৪৩২১

পরিচ্ছেদঃ প্রথম অনুচ্ছেদ

৪৩২১-[১৮] হুযায়ফাহ্ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেছেনঃ রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাদেরকে সোনা-রূপার পাত্রে পান এবং আহার করতে, মিহি ও মোটা রেশমী কাপড় পরিধান করতে এবং তার উপরে বসতে নিষেধ করেছেন। (বুখারী ও মুসলিম)[1]

الْفَصْلُ الْأَوْلُ

وَعَنْ حُذَيْفَةَ قَالَ: نَهَانَا رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَنْ نَشْرَبَ فِي آنِيَةِ الْفِضَّةِ وَالذَّهَبِ وَأَنْ نَأْكُلَ فِيهَا وَعَنْ لُبْسِ الْحَرِيرِ وَالدِّيبَاجِ وَأَنْ نَجْلِسَ عَلَيْهِ

وعن حذيفة قال: نهانا رسول الله صلى الله عليه وسلم ان نشرب في انية الفضة والذهب وان ناكل فيها وعن لبس الحرير والديباج وان نجلس عليه

ব্যাখ্যাঃ স্বর্ণ-রূপার পাত্রে খানাপিনা নিষেধাজ্ঞা সংক্রান্ত বিস্তারিত ব্বিরণ খানাপিনার অধ্যায়ে রয়েছে।

এখানে রেশমী বস্ত্র পরিধানের বিষয় আলোচিত হলো :

ফাতাওয়ায়ে কাযীখানে উল্লেখ রয়েছে যুদ্ধের সময় হোক বা অন্য সময়, নিরেট রেশমী তথা সম্পূর্ণ রেশমী কাপড় পরিধান হারাম। যে রেশমী পরিধান করবে সেই পাপী। ইমাম আবূ ইউসুফ ও মুহাম্মাদ (রহিমাহুমাল্লাহ) বলেনঃ যুদ্ধের সময় রেশমী কাপড় পরিধানে কোন অসুবিধা নেই। যদি কাপড়ের লম্বা দিকের সূতা রেশমী না হয় প্রস্থ্যের সুতা রেশমী হয় তাহলে এ ধরনের পোশাক যুদ্ধের বাহিরে পরিধান করা মাকরূহ, যুদ্ধের সময় বৈধ। আর যে কাপড়ে লম্বা দিকের সূতা রেশমী এবং প্রস্থ্যের দিকে রেশমীহীন তা সর্বাবস্থায় পরিধান বৈধ। ইমাম আবূ হানীফাহ্ (রহিমাহুল্লাহ) বলেনঃ রেশমী কাপড় বিছানো এবং এতে ঘুমাতে কোন অসুবিধা নেই। অনুরূপভাবে রেশমী কাপড়ের বালিশ, পর্দা, গিলাফ ইত্যাদি ব্যবহার বৈধ, যদি এতে কোন ধরনের মূর্তির নকশা না থাকে।

অপরদিকে ইমাম আবূ ইউসুফ ও মুহাম্মাদ এগুলোকেও মাকরূহ বলেছেন।

মোটকথা তাদের উভয়ের নিকট হাদীসে ব্যবহৃত নিষেধটা হারাম পর্যায়ের। আর আবূ হানীফাহ্ (রহিমাহুল্লাহ)-এর নিকট মাকরূহে তানযীহি পর্যায়ের।

এই রেশমী বস্ত্র শিশুদেরও পরিধান করানো যাবে না। আর এ নিষেধাজ্ঞা নারীদের জন্য নয়, কেবল পুরুষদের জন্য প্রযোজ্য।

(মিরক্বাতুল মাফাতীহ; ফাতহুল বারী ১০ম খন্ড, হাঃ ৫৮৩৭, তুহফাতুল আহওয়াযী ৫ম খন্ড, হাঃ ১৮৭৮)


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত)
পর্ব-২২: পোশাক-পরিচ্ছদ (كتاب اللباس )