আবূ রাযীন আল ‘উকায়লী (রাঃ) থেকে বর্ণিত হাদিস পাওয়া গেছে ১৬ টি

পরিচ্ছেদঃ ১০. অসমৰ্থ ব্যক্তির পক্ষ হতে উমরাহ করা

২৬৩৯. ইসহাক ইবন ইবরাহীম (রহঃ) ... আবু রাযীন উকায়লী (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ ইয়া রাসূলাল্লাহ! আমার পিতা একজন অতি বৃদ্ধ ব্যক্তি, হজ্জ ও উমরাহ করার মত ক্ষমতা নেই এবং আরোহণেরও। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাকে বললেনঃ তুমি তোমার পিতার পক্ষ হতে হজ্জ এবং উমরাহ আদায় কর।

الْعُمْرَةُ عَنْ الرَّجُلِ الَّذِي لَا يَسْتَطِيعُ

إِسْحَقُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ قَالَ أَنْبَأَنَا وَكِيعٌ قَالَ حَدَّثَنَا شُعْبَةُ عَنْ النُّعْمَانِ بْنِ سَالِمٍ عَنْ عَمْرِو بْنِ أَوْسٍ عَنْ أَبِي رَزِينٍ الْعُقَيْلِيِّ أَنَّهُ قَالَ يَا رَسُولَ اللَّهِ إِنَّ أَبِي شَيْخٌ كَبِيرٌ لَا يَسْتَطِيعُ الْحَجَّ وَلَا الْعُمْرَةَ وَالظَّعْنَ قَالَ حُجَّ عَنْ أَبِيكَ وَاعْتَمِرْ


It was nattated from Abu RAzin Al-'Uqayli that he said: "O Messenger of Allah! My father is an old man who cannot perform Hajj or 'Umrah, nor can he travel." He said "Perform Hajj and 'Umrah on behalf of your father."


হাদিসের মানঃ তাহকীক অপেক্ষমাণ
বর্ণনাকারীঃ আবূ রাযীন আল ‘উকায়লী (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ

পরিচ্ছেদঃ ৩৪. জাহমিয়াহ্ সম্প্রদায় যা অমান্য করে

৪১৮০। আবূ রযীন (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি বললাম, হে আল্লাহ্‌র রাসূল! আমরা কি কিয়ামতের দিন আল্লাহকে দেখতে পাবো এবং তাঁর সৃষ্টির মাঝে এর নিদর্শন কী? তিনি বলেনঃ হে আবূ রযীন! তোমাদের প্রত্যেকে কি চাঁদকে পৃথকভাবে দেখতে পায় না? তিনি বলেন, আমি বললাম, হ্যাঁ। তিনি বলেনঃ আল্লাহ অতীব মহান এবং এটাই হল তাঁর সৃষ্টির মাঝে (তাঁর) নিদর্শন।

بَاب فِيمَا أَنْكَرَتْ الْجَهْمِيَّةُ

حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا يَزِيدُ بْنُ هَارُونَ، أَنْبَأَنَا حَمَّادُ بْنُ سَلَمَةَ، عَنْ يَعْلَى بْنِ عَطَاءٍ، عَنْ وَكِيعِ بْنِ حُدُسٍ، عَنْ عَمِّهِ أَبِي رَزِينٍ، قَالَ قُلْتُ يَا رَسُولَ اللَّهِ أَكُلُّنَا يَرَى اللَّهَ يَوْمَ الْقِيَامَةِ وَمَا آيَةُ ذَلِكَ فِي خَلْقِهِ قَالَ ‏"‏ يَا أَبَا رَزِينٍ أَلَيْسَ كُلُّكُمْ يَرَى الْقَمَرَ مُخْلِيًا بِهِ ‏"‏ ‏.‏ قَالَ قُلْتُ بَلَى ‏.‏ قَالَ ‏"‏ فَاللَّهُ أَعْظَمُ وَذَلِكَ آيَتُهُ فِي خَلْقِهِ ‏"‏ ‏.‏


Waki' bin Hudus narrated that his paternal uncle Abu Razin said: "I said: 'O Messenger of Allah, will we see Allah on the Day of Resurrection? And what is the sign of that in His creation?' He said: 'O Abu Razin, do each of you not see the moon individually?' I said: 'Of course.' He said: 'Allah is Greater, and that is His sign in His creation.'"


হাদিসের মানঃ হাসান (Hasan)
বর্ণনাকারীঃ আবূ রাযীন আল ‘উকায়লী (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ

পরিচ্ছেদঃ ৩৪. জাহমিয়াহ্ সম্প্রদায় যা অমান্য করে

৫/১৮১। আবূ রযীন (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ যখন আল্লাহ্‌র বান্দারা (সামান্য বিপদেই) হতাশ হয় এবং (বিপদ কেটে উঠার জন্য) আল্লাহ ভিন্ন অপরের নৈকট্য অন্বেষী হয়, তখন আমাদের প্রভু তার এ আচরণে হাসেন। রাবী বলেন, আমি বললাম, হে আল্লাহ্‌র রাসূল! মহান প্রভু কি হাসেন? তিনি বলেনঃ হ্যাঁ। আমি বললাম, আমরা কখনো পুণ্যের কাজ ত্যাগ করবো না, যাতে আমাদের প্রভু হাসেন।

بَاب فِيمَا أَنْكَرَتْ الْجَهْمِيَّةُ

حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا يَزِيدُ بْنُ هَارُونَ، أَنْبَأَنَا حَمَّادُ بْنُ سَلَمَةَ، عَنْ يَعْلَى بْنِ عَطَاءٍ، عَنْ وَكِيعِ بْنِ حُدُسٍ، عَنْ عَمِّهِ أَبِي رَزِينٍ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ ‏"‏ ضَحِكَ رَبُّنَا مِنْ قُنُوطِ عِبَادِهِ وَقُرْبِ غِيَرِهِ ‏"‏ ‏.‏ قَالَ قُلْتُ يَا رَسُولَ اللَّهِ أَوَ يَضْحَكُ الرَّبُّ قَالَ ‏"‏ نَعَمْ ‏"‏ ‏.‏ قُلْتُ لَنْ نَعْدِمَ مِنْ رَبٍّ يَضْحَكُ خَيْرًا ‏.‏


Waki' bin Hudus narrated that his paternal uncle Abu Razin said: "The Messenger of Allah said: 'Allah laughs at the despair of His slaves although He soon changes it.' I said: 'O Messenger of Allah, does the Lord laugh?' He said: 'Yes.' I said: 'We shall never be deprived of good by a Lord Who laughs.'"


হাদিসের মানঃ যঈফ (Dai'f)
বর্ণনাকারীঃ আবূ রাযীন আল ‘উকায়লী (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ

পরিচ্ছেদঃ ৩৪. জাহমিয়াহ্ সম্প্রদায় যা অমান্য করে

৬/১৮২। আবূ রযীন (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি বললাম, হে আল্লাহ্‌র রাসূল! আমাদের প্রতিপালক তাঁর সৃষ্টিকুলকে সৃষ্টি করার পূর্বে কোথায় ছিলেন? তিনি বলেনঃ মেঘমালার মধ্যে, যার নিচেও বায়ু ছিল না এবং উপরেও বায়ু পানি ছিল না। অতঃপর পানির উপর তিনি তাঁর আরশ সৃষ্টি করেন।

بَاب فِيمَا أَنْكَرَتْ الْجَهْمِيَّةُ

حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، وَمُحَمَّدُ بْنُ الصَّبَّاحِ، قَالاَ حَدَّثَنَا يَزِيدُ بْنُ هَارُونَ، أَنْبَأَنَا حَمَّادُ بْنُ سَلَمَةَ، عَنْ يَعْلَى بْنِ عَطَاءٍ، عَنْ وَكِيعِ بْنِ حُدُسٍ، عَنْ عَمِّهِ أَبِي رَزِينٍ، قَالَ قُلْتُ يَا رَسُولَ اللَّهِ أَيْنَ كَانَ رَبُّنَا قَبْلَ أَنْ يَخْلُقَ خَلْقَهُ قَالَ ‏ "‏ كَانَ فِي عَمَاءٍ مَا تَحْتَهُ هَوَاءٌ وَمَا فَوْقَهُ هَوَاءٌ ثُمَّ خَلَقَ الْعَرْشَ عَلَى الْمَاءِ ‏"‏ ‏.‏


Waki' bin Hudus narrated that his paternal uncle Abu Razin said: "I said: 'O Messenger of Allah, where was our Lord before He created His creation?' He said: He was above the clouds, below which was air, and above which was air and water. Then He created His Throne above the water.'"


হাদিসের মানঃ যঈফ (Dai'f)
বর্ণনাকারীঃ আবূ রাযীন আল ‘উকায়লী (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ

পরিচ্ছেদঃ স্বপ্নের ব্যাখা প্রদান।

২২৮১. মাহমূদ ইবন গায়লান (রহঃ) ...... আবূ রাযীন উকায়লী রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত যে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ মু’মিনের স্বপ্ন হল নবুওয়াতের চল্লিশ ভাগের এক ভাগ। যতক্ষণ পর্যন্ত এ সম্পর্কে আলোচনা না করবে ততক্ষণ পর্যন্ত এ হল পাখির পায়ে ঝুলন্ত জিনিসের মত। আর এ বিষয়ে আলোচনা করা হলে তা যেমন পা থেকে পড়ে গেল অর্থাৎ তাবীর অনুযায়ী ফল ঘটবে। আবূ রাযীন রাদিয়াল্লাহু আনহু বলেন, আমার ধারণায় রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আরো বলেছিলেন, সুতরাং কোন বিবেকবান বা বন্ধু ছাড়া কারো সঙ্গে স্বপ্নের আলোচনা করবে না। সহীহ, সহিহাহ ১২০, মিশকাত তাহকিক ছানী ৪৬২২, তিরমিজী হাদিস নম্বরঃ ২২৭৮ [আল মাদানী প্রকাশনী]

بَاب: مَا جَاءَ فِي تَعْبِيرِ الرُّؤْيَا

حَدَّثَنَا مَحْمُودُ بْنُ غَيْلاَنَ، حَدَّثَنَا أَبُو دَاوُدَ، قَالَ أَنْبَأَنَا شُعْبَةُ، قَالَ أَخْبَرَنِي يَعْلَى بْنُ عَطَاءٍ، قَالَ سَمِعْتُ وَكِيعَ بْنَ عُدُسٍ، عَنْ أَبِي رَزِينٍ الْعُقَيْلِيِّ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏"‏ رُؤْيَا الْمُؤْمِنِ جُزْءٌ مِنْ أَرْبَعِينَ جُزْءًا مِنَ النُّبُوَّةِ وَهِيَ عَلَى رِجْلِ طَائِرٍ مَا لَمْ يَتَحَدَّثْ بِهَا فَإِذَا تَحَدَّثَ بِهَا سَقَطَتْ ‏"‏ ‏.‏ قَالَ وَأَحْسَبُهُ قَالَ ‏"‏ وَلاَ يُحَدِّثُ بِهَا إِلاَّ لَبِيبًا أَوْ حَبِيبًا ‏"‏ ‏.‏


Waki' bin 'Udus narrated that Abu Razin Al-'Uqaili said: " The Messenger of Allah (s.a.w) said: " The believer's dreams are a portion of the forty portions of Prophet-hood. And it is (as if it is) on the leg of a bird, as long as it is not spoken of. But when it is spoken of it drops." I think he said: " And it should not be discussed except with an intelligent one or a beloved one."


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ আবূ রাযীন আল ‘উকায়লী (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ

পরিচ্ছেদঃ স্বপ্নের ব্যাখা প্রদান।

২২৮২. হুসায়ন ইবন আলী খাল্লাল (রহঃ) ...... আবূ রাযীন রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত যে, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ মুসলিমের স্বপ্ন হয় নবুওয়াতের ছেচল্লিশ ভাগের এক ভাগ। যতক্ষণ পর্যন্ত এ বিষয় কারো সঙ্গে আলোচনা না করে ততক্ষণ তা পাখির পায়ের ঝুলন্ত জিনিসের মত। কিন্তু কারো সঙ্গে আলোচনা করে ফেললে (প্রদত্ত তা’বীর অনুসারেই) তা ঘটে যায়। সহীহ, তিরমিজী হাদিস নম্বরঃ ২২৭৯ [আল মাদানী প্রকাশনী]

(আবু ঈসা বলেন) এ হাদীসটি হাসান-সহীহ।

আবূ রাযীন উকায়লী রাদিয়াল্লাহু আনহু-এর নাম হল লাকিত ইবন আমীর। হাম্মাদ (রহঃ) এটি ইয়া’লা ইবন ’আতা (রহঃ) এর বরাতে রিওয়ায়াত করতে গিয়ে সনদে রাবী ওয়াকীর পিতার নাম হুদুস বলে উল্লেখ করেছেন। আর শু’বা, আবূ আওয়ানা এবং হুশায়ম ইয়া’লা ইবন আতা (রহঃ) এর বরাতে ’উদুসরূপে উল্লেখ করেছেন। আর এটিই অধিকতর সহীহ।

بَاب: مَا جَاءَ فِي تَعْبِيرِ الرُّؤْيَا

حَدَّثَنَا الْحَسَنُ بْنُ عَلِيٍّ الْخَلاَّلُ، حَدَّثَنَا يَزِيدُ بْنُ هَارُونَ، أَخْبَرَنَا شُعْبَةُ، عَنْ يَعْلَى بْنِ عَطَاءٍ، عَنْ وَكِيعِ بْنِ عُدُسٍ، عَنْ عَمِّهِ أَبِي رَزِينٍ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ ‏ "‏ رُؤْيَا الْمُسْلِمِ جُزْءٌ مِنْ سِتَّةٍ وَأَرْبَعِينَ جُزْءًا مِنَ النُّبُوَّةِ وَهِيَ عَلَى رِجْلِ طَائِرٍ مَا لَمْ يُحَدِّثْ بِهَا فَإِذَا حَدَّثَ بِهَا وَقَعَتْ ‏"‏ ‏.‏ قَالَ هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ ‏.‏ وَأَبُو رَزِينٍ الْعُقَيْلِيُّ اسْمُهُ لَقِيطُ بْنُ عَامِرٍ ‏.‏ وَرَوَى حَمَّادُ بْنُ سَلَمَةَ عَنْ يَعْلَى بْنِ عَطَاءٍ فَقَالَ عَنْ وَكِيعِ بْنِ حُدُسٍ وَقَالَ شُعْبَةُ وَأَبُو عَوَانَةَ وَهُشَيْمٌ عَنْ يَعْلَى بْنِ عَطَاءٍ عَنْ وَكِيعِ بْنِ عُدُسٍ وَهَذَا أَصَحُّ ‏.‏


Waki' bin 'Udus narrated from Abu Razin that the Prophet (s.a.w) said: " The Muslim's dreams are a portion of the forty-six portions of Prophet-hood. And it is (as if it is) on the leg of a bird, as long as it is not spoken of. But when it is spoken of it falls."


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ আবূ রাযীন আল ‘উকায়লী (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ

পরিচ্ছেদঃ ৮৭. (অন্যের পক্ষ হতে উমরা আদায় করা)

৯৩০। আবূ রাযীন আল-উকাইলী (রাঃ) হতে বর্ণিত আছে, তিনি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের নিকট এসে বললেনঃ হে আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম। আমার পিতা খুবই বৃদ্ধ। তিনি হাজ্জ, উমরা, এমনকি সফর করতেও সক্ষম নন। তিনি বললেনঃ তোমার পিতার পক্ষে তুমি হাজ্জ ও উমরা আদায় কর। — সহীহ, ইবনু মা-জাহ (২৯০৬)

এই হাদীসটিকে আবু ঈসা হাসান সহীহ বলেছেন। এই হাদীস হতেই জানা যায় যে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম অন্যের পক্ষ হতে উমরা করার অনুমতি দিয়েছেন। আবু রায়ীন আল-উকাইলী (রাঃ)-এর নাম লাকীত, পিতা আমির।

باب مِنْهُ

حَدَّثَنَا يُوسُفُ بْنُ عِيسَى، حَدَّثَنَا وَكِيعٌ، عَنْ شُعْبَةَ، عَنِ النُّعْمَانِ بْنِ سَالِمٍ، عَنْ عَمْرِو بْنِ أَوْسٍ، عَنْ أَبِي رَزِينٍ الْعُقَيْلِيِّ، أَنَّهُ أَتَى النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم فَقَالَ يَا رَسُولَ اللَّهِ إِنَّ أَبِي شَيْخٌ كَبِيرٌ لاَ يَسْتَطِيعُ الْحَجَّ وَلاَ الْعُمْرَةَ وَلاَ الظَّعْنَ ‏.‏ قَالَ ‏ "‏ حُجَّ عَنْ أَبِيكَ وَاعْتَمِرْ ‏"‏ قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ ‏.‏ وَإِنَّمَا ذُكِرَتِ الْعُمْرَةُ عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم فِي هَذَا الْحَدِيثِ أَنْ يَعْتَمِرَ الرَّجُلُ عَنْ غَيْرِهِ ‏.‏ وَأَبُو رَزِينٍ الْعُقَيْلِيُّ اسْمُهُ لَقِيطُ بْنُ عَامِرٍ ‏.‏


Abu Razin Al-Uqaili narrated: That he went to the Prophet and said: "O Messenger of Allah! My father is an elderly man who is not able to perform Hajj nor Umrah nor undertake a journey.' He said: 'Perform Hajj on behalf of your father and perform Umrah.'"


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ আবূ রাযীন আল ‘উকায়লী (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ

পরিচ্ছেদঃ ৬. স্বপ্নের ব্যাখ্যা প্রসঙ্গে

২২৭৮। আবূ রাযীন আল-উকাইলী (রাঃ) হতে বর্ণিত আছে, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ মুমিনের স্বপ্ন নাবুওয়াতের চল্লিশ ভাগের একভাগ। স্বপ্নের ব্যাপারে যে পর্যন্ত আলোচনা করা না হয় সে পর্যন্ত এটা পাখির পায়ে (ঝুলে) থাকা জিনিসের মতো। আলোচনা করার সাথে সাথে তা যেন পা হতে পড়ে গেল। বর্ণনাকারী বলেন, আমার মনে হয়, তিনি এ কথাটুকুও বলেছেনঃ আর স্বপ্ন দ্রষ্ঠা ব্যক্তি যেন জ্ঞানী ব্যক্তি অথবা পছন্দনীয় ব্যক্তি ব্যতীত অন্য কারো নিকট স্বপ্নের ব্যাপারে আলোচনা না করে।

সহীহ, সহীহাহ (১২০), মিশকাত তাহকীক ছানী (৪৬২২)।

حَدَّثَنَا مَحْمُودُ بْنُ غَيْلاَنَ، حَدَّثَنَا أَبُو دَاوُدَ، قَالَ أَنْبَأَنَا شُعْبَةُ، قَالَ أَخْبَرَنِي يَعْلَى بْنُ عَطَاءٍ، قَالَ سَمِعْتُ وَكِيعَ بْنَ عُدُسٍ، عَنْ أَبِي رَزِينٍ الْعُقَيْلِيِّ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏"‏ رُؤْيَا الْمُؤْمِنِ جُزْءٌ مِنْ أَرْبَعِينَ جُزْءًا مِنَ النُّبُوَّةِ وَهِيَ عَلَى رِجْلِ طَائِرٍ مَا لَمْ يَتَحَدَّثْ بِهَا فَإِذَا تَحَدَّثَ بِهَا سَقَطَتْ ‏"‏ ‏.‏ قَالَ وَأَحْسَبُهُ قَالَ ‏"‏ وَلاَ يُحَدِّثُ بِهَا إِلاَّ لَبِيبًا أَوْ حَبِيبًا ‏"‏ ‏.‏


Waki' bin 'Udus narrated that Abu Razin Al-'Uqaili said: " The Messenger of Allah (s.a.w) said: " The believer's dreams are a portion of the forty portions of Prophet-hood. And it is (as if it is) on the leg of a bird, as long as it is not spoken of. But when it is spoken of it drops." I think he said: " And it should not be discussed except with an intelligent one or a beloved one."


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ আবূ রাযীন আল ‘উকায়লী (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ

পরিচ্ছেদঃ ৬. স্বপ্নের ব্যাখ্যা প্রসঙ্গে

২২৭৯। আবূ রাযীন (রাঃ) হতে বর্ণিত আছে, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ মুসলিমের স্বপ্ন নাবুওয়াতের ছিচল্লিশ ভাগের একভাগ। স্বপ্নদ্রষ্টা এ প্রসঙ্গে (কারো সাথে) আলোচনা না করা পর্যন্ত তা পাখির পায়ে ঝুলন্ত জিনিসের অনুরূপ। আর যখনই সে এটা আলোচনা করে তখনই তা ছিটকে পড়ে যায়।

সহীহ, দেখুন পূর্বের হাদীস।

আবূ ঈসা বলেন, এ হাদীসটি হাসান সহীহ। আবূ রাযীন আল-উকাইলী (রাঃ)-এর নাম লাকীত ইবনু আমির। এ হাদীসটি ইয়ালা ইবনু আতার সূত্রে হাম্মাদ ইবনু সালামা বর্ণনা করতে গিয়ে ওয়াকীর বাবার নাম ’হুদুস উল্লেখ করেছেন। কিন্তু ইয়ালা ইবনু আতার সূত্রে শুবা, আবূ আওয়ানা ও দুশাইম (রাহঃ) বর্ণনা করতে গিয়ে তার বাবার নাম “উদুস” উল্লেখ করেছেন এবং এটিই অনেক বেশি সহীহ।

حَدَّثَنَا الْحَسَنُ بْنُ عَلِيٍّ الْخَلاَّلُ، حَدَّثَنَا يَزِيدُ بْنُ هَارُونَ، أَخْبَرَنَا شُعْبَةُ، عَنْ يَعْلَى بْنِ عَطَاءٍ، عَنْ وَكِيعِ بْنِ عُدُسٍ، عَنْ عَمِّهِ أَبِي رَزِينٍ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ ‏ "‏ رُؤْيَا الْمُسْلِمِ جُزْءٌ مِنْ سِتَّةٍ وَأَرْبَعِينَ جُزْءًا مِنَ النُّبُوَّةِ وَهِيَ عَلَى رِجْلِ طَائِرٍ مَا لَمْ يُحَدِّثْ بِهَا فَإِذَا حَدَّثَ بِهَا وَقَعَتْ ‏"‏ ‏.‏ قَالَ هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ ‏.‏ وَأَبُو رَزِينٍ الْعُقَيْلِيُّ اسْمُهُ لَقِيطُ بْنُ عَامِرٍ ‏.‏ وَرَوَى حَمَّادُ بْنُ سَلَمَةَ عَنْ يَعْلَى بْنِ عَطَاءٍ فَقَالَ عَنْ وَكِيعِ بْنِ حُدُسٍ وَقَالَ شُعْبَةُ وَأَبُو عَوَانَةَ وَهُشَيْمٌ عَنْ يَعْلَى بْنِ عَطَاءٍ عَنْ وَكِيعِ بْنِ عُدُسٍ وَهَذَا أَصَحُّ ‏.‏


Waki' bin 'Udus narrated from Abu Razin that the Prophet (s.a.w) said: " The Muslim's dreams are a portion of the forty-six portions of Prophet-hood. And it is (as if it is) on the leg of a bird, as long as it is not spoken of. But when it is spoken of it falls."


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ আবূ রাযীন আল ‘উকায়লী (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ

পরিচ্ছেদঃ ১২. সূরা হুদ

৩১০৯। আবূ রাযীন (রাঃ) হতে বর্ণিত আছে, তিনি বলেনঃ আমি বললাম, হে আল্লাহর রাসূল! জীব সৃষ্টি করার আগে আমাদের প্রতিপালক কোথায় ছিলেন? তিনি বলেনঃ তিনি আমা’ (হালকা মেঘমালা)-এর মধ্যে ছিলেন। এর নিচেও বাতাস ছিল না এবং উপরেও বাতাস ছিল না। তিনি পানির উপর তার আরশ তৈরী করেন।

যঈফ, ইবনু মাজাহ (২৭১)

আহমাদ (রহঃ) বলেনঃ ইয়াযীদ (রাহঃ) বলেছেন, ’আমা’ শব্দের অর্থ তার সাথে কিছুই ছিল না। হাম্মাদ ইবনু সালামা ও ওয়াকী ইবনু হুদুস এরকমই বলেন। শুবা, আবূ আওয়ানা ও হুশাইম (রাবীর নামের উচ্চারণ) ওয়াকী ইবনু উদুস বলেছেন। আবূ রাযীন এর নাম লাকীত ইবনু আমির। আবূ ঈসা বলেনঃ এ হাদীসটি হাসান।

حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ مَنِيعٍ، حَدَّثَنَا يَزِيدُ بْنُ هَارُونَ، أَخْبَرَنَا حَمَّادُ بْنُ سَلَمَةَ، عَنْ يَعْلَى بْنِ عَطَاءٍ، عَنْ وَكِيعِ بْنِ حُدُسٍ، عَنْ عَمِّهِ أَبِي رَزِينٍ، قَالَ قُلْتُ يَا رَسُولَ اللَّهِ أَيْنَ كَانَ رَبُّنَا قَبْلَ أَنْ يَخْلُقَ خَلْقَهُ قَالَ ‏ "‏ كَانَ فِي عَمَاءٍ مَا تَحْتَهُ هَوَاءٌ وَمَا فَوْقَهُ هَوَاءٌ وَخَلَقَ عَرْشَهُ عَلَى الْمَاءِ ‏"‏ ‏.‏ قَالَ أَحْمَدُ بْنُ مَنِيعٍ قَالَ يَزِيدُ بْنُ هَارُونَ الْعَمَاءُ أَىْ لَيْسَ مَعَهُ شَيْءٌ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى هَكَذَا رَوَى حَمَّادُ بْنُ سَلَمَةَ وَكِيعُ بْنُ حُدُسٍ وَيَقُولُ شُعْبَةُ وَأَبُو عَوَانَةَ وَهُشَيْمٌ وَكِيعُ بْنُ عُدُسٍ وَهُوَ أَصَحُّ وَأَبُو رَزِينٍ اسْمُهُ لَقِيطُ بْنُ عَامِرٍ قَالَ وَهَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ ‏.‏


Narrated Waki' bin Hudus: from his uncle Abu Razin who said: "I said: 'O Messenger of Allah! Where was our Lord before He created His creation?' He said: 'He was (above) the clouds - no air was under him, no air was above him, and He created His Throne upon the water.'"


হাদিসের মানঃ যঈফ (Dai'f)
বর্ণনাকারীঃ আবূ রাযীন আল ‘উকায়লী (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ

পরিচ্ছেদঃ ১১. স্বপ্ন বর্ণনা না করা হলে তা কার্যকর হয় না

২১৮৭. আবী রাযীন আল উকাইলী রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কে বলতে শুনেছি: “স্বপ্নের ব্যাখ্যা না করা পর্যন্ত তা উড়ন্ত পাখির পায়ে ঝুলন্ত জিনিস সদৃশ। তার ব্যাখ্যা করা হলে তা ছিটকে পড়ে যায় (বাস্তবায়িত হয়)।[1]

بَاب الرُّؤْيَا لَا تَقَعُ مَا لَمْ تُعَبَّرْ

أَخْبَرَنَا هَاشِمُ بْنُ الْقَاسِمِ حَدَّثَنَا شُعْبَةُ عَنْ يَعْلَى بْنِ عَطَاءٍ قَالَ سَمِعْتُ وَكِيعَ بْنَ عُدُسٍ يُحَدِّثُ عَنْ عَمِّهِ أَبِي رَزِينٍ الْعُقَيْلِيِّ أَنَّهُ سَمِعَ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقُولُ الرُّؤْيَا هِيَ عَلَى رِجْلِ طَائِرٍ مَا لَمْ يُحَدَّثْ بِهَا فَإِذَا حُدِّثَ بِهَا وَقَعَتْ


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ আবূ রাযীন আল ‘উকায়লী (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ

পরিচ্ছেদঃ দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ

৪৬২২-[১৭] আবূ রযীন আল ’উকায়লী (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ মু’মিনের স্বপ্ন নুবুওয়াতের ছেচল্লিশ ভাগের এক ভাগ। আর স্বপ্ন অন্যকে বলার পূর্ব পর্যন্ত উড়ন্ত পাখির পায়ের মধ্যে ঝুলতে থাকে। আর যখনই তা কারো নিকট বর্ণনা করা হয়, তখন তা বাস্তবায়িত হয়ে যায়। বর্ণনাকারী বলেন, আমার ধারণা, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এটাও বলেছেন যে, কোন বন্ধু অথবা জ্ঞানী ব্যক্তি ছাড়া অন্য কারো কাছে স্বপ্নের কথাটি প্রকাশ করো না। (তিরমিযী)[1]

আর আবূ দাঊদ-এর রিওয়ায়াতের মধ্যে আছে, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ স্বপ্নের তা’বীর না দেয়া পর্যন্ত পাখির পায়ে ঝুলতে থাকে। আর যখনই তার তা’বীর করা হয়, তখন তা বাস্তবায়িত হয়ে যায়। বর্ণনাকারী বলেন, আমার ধারণা, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এ কথাও বলেছেন যে, কোন বন্ধু অথবা কোন জ্ঞানী ব্যতীত অন্য কারো কাছে স্বপ্নের কথা বর্ণনা করো না।

الْفَصْلُ الثَّانِي

عَن أبي رزين العقيليِّ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «رُؤْيَا الْمُؤْمِنِ جُزْءٌ مِنْ سِتَّةٍ وَأَرْبَعِينَ جُزْءًا مِنَ النُّبُوَّةِ وَهِيَ عَلَى رِجْلِ طَائِرٍ مَا لَمْ يُحَدِّثْ بِهَا فَإِذَا حَدَّثَ بِهَا وَقَعَتْ» . وَأَحْسِبُهُ قَالَ: «لَا تُحَدِّثْ إِلَّا حَبِيبًا أَوْ لَبِيبًا» . رَوَاهُ التِّرْمِذِيُّ وَفِي رِوَايَةِ أَبِي دَاوُدَ قَالَ: «الرُّؤْيَا عَلَى رِجْلِ طَائِرٍ مَا لَمْ تُعْبَرْ فَإِذَا عُبِرَتْ وَقَعَتْ» . وَأَحْسِبُهُ قَالَ: «وَلَا تَقُصَّهَا إِلَّا عَلَى وَادٍّ أَوْ ذِي رأيٍ»

ব্যাখ্যাঃ আলোচ্য হাদীসে সাধারণভাবে বলা হয়েছে যে, মু’মিনের স্বপ্ন নুবুওয়াতে ছেচল্লিশভাগের একভাগ। এ সম্পর্কে কিছু আসার হাদীস বর্ণিত রয়েছে। তবে ইসলামের প্রথমদিকে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যে ছয় মাস স্বপ্ন দেখেছিলেন তা নুবুওয়াতের ছেচল্লিশভাগের এক-ভাগের মাঝে অন্তর্ভুক্ত।

‘‘স্বপ্নে পাখির পায়ের মধ্যে ঝুলতে থাকা’’ এর দ্বারা উদ্দেশ্য ভালো ও মন্দ উভয়টি হতে পারে। সুতরাং স্বপ্নের ব্যাখ্যা যাই দেয়া হবে তাই ঘটবে। ফলে যে কোন মানুষের নিকট স্বপ্নের কথা বলা উচিত না। স্বপ্নের কথা বলবে ‘আলিম, সৎলোকেদের নিকট। (মিরক্বাতুল মাফাহীহ)


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ আবূ রাযীন আল ‘উকায়লী (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ

পরিচ্ছেদঃ তৃতীয় অনুচ্ছেদ - শিঙ্গায় ফুৎকার

৫৫৩১-[১১] আবূ রযীন আল ’উক্কায়লী (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, একদিন আমি বললাম, হে আল্লাহর রাসূল! আল্লাহ তা’আলা তাঁর সৃষ্টিজগতকে কিভাবে পুনরুত্থান করবে, তার সৃষ্টির মধ্যে তার কোন চিহ্ন আছে কি? তিনি (সা.) বললেন, আচ্ছা বল দেখি। তুমি কি তোমার এলাকার (খরার সময়) কোন তৃণ মাঠের উপর দিয়ে অতিক্রম করনি? অতঃপর (বৃষ্টি বর্ষণের পরে) যখন তুমি সেই মাঠের উপর দিয়ে চলাচল কর তখন তা বাতাসে দোলায়িত তরতাজা ঘাস ইত্যাদিতে রূপান্তরিত হয়ে যায়? আমি বললাম, হ্যা দেখেছি। এবার তিনি (সা.) বললেন, আল্লাহর সৃষ্টিজগতে এটাই তার বাস্তব নিদর্শন। এভাবেই আল্লাহ তা’আলা মৃতকে জীবিত করবেন। (হাদীস দুটি রযীন রিওয়ায়াত করেছেন)

اَلْفصْلُ الثَّالِثُ (بَاب النفخ فِي الصُّور)

وَعَن أبي رزين الْعقيلِيّ قَالَ: قُلْتُ: يَا رَسُولَ اللَّهِ كَيْفَ يُعِيدُ الله الْخلق؟ مَا آيَةُ ذَلِكَ فِي خَلْقِهِ؟ قَالَ: «أَمَا مَرَرْتَ بِوَادِي قَوْمِكَ جَدْبًا ثُمَّ مَرَرْتَ بِهِ يَهْتَزُّ خَضِرًا؟» قُلْتُ: نَعَمْ. قَالَ: فَتِلْكَ آيَةُ اللَّهِ فِي خلقه (كَذَلِك يحيي اللَّهُ الْمَوْتَى) رَوَاهُمَا رزين

اسنادہ حسن ، رواہ رزین (لم اجدہ) [و احمد (4 / 11 ، 12 ح 16294 ، 16297)

ব্যাখ্যা: (جَدُبٌ) যেটা (الْخِصْبُ) (উর্বর)-এর বিপরীত। ত্বীবী (রহিমাহুল্লাহ) বলেন, (يَهْتَزُّ) অবস্থাসূচক বাক্য (خَضِرًا) শব্দটি (تَمْيِيز) এর ভিত্তিতে নসব হয়েছে। উপত্যকার গাছপালার সাথে (اهْتِزَازَ) শব্দের ব্যবহার দ্বারা সুন্দর চিত্রের প্রতি ইঙ্গিত প্রদান করা হয়েছে। যেমন বলা হয় (اهْتَزَّفُلَانٌ فَرَحًا) (অমুক ব্যক্তি আনন্দে আলোড়িত হয়েছে) অর্থাৎ সে কারণে চঞ্চল হয়েছে।
আর যে ব্যক্তি কোন বিষয়ে চঞ্চল হয় এবং আনন্দিত হয় সে তখন শিহরিত হয়। (فَتِلْكَ آيَةُ اللَّهِ) অর্থাৎ তার পূর্বাবস্থায় ফিরিয়ে আনার ক্ষেত্রে তাঁর ক্ষমতার নিদর্শন। আল্লাহ তা'আলা বলেন, ( وَ هُوَ الَّذِیۡ یَبۡدَؤُا الۡخَلۡقَ ثُمَّ یُعِیۡدُهٗ وَ هُوَ اَهۡوَنُ عَلَیۡهِ) “তিনিই সৃষ্টির সূচনা করেন, অতঃপর তার পুনরাবৃত্তি করেন আর তা তার জন্য খুবই সহজ”- (সূরা আর রূম ৩০: ২৭)।
(کَذٰلِکَ یُحۡیِ اللّٰهُ الۡمَوۡتٰی) “এভাবে আল্লাহ মৃতকে জীবন দান করেন”- (সূরা আল বাকারাহ ২: ৭৩)। সুস্পষ্ট কথা হল- এসব আয়াত আল্লাহ তা'আলার ক্ষমতার চিহ্নের প্রমাণস্বরূপ। ত্বীবী (রহিমাহুল্লাহ) বলেন, নতুনভাবে সৃষ্টি করা এবং পুনরায় সৃষ্টি করার মধ্যে কোন পার্থক্য নেই। আল্লাহ তা'আলার বাণী-
(قُلۡ یُحۡیِیۡهَا الَّذِیۡۤ اَنۡشَاَهَاۤ اَوَّلَ مَرَّۃٍ ؕ وَ هُوَ بِکُلِّ خَلۡقٍ عَلِیۡمُۨ) “বল, তাকে তিনিই জীবন্ত করবেন যিনি ওগুলোকে প্রথমবার সৃষ্টি করেছেন, আর তিনি প্রতিটি সৃষ্টি সম্পর্কে সবচেয়ে বেশি অবগত- (সূরাহ্ ইয়া-সীন ৩৬: ৭৯)। অর্থাৎ নতুন সূচনা এবং পুনরাবৃত্তির প্রত্যেকটির ব্যাপারে জ্ঞান রাখেন। এ হাদীসের মতো অর্থ আল্লাহ তা'আলার আয়াতে বিদ্যমান। যেমন- তিনি বলেন, (فَانۡظُرۡ اِلٰۤی اٰثٰرِ رَحۡمَتِ اللّٰهِ کَیۡفَ یُحۡیِ الۡاَرۡضَ بَعۡدَ مَوۡتِهَا ؕ اِنَّ ذٰلِکَ لَمُحۡیِ الۡمَوۡتٰی ۚ وَ هُوَ عَلٰی کُلِّ شَیۡءٍ قَدِیۡرٌ) “অতএব আল্লাহর রহমতের ফল দেখে নাও, কিভাবে তিনি ভূমিকে তার মৃত্যুর পর জীবিত করেন, এভাবেই নিশ্চয় তিনি মৃতকে জীবিত করবেন, কেননা সব কিছুর উপর তিনি সর্বশক্তিমান”- (সূরা আর রূম ৩০: ৫০)। মানে যিনি মৃত্যু জমিনকে জীবিত করতে পারেন তিনিই মানুষকে মরার পরে জীবিত করতে ক্ষমতা রাখেন। তিনিই সব নির্ধারিত বস্তুর উপর ক্ষমতাবান। সৃষ্টির দলীলের উপর ভিত্তি করেই বলা যায় যে, তিনি সামগ্রিক ক্ষমতার অধিকারী। (মিরক্বাতুল মাফাতীহ)


হাদিসের মানঃ যঈফ (Dai'f)
বর্ণনাকারীঃ আবূ রাযীন আল ‘উকায়লী (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ

পরিচ্ছেদঃ দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - আল্লাহ তাআলার দর্শনলাভ

৫৬৫৮-[8] আবূ রযীন আল ’উকায়লী (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি প্রশ্ন করলাম, হে আল্লাহর রাসূল! কিয়ামতের দিন আমাদের প্রত্যেক লোকই কি স্বতন্ত্রভাবে তার প্রভুকে দেখতে পাবে? তিনি (সা.) বললেন, হ্যা দেখতে পাবে। আবূ রযীন (রহিমাহুল্লাহ) বলেন, আমি আবার প্রশ্ন করলাম, আচ্ছা, তার সৃষ্টিকুলের মাঝে এর কোন উপমা আছে কি? উত্তরে তিনি (সা.) বললেন, হে আবূ রযীন! তোমাদের প্রত্যেক লোক কি মানুষের ভিড় ছাড়া স্বতন্ত্রভাবে পূর্ণিমার চাঁদ দেখতে পায় না? আবূ রযীন (রহিমাহুল্লাহ) বললেন, হা। তখন তিনি [রাসূলুল্লাহ (সা.)] বললেন, চাঁদ হলো আল্লাহ তা’আলার সৃষ্টিসমূহের একটি সৃষ্টি। অথচ আল্লাহ তা’আলা হলেন সুমহান ও বিরাট সত্তা। (আবূ দাউদ)

اَلْفصْلُ الثَّنِفْ (بَاب رؤيةالله تَعَالَى)

وَبَعْضهمْ يُحسنهُ) وَعَن أبي رزين الْعقيلِيّ قَالَ: قُلْتُ: يَا رَسُولَ اللَّهِ أَكُلُّنَا يَرَى رَبَّهُ مُخْلِيًا بِهِ يَوْمَ الْقِيَامَةِ؟ قَالَ: «بَلَى» . قَالَ: وَمَا آيَةُ ذَلِكَ فِي خَلْقِهِ؟ قَالَ: «يَا أَبَا رَزِينٍ أَلَيْسَ كُلُّكُمْ يَرَى الْقَمَرَ لَيْلَةَ البدرِ مُخْلِيًا بِهِ؟» قَالَ: بَلَى. قَالَ: «فَإِنَّمَا هُوَ خَلْقٌ مِنْ خَلْقِ اللَّهِ وَاللَّهُ أَجَلُّ وَأَعْظَمُ» . رَوَاهُ أَبُو دَاوُد

اسنادہ حسن ، رواہ ابوداؤد (4731)

ব্যাখ্যা: (كُلُّنَا يَرَى رَبَّهُ) সাহাবী আশ্চর্য হয়ে রাসূলুল্লাহ (সা.) -কে প্রশ্ন করল, আমাদের সবাই কি আল্লাহ তা'আলাকে স্বচক্ষে দেখতে পাবে। সাহাবী পুনরায় প্রশ্ন করল- আল্লাহ তা'আলার সৃষ্টির মাঝে এর কি নিদর্শন আছে? উত্তরে রাসূল বললেন, তোমাদের সবাই কি চন্দ্রকে দেখতে পাও না? সাহাবী বলল, হ্যা, দেখতে পাই। রাসূলুল্লাহ (সা.) বললেন, চন্দ্র হচ্ছে আল্লাহ তা'আলার একটি সৃষ্টিমাত্র। তিনি এর চেয়েও অনেক মহান সুউচ্চ ও মর্যাদাবান। (মিরক্বাতুল মাফাতীহ)


হাদিসের মানঃ হাসান (Hasan)
বর্ণনাকারীঃ আবূ রাযীন আল ‘উকায়লী (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ

পরিচ্ছেদঃ মহান আল্লাহর গুণাবলী

(২৭) আবূ রাযীন কর্তৃক বর্ণিত, একদা নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, আমাদের প্রতিপালক নিজ বান্দার নিকটে তাঁর (মন্দ) অবস্থার পরিবর্তন করবেন তা সত্ত্বেও তার নিরাশ হওয়ার ব্যাপারে হাসেন। আবূ রাযীন বললেন, ’হে আল্লাহর রসূল! মহান প্রতিপালকও কি হাসেন?’ তিনি বললেন, হ্যাঁ-! আবূ রাযীন বললেন, ’সেই প্রতিপালকের নিকট কল্যাণ অবর্তমান কক্ষনই পাব না, যিনি হাসেন।’

عَنْ أَبيْ رَزِينٍ أَنّ رَسُولَ اللهِ ﷺ قَالَ ضَحِكَ اللهُ تَعَالَى مِنْ قُنُوطِ عِبَادِهِ وَقُرْبِ غَيْرِهِ قَالَ أَبُو رَزِينٍ: فَقُلْتُ: يَا رَسُولَ اللهِ وَيَضْحَكُ الرَّبُّ؟ قَالَ نَعَمْ قَالَ: لَنْ نُعْدَمَ مِنْ رَبٍّ يَضْحَكُ خَيْرًا


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ আবূ রাযীন আল ‘উকায়লী (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ

পরিচ্ছেদঃ পবিত্র জিনিস ভক্ষণ করা ও পবিত্র জিনিস বের করার ক্ষেত্রে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম কর্তৃক মু‘মিন ব্যক্তিকে মৌমাছির সাথে দৃষ্টান্ত পেশ করা

২৪৭. আবু রাযীন রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন: “মু‘মিন ব্যক্তির দৃষ্টান্ত হলো মৌমাছির মতো, যা কেবল পবিত্র জিনিসই ভক্ষণ করে আর কেবল পবিত্র জিনিসই প্রদান করে।”[1]

আবু হাতিম ইবনু হিব্বান রহিমাহুল্লাহ বলেন: “ইমাম শু‘বাহ রহিমাহুল্লাহ ‘উদুস’ নামের ক্ষেত্রে ভুল করেছেন। মূলত সেটি হবে ‘হুদুস’, যেমনটা হাম্মাদ বিন সালামা এবং অন্যান্য মুহাদ্দিসগণ বলেছেন।”

ذِكْرُ تَمْثِيلِ الْمُصْطَفَى صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ الْمُؤْمِنَ بِالنَّحْلَةِ فِي أَكْلِ الطَّيِّبِ وَوَضْعِ الطَّيِّبِ

أَخْبَرَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ قَحْطَبَةَ قَالَ حَدَّثَنَا الْعَبَّاسُ بْنُ عَبْدِ الْعَظِيمِ الْعَنْبَرِيُّ قَالَ حَدَّثَنَا مُؤَمَّلُ بْنُ إِسْمَاعِيلَ قَالَ حَدَّثَنَا شُعْبَةُ عَنْ يَعْلَى بْنِ عَطَاءٍ عَنْ وَكِيعِ بْنِ عُدُسٍ عَنْ عَمِّهِ أَبِي رَزِينٍ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: "مَثَلُ الْمُؤْمِنِ مَثَلُ النَّحْلَةِ لَا تَأْكُلُ إِلَّا طَيِّبًا وَلَا تَضَعُ إِلَّا طَيِّبًا".
قَالَ أَبُو حَاتِمٍ: شُعْبَةُ وَاهِمٌ فِي قَوْلِهِ: عُدُس إِنَّمَا هُوَ حُدُسٍ كما قاله حماد بن سلمة وأولئك.
الراوي : أَبُو رَزِينٍ | المحدث : العلامة ناصر الدين الألباني | المصدر : التعليقات الحسان على صحيح ابن حبان
الصفحة أو الرقم: 247 | خلاصة حكم المحدث: صحيح.


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ আবূ রাযীন আল ‘উকায়লী (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
দেখানো হচ্ছেঃ থেকে ১৬ পর্যন্ত, সর্বমোট ১৬ টি রেকর্ডের মধ্য থেকে