প্রশ্ন: তোমাকে যদি জিজ্ঞেস করা হয়, আসমানী কিতাবসমূহের প্রতি ঈমান কীভাবে আনয়ন করতে হয়?

উত্তর: তুমি বল যে, আপনার এ বিশ্বাস করা ও সাক্ষ্য দেওয়া যে, আল্লাহ তা‘আলা তার নবী ও রাসূলগণের ওপর অনেক কিতাব নাযিল করেছেন। তা থেকে কতিপয় তার কিতাবে উল্লেখ করেছেন। যেমন ইবরাহীমের সহীফা, তাওরাত, ইঞ্জীল, যাবূর ও কুরআন। ইবরাহীমের সহীফাগুলো ইবরাহীমের ওপর, তাওরাত মূসার ওপর, ইঞ্জীল ঈসার ওপর, যাবূর দাউদের ওপর ও কুরআন শেষ নবী মুহাম্মাদের ওপর নাযিল হয়েছে। তাদের সবার ওপর সালাত ও সালাম।

এসবের মধ্যে সর্বোত্তম হচ্ছে কুরআন। এটি আল্লাহর কালাম। তিনি কুরআন দিয়ে প্রকৃতপক্ষে কথা বলেছেন। তার শব্দ ও অর্থ আল্লাহর পক্ষ থেকে। তিনি এটা জিবরীলকে শুনিয়েছেন এবং তার নবী মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে তা পৌঁছানোর নির্দেশ দিয়েছেন। আল্লাহ তা‘আলা বলেন, “এটা নিয়ে জিবরীল অবতরণ করেছেন”। [আশ-শুআরা, আয়াত: ১৯৩] তিনি আরো বলেন: “নিশ্চয় আমি তোমার প্রতি পর্যায়ক্রমে কুরআন নাযিল করেছি”। [সূরা ইনসান, আয়াত: ২৩] তিনি আরো বলেন: فأجره حتى يسمع كلام الله“অতঃপর তাকে আশ্রয় দাও যাতে সে আল্লাহর কালাম শুনতে পারে”। [সুরা আত-তাওবাহ, আয়াত: ৬]

আল্লাহ তা‘আলা কুরআনকে বিকৃতি, বৃদ্ধি ও হ্রাস থেকে হিফাযত করেছেন। এটি শেষ যামানায় কিয়ামত কায়েম হওয়ার পূর্বে মুমিনদের মৃত্যু পর্যন্ত কাগজে ও বক্ষদেশে সংরক্ষিত থাকবে। অতঃপর আল্লাহ এটি উঠিয়ে নিবেন। ফলে তার কোনো অংশ আর অবশিষ্ট থাকবে না।