লগইন করুন
পরিচ্ছেদঃ ৫৯/৪. সূর্য ও চন্দ্রের অবস্থান।
59/3. بَابُ فِي النُّجُومِ
৫৯/৩. অধ্যায় : নক্ষত্ররাজি সম্পর্কে।
وَقَالَ قَتَادَةُ )وَلَقَدْ زَيَّنَّا السَّمَآءَ الدُّنْيَا بِمَصَابِيْحَ( (الملك : 5) خَلَقَ هَذِهِ النُّجُومَ لِثَلَاثٍ جَعَلَهَا زِيْنَةً لِلسَّمَاءِ وَرُجُومًا لِّلشَّيَاطِيْنِ وَعَلَامَاتٍ يُهْتَدَى بِهَا فَمَنْ تَأَوَّلَ فِيْهَا بِغَيْرِ ذَلِكَ أَخْطَأَ وَأَضَاعَ نَصِيْبَهُ وَتَكَلَّفَ مَا لَا عِلْمَ لَهُ بِهِ
وَقَالَ ابْنُ عَبَّاسٍ )هَشِيْمًا( (الكهف : 45) مُتَغَيِّرًا )وَالْأَبُّ( مَا يَأْكُلُ الأَنْعَامُ )وَالْأَنَامُ( الْخَلْقُ )بَرْزَخٌ( (المؤمنون : 100)
حَاجِبٌ وَقَالَ مُجَاهِدٌ )أَلْفٰفًا( (النباء : 16) : مُلْتَفَّةً )وَالْغُلْبُ( : الْمُلْتَفَّةُ )فِرٰشًا( (البقرة : 22) : مِهَادًا كَقَوْلِهِ )وَلَكُمْ فِي الْأَرْضِ مُسْتَقَرٌّ( (البقرة : 36) )نَكِدًا( (الأعراف : 58) : قَلِيْلًا
কাতাদাহ (রহ.) বলেন, (আল্লাহ তা’আলার বাণীঃ) আর আমি তো নিকটবর্তী আসমানকে প্রদীপ মালা দিয়ে শুশোভিত করেছি (মুল্কঃ ৫) [এ সম্পর্কে ক্বাতাদাহ (রহ.) বলেন] এ সব নক্ষত্ররাজি তিনটি উদ্দেশে সৃষ্টি করা হয়েছে। (১) এদেরকে আসমানের সৌন্দর্য করেছেন (২) শয়তানদের প্রতি নিক্ষেপের জন্য (৩) এবং পথ ও দিক নির্ণয়ের আলামত হিসেবে। অতএব যে ব্যক্তি এদের সম্পর্কে এছাড়া অন্য কোন ব্যাখ্যা দেয় সে ভুল করে, নিজ প্রাপ্য হারায় এবং সে এমন বিষয়ে কষ্ট করে যে বিষয়ে তার কোন জ্ঞান নেই।
আর ইবনু ’আব্বাস (রাঃ) বলেন, (هَشِيْمًا)-অর্থ পরিবর্তন (আল-কাহাফঃ ৪৫) আর (الْأَبُّ) অর্থ তৃণ যা চতুষ্পদ জন্তু ভক্ষণ করে, (الْأَنَامُ)-অর্থ মাখলুক (بَرْزَخٌ) অর্থ প্রতিবন্ধক (মু’মিনূনঃ ১০০)
আর মুজাহিদ (রহ.) বলেন, (أَلْفَافًا) অর্থ জড়ানো (নাবাঃ ১৬) আর (الْغُلْبُ) অর্থ ঘন ও সন্নিবেশিত বাগান। (فِرٰشًا) অর্থ বিছানা (বাক্বারাহঃ ২২)। যেমন মহান আল্লাহর বাণীঃ আর তোমাদের জন্য রয়েছে পৃথিবীতে অবস্থান স্থল- (বাক্বারাহঃ ৩৬)। (نَكِدًا)-অর্থ অল্প (আ’রাফঃ ৫৮)।
بِحُسْبَانٍ (الرحمن : 5)
উভয়েই (সূর্য ও চন্দ্র) সুনির্দিষ্ট কক্ষে বিচরণ করে।’’ (আর-রহমানঃ ৫)
قَالَ مُجَاهِدٌ : كَحُسْبَانِ الرَّحَى. وَقَالَ غَيْرُهُ : بِحِسَابٍ وَمَنَازِلَ لَا يَعْدُوَانِهَا. حُسْبَانٌ : جَمَاعَةُ حِسَابٍ، مِثْلُ شِهَابٍ وَشُهْبَانٍ. ضُحَاهَا : ضَوْءُهَا. أَنْ تُدْرِكَ الْقَمَرَ : لَا يَسْتُرُ ضَوْءُ أَحَدِهِمَا ضَوْءَ الآخَرِ وَلَا يَنْبَغِيْ لَهُمَا ذَلِكَ، سَابِقُ النَّهَارِ يَتَطَالَبَانِ حَثِيْثَيْنِ نَسْلَخُ، نُخْرِجُ أَحَدَهُمَا مِنْ الآخَرِ وَنُجْرِيْ كُلَّ وَاحِدٍ مِنْهُمَا. وَاهِيَةٌ : وَهْيُهَا تَشَقُّقُهَا. أَرْجَائِهَا : مَا لَمْ يَنْشَقَّ مِنْهَا فَهُمْ عَلَى حَافَتَيْهَا كَقَوْلِكَ : عَلَى أَرْجَاءِ الْبِئْرِ. أَغْطَشَ وَ جَنَّ : أَظْلَمَ وَقَالَ الْحَسَنُ : كُوِّرَتْ تُكَوَّرُ حَتَّى يَذْهَبَ ضَوْءُهَا. وَاللَّيْلِ وَمَا وَسَقَ جَمَعَ مِنْ دَابَّةٍ. اتَّسَقَ : اسْتَوَى. بُرُوْجًا : مَنَازِلَ الشَّمْسِ وَالْقَمَرِ. الْحَرُوْرُ بِالنَّهَارِ مَعَ الشَّمْسِ. وَقَالَ ابْنُ عَبَّاسٍ : وَرُؤْبَةُ الْحَرُوْرُ بِاللَّيْلِ وَالسَّمُومُ بِالنَّهَارِ. يُقَالُ : يُوْلِجُ يُكَوِّرُ. وَلِيْجَةً : كُلُّ شَيْءٍ أَدْخَلْتَهُ فِيْ شَيْءٍ.
মুজাহিদ (রহ.) বলেন, উভয়ের আবর্তন চাকার আবর্তনের অনুরূপ। আর অন্যেরা বলেন, উভয় এমন এক নির্দিষ্ট হিসাব ও স্থানের দ্বারা নিয়ন্ত্রিত যা তারা অর্থাৎ চন্দ্র-সূর্য লংঘন করতে পারে না। حُسْبَانٌ হল حِسَاب শব্দের বহুবচন, যেমন شِهَاب এর বহুবচন হল شُهْبَان- ضُحَاهَا এর অর্থ তার জ্যোতি। أَنْ تُدْرِكَ الْقَمَرَ চন্দ্র-সূর্যের একটির জ্যোতি অপরটির জ্যোতিকে ঢাকতে পারে না, আর তাদের পক্ষে এটা সম্ভব নয়। سَابِقُ النَّهَارِ রাত দিনকে দ্রুত অতিক্রম করে। উভয়ে দ্রুত অতিক্রম করতে চায়। نَسْلَخُ আমি উভয়ের একটিকে অপরটি হতে বের করে আনি আর তাদের প্রতিটি চালিত করা হয় وَاهِيَةٌ এবং وَهْيُهَا এর অর্থ তার বিদীর্ণ হওয়া। أَرْجَائِهَا তার সেই অংশ যা বিদীর্ণ হয়নি আর তারা তার উভয় পার্শ্বে থাকবে। যেমন তোমার উক্তি عَلَى أَرْجَاءِ الْبِئْرِ কূপের তীরে أَغْطَشَ وَ جَنَّ অন্ধকারে ছেয়ে গেল। হাসান বসরী (রহ.) বলেন, كُوِّرَتْ অর্থ লেপটিয়ে দেয়া হবে, যাতে তার জ্যোতি নিঃশেষ হয়ে যাবে। আর বলা হয়ে থাকে وَاللَّيْلِ وَمَا وَسَقَ এর অর্থ আর শপথ রজনীর এবং তার যে জীবজন্তু একত্রিত করল। اتَّسَقَ বরাবর হল। بُرُوْجًا চন্দ্র সূর্যের কক্ষ ও নির্ধারিত স্থান। الْحَرُوْرُ -গরম বাতাস যা দিনের বেলায় সূর্যের সঙ্গে প্রবাহিত হয়। ইবনু ’আব্বাস (রাঃ) বলেন, الْحَرُوْرُ রাত্রি বেলার আর السَّمُومُ দিনের বেলার লু হাওয়া। বলা হয় يُوْلِجُ অর্থ প্রবিষ্ট করে বা করবে وَلِيْجَة অর্থ এমন প্রতিটি বস্তু যা তুমি অন্যটির মধ্যে ঢুকিয়েছ।
৩১৯৯. আবূ যার (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সূর্য অস্ত যাবার সময় আবূ যার (রাঃ)-কে বললেন, তুমি কি জান, সূর্য কোথায় যায়? আমি বললাম, আল্লাহ এবং তাঁর রাসূলই ভাল জানেন। তিনি বললেন, তা যেতে যেতে আরশের নীচে গিয়ে সাজ্দাহয় পড়ে যায়। অতঃপর সে আবার উদিত হবার অনুমতি চায় এবং তাকে অনুমতি দেয়া হয়। আর শীঘ্রই এমন সময় আসবে যে, সিজ্দা করবে কিন্তু তা কবূল করা হবে না এবং সে অনুমতি চাইবে কিন্তু তাকে অনুমতি দেয়া হবে না। তাকে বলা হবে, যে পথ দিয়ে আসলে ঐ পথেই ফিরে যাও। তখন সে পশ্চিম দিক হতে উদিত হয়— এটাই মর্ম হল মহান আল্লাহর বাণীরঃ ’’আর সূর্য নিজ গন্তব্যে (অথবা) কক্ষ পথে চলতে থাকে। এটা পরাক্রমশালী, সর্বজ্ঞের নিয়ন্ত্রণ।’’ (ইয়াসীন ৩৮) (৪৮০২, ৪৮০৩, ৭৪২৪, ৭৪৩৩) (আধুনিক প্রকাশনীঃ ২৯৫৮, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ২৯৬৯)
بَابُ صِفَةِ الشَّمْسِ وَالْقَمَرِ
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ يُوسُفَ حَدَّثَنَا سُفْيَانُ عَنْ الأَعْمَشِ عَنْ إِبْرَاهِيْمَ التَّيْمِيِّ عَنْ أَبِيْهِ عَنْ أَبِيْ ذَرٍّ قَالَ قَالَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم لِأَبِيْ ذَرٍّ حِيْنَ غَرَبَتْ الشَّمْسُ أَتَدْرِيْ أَيْنَ تَذْهَبُ قُلْتُ اللهُ وَرَسُوْلُهُ أَعْلَمُ قَالَ فَإِنَّهَا تَذْهَبُ حَتَّى تَسْجُدَ تَحْتَ الْعَرْشِ فَتَسْتَأْذِنَ فَيُؤْذَنُ لَهَا وَيُوشِكُ أَنْ تَسْجُدَ فَلَا يُقْبَلَ مِنْهَا وَتَسْتَأْذِنَ فَلَا يُؤْذَنَ لَهَا يُقَالُ لَهَا ارْجِعِيْ مِنْ حَيْثُ جِئْتِ فَتَطْلُعُ مِنْ مَغْرِبِهَا فَذَلِكَ قَوْلُهُ تَعَالَى وَالشَّمْسُ تَجْرِيْ لِمُسْتَقَرٍّ لَّهَا ذٰلِكَ تَقْدِيْرُ الْعَزِيْزِ الْعَلِيْمِ (يس : 38)
Narrated Abu Dhar:
The Prophet (ﷺ) asked me at sunset, "Do you know where the sun goes (at the time of sunset)?" I replied, "Allah and His Apostle know better." He said, "It goes (i.e. travels) till it prostrates Itself underneath the Throne and takes the permission to rise again, and it is permitted and then (a time will come when) it will be about to prostrate itself but its prostration will not be accepted, and it will ask permission to go on its course but it will not be permitted, but it will be ordered to return whence it has come and so it will rise in the west. And that is the interpretation of the Statement of Allah: "And the sun Runs its fixed course For a term (decreed). that is The Decree of (Allah) The Exalted in Might, The All- Knowing." (36.38)