ইমাম ত্বহাবী রহিমাহুল্লাহ বলেন,
وَالرُّؤْيَةُ حَقٌّ لِأَهْلِ الْجَنَّةِ بِغَيْرِ إِحَاطَةٍ وَلَا كَيْفِيَّةٍ كَمَا نَطَقَ بِهِ كِتَابُ رَبِّنَا ﴿وُجُوهٌ يَوْمَئِذٍ نَاضِرَةٌ إِلَى رَبِّهَا نَاظِرَةٌ﴾ وَتَفْسِيرُهُ عَلَى مَا أَرَادَ اللَّهُ تَعَالَى وَعَلِمَهُ وَكُلُّ مَا جَاءَ فِي ذَلِكَ مِنَ الْحَدِيثِ الصَّحِيحِ عَنْ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَهُوَ كَمَا قَالَ، وَمَعْنَاهُ عَلَى مَا أَرَادَ، لَا نَدْخُلُ فِي ذَلِكَ مُتَأَوِّلِينَ بِآرَائِنَا وَلَا مُتَوَهِّمِينَ بِأَهْوَائِنَا فَإِنَّهُ مَا سَلِمَ فِي دِينِهِ إِلَّا مَنْ سَلَّمَ لِلَّهِ عَزَّ وَجَلَّ وَلِرَسُولِهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَرَدَّ عِلْمَ مَا اشْتَبَهَ عَلَيْهِ إِلَى عَالِمِهِ
আর জান্নাতীদের জন্য আল্লাহকে দেখার বিষয়টি সত্য। তবে সম্পূর্ণভাবে আয়ত্ত করে নয়, তার পদ্ধতিও আমাদের অজানা। যেমনটি আমাদের রবের কিতাব ঘোষণা করেছে, وُجُوه يَوۡمَئِذٍ نَّاضِرَةٌ إِلَىٰ رَبِّهَا نَاظِرَةٌ ‘‘সেদিন অনেক মুখম-ল আনন্দোজ্জল হবে, সেগুলো তাদের রবের দিকে তাকিয়ে থাকবে’’। (সূরা আল-কিয়ামাহ: ২২) এ দেখার ব্যাখ্যা হলো, একমাত্র আল্লাহ যেভাবে ইচ্ছা করেন এবং যেভাবে তিনি জানেন সেভাবেই এটি অর্জিত হবে এবং এ সম্পর্কে যা কিছু ছহীহ হাদীছে রসূলুল্লাহ ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম হতে বর্ণিত হয়েছে, তা যেভাবে তিনি বলেছেন সেভাবেই গৃহীত হবে এবং তিনি যা উদ্দেশ্য করেছেন সেটিই ধর্তব্য হবে। এতে আমরা আমাদের নিজস্ব মতের উপর নির্ভর করে কোনো অপব্যাখ্যা করবো না এবং আমাদের প্রবৃত্তির প্ররোচনায় তাড়িত হয়ে কোনো অযাচিত ধারণার বশবর্তী হবো না। কারণ কোনো ব্যক্তি কেবল তখনই তার দ্বীনকে ভ্রষ্টতা ও বক্রতা থেকে নিরাপদ রাখতে পারে, যখন সে মহান আল্লাহ এবং তার রসূল ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের নির্দেশনার কাছে নিজেকে সম্পূর্ণভাবে সমর্পন করবে এবং সংশয়ের ব্যাপারসমূহকে আল্লাহর দিকেই ফিরিয়ে দিবে।
.................................................................
ব্যাখ্যা: আখেরাতে আল্লাহ তা‘আলাকে দেখার মাস‘আলায় জাহমিয়া, মুতাযেলা এবং তাদের অনুসারী খারেজী ও শিয়াদের ইমামীয়া সম্প্রদায় আহলে সুন্নাত ওয়াল জামা‘আতের বিরোধিতা করেছে। কুরআন ও ছহীহ হাদীছের দলীলের মাধ্যমে তাদের কথা বাতিল ও প্রত্যাখ্যাত। ছাহাবী, তাবেঈ, ইসলামের সুপ্রসিদ্ধ ইমামগণ, আহলে হাদীছ এবং আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাআতের কালাম শাস্ত্রবিদগণও পরকালে মুমিনদের জন্য আল্লাহর দিদার সাব্যস্ত করেছেন।
এটি দ্বীনের মূলনীতি সম্পর্কিত একটি বিরাট ও গুরুত্বপূর্ণ মাস‘আলা। এটি অর্জনের জন্যই মুমিনগণ সর্বোচ্চ প্রচেষ্টা চালিয়ে থাকেন এবং প্রতিযোগিতায় মাশগুল থাকেন। যাদেরকে কিয়ামতের দিন তাদের রবের সান্নিধ্য থেকে দূরে রাখা হবে এবং তার দরজা থেকে তাড়িয়ে দেয়া হবে, তারাই এ নেয়ামত থেকে বঞ্চিত হবে। মুমিনগণ কিয়ামতের দিন আল্লাহ তা‘আলাকে দেখতে পাবেন। এর দলীল হিসাবে ইমাম ত্বহাবী রহিমাহুল্লাহ সূরা কিয়ামাহএর ২২ ও ২৩ নং আয়াতের দলীল পেশ করেছেন। এটিই এ বিষয়ে সর্বাধিক সুস্পষ্ট দলীল। আল্লাহ তা‘আলা বলেন,
وُجُوهٌ يَوْمَئِذٍ نَاضِرَةٌ إِلَى رَبِّهَا نَاظِرَةٌ
সেদিন অনেক মুখমণ্ডল আনন্দোজ্জল হবে, সেগুলো তাদের রবের দিকে তাকিয়ে থাকবে।
কিন্তু যারা তাবীলের নাম দিয়ে এ আয়াতের তাহরীফ বা বিকৃতি করার পথকেই বেছে নিয়েছে, তাদের জন্য আল্লাহর সাক্ষাৎ সম্পর্কিত এ আয়াতটির তাবীল-অপব্যাখ্যা করার চেয়ে পুনরুত্থান, জান্নাত, জাহান্নাম এবং হিসাব সম্পর্কিত আয়াতগুলোর তাবীল করা অধিক সহজ। বাতিলপন্থীরা কুরআনের আয়াতগুলোর যথাযথ অর্থ পরিবর্তন করতে চাইলে সে ঐ পথেই অগ্রসর হয়, যে পথে অগ্রসর হয় এ আয়াতগুলোর তাবীলকারীগণ।
তাবীলই দ্বীন ও দুনিয়াকে ধ্বংস করে দিয়েছে। ইহুদী-খৃষ্টানরা এভাবেই তাওরাত ও ইঞ্জিলের আয়াতগুলো পাল্টিয়ে দিয়েছিল। আল্লাহ তা‘আলা আমাদেরকে তাদের অনুরূপ করতে নিষেধ করেছেন। কিন্তু বাতিলপন্থীরা তাদের পথেই চলেছে। ভ্রান্ত তাবীল ইসলাম ও মুসলিমদের উপর সীমাহীন মসীবত টেনে এনেছে। ভ্রান্ত তাবীলের কারণেই উছমান রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু নিহত হয়েছে। জঙ্গে জামালা ও জঙ্গে সিফ্ফীনও সংঘটিত হয়েছে তাবীলের কারণেই। হুসাইন রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু নিহত হয়েছেন এ তাবীলের কারণেই। মদীনাতে হার্আর ঘটনার দিন যা কিছু ঘটেছিল, তাও তাবীলের কারণে। খারেজী, মুতাযেলা এবং রাফেযী সম্প্রদায়ের উৎপত্তিও হয়েছে তাবীল থেকেই। ভ্রান্ত তাবীলের কারণেই উম্মত ৭৩ দলে বিভক্ত হয়েছে।
উপরোক্ত আয়াতে النظر বা তাকানোকে চেহারার দিকে সম্বন্ধ করা হয়েছে। চেহারাই হলো দৃষ্টির স্থান। সেই সঙ্গে إلى হরফে জার্ এর মাধ্যমে النظر কে মুতাআদ্দী করা হলে এর দ্বারা চোখের দেখা ছাড়া অন্য কিছু বুঝানো হয় না। সুতরাং النظر এখানে প্রকৃতপক্ষে চোখের দেখা অর্থেই ব্যবহৃত হয়েছে। এখানে এমন কোনো আলামত নেই যা প্রমাণ করে যে, প্রকৃত অর্থের বিপরীত অর্থ উদ্দেশ্য। সুতরাং সুস্পষ্টভাবেই জানা গেল, আল্লাহ তা‘আলা এখানে চেহারার মধ্যকার চোখের দেখা উদ্দেশ্য করেছেন। আর চেহারাগুলো আল্লাহ তা‘আলার দিকেই তাকিয়ে থাকবে।
النظر শব্দটি সরাসরি কিংবা অন্যান্য মাধ্যমে মুতাআদ্দী হওয়ার দিক থেকে কয়েকভাবে ব্যবহৃত হয়ে থাকে। এটি যদি নিজে নিজেই মুতাআদ্দী হয়, তাহলে এর অর্থ হয় অপেক্ষা করা। কিয়ামতের দিন মুনাফেক পুরুষ ও মুনাফেক নারীরা মুমিনদেরকে বলবে,
انظُرُونَا نَقْتَبِسْ مِن نُّورِكُمْ
‘‘আমাদের জন্য একটু অপেক্ষা করো যাতে তোমাদের নূর থেকে আমরা কিছু উপকৃত হতে পারি’’। (সূরা হাদীদ: ১৩)
في হরফে জারের মাধ্যমে মুতাআদ্দী হলে তার অর্থ হয়, চিন্তা-গবেষণা করা। আল্লাহ তা‘আলা বলেন,
أَوَلَمْ يَنظُرُوا فِي مَلَكُوتِ السَّمَاوَاتِ وَالْأَرْضِ وَمَا خَلَقَ اللَّهُ مِن شَيْءٍ
‘‘তারা কি কখনো আকাশ ও পৃথিবীর ব্যবস্থাপনা সম্পর্কে চিন্তা করেনি এবং আল্লাহর সৃষ্ট কোন জিনিসের দিকে চোখ মেলে তাকায়নি?’’ (সূরা আরাফ: ১৮৫) আর যদি إلى হারফে জারের মাধ্যমে মুতাআদ্দী হয়, তাহলে অর্থ হয় চোখ দিয়ে দেখা। যেমন আল্লাহ তা‘আলা বলেন,
انظُرُوا إِلَىٰ ثَمَرِهِ إِذَا أَثْمَرَ وَيَنْعِهِ إِنَّ فِي ذَٰلِكُمْ لَآيَاتٍ لِّقَوْمٍ يُؤْمِنُونَ
‘‘গাছ যখন ফলবান হয় তখন এর ফল ধরা ও ফল পাকার অবস্থার প্রতি দৃষ্টি দাও। এসব জিনিসের মধ্যে ঈমানদারদের জন্য নিদর্শন রয়েছে’’। (সূরা আন‘আম ৬:৯৯)
সুতরাং চোখের স্থান চেহারার দিকে যখন النظر কে সম্বন্ধ করা হবে, তখন তার দ্বারা চোখের দেখা উদ্দেশ্য হবে না কেন?
ইবনে মারদুওয়াই স্বীয় সনদের আব্দুল্লাহ ইবনে আমর রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণনা করেছেন যে, রসূল ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এ আয়াতের ব্যাখ্যায় বলেছেন, وُجُوهٌ يَوْمَئِذٍ نَاضِرَةٌ ‘‘সেদিন অনেক মুখণ্ডল আনন্দোজ্জ্বল হবে’’। উজ্জ্বলতা ও সৌন্দর্যের কারণে চকচক করবে। সেগুলো তাদের রবের দিকে তাকিয়ে থাকবে’’। আল্লাহ তা‘আলা বলেন, إِلَى رَبِّهَا نَاظِرَةٌ ‘‘সেগুলো তাদের রবের দিকে তাকিয়ে থাকবে’’। অর্থাৎ فِي وَجْهِ اللَّهِ عَزَّ وَجَلَّ তারা আল্লাহ তা‘আলার চেহারার দিকে তাকিয়ে থাকবে।[1]
হাসান বসরী রহিমাহুল্লাহ বলেন, তারা তাদের রবের দিকে তাকাবে। এতে করে তাদের রবের নূরে তাদের চেহারাও উজ্জ্বল হবে।
আবু সালেহ ইবনে আব্দুল্লাহ ইবনে আববাস রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু থেকে﴿إِلَى رَبِّهَا نَاظِرَةٌ﴾ ‘‘সেগুলো তাদের রবের দিকে তাকিয়ে থাকবে’’ এ আয়াতের ব্যাখ্যায় বলেন, তারা তাদের রবের চেহারার দিকে তাকিয়ে থাকবে।
ইকরিমা আয়াত দু’টির ব্যাখ্যায় বলেন, সেদিন নেয়ামত পেয়ে অনেক চেহারা উজ্জ্বল হবে এবং তারা তাদের রবের দিকে যথাযথভাবেই তাকিয়ে থাকবে।
ইবনে আববাস রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু থেকেও অনুরূপ ব্যাখ্যা এসেছে। এটিই আহলে সুন্নাত এবং মুফাসসিরে কেরামদের অভিমত।
আল্লাহ তা‘আলা বলেন, لَهُم مَّا يَشَاءُونَ فِيهَا وَلَدَيْنَا مَزِيدٌ ‘‘সেখানে তাদের জন্য যা চাইবে তাই থাকবে। আর আমার কাছে আরো কিছু অতিরিক্ত জিনিসও থাকবে’’ (সূরা ক্বফ: ৩৫)
ইমাম তাবারী বলেন, আলী ইবনে আবু তালেব এবং আনাস বিন মালেক এ আয়াতের ব্যাখ্যায় বলেছেন, এখানে অতিরিক্ত জিনিস বলতে আল্লাহ তা‘আলার চেহারার দিকে তাকিয়ে থাকা উদ্দেশ্য।
আল্লাহ তা‘আলা আরো বলেন, للَّذِينَ أَحْسَنُوا الْحُسْنَى وَزِيَادَةٌ ‘‘যারা সৎকর্ম সম্পাদন করেছে, তাদের জন্য রয়েছে উত্তম বস্তু এবং আরো অতিরিক্ত জিনিস’’। (সূরা ইউনুস: ২৬) এখানে হুসনা বলতে জান্নাত উদ্দেশ্য এবং যিয়াদাহ বলতে আল্লাহ তা‘আলার সম্মানিত চেহারার দিকে তাকানো উদ্দেশ্য। রসূল ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এবং পরবর্তীতে তার ছাহাবীগণ থেকে এ ব্যাখ্যাই এসেছে।
যেমন ছহীহ মুসলিম সুহাইব রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণনা করেছেন। তিনি বলেন, রসূল ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এ আয়াতটি পাঠ করলেন,
للَّذِينَ أَحْسَنُوا الْحُسْنَى وَزِيَادَةٌ
‘‘যারা সৎকর্ম সম্পাদন করেছে, তাদের জন্য রয়েছে উত্তম বস্তু এবং আরো অতিরিক্ত জিনিস’’ (সূরা ইউনুস: ২৬)। অতঃপর বললেন, জান্নাতবাসীগণ যখন জান্নাতে প্রবেশ করবে এবং জাহান্নামীগণ যখন জাহান্নামে প্রবেশ করবে, তখন একজন ঘোষক এ বলে ঘোষণা করবে, হে জান্নাতবাসীগণ! তোমাদের সাথে আল্লাহ তা‘আলার একটি ওয়াদা রয়েছে। তিনি তা পূরণ করতে চাচ্ছেন। জান্নাতবাসীগণ বলবেন, তা কী? আল্লাহ তা‘আলা কি আমাদের মীযানের পাল্লা ভাড়ি করেননি? আমাদের মুখমণ্ডল উজ্জ্বল করেননি? আমাদেরকে কি জান্নাতে প্রবেশ করাননি এবং জাহান্নাম থেকে পরিত্রাণ দেননি? অতঃপর পর্দা উঠানো হবে। তারা তখন আল্লাহর দিকে তাকাবে। আল্লাহর দিকে তাকিয়ে থাকার চেয়ে অধিক প্রিয় তাদেরকে আর কিছুই দেয়া হবে না। এটিই হলো কুরআনে তাদের জন্য ওয়াদাকৃত অতিরিক্ত জিনিস। ইমাম মুসলিম ছাড়াও অন্যরা বিভিন্ন সনদে ও বিভিন্ন শব্দে এ হাদীছ বর্ণনা করেছেন। এ হাদীছগুলোতে যে الزيادة শব্দটি এসেছে, তার অর্থ হলো আল্লাহ তা‘আলার চেহারার দিকে তাকিয়ে থাকা। ছাহাবীগণ এ ব্যাখ্যাই করেছেন। ইমাম ইবনে জারীর একদল ছাহাবী থেকে এ ব্যাখ্যা করেছেন। তাদের মধ্যে রয়েছেন আবু বকর রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু, হুযায়ফা, আবু মুসা আশআরী এবং ইবনে আববাস রাদ্বিয়াল্লাহু আনহুম।
আল্লাহ তা‘আলা বলেন,
كَلَّا إِنَّهُمْ عَن رَّبِّهِمْ يَوْمَئِذٍ لَّمَحْجُوبُونَ
‘‘কখনো নয়, নিশ্চিয়ই সেদিন তাদের রবের দর্শন থেকে বঞ্চিত রাখা হবে’’। (সূরা মুতাফফিফীন: ১৫)
এ আয়াত দ্বারা ইমাম শাফেঈ এবং অন্যরা দলীল গ্রহণ করেছেন যে, কাফেরদেরকে যেহেতু আল্লাহর সাক্ষাৎ থেকে বঞ্চিত রাখার কথা বলা হয়েছে, তাই বুঝা গেল যে, তা কেবল মুমিনদের জন্য সাব্যস্ত। ইমাম ইবনে জারীর তাবারী ইমাম শাফেঈর ছাত্র মুযানী থেকে এটি বর্ণনা করেছেন। ইমাম আবু আব্দুল্লাহ আলহাকেম বলেন, আমাদেরকে সংবাদ দিয়েছেন আসাম, তিনি বলেন, আমাদেরকে সংবাদ দিয়েছেন রুবাই ইবনে সুলায়মান, তিনি বলেন, আমি মুহাম্মাদ বিন ইদরীস শাফেঈর কাছে উপস্থিত ছিলাম, তখন মিশরের গ্রামাঞ্চল থেকে তার নিকট একটি পত্র আসল। তাতে ইমামকে প্রশ্ন করা হয়েছিল, আল্লাহ তা‘আলার এ বাণী
كَلَّا إِنَّهُمْ عَن رَّبِّهِمْ يَوْمَئِذٍ لَّمَحْجُوبُونَ
‘‘কখনো নয়, নিশ্চিয়ই সেদিন তাদের রবের দর্শন থেকে বঞ্চিত রাখা হবে’’ (সূরা মুতাফফিফীন: ১৫) সম্পর্কে আপনি কী বলেন? জবাবে তিনি বললেন, তাদের উপর অসন্তুষ্ট হয়ে আল্লাহ তা‘আলা তার দিদার হতে তাদেরকে বঞ্চিত করার মধ্যে দলীল পাওয়া যায় যে, তার অলীগণ সন্তুষ্ট অবস্থায় তাকে দেখতে পাবেন।