৪৩২৫

পরিচ্ছেদঃ প্রথম অনুচ্ছেদ

৪৩২৫-[২২] আসমা বিনতু আবূ বকর (রাঃ) হতে বর্ণিত। একদিন তিনি সূচীকর্ম খচিত এমন একটি জুব্বা বের করলেন, যা রেশম দ্বারা নকশী করা ছিল এবং তার গলা ও বুকের পট্টিগুলো রেশম দ্বারা জড়ানো ছিল। আর তিনি বলেনঃ তা ছিল রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর জুব্বা। তা ’আয়িশাহ্ (রাঃ)-এর নিকটই ছিল, তাঁর ইন্তিকালের পর আমিই তা হস্তগত করেছি। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তা পরিধান করতেন, এখন আমরা তাকে ধুয়ে উক্ত পানি দ্বারা রোগীদের রোগমুক্তি কামনা করি। (মুসলিম)[1]

الْفَصْلُ الْأَوْلُ

وَعَن أسماءَ بنت أبي بكر: أَنَّهَا أَخْرَجَتْ جُبَّةَ طَيَالِسَةٍ كِسْرَوَانِيَّةٍ لَهَا لِبْنَةُ ديباجٍ وفُرجَيْها مكفوفَين بالديباجِ وَقَالَت: هَذِه جبَّةُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ كَانَتْ عِنْدَ عَائِشَةَ فَلَمَّا قُبِضَتْ قَبَضْتُهَا وَكَانَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَلْبَسُهَا فَنَحْنُ نَغْسِلُهَا للمَرضى نستشفي بهَا. رَوَاهُ مُسلم

وعن اسماء بنت ابي بكر: انها اخرجت جبة طيالسة كسروانية لها لبنة ديباج وفرجيها مكفوفين بالديباج وقالت: هذه جبة رسول الله صلى الله عليه وسلم كانت عند عاىشة فلما قبضت قبضتها وكان النبي صلى الله عليه وسلم يلبسها فنحن نغسلها للمرضى نستشفي بها. رواه مسلم

ব্যাখ্যাঃ (طَيَالِسَةٍ) শব্দটি বহুবচন, একবচনে طَيْلَسَانٍ। অর্থ- মুত্তাক্বী ব্যক্তিদের পরিধেয় সবুজ রংয়ের পোশাক বিশেষ। কেউ কেউ বলেন, এটা অনারব বুজুর্গ ব্যক্তিদের কালো রংয়ের পোশাক। যে পোশাকের দৈর্ঘ্য ও প্রস্থে রয়েছে পশম। ইমাম নাবাবী (রহিমাহুল্লাহ) বলেনঃ এটা হলো কালো পশমী জুব্বা। যার পকেটের উপরে নকশাদার রেশমী ফিতা ছিল।

ব্যাখ্যাকার বলেনঃ রেশমী কাপড়ের ফিতা দিয়ে গম্বুজের মতো উঁচু করে পোশাকে নকশা বানানো। অর্থাৎ কাপড়ের উপর থেকে নীচ পর্যন্ত প্রত্যেক টুকরার এক পাশে রেশমী কাপড় দিয়ে সেলাই দেয়া। সামনে এবং পিছনের দিক থেকে আলাদা আলাদা রেশমী কাপড় দিয়ে সেলাইকৃত। কেউ কেউ বলেন, রেশমী কাপড় দিয়ে জামার পকেট ও হাতার পার্শ্বদেশ সেলাই করা এবং গম্বুজের মতো উঁচু করে কাপড়ে নকশা করা।

উক্ত হাদীস ও ‘ইমরান ইবনু হুসায়ন থেকে বর্ণিত, পরস্পর বিরোধী উভয়ের সামঞ্জস্য বিধানে বলা যায় যে, (وَلَا أَلْبَسُ الْقَمِيصَ الْمُكَفَّفَ بِالْحَرِيرِ) অর্থাৎ ‘রেশমী দ্বারা সেলাইকৃত জামা আমি পরিধান করব না।’ কিছুটা সৌন্দর্য ও বিলাসিতা থাকায়, উক্ত পোশাককে অপছন্দ করেছেন। অপর রেশমী কাপড় মিশ্রিত জুব্বাতে এমনটি ছিল না, তাই তিনি সেটি পরিধান করেছিলেন।

ইমাম কাযী ‘ইয়ায (রহিমাহুল্লাহ) বলেনঃ রেশমী কাপড় দ্বারা সেলাইকৃত নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর জুব্বাটি দ্বারা উদ্দেশ্য হলো, যার মধ্যে চার আঙ্গুলের কম রেশমী কাপড় ছিল, যা পরিধান হারাম নয়। অবশ্য পরিমাণের বিষয়টি অস্পষ্ট ও অনির্ধারিত, প্রকৃত অবস্থা আল্লাহই ভালো জানেন।

(মিরক্বাতুল মাফাতীহ; ‘আওনুল মা‘বূদ ৭ম খন্ড, হাঃ ৪০৫০)


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত)
পর্ব-২২: পোশাক-পরিচ্ছদ (كتاب اللباس )