উত্তর: বল, আমি নিশ্চিতভাবে বিশ্বাস করি যে, তারা মানুষ এবং তারা বনী আদম থেকে মনোনীত ব্যক্তিবর্গ। আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তা‘আলা তাঁর বান্দাদের ওপর যে শরীয়ত নাযিল করেছেন, তা পৌঁছানোর জন্য তাদেরকে বাঁচাই ও নির্বাচন করেছেন। তারা তাদেরকে আল্লাহর ইবাদতের দিকে আহ্বান করেন, যিনি একক, যার কোনো শরীক নেই এবং শির্ক ও মুশরিকদের থেকে মুক্ত থাকতে বলেন। নবুওয়াত আল্লাহর মনোনয়ন ও নির্বাচন, যা নিজের পরিশ্রম, অধিক ইবাদত, যোগ্যতা ও আত্মশুদ্ধির মাধ্যমে হাসিল করা যায় না। আল্লাহ তা‘আলা বলেন, ٱللَّهُ أَعۡلَمُ حَيۡثُ يَجۡعَلُ رِسَالَتَهُۥ “আল্লাহ ভালো জানেন কোথায় তিনি স্বীয় রিসালাত রাখবেন”। [সূরা আল-আনআম, আয়াত: ১২৪]
নবীদের মধ্যে সর্বপ্রথম হলেন আদম আলাইহিস সালাম। আর সর্বপ্রথম রাসূল হলেন নূহ আলাইহিস সালাম। আর তাদের মধ্যে সর্বশেষ ও সর্বশ্রেষ্ঠ হলেন মুহাম্মাদ বিন আব্দুল্লাহ আল-কুরাইশী আল-হাশেমী। আল্লাহর অসংখ্য সালাত ও সালাম তাদের সবার ওপর। যে কেউ একজন নবীকে অস্বীকার করবে সে কাফির। আর যে মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের পরে যে নবুওয়াতের দাবি করবে সেও কাফির এবং আল্লাহকে অস্বীকারকারী। কারণ আল্লাহ তা‘আলা বলেছেন: “মুহাম্মাদ তোমাদের কোনো পুরুষের পিতা নন। তিনি আল্লাহর রাসূল ও সর্বশেষ নবী”। আর নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন: “আমার পরে কোনো নবী নেই”।