পরিচ্ছেদঃ ২৪/৮. হালাল উপার্জন থেকে সদাকাহ প্রদান করা।
24/6. بَاب الرِّيَاءِ فِي الصَّدَقَة
২৪/৬. অধ্যায় : সাদাকা প্রদানে লোক দেখানো।
لِقَوْلِهِ : (يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا لاَ تُبْطِلُوا صَدَقَاتِكُمْ بِالْمَنِّ وَالأَذَى إِلَى قَوْلِهِ وَاللهُ لاَ يَهْدِي الْقَوْمَ الْكَافِرِينَ)
এ প্রসঙ্গে আল্লাহ তা’আলার বাণীঃ ’’হে মু’মিনগণ! দানের কথা প্রচার করে এবং ক্লেশ দিয়ে তোমাদের দানকে নিষ্ফল করো না ..... আল্লাহ কাফির সম্প্রদায়কে হিদায়াত করেন না’’- (আল-বাক্বারাহঃ ২৬৪)।
وَقَالَ ابْنُ عَبَّاسٍ (صَلْدًا) لَيْسَ عَلَيْهِ شَيْءٌ وَقَالَ عِكْرِمَةُ (وَابِلٌ) مَطَرٌ شَدِيدٌ وَالطَّلُّ النَّدَى
ইবনু ’আব্বাস (রাঃ) বলেন, (صَلْدًا)^ অর্থাৎ এমন বস্তু যার উপর কোন কিছুর চিহ্ন নেই। ইকরিমা (রহ.) বলেন (وَابِلٌ) অর্থাৎ ভারী বর্ষণ, (والطَّلٌّ) শিশির।
24/7. بَاب لاَ يَقْبَلُ اللهُ صَدَقَةً مِنْ غُلُولٍ وَلاَ يَقْبَلُ إِلاَّ مِنْ كَسْبٍ طَيِّبٍ
২৪/৭. অধ্যায় : খিয়ানত-এর মাল থেকে সাদাকা দিলে তা আল্লাহ কবূল করেন না এবং হালাল উপার্জন হতে কৃত সাদাকাই তিনি কবূল করেন।
لِقَوْلِهِ : (قَوْلٌ مَعْرُوفٌ وَمَغْفِرَةٌ خَيْرٌ مِنْ صَدَقَةٍ يَتْبَعُهَا أَذًى وَاللهُ غَنِيٌّ حَلِيمٌ)
এ প্রসঙ্গে আল্লাহর বাণীঃ ’’যে দানের পেছনে ক্লেশ রয়েছে তদাপেক্ষা ভাল কথা ও ক্ষমা উৎকৃষ্টতর। আল্লাহ মহাসম্পদশালী, পরম সহিষ্ণু।’’ (আল-বাক্বারাহঃ ২৬৩)
لِقَوْلِهِ : (وَيُرْبِي الصَّدَقَاتِ وَاللهُ لاَ يُحِبُّ كُلَّ كَفَّارٍ أَثِيمٍ إِنَّ الَّذِينَ آمَنُوا وَعَمِلُوا الصَّالِحَاتِ وَأَقَامُوا الصَّلاَةَ وَآتَوْا الزَّكَاةَ لَهُمْ أَجْرُهُمْ عِنْدَ رَبِّهِمْ وَلاَ خَوْفٌ عَلَيْهِمْ وَلاَ هُمْ يَحْزَنُونَ)
এ প্রসঙ্গে মহান আল্লাহর বাণীঃ ’’আল্লাহ সুদকে নিশ্চিহ্ন করেন এবং দান-খায়রাতকে বর্ধিত করেন। আল্লাহ কোন অকৃতজ্ঞ পাপীকে পছন্দ করেন না। নিশ্চয় যারা ঈমান এনেছে, নেক কাজ করেছে, সালাত কায়িম করেছে এবং যাকাত দিয়েছে, তাদের জন্য রয়েছে পুরস্কার তাদের পালনকর্তার কাছে। তাদের নেই কোন ভয় এবং তারা দুঃখিতও হবে না।’’ (আল-বাকারাঃ ২৭৭)
১৪১০. আবূ হুরাইরাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ যে ব্যক্তি হালাল কামাই থেকে একটি খেজুর পরিমাণ সাদাকা করবে, (আল্লাহ তা কবূল করবেন) এবং আল্লাহ কেবল পবিত্র মাল কবূল করেন আর আল্লাহ তাঁর ডান হাত [1] দিয়ে তা কবূল করেন। এরপর আল্লাহ দাতার কল্যাণার্থে তা প্রতিপালন করেন যেমন তোমাদের কেউ অশ্ব শাবক প্রতিপালন করে থাকে, অবশেষে সেই সাদাকা পাহাড় বরাবর হয়ে যায়। (আধুনিক প্রকাশনীঃ ১৩১৮)
সুলায়মান (রহ.) ইবনু দ্বীনার (রহ.) থেকে হাদীস বর্ণনায় ’আবদুর রহমান (রহ.)-এর অনুসরণ করেছেন এবং ওয়ারকা (রহ.) ইবনু দ্বীনার থেকে তিনি সাঈদ বিন ইয়ামার থেকে আবূ হুরাইরাহ্ (রাঃ)-এর সূত্রে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হাদীসটি বর্ণনা করে বলেছেন এবং মুসলিম ইবনু আবূ মারয়াম, যায়দ ইবনু আসলাম ও সুহায়ল (রহ.) আবূ সালিহ (রহ.)-এর মাধ্যমে আবূ হুরাইরাহ্ (রাঃ)-এর সূত্রে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হতে হাদীসটি বর্ণনা করেন। (৭৪৩০) (ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ১৩২৪)
কুদরাতি হাত বা কুদরাতি পা বা কুদরাতি চক্ষু ইত্যাদি অর্থ করা আল্লাহর গুণাবলীর বিকৃতি সাধন করার শামিল।
* এই হাদীস হতে শিক্ষণীয় বিষয়:
১। সকল প্রকারের ইবাদত উপাসনার মতই নিষ্ঠাবান হয়ে যে কোনো দান প্রদানের প্রধান উদ্দেশ্য ও লক্ষ্য স্থির করতে হবে মহান আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভ। এবং তাতে যেন কুপ্রবৃত্তির কোনো প্রকার প্রভাব না থাকে তার খেয়াল রাখা অপরিহার্য।
২। মুসলিম ব্যক্তির উচিত যে, সে যেন অবৈধ ও হারাম মাল উপার্জন করা হতে নিজেকে রক্ষা করে। কেননা অবৈধ ও হারাম মাল উপার্জন করার মাধ্যমে উপস্থিত হয় মহান আল্লাহর ক্রোধানল এবং মানুষের মানসিক মহারোগ। যেমন মনের মধ্যে প্রবল লোভ বিরাজ করা, কোনো জিনিসকে পাওয়ার জন্য অন্তরে তীব্র বাসনা সৃষ্টি হওয়া, আত্যন্তিক আত্মম্ভরিতা, স্বার্থপরতা, অতৃপ্ত ও বাসনা অপূর্ণ থাকায় অশান্ত হওয়া, কৃপণতা, কষ্ট, অস্বস্তি এবং অশান্তির অনুভূতি সৃষ্টি হওয়া।
৩। এই হাদীসটির মধ্যে মহান আল্লাহর পবিত্র ডান হাতের কথা উল্লিখিত হয়েছে; কেননা ডান হাতের দ্বারাই কল্যাণময় জিনিস সাধারণ ভাবে গ্রহণ করা হয়। পবিত্র কুরআন এবং নির্ভরযোগ্য হাদীসের আলোকে মহান আল্লাহর নাম ও গুণাবলির প্রতি সঠিক ভাবে অন্তরে ঈমান স্থাপন করা অপরিহার্য। এবং তাতে কোনো প্রকার বিকৃত, পরিবর্তন, পরিবর্ধন, অস্বীকার বা প্রত্যাখ্যান, সাদৃশ্য বর্ণনা বা দৃষ্টান্ত স্থাপন করা এবং স্বরূপ নির্ধারণ করা চলবে না।
بَاب الصَّدَقَةِ مِنْ كَسْبٍ طَيِّبٍ
حَدَّثَنَا عَبْدُ اللهِ بْنُ مُنِيرٍ سَمِعَ أَبَا النَّضْرِ حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّحْمٰنِ هُوَ ابْنُ عَبْدِ اللهِ بْنِ دِينَارٍ عَنْ أَبِيهِ عَنْ أَبِي صَالِحٍ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ قَالَ قَالَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم مَنْ تَصَدَّقَ بِعَدْلِ تَمْرَةٍ مِنْ كَسْبٍ طَيِّبٍ وَلاَ يَقْبَلُ اللهُ إِلاَّ الطَّيِّبَ وَإِنَّ اللهَ يَتَقَبَّلُهَا بِيَمِينِهِ ثُمَّ يُرَبِّيهَا لِصَاحِبِهِ كَمَا يُرَبِّي أَحَدُكُمْ فَلُوَّهُ حَتَّى تَكُونَ مِثْلَ الْجَبَلِ تَابَعَهُ سُلَيْمَانُ عَنْ ابْنِ دِينَارٍ وَقَالَ وَرْقَاءُ عَنْ ابْنِ دِينَارٍ عَنْ سَعِيدِ بْنِ يَسَارٍ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ عَنْ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم وَرَوَاهُ مُسْلِمُ بْنُ أَبِي مَرْيَمَ وَزَيْدُ بْنُ أَسْلَمَ وَسُهَيْلٌ عَنْ أَبِي صَالِحٍ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ عَنْ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم
Narrated Abu Huraira:
Allah's Messenger (ﷺ) said, "If one give in charity what equals one date-fruit from the honestly earned money and Allah accepts only the honestly earned money --Allah takes it in His right (hand) and then enlarges its reward for that person (who has given it), as anyone of you brings up his baby horse, so much s that it becomes as big as a mountain
পরিচ্ছেদঃ ৬৫/৩৯/২. আল্লাহর বাণীঃ আল্লাহর প্রতি যতটুকু মর্যাদা দেয়া উচিত ছিল, তারা তা দেয়নি। (সূরাহ যুমার ৩৯/৬৭)
৪৮১১. ’আবদুল্লাহ্ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, ইয়াহূদী আলিমদের থেকে এক আলিম রাসূল সাল্লাল্লাহু ’আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর কাছে এসে বলল, হে মুহাম্মাদ! আমরা (তাওরাতে দেখতে) পাই যে, আল্লাহ্ তা’আলা আকাশসমূহকে এক আঙ্গুলের উপর স্থাপন করবেন, যমীনকে এক আঙ্গুলের উপর, বৃক্ষসমূহকে এক আঙ্গুলের উপর, পানি ও কাঁদামাটি এক আঙ্গুলের উপর এবং অন্যান্য সৃষ্টি জগত এক আঙ্গুলের উপর স্থাপন করবেন। তারপর বলবেন, আমিই বাদশাহ। রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু ’আলাইহি ওয়াসাল্লাম তা সমর্থনে হেসে ফেললেন; এমনকি তাঁর সামনের দাঁত প্রকাশ হয়ে পড়ে। এরপর রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু ’আলাইহি ওয়াসাল্লাম পাঠ করলেন, তারা আল্লাহকে যথোচিত মর্যাদা দান করে না।[1]
[৭৪১৪, ৭৪১৫, ৭৪৫১, ৭৫১৩; মুসলিম ৫০/হাঃ ২৭৮৬, আহমাদ ৪৩৬৮] (আধুনিক প্রকাশনীঃ ৪৪৪৭, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ৪৪৪৮)
যেহেতু বিষয়টি আকীদাহর সাথে সম্পৃক্ত সেহেতু এ বিষয়টি আরো পরিষ্কার করার জন্য কিছু দলীল উপস্থাপন করা হলোঃ
কুরআন মাজীদের বিভিন্ন আয়াত ও হাদীসে আল্লাহ তা‘আলার চেহারা, হাত, পা, চক্ষু, যাত বা সত্ত্বা, সূরাত বা আকারের কথা উল্লেখ হয়েছে যার অর্থ স্পষ্ট। এর মাধ্যমে আল্লাহর নির্দিষ্ট আকার-আকৃতি আছে বলে প্রমাণ পাওয়া যায়। কারণ যিনি নিরাকার তার এ সব কিছু থাকার কথা নয়। তবে হ্যাঁ, আকার আকৃতি কেমন তা তিনি ছাড়া কেউ জানেন না। মু’মিনগণ কিয়ামতের দিন তাঁকে দেখতে পাবে। জান্নাতের সবচেয়ে শ্রেষ্ঠ নি‘মাত হবে আল্লাহর দীদার। আর দীদারযোগ্য কোন কিছু নিরাকার হতে পারে না। তেমনি ভাবে নিরাকার কখনও দীদারযোগ্য হতে পারে না। আর এমন নয় যে, তিনি এখন নিরাকার তবে কিয়ামতের দিন অবয়ব বিশিষ্ট হয়ে যাবেন। কারণ আল্লাহকে পরিবর্তনশীল মনে করাটাও আকীদাহ বিরোধী। সুতরাং আল্লাহকে নিরাকার বলা শুধু ভ্রান্তই নয় বরং বোকামী ও অজ্ঞতাও বটে। এ ভ্রান্ত ধারণা সালাফদের যুগে ছিলনা। এটা ভারতবর্ষের অধিকাংশ মুসলিমদের আকীদাহ যা হিন্দু ধর্ম থেকে আমদানীকৃত। শিখরাও এ ধারণা পোষণ করে থাকে।
কুরআন মাজীদের যে সকল আয়াতে আল্লাহর অবয়বের প্রমাণ পাওয়া যায় তন্মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছেঃ
সূরা স-দের ৭৫ নং আয়াতে আল্লাহর দু’হাতের কথা বলা হয়েছে। সূরা আল-মায়িদাহ ৬৪ নং আয়াতেও হাতের কথা বলা হয়েছে। সূরা আর-রহমান এর ২৭ নং আয়াত, বাকারাহ ১১৫, ২৭২, সূরা রূম এর ৩৮ নং আয়াত, সূরা দাহর ৯ আয়াত ও সূরা লাইল ২০ নং আয়াতে আল্লাহর চেহারার প্রমাণ পাওয়া যায়। সূরা ক্বলম এর ৪২ নং আয়াতে আল্লাহর পায়ের গোছার প্রমাণ পাওয়া যায়। সূরা যুমার এর ৬৭ নং আয়াতে আল্লাহর মুষ্ঠির প্রমাণ পাওয়া যায়। মুসনাদ আহমাদ এর বরাতে মিশকাতের হাদীসে আল্লাহর হাতের তালুর প্রমাণ পাওয়া যায়।
যদি আল্লাহ নিরাকার হতেন তাহলে সূরা আ‘রাফের ১৪৩ নং আয়াতে বর্ণিত তূর পাহাড়ে মূসা (আঃ) আল্লাহকে দেখতে চাইতেন না। জবাবে আল্লাহ তা‘আলা বললেন لن تراني অর্থাৎ তুমি আমাকে দেখতে পাবে না। এখানে তিনি বলেননি যে, তুমি আমাকে কখনই দেখতে পাবে না। বরং বললেন, যদি পাহাড় স্থির থাকতে পারে তাহলে তুমি আমাকে দেখতে পাবে।
এমনি ভাবে সূরা আশ-শূরার ৫১ নং আয়াতে বর্ণিত, আল্লাহ যদি নিরাকারই হবেন তাহলে পর্দার আড়ালের কথাই বা কেন বলবেন। এরকম আরো অসংখ্য প্রমাণ থাকার পরেও যারা আল্লাহ তা‘আলাকে নিরাকার সাব্যস্ত করার চেষ্টা করবেন নিঃসন্দেহে তারা উক্ত আয়াতকে অস্বীকারকারীদের দলভুক্ত হবেন।
হাফিয ইবনুল কাইয়্যিম (রহঃ) আল্লাহর হাত ও চেহারার বিষয়ে নিরাকার ও নির্গুণবাদীদের বিভিন্ন গৌণ ও রূপক অর্থের প্রতিবাদে যথাক্রমে ২০টি ও ২৬টি যুক্তি পেশ করেছেন।
بَاب قَوْلِهِ :{وَمَا قَدَرُوا اللهَ حَقَّ قَدْرِهِ}
آدَمُ حَدَّثَنَا شَيْبَانُ عَنْ مَنْصُوْرٍ عَنْ إِبْرَاهِيْمَ عَنْ عَبِيْدَةَ عَنْ عَبْدِ اللهِ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ قَالَ جَاءَ حَبْرٌ مِنَ الْأَحْبَارِ إِلَى رَسُوْلِ اللهِ صلى الله عليه وسلم فَقَالَ يَا مُحَمَّدُ إِنَّا نَجِدُ أَنَّ اللهَ يَجْعَلُ السَّمَوَاتِ عَلَى إِصْبَعٍ وَالأَرَضِيْنَ عَلَى إِصْبَعٍ وَالشَّجَرَ عَلَى إِصْبَعٍ وَالْمَاءَ وَالثَّرَى عَلَى إِصْبَعٍ وَسَائِرَ الْخَلَائِقِ عَلَى إِصْبَعٍ فَيَقُوْلُ أَنَا الْمَلِكُ فَضَحِكَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم حَتَّى بَدَتْ نَوَاجِذُهُ تَصْدِيْقًا لِقَوْلِ الْحَبْرِ ثُمَّ قَرَأَ رَسُوْلُ اللهِ صلى الله عليه وسلم (وَمَا قَدَرُوا اللهَ حَقَّ قَدْرِهٰ).
Narrated `Abdullah:
A (Jewish) Rabbi came to Allah's Messenger (ﷺ) and he said, "O Muhammad! We learn that Allah will put all the heavens on one finger, and the earths on one finger, and the trees on one finger, and the water and the dust on one finger, and all the other created beings on one finger. Then He will say, 'I am the King.' Thereupon the Prophet (ﷺ) smiled so that his pre-molar teeth became visible, and that was the confirmation of the Rabbi. Then Allah's Messenger (ﷺ) recited: 'No just estimate have they made of Allah such as due to Him.' (39.67)
পরিচ্ছেদঃ ৬৫/৬৮/২. আল্লাহর বাণীঃ পায়ের গোছা পর্যন্ত উন্মুক্ত করার দিনের কথা স্মরণ কর। (সূরাহ আল-ক্বলাম ৬৮/৪২)
৪৯১৯. আবূ সা’ঈদ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি নবী সাল্লাল্লাহু ’আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে বলতে শুনেছি, আমাদের প্রতিপালক যখন তাঁর পায়ের গোড়ালির জ্যোতি বিকীর্ণ করবেন, তখন ঈমানদার নারী ও পুরুষ সবাই তাকে সাজ্দাহ করবে। কিন্তু যারা দুনিয়াতে লোক দেখানো ও প্রচারের জন্য সাজ্দাহ করত, তারা কেবল বাকী থাকবে। তারা সিজদা করতে ইচ্ছে করলে তাদের পিঠ একখন্ড কাঠের ন্যায় শক্ত হয়ে যাবে। [২২] (আধুনিক প্রকাশনীঃ ৪৫৫০, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ৪৫৫৪)
بَاب :{يَوْمَ يُكْشَفُ عَنْ سَاقٍ}.
. آدَمُ حَدَّثَنَا اللَّيْثُ عَنْ خَالِدِ بْنِ يَزِيْدَ عَنْ سَعِيْدِ بْنِ أَبِيْ هِلَالٍ عَنْ زَيْدِ بْنِ أَسْلَمَ عَنْ عَطَاءِ بْنِ يَسَارٍ عَنْ أَبِيْ سَعِيْدٍ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ قَالَ سَمِعْتُ النَّبِيَّ يَقُوْلُ يَكْشِفُ رَبُّنَا عَنْ سَاقِهِ فَيَسْجُدُ لَهُ كُلُّ مُؤْمِنٍ وَمُؤْمِنَةٍ فَيَبْقَى كُلُّ مَنْ كَانَ يَسْجُدُ فِي الدُّنْيَا رِيَاءً وَسُمْعَةً فَيَذْهَبُ لِيَسْجُدَ فَيَعُوْدُ ظَهْرُهُ طَبَقًا وَاحِدًا.
Narrated Abu Sa`id:
I heard the Prophet (ﷺ) saying, "Allah will bring forth the severest Hour, and then all the Believers, men and women, will prostrate themselves before Him, but there will remain those who used to prostrate in the world for showing off and for gaining good reputation. Such people will try to prostrate (on the Day of Judgment) but their back swill be as stiff as if it is one bone (a single vertebra).
পরিচ্ছেদঃ ৯৩/৫০. যে লোক বাই‘আত ভঙ্গ করে।
وَقَوْلِهِ تَعَال:َ (إِنَّ الَّذِينَ يُبَايِعُونَكَ إِنَّمَا يُبَايِعُونَ اللهَ يَدُ اللهِ فَوْقَ أَيْدِيهِمْ فَمَنْ نَكَثَ فَإِنَّمَا يَنْكُثُ عَلٰى نَفْسِهٖ وَمَنْ أَوْفَى بِمَا عَاهَدَ عَلَيْهِ اللهَ فَسَيُؤْتِيهِ أَجْرًا عَظِيمًا)
আল্লাহর বাণীঃ যারা তোমার কাছে বাই’আত (অর্থাৎ আনুগত্য করার শপথ) করে আসলে তারা আল্লাহর কাছে বাই’আত করে। তাদের হাতের উপর আছে আল্লাহর হাত। এক্ষণে যে এ ও’য়াদা ভঙ্গ করে, এ ও’য়াদা ভঙ্গের কুফল তার নিজেরই উপর পড়বে। আর যে ও’য়াদা পূর্ণ করবে- যা সে আল্লাহর সঙ্গে করেছে- তিনি অচিরেই তাকে মহা পুরস্কার দান করবেন। (সূরাহ আল-ফাত্হ ৪৮/১০)
৭২১৬. জাবির (রাঃ) হতে বর্ণিত যে, এক বেদুঈন নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর নিকট এসে বলল, ইসলামের উপর আমার বায়’আত নিন। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইসলামের উপর তার বায়’আত নিলেন। পর দিবস সে জ্বরে আক্রান্ত অবস্থায় এসে বলল, আমার বায়’আত ফিরিয়ে দিন। তিনি অস্বীকার করলেন। যখন সে চলে গেল, তখন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ মাদ্বীনাহ হাপরের মত, সে তার আবর্জনাকে দূর করে দেয় এবং ভালটুকু ধরে রাখে। [১৮৮৩] (আধুনিক প্রকাশনী- ৬৭১০, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৬৭২৩)
بَاب مَنْ نَكَثَ بَيْعَةً
أَبُو نُعَيْمٍ حَدَّثَنَا سُفْيَانُ عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ الْمُنْكَدِرِ سَمِعْتُ جَابِرًا قَالَ جَاءَ أَعْرَابِيٌّ إِلَى النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم فَقَالَ بَايِعْنِي عَلَى الإِسْلاَمِ فَبَايَعَهُ عَلَى الإِسْلاَمِ ثُمَّ جَاءَ الْغَدَ مَحْمُومًا فَقَالَ أَقِلْنِي فَأَبَى فَلَمَّا وَلَّى قَالَ الْمَدِينَةُ كَالْكِيرِ تَنْفِي خَبَثَهَا وَيَنْصَعُ طِيبُهَا.
Narrated Jabir:
A bedouin came to the Prophet (ﷺ) and said, "Please take my Pledge of allegiance for Islam." So the Prophet took from him the Pledge of allegiance for Islam. He came the next day with a fever and said to the Prophet (ﷺ) "Cancel my pledge." But the Prophet (ﷺ) refused and when the bedouin went away, the Prophet said, "Medina is like a pair of bellows (furnace): It expels its impurities and brightens and clears its good."
পরিচ্ছেদঃ ৯৭/৭. আল্লাহর বাণীঃ তিনি পরাক্রান্ত, প্রজ্ঞাময়- (সূরাহ আল-হাশর ৫৯/২৪)। পবিত্র ও মহান তোমার প্রতিপালক, ইজ্জতের অধিকারী প্রতিপালক- (সূরা আস্ সাফফাত ৩৭/১৮০)। ইজ্জত তা তো আল্লাহ্ এবং তাঁর রসূলেরই- (সূরাহ আল-মুনাফিকূন ৬৩/৮)
৭৩৮৪. আনাস (রাঃ) সূত্রে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হতে বর্ণিত। তিনি বলেছেনঃ লোকদেরকে জাহান্নামে নিক্ষেপ করা হবে। খালীফা ও মুতামির (রহ.) আনাস (রাঃ) সূত্রে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হতে বর্ণিত। তিনি বলেছেনঃ জাহান্নামীদের জাহান্নামে নিক্ষেপ করা হতে থাকবে। তখন জাহান্নাম বলতে থাকবে আরো বেশি আছে কি? আর শেষে আল্লাহ্ রাববুল আলামীন, তাঁর কদম জাহান্নামে রাখবেন। তখন এর এক অংশ অন্য অংশের সঙ্গে মিশে স্থির হতে থাকবে। আর বলবে আপনার ইয্যত ও করমের কসম! যথেষ্ট হয়েছে। জান্নাতের কিছু জায়গা শূন্য থাকবে। অবশেষে আল্লাহ্ সেই শূন্য জায়গার জন্য নতুন কিছু মাখলুক সৃষ্টি করবেন এবং জান্নাতের সেই খালি জায়গায় এদের বসতি করে দেবেন। [৪৮৪৮] (আধুনিক প্রকাশনী- ৬৮৬৮, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৬৮৮০)
بَاب قَوْلِ اللهِ تَعَالَى: {وَهُوَ الْعَزِيْزُ الْحَكِيمُ} {سُبْحَانَ رَبِّكَ رَبِّ الْعِزَّةِ عَمَّا يَصِفُونَ} { وَلِلَّهِ الْعِزَّةُ وَلِرَسُولِهِ}
ابْنُ أَبِي الأَسْوَدِ حَدَّثَنَا حَرَمِيٌّ حَدَّثَنَا شُعْبَةُ عَنْ قَتَادَةَ عَنْ أَنَسٍ عَنْ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ لاَ يَزَالُ يُلْقَى فِي النَّارِ ح و قَالَ لِي خَلِيفَةُ حَدَّثَنَا يَزِيدُ بْنُ زُرَيْعٍ حَدَّثَنَا سَعِيدٌ عَنْ قَتَادَةَ عَنْ أَنَسٍ وَعَنْ مُعْتَمِرٍ سَمِعْتُ أَبِي عَنْ قَتَادَةَ عَنْ أَنَسٍ عَنْ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ لاَ يَزَالُ يُلْقَى فِيهَا وَتَقُولُ هَلْ مِنْ مَزِيدٍ حَتَّى يَضَعَ فِيهَا رَبُّ الْعَالَمِينَ قَدَمَهُ فَيَنْزَوِي بَعْضُهَا إِلَى بَعْضٍ ثُمَّ تَقُولُ قَدْ قَدْ بِعِزَّتِكَ وَكَرَمِكَ وَلاَ تَزَالُ الْجَنَّةُ تَفْضُلُ حَتَّى يُنْشِئَ اللهُ لَهَا خَلْقًا فَيُسْكِنَهُمْ فَضْلَ الْجَنَّةِ
Narrated Anas:
The Prophet (ﷺ) said, "(The people will be thrown into Hell ( Fire) and it will keep on saying, 'Is there any more?' till the Lord of the worlds puts His Foot over it, whereupon its different sides will come close to each other, and it will say, 'Qad! Qad! (enough! enough!) By Your 'Izzat (Honor and Power) and YOUR KARAM (Generosity)!' Paradise will remain spacious enough to accommodate more people until Allah will create some more people and let them dwell in the superfluous space of Paradise. "
পরিচ্ছেদঃ ৯৭/১৯. আল্লাহর বাণীঃ যাকে আমি নিজ হাতে সৃষ্টি করেছি।* (সূরাহ সোয়াদ ৩৮/৭৫)
৭৪১১. আবূ হুরাইরাহ (রাঃ) হতে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ আল্লাহর হাত পূর্ণ, রাতদিন খরচ করলেও তাতে কমতি আসে না। তিনি আরো বলেছেনঃ তোমরা কি দেখেছ? আসমান যমীন সৃষ্টি করার পর থেকে তিনি যে কত খরচ করেছেন, তা সত্ত্বেও তাঁর হাতে যা আছে, তাতে এতটুকু কমেনি। এবং নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ তখন তাঁর আরশ পানির উপর ছিল। তাঁর অন্য হাতে আছে দাঁড়িপাল্লা, যা কখনও তিনি নিচে নামান আবার কখনও উপরে উঠান। [৪৬৮৪] (আধুনিক প্রকাশনী- ৬৮৯৫, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৬৯০৭)
بَاب قَوْلِ اللهِ تَعَالَى: {لِمَا خَلَقْتُ بِيَدَيَّ}
حَدَّثَنَا أَبُو الْيَمَانِ، أَخْبَرَنَا شُعَيْبٌ، حَدَّثَنَا أَبُو الزِّنَادِ، عَنِ الأَعْرَجِ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ " يَدُ اللَّهِ مَلأَى لاَ يَغِيضُهَا نَفَقَةٌ، سَحَّاءُ اللَّيْلَ وَالنَّهَارَ ـ وَقَالَ ـ أَرَأَيْتُمْ مَا أَنْفَقَ مُنْذُ خَلَقَ السَّمَوَاتِ وَالأَرْضَ، فَإِنَّهُ لَمْ يَغِضْ مَا فِي يَدِهِ ـ وَقَالَ ـ عَرْشُهُ عَلَى الْمَاءِ وَبِيَدِهِ الأُخْرَى الْمِيزَانُ يَخْفِضُ وَيَرْفَعُ ".
Narrated Abu Huraira:
Allah's Messenger (ﷺ) said, "Allah's Hand is full, and (its fullness) is not affected by the continuous spending, day and night." He also said, "Do you see what He has spent since He created the Heavens and the Earth? Yet all that has not decreased what is in His Hand." He also said, "His Throne is over the water and in His other Hand is the balance (of Justice) and He raises and lowers (whomever He will)."
পরিচ্ছেদঃ ৩০৯২. মহান আল্লাহর বাণীঃ মানুষ অধিকাংশ ব্যাপারেই বিতর্কপ্রিয় (১৮ঃ ৫৪)। মহান আল্লাহর বাণীঃ তোমরা কিতাবীদের সাথে বিতর্ক করবে না.......... (২৯ঃ ৪৬)
৬৮৪৬। আবুল ইয়ামান ও মুহাম্মাদ ইবনু সালাম (রহঃ) ... আলী ইবনু আবূ তালিব (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, এক রাতে রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাঁর এবং রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর কন্যা ফাতিমা (রাঃ) এর নিকট আসলেন। রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাদেরকে জিজ্ঞাসা করলেন, তোমরা সালাত (নামায/নামাজ) আদায় করেছ কি? আলী (রাঃ) বলেনঃ আমি বললাম, ইয়া রাসুলাল্লাহ! আমাদের জীবন তো আল্লাহর হাতে। তিনি আমাদেরকে যখন (সালাত এর জন্য ঘুম থেকে) জাগিয়ে দিতে চান, জাগিয়ে দেন। আলী (রাঃ) এর এ কথা বলার সাথে সাথেই রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম চলে গেলেন, আলীর কথার কোন প্রতিউত্তর তিনি আর দিলেন না। আলী (রাঃ) বলেন, আমি শুনতে পেলাম, তিনি চলে যাচ্ছে, আর ঊরুতে হাত মেরে মেরে বললেনঃ মানুষ অধিকাংশ ব্যাপারেই বিতর্ক প্রিয়।
আবূ আবদুল্লাহ (বুখারী) (রহঃ) বলেনঃ তোমার কাছে রাতে যে আগন্তুক আসে তাকে ’তারিক’ বা নৈশ অতিথি বলে। ’তারিক’ একটি নক্ষত্রকেও বলা হয়। আর ’ছাকিব’ অর্থ হল জ্যোতিষ্মান। এইজন্যই আগুন যে জ্বালায় তাকে লক্ষ্য করে সাধারণত বলা হয়ে থাকে, তুমি আগুন জ্বালিয়ে তোল।
بَابُ قَوْلِهِ تَعَالَى: {وَكَانَ الإِنْسَانُ أَكْثَرَ شَيْءٍ جَدَلاً} وَقَوْلِهِ تَعَالَى: {وَلاَ تُجَادِلُوا أَهْلَ الْكِتَابِ إِلاَّ بِالَّتِي هِيَ أَحْسَنُ}
حَدَّثَنَا أَبُو الْيَمَانِ، أَخْبَرَنَا شُعَيْبٌ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، ح حَدَّثَنِي مُحَمَّدُ بْنُ سَلاَمٍ، أَخْبَرَنَا عَتَّابُ بْنُ بَشِيرٍ، عَنْ إِسْحَاقَ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، أَخْبَرَنِي عَلِيُّ بْنُ حُسَيْنٍ، أَنَّ حُسَيْنَ بْنَ عَلِيٍّ ـ رضى الله عنهما ـ أَخْبَرَهُ أَنَّ عَلِيَّ بْنَ أَبِي طَالِبٍ قَالَ إِنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم طَرَقَهُ وَفَاطِمَةَ ـ عَلَيْهَا السَّلاَمُ ـ بِنْتَ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَقَالَ لَهُمْ " أَلاَ تُصَلُّونَ ". فَقَالَ عَلِيٌّ فَقُلْتُ يَا رَسُولَ اللَّهِ إِنَّمَا أَنْفُسُنَا بِيَدِ اللَّهِ، فَإِذَا شَاءَ أَنْ يَبْعَثَنَا بَعَثَنَا، فَانْصَرَفَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم حِينَ قَالَ لَهُ ذَلِكَ وَلَمْ يَرْجِعْ إِلَيْهِ شَيْئًا، ثُمَّ سَمِعَهُ وَهْوَ مُدْبِرٌ يَضْرِبُ فَخِذَهُ وَهْوَ يَقُولُ (وَكَانَ الإِنْسَانُ أَكْثَرَ شَىْءٍ جَدَلاً). قَالَ أَبُو عَبْدِ اللَّهِ يُقَالُ مَا أَتَاكَ لَيْلاً فَهْوَ طَارِقٌ. وَيُقَالُ الطَّارِقُ النَّجْمُ، وَالثَّاقِبُ الْمُضِيءُ، يُقَالُ أَثْقِبْ نَارَكَ لِلْمُوقِدِ.
Narrated `Ali bin Abi Talib:
That Allah's Messenger (ﷺ) came to him and Fatima the daughter of Allah's Messenger (ﷺ) at their house at night and said, "Won't you pray?" `Ali replied, "O Allah's Messenger (ﷺ)! Our souls are in the Hands of Allah and when he wants us to get up, He makes us get up." When `Ali said that to him, Allah's Messenger (ﷺ) left without saying anything to him. While the Prophet (ﷺ) was leaving, `Ali heard him striking his thigh (with his hand) and saying, "But man is quarrelsome more than anything else." (18.54)
পরিচ্ছেদঃ ৩১০৯. আল্লাহ্র বাণীঃ তিনি পরাক্রমশালী, প্রজ্ঞাময় (৫৯ঃ ২৪)। (তারা যা আরোপ করে তা থেকে) পবিত্র ও মহান তোমার প্রতিপালক, ইজ্জতের অধিকারী প্রতিপালক। ইজ্জত তো আল্লাহ্ এবং তাঁর রাসূলেরই। (৬৩ঃ ৮) কেউ যদি আল্লাহ্র ইজ্জত ও সিফাতের হলফ করে (তার হুকুম কি হবে)? আনাস (রাঃ) বলেন, নবী (সা) বলেছেনঃ জাহান্নাম বলবে, হে আল্লাহ্! তোমার ইজ্জতের কসম, যথেষ্ট হয়েছে। আবূ হুরায়রা (রাঃ) নবী (সা) থেকে বর্ণনা করেছেন, জাহান্নাম থেকে পরিত্রাণ লাভ করে সর্বশেষ জান্নাতে প্রবেশকারী ব্যক্তিটি অবস্থান করবে জাহান্নাম ও জান্নাতের মধ্যখানে। তখন সে (আর্তনাদ করে) বলবে, হে আমার প্রতিপালক! আমার চেহারাখানি জাহান্নাম থেকে ফিরে (একটু জান্নাতের দিকে করে) দিন। আপনার ইজ্জতের কসম। আপনার কাছে এ ছাড়া আমি আর কিছুই চাইব না। আবূ সাঈদ (রাঃ) বর্ণনা করেছেন, রাসূলুল্লাহ্ (সাঃ) বলেছেনঃ তখন আল্লাহ্ তা’আলা (ঐ ব্যক্তিকে) বলবেন, তোমাকে তা প্রদান করা হল এবং এর সাথে আরো দশগুণ অধিক দেওয়া হল। নবী আইউব (আঃ) দোয়া করেছেনঃ হে আল্লাহ্! আপনার ইজ্জতের কসম! আমি আপনার বরকতের সুষমা থেকে নিজেকে অমুখাপেক্ষী মনে করি না
৬৮৭৯। আবূ মামার (রহঃ) ... ইবনু আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিত যে, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এ কথা বলে দোয়া করতেনঃ আমি আপনার ইজ্জতের আশ্রয় চাচ্ছি, আপনি ব্যতীত কোন ইলাহ নেই। আর আপনার কোন মৃত্যু নেই। অথচ জ্বীন ও মানুষ সবই মরণশীল।
باب قَوْلِ اللَّهِ تَعَالَى {وَهْوَ الْعَزِيزُ الْحَكِيمُ} {سُبْحَانَ رَبِّكَ رَبِّ الْعِزَّةِ}، {وَلِلَّهِ الْعِزَّةُ وَلِرَسُولِهِ} وَمَنْ حَلَفَ بِعِزَّةِ اللَّهِ وَصِفَاتِهِ. وَقَالَ أَنَسٌ قَالَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «تَقُولُ جَهَنَّمُ قَطْ قَطْ وَعِزَّتِكَ». وَقَالَ أَبُو هُرَيْرَةَ عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «يَبْقَى رَجُلٌ بَيْنَ الْجَنَّةِ وَالنَّارِ آخِرُ أَهْلِ النَّارِ دُخُولاً الْجَنَّةَ، فَيَقُولُ رَبِّ اصْرِفْ وَجْهِي عَنِ النَّارِ، لاَ وَعِزَّتِكَ لاَ أَسْأَلُكَ غَيْرَهَا» قَالَ أَبُو سَعِيدٍ إِنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: «قَالَ اللَّهُ عَزَّ وَجَلَّ لَكَ ذَلِكَ وَعَشَرَةُ أَمْثَالِهِ». وَقَالَ أَيُّوبُ وَعِزَّتِكَ لاَ غِنَى بِي عَنْ بَرَكَتِكَ
حَدَّثَنَا أَبُو مَعْمَرٍ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الْوَارِثِ، حَدَّثَنَا حُسَيْنٌ الْمُعَلِّمُ، حَدَّثَنِي عَبْدُ اللَّهِ بْنُ بُرَيْدَةَ، عَنْ يَحْيَى بْنِ يَعْمَرَ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم كَانَ يَقُولُ " أَعُوذُ بِعِزَّتِكَ الَّذِي لاَ إِلَهَ إِلاَّ أَنْتَ، الَّذِي لاَ يَمُوتُ وَالْجِنُّ وَالإِنْسُ يَمُوتُونَ ".
Narrated Ibn `Abbas:
The Prophet (ﷺ) used to say, "I seek refuge (with YOU) by Your 'Izzat, None has the right to be worshipped but You Who does not die while the Jinns and the human beings die."
পরিচ্ছেদঃ ৩১০৯. আল্লাহ্র বাণীঃ তিনি পরাক্রমশালী, প্রজ্ঞাময় (৫৯ঃ ২৪)। (তারা যা আরোপ করে তা থেকে) পবিত্র ও মহান তোমার প্রতিপালক, ইজ্জতের অধিকারী প্রতিপালক। ইজ্জত তো আল্লাহ্ এবং তাঁর রাসূলেরই। (৬৩ঃ ৮) কেউ যদি আল্লাহ্র ইজ্জত ও সিফাতের হলফ করে (তার হুকুম কি হবে)? আনাস (রাঃ) বলেন, নবী (সা) বলেছেনঃ জাহান্নাম বলবে, হে আল্লাহ্! তোমার ইজ্জতের কসম, যথেষ্ট হয়েছে। আবূ হুরায়রা (রাঃ) নবী (সা) থেকে বর্ণনা করেছেন, জাহান্নাম থেকে পরিত্রাণ লাভ করে সর্বশেষ জান্নাতে প্রবেশকারী ব্যক্তিটি অবস্থান করবে জাহান্নাম ও জান্নাতের মধ্যখানে। তখন সে (আর্তনাদ করে) বলবে, হে আমার প্রতিপালক! আমার চেহারাখানি জাহান্নাম থেকে ফিরে (একটু জান্নাতের দিকে করে) দিন। আপনার ইজ্জতের কসম। আপনার কাছে এ ছাড়া আমি আর কিছুই চাইব না। আবূ সাঈদ (রাঃ) বর্ণনা করেছেন, রাসূলুল্লাহ্ (সাঃ) বলেছেনঃ তখন আল্লাহ্ তা’আলা (ঐ ব্যক্তিকে) বলবেন, তোমাকে তা প্রদান করা হল এবং এর সাথে আরো দশগুণ অধিক দেওয়া হল। নবী আইউব (আঃ) দোয়া করেছেনঃ হে আল্লাহ্! আপনার ইজ্জতের কসম! আমি আপনার বরকতের সুষমা থেকে নিজেকে অমুখাপেক্ষী মনে করি না
৬৮৮০। ইবনু আবুল আসওয়াদ (রহঃ) ... আনাস (রাঃ) সুত্রে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে বর্ণিত। তিনি বলেছেন, লোকদেরকে জাহান্নামে নিক্ষেপ করা হবে। খালীফা ও মুতামির (রহঃ) আনাস (রাঃ) সূত্রে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে বর্ণিত। তিনি বলেছেন, জাহান্নামীদের জাহান্নামে নিক্ষেপ করা হতে থাকবে। তখন জাহান্নাম বলতে থাকবে আরো অধিক আছে কি? আর শেষে আল্লাহ রাব্বুল আলামীন, তাঁর কদম (পা) জাহান্নামে রাখবেন। তখন এর এক অংশ আরেক অংশের সাথে মিশ্রিত হয়ে স্থির হতে থাকবে। আর বলবে আপনার ইজ্জত ও করমের কসম! যথেষ্ট হয়েছে। জান্নাতের কিছু জায়গা শূন্য থাকবে। অবশেষে আল্লাহ সেই শূন্য জায়গার জন্য নতুন করে কিছু মাখলুক সৃষ্টি করবেন এবং এদের জন্য জান্নাতের সেই শূন্যস্থানে বসতি বপন করে দিবেন।
باب قَوْلِ اللَّهِ تَعَالَى {وَهْوَ الْعَزِيزُ الْحَكِيمُ} {سُبْحَانَ رَبِّكَ رَبِّ الْعِزَّةِ}، {وَلِلَّهِ الْعِزَّةُ وَلِرَسُولِهِ} وَمَنْ حَلَفَ بِعِزَّةِ اللَّهِ وَصِفَاتِهِ. وَقَالَ أَنَسٌ قَالَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «تَقُولُ جَهَنَّمُ قَطْ قَطْ وَعِزَّتِكَ». وَقَالَ أَبُو هُرَيْرَةَ عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «يَبْقَى رَجُلٌ بَيْنَ الْجَنَّةِ وَالنَّارِ آخِرُ أَهْلِ النَّارِ دُخُولاً الْجَنَّةَ، فَيَقُولُ رَبِّ اصْرِفْ وَجْهِي عَنِ النَّارِ، لاَ وَعِزَّتِكَ لاَ أَسْأَلُكَ غَيْرَهَا» قَالَ أَبُو سَعِيدٍ إِنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: «قَالَ اللَّهُ عَزَّ وَجَلَّ لَكَ ذَلِكَ وَعَشَرَةُ أَمْثَالِهِ». وَقَالَ أَيُّوبُ وَعِزَّتِكَ لاَ غِنَى بِي عَنْ بَرَكَتِكَ
حَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي الأَسْوَدِ، حَدَّثَنَا حَرَمِيٌّ، حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، عَنْ قَتَادَةَ، عَنْ أَنَسٍ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ " يُلْقَى فِي النَّارِ ". وَقَالَ لِي خَلِيفَةُ حَدَّثَنَا يَزِيدُ بْنُ زُرَيْعٍ حَدَّثَنَا سَعِيدٌ عَنْ قَتَادَةَ عَنْ أَنَسٍ. وَعَنْ مُعْتَمِرٍ سَمِعْتُ أَبِي عَنْ قَتَادَةَ عَنْ أَنَسٍ عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ " لاَ يَزَالُ يُلْقَى فِيهَا وَتَقُولُ هَلْ مِنْ مَزِيدٍ. حَتَّى يَضَعَ فِيهَا رَبُّ الْعَالَمِينَ قَدَمَهُ فَيَنْزَوِي بَعْضُهَا إِلَى بَعْضٍ، ثُمَّ تَقُولُ قَدْ قَدْ بِعِزَّتِكَ وَكَرَمِكَ. وَلاَ تَزَالُ الْجَنَّةُ تَفْضُلُ حَتَّى يُنْشِئَ اللَّهُ لَهَا خَلْقًا فَيُسْكِنَهُمْ فَضْلَ الْجَنَّةِ ".
Narrated Anas:
The Prophet (ﷺ) said, "(The people will be thrown into Hell ( Fire) and it will keep on saying, 'Is there any more?' till the Lord of the worlds puts His Foot over it, whereupon its different sides will come close to each other, and it will say, 'Qad! Qad! (enough! enough!) By Your 'Izzat (Honor and Power) and YOUR KARAM (Generosity)!' Paradise will remain spacious enough to accommodate more people until Allah will create some more people and let them dwell in the superfluous space of Paradise. "
পরিচ্ছেদঃ ৩১২১. মহান আল্লাহ্র বাণীঃ যাকে আমি নিজ হাতে সৃষ্টি করেছি
৬৯০৭। আবুল ইয়ামান (রহঃ) ... আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত। রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ আল্লাহর হাত পরিপূর্ণ, রাত দিন খরচ করলেও তাতে ঘাটতি আসে না। তিনি আরো বলেছেনঃ তোমরা লক্ষ্য করেছ কি? আসমান যমীন পয়দা করার পর থেকে তিনি যে কত খরচ করেছেন, এতদসত্ত্বেও তার হাতে যা আছে, তাতে কিঞ্চিতও কমেনি। এবং নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ তখন তার আরশ পানির উপর অবস্থান করছিল। তার অপর হাতটিতে রয়েছে পাল্লা, যা কখনও তিনি নিচে নামান আবার কখনও উপরে উঠান।
باب قَوْلِ اللَّهِ تَعَالَى {لِمَا خَلَقْتُ بِيَدَىَّ}
حَدَّثَنَا أَبُو الْيَمَانِ، أَخْبَرَنَا شُعَيْبٌ، حَدَّثَنَا أَبُو الزِّنَادِ، عَنِ الأَعْرَجِ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ " يَدُ اللَّهِ مَلأَى لاَ يَغِيضُهَا نَفَقَةٌ، سَحَّاءُ اللَّيْلَ وَالنَّهَارَ ـ وَقَالَ ـ أَرَأَيْتُمْ مَا أَنْفَقَ مُنْذُ خَلَقَ السَّمَوَاتِ وَالأَرْضَ، فَإِنَّهُ لَمْ يَغِضْ مَا فِي يَدِهِ ـ وَقَالَ ـ عَرْشُهُ عَلَى الْمَاءِ وَبِيَدِهِ الأُخْرَى الْمِيزَانُ يَخْفِضُ وَيَرْفَعُ ".
Narrated Abu Huraira:
Allah's Messenger (ﷺ) said, "Allah's Hand is full, and (its fullness) is not affected by the continuous spending, day and night." He also said, "Do you see what He has spent since He created the Heavens and the Earth? Yet all that has not decreased what is in His Hand." He also said, "His Throne is over the water and in His other Hand is the balance (of Justice) and He raises and lowers (whomever He will)."
পরিচ্ছেদঃ ৩১২৭. আল্লাহ্র বাণীঃ আল্লাহ্র অনুগ্রহ সৎকর্মপরায়নদের নিকটবর্তী (৭ঃ ৫৬)
৬৯৪১। উবায়দুল্লাহ ইবনু সা’দ ইবনু ইবরাহিম (রহঃ) ... আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ জান্নাত ও জাহান্নাম উভয়টি স্বীয় প্রতিপালকের কাছে অভিযোগ করল। জান্নাত বলল, হে আমার প্রতিপালক! আমার ব্যাপারটি কি হলো যে তাতে শুধু নিঃস্ব ও নিম্ন শ্রেনীর লোকেরাই প্রবেশ করবে। এদিকে জাহান্নামও অভিযোগ করল অর্থাৎ আপনি শুধুমাত্র অহংকারীদেরকেই আমাতে প্রাধান্য দিলেন।
আল্লাহ জান্নাতকে লক্ষ্য করে বললেনঃ তুমি আমার রহমত। জাহান্নামকে বললেনঃ তুমি আমার আযাব। আমি যাকে চাইব, তোমাকে দিয়ে শাস্তি পৌছাব। তোমাদের উভয়কেই পূর্ণ করা হবে। তবে আল্লাহ তা’আলা তার সৃষ্টির কারো উপর যুলম করবেন না। তিনি জাহান্নামের জন্য নিজ ইচ্ছানুযায়ী নতুন সৃষ্টি পয়দা করবেন। তাদেরকে যখন জাহান্নামে নিক্ষেপ করা হবে, তখন জাহান্নাম বলবে, আরো অতিরিক্ত আছে কি? জাহান্নামে আরো নিক্ষেপ করা হবে, তখনো বলবে, আরো অতিরিক্ত আছে কি? এভাবে তিনবার বলবে। পরিশেষে আল্লাহ তাআলা তাঁর কদম (পা) জাহান্নামে প্রবেশ করিয়ে দিলে তা পরিপূর্ন হয়ে যাবে। তখন জাহান্নামের একটি অংশ আরেকটি অংশকে এই উত্তর করবে যথেষ্ট হয়েছে যথেষ্ট হয়েছে ষথেষ্ট হয়েছে।
باب مَا جَاءَ فِي قَوْلِ اللَّهِ تَعَالَى {إِنَّ رَحْمَةَ اللَّهِ قَرِيبٌ مِنَ الْمُحْسِنِينَ}
حَدَّثَنَا عُبَيْدُ اللَّهِ بْنُ سَعْدِ بْنِ إِبْرَاهِيمَ، حَدَّثَنَا يَعْقُوبُ، حَدَّثَنَا أَبِي، عَنْ صَالِحِ بْنِ كَيْسَانَ، عَنِ الأَعْرَجِ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ " اخْتَصَمَتِ الْجَنَّةُ وَالنَّارُ إِلَى رَبِّهِمَا فَقَالَتِ الْجَنَّةُ يَا رَبِّ مَا لَهَا لاَ يَدْخُلُهَا إِلاَّ ضُعَفَاءُ النَّاسِ وَسَقَطُهُمْ. وَقَالَتِ النَّارُ ـ يَعْنِي ـ أُوثِرْتُ بِالْمُتَكَبِّرِينَ. فَقَالَ اللَّهُ تَعَالَى لِلْجَنَّةِ أَنْتِ رَحْمَتِي. وَقَالَ لِلنَّارِ أَنْتِ عَذَابِي أُصِيبُ بِكِ مَنْ أَشَاءُ، وَلِكُلِّ وَاحِدَةٍ مِنْكُمَا مِلْؤُهَا ـ قَالَ ـ فَأَمَّا الْجَنَّةُ فَإِنَّ اللَّهَ لاَ يَظْلِمُ مِنْ خَلْقِهِ أَحَدًا، وَإِنَّهُ يُنْشِئُ لِلنَّارِ مَنْ يَشَاءُ فَيُلْقَوْنَ فِيهَا فَتَقُولُ هَلْ مِنْ مَزِيدٍ. ثَلاَثًا، حَتَّى يَضَعَ فِيهَا قَدَمَهُ فَتَمْتَلِئُ وَيُرَدُّ بَعْضُهَا إِلَى بَعْضٍ وَتَقُولُ قَطْ قَطْ قَطْ ".
Narrated Abu Huraira:
The Prophet (ﷺ) said, "Paradise and Hell (Fire) quarrelled in the presence of their Lord. Paradise said, 'O Lord! What is wrong with me that only the poor and humble people enter me ?' Hell (Fire) said, I have been favored with the arrogant people.' So Allah said to Paradise, 'You are My Mercy,' and said to Hell, 'You are My Punishment which I inflict upon whom I wish, and I shall fill both of you.'" The Prophet added, "As for Paradise, (it will be filled with good people) because Allah does not wrong any of His created things, and He creates for Hell (Fire) whomever He will, and they will be thrown into it, and it will say thrice, 'Is there any more, till Allah (will put) His Foot over it and it will become full and its sides will come close to each other and it will say, 'Qat! Qat! Qat! (Enough! Enough! Enough!) .
পরিচ্ছেদঃ ৩১৩৩. আল্লাহ্র ইচ্ছা ও চাওয়া। মহান আল্লাহ্র বাণীঃ তোমরা ইচ্ছা করবে না যদি না আল্লাহ্ ইচ্ছা করেন (৭৬ঃ ৩০)। আল্লাহ্ তা’আলার বাণীঃ তুমি যাকে ইচ্ছা ক্ষমতা প্রদান কর (৩ঃ ২৬)। মহান আল্লাহ্র বাণীঃ কখনই তুমি কোন বিষয়ে বলবে না, ‘আমি তা আগামী কাল করব, আল্লাহ্ ইচ্ছা করলে,’ এ কথা না বলে (১৮ঃ ২৩-২৪)। মহান আল্লাহ্র বাণীঃ তুমি যাকে ভালবাস, ইচ্ছা করলেই তাকে সৎপথে আনতে পারবে না। তবে আল্লাহ্ যাকে চান তাকে সৎপথে আনয়ন করেন। (২৮ঃ ৫৬)। সাঈদ ইব্নুল মুসাইয়্যাব (রহঃ) তাঁর পিতা মুসাইয়্যাব থেকে বলেন, উপরোক্ত আয়াত আবূ তালিব সম্পর্কে নাযিল হয়েছে। মহান আল্লাহ্র বাণীঃ আল্লাহ্ তোমাদের জন্য যা সহজ তা চান এবং যা তোমাদের জন্য কষ্টকর তা চান না (২ঃ ১৮৫)
৬৯৫৭। আবুল ইয়ামান ও ইসমাঈল (রহঃ) ... আলী ইবনু আবূ তালিব (রাঃ) থেকে বর্ণিত। একদা রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তার ও রাসূল-তনয়া ফাতিমার কাছে রাতে এসেছেন। তিনি তাদেরকে বললেনঃ তোমরা সালাত (নামায/নামাজ) আদায় করছ না? আলী বলেন, তখন আমি বললাম, ইয়া রাসুলাল্লাহ! আমাদের জীবন অবশ্যই আল্লাহর হাতে। তিনি যখন আমাদেরকে ঘুম থেকে জাগিয়ে ওঠাতে চান জাগিয়ে ওঠান। আমি এ কথা বলার পর, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ফিরে চললেন। আর আমার কথার কোন উত্তর করলেন না। যাওয়ার সময় তাঁকে উরুর ওপর হাত মেরে বলতে শুনেছি, মানুয অধিকাংশ বিষয়েই বড্ড ঝগড়াটে।
باب فِي الْمَشِيئَةِ وَالإِرَادَةِ {وَمَا تَشَاءُونَ إِلاَّ أَنْ يَشَاءَ اللَّهُ} وَقَوْلِ اللَّهِ تَعَالَى: {تُؤْتِي الْمُلْكَ مَنْ تَشَاءُ}. {وَلاَ تَقُولَنَّ لِشَيْءٍ إِنِّي فَاعِلٌ ذَلِكَ غَدًا إِلاَّ أَنْ يَشَاءَ اللَّهُ}. {إِنَّكَ لاَ تَهْدِي مَنْ أَحْبَبْتَ وَلَكِنَّ اللَّهَ يَهْدِي مَنْ يَشَاءُ}. قَالَ سَعِيدُ بْنُ الْمُسَيَّبِ عَنْ أَبِيهِ نَزَلَتْ فِي أَبِي طَالِبٍ. {يُرِيدُ اللَّهُ بِكُمُ الْيُسْرَ وَلاَ يُرِيدُ بِكُمُ الْعُسْرَ}
حَدَّثَنَا أَبُو الْيَمَانِ، أَخْبَرَنَا شُعَيْبٌ، عَنِ الزُّهْرِيِّ،. وَحَدَّثَنَا إِسْمَاعِيلُ، حَدَّثَنِي أَخِي عَبْدُ الْحَمِيدِ، عَنْ سُلَيْمَانَ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ أَبِي عَتِيقٍ، عَنِ ابْنِ شِهَابٍ، عَنْ عَلِيِّ بْنِ حُسَيْنٍ، أَنَّ حُسَيْنَ بْنَ عَلِيٍّ ـ عَلَيْهِمَا السَّلاَمُ ـ أَخْبَرَهُ أَنَّ عَلِيَّ بْنَ أَبِي طَالِبٍ أَخْبَرَهُ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم طَرَقَهُ وَفَاطِمَةَ بِنْتَ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم لَيْلَةً فَقَالَ لَهُمْ " أَلاَ تُصَلُّونَ ". قَالَ عَلِيٌّ فَقُلْتُ يَا رَسُولَ اللَّهِ إِنَّمَا أَنْفُسُنَا بِيَدِ اللَّهِ، فَإِذَا شَاءَ أَنْ يَبْعَثَنَا بَعَثَنَا، فَانْصَرَفَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم حِينَ قُلْتُ ذَلِكَ، وَلَمْ يَرْجِعْ إِلَىَّ شَيْئًا، ثُمَّ سَمِعْتُهُ وَهْوَ مُدْبِرٌ يَضْرِبُ فَخِذَهُ وَيَقُولُ " (وَكَانَ الإِنْسَانُ أَكْثَرَ شَىْءٍ جَدَلاً)"
Narrated `Ali bin Abi Talib:
That one night Allah's Messenger (ﷺ) visited him and Fatima, the daughter of Allah's Messenger (ﷺ) and said to them, "Won 't you offer (night) prayer?.. `Ali added: I said, "O Allah's Messenger (ﷺ)! Our souls are in the Hand of Allah and when He Wishes to bring us to life, He does." Then Allah's Messenger (ﷺ) went away when I said so and he did not give any reply. Then I heard him on leaving while he was striking his thighs, saying, 'But man is, more quarrelsome than anything.' (18.54)
পরিচ্ছেদঃ ৩. তালবিয়াহ্ এর বর্ণনা এবং এর সময়
২৭০১-(১৯/১১৮৪) ইয়াহইয়া ইবনু ইয়াহইয়া আত তামীমী (রহঃ) ..... আবদুল্লাহ ইবনু উমার (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর তালবিয়াহ্ নিম্নরূপ ছিলঃ
لَبَّيْكَ اللَّهُمَّ لَبَّيْكَ لَبَّيْكَ لاَ شَرِيكَ لَكَ لَبَّيْكَ إِنَّ الْحَمْدَ وَالنِّعْمَةَ لَكَ وَالْمُلْكَ لاَ شَرِيكَ لَكَ
"হে আল্লাহ! আমি তোমার নিকট হাযির হয়েছি, তোমার কাছে হাযির হয়েছি, তোমার দরবারে উপস্থিত আছি। তোমার কোন শারীক নেই, আমি তোমার সমীপে উপস্থিত হয়েছি। যাবতীয় প্রশংসা ও নি’আমাত তোমারই এবং সমগ্র রাজত্ব ও সার্বভৌম কর্তৃত্ব তোমার। তোমার কোন শারীক নেই।"
নাফি’ (রহঃ) বলেন, ’আবদুল্লাহ ইবনু উমর (রাযিঃ) নিজের তরফ থেকে তালবিয়ার সাথে আরও যোগ করতেনঃ "তোমার দরবারে উপস্থিত হয়েছি, তোমার কাছে হাযির হয়েছি, তোমার খিদমাতের সৌভাগ্য লাভ করেছি। সমস্ত কল্যাণ তোমার হাতে, তোমার কাছে হাযির হয়েছি, সমস্ত আকর্ষণ তোমার প্রতি এবং সকল কাজ তোমারই জন্য"* (ইসলামিক ফাউন্ডেশন ২৬৭৮, ইসলামীক সেন্টার ২৬৭৭)
যা হোক মহান আল্লাহর হাত-পা, পায়ের নলা ইত্যাদি সম্পর্কে মুহাদ্দিসীনে কিরাম, সাহাবায়ে ইযাম ও তাবিঈ এবং সালফে সালিহীনদের অভিমত এই যে, এসব বিষয়ের উপর ঈমান আনয়ন করা এবং বাহ্যিক অর্থে ব্যবহার করা জরুরী। আর এ সকল বিষয়কে কোন বিষয়ের সাথে সাদৃশ্য দেয়া বা অন্য কোন তাবীল বা অপব্যাখ্যা থেকে বেঁচে থাকা উচিত।
باب التَّلْبِيَةِ وَصِفَتِهَا وَوَقْتِهَا
حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ يَحْيَى التَّمِيمِيُّ، قَالَ قَرَأْتُ عَلَى مَالِكٍ عَنْ نَافِعٍ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ، بْنِ عُمَرَ - رضى الله عنهما - أَنَّ تَلْبِيَةَ، رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " لَبَّيْكَ اللَّهُمَّ لَبَّيْكَ لَبَّيْكَ لاَ شَرِيكَ لَكَ لَبَّيْكَ إِنَّ الْحَمْدَ وَالنِّعْمَةَ لَكَ وَالْمُلْكَ لاَ شَرِيكَ لَكَ " . قَالَ وَكَانَ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ عُمَرَ - رضى الله عنهما - يَزِيدُ فِيهَا لَبَّيْكَ لَبَّيْكَ وَسَعْدَيْكَ وَالْخَيْرُ بِيَدَيْكَ لَبَّيْكَ وَالرَّغْبَاءُ إِلَيْكَ وَالْعَمَلُ .
'Abdullah b. 'Umar (Allah be pleased with them) reported that the Talbiya of the Messenger of Allah (ﷺ) was this:
Here I am at Thy service. O Allah, here I am at Thy service, here I am at Thy service. There is no associate with Thee; here I am at Thy service. Verily all praise and grace is due to Thee, and the sovereignty (too). There is no associate with Thee. He (the narrator) further said that 'Abdullah b. 'Umar (Allah be pleased with them) made this addition to it: Here I am at Thy service; here I am at Thy service; ready to obey Thee, and good is in Thy Hand; here I am at Thy service; unto Thee is the petition, and deed (is also for Thee).
পরিচ্ছেদঃ ৩. আল্লাহ তা’আলা যেভাবে চান হৃদয়সমূহ পরিবর্তন করেন
৬৬৪৩-(১৭/২৬৫৪) যুহায়র ইবনু হারব ও ইবনু নুমায়র (রহঃ) ..... আবদুল্লাহ ইবনু আমর ইবনুল আস (রাযিঃ) হতে বর্ণিত। তিনি রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কে বলতে শুনেছেন যে, তিনি বলেছেন, আদম সন্তানের কলবসমূহ পরম দয়াময় আল্লাহ তা’আলার দু’আঙ্গুলের মধ্যে এমনভাবে আছে যেন তা একটি কলব। তিনি যেভাবে চান সেভাবেই তা উলট পালট করেন। এরপর রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, “কলব সমূহের পরিচালক হে আল্লাহ! আপনি আমাদের কলব সমূহকে তোমার বশ্যতার উপর স্থির রাখুন।” (ইসলামিক ফাউন্ডেশন ৬৫০৯, ইসলামিক সেন্টার ৬৫৬০)
* এই হাদীস হতে শিক্ষণীয় বিষয়:
১। এই হাদীসটির দাবি অনুযায়ী এই বিষয়টি প্রমাণিত হয় যে, আল্লাহর প্রকৃত ধর্ম ইসলামে সঠিক পন্থায় অটল থাকার জন্য উপযুক্ত উপায় এবং উপকরণ গ্রহণ করার জন্য প্রয়াস করা অপরিহার্য বা জরুরি। কেননা প্রয়াস ছাড়া সাফল্য অসম্ভব। আর কর্ম হিসেবে কর্মের ফলাফল প্রকাশ পায়, এবং যে কোনো জিনিস বা বস্তু এবং কর্ম তার উপকরণের সাথে সংযুক্ত। আর মহান আল্লাহর নীতি স্থায়ী, অপরিবর্তনীয় সুতরাং তার কোনো পরিবর্তন নেই।
২। কোন ব্যক্তি যখন তার প্রতিপালক, তার সৃষ্টিকর্তা এবং তার রুজিদাতা মহান আল্লাহ সম্বন্ধে প্রকৃত ইসলামের শিক্ষা মোতাবেক সঠিক সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে সক্ষম হবে, তখন মহান আল্লাহ তার অন্তরে বা হৃদয়ে প্রদান করবেন নিরাপত্তা, শান্তি, আনন্দ এবং আরাম।
এবং কোনো ব্যক্তি যখন তার প্রতিপালক, তার সৃষ্টিকর্তা এবং তার রুজিদাতা মহান আল্লাহ সম্বন্ধে প্রকৃত ইসলামের শিক্ষা মোতাবেক সঠিক সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে সক্ষম হবে না, তখন মহান আল্লাহ তার অন্তরে বা হৃদয়ে প্রদান করবেন ভয়, উদ্বেগ এবং অশান্তি। কেননা সমস্ত লোকের হৃদয়গুলি রয়েছে মহান আল্লাহর হাতে, কোনো ব্যক্তির হাতে নয়।
৩। মহান আল্লাহর আঙ্গুল রয়েছে। এই বিষয়টির প্রতি ঈমান স্থাপন করা অপরিহার্য। তবে মহান আল্লাহর আঙ্গুলগুলির স্বরূপ এবং পদ্ধতির বিবরণ দেওয়া যাবে না। অনুরূপভাবে মহান আল্লাহর আঙ্গুলগুলির তুলনা করা যাবে না এবং সেগুলিকে ক্রিয়াহীন বা নিষ্ক্রিয় কিংবা অস্বীকার করাও চলবে না ।
باب تَصْرِيفِ اللَّهِ تَعَالَى الْقُلُوبَ كَيْفَ شَاءَ
حَدَّثَنِي زُهَيْرُ بْنُ حَرْبٍ، وَابْنُ، نُمَيْرٍ كِلاَهُمَا عَنِ الْمُقْرِئِ، قَالَ زُهَيْرٌ حَدَّثَنَا عَبْدُ، اللَّهِ بْنُ يَزِيدَ الْمُقْرِئُ قَالَ حَدَّثَنَا حَيْوَةُ، أَخْبَرَنِي أَبُو هَانِئٍ، أَنَّهُ سَمِعَ أَبَا عَبْدِ الرَّحْمَنِ الْحُبُلِيَّ، أَنَّهُ سَمِعَ عَبْدَ اللَّهِ بْنَ عَمْرِو بْنِ الْعَاصِ، يَقُولُ أَنَّهُ سَمِعَ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ " إِنَّ قُلُوبَ بَنِي آدَمَ كُلَّهَا بَيْنَ إِصْبَعَيْنِ مِنْ أَصَابِعِ الرَّحْمَنِ كَقَلْبٍ وَاحِدٍ يُصَرِّفُهُ حَيْثُ يَشَاءُ " . ثُمَّ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " اللَّهُمَّ مُصَرِّفَ الْقُلُوبِ صَرِّفْ قُلُوبَنَا عَلَى طَاعَتِكَ " .
Abdullah b. Amr b. al-'As reported that he heard Allah's Messenger (ﷺ) as saying:
Verily, the hearts of all the sons of Adam are between the two fingers out of the fingers of the Compassionate Lord as one heart. He turns that to any (direction) He likes. Then Allahs Messenger (ﷺ) said: 0 Allah, the Turner of the hearts, turn our hearts to Thine obedience.
পরিচ্ছেদঃ ১৪. হালাল উপার্জন থেকে সদকা গৃহীত হওয়া ও তার পরিচর্যা
২২১৪। কুতায়বা ইবনু সাঈদ (রহঃ) ... আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত। রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, কোন ব্যাক্তি হালাল সম্পদ হতে সাদাকা করলে, বস্তুত আল্লাহ হালাল ছাড়া গ্রহণ করেন না। রহমান তা ডান হস্তে গ্রহণ করবেন। যদি তা একটি খেজুরও হয়, তবে তা রহমান আল্লাহর হাতে লালিত হবে। ফলে তা পাহাড়ের চাইতেও বড় হবে। যেভাবে তোমাদের কেউ নিজের ঘোড়ার বাচ্চা ও উটের শাবককে পালন করে।
باب قَبُولِ الصَّدَقَةِ مِنَ الْكَسْبِ الطَّيِّبِ وَتَرْبِيَتِهَا
وَحَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ بْنُ سَعِيدٍ، حَدَّثَنَا لَيْثٌ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ أَبِي سَعِيدٍ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ يَسَارٍ، أَنَّهُ سَمِعَ أَبَا هُرَيْرَةَ، يَقُولُ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " مَا تَصَدَّقَ أَحَدٌ بِصَدَقَةٍ مِنْ طَيِّبٍ - وَلاَ يَقْبَلُ اللَّهُ إِلاَّ الطَّيِّبَ - إِلاَّ أَخَذَهَا الرَّحْمَنُ بِيَمِينِهِ وَإِنْ كَانَتْ تَمْرَةً فَتَرْبُو فِي كَفِّ الرَّحْمَنِ حَتَّى تَكُونَ أَعْظَمَ مِنَ الْجَبَلِ كَمَا يُرَبِّي أَحَدُكُمْ فَلُوَّهُ أَوْ فَصِيلَهُ " .
Abu Huraira reported Allah's Messenger (ﷺ) as saying:
If anyone gives as Sadaqa the equivalent of a date from that (earning) earned honestly, for Allah accepts that which is lawful, the Lord would accept it with His Right Hand, and even if it is a date, it would foster in the Hand of the lord, as one of you fosters his colt, till it becomes bigger than a mountain.
পরিচ্ছেদঃ ১. কিয়ামত, জান্নাত জাহান্নামের বিবরণ
৬৭৮৯। আহমদ ইবনু আবদুল্লাহ ইবনু ইউনুস (রহঃ) ... আবদুল্লাহ ইবনু মাসউদ (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, একদা এক ইয়াহুদী আলিম নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর নিকট এসে বললো, হে মুহাম্মাদ! অথবা (বললো) হে আবূল কাসেম কিয়ামতের দিন আল্লাহ তাআলা আকাশকে এক আঙ্গুলে, যমীনকে এক আঙ্গুলে, পর্বত ও বৃক্ষরাজি এক আঙ্গুলে; পানি ও মাটি এক আঙ্গুলে এবং সমস্ত সৃষ্টিকে এক আঙ্গূলে তুলে ধরবেন। তারপর এগুলো দুলিয়ে বলবেন, আমিই বাদশাহ, আমিই অধিপতি।” পাদ্রীর কথা শুনে রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বিনয়ের সাথে তার সত্যায়ন স্বরূপ হাসলেন। এরপর তিনি পাঠ করলেনঃ “তারা আল্লাহর (বিশালত্ব ও বড়ত্বের) যথাযথরূপে অনুধাবন করেনি। কিয়ামতের দিন সমস্ত পৃথিবী থাকবে তার হাতের মুষ্টিতে এবং আকাশমণ্ডলী থাকবে তার ডান হাতের আয়ত্তে। পবিত্র ও মহান তিনি, তারা যাকে শরীক করে তিনি তার ঊর্ধ্বে।”
باب صفة القيامة والجنة والنار
حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ يُونُسَ، حَدَّثَنَا فُضَيْلٌ، - يَعْنِي ابْنَ عِيَاضٍ - عَنْ مَنْصُورٍ، عَنْ إِبْرَاهِيمَ، عَنْ عَبِيدَةَ السَّلْمَانِيِّ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ مَسْعُودٍ، قَالَ جَاءَ حَبْرٌ إِلَى النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم فَقَالَ يَا مُحَمَّدُ أَوْ يَا أَبَا الْقَاسِمِ إِنَّ اللَّهَ تَعَالَى يُمْسِكُ السَّمَوَاتِ يَوْمَ الْقِيَامَةِ عَلَى إِصْبَعٍ وَالأَرَضِينَ عَلَى إِصْبَعٍ وَالْجِبَالَ وَالشَّجَرَ عَلَى إِصْبَعٍ وَالْمَاءَ وَالثَّرَى عَلَى إِصْبَعٍ وَسَائِرَ الْخَلْقِ عَلَى إِصْبَعٍ ثُمَّ يَهُزُّهُنَّ فَيَقُولُ أَنَا الْمَلِكُ أَنَا الْمَلِكُ . فَضَحِكَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم تَعَجُّبًا مِمَّا قَالَ الْحَبْرُ تَصْدِيقًا لَهُ ثُمَّ قَرَأَ ( وَمَا قَدَرُوا اللَّهَ حَقَّ قَدْرِهِ وَالأَرْضُ جَمِيعًا قَبْضَتُهُ يَوْمَ الْقِيَامَةِ وَالسَّمَوَاتُ مَطْوِيَّاتٌ بِيَمِينِهِ سُبْحَانَهُ وَتَعَالَى عَمَّا يُشْرِكُونَ)
Abdullah b. Mas'ud reported that a Jewish scholar came to Allah's Apostle (may peace he upon him) and said:
Muhammad, or Abu al-Qasim, verily, Allah, the Exalted and Glorious would carry the Heavens on the Day of Judgment upon one finger and earths upon one finger and the mountains and trees upon one finger and the ocean and moist earth upon one finger, and in fact the whole of the creation upon one finger, and then He would stir them and say: I am your Lord, I am your Lord. Thereupon Allah's Messenger (ﷺ) smiled testifying what that scholar had said. He then recited this verse:" And they honour not Allah with the honour due to Him; and the whole earth will be in His grip on the Day of Resurrection and the heaven rolled up in His right hand. Glory be to Him I and highly Exalted is He above what they associate (with Him)" (Az-Zumar:67).
পরিচ্ছেদঃ ৭. আল্লাহ তা'আলার দুই আঙ্গুলের মধ্যে সমস্ত অন্তর অবস্থিত
২১৪০। আনাস (রাঃ) হতে বর্ণিত আছে, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এই দু’আ অধিক পাঠ করতেনঃ হে অন্তরসমূহের পরিবর্তনকারী! আমার অন্তরকে তোমার দ্বীনের উপর প্রতিষ্ঠিত (দৃঢ়) রাখো। আমি বললাম, হে আল্লাহর রাসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম)। আমরা ঈমান এনেছি আপনার উপর এবং আপনি যা নিয়ে এসেছেন তার উপর। আপনি আমাদের ব্যাপারে কি কোনরকম আশংকা করেন? তিনি বললেনঃ হ্যাঁ, কেননা, আল্লাহ তা’আলার আঙ্গুলসমূহের মধ্যকার দুটি আঙ্গুলের মাঝে সমস্ত অন্তরই অবস্থিত। তিনি যেভাবে ইচ্ছা তা পরিবর্তন করেন।
সহীহ, ইবনু মা-জাহ (৩৮৩৪)।
আবূ ঈসা বলেন, নাওয়াস ইবনু সাম্আন, উম্মু সালামা, আব্দুল্লাহ ইবনু আমর ও আইশা (রাঃ) হতেও এ অনুচ্ছেদে হাদীস বর্ণিত আছে। এ হাদীসটি হাসান। আমাশ-আবৃ সুফিয়ান হতে, তিনি আনাস (রাঃ)-এর সূত্রে একাধিক বর্ণনাকারী একইরকম হাদীস বর্ণনা করেছেন। কেউ কেউ আমাশ-আবৃ সুফিয়ান হতে, তিনি জাবির (রাঃ) হতে, তিনি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হতে অনুরূপ হাদীস বর্ণনা করেছেন। আনাস (রাঃ)-এর সূত্রে আবূ সুফিয়ানের বর্ণিত হাদীসটি অনেক বেশি সহীহ।
حَدَّثَنَا هَنَّادٌ، حَدَّثَنَا أَبُو مُعَاوِيَةَ، عَنِ الأَعْمَشِ، عَنْ أَبِي سُفْيَانَ، عَنْ أَنَسٍ، قَالَ كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يُكْثِرُ أَنْ يَقُولَ " يَا مُقَلِّبَ الْقُلُوبِ ثَبِّتْ قَلْبِي عَلَى دِينِكَ " . فَقُلْتُ يَا رَسُولَ اللَّهِ آمَنَّا بِكَ وَبِمَا جِئْتَ بِهِ فَهَلْ تَخَافُ عَلَيْنَا قَالَ " نَعَمْ إِنَّ الْقُلُوبَ بَيْنَ أَصْبُعَيْنِ مِنْ أَصَابِعِ اللَّهِ يُقَلِّبُهَا كَيْفَ يَشَاءُ " . قَالَ أَبُو عِيسَى وَفِي الْبَابِ عَنِ النَّوَّاسِ بْنِ سَمْعَانَ وَأُمِّ سَلَمَةَ وَعَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَمْرٍو وَعَائِشَةَ . وَهَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ وَهَكَذَا رَوَى غَيْرُ وَاحِدٍ عَنِ الأَعْمَشِ عَنْ أَبِي سُفْيَانَ عَنْ أَنَسٍ . وَرَوَى بَعْضُهُمْ عَنِ الأَعْمَشِ عَنْ أَبِي سُفْيَانَ عَنْ جَابِرٍ عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم . وَحَدِيثُ أَبِي سُفْيَانَ عَنْ أَنَسٍ أَصَحُّ .
'Anas narrated:
"The Messenger of Allah (s.a.w) would often say: Ya Muqallibal-qulub, thabbit qalbi 'ala dinik('O Changer of the Hearts! Strengthen my heart upon Your Religion.)' So I said: 'O Prophet of Allah! We believe in you and what you have come with, but do you fear for us?' He said: 'Yes. Indeed the hearts are between two Fingers of Allah's Fingers, He changes them as He wills.'"
পরিচ্ছেদঃ সূরা আল-মাইদা
৩০৪৫. আহমদ ইবন মানী (রহঃ) ...... আবূ হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ দয়াময়ের ডান হাত তো পূর্ণ সব সময় তা অনুগ্রহ ঢালছে। রাত-দিনের বর্ষণ তাতে কোন হ্রাস ঘটাতে পারে না। তিনি আরো বলেনঃ তোমরা লক্ষ্য করেছ কি? যেদিন থেকে তিনি আসমান ও যমীন সৃষ্টি করেছেন সেদিন থেকে তিনি ব্যয় করে আসছেন কিন্তু তাঁর দক্ষিণ হস্তেও যা আছে তাতেও কিছু কম হয়নি। তাঁর আরশ পানির উপর। তাঁর অন্য হাতে হল মীযান। তিনি তা নিচু করেন এবং উত্তোলন করেন।
সহীহ, ইবনু মাজাহ ১৯৭, তিরমিজী হাদিস নম্বরঃ ৩০৪৫ [আল মাদানী প্রকাশনী]
হাদীসটি হাসান-সহীহ। এই হাদীসটি হলঃ (وَعَرْشُهُ عَلَى الْمَاءِ) ইয়াহূদীরা বলে, আল্লাহর হাত রুদ্ধ। এরাই আসলে রুদ্ধহস্ত (وَقََالَتِ الْيَهُودُ يَدُ اللَّهِ مَغْلُولَةٌ غُلَّتْ أَيْدِيهِمْ) (৫ঃ ৬৪) আয়াতটির তাফসীর স্বরূপ। ইমামগণ বলেনঃ কোনরূপ ব্যাখ্যা ও সন্দেহ পোষণ না করে যেভাবে হাদীসে উল্লেখ হয়েছে এই সব হাদীছের ক্ষেত্রে সেভাবেই বিষয়টি বিশ্বাস করতে হবে। সুফইয়ান ছাওরী, মালিক ইবন আনাস, ইবন উয়ায়না, ইবন মুবারক প্রমুখ (রহঃ) ইমামগণ এইরূপ অভিমত বক্তে করেছেন যে, এই ধরনের বিষয় বর্ণনা করা যাবে। এগুলোর উপর ঈমান রাখতে হবে কিন্তু তা কেমন এই কথা বলা যাবে না।
بَابٌ: وَمِنْ سُورَةِ الْمَائِدَةِ
حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ مَنِيعٍ، حَدَّثَنَا يَزِيدُ بْنُ هَارُونَ، أَخْبَرَنَا مُحَمَّدُ بْنُ إِسْحَاقَ، عَنْ أَبِي الزِّنَادِ، عَنِ الأَعْرَجِ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " يَمِينُ الرَّحْمَنِ مَلأَى سَحَّاءُ لاَ يَغِيضُهَا اللَّيْلُ وَالنَّهَارُ قَالَ أَرَأَيْتُمْ مَا أَنْفَقَ مُنْذُ خَلَقَ السَّمَوَاتِ وَالأَرْضَ فَإِنَّهُ لَمْ يَغِضْ مَا فِي يَمِينِهِ وَعَرْشُهُ عَلَى الْمَاءِ وَبِيَدِهِ الأُخْرَى الْمِيزَانُ يَرْفَعُ وَيَخْفِضُ " . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ . وَهَذَا الْحَدِيثُ فِي تَفْسِيرِ هَذِهِ الآيَةِ : ( وَقََالَتِ الْيَهُودُ يَدُ اللَّهِ مَغْلُولَةٌ غُلَّتْ أَيْدِيهِمْ وَلُعِنُوا بِمَا قَالُوا بَلْ يَدَاهُ مَبْسُوطَتَانِ يُنْفِقُ كَيْفَ يَشَاءُ ) وَهَذَا حَدِيثٌ قَدْ رَوَتْهُ الأَئِمَّةُ نُؤْمِنُ بِهِ كَمَا جَاءَ مِنْ غَيْرِ أَنْ يُفَسَّرَ أَوْ يُتَوَهَّمَ هَكَذَا قَالَ غَيْرُ وَاحِدٍ مِنَ الأَئِمَّةِ مِنْهُمُ الثَّوْرِيُّ وَمَالِكُ بْنُ أَنَسٍ وَابْنُ عُيَيْنَةَ وَابْنُ الْمُبَارَكِ إِنَّهُ تُرْوَى هَذِهِ الأَشْيَاءُ وَيُؤْمَنُ بِهَا وَلاَ يُقَالُ كَيْفَ .
Narrated Abu Hurairah:
"The Messenger of Allah (ﷺ) said: 'Ar-Rahman's Hand is full, He spends without any decrease, night and day.' He said: 'Do you not see how much He has spent since He created the heavens and the earth, yet it has not decreased what is in His Hand, and His Throne is over the water, and in His Other Hand is the Mizan (Scale) which He raises and lowers.'"
পরিচ্ছেদঃ ৪. মসজিদের জন্য ওয়াকফ করা
৩৬১০. ইমরান ইবন বাক্কার ইবন রাশিদ (রহঃ) ... আবু সালামা ইবন আবদুর রহমান (রহঃ) হতে বর্ণিত। যেদিন লোক উসমান (রাঃ)-কে অবরুদ্ধ করেছিল, সেদিন তিনি তার ঘরের উপর হতে তাদের প্রতি লক্ষ্য করে বললেনঃ আল্লাহর নামে কসম দিয়ে আমি ঐ ব্যক্তির নিকট জিজ্ঞাসা করছি, যে ব্যক্তি পাহাড়ের দিন রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে বলতে শোনে, যখন পাহাড় নড়াচড়া দিয়ে উঠে। তখন তিনি তাঁর পা দিয়ে পাহাড়ে আঘাত করে বলেনঃ হে পাহাড় থাম, তোমার উপর একজন নবী, একজন সিদ্দীক এবং দুইজন শহীদ রয়েছেন। তখন আমি তাঁর নিকট উপস্থিত ছিলাম। লোকেরা তাঁর এ কথার সত্যায়ন করলে তিনি বলেনঃ আমি আল্লাহর কসম দিয়ে ঐ ব্যক্তির নিকট জিজ্ঞাসা করছি, যে ব্যক্তি বায়আতে রিদওয়ানে উপস্থিত ছিল এবং রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে বলতে শুনেছিল। বলেছিলেনঃ ইহা আল্লাহর হাত, আর ইহা উসমানের হাত। লোকেরা এ কথার সত্যায়ন করলো।
তিনি আবার বললেনঃ আমি আল্লাহর শপথ দিয়ে ঐ ব্যক্তিকে জিজ্ঞাসা করছি, যে ব্যক্তি সংকটাপন্ন (তাবুক যুদ্ধের) বাহিনী প্রেরণের দিন রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে বলতে শোনে, এমন কে আছে, যে ব্যক্তি কবূলযোগ্য সম্পদ খরচ করতে পারে? আমি (তাঁর এই ইচ্ছা শ্রবণ করে) অর্ধ বাহিনীর সকল খরচ নিজের মালদ্বারা করে দেই। লোকেরা তা স্বীকার করলো। তিনি আবার বললেনঃ আমি আল্লাহর শপথ দিয়ে ঐ ব্যক্তিকে জিজ্ঞাসা করছি, যে ব্যক্তি রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে বলতে শুনেছেঃ কোন ব্যক্তি এমন আছে, যে ব্যক্তি এই মসজিদ সম্প্রসারণ করবে, জান্নাতের একখানা ঘরের বিনিময়ে? তখন আমি আমার সম্পদ দিয়ে তা কিনে দেই। লোক এর সত্যায়ন করল। এরপর তিনি বললেনঃ আমি ঐ ব্যক্তিকে আল্লাহর শপথ দিয়ে জিজ্ঞাসা করছি যে, রূমা কূপ’ ক্রয়কালে উপস্থিত ছিল। আমি তা নিজের টাকায় ক্রয় করি এবং তা পথচারীদের জন্য উন্মুক্ত করে দেই। উপস্থিত লোকেরা তাঁর এ কথারও সত্যায়ন করলো।
بَاب وَقْفِ الْمَسَاجِدِ
أَخْبَرَنَا عِمْرَانُ بْنُ بَكَّارِ بْنِ رَاشِدٍ قَالَ حَدَّثَنَا خَطَّابُ بْنُ عُثْمَانَ قَالَ حَدَّثَنَا عِيسَى بْنُ يُونُسَ حَدَّثَنِي أَبِي عَنْ أَبِي إِسْحَقَ عَنْ أَبِي سَلَمَةَ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ أَنَّ عُثْمَانَ أَشْرَفَ عَلَيْهِمْ حِينَ حَصَرُوهُ فَقَالَ أَنْشُدُ بِاللَّهِ رَجُلًا سَمِعَ مِنْ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقُولُ يَوْمَ الْجَبَلِ حِينَ اهْتَزَّ فَرَكَلَهُ بِرِجْلِهِ وَقَالَ اسْكُنْ فَإِنَّهُ لَيْسَ عَلَيْكَ إِلَّا نَبِيٌّ أَوْ صِدِّيقٌ أَوْ شَهِيدَانِ وَأَنَا مَعَهُ فَانْتَشَدَ لَهُ رِجَالٌ ثُمَّ قَالَ أَنْشُدُ بِاللَّهِ رَجُلًا شَهِدَ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَوْمَ بَيْعَةِ الرِّضْوَانِ يَقُولُ هَذِهِ يَدُ اللَّهِ وَهَذِهِ يَدُ عُثْمَانَ فَانْتَشَدَ لَهُ رِجَالٌ ثُمَّ قَالَ أَنْشُدُ بِاللَّهِ رَجُلًا سَمِعَ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَوْمَ جَيْشِ الْعُسْرَةِ يَقُولُ مَنْ يُنْفِقُ نَفَقَةً مُتَقَبَّلَةً فَجَهَّزْتُ نِصْفَ الْجَيْشِ مِنْ مَالِي فَانْتَشَدَ لَهُ رِجَالٌ ثُمَّ قَالَ أَنْشُدُ بِاللَّهِ رَجُلًا سَمِعَ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقُولُ مَنْ يَزِيدُ فِي هَذَا الْمَسْجِدِ بِبَيْتٍ فِي الْجَنَّةِ فَاشْتَرَيْتُهُ مِنْ مَالِي فَانْتَشَدَ لَهُ رِجَالٌ ثُمَّ قَالَ أَنْشُدُ بِاللَّهِ رَجُلًا شَهِدَ رُومَةَ تُبَاعُ فَاشْتَرَيْتُهَا مِنْ مَالِي فَأَبَحْتُهَا لِابْنِ السَّبِيلِ فَانْتَشَدَ لَهُ رِجَالٌ
It was narrated from Abu Salamah bin 'Abdur-Rahman that 'Uthman looked out over them when they besieged him and said:
"By Allah, I adjure a man who heard the Messenger of Allah, on the day when the mountain shook with him, and he kicked it with his foot and said: 'Be still, for there is no one upon you but a Prophet or a Siddiq or two martyrs,' and I was with him." Some men responded and affirmed that. Then he said: "By Allah, I adjure a man who witnessed the Messenger of Allah, on the day of Bai'at Al-Ridwan, say: 'This is the Hand of Allah and this is the hand of 'Uthman.'" Some men responded and affirmed that. He said: "By Allah, I adjure a man who heard the Messenger of Allah say, on the day of the army of Al-'Usrah (i.e. Tabuk): 'Who will spend and it will be accepted?' And I equipped half of the army from my own wealth." Some men responded and affirmed that. Then he said: "By Allah, I adjure a man who heard the Messenger of Allah say: 'Who will add to this Masjid in return for a house in Paradise,' and I bought it with my own wealth." Some men responded and affirmed that. Then he said: "By Allah, I adjure a man who witness Rumah being sold, and I bought it from my own wealth and allowed wayfarers to use it." Some men responded and affirmed that.
পরিচ্ছেদঃ ৩৭০ : দাজ্জাল ও কিয়ামতের নিদর্শনাবলী সম্পর্কে
৩/১৮১৯। আব্দুল্লাহ ইবনে আমর ’আস রাদিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ’’আমার উম্মতের মধ্যে দাজ্জালের আবির্ভাব ঘটবে এবং সে চল্লিশ পর্যন্ত অবস্থান করবে। আমি জানি না চল্লিশ দিন, চল্লিশ মাস, না চল্লিশ বছর। সুতরাং আল্লাহ তা’আলা ঈসা ইবনে মারয়্যাম -কে পাঠাবেন। তিনি তাকে খুঁজে বের করে ধ্বংস করবেন। অতঃপর লোকেরা [দীর্ঘ] সাত বছর ব্যাপী [এমন সৌহার্দ্যপূর্ণ পরিবেশে] কাল উদযাপন করবে, যাতে দুজনের পারস্পরিক কোন প্রকার শত্রুতা থাকবে না। তারপর মহান আল্লাহ শাম দেশ থেকে শীতল বায়ু চালু করবেন যা জমিনের বুকে এমন কোন ব্যক্তিকে জীবিত ছাড়বে না, যার অন্তরে অণু পরিমাণ মঙ্গল অথবা ঈমান থাকবে।
এমনকি তোমাদের কেউ যদি পর্বত-গর্ভে প্রবেশ করে, তাহলে সেখানেও প্রবেশ করে তার জীবন নাশ করবে। [তারপর ভূপৃষ্ঠে] দুর্বৃত্ত প্রকৃতির লোক থেকে যাবে, যারা কাম-প্রবৃত্তি চরিতার্থের ব্যাপারে ক্ষিপ্ত গতিমান পাখির মত হবে, একে অপরের বিরুদ্ধে শত্রুতা ও রক্তপাত করার ক্ষেত্রে হিংস্র পশুর ন্যায় হবে। যারা কখনো ভাল কাজের আদেশ করবে না এবং কোন মন্দ কাজে বাধা দেবে না। শয়তান তাদের সামনে মানবরূপ ধারণ করে আত্মপ্রকাশ করবে ও বলবে, ’তোমরা আমার আহবানে সাড়া দেবে না?’ তারা বলবে, ’আমাদেরকে আপনি কি আদেশ করছেন?’ সে তখন তাদেরকে মূর্তি পূজার আদেশ দেবে।
আর এসব কর্মকাণ্ডে তাদের জীবিকা সচ্ছল হবে এবং জীবন সুখের হবে। অতঃপর শিঙ্গায় [প্রলয় বীণায়] ফুঁৎকার দেওয়া হবে। যে ব্যক্তিই সে শব্দ শুনবে, সেই তার ঘাড়ের একদিক কাত করে দেবে ও অপর দিক উঁচু করে দেবে। সর্বাগ্রে এমন এক ব্যক্তি তা শুনতে পাবে, যে তার উটের [জন্য পানি রাখার] হওয লেপায় ব্যস্ত থাকবে। সে শিঙ্গার শব্দ শোনামাত্র অজ্ঞান হয়ে মাটিতে পড়ে যাবে। তার সাথে সাথে তার আশে-পাশের লোকরাও অজ্ঞান হয়ে [ধরাশায়ী হয়ে] যাবে। অতঃপর আল্লাহ শিশিরের ন্যায় গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি পাঠাবেন। যার ফলে পুনরায় মানবদেহ [উদ্ভিদের ন্যায়] গজিয়ে উঠবে।
তারপর যখন দ্বিতীয়বার শিঙ্গা বাজানো হবে, তখন তারা উঠে দেখতে থাকবে। তাদেরকে বলা হবে, ’হে লোক সকল! তোমরা তোমাদের প্রতিপালকের দিকে এগিয়ে এসো।’ [অন্য দিকে ফিরিশতাদেরকে হুকুম করা হবে যে,] ’তোমরা ওদেরকে থামাও। ওদেরকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।’ তারপর বলা হবে, ’ওদের মধ্য থেকে জাহান্নামে প্রেরিতব্য দল বের করে নাও।’ জিজ্ঞাসা করা হবে, ’কত থেকে কত?’ বলা হবে, ’প্রতি হাজারে নয়শ’ নিরানব্বই জন।’ বস্তুতঃ এ দিনটি এত ভয়ংকর হবে যে, শিশুকে বৃদ্ধ বানিয়ে দেবে এবং এ দিনেই [মহান আল্লাহ নিজ] পায়ের গোছা অনাবৃত করবেন।’’ (মুসলিম)[1]
(370) بَابُ اَحَادِيْثِ الدَّجَّالِ وَاَشْرَاطِ السَّاعَةِ وَغَىْرِهَا
وَعَنْ عَبدِ اللهِ بنِ عَمرِو بنِ العَاصِ رَضِيَ اللهُ عَنْهُمَا، قاَلَ : قَالَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم: «يَخْرُجُ الدَّجَّالُ فِي أُمَّتِي فَيَمْكُثُ أَرْبَعِينَ، لاَ أَدْرِي أَرْبَعِينَ يَوماً أَو أَرْبَعِينَ شَهْراً، أَو أَرْبَعِينَ عَاماً، فَيَبْعَثُ اللهُ تَعالَى عِيسَى ابْنَ مَرْيَمَ، فَيَطْلُبُهُ فَيُهْلِكُهُ، ثُمَّ يَمْكُثُ النَّاسُ سَبْعَ سِنِينَ لَيسَ بَينَ اثْنَينِ عَدَاوةٌ، ثُمَّ يُرْسِلُ اللهُ ـ عَزَّ وَجَلَّ ـ، رِيحاً بَارِدَةً مِنْ قِبَلِ الشَّامِ، فَلاَ يَبْقَى عَلَى وَجْهِ الأَرْضِ أَحَدٌ فِي قَلْبِهِ مِثْقَالُ ذَرَّةٍ مِنْ خَيرٍ أَو إِيمَانٍ إِلاَّ قَبَضَتْهُ، حَتَّى لَو أَنَّ أَحَدَكُمْ دَخَلَ فِي كَبِدِ جَبَلٍ، لَدَخَلَتْهُ عَلَيهِ حَتَّى تَقْبِضَهُ، فَيَبْقَى شِرَارُ النَّاسِ فِي خِفَّةِ الطَّيْرِ، وَأَحْلاَمِ السِّبَاعِ، لاَ يَعْرِفُونَ مَعْرُوفاً، وَلاَ يُنْكِرُونَ مُنْكَراً، فَيَتَمَثَّلُ لَهُمُ الشَّيْطَانُ، فيَقُولُ : أَلاَ تَسْتَجِيبُونَ ؟ فَيَقُولُونَ : فَمَا تَأمُرُنَا ؟ فَيَأمُرُهُمْ بِعِبَادَةِ الأَوْثَانِ، وَهُمْ فِي ذَلِكَ دَارٌّ رِزْقُهُمْ، حَسَنٌ عَيشُهُمْ، ثُمَّ يُنْفَخُ في الصُّورِ، فَلاَ يَسْمَعُهُ أَحَدٌ إِلاَّ أصْغَى لِيتاً وَرَفَعَ لِيتاً، وَأوَّلُ مَنْ يَسْمَعُهُ رَجُلٌ يَلُوطُ حَوْضَ إِبِلِهِ فَيُصْعَقُ وَيُصْعَقُ النَّاسُ حَولَهُ، ثُمَّ يُرْسِلُ اللهُ - أَو قَالَ: يُنْزِلُ اللهُ - مَطَراً كَأَنَّهُ الطَّلُّ أَوِ الظِّلُّ، فَتَنْبُتُ مِنهُ أَجْسَادُ النَّاسِ، ثُمَّ يُنْفَخُ فِيهِ أُخْرَى فَإِذَا هُمْ قِيَامٌ يَنْظُرُونَ، ثُمَّ يُقَالُ : يَا أَيُّهَا النَّاسُ هَلُمَّ إلَى رَبِّكُمْ، وَقِفُوهُمْ إِنَّهُمْ مَسْئُولُونَ، ثُمَّ يُقَالُ : أَخْرِجُوا بَعْثَ النَّارِ فَيُقَالُ : مِنْ كَمْ ؟ فَيُقَالُ : مِنْ كُلِّ أَلْفٍ تِسْعَمِئَةٍ وَتِسْعَةً وَتِسْعِينَ؛ فَذَلِكَ يَومٌ يَجْعَلُ الوِلْدَانَ شِيباً، وَذَلِكَ يَومَ يُكْشَفُ عَنْ سَاقٍ». رواه مسلم
(370) Chapter: Ahadith about Dajjal and Portents of the Hour
'Abdullah bin 'Amr bin Al-'As (May Allah be pleased with them) said:
The Messenger of Allah (ﷺ) said, "Dajjal (the Antichrist) will appear in my Ummah and he will stay in the world for forty. I do not know whether this will be forty days or forty months or forty years. Allah will then send (Prophet) 'Isa (Jesus), son of Maryam (Mary). 'Isa will pursue him and slaughter him. Then people will survive for seven years (i.e., after the demise of 'Isa) in the state that there will be no rancour between two persons. Then Allah will send a cool breeze from the side of Ash-Sham. None will remain upon the face of the earth having the smallest particle of good or Faith in him but he will die, so much so that even if someone amongst you will enter the innermost part of a mountain, this breeze will reach that place also and will cause him to die. Only the wicked people will survive and they will be as fast as birds (i.e., to commit evil) and as ferocious towards one another as wild beasts. They will never appreciate the good, nor condemn evil. Then Shaitan (Satan) will come to them in the garb of a man and will say: 'Will you not obey me?' They will say: 'What do you order us to do?' He will command them to worship idols. They will have abundance of sustenance and will lead comfortable lives. Then the Trumpet will be blown. Every one hearing it, will turn his neck towards it and will raise it. The first one to hear that Trumpet will be a man who will be busy repairing the basin for his camels. He will become unconscious. Allah will send, or will cause to send, rain which will be like dew and there will grow out of it (like wild growth) the bodies of the people. Then the second Trumpet will be blown and they will stand up and begin to look around. Then it will be said: 'O people! Go to your Rubb.' Then there will be a command: 'Make them stand there.' After it they will be called to account. Then it will be said: 'Separate from them the share of the Fire.' It will be asked: 'How much?' It will be said: 'Nine hundred and ninety-nine out of every thousand.' That will be the Day which will make children hoary-headed men because of its terror and that will be the Day when the Shin will be uncovered."
[Muslim].
Commentary: The question arises as to what is the meaning of the phrase - the Shin will be uncovered - at this place? Some people say that it refers to the calamities and troubles of the Day of Judgement. But according to a reliable narration, it refers to an act of Allah of uncovering His Shin in a way which befits His Majesty. As believers, we must confirm Allah's all Qualities which He has stated in the Qur'an or mentioned through His Messenger (PBUH) without changing them or ignoring them completely or twisting their meanings or giving resemblance to any of the created things. What is meant by the uncovering of the Shin of Allah is something we can neither understand nor describe. We can only believe in it without understanding the real explanation of it, in the same way we believe in the Eye or Ear of Allah. We should believe in all these things as mentioned in the Qur'an and Hadith without trying to go into the explanation. This is the view of Ahlus-Sunnah wal-Jama`ah to which we should stick. (See Tafsir Ahsan-ul-Bayan)
Then all the Muslims will prostrate before Him. However, those people who used to pray and prostrate before Him in their worldly lives only for showing off or for gaining good reputation, will not be able to prostrate before Him on this occasion. Their spines will become stiff like a wooden board and it would become impossible for them to bend. (Sahih Al-Bukhari, Tafsir Surat An-Nur and Al-Qalam).