পরিচ্ছেদঃ ২০. না-হক পক্ষপাতিত্ব করা- সম্পর্কে।
৫০৩২. আহমদ ইবন আমর (রহঃ) .... সুরাকা ইবন মালিক ইবন জু’শুম মুদলাজী (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ একদিন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাদের খুতবা দেয়ার সময় বলেনঃ তোমাদের মাঝে সে ব্যক্তি উত্তম, যে তার কাওমের উপর জুলুম হতে দেয় না, যতক্ষণ সে গুনাহে লিপ্ত না হয়।
باب فِي الْعَصَبِيَّةِ
حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ عَمْرِو بْنِ السَّرْحِ، حَدَّثَنَا أَيُّوبُ بْنُ سُوَيْدٍ، عَنْ أُسَامَةَ بْنِ زَيْدٍ، أَنَّهُ سَمِعَ سَعِيدَ بْنَ الْمُسَيَّبِ، يُحَدِّثُ عَنْ سُرَاقَةَ بْنِ مَالِكِ بْنِ جُعْشُمٍ الْمُدْلِجِيِّ، قَالَ خَطَبَنَا رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَقَالَ " خَيْرُكُمُ الْمُدَافِعُ عَنْ عَشِيرَتِهِ مَا لَمْ يَأْثَمْ " .
Narrated Suraqah ibn Malik ibn Ju'sham al-Mudlaji:
The Messenger of Allah (ﷺ) gave us an address and said: The best of you is the one who defends his tribe, so long as he commits no sin.
পরিচ্ছেদঃ ৭৭. যে ব্যক্তি কুরবানীর জন্তু পাঠায়নি তার জন্য হজ্জের পরিবর্তে উমরাহ করা বৈধ
২৮০৮. মুহাম্মদ ইবন বাশশার (রহঃ) ... সুরাকা ইবন মালিক ইবন জ’শম (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, ইয়া ব্লাসূলাল্লাহ্! আপনার কি অভিমত, আমাদের এ উমরাহ কি এ বৎসরের জন্যই, না চিরদিনের জন্য? রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ ইহা চিরদিনের জন্য।
إِبَاحَةُ فَسْخِ الْحَجِّ بِعُمْرَةٍ لِمَنْ لَمْ يَسُقْ الْهَدْيَ
أَخْبَرَنَا مُحَمَّدُ بْنُ بَشَّارٍ قَالَ حَدَّثَنَا مُحَمَّدٌ قَالَ حَدَّثَنَا شُعْبَةُ عَنْ عَبْدِ الْمَلِكِ عَنْ طَاوُسٍ عَنْ سُرَاقَةَ بْنِ مَالِكِ بْنِ جُعْشُمٍ أَنَّهُ قَالَ يَا رَسُولَ اللَّهِ أَرَأَيْتَ عُمْرَتَنَا هَذِهِ لِعَامِنَا أَمْ لِأَبَدٍ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ هِيَ لِأَبَدٍ
It was narrated from Surqah bin Malik bin Jushum said :
"O Messenger of Allah, do you think that this Umrah of ours is for this year only, or for all time?" The Messenger of Allah said: "It is for all time."
পরিচ্ছেদঃ ১০. তাকদীর (রাঃ) ভাগ্যলিপির বর্ণনা
১৬/৯১। সুরাকাহ ইবনু জুশুম (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি বললাম, হে আল্লাহ্র রাসূল! কার্যকলাপ কী তাই যা পূর্বেই লিপিবদ্ধ করা হয়েছে এবং তদনুযায়ী তাকদীর নির্ধারিত হয়েছে, না ভবিষ্যতে যা করা হবে তা? তিনি বলেনঃ বরং তাই যা পূর্বে লিপিবদ্ধ হয়ে গেছে এবং তদনুযায়ী তাকদীর নির্দিষ্ট হয়েছে। যাকে যে জন্য সৃষ্টি করা হয়েছে তার জন্য তা সহজসাধ্য করা হয়েছে।
بَابٌ فِي الْقَدَرِ
حَدَّثَنَا هِشَامُ بْنُ عَمَّارٍ، حَدَّثَنَا عَطَاءُ بْنُ مُسْلِمٍ الْخَفَّافُ، حَدَّثَنَا الأَعْمَشُ، عَنْ مُجَاهِدٍ، عَنْ سُرَاقَةَ بْنِ جُعْشُمٍ، قَالَ قُلْتُ يَا رَسُولَ اللَّهِ الْعَمَلُ فِيمَا جَفَّ بِهِ الْقَلَمُ وَجَرَتْ بِهِ الْمَقَادِيرُ أَوْ فِي أَمْرٍ مُسْتَقْبَلٍ قَالَ " بَلْ فِيمَا جَفَّ بِهِ الْقَلَمُ وَجَرَتْ بِهِ الْمَقَادِيرُ وَكُلٌّ مُيَسَّرٌ لِمَا خُلِقَ لَهُ " .
It was narrated that Suraqah bin Ju'shum said:
"I said: 'O Messenger of Allah (ﷺ), is one's deed in that which has already dried of the Pen and what has passed of the Divine Decree, or is it in the future?' He said: 'No, it is in that which he already dried of the Pen and what has passed of the Divine Decree, and each person is facilitated for what he has been created.'"
পরিচ্ছেদঃ ১৯/৪০. উমরাহসহ তামাত্তু হজ্জের বর্ণনা
২/২৯৭৭। সুরাকা ইবনে জুশুম (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ভাষণদানের উদ্দেশে এই উপত্যকায় দাঁড়িয়ে বলেনঃ জেনে রাখো! কিয়ামত পর্যন্ত হজ্জের সাথে উমরা আদায় করা যেতে পারে।
তাহকীক আলবানীঃ সহীহ।
بَاب التَّمَتُّعِ بِالْعُمْرَةِ إِلَى الْحَجِّ
حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، وَعَلِيُّ بْنُ مُحَمَّدٍ، قَالاَ حَدَّثَنَا وَكِيعٌ، عَنْ مِسْعَرٍ، عَنْ عَبْدِ الْمَلِكَ بْنِ مَيْسَرَةَ، عَنْ طَاوُسٍ، عَنْ سُرَاقَةَ بْنِ جُعْشُمٍ، قَالَ قَامَ رَسُولُ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ خَطِيبًا فِي هَذَا الْوَادِي فَقَالَ " أَلاَ إِنَّ الْعُمْرَةَ قَدْ دَخَلَتْ فِي الْحَجِّ إِلَى يَوْمِ الْقِيَامَةِ " .
It was narrated that Suraqah bin Ju’shum said:
“The Messenger of Allah (ﷺ) stood up to deliver a speech in this valley, and said: ‘Lo! ‘Umrah has been included in Hajj until the Day of Resurrection.”
পরিচ্ছেদঃ পিতা পুত্রকে হত্যা করলে কিয়াস হবে কিনা।
১৪০৩. আলী ইবনু হুজর (রহঃ) .... সুরাকা ইবনু মালিক রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত যে, আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কে দেখেছি যে, তিনি পিতাকে হত্যার জন্য পুত্রের কিয়াস নিতেন কিন্তু পুত্রকে হত্যার জন্য পিতার কিয়াস নিতেন না। - ইরওয়া ৭/২৭২, তিরমিজী হাদিস নম্বরঃ ১৩৯৯ [আল মাদানী প্রকাশনী]
এই সূত্র ছাড়া সুরাকা ইবনু মালিকের রিওয়ায়াত সম্পর্কে আমাদের জানা নাই। এটির সনদও সহীহ নয়। ইসমাঈল ইবনু আয়্যাশ এটিকে মুসান্না ইবনুল সাববাহ থেকে বর্ণনা করেছেন। মুছান্না ইবনুল সাববাহ হাদীসের ক্ষেত্রে যঈফ। আবূ খালিদ আহমার (রহঃ) এই হাদীসটিকে হাজ্জাজ-আমর ইবনু শু’আয়ব-তার পিতা-তার পিতামহ-উমর রাদিয়াল্লাহু আনহু সূত্রে বর্ণনা করেছেন। এই হাদীসটি আমর ইবনু শু’আয়ব (রহঃ) থেকে ’মুরসাল’রূপেও বর্ণিত আছে। এই হাদীসটিতে ’ইযতিরাব’ বিদ্যমান। আলিমগণের এই হাদীস অনুসারে আমল রয়েছে যে, পিতা যদি পুত্রকে হত্যা করে তবে এর বদলায় পিতাকে হত্যা করা হবে না। এমনিভাবে পিতা যদি পুত্রের উপর যিনার তুহমত আরোপ করে তবে তার উপর মিথ্যা তুহমতের কারণে হদ প্রয়োগ করা হবে না।
باب مَا جَاءَ فِي الرَّجُلِ يَقْتُلُ ابْنَهُ يُقَادُ مِنْهُ أَمْ لاَ
حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ حُجْرٍ، حَدَّثَنَا إِسْمَاعِيلُ بْنُ عَيَّاشٍ، حَدَّثَنَا الْمُثَنَّى بْنُ الصَّبَّاحِ، عَنْ عَمْرِو بْنِ شُعَيْبٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ جَدِّهِ، عَنْ سُرَاقَةَ بْنِ مَالِكِ بْنِ جُعْشُمٍ، قَالَ حَضَرْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يُقِيدُ الأَبَ مِنِ ابْنِهِ وَلاَ يُقِيدُ الاِبْنَ مِنْ أَبِيهِ . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ لاَ نَعْرِفُهُ مِنْ حَدِيثِ سُرَاقَةَ إِلاَّ مِنْ هَذَا الْوَجْهِ وَلَيْسَ إِسْنَادُهُ بِصَحِيحٍ رَوَاهُ إِسْمَاعِيلُ بْنُ عَيَّاشٍ عَنِ الْمُثَنَّى بْنِ الصَّبَّاحِ . وَالْمُثَنَّى بْنُ الصَّبَّاحِ يُضَعَّفُ فِي الْحَدِيثِ . وَقَدْ رَوَى هَذَا الْحَدِيثَ أَبُو خَالِدٍ الأَحْمَرُ عَنِ الْحَجَّاجِ بْنِ أَرْطَاةَ عَنْ عَمْرِو بْنِ شُعَيْبٍ عَنْ أَبِيهِ عَنْ جَدِّهِ عَنْ عُمَرَ عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم وَقَدْ رُوِيَ هَذَا الْحَدِيثُ عَنْ عَمْرِو بْنِ شُعَيْبٍ مُرْسَلاً وَهَذَا حَدِيثٌ فِيهِ اضْطِرَابٌ . وَالْعَمَلُ عَلَى هَذَا عِنْدَ أَهْلِ الْعِلْمِ أَنَّ الأَبَ إِذَا قَتَلَ ابْنَهُ لاَ يُقْتَلُ بِهِ وَإِذَا قَذَفَ ابْنَهُ لاَ يُحَدُّ .
Narrated Suraqah bin Malik bin [Ju'shum]:
"The Messenger of Allah (ﷺ) judged that the son is to suffer retaliation for [killing] his father, but the father is not to suffer retaliation for [killing] his son."
পরিচ্ছেদঃ ৯. বাবা ছেলেকে খুন করলে তার কিসাস হবে কি না
১৩৯৯। সুরাকা ইবনু মালিক ইবনু জুশুম (রাঃ) হতে বর্ণিত আছে, তিনি বলেছেন, আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের দরবারে উপস্থিত থেকে দেখেছি যে, তিনি বাবাকে হত্যার অপরাধে ছেলের উপর কিসাস (মৃত্যুদণ্ড) কার্যকর করতেন, কিন্তু ছেলেকে হত্যার অপরাধে বাবার উপর কিসাস কার্যকর করতেন না।
যঈফ, ইরওয়া (৭/২৭২)
আবূ ঈসা বলেনঃ শুধু উল্লেখিত সনদ সূত্রেই এ হাদীসটি আমরা জেনেছি। এই হাদীসের সনদ সহীহ নয়। ইসমাঈল ইবনু আইয়্যাশ (রহঃ) এই হাদীস মুসান্না ইবনুস সাব্বাহ হতে বর্ণনা করেছেন। মুসান্না ইবনুস সাব্বাহ হাদীস শাস্ত্রে দুর্বল প্রমাণিত হয়েছেন। এ হাদীসটি আবূ শুআইব (রহঃ) হতে পর্যায়ক্রমে তার বাবা ও দাদার সূত্রে-উমার ইবনুল খাত্তাব (রাঃ)-এর নিকট হতে এবং তিনি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হতে বর্ণনা করেছেন।
আমর ইবনু শুআইব (রাহঃ) হতে এ হাদীস মুরসাল হিসেবেও বর্ণিত আছে। এ হাদীসের সনদে যথেষ্ট গরমিল (ইযতিরাব) আছে। বিশেষজ্ঞ আলিমগণ এ হাদীস অনুযায়ী আমল দণ্ড হিসেবে বাবাকে হত্যা করা হবে না। বাবা যদি তার ছেলের উপর যেনার অপবাদ (কাযাফ) আরোপ করে তবে তাকে অপবাদের শাস্তিও দেয়া হবে না।
باب مَا جَاءَ فِي الرَّجُلِ يَقْتُلُ ابْنَهُ يُقَادُ مِنْهُ أَمْ لاَ
حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ حُجْرٍ، حَدَّثَنَا إِسْمَاعِيلُ بْنُ عَيَّاشٍ، حَدَّثَنَا الْمُثَنَّى بْنُ الصَّبَّاحِ، عَنْ عَمْرِو بْنِ شُعَيْبٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ جَدِّهِ، عَنْ سُرَاقَةَ بْنِ مَالِكِ بْنِ جُعْشُمٍ، قَالَ حَضَرْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يُقِيدُ الأَبَ مِنِ ابْنِهِ وَلاَ يُقِيدُ الاِبْنَ مِنْ أَبِيهِ . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ لاَ نَعْرِفُهُ مِنْ حَدِيثِ سُرَاقَةَ إِلاَّ مِنْ هَذَا الْوَجْهِ وَلَيْسَ إِسْنَادُهُ بِصَحِيحٍ رَوَاهُ إِسْمَاعِيلُ بْنُ عَيَّاشٍ عَنِ الْمُثَنَّى بْنِ الصَّبَّاحِ . وَالْمُثَنَّى بْنُ الصَّبَّاحِ يُضَعَّفُ فِي الْحَدِيثِ . وَقَدْ رَوَى هَذَا الْحَدِيثَ أَبُو خَالِدٍ الأَحْمَرُ عَنِ الْحَجَّاجِ بْنِ أَرْطَاةَ عَنْ عَمْرِو بْنِ شُعَيْبٍ عَنْ أَبِيهِ عَنْ جَدِّهِ عَنْ عُمَرَ عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم وَقَدْ رُوِيَ هَذَا الْحَدِيثُ عَنْ عَمْرِو بْنِ شُعَيْبٍ مُرْسَلاً وَهَذَا حَدِيثٌ فِيهِ اضْطِرَابٌ . وَالْعَمَلُ عَلَى هَذَا عِنْدَ أَهْلِ الْعِلْمِ أَنَّ الأَبَ إِذَا قَتَلَ ابْنَهُ لاَ يُقْتَلُ بِهِ وَإِذَا قَذَفَ ابْنَهُ لاَ يُحَدُّ .
Narrated Suraqah bin Malik bin [Ju'shum]:
"The Messenger of Allah (ﷺ) judged that the son is to suffer retaliation for [killing] his father, but the father is not to suffer retaliation for [killing] his son."
পরিচ্ছেদঃ ১৩. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - বংশগৌরব ও পক্ষপাতিত্ব
৪৯০৬-[১৪] সুরাকাহ্ ইবনু মালিক ইবনু জু’শুম (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাদের উদ্দেশে ভাষণ দিলেন এবং বললেনঃ তোমাদের মধ্যে উত্তম সেই ব্যক্তি, যে নিজে অপরাধ না করা পর্যন্ত নিজের গোত্রের অন্যায়-অত্যাচার দমন করে। (আবূ দাঊদ)[1]
হাদীসটি য‘ঈফ হওয়ার কারণ, আবূ দাঊদ (রহিমাহুল্লাহ) নিজেই বলেছেন ‘‘আইয়ূব ইবনু সুওয়াইদ’’ নামের বর্ণনাকারী য‘ঈফ। য‘ঈফুল জামি‘ ২৯১৫, সিলসিলাতুয্ য‘ঈফাহ্ ১৮২, শু‘আবুল ঈমান ৭৯৮৪, আল মু‘জামুল আওসাত্ব ৬৯৯৩, আল মু‘জামুস্ সগীর লিত্ব ত্ববারানী ১০২০।
وَعَن
سُراقَة بن مالكِ بن جُعْشُم قَالَ: خَطَبَنَا رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَقَالَ: «خير كم الْمُدَافِعُ عَنْ عَشِيرَتِهِ مَا لَمْ يَأْثَمْ» . رَوَاهُ أَبُو دَاوُد
ব্যাখ্যাঃ (مَا لَمْ يَأْثَمْ) যে ব্যক্তি গোত্রীয় অন্যায়-অত্যাচার দমন করতে গিয়ে নিজেই যদি কোন অপরাধ করে বসে, তবে সে ব্যক্তি উত্তম নয়। অতএব জুলুম অন্যায় দমন করতে গিয়ে যতক্ষণ পর্যন্ত সে এ দমন কার্যে অপরাধ না করবে, ততক্ষণ সে উত্তম ব্যক্তি বলে বিবেচিত হবে। (‘আওনুল মা‘বূদ ৮ম খন্ড, হাঃ ৫১১১)
পরিচ্ছেদঃ ১৫. তৃতীয় অনুচ্ছেদ - সৃষ্টির প্রতি দয়া ও অনুগ্রহ
৫০০২-[৫৬] সুরাকাহ্ ইবনু মালিক (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ আমি কি তোমাদেরকে উত্তম সাদাকা সম্পর্কে অবহিত করব না? এটা তোমার ঐ কন্যার প্রতি সাদাকা করা, যাকে তোমার দিকে ফিরিয়ে দেয়া হয়েছে, আর তুমি ছাড়া তার উপার্জনশীল অন্য কেউ নেই। (ইবনু মাজাহ)[1]
হাদীসটি য‘ঈফ হওয়ার কারণ, এর সনদের বর্ণনাকারীগণ বিশ্বস্ত তবে বিচ্ছিন্নতা রয়েছে আর তা হল- সুরাকাহ্ ও তার আগের বর্ণনাকারী মূসা তার পিতা থেকে। দেখুন- য‘ঈফাহ্ ৪৮২২।
وَعَن
سراقَة بْنِ مَالِكٍ أَنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: «أَلَا أَدُلُّكُمْ عَلَى أَفْضَلِ الصَّدَقَةِ؟ ابْنَتُكَ مَرْدُودَةً إِلَيْكَ لَيْسَ لَهَا كَاسِبٌ غَيْرُكَ» . رَوَاهُ ابْنُ مَاجَهْ
পরিচ্ছেদঃ ১২২. দলপ্রীতি বা পক্ষপাতিত্ব
৫১২০। সুরাকাহ ইবনু মালিক ইবনু জু’শাম আল-মুদলিজী (রাঃ) সূত্রে বর্ণিত। তিনি বলেন, একদা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাদের উদ্দেশ্যে ভাষণ দেয়ার সময় বলেনঃ যে ব্যক্তি পাপাচারে লিপ্ত না হয়ে তার গোত্রের উপর নির্যাতন হওয়া প্রতিরোধ করে সে-ই তোমাদের মধ্যে সর্বোত্তম। ইমাম আবূ দাঊদ (রহঃ) বলেন, আইয়ূব ইবনু সুয়াইদ দুর্বল বর্ণনাকারী।[1]
দুর্বলঃ মিশকাত হা/ ৪৯০৬।
بَابٌ فِي الْعَصَبِيَّةِ
حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ عَمْرِو بْنِ السَّرْحِ، حَدَّثَنَا أَيُّوبُ بْنُ سُوَيْدٍ، عَنْ أُسَامَةَ بْنِ زَيْدٍ، أَنَّهُ سَمِعَ سَعِيدَ بْنَ الْمُسَيِّبِ، يُحَدِّثُ عَنْ سُرَاقَةَ بْنِ مَالِكِ بْنِ جُعْشُمٍ الْمُدْلِجِيِّ، قَالَ: خَطَبَنَا رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَقَالَ: خَيْرُكُمُ الْمُدَافِعُ عَنْ عَشِيرَتِهِ، مَا لَمْ يَأْثَمْ قَالَ أَبُو دَاوُدَ: أَيُّوبُ بْنُ سُوَيْدٍ ضَعِيفٌ
ضعيف، المشكاة (٤٩٠٦)
Narrated Suraqah ibn Malik ibn Ju'sham al-Mudlaji:
The Messenger of Allah (ﷺ) gave us an address and said: The best of you is the one who defends his tribe, so long as he commits no sin.
Abu Dawud said: Abu Ayyub b. Suwaid is weak.
পরিচ্ছেদঃ সাদকা-এ-জারিয়াহ
(৯৬৬) সুরাক্বাহ বিন জু’শুম (রাঃ) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি আল্লাহর রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে সেই হারিয়ে যাওয়া উট সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করলাম যা আমার জলাশয়ে অবতরণ করে; যে জলাশয় আমি আমার নিজ উটের জন্য তৈরী করে রেখেছি। (ঐ) উটকে পানি পান করালে আমি সওয়াবের অধিকারী হব কি? তিনি বললেন, ’’হ্যাঁ, প্রত্যেক পিপাসার্ত প্রাণী(কে পানি পান করানো) তে সওয়াব আছে।
عَن سُرَاقَةَ بْنِ جُعْشُمٍ قَالَ سَأَلْتُ رَسُولَ اللهِ ﷺ عَن الضَّالَّةِ مِنْ الْإِبِلِ تَغْشَى حِيَاضِي هَلْ لِي مِنْ أَجْرٍ أَسْقِيهَا؟ قَالَ نَعَمْ مِنْ كُلِّ ذَاتِ كَبِدٍ حَرَّاءَ أَجْر
পরিচ্ছেদঃ পশু-পক্ষীর প্রতি দয়া-দাক্ষিণ্যের গুরুত্ব
(৩৫৯৫) সুরাক্বাহ বিন জু’শুম (রাঃ) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি আল্লাহর রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কে সেই হারিয়ে যাওয়া উট সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করলাম যা আমার জলাশয়ে অবতরণ করে; যে জলাশয় আমি আমার নিজ উটের জন্য তৈরী করে রেখেছি। ঐ উটকে পানি পান করালে আমি সওয়াবের অধিকারী হব কী? তিনি বললেন, হ্যাঁ, প্রত্যেক পিপাসার্ত প্রাণী (কে পানি পান করানো) তে সওয়াব আছে।
وعَنْ سُرَاقَةَ بْنِ جُعْشُمٍ قَالَ: سَأَلْتُ رَسُوْلَ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَنْ ضَالَّةِ الإِبِلِ تَغْشَى حِيَاضِي قَدْ لُطْتُهَا لإِبِلِي فَهَلْ لِي مِنْ أَجْرٍ إِنْ سَقَيْتُهَا ؟ قَالَ : نَعَمْ فِي كُلِّ ذَاتِ كَبِدٍ حَرَّى أَجْرٌ
পরিচ্ছেদঃ ৭. কাযায়ে হাযাত বা প্রকৃতির ডাকে সাড়া দেয়ার (পায়খানা প্রস্রাবের) বর্ণনা - পেশাব পায়খানার সময় বাম পায়ের উপর ভর দেয়া
১০৪। সুরাকাহ বিন মালিক (রাঃ) থেকে বৰ্ণিত। তিনি বলেনঃ ’রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাদেরকে পায়খানা করতে বাম পায়ের উপর ভর দিয়ে ও ডান পা খাড়া রেখে বসার শিক্ষা দিয়েছেন’। বাইহাকী’ য’ঈফ সানাদে।[1]
وَعَنْ سُرَاقَةَ بْنِ مَالِكٍ - رضي الله عنه - قَالَ: عَلَّمَنَا رَسُولُ اللَّهِ - صلى الله عليه وسلم - فِي الْخَلَاءِ أَنْ نَقْعُدَ عَلَى الْيُسْرَى, وَنَنْصِبَ الْيُمْنَى. رَوَاهُ الْبَيْهَقِيُّ بِسَنَدٍ ضَعِيفٍ
-
ضعيف. رواه البيهقي (1/ 96)
Narrated Suraqa bin Malik (rad):
Allah’s Messenger (ﷺ) educated us about lavatory (manners) that we should sit on our left foot and keep erect our right foot. [Reported by Al-Baihaqi through a chain of weak narrators].
পরিচ্ছেদঃ বিভিন্ন ভাল কাজ সম্পাদন ও অনেক আদিষ্ট বিষয় প্রতিপালন দ্বারা কম ধোঁকা খাওয়া ওয়াজিব
৩৩৮. সুরাকাহ বিন জু‘শুম রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি বললাম: হে আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, আপনি আমাদেরকে আমাদের কর্ম সম্পর্কে বলুন, এটি কি কলম যা লিপিবদ্ধ করেছে এবং ভাগ্যে স্থির করা হয়েছে, সেই অনুপাতেই হয়, নাকি নতুন করে হয়? ”রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন: না, বরং এটি কলম যা লিপিবদ্ধ করেছে এবং ভাগ্যে স্থির করা হয়েছে, সেই অনুপাতেই হয়।” তখন সাহাবী বলেন: “ তাহলে আমরা আমল করি কিসের জন্য?” রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন: “তোমরা আমল করতে থাকবে। কেননা প্রত্যেককেই (যে জন্য সৃষ্টি করা হয়েছে তা) সহজ করে দেওয়া হবে।”
সুরাকাহ রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু বলেন: “আজ থেকে আমি আমলের ক্ষেত্রে সর্বাধিক সচেষ্ট থাকবো।”[1]
হাদীসটিকে আল্লামা শুআইব আল আরনাঊত রহিমাহুল্লাহ মুসলিমের শর্তে সহীহ বলেছেন। আল্লামা নাসির উদ্দিন আলবানী রহিমাহুল্লাহ হাদীসটিকে সহীহ বলেছেন। (যিলালুল জান্নাহ: ১৬৫, ১৬৭)
ذِكْرُ مَا يَجِبُ عَلَى الْمَرْءِ مِنْ قِلَّةِ الِاغْتِرَارِ بِكَثْرَةِ إِتْيَانِهِ الْمَأْمُورَاتِ وَسَعْيهِ فِي أَنْوَاعِ الطاعات
أَخْبَرَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ قَحْطَبَةَ بِفَمِ الصُّلْحِ حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ حَبِيبِ بْنِ عَرَبِيٍّ حَدَّثَنَا ابْنُ عُلَيَّةَ حَدَّثَنَا رَوْحُ بْنُ الْقَاسِمِ عَنْ أَبِي الزُّبَيْرِ عَنْ جَابِرٍ أَنَّ سُرَاقَةَ بْنَ جُعْشُمٍ قَالَ: يَا رَسُولَ اللَّهِ أَخْبِرْنَا عَنْ أَمْرِنَا كَأَنَّا نَنْظُرُ إِلَيْهِ أَبِمَا جَرَتْ بِهِ الْأَقْلَامُ وَثَبَتَتْ بِهِ الْمَقَادِيرُ أَوْ بِمَا يُسْتَأْنَفُ؟ قَالَ: (لَا بَلْ بِمَا جَرَتْ بِهِ الْأَقْلَامُ وَثَبَتَتْ بِهِ الْمَقَادِيرُ) قَالَ: فَفِيمَ الْعَمَلُ إِذًا؟ قَالَ: (اعْمَلُوا فَكُلٌّ مُيَسَّرٌ) قَالَ سُرَاقَةُ: فَلَا أَكُونُ أَبَدًا أَشَدَّ اجْتِهَادًا فِي الْعَمَلِ مِنِّي الآن.
الراوي : سُرَاقَة بْن جُعْشُمٍ | المحدث : العلامة ناصر الدين الألباني | المصدر : التعليقات الحسان على صحيح ابن حبان
الصفحة أو الرقم: 338 | خلاصة حكم المحدث: صحيح