এভাবে আমরা দেখছি যে, ঈসা মাসীহের ইঞ্জিলটা নিঃসন্দেহে হিব্রু-আরামাইক ভাষায় রচিত ও প্রচারিত ছিল। তাহলে নতুন নিয়মের ইঞ্জিলগুলো গ্রিক হয়ে গেল কিভাবে? এখানে দুটো সম্ভাবনা বিদ্যমান: অনুবাদ অথবা জালিয়াতি।
প্রথম সম্ভাবনা অনুবাদ। প্রচলিত ইঞ্জিলগুলো কোনোটাই প্রকৃত ইঞ্জিল নয়। সর্বোচ্চ বলা যায় যে, এগুলো ইঞ্জিল বলে কথিত কিছু হিব্রু বা আরামীয় কথার গ্রিক অনুবাদ। Where is God’s True Church Today বইয়ের লেখক Brian Knowles ‘যীশু কোন্ ভাষায় কথা বলতেন: আরামাইক না হিব্রু (Which Language Did Jesus Speak – Aramaic or Hebrew) শিরোনামে লেখেছেন:
“the way the Synoptic Gospels came into being consider the following series of steps in textual development: A written Hebrew original ‘Life of Jesus’, A literal Greek translation of the above, A Greek anthological translation, The first Greek reconstruction, Luke, Mark, Matthew.”
‘‘প্রথম তিন ইঞ্জিল অস্তিত্ব লাভ করেছে নিম্নের প্রক্রিয়ায় কয়েকটা ধাপের লিখিত ভাষ্যের বিবর্তনের মাধ্যমে: (ক) হিব্রু ভাষায় রচিত মূল গ্রন্থ ‘যীশুর জীবন’, (খ) উপরের পুস্তকের আক্ষরিক গ্রিক অনুবাদ, (গ) গ্রিক ভাষায় সংকলনমূলক অনুবাদ, (৪) প্রথম গ্রিক পুনর্লিখন, (৫) লূক, (৬) মার্ক এবং (৭) মথি।’’[1]
উইকিপিডিয়ার ‘যীশুর ভাষা’ (Language of Jesus) প্রবন্ধে বলা হয়েছে:
A very small minority believe that most or all of the New Testament was originally written in Aramaic. However, such theories are rejected by mainstream Biblical scholarship. Traditionally parts of the Church of the East (Nestorian church) have also claimed originality for the Aramaic New Testament, though this is considered by scholars to be a translation from Greek. Instead, the consensus among mainstream academia is that although it is possible that there may be Aramaic source materials that underpin some portions of the New Testament, the New Testament was compiled and redacted in the Greek language. Scholars are also in agreement that there did exist at one time an early Aramaic/Hebrew version of a Jewish-Christian gospel, although its relation to the Greek gospels is not completely clear due to a lack of sources.
‘‘অত্যন্ত অল্প সংখ্যক মানুষ বিশ্বাস করেন যে, অধিকাংশ অথবা পুরো নতুন নিয়ম মূলত আরামাইক ভাষায় লেখা হয়েছিল। মূলধারার বাইবেল গবেষকরা এ মত প্রত্যাখ্যান করেছেন। ঐতিহ্যগতভাবে পূর্বাঞ্চলীয় চার্চের একটা অংশ নেস্তরিয়ান চার্চও আরামাইক নতুন নিয়মকেই মূল বলে দাবি করত। তবে গবেষকরা মনে করেন যে, এটাও মূল গ্রিক নতুন নিয়মের অনুবাদ মাত্র। এর বিপরীতে মূলধারার গবেষকরা একমত যে, নতুন নিয়মের সংকলনের পিছনে হয়ত আরামাইক ভাষার উৎস ও সূত্র বিদ্যমান ছিল, তবে নতুন নিয়ম মূলতই গ্রিক ভাষায় সংকলিত ও সম্পাদিত। গবেষকরা একমত যে, ইহুদি থেকে খ্রিষ্টান হওয়া ‘হিব্রু-খ্রিষ্টানদের’ মধ্যে এক সময় শুধুই একটা আরামাইক/ হিব্রু ভাষার ইঞ্জিল বিদ্যমান ছিল। তবে তথ্যের অভাবে গ্রিক ইঞ্জিলের সাথে সে হিব্রু ইঞ্জিলের সম্পর্কের বিষয়টা স্পষ্ট নয়।’’
এভাবে আমরা দেখছি যে, বিভিন্ন লেখকের মতানুসারে ইঞ্জিল বলে পরিচিত এ পুস্তকগুলো মূল ইঞ্জিল নয়। সর্বোচ্চ বিবেচনায় এগুলো অনুবাদ এবং অনেক ধাপের অনুবাদ। মূলের অনুবাদের অনুবাদের অনুবাদ এবং আরো অনেক বিষয় সংযোজন। এখন প্রশ্ন হল: এরূপ অনুবাদকে ঐশী গ্রন্থ বলে গণ্য করা যায় কিনা? এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে পাঠককে নিম্নের বিষয়গুলো অনুধাবন করতে অনুরোধ করছি: