উত্তর: বল, মৃত্যুর পর যা কিছু হবে বলে আল্লাহ সংবাদ দিয়েছেন সেগুলোর প্রতি কোন প্রকার সন্দেহ ছাড়া দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস ও স্বীকার করা দ্বারাই আখিরাত দিবসের প্রতি ঈমান আনা হয়। যেমন, কবরের প্রশ্ন, কবরের নি‘আমত ও আযাব, পুনরুত্থান, হিসাব ও ফয়সালার জন্য সমস্ত মখলুককে একত্রিত করা ইত্যাদি। এ ছাড়াও কিয়ামতের ময়দানে আরো যা কিছু সংঘটিত হবে, তার ওপর বিশ্বাস করা, যেমন— দীর্ঘ অবস্থান, সূর্য এক মাইল পরিমাণ নিকটে চলে আসা, হাউয, মীযান, আমলনামা প্রদান, জাহান্নামের ওপর পুলসিরাত স্থাপন প্রভৃতি ঘটনা। জান্নাতিরা জান্নাতে ও জাহান্নামীরা জাহান্নামে প্রবেশ না করা পর্যন্ত আরো যেসব ভয়ানক ঘটনা সে মহান দিনে ঘটবে সেগুলোর বর্ণনা যেভাবে আল্লাহর কিতাবে ও তার রাসূলের সুন্নাতে এসেছে সেভাবেই বিশ্বাস করা। কিয়ামতের যেসব আলামত দলীল-প্রমাণ দ্বারা সাব্যস্ত হয়েছে, সেগুলোর প্রতি ঈমান আনাও পরকাল দিবসের ওপর ঈমান আনার মধ্যে শামিল। যেমন- ব্যাপক যুদ্ধ-বিগ্রহ, হত্যা, ভূমিকম্প, ভূমি ধস, দাজ্জাল বের হওয়া, ঈসা আলাইহিস সালাম অবতরণ করা, ইয়াজুজ-মাজুজ বের হওয়া, পশ্চিম আকাশে সূর্য উদিত হওয়া ইত্যাদি।
এসবই আল্লাহর কিতাব ও তার রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের সহীহ হাদীসসমূহে প্রমাণিত, যা সহীহ, সুনান ও মুসনাদের গ্রন্থাবলীতে লিপিবদ্ধ রয়েছে।