আমরা দেখেছি, আল্লামা রুহুল আমিন বারংবার উল্লেখ করেছেন, হাদীস যাচাইয়ের ক্ষেত্রে ব্যক্তি, বুজুর্গ বা গ্রন্থের বিচার না করে হাদীসের সনদ ও মুহাদ্দিসগণের যাচইয়ের উপর নির্ভর করতে হবে। কোনো বুজুর্গের উদ্ধৃতি বা মতের কারণে যেমন জাল হাদীসকে গ্রহণ করা যায় না; তেমনি কোনো গ্রন্থে কিছু জাল হাদীস বিদ্যমান থাকার কারণে গ্রন্থটির নিন্দা করা যায় না। বরং জাল হাদীসকে জাল বলার পাশাপাশি আলিম ও বুজুর্গগণের সম্মান করতে হবে এবং তাদের গ্রন্থাদি পাঠ করতে হবে। বস্ত্তত এটিই তাবিয়ীগণের যুগ থেকে উম্মাতের সকল ইমাম ও আলিমের মূলনীতি। আল্লামা আবূ জাফর সিদ্দিকীও এ মূলনীতি অনুসরণ করেছেন। তিনি জাল হাদীস চিহ্নিতকরণে গ্রন্থকারের মর্যাদা বা বুজুর্গি বিবেচনা করেন নি। হাদীস, তাফসীর, ফিকহ, তাসাউফ ইত্যাদি বিষয়ে প্রসিদ্ধ যে সকল গ্রন্থের মধ্যে বিদ্যমান জাল হাদীস তিনি চিহ্নিত করেছেন সেগুলির মধ্যে রয়েছে: