পরিচ্ছেদঃ ১৫/১. মুহরিম ব্যক্তির জন্য হজ্জ অথবা উমরাহ্তে কী কী বৈধ আর কী কী অবৈধ এবং তার জন্য সুগন্ধি জাতীয় জিনিস ব্যবহার করা হারাম হওয়ার বর্ণনা।
৭৩১. ’আবদুল্লাহ ইবনু উমার (রাঃ) হতে বর্ণিত। এক ব্যক্তি বললঃ হে আল্লাহর রাসূল! মুহরিম লোক কী কী পোশাক পরবে? আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ তোমরা (ইহরাম অবস্থায়) জামা, পাগড়ী, পায়জামা, টুপি ও মোজা পরবে না। তবে যে ব্যক্তির জুতা নেই, সে কেবল মোজা পরতে পারবে, কিন্তু উভয় মোজা টাখনুর নীচ থেকে কেটে ফেলবে। আর জাফরান ও ওয়ার্স রং যাতে লেগেছে, এমন কাপড় পরবে না।
ما يباح للمحرم بحج أو عمرة، وما لا يباح وبيان تحريم الطيب عليه
حديث عَبْدِ اللهِ بْنِ عُمَرَ، أَنَّ رَجُلاً قَالَ يَا رَسُولَ اللهِ مَا يَلْبَسُ الْمُحْرِمُ مِنَ الثِّيَابِ قَالَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: لاَ يَلْبَسُ الْقُمُصَ وَلاَ الْعَمَائِمَ وَلاَ السَّرَاوِيلاَتِ وَلاَ الْبَرَانِسَ وَلاَ الْخِفَافَ، إِلاَّ أَحَدٌ لاَ يَجِدُ نَعْلَيْنِ فَلْيَلْبَسْ خُفَّيْنِ، وَلْيَقْطَعْهُمَا أَسْفَلَ مِنَ الْكَعْبَيْنِ، وَلاَ تَلْبَسُوا مِنَ الثِّيَابِ شَيْئًا مَسَّهُ الزَّعْفَرَانُ أَوْ وَرْسٌ
পরিচ্ছেদঃ ১৫/২. হজ্জ ও উমরাহর মীকাসমূহ।
৭৩২. ইবনু ’আব্বাস (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে মুহরিমদের উদ্দেশে ’আরাফাতে ভাষণ দিতে শুনেছি। তিনি বলেছেনঃ যার চপ্পল নেই সে মোজা পরিধান করবে। আর যার লুঙ্গি নেই সে পায়জামা পরিধান করবে।
مواقيت الحج والْعمرة
حديث ابْنِ عَبَّاسٍ، قَالَ: سَمِعْتُ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَخْطُبُ بِعَرَفَاتٍ مَنْ لَمْ يَجِدِ النَّعْلَيْنِ فَلْيَلْبَسِ الْخُفَّيْنِ، وَمَنْ لَمْ يَجِدْ إِزَارًا فَلْيَلْبَسْ سَرَاوِيلَ لِلْمُحْرِمِ
পরিচ্ছেদঃ ১৫/১. মুহরিম ব্যক্তির জন্য হজ্জ অথবা উমরাহ্তে কী কী বৈধ আর কী কী অবৈধ এবং তার জন্য সুগন্ধি জাতীয় জিনিস ব্যবহার করা হারাম হওয়ার বর্ণনা।
৭৩৩. সাফওয়ান ইবনু ইয়ালা (রহ.) হতে বর্ণিত। ইয়ালা (রাঃ) উমার (রাঃ)-কে বললেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর উপর ওয়াহী অবতরণ মুহূর্তটি আমাকে দেখাবেন। তিনি বলেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ’জিরানা নামক স্থানে অবস্থান করছিলেন, তাঁর সঙ্গে কিছু সংখ্যক সাহাবী ছিলেন। এমন সময় এক ব্যক্তি এসে বললেন, হে আল্লাহর রাসূল! কোন ব্যক্তি সুগন্ধিযুক্ত পোশাক পরে উমরাহ’র ইহরাম বাঁধলে তার সম্পর্কে আপনার অভিমত কী? নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কিছুক্ষণ নীরব রইলেন। এরপর তাঁর নিকট ওহী আসল। উমার (রাঃ) ইয়ালা (রাঃ)-কে ইঙ্গিত করায় তিনি সেখানে উপস্থিত হলেন। তখন একখণ্ড কাপড় দিয়ে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর উপর ছায়া করা হয়েছিল, ইয়ালা (রাঃ) মাথা প্রবেশ করিয়ে দেখতে পেলেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর মুখমণ্ডল লাল বর্ণ, তিনি সজোরে শ্বাস গ্রহণ করছেন। এরপর সে অবস্থা দূর হলো। তিনি বললেনঃ উমরাহ সম্পর্কে প্রশ্নকারী কোথায়? প্রশ্নকারীকে উপস্থিত করা হলে তিনি বললেনঃ তোমার শরীরের সুগন্ধি তিনবার ধুয়ে ফেল ও জুব্বাটি খুলে ফেল এবং হজ্জে যা করে থাক উমরাহতেও তাই কর।
ما يباح للمحرم بحج أو عمرة، وما لا يباح وبيان تحريم الطيب عليه
حديث يَعْلَى قَالَ لِعُمَرَ رضي الله عنه: أَرِنِي النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ حِينَ يُوحَى إِلَيْهِ؛ قَالَ: فَبَيْنَمَا النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِالْجِعْرَانَةِ وَمَعَهُ نَفَرٌ مِنْ أَصْحَابِهِ، جَاءَهُ رَجُلٌ فَقَالَ: يَا رَسُولَ اللهِ كَيْفَ تَرَى فِي رَجُلٍ أَحْرَمَ بِعُمْرَةٍ وَهُوَ مُتَضَمِّخٌ بِطِيبٍ فَسَكَتَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ سَاعَةً، فَجَاءَهُ الْوَحْيُ، فَأَشَارَ عُمَرُ رضي الله عنه إِلَى يَعْلَى، فَجَاءَ يَعْلَى، وَعَلَى رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ ثَوْبٌ قَدْ أُظِلَّ بِهِ، فَأَدْخَلَ رَأْسَهُ، فَإِذَا رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مُحْمَرُّ الْوَجْهِ، وَهُوَ يَغِطُّ؛ ثُمَّ سُرِّيَ عَنْهُ، فَقَالَ: أَيْنَ الَّذي سَأَلَ عَنِ الْعُمْرَةِ فَأُتِيَ بِرَجُلٍ، فَقَالَ: اغْسِلِ الطِّيبَ الَّذِي بِكَ ثَلاَثَ مَرَّاتٍ، وَانْزِعْ عَنْكَ الجُبَّةَ، وَاصْنَعْ فِي عُمْرَتِكَ كَمَا تَصْنَعُ فِي حَجَّتِكَ
পরিচ্ছেদঃ ১৫/২. হজ্জ ও উমরাহর মীকাসমূহ।
৭৩৪. ইবনু আব্বাস (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইহরাম বাধার স্থান নির্ধারণ করে দিয়েছেন, মদীনাহবাসীদের জন্য যুল-হুলাইফা, সিরিয়াবাসীদের জন্য জুহফা, নজদবাসীদের জন্য কারনুল-মানাযিল, ইয়ামানবাসীদের জন্য ইয়ালালাম। উল্লিখিত স্থানসমূহ হজ্জ ও ’উমরাহ’র নিয়্যাতকারী সেই অঞ্চলের অধিবাসী এবং ঐ সীমারেখা দিয়ে অতিক্রমকারী অন্যান্য অঞ্চলের অধিবাসীদের জন্য ইহরাম বাঁধার স্থান এবং মীকাতের ভিতরে স্থানের লোকরা নিজ বাড়ি হতে ইহরাম বাঁধবে। এমনকি মক্কাহবাসীগণ মক্কাহ হতেই ইহরাম বাঁধবে।
مواقيت الحج والْعمرة
حديث ابْنِ عَبَّاسٍ، قَالَ: وَقَّتَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ َلاهْلِ الْمَدِينَةِ ذَا الْحُلَيْفَةِ، وَلأهْلِ الشَّامِ الْجُحْفَةَ، وَلأَهْلِ نَجْدٍ قَرْنَ الْمَنَازِلِ، وَلأَهْلِ الْيَمَنِ يَلَمْلَمَ، فَهُنَّ لَهُنَّ وَلِمَنْ أَتَى عَلَيْهِنَّ مِنْ غَيْرٍ أَهْلِهِنَّ لِمَنْ كَانَ يُريدُ الْحَجَّ وَالْعُمْرَةَ، فَمَنْ كَانَ دُونَهُنَّ فَمُهَلُّهُ مِنْ أَهْلِهِ، وَكَذَاكَ، حَتَّى أَهْلُ مَكَّةَ يُهِلُّونَ مِنْهَا
পরিচ্ছেদঃ ১৫/২. হজ্জ ও উমরাহর মীকাসমূহ।
৭৩৫. ইবনু ’উমার (রাঃ) হতে বর্ণিত। আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেনঃ মদীনাবাসীগণ যুলহুলাইফাহ হতে, সিরিয়াবাসীগণ জুহফা হতে ও নজদবাসীগণ কারণ হতে ইহরাম বাঁধবে। আবদুল্লাহ (রাঃ) বলেন, আমি (অন্যের মাধ্যমে) অবগত হয়েছি, আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ ইয়ামানবাসীগণ ইয়ালামলাম হতে ইহরাম বাঁধবে।
مواقيت الحج والْعمرة
حديث عَبْدِ اللهِ بْنِ عُمَرَ، أَنَّ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، قَالَ: يُهِلُّ أَهْلُ الْمَدينَةِ مِنْ ذِي الْحُلَيْفَةِ، وَأَهْلُ الشَّامِ مِنَ الْجُحْفَةِ، وَأَهْلُ نَجْدٍ مِنْ قَرْنٍ قَالَ عَبْدُ اللهِ: وَبَلَغَنِي أَنَّ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: وَيُهِلُّ أَهْلُ الْيَمَنِ مِنْ يَلَمْلَمَ
পরিচ্ছেদঃ ১৫/৩. তালবীয়াহ পাঠের গুণাগুণ এবং তার সময়।
৭৩৬, ’আবদুল্লাহ ইবনু ’উমার (রাঃ) হতে বর্ণিত। আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর তালবিয়া নিম্নরূপ (অর্থ) আমি হাযির হে আল্লাহ, আমি হাযির, আমি হাযির; আপনার কোন অংশীদার নেই, আমি হাযির। নিশ্চয়ই সকল প্রশংসা ও সকল নি’আমত আপনার এবং কর্তৃত্ব আপনারই, আপনার কোন অংশীদার নেই।
التلبية وصفتها ووقتها
حديث عَبْدِ اللهِ بْنِ عُمَرَ، أَنَّ تَلْبِيَةَ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: لَبَّيْكَ اللهُمَّ لَبَّيْكَ، لَبَّيْكَ لاَ شَرِيكَ لَكَ لَبَّيْكَ، إِنَّ الْحَمْدَ وَالنِّعْمَةَ لَكَ وَالْمُلْكَ لاَ شَرِيكَ لَكَ
পরিচ্ছেদঃ ১৫/৪. মদীনাবাসীদের জন্য মসজিদে যুল হুলাইফার নিকট থেকে ইহরাম বাঁধার নির্দেশ।
৭৩৭. ইবনু উমার (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আল্লাহ্র রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যুল হুলায়ফার মসজিদের নিকট হতে ইহরাম বেঁধেছেন।
أمر أهل المدينة بالإحرام من عند مسجد ذي الحليفة
حديث ابْنِ عُمَرَ، قَالَ: مَا أَهَلَّ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِلاَّ مِنْ عِنْدِ الْمَسْجِدِ، يَعْنِي مَسْجِدَ ذِي الْحُلَيْفَةِ
পরিচ্ছেদঃ ১৫/৫. পশুবাহন যাত্রার প্রস্তুতি নিলে তালবীয়াহ পাঠ।
৭৩৮. ’উবায়দ ইবনু জুরাইজ (রহঃ) হতে বর্ণিত। তিনি ’আবদুল্লাহ্ ইবনু ’উমার (রাঃ)-কে বললেন, ’হে আবূ ’আবদুর রহমান! আমি আপনাকে এমন চারটি কাজ করতে দেখি, যা আপনার অন্য কোন সাথীকে দেখি না। তিনি বললেন, ’ইবনু জুরায়জ, সেগুলো কী? তিনি বললেন, আমি দেখি, (১) আপনি তাওয়াফ করার সময় দু’ রুকনে ইয়ামানী ব্যতীত অন্য রুকন স্পর্শ করেন না। (২) আপনি সিবতী’ (পশমবিহীন) জুতা পরিধান করেন; (৩) আপনি (কাপড়ে) হলুদ রং ব্যবহার করেন এবং (৪) আপনি যখন মক্কায় থাকেন লোক চাঁদ দেখে ইহরাম বাঁধে; কিন্তু আপনি তারবিয়াহর দিন (৮ই যিলহজ্জ) না এলে ইহরাম বাঁধেন না।
’আবদুল্লাহ্ (রাঃ) বললেনঃ রুকনের কথা যা বলেছ, তা এজন্য করি যে আমি আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে ইয়ামানী রুকনদ্বয় ব্যতীত আর কোনটি স্পর্শ করতে দেখিনি। আর ’সিবতী’ জুতা, আমি আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে সিবতী জুতা পরতে এবং তা পরিহিত অবস্থায় উযূ করতে দেখেছি, তাই আমি তা পরতে ভালবাসি। আর হলুদ রং, আমি আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে তা দিয়ে কাপড় রঙিন করতে দেখেছি, তাই আমিও তা দিয়ে রঙিন করতে ভালবাসি। আর ইহরাম, আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে নিয়ে তার সওয়ারী রওনা না হওয়া পর্যন্ত আমি তাকে ইহরাম বাঁধতে দেখিনি।
الإهلال من حيث تنبعث الراحلة
حديث عَبْدِ اللهِ بْنِ عُمَرَ عَنْ عُبَيْدِ بْنِ جُرَيْجٍ، أَنَّهُ قَالَ لِعَبْدِ اللهِ بْنِ عُمَرَ: يَا أَبَا عَبْدِ الرَّحْمنِ رَأَيْتُكَ تَصْنَعُ أَرْبَعًا، لَمْ أَرَ أَحَدًا مِنْ أَصْحَابِكَ يَصْنَعُهَا قَالَ: وَمَا هِيَ يَا ابْنَ جُرَيْجٍ قَالَ: رَأَيْتُكَ لاَ تَمَسُّ مِنَ الأَرْكَانِ إِلاَّ الْيَمَانِيَيْنِ، وَرَأَيْتُكَ تَلْبَسُ النِّعَالَ السِّبْتِيَّةَ، وَرَأَيْتُكَ تَصْبُغُ بِالصُّفْرَةِ، وَرَأَيْتُكَ إِذَا كُنْتَ بِمَكَّةَ أَهَلَّ النَّاسُ إِذَا رَأَوُا الْهِلاَلَ، وَلَمْ تُهِلَّ أَنْتَ حَتَّى كَانَ يَوْمُ التَّرْوِيَة
قَالَ عَبْدُ اللهِ: أَمَّا الأَرْكَانُ، فَإِنِّي لَمْ أَرَ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَمَسُّ إِلاَّ الْيَمَانِيَيْنِ، وَأَمَّا النِّعَالُ السِّبْتِيَّةُ، فَإِنِّي رَأَيْتُ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَلْبَسُ النَّعْلَ الَّتي لَيْسَ فِيهَا شَعَرٌ، وَيَتَوَضَّأُ فِيهَا، فَأَنا أُحِبُّ أَنْ أَلْبَسَهَا وَأَمَّا الصُّفْرَةُ، فَإِنِّي رَأَيْتُ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَصْبُغُ بِهَا، فَأَنَا أُحِبُّ أُنْ أَصْبُغَ بِهَا وَأَمَّا الإِهْلاَلُ، فَإِنِّي لَمْ أَرَ رسُولَ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يُهِلُّ حَتَّى تَنْبَعِثَ بِهِ رَاحِلَتُهُ
পরিচ্ছেদঃ ১৫/৭. ইহরাম বাঁধার সময় মুহরিম ব্যক্তির সুগন্ধি ব্যবহার।
৭৩৯. নবী সহধর্মিণী আয়িশাহ্ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, ইহরাম বাধার সময় আমি আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর গায়ে সুগন্ধি মেখে দিতাম এবং বায়তুল্লাহ তাওয়াফের পূর্বে ইহরাম খুলে ফেলার সময়ও।
الطيب للمحرم عند الإحرام
حديث عَائِشَةَ، زَوْجِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، قَالَتْ: كنْتُ أُطَيِّبُ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لإِحْرَامِهِ حِينَ يُحْرِمُ، وَلِحِلِّهِ قَبْلَ أَنْ يَطُوفَ بِالْبَيْتِ
পরিচ্ছেদঃ ১৫/৭. ইহরাম বাঁধার সময় মুহরিম ব্যক্তির সুগন্ধি ব্যবহার।
৭৪০. ’আয়িশাহ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ আমি যেন এখনাে দেখছি, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর ইহরাম অবস্থায় তাঁর সিঁথিতে খুশবুর ঔজ্জ্বল্য রয়েছে।
الطيب للمحرم عند الإحرام
حديث عَائِشَةَ، قَالَتْ: كَأَنِّي أَنْظُرُ إِلَى وَبِيصِ الطِّيبِ فِي مَفْرِقِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَهُوَ مُحْرِمٌ
পরিচ্ছেদঃ ১৫/৭. ইহরাম বাঁধার সময় মুহরিম ব্যক্তির সুগন্ধি ব্যবহার।
৭৪১. মুহাম্মদ ইবনু মুনতাশির (রহঃ) হতে বর্ণিত। আমি ’আয়িশাহ (রাঃ)-কে জিজ্ঞেস করলাম এবং ’আবদুল্লাহ ইবনু ’উমার (রাঃ)-এর উক্তি উল্লেখ করলাম, “আমি এমন অবস্থায় ইহরাম বাঁধা পছন্দ করি না, যাতে সকালে আমার দেহ হতে সুগন্ধি ছড়িয়ে পড়ে।” ’আয়িশাহ (রাঃ) বললেনঃ আমি আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে সুগন্ধি লাগিয়েছি, তারপর তিনি পর্যায়ক্রমে তাঁর স্ত্রীদের সঙ্গে মিলিত হয়েছেন এবং তাঁর ইহরাম অবস্থায় সকাল হয়েছে।
الطيب للمحرم عند الإحرام
حديث عَائِشَةَ عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ الْمُنْتَشِرِ، قَالَ: سَأَلْتُ عَائِشَةَ فَذَكَرْتُ لَهَا قَوْلَ ابْنِ عُمَرَ: مَا أُحِبُّ أَنْ أُصْبِحَ مُحْرِمًا أَنْضَخُ طِيبًا فَقَالَتْ عَائِشَةُ: أَنَا طَيَّبْتُ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، ثُمَّ طَافَ فِي نِسَائِهِ، ثُمَّ أَصْبَحَ مُحْرِمًا
পরিচ্ছেদঃ ১৫/৮. মুহরিম ব্যক্তির জন্য শিকার করা হারাম।
৭৪২. সা’আব ইবনু জাস্সামাহ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি (সা’আব ইবনু জাসসামা), রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর জন্য একটি বন্য গাধা হাদিয়া পাঠালেন। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তখন আবওয়া কিংবা ওয়াদ্দান নামক স্থানে ছিলেন। তিনি হাদিয়া ফেরত পাঠালেন। পরে তার বিষন্ন মুখ দেখে বললেন, শুন! আমরা ইহরাম অবস্থায় না থাকলে তোমার হাদিয়া ফেরত দিতাম না।
تحريم الصيد للمحرم
حديث الصَّعْبِ بْنِ جَثَّامَةَ اللَّيْثِيِّ، أَنَّهُ أَهْدَى لِرَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، حِمَارًا وَحْشِيًّا، وَهُوَ بِالأَبْوَاءِ، أَوْ بِوَدَّانَ، فَرَدَّهُ عَلَيْهِ فَلَمَّا رَأَى مَا فِي وَجْهِهِ، قَالَ: إِنَّا لَمْ نَرُدَّهُ إِلاَّ أَنَّا حُرُمٌ
পরিচ্ছেদঃ ১৫/৮. মুহরিম ব্যক্তির জন্য শিকার করা হারাম।
৭৪৩. আবু কাতাদাহ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, মদীনাহ হতে তিন মারহালা দূরে অবস্থিত কাহা নামক স্থানে আমরা আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সাথে ছিলাম। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ও আমাদের কেউ ইহরামধারী ছিলেন আর কেউ ছিলেন ইহরামবিহীন। এ সময় আমি আমার সাথী সাহাবীদেরকে দেখলাম তারা একে অন্যকে কিছু দেখাচ্ছেন। আমি তাকাতেই একটি বন্য গাধা দেখতে পেলাম। (রাবী বলেন) এ সময় তার চাবুকটি পড়ে গেল। (তিনি আনিয়ে দেয়ার কথা বললে)। সকলেই বললেন, আমরা মুহরিম। তাই এ কাজে আমরা তোমাকে সাহায্য করতে পারব না। অবশেষে আমি নিজেই তা উঠিয়ে নিলাম, এরপর টিলার পিছন দিক হতে গাধাটির কাছে এসে তা শিকার করে সাহাবীদের কাছে নিয়ে আসলাম। তাদের কেউ বললেন, খাও, আবার কেউ বললেন, খেয়ো না। সুতরাং গাধাটি আমি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর নিকট নিয়ে আসলাম। তিনি আমাদের সকলের আগে ছিলেন। আমি তাঁকে জিজ্ঞেস করলাম। তিনি বললেনঃ খাও, এতো হালাল।
تحريم الصيد للمحرم
حديث أَبِي قَتَادَةَ رضي الله عنه، قَالَ: كُنَّا مَعَ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِالْقَاحَةِ، وَمِنَّا الْمُحْرِمُ وَمِنَّا غَيْرُ الْمُحْرِمِ، فَرَأَيْتُ أَصْحَابِي يَتَرَاءَوْنَ شَيْئًا، فَنَظَرْتُ فَإِذَا حِمَارُ وَحْشٍ، يَعْنِي؛ فَوَقَعَ سَوْطُهُ، فَقَالُوا لاَ نُعِينُكَ عَلَيْهِ بِشَيْءٍ إِنَّا مُحْرِمُونَ، فَتَنَاوَلْتُهُ فَأَخَذْتُهُ، ثُمَّ أَتَيْتُ الْحِمَارَ مِنْ وَرَاءِ أَكَمَةٍ فَعَقَرْتُهُ، فَأَتَيْتُ بِهِ أَصْحَابِي، فَقَالَ بَعْضُهُمْ: كُلُوا وَقَالَ بَعْضُهُمْ: لاَ تَأْكُلُوا فَأَتَيْتُ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، وَهُوَ أَمَامَنَا فَسَأَلْتُهُ، فَقَالَ: كُلُوهُ، حَلاَلٌ
পরিচ্ছেদঃ ১৫/৮. মুহরিম ব্যক্তির জন্য শিকার করা হারাম।
৭৪৪. আবদুল্লাহ ইবনু আবূ কাতাদাহ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমার পিতা হুদাইবিয়ার বছর (শত্রুদের তথ্য অনুসন্ধানের জন্য) বের হলেন। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর সাহাবীগণ ইহরাম বাঁধলেন কিন্তু তিনি ইহরাম বাধলেন না। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে বলা হল, একটি শত্রুদল তাঁর সাথে যুদ্ধ করতে চায়। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সামনে অগ্রসর হতে লাগলেন। এ সময় আমি তার সাহাবীদের সাথে ছিলাম। হঠাৎ দেখি যে, তারা একে অন্যের দিকে তাকিয়ে হাসাহাসি করছে। আমি তাকাতেই একটি বন্য গাধা দেখতে পেলাম। অমনিই আমি বর্শা দিয়ে আক্রমণ করে তাকে ধরাশায়ী করে ফেলি। সঙ্গীদের নিকট সহযোগিতা কামনা করলে সকলে আমাকে সহযোগিতা করতে অস্বীকার করল। এরপর আমরা সকলেই ঐ বন্য গাধার মাংস খেলাম। এতে আমরা নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হতে বিচ্ছিন্ন হয়ে যাবার আশঙ্কা করলাম।
তাই নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর সন্ধানে আমার ঘােড়াটিকে কখনো দ্রুত কখনো আস্তে চালাচ্ছিলাম। মাঝ রাতের দিকে গিফার গোত্রের এক লোকের সাথে সাক্ষাৎ হলে আমি তাকে জিজ্ঞেস করলাম যে, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে কোথায় রেখে এসেছ? সে বললো, তাহিন নামক স্থানে আমি তাকে রেখে এসেছি। এখন তিনি সুকয়া নামক স্থানে কায়লূলায় (দুপুরের বিশ্রামে) আছেন। আমি বললাম, হে আল্লাহর রাসূল! আপনার সাহাবীগণ আপনার প্রতি সালাম পাঠিয়েছেন এবং আল্লাহর রহমত কামনা করেছেন। তাঁরা আপনার হতে বিচ্ছিন্ন হওয়ার আশঙ্কা করছেন। তাই আপনি তাদের জন্য অপেক্ষা করুন। অতঃপর আমি পুনরায় বললাম, হে আল্লাহর রাসূল! আমি একটি বন্য গাধা শিকার করেছি। এখনাে তার বাকী অংশটুকু আমার নিকট রয়েছে। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কাওমের প্রতি লক্ষ্য করে বললেনঃ তোমরা খাও। অথচ তারা সকলেই তখন ইহরাম অবস্থায় ছিলেন।
تحريم الصيد للمحرم
حديث أَبِي قَتَادَةَ عَنْ عَبْدِ اللهِ بْنِ أَبِي قَتَادَةَ، قَالَ: انْطَلَقَ أَبِي، عَامَ الحُدَيْبِيَةِ، فَأَحْرَمَ أَصْحَابُهُ وَلَمْ يُحْرِمْ وَحُدِّثَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، أَنَّ عَدُوًّا يَغْزُوهُ، فَانْطَلَقَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ؛ فَبَيْنَمَا أَنَا مَعَ أَصْحَابِهِ، تَضَحَّكَ بَعْضُهُمْ إِلَى بَعْضٍ، فَنَظَرْتُ فَإِذَا أَنَا بِحِمَارِ وَحْشٍ فَحَمَلْتُ عَلَيْهِ فَطَعَنْتُهُ فَأَثْبَتُّهُ، وَاسْتَعَنْتُ بِهِمْ، فَأَبَوْا أَنْ يُعِينُوني، فَأَكَلْنَا مِنْ لَحْمِهِ، وَخَشِينَا أَنْ نُقْتَطَعَ، فَطَلَبْتُ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَرْفَعُ فَرَسِي شَأْوًا وَأَسِيرُ شَأْوًا، فَلَقِيت رَجُلاً مِنْ بَنِي غِفَارٍ فِي جَوْفِ اللَّيْلِ؛ قُلْتُ: أَيْنَ تَرَكْتَ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: تَرَكْتُهُ بِتَعْهنَ، وَهُوَ قَايِلٌ السُّقْيَا فَقُلْتُ: يَا رَسُولَ اللهِ إِنَّ أَهْلَكَ يَقْرَءُونَ عَلَيْكَ السَّلاَمَ وَرَحْمَةَ اللهِ، إِنَّهُمْ قَدْ خَشُوا أَنْ يُقْتَطَعُوا دُونَكَ فَانْتَظِرْهُمْ قُلْتُ: يَا رَسُولَ اللهِ أَصَبْتُ حِمَارَ وَحْشٍ وَعِنْدِي مِنْهُ فَاضِلَةٌ، فَقَالَ لِلْقَوْمِ: كُلُوا وَهُمْ مُحْرِمُونَ
পরিচ্ছেদঃ ১৫/৮. মুহরিম ব্যক্তির জন্য শিকার করা হারাম।
৭৪৫. আবূ কাতাদাহ্ (রাঃ) বর্ণিত হাদীস। আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হজ্জে যাত্রা করলে তারাও সকলে যাত্রা করলেন। তাঁদের হতে একটি দলকে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম অন্য পথে পাঠিয়ে দেন। তাঁদের মধ্যে আবু কাতাদাহ্ (রাঃ)-ও ছিলেন। আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ তোমরা সমুদ্র তীরের রাস্তা ধরে অগ্রসর হবে আমাদের পরস্পর সাক্ষাৎ হওয়া পর্যন্ত। তাই তারা সকলেই সমুদ্র তীরের পথ ধরে চলতে থাকেন। ফিরার পথে তারা সবাই ইহরাম বাধলেন কিন্তু আবূ কাতাদাহ্ ইহরাম বাধলেন না। পথ চলতে চলতে হঠাৎ তারা কতগুলো বন্য গাধা দেখতে পেলেন। আবূ কাতাদাহ্ (রাঃ) গাধাগুলোর উপর হামলা করে একটি মাদী গাধাকে হত্যা করে ফেললেন। এরপর এক স্থানে অবতরণ করে তাঁরা সকলেই এর মাংস খেলেন। অতঃপর বললেন, আমরা তো মুহরিম, এ অবস্থায় আমরা কি শিকার্য জন্তুর মাংস খেতে পারি?
তাই আমরা গাধাটির অবশিষ্ট মাংস উঠিয়ে নিলাম। তাঁরা আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর নিকট পৌছে বললেন, হে আল্লাহর রাসূল! আমরা ইহরাম বেঁধেছিলাম কিন্তু আবূ কাতাদাহ (রাঃ) ইহরাম বাঁধেননি। এ সময় আমরা কতকগুলো বন্য গাধা দেখতে পেলাম। আবূ কাতাদাহ (রাঃ) এগুলোর উপর আক্রমণ করে একটি মাদী গাধা হত্যা করে ফেললেন। এক স্থানে অবতরণ করে আমরা সকলেই এর মাংস খেয়ে নিই। এরপর বললাম, আমরা তো মুহরিম, এ অবস্থায় আমরা কি শিকারকৃত জানােয়ারের মাংস খেতে পারি? এখন আমরা এর অবশিষ্ট মাংস নিয়ে এসেছি। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ তোমাদের কেউ কি এর উপর আক্রমণ করতে তাকে আদেশ বা ইঙ্গিত করেছ? তারা বললেন, না, আমরা তা করিনি। আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ তাহলে বাকী মাংস তোমরা খেয়ে নাও।
تحريم الصيد للمحرم
حديث أَبِي قَتَادَةَ أَنَّ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ خَرَجَ حَاجًّا، فَخَرَجُوا مَعَهُ، فَصَرَفَ طَائِفَةً مِنْهُمْ، فِيهِمْ أَبُو قَتَادَةَ؛ فَقَالَ: خُذُوا سَاحِلَ الْبَحْرِ حَتَّى نَلْتَقِيَ فَأَخَذُوا سَاحِلَ الْبَحْرِ، فَلَمَّا انْصَرَفُوا أَحْرَمُوا كُلُّهُمْ، إِلاَّ أَبُو قَتَادَةَ لَمْ يُحْرِمْ؛ فَبَيْنَمَا هُمْ يَسِيرُونَ إِذْ رَأَوْا حُمُرَ وَحْشٍ، فَحَمَلَ أَبُو قَتَادَةَ عَلَى الْحُمُرِ فَعَقَرَ مِنْهَا أَتَانًا، فَنَزَلُوا فأَكَلُوا مِنْ لَحْمِهَا، وَقَالُوا: أَنَأْكُلُ لَحْمَ صَيْدٍ وَنَحْنُ مُحْرِمُونَ فَحَمَلْنَا مَا بَقِيَ مِنْ لَحْمِ الأَتَانِ، فَلَمَّا أَتَوْا رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، قَالُوا: يَا رَسُولَ اللهِ إِنَّا كُنَّا أَحْرَمْنَا، وَقَدْ كَانَ أبُو قَتَادَةَ لَمْ يُحْرِمْ، فَرَأَيْنَا حُمُرَ وَحْشٍ، فَحَمَلَ عَلَيْهَا أَبُو قَتَادَةَ، فَعَقَرَ مِنْهَا أَتَانًا، فَنَزَلْنَا فَأَكَلْنَا مِنْ لَحْمِهَا، ثُمَّ قُلْنَا: أَنَأْكُلُ لَحْمَ صَيْدٍ وَنَحْنُ مُحْرِمُونَ فَحَمَلْنَا مَا بَقي مِنْ لَحْمِهَا، قَالَ: مِنْكُمْ أَحَدٌ أَمَرَهُ أَنْ يَحْمِلَ عَلَيْهَا أَوْ أَشَارَ إِلَيْهَا قَالُوا: لاَ قَالَ: فَكُلُوا مَا بَقِيَ مِنْ لَحْمِهَا
পরিচ্ছেদঃ ১৫/৯. হারাম শরীফের আওতার ভিতর এবং আওতার বাইরে মুহরিম এবং অন্যান্যদের জন্য যে সমস্ত প্ৰাণী হত্যা করার অনুমতি আছে।
৭৪৬. ’আয়িশাহ্ (রাঃ) হতে বর্ণিত। আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ পাঁচ প্রকার প্রাণী এত ক্ষতিকর যে, এগুলোক হারামের মধ্যেও হত্যা করা যেতে পারে। (যেমন) কাক, চিল, বিচ্ছু, ইদুর ও হিংস্র কুকুর।
ما يندب للمحرم وغيره قتله من الدواب في الحل والحرم
حديث عَائِشَةَ، أَنَّ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، قَالَ: خَمْسٌ مِنَ الدَّوَابِّ، كُلُّهُنَّ فَاسِقٌ، يُقْتَلْنَ فِي الْحَرَمِ: الْغُرَابُ وَالْحِدَأَةُ وَالْعَقْرَبُ وَالْفَأْرَةُ وَالْكَلْبُ الْعَقُورُ
পরিচ্ছেদঃ ১৫/৯. হারাম শরীফের আওতার ভিতর এবং আওতার বাইরে মুহরিম এবং অন্যান্যদের জন্য যে সমস্ত প্ৰাণী হত্যা করার অনুমতি আছে।
৭৪৭. হাফসাহ (রাঃ) বর্ণনা করেছেন, তিনি বলেন, আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ পাঁচ প্রকার প্রাণী যে হত্যা করবে তার কোন দোষ নেই। (যেমন) কাক, চিল, ইদুর, বিচ্ছু ও হিংস্র কুকুর।
ما يندب للمحرم وغيره قتله من الدواب في الحل والحرم
حديث حَفْصَةَ، قَالَتْ: قَالَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: خَمْسٌ مِنَ الدَّوَابِّ لاَ حَرَجَ عَلَى مَنْ قَتَلَهُنَّ: الْغُرَابُ وَالْحِدَأَةُ وَالْفَأْرَةُ وَالْعَقْرَبُ وَالْكَلْبُ الْعَقُورُ
পরিচ্ছেদঃ ১৫/৯. হারাম শরীফের আওতার ভিতর এবং আওতার বাইরে মুহরিম এবং অন্যান্যদের জন্য যে সমস্ত প্ৰাণী হত্যা করার অনুমতি আছে।
৭৪৮. আবদুল্লাহ ইবনু ’উমার (রাঃ) হতে বর্ণিত। আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেনঃ পাঁচ প্রকার প্রাণী হত্যা করা মুহরিমের জন্য দূষণীয় নয়।
ما يندب للمحرم وغيره قتله من الدواب في الحل والحرم
حديث عَبْدِ اللهِ بْنِ عُمَرَ، أَنَّ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، قَالَ: خَمْسٌ مِنَ الدَّوَابِّ لَيْسَ عَلَى الْمُحْرِمِ فِي قَتْلِهِنَّ جُنَاحٌ
পরিচ্ছেদঃ ১৫/১০. মুহরিম ব্যক্তির মাথা মুণ্ডন করা বৈধ। এর (চুলের) মাধ্যমে যদি কষ্ট পায় এবং তার মাথা মুণ্ডনের কারণে ফিদ্য়াহ দেয়া অপরিহার্য এবং ফিদ্য়াহ আদায়ের পরিমাণের বর্ণনা।
৭৪৯. কা’ব ইনু ’উজরাহ (রাঃ) হতে বর্ণিত আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, বোধ হয় তোমার এই পোকাগুলো (উকুন) তোমাকে খুব তাকলীফ দিচ্ছে? তিনি বললেন, হ্যাঁ, হে আল্লাহর রাসূল। এরপর আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, তুমি মাথা মুণ্ডন করে ফেল এবং তিন দিন সিয়াম পালন কর অথবা ছয়জন মিসকীনকে আহার করাও কিংবা একটা বকরী কুরবানী কর।
جواز حلق الرأس للمحرم إِذا كان به أذى ووجوب الفدية لحلقه وبيان قدرها
حديث كَعْبِ بْنِ عُجْرَةَ رضي الله عنه، عَنْ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، أَنَّهُ قَالَ: لَعَلَّكَ آذاكَ هَوَامُّكَ قَالَ: نَعَمْ يَا رَسُولَ اللهِ فَقَالَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: احْلِقْ رَأْسَكَ، وَصُمْ ثَلاَثَةَ أَيَّامٍ، أَوْ أَطْعِمْ سِتَّةَ مَسَاكِينَ، أَوِ انْسُكْ بِشَاةٍ
পরিচ্ছেদঃ ১৫/১০. মুহরিম ব্যক্তির মাথা মুণ্ডন করা বৈধ। এর (চুলের) মাধ্যমে যদি কষ্ট পায় এবং তার মাথা মুণ্ডনের কারণে ফিদ্য়াহ দেয়া অপরিহার্য এবং ফিদ্য়াহ আদায়ের পরিমাণের বর্ণনা।
৭৫০. আবদুল্লাহ ইবনু মাকিল (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি কা’ব ইবনু উজরাহ-এর নিকট এই কৃফার মসজিদে বসে থাকাকালে সওমের ফিদয়াহ সম্পর্কে জিজ্ঞেস করলাম। তিনি বললেন, আমার চেহারায় উকুন ছড়িয়ে পড়া অবস্থায় আমাকে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর কাছে আনা হয়। তিনি তখন বললেন, আমি মনে করি যে, এতে তোমার কষ্ট হচ্ছে। তুমি কি একটি বাকী সংগ্ৰহ করতে পার? আমি বললাম, না। তিনি বললেন, তুমি তিনদিন সওম পালন কর অথবা ছয়জন দরিদ্রকে খাদ্য দান কর। প্রতিটি দরিদ্রকে অর্ধ সাং খাদ্য দান করতে হবে এবং তোমার মাথার চুল কামিয়ে ফেল। তখন আমার ব্যাপারে বিশেষভাবে আয়াত অবতীর্ণ হয়। তবে আমাদের সকলের জন্য এই হুকুম।
جواز حلق الرأس للمحرم إِذا كان به أذى ووجوب الفدية لحلقه وبيان قدرها
حديث كَعْبِ بْنِ عُجْرَةَ عَنْ عَبْدِ اللهِ بْنِ مَعْقِلٍ، قَالَ: قَعَدْتُ إِلَى كَعْبِ بْنِ عُجْرَةَ فِي هذَا الْمَسْجِدِ، يَعْنِي مَسْجِدَ الْكُوفَةِ، فَسَأَلْتُهُ عَنْ (فِدْيَةٌ مِنْ صِيَامٍ) فَقَالَ: حُمِلْتُ إِلَى النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، وَالْقَمْلُ يَتَنَاثَرُ عَلَى وَجْهِي، فَقَالَ: مَا كُنْتُ أُرَى أَنَّ الْجَهْدَ قَدْ بَلَغَ بِكَ هذَا، أَمَا تَجِدُ شَاةً قُلْتُ: لاَ، قَالَ: صُمْ ثَلاَثَةَ أَيَّامٍ، أَوْ أَطْعِمْ سِتَّةَ مَسَاكِينَ، لِكُلِّ مِسْكِينٍ نِصْفُ صَاعٍ مِنْ طَعَامٍ، وَاحْلِقْ رَأْسَكَ فَنَزَلَتْ فِيَّ خَاصَّةً، وَهِيَ لَكُمْ عَامَّةً