চিকিৎসার তৃতীয় স্তর হলো চিকিৎসা শেষের পরের স্তর

যদি আল্লাহ তায়ালা আপনার প্রচেষ্টায় রোগীকে সুস্থ করে দেন আর রোগী প্রশান্তি লাভ করে তাহলে আপনি আল্লাহ তায়ালার শুকরিয়া আদায় করুন যিনি আপনাকে এই সুযোগ দান করেছেন। আর আল্লাহকে বেশি করে স্মরণ করতে হবে যেন আল্লাহ আপনাকে অন্যের জন্যও আরো তাওফীক প্রদান করেন। আর আপনার চিকিৎসায় এ সফলতা যেন আপনার সীমালজঘনও অহংকারের কারণ না হয়।

আল্লাহ তায়ালা বলেনঃ


وَإِذْ تَأَذَّنَ رَبُّكُمْ لَئِنْ شَكَرْتُمْ لَأَزِيدَنَّكُمْ وَلَئِنْ كَفَرْتُمْ إِنَّ عَذَابِي لَشَدِيدٌ

অর্থঃ “আর যখন আল্লাহ তায়ালা (আপনার প্রভু) প্রকাশ্যে ঘোষণা করে দিয়েছেন যে, যদি তোমরা কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করবে তবে আমি তোমাদেরকে আরও বেশি দিব। আর যদি তোমরা অকৃজ্ঞ হও তবে জেনে রাখ যে আমার শাস্তি বড়ই কঠিন।" (সূরা ইবরাহীমঃ ৭)

আর রোগী সুস্থ হওয়ার পরও আশঙ্কা মুক্ত নয়, কোথাও আবার কেউ দ্বিতীয়বার তার যাদু পুনরাবৃত্তি না করে। কেননা যারা যাদু করিয়েছে তারা যদি তার চিকিৎসকের নিকট গিয়ে সুস্থ হওয়ার বিষয় জানতে পারে তবে তারা দ্বিতীয়বার যাদুকরের নিকট গিয়ে যাদু করতে সচেষ্ট হবে। সুতরাং রোগী তার চিকিৎসকের নিকট যাওয়ার বিষয় গোপন রাখবে। আর রোগীর সুরক্ষার জন্যে নিম্নের নির্দেশাবলী তাকে প্রদান করুনঃ

১ । জামাতের সাথে নামায আদায় করা ।

২। গান-বাজনা শ্রবণ না করা।

৩। ঘুমানোর পূর্বে ওযু করে নেয়া এবং আয়াতুল কুরসী তিলাওয়াত করা।

৪। সব কাজ বিসমিল্লাহ বলে করা।

৫। ফজরের নামাযের পর দৈনিক নিম্নের দু'আ ১০০ বার পড়া।

(لا اله الا الله وحده لا شريك له له الملك وله الحمد وهو على كل شيء قدير)

৬। প্রত্যহ সামান্য হলেও কুরআনের তিলাওয়াত অবশ্যই করা। যদি কুরআন পড়তে না জানে তবে অন্য কারো থেকে অথবা ক্যাসেটে শুনবে। (কুরআন কারীমের শিক্ষা গ্রহণ করবে। কেননা মুসলমানদের জন্য তা অবশ্যই জরুরী।)

৭। সৎলোকদের সংস্পর্শে ওঠা-বসা করবে।

৮। সকাল-সন্ধ্যার মাসনুন দু'আসমূহ পড়বে।