৭৫৮

পরিচ্ছেদঃ ১৫/১৭. ইহরামের প্রকারভেদ, আর তা হজ্জে ইফরাদ এবং তামাত্তু এবং ক্বিরান এবং হজ্জ ও উমরাহ্কে যুক্ত করা বৈধ এবং হজ্জ ক্বারেন আদায়কারী কখন তার ইহরাম থেকে হালাল হবে।

৭৫৮. আয়িশাহ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমরা আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর সঙ্গে হজ্জের ইহরাম বেঁধে বের হলাম, হজ্জ্বের মাসে এবং হজ্জের কার্যাদি পালনের উদ্দেশ্যে। যখন সারিফ নামক স্থানে অবতরণ করলাম, তখন নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাঁর সাহাবীগণকে বললেনঃ যার সাথে কুরবানীর জানােয়ার নেই এবং সে এই ইহরামকে ’উমরায় পরিণত করতে চায়, সে যেন তা করে নেয় (অর্থাৎ উমরাহ করে হালাল হয়)। আর যার সাথে কুরবানীর জানােয়ার আছে সে এরূপ করবে না। (অর্থাৎ হালাল হতে পারবে না)। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ও তাঁর কয়েকজন সমর্থ সাহাবীর নিকট কুরবানীর জানােয়ার ছিল, তাদের হাজ্জ ’উমরাহয় পরিণত হল না।

(আয়িশাহ (রাঃ) বললেন) আমি কাঁদছিলাম, এমতাবস্থায় নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমার নিকট এসে বললেনঃ তোমাকে কিসে কাঁদাচ্ছে? আমি বললাম, আপনি আপনার সাহাবীগণকে যা বলেছেন, আমি তা শুনেছি। আমি তো ’উমরাহ হতে বাধাপ্রাপ্ত হয়ে গেছি। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ তোমার কী অবস্থা? আমি বললাম, আমি তো সালাত আদায় করছি না (ঋতুবতী অবস্থায়)। তিনি বললেনঃ এতে তোমার ক্ষতি হবে না। তুমি তো আদম কন্যাদেরই একজন। তাদের অদৃষ্টে যা লেখা ছিল তোমার জন্যও তা লিখিত হয়েছে। সুতরাং তুমি তোমার হাজ্জ আদায় কর। সম্ভবতঃ আল্লাহ তা’আলা তোমাকে ’উমরাহও দান করবেন।

’আয়িশাহ্ (রাঃ) বলেন, আমি এ অবস্থায়ই থেকে গেলাম এবং পরে মিনা হতে প্রত্যাবর্তন করে মুহাস্‌সাবে অবতরণ করলাম। অতঃপর নবীসাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আবদুর রহমান [আয়িশাহ (রাঃ)-এর সহােদর ভাই)-কে ডেকে বললেনঃ তুমি তোমার বোনকে হারামের বাইরে নিয়ে যাও। সেখান হতে যেন সে উমরাহ’র ইহরাম বাঁধে। অতঃপর তোমরা তাওয়াফ করে নিবে। আমি আমাদের জন্য এখানে অপেক্ষা করব। আমরা মধ্যরাতে এলাম। তিনি বললেনঃ তোমরা কি তাওয়াফ সমাধা করেছ? আমি বললাম, হ্যাঁ। এ সময় তিনি সাহাবীগণকে রওয়ানা হওয়ার ঘোষণা দিলেন। তাই লোকজন এবং যারা ফজরের পূর্বে তাওয়াফ করেছিলেন তাঁরা রওয়ানা হলেন। অতঃপর নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মদীনাহ অভিমুখে রওয়ানা হলেন।

بيان وجوه الإحرام وأنه يجوز إِفراد الحج والتمتع والقران وجواز إِدخال الحج على العمرة، ومتى يحل القارن من نسكه

حديث عَائِشَةَ، قَالَتْ: خَرَجْنَا مُهِلِّينَ بِالْحَجِّ فِي أَشْهُرِ الْحَجِّ وَحُرُمِ الْحَجِّ، فَنَزَلْنَا سَرِفَ، فَقَالَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ َلاصْحَابِهِ: مَنْ لَمْ يَكُنْ مَعَهُ هَدْىٌ فَأَحَبَّ أَنْ يَجْعَلَهَا عُمْرَةً فَلْيَفْعَلْ، وَمَنْ كَانَ مَعَهُ هَدْيٌ فَلاَ وَكَانَ مَعَ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَرِجَالٍ مِنْ أَصْحَابِهِ ذَوِي قُوَّةٍ الْهَدْىُ، فَلَمْ تَكُنْ لَهُمْ عُمْرَةً، فَدَخَلَ عَلَيَّ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَأَنَا أَبْكِي، فَقَالَ: مَا يُبْكِيكِ قُلْتُ: سَمِعْتُكَ تَقُولُ َلأصْحَابِكَ مَا قُلْتَ فَمُنِعْتُ الْعُمْرَةَ، قَالَ: وَمَا شَأْنُكِ قُلْتُ: لاَ أُصَلِّي قَالَ: فَلاَ يَضُرَّكِ، أَنْتِ مِنْ بَنَاتِ آدَمَ، كُتِبَ عَلَيْكِ مَا كُتِبَ عَلَيْهِنَّ، فَكُونِي فِي حَجَّتِكِ، عَسى اللهُ أَنْ يَرْزُقَكِهَا
قَالَتْ: فَكُنْتُ، حَتَّى نَفَرْنَا مِنْ مِنًى، فَنَزَلْنَا الْمُحَصَّبَ، فَدَعَا عَبْدَ الرَّحْمنِ، فَقَالَ: اخْرُجْ بِأخْتِكَ الْحَرَمَ، فَلْتَهِلَّ بِعُمْرَةٍ، ثُمَّ افْرُغَا مِنْ طَوَافِكمَا أَنْتَظِرْكُمَا ههُنَا فَأَتَيْنَا فِي جَوْفِ اللَّيْلِ، فَقَالَ: فَرَغْتُمَا قُلْتُ: نَعَمْ فَنَادَى بِالرَّحِيلِ فِي أَصْحَابِهِ، فَارْتَحَلَ النَّاسُ وَمَنْ طَافَ بِاللَّيْلِ قَبْلَ صَلاَةِ الصُّبْحِ، ثُمَّ خَرَجَ مُوَجِّهًا إِلَى الْمَدِينَةِ

حديث عاىشة، قالت: خرجنا مهلين بالحج في اشهر الحج وحرم الحج، فنزلنا سرف، فقال النبي صلى الله عليه وسلم لاصحابه: من لم يكن معه هدى فاحب ان يجعلها عمرة فليفعل، ومن كان معه هدي فلا وكان مع النبي صلى الله عليه وسلم ورجال من اصحابه ذوي قوة الهدى، فلم تكن لهم عمرة، فدخل علي النبي صلى الله عليه وسلم وانا ابكي، فقال: ما يبكيك قلت: سمعتك تقول لاصحابك ما قلت فمنعت العمرة، قال: وما شانك قلت: لا اصلي قال: فلا يضرك، انت من بنات ادم، كتب عليك ما كتب عليهن، فكوني في حجتك، عسى الله ان يرزقكها قالت: فكنت، حتى نفرنا من منى، فنزلنا المحصب، فدعا عبد الرحمن، فقال: اخرج باختك الحرم، فلتهل بعمرة، ثم افرغا من طوافكما انتظركما ههنا فاتينا في جوف الليل، فقال: فرغتما قلت: نعم فنادى بالرحيل في اصحابه، فارتحل الناس ومن طاف بالليل قبل صلاة الصبح، ثم خرج موجها الى المدينة

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
আল-লুলু ওয়াল মারজান
১৫/ হজ্জ (كتاب الحج)