন করা হল, তাঁকে আনার জন্য কি পাঠানো হয়েছে? বলা হল, হ্যাঁ। বললেন, তাঁকে মারহাবা আর তাঁর আগমন কতই না উত্তম। অতঃপর আমরা হারুন (আঃ)-এর নিকট গেলাম। আমি তাকে সালাম করলাম। তিনি বললেন, ভাই ও নবী! আপনাকে মারহাবা। অতঃপর আমরা ষষ্ঠ আসমানে পৌঁছলাম। জিজ্ঞেস করা হল, এ কে? বলা হল, আমি জিব্রাঈল। প্রশ্ন করা হল, আপনার সঙ্গে কে? বলা হল, মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম। বলা হল, তাঁকে আনার জন্য পাঠানো হয়েছে? তাঁকে মারহাবা আর তাঁর আগমন কতই না উত্তম। অতঃপর আমি মূসা (আঃ)-এর নিকট গেলাম। আমি তাঁকে সালাম করলাম। তিনি বললেন, ভাই ও নবী আপনাকে মারহাবা। অতঃপর আমি যখন তাঁর কাছ দিয়ে গেলাম, তখন তিনি কেঁদে ফেললেন। তাঁকে বলা হল, আপনি কাঁদছেন কেন? তিনি বললেন, হে রব! এ ব্যক্তি যে আমার পরে প্রেরিত, তাঁর উম্মাত আমার উম্মাতের চেয়ে অধিক পরিমাণে বেহেশতে যাবে। অতঃপর আমরা সপ্তম আকাশে পৌঁছলাম। প্রশ্ন করা হল, এ কে? বলা হল, আমি জিব্রাঈল। জিজ্ঞেস করা হল, আপনার সঙ্গে কে? বলা হল, মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম। বলা হল, তাঁকে আনার জন্য পাঠানো হয়েছে? তাঁকে মারহাবা। তাঁর আগমন কতই না উত্তম। অতঃপর আমি ইব্রাহীম (আঃ)-এর নিকট গেলাম। তাঁকে সালাম করলাম। তিনি বললেন, হে পুত্র ও নবী! আপনাকে মারহাবা। অতঃপর বায়তুল মা’মূরকে আমার সামনে প্রকাশ করা হল। আমি জিব্রাঈল (আঃ)-কে জিজ্ঞেস করলাম। তিনি বললেন, এটি বায়তুল মা’মূর। প্রতিদিন এখানে সত্তর হাজার ফেরেশতা সালাত আদায় করেন। এরা এখান হতে একবার বাহির হলে দ্বিতীয় বার ফিরে আসেন না। এটাই তাদের শেষ প্রবেশ। অতঃপর আমাকে ‘সিদ্রাতুল মুনতাহা’ দেখানো হল। দেখলাম, এর ফল যেন হাজারা নামক জায়গার মটকার মত। আর তার পাতা যেন হাতীর কান। তার উৎসমূলে চারটি ঝরণা প্রবাহিত। দু’টি ভিতরে আর দু’টি বাইরে। এ সম্পর্কে আমি জিব্রাঈলকে জিজ্ঞেস করলাম। তিনি বললেন, ভিতরের দু’টি জান্নাতে অবস্থিত। আর বাইরের দু’টির একটি হল- ফুরাত আর অপরটি হল (মিশরের) নীল নদ। অতঃপর আমার প্রতি পঞ্চাশ ওয়াক্ত সালাত ফরজ করা হয়। আমি তা গ্রহণ করে মূসা (আঃ)-এর নিকট ফিরে এলাম। তিনি বললেন, কি করে এলেন? আমি বললাম, আমার প্রতি পঞ্চাশ ওয়াক্ত সালাত ফরজ করা হয়েছে। তিনি বললেন, আমি আপনার চেয়ে মানুষ সম্পর্কে অধিক জ্ঞাত আছি। আমি বনী ইসরাঈলের রোগ সরানোর যথেষ্ট চেষ্টা করেছি। আপনার উম্মাত এত আদায়ে সমর্থ হবে, না। অতএব আপনার রবের নিকট ফিরে যান এবং তা কমানোর আবেদন করুন। আমি ফিরে গেলাম এবং তাঁর নিকট আবেদন করলাম। তিনি সালাত চল্লিশ ওয়াক্ত করে দিলেন। আবার তেমন ঘটল। সালাত ত্রিশ ওয়াক্ত করে দেয়া হল। আবার তেমন ঘটলে তিনি সালাত বিশ ওয়াক্ত করে দিলেন। আবার তেমন ঘটল। তিনি সালাতকে দশ ওয়াক্ত করে দিলেন। অতঃপর আমি মূসা (আঃ)-এর নিকট আসলাম। তিনি আগের মত বললেন, এবার আল্লাহ সালাতকে পাঁচ ওয়াক্ত ফরজ করে দিলেন। আমি মূসার নিকট আসলাম। তিনি বললেন, কী করে আসলেন? আমি বললাম, আল্লাহ পাঁচ ওয়াক্ত ফরজ করে দিয়েছেন। এবারও তিনি আগের মত বললেন, আমি বললাম, আমি তা মেনে নিয়েছি। তখন আওয়াজ এল, আমি আমার ফরজ জারি করে দিয়েছি। আর আমার বান্দাদের হতে হালকা করেও দিয়েছি। আমি প্রতিটি নেকির বদলে দশগুণ সওয়াব দিব। আর বায়তুল মা’মূর সম্পর্কে হাম্মাম (রহ.).........আবূ হুরাইরাহ্ (রাঃ) সূত্রে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হতে বর্ণনা করেন। (৩৩৯৩, ৩৪৩০, ৩৮৮৭) (মুসলিম ১/৭৪ হাঃ ১৬৪, আহমাদ ১৭৮৫০) (আধুনিক প্রকাশনীঃ ২৯৬৭, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ২৯৭৭)

بَابُ ذِكْرِ الْمَلَائِكَةِ صَلَوَاتُ اللهِ عَلَيْهِمْ

حَدَّثَنَا هُدْبَةُ بْنُ خَالِدٍ حَدَّثَنَا هَمَّامٌ عَنْ قَتَادَةَ (ح). وقَالَ لِيْ خَلِيْفَةُ قال : حَدَّثَنَا يَزِيْدُ بْنُ زُرَيْعٍ قال : حَدَّثَنَا سَعِيْدٌ وَهِشَامٌ قَالَا : حَدَّثَنَا قَتَادَةُ قال : حَدَّثَنَا أَنَسُ بْنُ مَالِكٍ عَنْ مَالِكِ بْنِ صَعْصَعَةَ، رَضِيَ اللهُ عَنْهُمَا، قَالَ : قَالَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم : بَيْنَا أَنَا عِنْدَ الْبَيْتِ بَيْنَ النَّائِمِ وَالْيَقْظَانِ - وَذَكَرَ يَعْنِيْ : رَجُلًا بَيْنَ الرَّجُلَيْنِ - فَأُتِيْتُ بِطَسْتٍ مِنْ ذَهَبٍ مُلِئَ حِكْمَةً وَإِيْمَانًا، فَشُقَّ مِنْ النَّحْرِ إِلَى مَرَاقِّ الْبَطْنِ ثُمَّ غُسِلَ الْبَطْنُ بِمَاءِ زَمْزَمَ ثُمَّ مُلِئَ حِكْمَةً وَإِيْمَانًا، وَأُتِيْتُ بِدَابَّةٍ أَبْيَضَ دُوْنَ الْبَغْلِ وَفَوْقَ الْحِمَارِ : الْبُرَاقُ، فَانْطَلَقْتُ مَعَ جِبْرِيْلَ حَتَّى أَتَيْنَا السَّمَاءَ الدُّنْيَا. قِيْلَ : مَنْ هَذَا؟ قَالَ : جِبْرِيْلُ. قِيْلَ : مَنْ مَعَكَ؟ مُحَمَّدٌ . قِيْلَ : وَقَدْ أُرْسِلَ إِلَيْهِ؟ قَالَ : نَعَمْ. قِيْلَ : مَرْحَبًا بِهِ وَلَنِعْمَ الْمَجِيءُ جَاءَ فَأَتَيْتُ عَلَى آدَمَ فَسَلَّمْتُ عَلَيْهِ فَقَالَ : مَرْحَبًا بِكَ مِنْ ابْنٍ وَنَبِيٍّ، فَأَتَيْنَا السَّمَاءَ الثَّانِيَةَ قِيْلَ : مَنْ هَذَا؟ قَالَ : جِبْرِيْلُ. قِيْلَ : مَنْ مَعَكَ؟ قَالَ : مُحَمَّدٌ قِيْلَ : أُرْسِلَ إِلَيْهِ؟ قَالَ : نَعَمْ قِيْلَ : مَرْحَبًا بِهِ وَلَنِعْمَ الْمَجِيءُ جَاءَ. فَأَتَيْتُ عَلَى عِيْسَى وَيَحْيَى فَقَالَا : مَرْحَبًا بِكَ مِنْ أَخٍ وَنَبِيٍّ فَأَتَيْنَا السَّمَاءَ الثَّالِثَةَ قِيْلَ : مَنْ هَذَا؟ قِيْلَ : جِبْرِيْلُ. قِيْلَ : مَنْ مَعَكَ؟ قِيْلَ : مُحَمَّدٌ. قِيْلَ : وَقَدْ أُرْسِلَ إِلَيْهِ؟ قَالَ : نَعَمْ. قِيْلَ : مَرْحَبًا بِهِ وَلَنِعْمَ الْمَجِيءُ جَاءَ. فَأَتَيْتُ عَلَى يُوسُفَ فَسَلَّمْتُ عَلَيْهِ قَالَ : مَرْحَبًا بِكَ مِنْ أَخٍ وَنَبِيٍّ فَأَتَيْنَا السَّمَاءَ الرَّابِعَةَ قِيْلَ : مَنْ هَذَا؟ قِيْلَ : جِبْرِيْلُ. قِيْلَ : مَنْ مَعَكَ؟ قِيْلَ : مُحَمَّدٌ . قِيْلَ : وَقَدْ أُرْسِلَ إِلَيْهِ؟ قِيْلَ : نَعَمْ. قِيْلَ : مَرْحَبًا بِهِ وَلَنِعْمَ الْمَجِيءُ جَاءَ، فَأَتَيْتُ عَلَى إِدْرِيْسَ فَسَلَّمْتُ عَلَيْهِ فَقَالَ : مَرْحَبًا بِكَ مِنْ أَخٍ وَنَبِيٍّ. فَأَتَيْنَا السَّمَاءَ الْخَامِسَةَ قِيْلَ : مَنْ هَذَا؟ قَالَ : جِبْرِيْلُ. قِيْلَ : وَمَنْ مَعَكَ؟ قِيْلَ : مُحَمَّدٌ قِيْلَ : وَقَدْ أُرْسِلَ إِلَيْهِ؟ قَالَ : نَعَمْ. قِيْلَ : مَرْحَبًا بِهِ وَلَنِعْمَ الْمَجِيءُ جَاءَ، فَأَتَيْنَا عَلَى هَارُوْنَ فَسَلَّمْتُ عَلَيْهِ فَقَالَ : مَرْحَبًا بِكَ مِنْ أَخٍ وَنَبِيٍّ. فَأَتَيْنَا عَلَى السَّمَاءِ السَّادِسَةِ قِيْلَ : مَنْ هَذَا؟ قِيْلَ : جِبْرِيْلُ، قِيْلَ : مَنْ مَعَكَ؟ قِيْلَ : مُحَمَّدٌ صلى الله عليه وسلم. قِيْلَ : وَقَدْ أُرْسِلَ إِلَيْهِ؟ مَرْحَبًا بِهِ وَلَنِعْمَ الْمَجِيءُ جَاءَ. فَأَتَيْتُ عَلَى مُوسَى فَسَلَّمْتُ عَلَيْهِ فَقَالَ مَرْحَبًا بِكَ مِنْ أَخٍ وَنَبِيٍّ، فَلَمَّا جَاوَزْتُ بَكَى فَقِيْلَ : مَا أَبْكَاكَ؟ قَالَ : يَا رَبِّ هَذَا الْغُلَامُ الَّذِيْ بُعِثَ بَعْدِيْ يَدْخُلُ الْجَنَّةَ مِنْ أُمَّتِهِ أَفْضَلُ مِمَّا يَدْخُلُ مِنْ أُمَّتِي. فَأَتَيْنَا السَّمَاءَ السَّابِعَةَ قِيْلَ : مَنْ هَذَا؟ قَالَ : جِبْرِيْلُ. قِيْلَ : مَنْ مَعَكَ؟ قِيْلَ : مُحَمَّدٌ. قِيْلَ : وَقَدْ أُرْسِلَ إِلَيْهِ. مَرْحَبًا بِهِ وَلَنِعْمَ الْمَجِيءُ جَاءَ، فَأَتَيْتُ عَلَى إِبْرَاهِيْمَ فَسَلَّمْتُ عَلَيْهِ فَقَالَ : مَرْحَبًا بِكَ مِنْ ابْنٍ وَنَبِيٍّ، فَرُفِعَ لِي الْبَيْتُ الْمَعْمُوْرُ فَسَأَلْتُ جِبْرِيْلَ فَقَالَ : هَذَا الْبَيْتُ الْمَعْمُوْرُ يُصَلِّيْ فِيْهِ كُلَّ يَوْمٍ سَبْعُوْنَ أَلْفَ مَلَكٍ إِذَا خَرَجُوْا لَمْ يَعُوْدُوْا إِلَيْهِ آخِرَ مَا عَلَيْهِمْ، وَرُفِعَتْ لِيْ سِدْرَةُ الْمُنْتَهَى فَإِذَا نَبِقُهَا كَأَنَّهُ قِلَالُ هَجَرَ وَوَرَقُهَا كَأَنَّهُ آذَانُ الْفُيُوْلِ فِيْ أَصْلِهَا أَرْبَعَةُ أَنْهَارٍ نَهْرَانِ بَاطِنَانِ وَنَهْرَانِ ظَاهِرَانِ فَسَأَلْتُ جِبْرِيْلَ فَقَالَ : أَمَّا الْبَاطِنَانِ فَفِي الْجَنَّةِ، وَأَمَّا الظَّاهِرَانِ : النِّيلُ وَالْفُرَاتُ. ثُمَّ فُرِضَتْ عَلَيَّ خَمْسُوْنَ صَلَاةً، فَأَقْبَلْتُ حَتَّى جِئْتُ مُوسَى فَقَالَ : مَا صَنَعْتَ؟ قُلْتُ : فُرِضَتْ عَلَيَّ خَمْسُوْنَ صَلَاةً. قَالَ : أَنَا أَعْلَمُ بِالنَّاسِ مِنْكَ عَالَجْتُ بَنِيْ إِسْرَائِيْلَ أَشَدَّ الْمُعَالَجَةِ وَإِنَّ أُمَّتَكَ لَا تُطِيْقُ فَارْجِعْ إِلَى رَبِّكَ فَسَلْهُ. فَرَجَعْتُ فَسَأَلْتُهُ فَجَعَلَهَا أَرْبَعِيْنَ، ثُمَّ مِثْلَهُ ثُمَّ ثَلَاثِيْنَ، ثُمَّ مِثْلَهُ فَجَعَلَ عِشْرِيْنَ، ثُمَّ مِثْلَهُ فَجَعَلَ عَشْرًا، فَأَتَيْتُ مُوسَى فَقَالَ مِثْلَهُ فَجَعَلَهَا خَمْسًا. فَأَتَيْتُ مُوسَى فَقَالَ مَا صَنَعْتَ؟ قُلْتُ : جَعَلَهَا خَمْسًا فَقَالَ مِثْلَهُ قُلْتُ : سَلَّمْتُ بِخَيْرٍ فَنُوْدِيَ : إِنِّيْ قَدْ أَمْضَيْتُ فَرِيْضَتِيْ وَخَفَّفْتُ عَنْ عِبَادِيْ وَأَجْزِي الْحَسَنَةَ عَشْرًا.
وَقَالَ هَمَّامٌ عَنْ قَتَادَةَ عَنْ الْحَسَنِ عَنْ أَبِيْ هُرَيْرَةَ عَنْ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم فِي الْبَيْتِ الْمَعْمُوْرِ.

حدثنا هدبة بن خالد حدثنا همام عن قتادة (ح). وقال لي خليفة قال : حدثنا يزيد بن زريع قال : حدثنا سعيد وهشام قالا : حدثنا قتادة قال : حدثنا انس بن مالك عن مالك بن صعصعة، رضي الله عنهما، قال : قال النبي صلى الله عليه وسلم : بينا انا عند البيت بين الناىم واليقظان - وذكر يعني : رجلا بين الرجلين - فاتيت بطست من ذهب ملى حكمة وايمانا، فشق من النحر الى مراق البطن ثم غسل البطن بماء زمزم ثم ملى حكمة وايمانا، واتيت بدابة ابيض دون البغل وفوق الحمار : البراق، فانطلقت مع جبريل حتى اتينا السماء الدنيا. قيل : من هذا؟ قال : جبريل. قيل : من معك؟ محمد . قيل : وقد ارسل اليه؟ قال : نعم. قيل : مرحبا به ولنعم المجيء جاء فاتيت على ادم فسلمت عليه فقال : مرحبا بك من ابن ونبي، فاتينا السماء الثانية قيل : من هذا؟ قال : جبريل. قيل : من معك؟ قال : محمد قيل : ارسل اليه؟ قال : نعم قيل : مرحبا به ولنعم المجيء جاء. فاتيت على عيسى ويحيى فقالا : مرحبا بك من اخ ونبي فاتينا السماء الثالثة قيل : من هذا؟ قيل : جبريل. قيل : من معك؟ قيل : محمد. قيل : وقد ارسل اليه؟ قال : نعم. قيل : مرحبا به ولنعم المجيء جاء. فاتيت على يوسف فسلمت عليه قال : مرحبا بك من اخ ونبي فاتينا السماء الرابعة قيل : من هذا؟ قيل : جبريل. قيل : من معك؟ قيل : محمد . قيل : وقد ارسل اليه؟ قيل : نعم. قيل : مرحبا به ولنعم المجيء جاء، فاتيت على ادريس فسلمت عليه فقال : مرحبا بك من اخ ونبي. فاتينا السماء الخامسة قيل : من هذا؟ قال : جبريل. قيل : ومن معك؟ قيل : محمد قيل : وقد ارسل اليه؟ قال : نعم. قيل : مرحبا به ولنعم المجيء جاء، فاتينا على هارون فسلمت عليه فقال : مرحبا بك من اخ ونبي. فاتينا على السماء السادسة قيل : من هذا؟ قيل : جبريل، قيل : من معك؟ قيل : محمد صلى الله عليه وسلم. قيل : وقد ارسل اليه؟ مرحبا به ولنعم المجيء جاء. فاتيت على موسى فسلمت عليه فقال مرحبا بك من اخ ونبي، فلما جاوزت بكى فقيل : ما ابكاك؟ قال : يا رب هذا الغلام الذي بعث بعدي يدخل الجنة من امته افضل مما يدخل من امتي. فاتينا السماء السابعة قيل : من هذا؟ قال : جبريل. قيل : من معك؟ قيل : محمد. قيل : وقد ارسل اليه. مرحبا به ولنعم المجيء جاء، فاتيت على ابراهيم فسلمت عليه فقال : مرحبا بك من ابن ونبي، فرفع لي البيت المعمور فسالت جبريل فقال : هذا البيت المعمور يصلي فيه كل يوم سبعون الف ملك اذا خرجوا لم يعودوا اليه اخر ما عليهم، ورفعت لي سدرة المنتهى فاذا نبقها كانه قلال هجر وورقها كانه اذان الفيول في اصلها اربعة انهار نهران باطنان ونهران ظاهران فسالت جبريل فقال : اما الباطنان ففي الجنة، واما الظاهران : النيل والفرات. ثم فرضت علي خمسون صلاة، فاقبلت حتى جىت موسى فقال : ما صنعت؟ قلت : فرضت علي خمسون صلاة. قال : انا اعلم بالناس منك عالجت بني اسراىيل اشد المعالجة وان امتك لا تطيق فارجع الى ربك فسله. فرجعت فسالته فجعلها اربعين، ثم مثله ثم ثلاثين، ثم مثله فجعل عشرين، ثم مثله فجعل عشرا، فاتيت موسى فقال مثله فجعلها خمسا. فاتيت موسى فقال ما صنعت؟ قلت : جعلها خمسا فقال مثله قلت : سلمت بخير فنودي : اني قد امضيت فريضتي وخففت عن عبادي واجزي الحسنة عشرا. وقال همام عن قتادة عن الحسن عن ابي هريرة عن النبي صلى الله عليه وسلم في البيت المعمور.


Narrated Malik bin Sasaa:

The Prophet (ﷺ) said, "While I was at the House in a state midway between sleep and wakefulness, (an angel recognized me) as the man lying between two men. A golden tray full of wisdom and belief was brought to me and my body was cut open from the throat to the lower part of the `Abdomen and then my `Abdomen was washed with Zamzam water and (my heart was) filled with wisdom and belief. Al- Buraq, a white animal, smaller than a mule and bigger than a donkey was brought to me and I set out with Gabriel. When I reached the nearest heaven. Gabriel said to the heaven gate-keeper, 'Open the gate.' The gatekeeper asked, 'Who is it?' He said, 'Gabriel.' The gate-keeper,' Who is accompanying you?' Gabriel said, 'Muhammad.' The gate-keeper said, 'Has he been called?' Gabriel said, 'Yes.' Then it was said, 'He is welcomed. What a wonderful visit his is!' Then I met Adam and greeted him and he said, 'You are welcomed O son and a Prophet.' Then we ascended to the second heaven. It was asked, 'Who is it?' Gabriel said, 'Gabriel.' It was said, 'Who is with you?' He said, 'Muhammad' It was asked, 'Has he been sent for?' He said, 'Yes.' It was said, 'He is welcomed. What a wonderful visit his is!" Then I met Jesus and Yahya (John) who said, 'You are welcomed, O brother and a Prophet.' Then we ascended to the third heaven. It was asked, 'Who is it?' Gabriel said, 'Gabriel.' It was asked, 'Who is with you? Gabriel said, 'Muhammad.' It was asked, 'Has he been sent for?' 'Yes,' said Gabriel. 'He is welcomed. What a wonderful visit his is!' (The Prophet (ﷺ) added:). There I met Joseph and greeted him, and he replied, 'You are welcomed, O brother and a Prophet!' Then we ascended to the 4th heaven and again the same questions and answers were exchanged as in the previous heavens. There I met Idris and greeted him. He said, 'You are welcomed O brother and Prophet.' Then we ascended to the 5th heaven and again the same questions and answers were exchanged as in previous heavens. there I met and greeted Aaron who said, 'You are welcomed O brother and a Prophet". Then we ascended to the 6th heaven and again the same questions and answers were exchanged as in the previous heavens. There I met and greeted Moses who said, 'You are welcomed O brother and. a Prophet.' When I proceeded on, he started weeping and on being asked why he was weeping, he said, 'O Lord! Followers of this youth who was sent after me will enter Paradise in greater number than my followers.' Then we ascended to the seventh heaven and again the same questions and answers were exchanged as in the previous heavens. There I met and greeted Abraham who said, 'You are welcomed o son and a Prophet.' Then I was shown Al-Bait-al-Ma'mur (i.e. Allah's House). I asked Gabriel about it and he said, This is Al Bait-ul-Ma'mur where 70,000 angels perform prayers daily and when they leave they never return to it (but always a fresh batch comes into it daily).' Then I was shown Sidrat-ul-Muntaha (i.e. a tree in the seventh heaven) and I saw its Nabk fruits which resembled the clay jugs of Hajr (i.e. a town in Arabia), and its leaves were like the ears of elephants, and four rivers originated at its root, two of them were apparent and two were hidden. I asked Gabriel about those rivers and he said, 'The two hidden rivers are in Paradise, and the apparent ones are the Nile and the Euphrates.' Then fifty prayers were enjoined on me. I descended till I met Moses who asked me, 'What have you done?' I said, 'Fifty prayers have been enjoined on me.' He said, 'I know the people better than you, because I had the hardest experience to bring Bani Israel to obedience. Your followers cannot put up with such obligation. So, return to your Lord and request Him (to reduce the number of prayers.' I returned and requested Allah (for reduction) and He made it forty. I returned and (met Moses) and had a similar discussion, and then returned again to Allah for reduction and He made it thirty, then twenty, then ten, and then I came to Moses who repeated the same advice. Ultimately Allah reduced it to five. When I came to Moses again, he said, 'What have you done?' I said, 'Allah has made it five only.' He repeated the same advice but I said that I surrendered (to Allah's Final Order)'" Allah's Messenger (ﷺ) was addressed by Allah, "I have decreed My Obligation and have reduced the burden on My slaves, and I shall reward a single good deed as if it were ten good deeds."


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
৫৯/ সৃষ্টির সূচনা (كتاب بدء الخلق) 59/ Beginning of Creation
৩২০৮

পরিচ্ছেদঃ ৫৯/৬. ফেরেশতাদের বর্ণনা।

৩২০৮. যায়দ ইবনু ওয়াহব (রহ.) হতে বর্ণিত। ‘আবদুল্লাহ (রাঃ) বলেন, সত্যবাদী হিসেবে গৃহীত আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাদের নিকট হাদীস বর্ণনা করতে গিয়ে বলেছেন, নিশ্চয় তোমাদের প্রত্যেকের সৃষ্টির উপাদান নিজ নিজ মায়ের পেটে চল্লিশ দিন পর্যন্ত বীর্যরূপে অবস্থান করে, অতঃপর তা জমাট বাঁধা রক্তে পরিণত হয়। ঐভাবে চল্লিশ দিন অবস্থান করে। অতঃপর তা মাংসপিন্ডে পরিণত হয়ে (আগের মত চল্লিশ দিন) থাকে। অতঃপর আল্লাহ একজন ফেরেশতা প্রেরণ করেন। আর তাঁকে চারটি বিষয়ে আদেশ দেয়া হয়। তাঁকে লিপিবদ্ধ করতে বলা হয়, তার ‘আমল, তার রিয্ক, তার আয়ু এবং সে কি পাপী হবে না নেককার হবে। অতঃপর তার মধ্যে আত্মা ফুঁকে দেয়া হয়। কাজেই তোমাদের কোন ব্যক্তি ‘আমল করতে করতে এমন পর্যায়ে পৌঁছে যে, তার এবং জান্নাতের মাঝে মাত্র এক হাত পার্থক্য থাকে। এমন সময় তার ‘আমলনামা তার উপর জয়ী হয়। তখন সে জাহান্নামবাসীর মত আমল করে। আর একজন ‘আমল করতে করতে এমন স্তরে পৌঁছে যে, তার এবং জাহান্নামের মাঝে মাত্র এক হাত তফাৎ থাকে, এমন সময় তার ‘আমলনামা তার উপর জয়ী হয়। ফলে সে জান্নাতবাসীর মত ‘আমল করে। (৩৩৩২, ৬৫৯৪, ৭৪৫৪) (মুসলিম ৪৭/১ হাঃ ৩৬৪৩, আহমাদ ৩৬২৪) (আধুনিক প্রকাশনীঃ ২৯৬৮, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ২৯৭৮)

بَابُ ذِكْرِ الْمَلَائِكَةِ صَلَوَاتُ اللهِ عَلَيْهِمْ

حَدَّثَنَا الْحَسَنُ بْنُ الرَّبِيْعِ قال : حَدَّثَنَا أَبُو الأَحْوَصِ عَنْ الأَعْمَشِ عَنْ زَيْدِ بْنِ وَهْبٍ قَالَ عَبْدُ اللهِ : حَدَّثَنَا رَسُوْلُ اللهِ صلى الله عليه وسلم وَهُوَ الصَّادِقُ الْمَصْدُوقُ قَالَ : إِنَّ أَحَدَكُمْ يُجْمَعُ خَلْقُهُ فِيْ بَطْنِ أُمِّهِ أَرْبَعِيْنَ يَوْمًا ثُمَّ يَكُوْنُ عَلَقَةً مِثْلَ ذَلِكَ، ثُمَّ يَكُوْنُ مُضْغَةً مِثْلَ ذَلِكَ، ثُمَّ يَبْعَثُ اللهُ مَلَكًا فَيُؤْمَرُ بِأَرْبَعِ كَلِمَاتٍ، وَيُقَالُ لَهُ : اكْتُبْ عَمَلَهُ وَرِزْقَهُ وَأَجَلَهُ وَشَقِيٌّ أَوْ سَعِيْدٌ، ثُمَّ يُنْفَخُ فِيْهِ الرُّوْحُ. فَإِنَّ الرَّجُلَ مِنْكُمْ لَيَعْمَلُ حَتَّى مَا يَكُوْنُ بَيْنَهُ وَبَيْنَ الْجَنَّةِ إِلَّا ذِرَاعٌ فَيَسْبِقُ عَلَيْهِ كِتَابُهُ فَيَعْمَلُ بِعَمَلِ أَهْلِ النَّارِ، وَيَعْمَلُ حَتَّى مَا يَكُوْنُ بَيْنَهُ وَبَيْنَ النَّارِ إِلَّا ذِرَاعٌ فَيَسْبِقُ عَلَيْهِ الْكِتَابُ فَيَعْمَلُ بِعَمَلِ أَهْلِ الْجَنَّةِ.

حدثنا الحسن بن الربيع قال : حدثنا ابو الاحوص عن الاعمش عن زيد بن وهب قال عبد الله : حدثنا رسول الله صلى الله عليه وسلم وهو الصادق المصدوق قال : ان احدكم يجمع خلقه في بطن امه اربعين يوما ثم يكون علقة مثل ذلك، ثم يكون مضغة مثل ذلك، ثم يبعث الله ملكا فيومر باربع كلمات، ويقال له : اكتب عمله ورزقه واجله وشقي او سعيد، ثم ينفخ فيه الروح. فان الرجل منكم ليعمل حتى ما يكون بينه وبين الجنة الا ذراع فيسبق عليه كتابه فيعمل بعمل اهل النار، ويعمل حتى ما يكون بينه وبين النار الا ذراع فيسبق عليه الكتاب فيعمل بعمل اهل الجنة.


Narrated `Abdullah bin Mus'ud:

Allah's Messenger (ﷺ), the true and truly inspired said, "(The matter of the Creation of) a human being is put together in the womb of the mother in forty days, and then he becomes a clot of thick blood for a similar period, and then a piece of flesh for a similar period. Then Allah sends an angel who is ordered to write four things. He is ordered to write down his (i.e. the new creature's) deeds, his livelihood, his (date of) death, and whether he will be blessed or wretched (in religion). Then the soul is breathed into him. So, a man amongst you may do (good deeds till there is only a cubit between him and Paradise and then what has been written for him decides his behavior and he starts doing (evil) deeds characteristic of the people of the (Hell) Fire. And similarly a man amongst you may do (evil) deeds till there is only a cubit between him and the (Hell) Fire, and then what has been written for him decides his behavior, and he starts doing deeds characteristic of the people of Paradise."


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
৫৯/ সৃষ্টির সূচনা (كتاب بدء الخلق) 59/ Beginning of Creation
৩২০৯

পরিচ্ছেদঃ ৫৯/৬. ফেরেশতাদের বর্ণনা।

৩২০৯. আবূ হুরাইরাহ্ (রাঃ) হতে বর্ণিত। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, আল্লাহ যখন কোন বান্দাকে ভালবাসেন তখন তিনি জিব্রাঈল (আঃ)-কে ডেকে বলেন, নিশ্চয়ই আল্লাহ অমুক বান্দাহকে ভালবাসেন, কাজেই তুমিও তাকে ভালবাস। তখন জিব্রাঈল (আঃ)-ও তাকে ভালবাসেন এবং জিব্রাঈল (আঃ) আকাশের অধিবাসীদের মধ্যে ঘোষণা করে দেন যে, আল্লাহ অমুক বান্দাহকে ভালবাসেন। কাজেই তোমরা তাকে ভালবাস। তখন আকাশের অধিবাসী তাকে ভালবাসতে থাকে। অতঃপর পৃথিবীতেও তাকে সম্মানিত করার ব্যবস্থা করে দেয়া হয়। (৬০৪০, ৭৪৮৫) (মুসলিম ৪৫/৪৮ হাঃ ২৬৩৭, আহমাদ ৯৩৬৩) (আধুনিক প্রকাশনীঃ ২৯৬৯, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ২৯৭৯)

بَابُ ذِكْرِ الْمَلَائِكَةِ صَلَوَاتُ اللهِ عَلَيْهِمْ

حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ سَلَامٍ أَخْبَرَنَا مَخْلَدٌ أَخْبَرَنَا ابْنُ جُرَيْجٍ قَالَ أَخْبَرَنِيْ مُوسَى بْنُ عُقْبَةَ عَنْ نَافِعٍ قَالَ قَالَ أَبُوْ هُرَيْرَةَ عَنْ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم وَتَابَعَهُ أَبُوْ عَاصِمٍ عَنْ ابْنِ جُرَيْجٍ قَالَ أَخْبَرَنِيْ مُوسَى بْنُ عُقْبَةَ عَنْ نَافِعٍ عَنْ أَبِيْ هُرَيْرَةَ عَنْ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ إِذَا أَحَبَّ اللهُ الْعَبْدَ نَادَى جِبْرِيْلَ إِنَّ اللهَ يُحِبُّ فُلَانًا فَأَحْبِبْهُ فَيُحِبُّهُ جِبْرِيْلُ فَيُنَادِيْ جِبْرِيْلُ فِيْ أَهْلِ السَّمَاءِ إِنَّ اللهَ يُحِبُّ فُلَانًا فَأَحِبُّوْهُ فَيُحِبُّهُ أَهْلُ السَّمَاءِ ثُمَّ يُوضَعُ لَهُ الْقَبُوْلُ فِي الأَرْضِ

حدثنا محمد بن سلام اخبرنا مخلد اخبرنا ابن جريج قال اخبرني موسى بن عقبة عن نافع قال قال ابو هريرة عن النبي صلى الله عليه وسلم وتابعه ابو عاصم عن ابن جريج قال اخبرني موسى بن عقبة عن نافع عن ابي هريرة عن النبي صلى الله عليه وسلم قال اذا احب الله العبد نادى جبريل ان الله يحب فلانا فاحببه فيحبه جبريل فينادي جبريل في اهل السماء ان الله يحب فلانا فاحبوه فيحبه اهل السماء ثم يوضع له القبول في الارض


Narrated Abu Huraira:

The Prophet (ﷺ) said, "If Allah loves a person, He calls Gabriel saying, 'Allah loves so and-so; O Gabriel! Love him.' Gabriel would love him and make an announcement amongst the inhabitants of the Heaven. 'Allah loves so-and-so, therefore you should love him also,' and so all the inhabitants of the Heaven would love him, and then he is granted the pleasure of the people on the earth."


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ আবূ হুরায়রা (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
৫৯/ সৃষ্টির সূচনা (كتاب بدء الخلق) 59/ Beginning of Creation
দেখানো হচ্ছেঃ থেকে ২০ পর্যন্ত, সর্বমোট ১৩৬ টি রেকর্ডের মধ্য থেকে পাতা নাম্বারঃ 1 2 3 4 5 6 7 পরের পাতা »