শামাউন প্রসঙ্গে আমরা যুদ্ধ, হত্যা বা ক্ষতি করার জন্য ‘কারণ’-এর প্রয়োজন বলে জানছি। কিন্তু পূর্বের বিভিন্ন উদ্ধৃতি থেকে বাইবেল বারবারই নিশ্চিত করছে যে, ঈশ্বরের, তাঁর প্রজাদের বা বাইবেলের অনুসারীদের যুদ্ধ, হত্যা, অগ্নিসংযোগ ইত্যাদি কর্মের জন্য কোনো যৌক্তিক বা অযৌক্তিক কারণের প্রয়োজন নেই। ঈশ্বর বা তাঁর অনুসারীরা কোনো জনপদ দেখে পছন্দ করেছেন এবং তা দখল বা ধ্বংস করতে এবং তথাকার মানুষদের হত্যা করতে ইচ্ছা করেছেন- এটাই যথেষ্ট। ঈশ্বরের প্রজারা কখনো এরূপ কোনো শখ করলে ঈশ্বর তা অনুমোদন করেন।
কখনো ঈশ্বর দেশবাসীর মন শক্ত করে তাদেরকে বনি-ইসরাইলের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করতে বাধ্য করেন, যেন তাদের হত্যা করা ও দেশটা দখল করা যায়। তবে এরূপ অজুহাতও নিষ্প্রয়োজন। জোরিকোর মানুষেরা বনি-ইসরাইলের বিরুদ্ধে যুদ্ধে অবতীর্ণ হয়নি, বরং বনি-ইসরাইলের গণহত্যাগুলোর খবর জেনে মহা আতঙ্কিত হয়ে নগরের দরজা বন্ধ করে বাঁচার চেষ্টা করছিল। কিন্তু তাতে কোনোই লাভ হয়নি তাদের। মূল বিষয় হল অন্যের দেশ দখল করতে হবে এবং দখলের পরে তাদের সাথে বসবাস করা যাবে না। তাদের সবাইকে পরিপূর্ণ নির্মমতার সাথে হত্যা করতে হবে। তাদেরকে তাড়িয়ে দিলেও চলবে না। হত্যাই একমাত্র নির্দেশ। তারা যুদ্ধ করতে না চাইলে উস্কানি দিয়ে যুদ্ধ করাতে হবে। তাতেও রাজি না হলে কোনো কারণ ছাড়াই তাদেরকে আক্রমণ করে তাদের দেশ দখল করতে হবে এবং দখলের পরে অসহায় নাগরিকদের সবাইকে হত্যা করতে হবে।