৭৫৯

পরিচ্ছেদঃ ১৫/১৭. ইহরামের প্রকারভেদ, আর তা হজ্জে ইফরাদ এবং তামাত্তু এবং ক্বিরান এবং হজ্জ ও উমরাহ্কে যুক্ত করা বৈধ এবং হজ্জ ক্বারেন আদায়কারী কখন তার ইহরাম থেকে হালাল হবে।

৭৫৯. ’আয়িশাহ্ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমরা নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর সঙ্গে বের হলাম এবং একে হজ্জের সফর বলেই আমরা জানতাম। আমরা যখন (মক্কায়) পৌছে বাইতুল্লাহ-এর তাওয়াফ করলাম তখন নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম নির্দেশ দিলেনঃ যারা কুরবানীর পশু সঙ্গে নিয়ে আসেনি তারা যেন ইহরাম ছেড়ে দেয়। তাই যিনি কুরবানীর পশু সঙ্গে আনেননি তিনি ইহরাম ছেড়ে দেন। আর নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর সহধর্মিণীগণ ইহরাম ছেড়ে দিলেন। ’আয়িশাহ্ (রাঃ) বলেন, আমি ঋতুবতী হয়েছিলাম বিধায় বায়তুল্লাহর তাওয়াফ করতে পারিনি। (ফিরতি পথে) মুহাসসাব নামক স্থানে রাত যাপনকালে আমি বললাম, হে আল্লাহর রাসূল! সকলেই উমরাহ ও হাজ্জ উভয়টি সমাধা করে ফিরছে আর আমি কেবল হাজ্জ করে ফিরছি।

তিনি বললেনঃ আমরা মক্কাহ পৌছলে তুমি কি সে দিনগুলোতে তওয়াফ করনি? আমি বললাম, জী-না। তিনি বললেন, তোমার ভাই-এর সাথে তানঈম চলে যাও, সেখান হতে উমরাহ’র ইহরাম বাঁধবে। অতঃপর অমুক স্থানে তোমার সাথে সাক্ষাৎ ঘটবে। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ কী বললে! তুমি কি কুরবানীর দিনগুলোতে তাওয়াফ করনি! আমি বললাম, হ্যাঁ করেছি। তিনি বললেনঃ তবে কোন অসুবিধা নেই, তুমি চল। ’আয়িশাহ্ (রাঃ) বলেন, এরপর নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর সাথে এমতাবস্থায় আমার সাক্ষাৎ হললা যখন তিনি মক্কাহ ছেড়ে উপরের দিকে উঠছিলেন, আর আমি মক্কার দিকে অবতরণ করছি। অথবা, ’আয়িশাহ্ (রাঃ) বলেন, আমি উঠছি ও তিনি অবতরণ করছেন।

بيان وجوه الإحرام وأنه يجوز إِفراد الحج والتمتع والقران وجواز إِدخال الحج على العمرة، ومتى يحل القارن من نسكه

حديث عَائِشَةَ، خَرَجْنَا مَعَ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، وَلاَ نُرَى إِلاَّ أَنَّهُ الْحَجُّ، فَلَمَّا قَدِمْنَا تَطَوَّفْنَا بِالْبَيْتِ، فَأَمَرَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مَنْ لَمْ يَكُنْ سَاقَ الْهَدْىَ أَنْ يَحِلَّ، فَحَلَّ مَنْ لَمْ يَكُنْ سَاقَ الْهَدْىَ وَنِسَاؤُهُ لَمْ يَسُقْنَ فَأَحْلَلْنَ قَالَتْ عَائِشَةُ، فَحِضْتُ فَلَمْ أَطُفْ بِالْبَيْتِ، فَلَمَّا كَانَتْ لَيْلَةُ الْحَصْبَةِ، قَالَتْ: يَا رَسُولَ اللهِ يَرْجِعُ النَّاسُ بِعُمْرَةٍ وَحَجَّةٍ وَأَرْجِعُ أَنَا بِحَجَّةٍ قَالَ: وَمَا طُفْتِ لَيَالِيَ قَدِمْنَا مَكَّةَ قُلْتُ: لاَ قَالَ: فَاذْهَبِى مَعَ أَخِيكِ إِلَى التَّنْعِيمِ فَأَهِلِّى بِعُمْرَةٍ، ثُمَّ مَوْعِدُكِ كَذَا وَكَذَا قَالَتْ صَفِيَّةُ: مَا أُرَانِي إِلاَّ حَابِسَتَهُمْ قَالَ: عَقْرَى حَلْقَى أَوَ مَا طُفْتِ يَوْمَ النَّحْرِ قَالَتْ، قُلْتُ: بَلَى قَالَ: لاَ بَأْسَ، انْفِرِى قَالَتْ عَائِشَةُ: فَلَقِيَنِي النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَهُوَ مُصْعِدٌ مِنْ مَكَّةَ وَأَنَا مُنْهَبِطَةٌ عَلَيْهَا، أَوْ أَنَا مُصْعِدَةٌ وَهُوَ مُنْهَبِطٌ مِنْهَا

حديث عاىشة، خرجنا مع النبي صلى الله عليه وسلم، ولا نرى الا انه الحج، فلما قدمنا تطوفنا بالبيت، فامر النبي صلى الله عليه وسلم من لم يكن ساق الهدى ان يحل، فحل من لم يكن ساق الهدى ونساوه لم يسقن فاحللن قالت عاىشة، فحضت فلم اطف بالبيت، فلما كانت ليلة الحصبة، قالت: يا رسول الله يرجع الناس بعمرة وحجة وارجع انا بحجة قال: وما طفت ليالي قدمنا مكة قلت: لا قال: فاذهبى مع اخيك الى التنعيم فاهلى بعمرة، ثم موعدك كذا وكذا قالت صفية: ما اراني الا حابستهم قال: عقرى حلقى او ما طفت يوم النحر قالت، قلت: بلى قال: لا باس، انفرى قالت عاىشة: فلقيني النبي صلى الله عليه وسلم وهو مصعد من مكة وانا منهبطة عليها، او انا مصعدة وهو منهبط منها

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
আল-লুলু ওয়াল মারজান
১৫/ হজ্জ (كتاب الحج)