৪৩২৬

পরিচ্ছেদঃ প্রথম অনুচ্ছেদ

৪৩২৬-[২৩] আনাস (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যুবায়র ও ’আবদুর রহমান ইবনু ’আওফ (রাঃ)-কে তাদের উভয়ের চর্মরোগের দরুন রেশমী কাপড় পরিধানের অনুমতি দিয়েছেন। (বুখারী ও মুসলিম)[1]

الْفَصْلُ الْأَوْلُ

وَعَن أنسٍ قَالَ: رَخَّصَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لِلزُّبَيْرِ وَعَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ عَوْفٍ فِي لبس الْحَرِير لحكة بهما
وَفِي رِوَايَة لمُسلم قَالَ: إنَّهُمَا شكوا من الْقمل فَرخص لَهما فِي قمص الْحَرِير

وعن انس قال: رخص رسول الله صلى الله عليه وسلم للزبير وعبد الرحمن بن عوف في لبس الحرير لحكة بهما وفي رواية لمسلم قال: انهما شكوا من القمل فرخص لهما في قمص الحرير

ব্যাখ্যাঃ ‘আবদুর রহমান ইবনু ‘আওফ এবং যুবায়র (রাঃ)-কে রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম রেশমী কাপড় পরিধান করতে অনুমতি প্রদান করেছেন চুলকানী বা চর্মরোগের কারণে। কিন্তু মুসলিম-এর বর্ণনায় এসেছে, তারা দু’জন উকুনের অভিযোগ করলে তিনি তার প্রতিকারের জন্য রেশমী জামা পরিধানের অনুমতি প্রদান করেন। বস্তুত উকুনের কারণে শরীরে চুলকানী হয়ে থাকে, তাই চুলকানীর কারণে কিংবা উকুনের কারণে রেশমী কাপড় পরার অনুমতি প্রদান কোনটি কোনটির বিরোধী কথা নয়।

ইবনুল মালিক (রহিমাহুল্লাহ) বলেনঃ এ হাদীস প্রমাণ করে, চর্ম রোগের কারণে রেশমী বস্ত্র পরিধান করা বৈধ। অন্যান্যরা বলেছেন, চর্মরোগ কিংবা উকুনের কারণে রেশমী বস্ত্র ব্যবহার তো বিনা ইখতিলাফে জায়িয, অন্য যে কোন ওযরের কারণেই তা পরিধান বৈধ। ইমাম নাবাবী (রহিমাহুল্লাহ) বলেনঃ প্রয়োজন মুহূর্তে এবং প্রয়োজন পরিমাণই কেবল বৈধ তা যেভাবেই হোক না কেন। (মিরক্বাতুল মাফাতীহ; ফাতহুল বারী ১০ম খন্ড, হাঃ ৫৮৩৯; তুহ্ফাতুল আহ্ওযাযী ৫ম খন্ড, হাঃ ১৭২২)


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত)
পর্ব-২২: পোশাক-পরিচ্ছদ (كتاب اللباس )