জা‘ফার ইবনু মুহাম্মাদ (রহঃ) থেকে বর্ণিত হাদিস পাওয়া গেছে ৪২ টি

পরিচ্ছেদঃ ১৫. অবৈধ নয় এমন কাজে রমযান মাসে সফরকারী ব্যক্তির জন্য সাওম পালন করা এবং ইফতার করা উভয়ই জায়েয যদি দুই বা ততোধিক মঞ্জিলের উদ্দেশ্যে সফর করা হয়; অবশ্য সক্ষম ব্যক্তির জন্য সাওম পালন করা উত্তম এবং অক্ষম ব্যক্তির জন্য সাওম হতে বিরত থাকা উত্তম

২৪৮২। কুতায়বা ইবনু সাঈদ (রহঃ) ... জাফর (রহঃ) থেকে এ সনদে হাদীস বর্ণনা করেছেন। তবে তিনি অতিরিক্ত বর্ননা করেছেন যে, অতঃপর তাঁকে বলা হল মানুষের জন্য সাওম (রোযা/রোজা/সিয়াম/ছিয়াম) পালন করা কষ্টাতীত হয়ে পড়েছে। আপনি কি করছেন তারা সেদিকে তাকিয়ে আছে। একথা শুনে তিনি আসরের পর এক পাত্র পানি চাইলেন।

باب جواز الصوم والفطر في شهر رمضان للمسافر في غير معصية إذا كان سفره مرحلتين فأكثر وأن الأفضل لمن أطاقه بلا ضرر أن يصوم ولمن يشق عليه أن يفطر

وَحَدَّثَنَاهُ قُتَيْبَةُ بْنُ سَعِيدٍ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الْعَزِيزِ، - يَعْنِي الدَّرَاوَرْدِيَّ - عَنْ جَعْفَرٍ، بِهَذَا الإِسْنَادِ وَزَادَ فَقِيلَ لَهُ إِنَّ النَّاسَ قَدْ شَقَّ عَلَيْهِمُ الصِّيَامُ وَإِنَّمَا يَنْظُرُونَ فِيمَا فَعَلْتَ ‏.‏ فَدَعَا بِقَدَحٍ مِنْ مَاءٍ بَعْدَ الْعَصْرِ ‏.‏


This hadith has been narrated by Ja'far with the same chain of transmitters and he added: It was said to him (to the Holy Prophet): There are people to whom fasting has become unbearable and they are waiting how you do. He (the Holy Prophet) then called for a cup of water when it was afternoon. The rest of the hadith is the same.


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ জা‘ফার ইবনু মুহাম্মাদ (রহঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ

পরিচ্ছেদঃ ১৭. নবী (ﷺ) এর হজ্জের বিবরণ

২৮২১। আবূ বকর ইবনু শায়বা ও ইসহাক ইবনু ইবরাহীম (রহঃ) ... হাতিম ইবন ইসমাইল জাফর ইবনু মুহাম্মাদ (রহঃ) থেকে, তিনি তার পিতার সুত্রে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমরা জাবির ইবনু আবদুল্লাহ (রাঃ) এর কাছে গেলাম। তিনি সকলের পরিচয় জিজ্ঞাসা করলেন। অবশেষে আমার পরিচয় জানতে চাইলেন। আমি বললাম, আমি মুহাম্মাদ ইবনু আলী ইবনু হুসায়ন। অতএব তিনি আমার দিকে হাত বাড়িয়ে আমার মাথার উপর রাখলেন। তিনি আমার জামার উপরদিকের বোতাম খুললেন তারপর নীচের বোতাম খুললেন। তারপর তার হাত আমার বুকের মাঝে রাখলেন। আমি তখন ছিলাম যুবক। বললেন, হে ভ্রাতুষ্পুত্র! তোমাকে স্বাগত জানাই, তুমি যা জানতে চাও, জিজ্ঞাসা কর। আমি তাকে জিজ্ঞাসা করলাম, তখন তিনি (বার্ধক্যজনিত কারণে) দৃষ্টিশক্তি হারিয়ে ফেলেন। ইতিমধ্যে সালাতের ওয়াক্ত হয়ে গেল। তিনি নিজেকে একটি চাঁদর আবৃত করে উঠে দাঁড়ালেন। তিনি যখনই চাঁদরের প্রান্ত নিজ কাঁধের উপর রাখতেন- তা (আকারে) ছোট হওয়ার কারণে নীচে পড়ে যেত। তার আরেকটি বড় চাঁদর তার পাশেই আলনায় রাখা ছিলো। তিনি আমাদের নিয়ে সালাতের ইমামতি করলেন।

অতঃপর আমি বললাম- আপনি আমাদেরকে রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর (বিদায়) হাজ্জ (হজ্জ) সম্পর্কে অবহিত করুন। জাবির (রাঃ) স্বহস্তে নয় সংখ্যার প্রতি ইঙ্গিত করে বললেনঃ রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম নয় বছর (মদিনায়) অবস্থান করেন এবং এ সময়কালের মধ্যে হাজ্জ (হজ্জ) করেননি। অতঃপর ১০ম বর্ষে লোকদের মধ্যে ঘোষণা দেয়া হল যে, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এ বছর হাজ্জে (হজ্জ) যাবেন। এবং মদিনায় বহুলোকের আগমণ হল। তাদের প্রত্যেকে রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর অনুসরণ করতে এবং তার অনুরূপ আমল করতে আগ্রহী ছিল।

আমরা তাঁর সঙ্গে রওনা হলাম। আমরা যখন যুল-হুলায়ফা নামক স্থানে পৌছলাম- আসমা বিনত উমায়স (রাঃ) মুহাম্মাদ ইবনু আবূ বকরকে প্রসব করলেন। তিনি রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর নিকট লোক পাঠিয়ে জানতে চাইলেন এখন আমি কি করব? তিনি বললেন, তুমি গোসল কর, একখন্ড কাপড় দিয়ে পট্টি বেঁধে নাও এবং ইহরামের পোশাক পরিধান কর।

রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মসজিদে (ইহরামের দু’রাকআত) সালাত আদায় করলেন। অতঃপর “কাসওয়া” নামক উষ্ট্রীতে আরোহণ করলেন। অতঃপর বায়দা নামক স্থানে তাঁর উষ্ট্রী যখন তাঁকে নিয়ে সোজা হয়ে দাঁড়াল, আমি সামনের দিকে যতদূর দৃষ্টি যায়, তাকিয়ে দেখলাম লোকে লোকারন্য কতক সওয়ারীতে, কতক পদব্রজে অগ্রসর হচ্ছে। ডানদিকে, বাঁদিকে এবং পেছনেও একই দৃশ্য। রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাদের মাঝখানে ছিলেন এবং তার উপর কুরআন নাযিল হচ্ছিল। একমাত্র তিনিই এর আসল তাৎপর্য জানেন এবং তিনি যা করতেন, আমরাও তাই করতাম। তিনি আল্লাহর তাওহীদ সম্বলিত এই তালবিয়া পাঠ করলেনঃ

লাব্বাইকা আল্লাহুম্মা লাব্বাইকা, লাব্বাইকা না শারীকা লাকা লাব্বাইকা, ইন্নাল-হামদা ওয়ান-নি মাতা লাকা ওয়াল মূলক, লা শারীকা লাক।

অর্থঃ আমি তোমার নিকটে হাযির আছি হে আল্লাহ, আমি তোমার নিকটে হাযির, আমি তোমার নিকটে হাযির, তোমার কোন শরীক নাই, আমি তোমার নিকটে উপস্থিত। নিশ্চিত সমস্ত প্রশংসা, নি’আমত তোমারই এবং সমগ্র রাজত্ব তোমার, তোমার কোন শরীক নেই।

লোকেরাও উপরোক্ত তালবিযা পাঠ করল যা (আজকাল) পাঠ করা হয়। রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর থেকে বেশি কিছু বলেন নাই! আর রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম উপরোক্ত তালবিয়া পাঠ করতে থাকলেন।

জাবির (রাঃ) বলেন, আমরা হাজ্জ (হজ্জ) ছাড়া অন্য কিছুর নিয়্যত করিনি, আমরা উমরার কথা জানতাম না। অবশেষে আমরা যখন তাঁর সঙ্গে বায়তুল্লাহ শরীফে পৌছলাম তিনি রুকন (হাজারে আসওয়াদ) স্পর্শ করলেন, তারপর সাতবার কা’বা ঘর তাওয়াফ করলেন- তিনবার দ্রুতগতিতে এবং চারবার স্বাভাবিক গতিতে। এরপর তিনি মাকামে ইবরাহীমে পৌছে এই আয়াত তিলাওয়াত করলেনঃ

وَاتَّخِذُوا مِنْ مَقَامِ إِبْرَاهِيمَ مُصَلًّى

অর্থঃ “তোমরা ইবরাহীমের দাঁড়াবার স্থানকে সালাতের স্থানরুপে গ্রহণ কর”- (সূরা বাকারাঃ ১২৫)।

তিনি মাকামে ইবরাহীমকে তাঁর ও বায়তূল্লাহর মাঝখানে রেখে (দু’রাক’আত সালাত আদায় করলেন)। (জাফর বলেন) আমার পিতা (মুহাম্মদ) বলতেন, আমি যতদুর জানি, তিনি (জাবির) রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে বর্ণনা করেছেন। তিনি দু-রাক’আত সালাতে সূরা ’কুল হুআল্লাহু আহাদ’ ও ’কুল ইয়া আইয়্যুহাল কাফিরুন’ পাঠ করেন।

অতঃপর রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হাজারে আসওয়াদের কাছে প্রত্যাবর্তন করলেন এবং তাতে চুমো খেলেন। তারপর তিনি দরজা দিয়ে সাফা পাহাড়ের দিকে বের হলেন এবং সাফার নিকটবর্তী হয়ে তিলাওয়াত করলেনঃ

إِنَّ الصَّفَا وَالْمَرْوَةَ مِنْ شَعَائِرِ اللَّهِ‏

অর্থঃ নিশ্চয়ই সাফা-মারওইয়া আল্লাহর দুটি নিদর্শনসমূহের অন্যতম” (সূরা বাকারাঃ ১৫৮)

এবং আরো বললেন আল্লাহ তা’আলা যে পাহাড়ের উল্লেখ করে আরম্ভ করেছেন, আমিও তা দিয়ে আরম্ভ করব। রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সাফা পাহাড় থেকে শুরু করলেন এবং তারপর এতটা উপরে আরোহণ করলেন যে, বায়তুল্লাহ শরীফ দেখতে পেলেন। তিনি কিবলামুখী হলেন, আল্লাহর একত্ব ও মাহাত্ন ঘোষণা করলেন এবং বললেনঃ

"লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ ওয়াহুদাহু লা শারীকা লাহু লাহুল মুলকু ওয়া হুল হামদু, ওয়া হুয়া আলা কুল্লি শাইয়িন কাদীর। লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়াহদাহু আনজাযা ওয়াহদাহু ওয়া নাসারা আবদাহ ওয়া হাযামাল আহযাবা ওয়াহদাহু।"

অর্থঃ "আল্লাহ ছাড়া কোন মাবুদ নেই, তিনি এক, তাঁর কোন শরীক নেই। তাঁর জন্য রাজত্ব এবং তাঁর জন্য সমস্ত প্রশংসা, তিনি প্রতিটি জিনিসের উপর শক্তিমান। আল্লাহ ছাড়া কোন ইলাহ নাই। তিনি এক, তিনি নিজের প্রতিশ্রুতি পূর্ণ করেছেন এবং তার বান্দাকে সাহায্য করেছেন ও শত্রু বাহিনীকে একাই পরাস্ত করেছেন"

তিনি এ দু’আ পড়লেন এবং তিনি অনুরূপ তিনবার বললেন। অতঃপর তিনি নেমে মারওয়া পাহাড়ের দিকে অগ্রসর হলেন- যাবত না তাঁর পা উপত্যকার সমতল ভূমিতে গিয়ে ঠেকল। তিনি দ্রুত চললেন- যাবত না উপত্যকা অতিক্রম করলেন। মারওয়া পাহাড়ে উঠার সময় হেঁটে উঠলেন, অতঃপর এখানেও তাই করলেন যা তিনি সাফা পাহাড়ে করেছিলেন। সর্বশেষ তাওয়াফে যখন তিনি মারওয়া পাহাড়ে পৌছলেন, তখন (লোকদের সম্মোধন করে) বললেনঃ যদি আমি আগেই ব্যাপারটি বুঝতে পারতাম, তাহলে আমি সাথে করে কুরবানীর পশু আনতাম না এবং (হাজ্জের (হজ্জ) ইহরামকে উমরায় পরিবর্তন করতাম। অতএব তোমাদের মধ্যে যার সাথে কুরবানীর পশু নাই, সে যেন ইহরাম খুলে ফেলে এবং একে উমরায় পরিণত করে। এ সময় সুরাকা ইবনু মালিক ইবনু জু’শুম (রাঃ) দাঁড়িয়ে বললেন, ইয়া রাসূলাল্লাহ! এই ব্যবস্থা কি আমাদের এ বছরের জন্য, না সর্বকালের জন্য? রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হাতের আংগুলগুলো পরস্পরের ফাঁকে ঢূকালেন এবং দু’বার বললেন, উমরা হাজ্জের (হজ্জ) মধ্যে প্রবেশ করেছে। আরও বললেনঃ না, বরং সর্বকালের জন্য, সর্বকালের জন্য।

এ সময় আলী (রাঃ) ইয়েমেন থেকে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর জন্য কুরবানীর পশু নিয়ে এলেন এবং যারা ইহরাম খুলে ফেলেছে, ফাতিমা (রাঃ) কে তাদের অন্তর্ভুক্ত দেখতে পেলেন। তিনি রঙ্গীণ কাপড় পরিহিতা ছিলেন এবং চোখে সুরমা দিয়েছিলেন। আলী (রাঃ) তা অপছন্দ করলেন। ফাতিমা (রাঃ) বললেন, আমার পিতা আমাকে এরূপ করার নির্দেশ দিয়েছেন।

রাবী বলেন, আলী (রাঃ) ইরাকে থাকতেন, অতএব ফাড়িমা (রাঃ) যা করেছেন তার প্রতি অসন্তুষ্ট হয়ে আমি তাকে জানালাম যে আমি তার এ কাজ অপছন্দ করেছি। তিনি যা উল্লেখ করেছেন, সে বিষয়ে জানার জন্য আমি রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর কাছে গেলাম। রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, ফাতিমা সত্য বলেছে, সত্য বলেছে। তুমি হাজ্জের (হজ্জ) ইহরাম বাঁধার সময় কি বলেছিলে? আলী (রাঃ) বললেন আমি বলেছি, ইয়া আল্লাহ! আমি ইহরাম বাঁধলাম, যেরুপ ইহরাম বেঁধেছেন আপনার রাসুল। রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ তোমার সঙ্গে হাদী (কুরবানীর পশু) আছে অতএব তুমি ইহরাম খুলবে না।

জাবির (রাঃ) বলেন, আলী (রাঃ) ইয়েমেন থেকে যে পশুপাল নিয়ে এসেছেন এবং নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম নিজের সঙ্গে করে যে সব পশু নিয়ে এসেছিলেন, সর্বসাকুল্যে এর সংখ্যা দাঁড়াল একশত। অতএব নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এবং যাদের সঙ্গে কুরবানীর পশু ছিল তারা ব্যতীত আর সকলেই ইহরাম খুলে ফেললেন এবং চুল কাটলেন। তারপর যখন তারবিয়ার দিন (৮ যিলহাজ্জ) আসল, লোকেরা পুনরায় ইহরাম বাঁধল এবং মিনার দিকে রওনা হল। আর রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তার বাহনে সওয়ার হয়ে গেলেন এবং সেখানে যোহর, আসর, মাগরিব, ইশা ও ফজরের সালাত আদায় করলেন। তারপর তিনি সূর্য উদিত হওয়া পর্যন্ত সেখানে কিছুক্ষণ অপেক্ষা করলেন এবং নামিরা নামক স্থানে গিয়ে তার জন্য একটি তাঁবু খাটানোর নির্দেশ দিলেন এবং নিজেও রওনা হয়ে গেলেন।

কুরায়শগণ নিঃসন্দেহ ছিল যে, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মাশ’আরুল হারামের কাছে অবস্থান করবেন যেমন জাহিলী যুগে কুরায়শগণ করত। কিন্তু তিনি সামনে অগ্রসর হলেন, তারপরে আরাফাতে পৌছলেন এবং দেখতে পেলেন নামিরায় তাঁর জন্য তাঁবু খাটানো হয়েছে। তিনি এখানে অবতরণ করলেন। তারপর যখন সূর্য ঢলে পড়ল, তখন তিনি তাঁর কাসওয়া (নামক উষ্ঠী) কে প্রস্তুত করার নির্দেশ দিলেন। তার পিঠে হাওদা লাগান হল। তখন তিনি বাতনে ওয়াদীতে এলেন এবং লোকদের উদ্দেশ্যে ভাষণ দিলেন। তিনি বললেনঃ

“তোমাদের রক্ত ও তোমাদের সস্পদ তোমাদের জন্য হারাম (মর্যাদাপূর্ণ) যেমন তা হারাম(মর্যাদাপূর্ণ) তোমাদের এ দিনে, তোমাদের এ মাসে এবং তোমাদের এ শহরে।”

"সাবধান! জাহিলী যুগের সকল ব্যাপার (অপসংস্কৃতি) আমার উভয় পায়ের নীচে। জাহেলী যুগের রক্তের দাবিও বাতিল হল। আমি সর্ব প্রথম যে রক্তপণ বাতিল করছি, তা হল আমাদের বংশের রবীআ ইবনু হারিসের পূত্রের রক্তপণ। সে শিশু অবস্থায় বানূ সা’দ এ দুগ্ধপোষ্য ছিল, তখন হুযায়ল গোত্রের লোকেরা তাকে হত্যা করে।

জাহেলী যুগের সুদও বাতিল হল। আমি প্রথমে যে সুদ বাতিল করছি তা হল আমাদের বংশের আব্বাস ইবনু আবদূল মুত্তালিরের সুদ। তার সমস্ত সুদ বাতিল হল।

তোমরা স্ত্রীলোকদের ব্যাপারে আল্লাহকে ভয় কর। তোমরা তাদের আল্লাহর আমানত হিসেবে গ্রহণ করেছ এবং আল্লাহর কালেমার মাধ্যমে তাদের লজ্জাস্থান নিজেদের জন্য হালাল করেছ। তাদের উপরে তোমাদের অধিকার এই যে, তারা যেন তোমাদের শয্যায় এমন কোন লোককে স্থান না দেয় যাকে তোমরা অপছন্দ কর। যদি তারা এরূপ করে তবে হালকাভাবে প্রহার কর। আর তোমাদের উপর তাদের ন্যায়সঙ্গত ভরণ-পোষণের ও পোশাক-পরিচ্ছেদের হুকুম রয়েছে।

আমি তোমাদের মাঝে এমন এক জিনিস রেখে যাচ্ছি, যা দৃঢ়ভাবে আকড়ে ধরে থাকলে তোমরা পথভ্রষ্ট হবে না। তা হচ্ছে আল্লাহর কিতাব।”

“আমার সম্পর্কে তোমরা জিজ্ঞাসিত হলে, তখন তোমরা কি বলবে?” তারা বলল, আমরা সাক্ষ্য দিব যে, আপনি (আল্লাহর বানী) পৌছিয়েছেন, আপনার হক আদায় করেছেন এবং সদুপদেশ দিয়েছেন। তারপর তিনি তর্জনী আকাশের দিকে তুলে লোকদের ইশারা করে বললেন, “ইয়া আল্লাহ! তুমি সাক্ষী থাক, তিনি তিনবার এরূপ বললেন।

তারপর (মুআযযিন) আযান দিলেন ও ইকামত দিলেন এবং রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যোহরের সালাত আদায় করলেন। এরপর ইকামত দিলেন এবং রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আসরের সালাত আদায় করলেন। তিনি এই দুই সালাতের মাঝখানে অন্য কোন সালাত আদায় করেননি।

তারপর রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সওয়ার হয়ে মাওকিফ (অবস্থানস্থল) এলেন, তাঁর কাসওয়া উষ্ট্রীর পেট পাথরের স্তুপের দিকে করে দিলেন এবং লোকদের একত্র হওয়ার জায়গা সামনে রেখে কিবলামুখী হয়ে দাঁড়ালেন। সূর্যাস্ত পর্যন্ত তিনি এভাবে উকুফ করলেন। হলদে আভা কিছু দূরীভূত হল, এমনকি সূর্য গোলক সম্পূর্ণ অদৃশ্য হয়ে গেল। তিনি উসামা (রাঃ) কে তাঁর বাহনের পেছনদিকে বসালেন এবং কাসওয়ার নাকের দড়ি সজোরে টান দিলেন, ফলে তার মাথা মাওরিক (সওয়ারী ক্লান্তি অবসাদর জন্য যাতে পা রাখে) স্পর্শ করল। তিনি ডান হাতের ইশারায় বলেন, হে জনমণ্ডলী! ধীরে সুস্থে, ধীরে সুস্থে অগ্রসর হও। যখনই তিনি বালূর স্তূপের নিকট পৌছতেন, কাসওয়ার নাকের রশি কিছুটা ঢিল দিতেন যাতে সে উপরদিকে উঠতে পারে।

এভাবে তিনি মুযদালিফায় পৌছলেন এবং এখানে একই আযানে ও দুই ইকামতে মাগরিব ও ইশার সালাম আদায় করলেন। এই সালাতের মাঝখানে অন্য কোন নফল সালাত আদায় করেননি। অতঃপর রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম শুয়ে পড়লেন যাবত না ফজরের ওয়াক্ত হল। অতঃপর ভোর হয়ে গেলে তিনি আযান ও ইকামত সহ ফজরের সালাত আদায় করলেন। অতঃপর তিনি কাসওয়ার পিঠে আরোহণ করে মাশ’আরুল হারাম নামক স্থানে আসলেন। এখানে তিনি কিবলামুখী হয়ে আল্লাহর নিকট দু’আ করলেন, তার মহাত্ব বর্ণনা করলেন, কালেমা তাওহীদ পড়লেন এবং তাঁর একত্ব ঘোষণা করলেন। দিনের আলো যথেষ্ট উজ্জ্বল না হওয়া পর্যন্ত তিনি দাঁড়িয়ে এরূপ করতে থাকলেন।

সূর্য উদয়ের পূর্বে তিনি আবার রওনা করছিলেন এবং ফযল ইবনু আব্বাস (রাঃ) সওয়ারীতে তাঁর পেছনে বসলেন।

তিনি ছিলেন যুবক এবং তার মাথার চুল ছিল অত্যন্ত সুন্দর। রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যখন অগ্রসর হলেন- পাশাপাশি একদল মহিলাও যাচ্ছিলো। ফযল (রাঃ) তাদের দিকে তাকাতে লাগলেন। রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম নিজের হাত ফযলের চেহারার উপর রাখলেন এবং তিনি তার মুখ অন্যদিকে ঘুরিয়ে দিলেন এবং ফযল (রাঃ) অপরদিক হতে দেখতে লাগলেন। রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম পূনরায় অন্যদিক হতে ফযল (রাঃ) এর মূখমন্ডলে হাত রাখলেন। তিনি আবার অন্যদিকে মুখ ঘুরিয়ে দেখতে লাগলেন। "বাতনে মুহাসসাব" নামক স্থানে পৌঁছলেন এবং সওয়ারীর গতি কিছুটা দ্রুত করলেন। তিনি মধ্যপথে অগ্রসর হলেন যা জামরাতুল কুবরার দিকে বেরিয়ে গেছে। তিনি বৃক্ষের নিকটের জামরায় এলেন এবং নীচের খালি জায়গায় দাঁড়িয়ে এখানে সাতটি কংকর নিক্ষেপ করলেন এবং প্রত্যেকবার আল্লাহু আকবার- বললেন।

অতঃপর সেখানে থেকে কুরবানীর স্থানে এলেন এবং নিজ হাতে ৬৩ পশু যবেহ করলেন। তিনি কুরবানীর পশুতে আলী (রাঃ) কেও শরীক করলেন। অতঃপর তিনি প্রতিটি পশুর মাংসের কিছু অংশ নিয়ে একত্রে রান্না করার নির্দেশ দিলেন। অতএব তাই করা হল। তারা উভয়ে এই গোশত থেকে খেলেন এবং ঝোল পান করলেন।

অতঃপর রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সওয়ার হয়ে বায়তুল্লাহর দিকে রওনা হলেন এবং মক্কায় পৌছে যোহরের সালাত আদায় করলেন। অতএব বনু আবদিল মূত্তালিব এর লোকদের কাছে আসলেন, তারা লোকদের যমযমের পানি পান করাচ্ছিল। তিনি বললেনঃ হে আবদুল মুত্তালিবের বংশধরগণ! পানি তোল। আমি যদি আশংকা না করতাম যে, পানি পান করানোর ব্যাপারে লোকেরা তোমাদের পরাভুত করে দেবে, তবে আমি নিজেও তোমাদের সাথে পানি তুলতাম। তখন তারা তাঁকে এক বালতি পানি দিল এবং তিনি তা থেকে কিছু পান করলেন।

باب حَجَّةِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم ‏

حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، وَإِسْحَاقُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ، جَمِيعًا عَنْ حَاتِمٍ، - قَالَ أَبُو بَكْرٍ حَدَّثَنَا حَاتِمُ بْنُ إِسْمَاعِيلَ الْمَدَنِيُّ، - عَنْ جَعْفَرِ بْنِ مُحَمَّدٍ، عَنْ أَبِيهِ، قَالَ دَخَلْنَا عَلَى جَابِرِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ فَسَأَلَ عَنِ الْقَوْمِ، حَتَّى انْتَهَى إِلَىَّ فَقُلْتُ أَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عَلِيِّ بْنِ حُسَيْنٍ، ‏.‏ فَأَهْوَى بِيَدِهِ إِلَى رَأْسِي فَنَزَعَ زِرِّي الأَعْلَى ثُمَّ نَزَعَ زِرِّي الأَسْفَلَ ثُمَّ وَضَعَ كَفَّهُ بَيْنَ ثَدْيَىَّ وَأَنَا يَوْمَئِذٍ غُلاَمٌ شَابٌّ فَقَالَ مَرْحَبًا بِكَ يَا ابْنَ أَخِي سَلْ عَمَّا شِئْتَ ‏.‏ فَسَأَلْتُهُ وَهُوَ أَعْمَى وَحَضَرَ وَقْتُ الصَّلاَةِ فَقَامَ فِي نِسَاجَةٍ مُلْتَحِفًا بِهَا كُلَّمَا وَضَعَهَا عَلَى مَنْكِبِهِ رَجَعَ طَرَفَاهَا إِلَيْهِ مِنْ صِغَرِهَا وَرِدَاؤُهُ إِلَى جَنْبِهِ عَلَى الْمِشْجَبِ فَصَلَّى بِنَا فَقُلْتُ أَخْبِرْنِي عَنْ حَجَّةِ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏.‏ فَقَالَ بِيَدِهِ فَعَقَدَ تِسْعًا فَقَالَ إِنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم مَكَثَ تِسْعَ سِنِينَ لَمْ يَحُجَّ ثُمَّ أَذَّنَ فِي النَّاسِ فِي الْعَاشِرَةِ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم حَاجٌّ فَقَدِمَ الْمَدِينَةَ بَشَرٌ كَثِيرٌ كُلُّهُمْ يَلْتَمِسُ أَنْ يَأْتَمَّ بِرَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم وَيَعْمَلَ مِثْلَ عَمَلِهِ فَخَرَجْنَا مَعَهُ حَتَّى أَتَيْنَا ذَا الْحُلَيْفَةِ فَوَلَدَتْ أَسْمَاءُ بِنْتُ عُمَيْسٍ مُحَمَّدَ بْنَ أَبِي بَكْرٍ فَأَرْسَلَتْ إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم كَيْفَ أَصْنَعُ قَالَ ‏"‏ اغْتَسِلِي وَاسْتَثْفِرِي بِثَوْبٍ وَأَحْرِمِي ‏"‏ ‏.‏ فَصَلَّى رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فِي الْمَسْجِدِ ثُمَّ رَكِبَ الْقَصْوَاءَ حَتَّى إِذَا اسْتَوَتْ بِهِ نَاقَتُهُ عَلَى الْبَيْدَاءِ نَظَرْتُ إِلَى مَدِّ بَصَرِي بَيْنَ يَدَيْهِ مِنْ رَاكِبٍ وَمَاشٍ وَعَنْ يَمِينِهِ مِثْلَ ذَلِكَ وَعَنْ يَسَارِهِ مِثْلَ ذَلِكَ وَمِنْ خَلْفِهِ مِثْلَ ذَلِكَ وَرَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم بَيْنَ أَظْهُرِنَا وَعَلَيْهِ يَنْزِلُ الْقُرْآنُ وَهُوَ يَعْرِفُ تَأْوِيلَهُ وَمَا عَمِلَ بِهِ مِنْ شَىْءٍ عَمِلْنَا بِهِ فَأَهَلَّ بِالتَّوْحِيدِ ‏"‏ لَبَّيْكَ اللَّهُمَّ لَبَّيْكَ لَبَّيْكَ لاَ شَرِيكَ لَكَ لَبَّيْكَ إِنَّ الْحَمْدَ وَالنِّعْمَةَ لَكَ وَالْمُلْكَ لاَ شَرِيكَ لَكَ ‏"‏ ‏.‏ وَأَهَلَّ النَّاسُ بِهَذَا الَّذِي يُهِلُّونَ بِهِ فَلَمْ يَرُدَّ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم عَلَيْهِمْ شَيْئًا مِنْهُ وَلَزِمَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم تَلْبِيَتَهُ قَالَ جَابِرٌ - رضى الله عنه - لَسْنَا نَنْوِي إِلاَّ الْحَجَّ لَسْنَا نَعْرِفُ الْعُمْرَةَ حَتَّى إِذَا أَتَيْنَا الْبَيْتَ مَعَهُ اسْتَلَمَ الرُّكْنَ فَرَمَلَ ثَلاَثًا وَمَشَى أَرْبَعًا ثُمَّ نَفَذَ إِلَى مَقَامِ إِبْرَاهِيمَ - عَلَيْهِ السَّلاَمُ - فَقَرَأَ ‏(‏ وَاتَّخِذُوا مِنْ مَقَامِ إِبْرَاهِيمَ مُصَلًّى‏)‏ فَجَعَلَ الْمَقَامَ بَيْنَهُ وَبَيْنَ الْبَيْتِ فَكَانَ أَبِي يَقُولُ وَلاَ أَعْلَمُهُ ذَكَرَهُ إِلاَّ عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم كَانَ يَقْرَأُ فِي الرَّكْعَتَيْنِ ‏(‏ قُلْ هُوَ اللَّهُ أَحَدٌ‏)‏ وَ ‏(‏ قُلْ يَا أَيُّهَا الْكَافِرُونَ‏)‏ ثُمَّ رَجَعَ إِلَى الرُّكْنِ فَاسْتَلَمَهُ ثُمَّ خَرَجَ مِنَ الْبَابِ إِلَى الصَّفَا فَلَمَّا دَنَا مِنَ الصَّفَا قَرَأَ ‏(‏ إِنَّ الصَّفَا وَالْمَرْوَةَ مِنْ شَعَائِرِ اللَّهِ‏)‏ ‏"‏ أَبْدَأُ بِمَا بَدَأَ اللَّهُ بِهِ ‏"‏ ‏.‏ فَبَدَأَ بِالصَّفَا فَرَقِيَ عَلَيْهِ حَتَّى رَأَى الْبَيْتَ فَاسْتَقْبَلَ الْقِبْلَةَ فَوَحَّدَ اللَّهَ وَكَبَّرَهُ وَقَالَ ‏"‏ لاَ إِلَهَ إِلاَّ اللَّهُ وَحْدَهُ لاَ شَرِيكَ لَهُ لَهُ الْمُلْكُ وَلَهُ الْحَمْدُ وَهُوَ عَلَى كَلِّ شَىْءٍ قَدِيرٌ لاَ إِلَهَ إِلاَّ اللَّهُ وَحْدَهُ أَنْجَزَ وَعْدَهُ وَنَصَرَ عَبْدَهُ وَهَزَمَ الأَحْزَابَ وَحْدَهُ ‏"‏ ‏.‏ ثُمَّ دَعَا بَيْنَ ذَلِكَ قَالَ مِثْلَ هَذَا ثَلاَثَ مَرَّاتٍ ثُمَّ نَزَلَ إِلَى الْمَرْوَةِ حَتَّى إِذَا انْصَبَّتْ قَدَمَاهُ فِي بَطْنِ الْوَادِي سَعَى حَتَّى إِذَا صَعِدَتَا مَشَى حَتَّى أَتَى الْمَرْوَةَ فَفَعَلَ عَلَى الْمَرْوَةِ كَمَا فَعَلَ عَلَى الصَّفَا حَتَّى إِذَا كَانَ آخِرُ طَوَافِهِ عَلَى الْمَرْوَةِ فَقَالَ ‏"‏ لَوْ أَنِّي اسْتَقْبَلْتُ مِنْ أَمْرِي مَا اسْتَدْبَرْتُ لَمْ أَسُقِ الْهَدْىَ وَجَعَلْتُهَا عُمْرَةً فَمَنْ كَانَ مِنْكُمْ لَيْسَ مَعَهُ هَدْىٌ فَلْيَحِلَّ وَلْيَجْعَلْهَا عُمْرَةً ‏"‏ ‏.‏ فَقَامَ سُرَاقَةُ بْنُ مَالِكِ بْنِ جُعْشُمٍ فَقَالَ يَا رَسُولَ اللَّهِ أَلِعَامِنَا هَذَا أَمْ لأَبَدٍ فَشَبَّكَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم أَصَابِعَهُ وَاحِدَةً فِي الأُخْرَى وَقَالَ ‏"‏ دَخَلَتِ الْعُمْرَةُ فِي الْحَجِّ - مَرَّتَيْنِ - لاَ بَلْ لأَبَدٍ أَبَدٍ ‏"‏ ‏.‏ وَقَدِمَ عَلِيٌّ مِنَ الْيَمَنِ بِبُدْنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم فَوَجَدَ فَاطِمَةَ - رضى الله عنها - مِمَّنْ حَلَّ وَلَبِسَتْ ثِيَابًا صَبِيغًا وَاكْتَحَلَتْ فَأَنْكَرَ ذَلِكَ عَلَيْهَا فَقَالَتْ إِنَّ أَبِي أَمَرَنِي بِهَذَا ‏.‏ قَالَ فَكَانَ عَلِيٌّ يَقُولُ بِالْعِرَاقِ فَذَهَبْتُ إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم مُحَرِّشًا عَلَى فَاطِمَةَ لِلَّذِي صَنَعَتْ مُسْتَفْتِيًا لِرَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فِيمَا ذَكَرَتْ عَنْهُ فَأَخْبَرْتُهُ أَنِّي أَنْكَرْتُ ذَلِكَ عَلَيْهَا فَقَالَ ‏"‏ صَدَقَتْ صَدَقَتْ مَاذَا قُلْتَ حِينَ فَرَضْتَ الْحَجَّ ‏"‏ ‏.‏ قَالَ قُلْتُ اللَّهُمَّ إِنِّي أُهِلُّ بِمَا أَهَلَّ بِهِ رَسُولُكَ ‏.‏ قَالَ ‏"‏ فَإِنَّ مَعِيَ الْهَدْىَ فَلاَ تَحِلُّ ‏"‏ ‏.‏ قَالَ فَكَانَ جَمَاعَةُ الْهَدْىِ الَّذِي قَدِمَ بِهِ عَلِيٌّ مِنَ الْيَمَنِ وَالَّذِي أَتَى بِهِ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم مِائَةً - قَالَ - فَحَلَّ النَّاسُ كُلُّهُمْ وَقَصَّرُوا إِلاَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم وَمَنْ كَانَ مَعَهُ هَدْىٌ فَلَمَّا كَانَ يَوْمُ التَّرْوِيَةِ تَوَجَّهُوا إِلَى مِنًى فَأَهَلُّوا بِالْحَجِّ وَرَكِبَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَصَلَّى بِهَا الظُّهْرَ وَالْعَصْرَ وَالْمَغْرِبَ وَالْعِشَاءَ وَالْفَجْرَ ثُمَّ مَكَثَ قَلِيلاً حَتَّى طَلَعَتِ الشَّمْسُ وَأَمَرَ بِقُبَّةٍ مِنْ شَعَرٍ تُضْرَبُ لَهُ بِنَمِرَةَ فَسَارَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم وَلاَ تَشُكُّ قُرَيْشٌ إِلاَّ أَنَّهُ وَاقِفٌ عِنْدَ الْمَشْعَرِ الْحَرَامِ كَمَا كَانَتْ قُرَيْشٌ تَصْنَعُ فِي الْجَاهِلِيَّةِ فَأَجَازَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم حَتَّى أَتَى عَرَفَةَ فَوَجَدَ الْقُبَّةَ قَدْ ضُرِبَتْ لَهُ بِنَمِرَةَ فَنَزَلَ بِهَا حَتَّى إِذَا زَاغَتِ الشَّمْسُ أَمَرَ بِالْقَصْوَاءِ فَرُحِلَتْ لَهُ فَأَتَى بَطْنَ الْوَادِي فَخَطَبَ النَّاسَ وَقَالَ ‏"‏ إِنَّ دِمَاءَكُمْ وَأَمْوَالَكُمْ حَرَامٌ عَلَيْكُمْ كَحُرْمَةِ يَوْمِكُمْ هَذَا فِي شَهْرِكُمْ هَذَا فِي بَلَدِكُمْ هَذَا أَلاَ كُلُّ شَىْءٍ مِنْ أَمْرِ الْجَاهِلِيَّةِ تَحْتَ قَدَمَىَّ مَوْضُوعٌ وَدِمَاءُ الْجَاهِلِيَّةِ مَوْضُوعَةٌ وَإِنَّ أَوَّلَ دَمٍ أَضَعُ مِنْ دِمَائِنَا دَمُ ابْنِ رَبِيعَةَ بْنِ الْحَارِثِ كَانَ مُسْتَرْضِعًا فِي بَنِي سَعْدٍ فَقَتَلَتْهُ هُذَيْلٌ وَرِبَا الْجَاهِلِيَّةِ مَوْضُوعٌ وَأَوَّلُ رِبًا أَضَعُ رِبَانَا رِبَا عَبَّاسِ بْنِ عَبْدِ الْمُطَّلِبِ فَإِنَّهُ مَوْضُوعٌ كُلُّهُ فَاتَّقُوا اللَّهَ فِي النِّسَاءِ فَإِنَّكُمْ أَخَذْتُمُوهُنَّ بِأَمَانِ اللَّهِ وَاسْتَحْلَلْتُمْ فُرُوجَهُنَّ بِكَلِمَةِ اللَّهِ وَلَكُمْ عَلَيْهِنَّ أَنْ لاَ يُوطِئْنَ فُرُشَكُمْ أَحَدًا تَكْرَهُونَهُ ‏.‏ فَإِنْ فَعَلْنَ ذَلِكَ فَاضْرِبُوهُنَّ ضَرْبًا غَيْرَ مُبَرِّحٍ وَلَهُنَّ عَلَيْكُمْ رِزْقُهُنَّ وَكِسْوَتُهُنَّ بِالْمَعْرُوفِ وَقَدْ تَرَكْتُ فِيكُمْ مَا لَنْ تَضِلُّوا بَعْدَهُ إِنِ اعْتَصَمْتُمْ بِهِ كِتَابَ اللَّهِ ‏.‏ وَأَنْتُمْ تُسْأَلُونَ عَنِّي فَمَا أَنْتُمْ قَائِلُونَ ‏"‏ ‏.‏ قَالُوا نَشْهَدُ أَنَّكَ قَدْ بَلَّغْتَ وَأَدَّيْتَ وَنَصَحْتَ ‏.‏ فَقَالَ بِإِصْبَعِهِ السَّبَّابَةِ يَرْفَعُهَا إِلَى السَّمَاءِ وَيَنْكُتُهَا إِلَى النَّاسِ ‏"‏ اللَّهُمَّ اشْهَدِ اللَّهُمَّ اشْهَدْ ‏"‏ ‏.‏ ثَلاَثَ مَرَّاتٍ ثُمَّ أَذَّنَ ثُمَّ أَقَامَ فَصَلَّى الظُّهْرَ ثُمَّ أَقَامَ فَصَلَّى الْعَصْرَ وَلَمْ يُصَلِّ بَيْنَهُمَا شَيْئًا ثُمَّ رَكِبَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم حَتَّى أَتَى الْمَوْقِفَ فَجَعَلَ بَطْنَ نَاقَتِهِ الْقَصْوَاءِ إِلَى الصَّخَرَاتِ وَجَعَلَ حَبْلَ الْمُشَاةِ بَيْنَ يَدَيْهِ وَاسْتَقْبَلَ الْقِبْلَةَ فَلَمْ يَزَلْ وَاقِفًا حَتَّى غَرَبَتِ الشَّمْسُ وَذَهَبَتِ الصُّفْرَةُ قَلِيلاً حَتَّى غَابَ الْقُرْصُ وَأَرْدَفَ أُسَامَةَ خَلْفَهُ وَدَفَعَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم وَقَدْ شَنَقَ لِلْقَصْوَاءِ الزِّمَامَ حَتَّى إِنَّ رَأْسَهَا لَيُصِيبُ مَوْرِكَ رَحْلِهِ وَيَقُولُ بِيَدِهِ الْيُمْنَى ‏"‏ أَيُّهَا النَّاسُ السَّكِينَةَ السَّكِينَةَ ‏"‏ ‏.‏ كُلَّمَا أَتَى حَبْلاً مِنَ الْحِبَالِ أَرْخَى لَهَا قَلِيلاً حَتَّى تَصْعَدَ حَتَّى أَتَى الْمُزْدَلِفَةَ فَصَلَّى بِهَا الْمَغْرِبَ وَالْعِشَاءَ بِأَذَانٍ وَاحِدٍ وَإِقَامَتَيْنِ وَلَمْ يُسَبِّحْ بَيْنَهُمَا شَيْئًا ثُمَّ اضْطَجَعَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم حَتَّى طَلَعَ الْفَجْرُ وَصَلَّى الْفَجْرَ - حِينَ تَبَيَّنَ لَهُ الصُّبْحُ - بِأَذَانٍ وَإِقَامَةٍ ثُمَّ رَكِبَ الْقَصْوَاءَ حَتَّى أَتَى الْمَشْعَرَ الْحَرَامَ فَاسْتَقْبَلَ الْقِبْلَةَ فَدَعَاهُ وَكَبَّرَهُ وَهَلَّلَهُ وَوَحَّدَهُ فَلَمْ يَزَلْ وَاقِفًا حَتَّى أَسْفَرَ جِدًّا فَدَفَعَ قَبْلَ أَنْ تَطْلُعَ الشَّمْسُ وَأَرْدَفَ الْفَضْلَ بْنَ عَبَّاسٍ وَكَانَ رَجُلاً حَسَنَ الشَّعْرِ أَبْيَضَ وَسِيمًا فَلَمَّا دَفَعَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم مَرَّتْ بِهِ ظُعُنٌ يَجْرِينَ فَطَفِقَ الْفَضْلُ يَنْظُرُ إِلَيْهِنَّ فَوَضَعَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَدَهُ عَلَى وَجْهِ الْفَضْلِ فَحَوَّلَ الْفَضْلُ وَجْهَهُ إِلَى الشِّقِّ الآخَرِ يَنْظُرُ فَحَوَّلَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَدَهُ مِنَ الشِّقِّ الآخَرِ عَلَى وَجْهِ الْفَضْلِ يَصْرِفُ وَجْهَهُ مِنَ الشِّقِّ الآخَرِ يَنْظُرُ حَتَّى أَتَى بَطْنَ مُحَسِّرٍ فَحَرَّكَ قَلِيلاً ثُمَّ سَلَكَ الطَّرِيقَ الْوُسْطَى الَّتِي تَخْرُجُ عَلَى الْجَمْرَةِ الْكُبْرَى حَتَّى أَتَى الْجَمْرَةَ الَّتِي عِنْدَ الشَّجَرَةِ فَرَمَاهَا بِسَبْعِ حَصَيَاتٍ يُكَبِّرُ مَعَ كُلِّ حَصَاةٍ مِنْهَا مِثْلِ حَصَى الْخَذْفِ رَمَى مِنْ بَطْنِ الْوَادِي ثُمَّ انْصَرَفَ إِلَى الْمَنْحَرِ فَنَحَرَ ثَلاَثًا وَسِتِّينَ بِيَدِهِ ثُمَّ أَعْطَى عَلِيًّا فَنَحَرَ مَا غَبَرَ وَأَشْرَكَهُ فِي هَدْيِهِ ثُمَّ أَمَرَ مِنْ كُلِّ بَدَنَةٍ بِبَضْعَةٍ فَجُعِلَتْ فِي قِدْرٍ فَطُبِخَتْ فَأَكَلاَ مِنْ لَحْمِهَا وَشَرِبَا مِنْ مَرَقِهَا ثُمَّ رَكِبَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَأَفَاضَ إِلَى الْبَيْتِ فَصَلَّى بِمَكَّةَ الظُّهْرَ فَأَتَى بَنِي عَبْدِ الْمُطَّلِبِ يَسْقُونَ عَلَى زَمْزَمَ فَقَالَ ‏"‏ انْزِعُوا بَنِي عَبْدِ الْمُطَّلِبِ فَلَوْلاَ أَنْ يَغْلِبَكُمُ النَّاسُ عَلَى سِقَايَتِكُمْ لَنَزَعْتُ مَعَكُمْ ‏"‏ ‏.‏ فَنَاوَلُوهُ دَلْوًا فَشَرِبَ مِنْهُ ‏.‏


Ja'far b Muhammad reported on the authority of his father: We went to Jabir b. Abdullah and he began inquiring about the people (who had gone to see him) till it was my turn. I said: I am Muhammad b. 'Ali b. Husain. He placed his hand upon my head and opened my upper button and then the lower one and then placed his palm on my chest (in order to bless me), and I was, during those days, a young boy, and he said: You are welcome, my nephew. Ask whatever you want to ask. And I asked him but as he was blind (he could not respond to me immediately), and the time for prayer came. He stood up covering himself in his mantle. And whenever he placed its ends upon his shoulders they slipped down on account of being short (in size). Another mantle was, however, lying on the clothes rack near by. And he led us in the prayer. I said to him: Tell me about the Hajj of Allah's Messenger (May peace be upon him). And he pointed with his hand nine, and then stated: The Messenger of Allah (ﷺ) stayed in (Medina) for nine years but did not perform Hajj, then he made a public announcement in the tenth year to the effect that Allah's Messenger (ﷺ) was about to perform the Hajj. A large number of persons came to Medina and all of them were anxious to follow the Messenger of Allah (May peace be upon him) and do according to his doing. We set out with him till we reached Dhu'l-Hulaifa. Asma' daughter of Umais gave birth to Muhammad b. Abu Bakr. She sent message to the Messenger of Allah (May peace be upon him) asking him: What should 1 do? He (the Holy Prophet) said: Take a bath, bandage your private parts and put on Ihram. The Messenger of Allah (May peace be upon him) then prayed in the mosque and then mounted al-Qaswa (his she-camel) and it stood erect with him on its back at al-Baida'. And I saw as far as I could see in front of me but riders and pedestrians, and also on my right and on my left and behind me like this. And the Messenger of Allah (ﷺ) was prominent among us and the (revelation) of the Holy Qur'an was descending upon him. And it is he who knows (its true) significance. And whatever he did, we also did that. He pronounced the Oneness of Allah (saying):" Labbaik,0 Allah, Labbaik, Labbaik. Thou hast no partner, praise and grace is Thine and the Sovereignty too; Thou hast no partner." And the people also pronounced this Talbiya which they pronounce (today). The Messenger of Allah (May peace be upon him) did not reject anything out of it. But the Messenger of Allah (May peace. be upon him) adhered to his own Talbiya. Jabir (Allah be pleased with him) said: We did not have any other intention but that of Hajj only, being unaware of the Umra (at that season), but when we came with him to the House, he touched the pillar and (made seven circuits) running three of them and walking four. And then going to the Station of Ibrahim, he recited:" And adopt the Station of Ibrahim as a place of prayer." And this Station was between him and the House. My father said (and I do not know whether he had made a mention of it but that was from Allah's Apostle [May peace be upon him] that he recited in two rak'ahs:" say: He is Allah One," and say:" Say: 0 unbelievers." He then returned to the pillar (Hajar Aswad) and kissed it. He then went out of the gate to al-Safa' and as he reached near it he recited:" Al-Safa' and al-Marwa are among the signs appointed by Allah," (adding: ) I begin with what Allah (has commanded me) to begin. He first mounted al-Safa' till he saw the House, and facing Qibla he declared the Oneness of Allah and glorified Him, and said:" There is no god but Allah, One, there is no partner with Him. His is the Sovereignty. to Him praise is due. and He is Powerful over everything. There is no god but Allah alone, Who fulfilled His promise, helped His servant and routed the confederates alone." He then made supplication in the course of that saying such words three times. He then descended and walked towards al-Marwa, and when his feet came down in the bottom of the valley, he ran, and when he began to ascend he walked till he reached al-Marwa. There he did as he had done at al-Safa'. And when it was his last running at al-Marwa he said: If I had known beforehand what I have come to know afterwards, I would not have brought sacrificial animals and would have performed an 'Umra. So, he who among you has not the sacrificial animals with him should put off Ihram and treat it as an Umra. Suraqa b. Malik b. Ju'sham got up and said: Messenger of Allah, does it apply to the present year, or does it apply forever? Thereupon the Messenger of Allah (May peace be upon him) intertwined the fingers (of one hand) into another and said twice: The 'Umra has become incorporated in the Hajj (adding):" No, but for ever and ever." 'All came from the Yemen with the sacrificial animals for the Prophet (May peace be upon him) and found Fatimah (Allah be pleased with her) to be one among those who had put off Ihram and had put on dyed clothes and had applied antimony. He (Hadrat'Ali) showed disapproval to it, whereupon she said: My father has commanded me to do this. He (the narrator) said that 'Ali used to say in Iraq: I went to the Messenger of Allah (ﷺ) showing annoyance at Fatimah for what she had done, and asked the (verdict) of Allah's Messenger (ﷺ) regarding what she had narrated from him, and told him that I was angry with her, whereupon he said: She has told the truth, she has told the truth. (The Prophet then asked 'Ali): What did you say when you undertook to go for Hajj? I ('Ali) said: 0 Allah, I am putting on Ihram for the same purpose as Thy Messenger has put it on. He said: I have with me sacrificial animals, so do not put off the Ihram. He (Jabir) said: The total number of those sacrificial animals brought by 'Ali from the Yemen and of those brought by the Apostle (ﷺ) was one hundred. Then all the people except the Apostle (ﷺ) and those who had with them sacrificial animals, put off Ihram, and got their hair clipped; when it was the day of Tarwiya (8th of Dhu'l-Hijja) they went to Mina and put on the Ihram for Hajj and the Messenger of Ailah (ﷺ) rode and led the noon, afternoon, sunset 'Isha' and dawn prayers. He then waited a little till the sun rose, and commanded that a tent of hair should be pitched at Namira. The Messenger of Allah (ﷺ) then set out and the Quraish did not doubt that he would halt at al-Mash'ar al-Haram (the sacred site) as the Quraish used to do in the pre-Islamic period. The Messenger of Allah (ﷺ), however, passed on till he came to 'Arafa and he found that the tent had been pitched for him at Namira. There he got down till the sun had passed the meridian; he commanded that al-Qaswa should be brought and saddled for him. Then he came to the bottom of the valley, and addressed the people saying: Verily your blood, your property are as sacred and inviolable as the sacredness of this day of yours, in this month of yours, in this town of yours. Behold! Everything pertaining to the Days of Ignorance is under my feet completely abolished. Abolished are also the blood-revenges of the Days of Ignorance. The first claim of ours on blood-revenge which I abolish is that of the son of Rabi'a b. al-Harith, who was nursed among the tribe of Sa'd and killed by Hudhail. And the usury of she pre-Islamic period is abolished, and the first of our usury I abolish is that of 'Abbas b. 'Abd al-Muttalib, for it is all abolished. Fear Allah concerning women! Verily you have taken them on the security of Allah, and intercourse with them has been made lawful unto you by words of Allah. You too have right over them, and that they should not allow anyone to sit on your bed whom you do not like. But if they do that, you can chastise them but not severely. Their rights upon you are that you should provide them with food and clothing in a fitting manner. I have left among you the Book of Allah, and if you hold fast to it, you would never go astray. And you would be asked about me (on the Day of Resurrection), (now tell me) what would you say? They (the audience) said: We will bear witness that you have conveyed (the message), discharged (the ministry of Prophethood) and given wise (sincere) counsel. He (the narrator) said: He (the Holy Prophet) then raised his forefinger towards the sky and pointing it at the people (said):" O Allah, be witness. 0 Allah, be witness," saying it thrice. (Bilal then) pronounced Adhan and later on Iqama and he (the Holy Prophet) led the noon prayer. He (Bilal) then uttered Iqama and he (the Holy Prophet) led the afternoon prayer and he observed no other prayer in between the two. The Messenger of Allah (ﷺ) then mounted his camel and came to the place of stay, making his she-camel al-Qaswa, turn towards the side where there we are rocks, having the path taken by those who went on foot in front of him, and faced the Qibla. He kept standing there till the sun set, and the yellow light had somewhat gone, and the disc of the sun had disappeared. He made Usama sit behind him, and he pulled the nosestring of Qaswa so forcefully that its head touched the saddle (in order to keep her under perfect control), and he pointed out to the people with his right hand to be moderate (in speed), and whenever he happened to pass over an elevated tract of sand, he slightly loosened it (the nose-string of his camel) till she climbed up and this is how he reached al-Muzdalifa. There he led the evening and 'Isha prayers with one Adhan and two Iqamas and did not glorify (Allah) in between them (i. e. he did not observe supererogatory rak'ahs between Maghrib and 'Isha' prayers). The Messenger of Allah (ﷺ) then lay down till dawn and offered the dawn prayer with an Adhan and Iqama when the morning light was clear. He again mounted al-Qaswa, and when he came to al-Mash'ar al-Haram, he faced towards Qibla, supplicated Him, Glorified Him, and pronounced His Uniqueness (La ilaha illa Allah) and Oneness, and kept standing till the daylight was very clear. He then went quickly before the sun rose, and seated behind him was al-Fadl b. 'Abbas and he was a man having beautiful hair and fair complexion and handsome face. As the Messenger of Allah (May peace be upon him) was moving on, there was also going a group of women (side by side with them). Al-Fadl began to look at them. The Messenger of Allah (ﷺ) placed his hand on the face of Fadl who then turned his face to the other side, and began to see, and the Messenger of Allah (ﷺ) turned his hand to the other side and placed it on the face of al-Fadl. He again turned his face to the other side till he came to the bottom of Muhassir. 1680 He urged her (al-Qaswa) a little, and, following the middle road, which comes out at the greatest jamra, he came to the jamra which is near the tree. At this be threw seven small pebbles, saying Allah-o-Akbar while throwing every one of them in a manner in which the small pebbles are thrown (with the help of fingers) and this he did in the bottom of the valley. He then went to the place of sacrifice, and sacrificed sixty-three (camels) with his own hand. Then he gave the remaining number to 'All who sacrificed them, and he shared him in his sacrifice. He then commanded that a piece of flesh from each animal sacrificed should be put in a pot, and when it was cooked, both of them (the Prophet and Hadrat 'All) took some meat out of it and drank its soup. The Messenger of Allah (May peace be upon him) again rode and came to the House, and offered the Zuhr prayer at Mecca. He came to the tribe of Abd al-Muttalib, who were supplying water at Zamzam, and said: Draw water. O Bani 'Abd al-Muttalib; were it not that people would usurp this right of supplying water from you, I would have drawn it along with you. So they handed him a basket and he drank from it.


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ জা‘ফার ইবনু মুহাম্মাদ (রহঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ

পরিচ্ছেদঃ ১৭. নবী (ﷺ) এর হজ্জের বিবরণ

২৮২২। উমর ইবনু হাফস ইবনু গিয়াস (রহঃ) ... জাফর ইবনু মুহাম্মাদ (রহঃ) থেকে তার পিতার সুত্রে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি জাবির ইবনু আবদুল্লাহ (রাঃ) এর নিকট এলাম এবং তাকে রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর বিদায় হাজ্জ (হজ্জ) সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করলাম.... হাদীসের অবিশষ্ট বর্ণনা পূর্বোক্ত হাতিম ইবনু ইসমাঈলের বর্ণিত হাদীসের অনুরূপ।

তবে এই বর্ণনায়আরও আছেঃ আবূ সাইয়ারা নামক এক ব্যাক্তি (জাহেলী যুগে) লোকদেরকে জিনবিহীন গাধার পিঠে করে (মুযদালিফা থেকে) নিয়ে যেত। রাসুলূলাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যখন মুযদালিফা থেকে মাশ’আরুল-হারাম-এর দিকে অগ্রসর হলেন, তখন কুরায়শরা নিঃসন্দেহ ছিল যে, তিনি এখানে থামবেন এবং অবস্থান করবেন। কিন্তু তিনি আরও সামনে অগ্রসর হলেন এবং এদিকে কোন ভ্রক্ষেপ করলেন না, অবশেষে তিনি আরাফাতে পৌঁছে সেখানে অবতরণ করলেন।

باب حَجَّةِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم ‏

وَحَدَّثَنَا عُمَرُ بْنُ حَفْصِ بْنِ غِيَاثٍ، حَدَّثَنَا أَبِي، حَدَّثَنَا جَعْفَرُ بْنُ مُحَمَّدٍ، حَدَّثَنِي أَبِي، قَالَ أَتَيْتُ جَابِرَ بْنَ عَبْدِ اللَّهِ فَسَأَلْتُهُ عَنْ حَجَّةِ، رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم وَسَاقَ الْحَدِيثَ بِنَحْوِ حَدِيثِ حَاتِمِ بْنِ إِسْمَاعِيلَ وَزَادَ فِي الْحَدِيثِ وَكَانَتِ الْعَرَبُ يَدْفَعُ بِهِمْ أَبُو سَيَّارَةَ عَلَى حِمَارٍ عُرْىٍ فَلَمَّا أَجَازَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم مِنَ الْمُزْدَلِفَةِ بِالْمَشْعَرِ الْحَرَامِ ‏.‏ لَمْ تَشُكَّ قُرَيْشٌ أَنَّهُ سَيَقْتَصِرُ عَلَيْهِ وَيَكُونُ مَنْزِلُهُ ثَمَّ فَأَجَازَ وَلَمْ يَعْرِضْ لَهُ حَتَّى أَتَى عَرَفَاتٍ فَنَزَلَ ‏.‏


Ja'far b. Muhammad narrated on the authority of his father thus: I came to Jabir b. Abdullah and asked him about the (Farewell) Pilgrimage of Allah's Messenger (ﷺ). The rest of the hadith is the same, but with the addition of this:" There was one Abu Sayyara among the Arabs, (of pre-Islamic period) who carried (people from Muzdalifa to Mini). As the Messenger of Allah (May peace be upon him) set out from Muzdalifa to al-Mash'ar al-Haram, the Quraish were certain that he would halt there and that would be his station. But he passed on (without staying) there. and paid no heed to it till he came to 'Arafat and there he stayed."


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ জা‘ফার ইবনু মুহাম্মাদ (রহঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ

পরিচ্ছেদঃ ৫৫. মহানবী (ﷺ) - এর বিদায় হজ্জের বিবরণ।

১৯০৩. আবদুল্লাহ ইবন মুহাম্মদ আন-নুয়াফলী .... জা’ফর ইবন মুহাম্মদ (রহঃ) থেকে তাঁর পিতার সূত্রে বর্ণিত। তিনি বলেন, একদা আমরা জাবির ইবন আবদুল্লাহ্ (রাঃ) এর নিকট উপস্থিত হলাম। আমরা তাঁর নিকটবর্তী হওয়ার পর (অন্ধ হওয়া কারণে আগমণকারীদের সম্পর্কে) জিজ্ঞাসা করেন। আমার নিকট তাঁর প্রশ্নটি সমাপ্ত হওয়ার পর আমি বললাম, আমি মুহাম্মদ ইবন আলী ইবন হুসায়ন (রাঃ)। এতদশ্রবণে তিনি আমার মাথায় তাঁর হাত বোলান এবং কামীসের (জামার) উপর ও নিম্নাংশ টেনে তাঁর হস্ততালু আমার বুকের উপর স্থাপন করেন। এ সময় আমি যুবক ছিলাম।

অতঃপর তিনি (জাবির) বলেনঃ তোমার জন্য মারহাবা ও খোশ-আমদেদ! হে ভ্রাতুষ্পুত্র তোমার যা ইচ্ছা, আমাকে জিজ্ঞাসা কর। আমি তাঁকে প্রশ্ন করি, আর তিনি ছিলেন অন্ধ। অতঃপর নামাযের সময় উপস্থিত হওয়ায় তিনি (জাবির) জায়নামাযে দন্ডায়মান হন, এমতাবস্থায় যে, তাঁর কাঁধে ভাঁজ করা চাঁদর ঝুলন্ত ছিল। অতঃপর তিনি (ইমাম) আমাদের সাথে নামায আদায় করেন এবং তাঁর বড় চাদর আলনায় সংরক্ষিত ছিল। আমি বললাম, আমাকে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর বিদায় হজ্জ সম্পর্কে কিছু বলুন।

জাবির (রাঃ) তাঁর হাতের প্রতি ইশারা করেন এবং (দু’ হাতের) নয়টি আঙ্গুল বন্ধ করে বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মদীনায় নয় বছর অবস্থান করেন এবং এই সময় তিনি কোন হজ্জ সম্পন্ন করেননি। অতঃপর (অষ্টম হিজরীতে) মক্কা বিজয়ের পর, দশম হিজরীতে লোকদের নিকট এরূপ ঘোষণা দেয়া হয়ঃ রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হজ্জে গমণ করবেন। এতে মদীনায় অসংখ্য লোকের সমাগম হয় এবং প্রত্যেকেই রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর ইকতিদা করে তাঁর অনুরূপ ’আমল করতে চায়।

অতঃপর রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম রওনা হলে, আমরাও তাঁর সাথে রওনা হই। অতঃপর আমরা যুল-হুলায়ফাতে উপনীত হই। ঐ সময় আসরা বিনতে উমায়স (রাঃ) মুহাম্মদ ইবন আবূ বকরকে প্রসব করেন। তখন তিনি (আসমা) রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর নিকট ইহরামের ব্যাপারে কী করবেন, তা জানার জন্য লোক পাঠান। তিনি বলেন, তুমি (পবিত্রতা হাসিলের জন্য) গোসল কর, কাপড় দ্বারা নিজের লজ্জাস্থান ব্যান্ডেজ কর এবং ইহরাম বাঁধ। অতঃপর রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যুল-হুলায়ফার মসজিদে দু’ই রাকাত নামায আদায় করেন।

অতঃপর তিনি তাঁর বাহণে (কাসওয়ায়) আররোহণ করে বায়দা নামক স্থানে উপস্থিত হন। জাবের (রাঃ) বলেন, আমি তাঁর সম্মুখভাগে, আমার দৃষ্টিসীমা পর্যন্ত কেবল আরোহী এবং পদাতিক লোকদের দেখি। তাঁর ডানে, বামে এবং পশ্চাতেও অনুরূপ লোক ছিল। এ সময় রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাদের মধ্যে ছিলেন এবং তাঁর নিকট তখনও কুরআন নাযিল হচ্ছিল। আর তিনি এর ব্যাখ্যা সম্পর্কেও ওয়াকিবহাল ছিলেন। আর তিনি যেরূপ আমল করছিলেন, আমরাও সেরূপ করছিলাম।

অতঃপর তিনি তালবিয়া পাঠ শুরু করেন, যা তাওহীদ ভিত্তিক ছিল। (لَبَّيْكَ اللَّهُمَّ لَبَّيْكَ لَبَّيْكَ لاَ شَرِيكَ لَكَ لَبَّيْكَ إِنَّ الْحَمْدَ وَالنِّعْمَةَ لَكَ وَالْمُلْكَ لاَ شَرِيكَ لَكَ) (অর্থ) ’’আমি উপস্থিত হে আল্লাহ্! আমি উপস্থিত, আমি উপস্থিত, তোমার কোনো শরীক নেই, আমি উপস্থিত, সকল প্রশংসা ও নে’আমত তোমারই এবং সাম্রাজ্য, তোমার কোনো শরীক নেই।’’ আর লোকেরা এ কথার দ্বারা এবং এর অধিক দ্বারাও তালবিয়া পাঠ করছিল; কিন্তু এতদসত্তেও রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তা নিষেধ করেননি। আর রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম স্বীয় তালবিয়া পাঠ অব্যাহত রাখেন।

জাবির (রাঃ) বলেন, আমরা হজ্জের নিয়্যাত করি এবং উমরা সম্পর্কে কিছুই জানতাম না। অতঃপর (যিল হজ্জের চতুর্থ দিনে) আমরা তাঁর সাথে বায়তুল্লাহর নিকটবর্তী হই। তিনি হাজরে আসওয়াদকে চুম্বন করেন এবং তিনবার রমল এবং চারবার হেঁটে (তাওয়াফ) সম্পন্ন করেন। অতঃপর তিনি মাকামে উপস্থিত হন এবং বলেন, তোমরা মাকামে ইবরাহীমকে নামাযের স্থানে পরিণত কর। অতঃপর তিনি মাকামে ইবরাহীমের পশ্চাতে দু’ই রাকাত নামায আদায় করেন। রাবী (জা’ফর ইবন মুহাম্মদ) বলেন, আমার পিতা (মুহাম্মদ ইবন আলী ইবন হুসায়ন) বলতেন, রাবী ইবন নুফায়ল ও উসমান বলেন, তিনি নামাযে কী পড়েন তা আমার জানা নেই। তবে সুলায়মান নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হতে বর্ণনা করেন যে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, দুই রাকাতের এক রাকাতে সূরা ইখলাস ও অন্য রাকাতে সূরা কাফিরূণ পড়বে।

অতঃপর তিনি বায়তুল্লাহর নিকট আগমণ করেন এবং হাজরে আসওয়াদ চুম্বন করেন। অতঃপর এর দরজা দিয়ে বের হয়ে তিন সাফার দিকে গমণ করেন। তিনি সাফার নিকটবর্তী হয়ে তিলোওয়াত করেনঃ ’’নিশ্চই সাফা ও মারওয়া, আল্লাহর নির্দেশবিলীর অন্যতম।’’ অতঃপর তিনি সাফা হতে সা’ঈ শুরু করেন এবং এর উপর আরোহণ করে বায়তুল্লাহর ঘর দেখে বলেনঃ অর্থাৎ আল্লাহ্ই সর্বশ্রেষ্ঠ, আল্লাহ্ ব্যতীত কোন ইলাহ্ নেই, তাঁর কোনো শরীক নেই, তাঁর জন্যই সাম্রাজ্য, আর তাঁর জন্যই সকল প্রশংসা, তিনি সকল বস্তুর উপর ক্ষমতাবান। এক একক আল্লাহ্ ভিন্ন কোনো ইলাহ্ নেই, তিনি তাঁর প্রতিশ্রুতি পূর্ণ করেছেন এবং তা বান্দা মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে সাহায্য করেছেন, এবং তিনি একাই সকল বাহিনীকে পরাভূত করেছেন।’’

অতঃপর তিনি এর মধ্যে দু’আ করেন এবং তিনবার উত্তমরূপ ইরশাদ করেন। অতঃপর তিনি মারওয়ার দিকে গমণ করেন এবং দু’ পর্বতের মধ্যবর্তী স্থানে রমল করেন। তিনি মারওয়ার উপর আরোহণ করে ঐ সমস্ত আমল করেন, যা তিনি সাফা পাহাড়ের উপর উঠে করেছিলেন। অতঃপর তিনি মারওয়ার তাওয়াফ সমাপ্ত করে বলেন, যা আমি পরে অবগত হয়েছি, যদি তা পূর্বে অবগত হতে পাতাম, তবে আমি কুরবানীর পশু অগ্রে প্রেরণ করতাম না এবং একে (হজ্জকে) উমরায় রূপান্তরিত করতাম। আর তোমাদের মধ্যে যাদের সাথে কুরবানীর পশু নেই, তারা যেন উমরার পর হালাল হয়, যাতে তা কেবল উমরা হয়।

তখন নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এবং ঐ সমস্ত ব্যক্তিবর্গ যাদের সাথে কুরবানীর পশু ছিল তারা ব্যতীত অন্য সমস্ত লোকেরা হালাল হয় এবং তাদের চুল মুণ্ডন বা ছোট করে। তখন সুরাকা ইবন জা’আশাম দন্ডয়মান হয়ে প্রশ্ন করেন, ইয়া রাসূলাল্লাহ্! এরূপ ব্যবস্থা (হজ্জের মধ্যে উমরা পালন) কি কেবল এ বছরের জন্য, না সর্বকালের জন্য? রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাঁর একহাতের অঙ্গুলি দু’বার উচ্চারণ করেন। আর তা সর্বকালের জন্য।

অতঃপর তিনি (জাবির) বলেন, এ সময় আলী (রাঃ) ইয়ামান হতে তাঁর নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর কুরবানীর পশু সহ আগমণ করেন। ঐ সময় তিনি ফাতিমা (রাঃ)-কে হালাল অবস্থায় রঙিন কাপড় পরিহিতা এবং সুরমা ব্যবহারকারিণী দেখতে পেয়ে অপছন্দ করেন এবং জিজ্ঞাসা করেন, তোমাকে কে এরূপ করতে বলেছে? তিনি বলেন, আমার পিতা। জাবির (রাঃ) বলেন, আলী (রাঃ), যিনি তখন ইরাকের শাসনকর্তা ছিলেন বলেন, আমি তখন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর খিদমতে ফাতিমার কাজে রাগান্বিত হয়ে উপস্থিত হই এবং ঐ সম্পর্কে ফাতওয়া জিজ্ঞাসা করি, যা সে আমাকে বলেছিল। আর আমি তার কাজে অসুন্তুষ্ট হওয়ার কথা প্রকাশ করায়, ’’আমার পিতা আমাকে এরূপ করতে বলছে’’, তাও তাঁর কাছে বলি। তিনি বলেন, সে সত্য বলেছে, সে সত্য বলেছে।

আচ্ছা, তুমি যখন হজ্জের নিয়্যাত করেছ, তখন কী বলেছ? তিনি বলেন, আমি বলেছে, ইয়া আল্লাহ্! আমি ঐরূপ ইহরাম বাঁধছি, যেরূপ রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বেঁধেছেন। তিনি বলেন, আমার সাথে কুরবানীর পশু আছে, কাজেই তুমি আমার মত হালাল হতে পারবে না। জাবির বলেন, কুরবানীর পশু, যা আলী (রাঃ) ইয়ামান হতে সঙ্গে আনেন এবং যা মদীনা হতে নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সাথে এনেছিলেন এর মোট সংখ্যা ছিল এক’শ। এমতাবস্থায় নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এবং যাদের সাথে কুরবানীর পশু ছিল, তারা ব্যতীত অন্য সকলে হালাল হয় এবং তাদের মস্তক মুণ্ডন বা চুল ছোট করে।

রাবী (জাবির (রাঃ) বলেন, অতঃপর তালবিয়ার দিন (৮ই যিল হজ্জ) আসলে, তাঁরা মিনায় গমণ করেন এবং হজ্জের জন্য ইহরাম বাঁধেন। তখন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাঁর বাহণে সাওয়ার হন এবং মিনায় পৌঁছে যোহর, আসর, মাগরিব এশা এবং ফজরের আযান আদায় করেন এবং সূর্যোদয় পর্যন্ত সে স্থানে অবস্থান করেন। অতঃপর তিনি তাঁর জন্য একটি পশমী কাপড়ের তাঁবু টানাতে নির্দেশ দেন। তাঁর জন্য নামেরা নামক স্থানে তা টানানো হলে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সেখানে গমণ করেন। যাতে কুরাশরা এরূপ সন্দেহ করতে না পারে যে, রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হারামের নিকটবর্তী স্থান মুযদালিফায় অবস্থান করবেন, (এবং আরাফাতে গমণ করবেন না), যেরূপ কুরায়শরা জাহিলিয়াতের যুগে করত।

এরপর রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মুযদলিফা অতিক্রম করে আরাফাতে পৌঁছান এবং তাঁর জন্য প্রস্তুতকৃত তাঁবু যা নামেরাতে স্থাপন করা হয়, সেখানে উপস্থিত হন। অতঃপর সূর্য পশ্চিমাকাশে ঢলে পড়লে তিনি তাঁর বাহণ প্রস্তুতের নির্দেশ দেন এবং তাতে আরোহণ করে বাতনে ওয়াদী নামক স্থানে গমণ করেন। অতঃপর তিনি লোকদের উদ্দেশ্যে খুতবা প্রদান প্রসংগে বলেন, তোমাদের রক্ত ও সম্পদ (একে অপরের জন্য) হারাম। যেমন হারাম (পবিত্র) তোমাদের আজকের এ দিন, এ মাস ও এ শহর।

খবরদার! জাহিলিয়া যুগের সর্বপ্রকার কাজকর্ম (আজ) আমার পায়ের নিচে বাতিল ঘোষিত হল। জাহিলিয়া যুগের রক্ত (প্রতিশোধ গ্রহণ) পরিত্যক্ত হল। আর সর্বপ্রথম আমি আমার পক্ষ হতে (আহলে ইসলামের) যে রক্ত প্রবাহিত হয়েছে, তা দাবি পরিত্যাগ করলাম। উসমান বলেন, এটা আবূ রাবী’আর রক্ত। আর সুলায়মান (রাঃ) বলেন, এটা রাবী’আ ইবনুল হারিস ইবন আবদুল মুত্তালিবের খুনের রক্ত। সে (ইবন রাবী’আ) ছিল বনী সা’আদ গোত্রের একটি শিশুপুত্র, যাকে হুযায়ল গোত্রের লোকেরা হত্যা করে। আর জাহিলিয়া যুগের সুদ প্রথা বাতিল ঘোষিত হল। আর এ প্রসংগে আমি আমাদের প্রাপ্য সুদ, যা আব্বাস ইবন আবদুল মুত্তালিবের সবই বাতিল করলাম। আর তোমরা স্ত্রীদের ব্যাপারে আল্লাকে ভয় কর। কেননা তোমরা তাদেরকে আল্লাহর আমানত হিসাবে গ্রহণ করেছ, আর আল্লাহর তা’আলার নির্দেশে তোমরা তাদের স্ত্রী-অঙ্গ (ব্যবহার) হালাল করেছ (অর্থাৎ শরী’আত সম্মত পন্থায় ইজাব-কবূলের দ্বারা তাদের বিবাহ করেছ)। তাদের উপর তোমাদের হক এই যে, তারা যেন তোমাদের বিছানায় এমন কোন লোককে আসার অনুমতি প্রদান না করে, যাকে সে (স্বামী) অপছন্দ করে।

যদি তারা এরূপ করে, তবে তাদের (এ জন্য) সামান্য প্রহার করবে। আর তোমাদের উপর তাদের উত্তমরূপে ভরণপোষনের দায়িত্ব অর্পিত হয়েছে। আমি তোমাদের মধ্যে একটি বিশেষ বস্তু রেখে যাচ্ছি। আমার পরে যদি তোমরা তা মজবুত ভাবে ধারণ কর, তবে তোমরা কখনও গোমরাহ্ হবে না। আর তা হলো আল্লাহর কিতাব। আর তোমাদেরকে (কিয়ামতের দিন) আমার প্রসঙ্গে জিজ্ঞাসা করা হবে, তখন তোমরা আমার সম্পর্কে কী বলবে? সাহাবীগণ বলেন, আমরা এরূপ সাক্ষ্য প্রদান করব যে, আপনি আপনার (রিসালাতের) দায়িত্ব সঠিকভাবে পৌঁছিয়েছেন, আপনার (আমানতের) হক আদায় করেছেন এবং আপনি আপনার (উম্মতকে) নসীহত করেছেন। অতঃপর তিনি তাঁর শাহাদাত অঙ্গুলি আকাশের দিকে উত্তোলন করেন এবং পরে লোকদের প্রতি ইশারা কবলেন, হে আল্লাহ্! তুমি সাক্ষী থেকো, হে আল্লাহ্! তুমি সাক্ষী থোকো, হে আল্লাহ্! তুমি সাক্ষী থেকো।

অতঃপর তিনি বিলাল (রাঃ)-কে আযান দেওয়ার নির্দেশ দেন এবং যোহরের নামায আদায় করেন। অতঃপর দন্ডায়মান হয়ে আসরের নামাযও আদায় করেন এবং তিনি এর সাথে অন্য কোনো কিছুই (সুন্নাত, নফল ইত্যাদি আদায় করেননি। (অর্থাৎ যোহর ও আসরের নামায পরপর আদায় করেন।) অতঃপর তিঁনি তাঁর বাহনে সওয়ার হন এবং আরাফাতে (মূল ভূমিতে) গমণ করেন। অতঃপর তিনি তাঁর বাহণ উষ্ট্রীকে বড় প্রস্তরের নিকট (যা জাবালে রহমতের নিকটে অবস্থিত) নিয়ে যান এবং হাবল আল মাশাত-কে সম্মুখে রাখেন এবং কিবলামূখী হন। আর সূর্যাআস্ত পর্যন্ত সেখানে তিনি অবস্থান করেন।

অতঃপর সূর্যের লালিমা বিলুপ্ত হওয়ার পর তিনি উসামাকে স্বীয় উষ্ট্রীর পশ্চাতে বসিয়ে নেন। অতঃপর রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আরাফাত হতে মুযদালিফায় গমন করেন। ঐ সময় তিনি তাঁর উষ্ট্রের লাগাম নিজের হাতে নেন, যাতে তাঁর (উষ্ট্রের) মাথা, পাদানির নিকট পৌঁছায়। আর এসময় তিনি ডান হস্তদ্বারা ইশারা করে বলেন, শান্ত হও (অর্থাৎ তোমরা এখন শান্তু বা স্বস্তি গ্রহণ কর)। হে জনগণ! তোমরা স্বস্তি গ্রহণ কর। হে লোক সকল! তোমরা শান্তি কবুল কর। অতঃপর তিনি যখন কোন পাহাড়ের নিকটবর্তী হন, তখন উষ্ট্রের লাগামকে কিছুটা ঢিল দেন এবং এই অবস্থায় মুযদালিফায় গমণ করেন। আর এ স্থানে তিনি মাগরিব ও এশার নামায একই আযান ও দুই ইকামতের দ্বারা একত্রে আদায় করেন।

রাবী উসমান বলেন, তিনি মাগরিব ও এশার নামায (একত্রে আদায়ের সময়) এর মধ্যবর্তী সময়ে কোন তাসবীহ পাঠ করেন নাই। অতঃপর সমস্ত রাবী একমত হয়ে বর্ণনা করেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সকাল পর্যন্ত নিদ্রা যান। আর ফজরের সময় হওয়ার পর তিনি ফজরের নামায আদায় করেন। রাবী সুলায়মান বলেন, তিনি একই আযান এবং একই ইকামতে তা আদায় করেন। অতঃপর সকল রাবী ঐক্যমতে বর্ণনা করেন যে, অতঃপর তিনি তাঁর বাহণে আরোহণ করে মাশ’আরুল হারামে গমণ করেন এবং সেখানে অবতরণ করেন। রাবী উসমান ও সুলায়মান বলেন, এ সময় তিনি কিবলামুখী হন এবং আল্লাহ্ তা’আলার হামদ ও তাকবীর পাঠ করেন। রাবী উসমান একা এরূপ অতিরিক্ত বর্ণনা করেছেন যে, আর তিনি সে স্থানে ততক্ষণ অবস্থান করেন, যতক্ষণ না স্পষ্টরূপে (পূর্বের আকাশ) পরিষ্কার হয়। অতঃপর রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সূর্যোদয়ের পূর্বে মুযদালিফফা হতে মিনায় গমণ করেন। আর এ সময় তাঁর উষ্ট্রের পশ্চাতে ফযল ইবন আব্বাস (রাঃ) ছিলেন। আর ইনি ছিলেন কৃষ্ণ চুল, সুন্দর ও সুশ্রী দেহের অধিকারী যুবক।

অতঃপর রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মুযদালিফা হতে গমণকালে যখন স্ত্রীলোকদের বাহণের পার্শ্ব দিয়ে করতে থাকেন, তখন ফযল (রাঃ) তাদের প্রতি দৃষ্টিপাত করতে থাকলে রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ফযলের চেহারায় হস্ত স্থাপন করে তার মুখ অন্যদিকে ফিরিয়ে দেন। অতঃপর ফযল (রাঃ) অন্যদিকে মুখ ফিরালে, রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তার চেহারা অন্যদিকে ফিরিয়ে দেন। অতঃপর ফযল আবার তাঁর চেহারা অন্যদিকে ফিরাবার সময় তাঁরা ’মুহাসসার’ নামক স্থানে পৌঁছান।

এ সময় তাঁর উট কিছুটা দ্রুতগামী হয় এবং তা মধ্যবর্তী রাস্তায় গমণ করে, যে রাস্তা ছিল জামরাতুল কুবরায় গমণের পথ। অতঃপর তিনি জামরার নিকটবর্তী হন, যা বৃক্ষের নিকটবর্তী স্থানে অবস্থিত ছিল। অতঃপর তিনি সে স্থানে সাতটি কংকর নিক্ষেপ করেন এবং প্রত্যেকবার কংকর নিক্ষেপের সময় তাকবীর (আল্লাহু আকবার) পাঠ করেন। অতঃপর তিনি বাতনুল ওয়াদীতে (গমনপূর্বক) কংকর নিক্ষেপ করেন। অতঃপর রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কুরবানীর স্থানে উপস্থিত হন এবং স্বহস্তে তেষট্টিটি পশু কুরবানী করেন এবং কুরবানীর অবশিষ্ট পশুগুলি আলী (রাঃ)-কে কুরবানী করার নির্দেশ দেন। আর তিনি প্রত্যেক কুরবানীর পশুর মাংস হতে এক টুকরা মাংস তাঁকে দেওয়ার নির্দেশ দেন। অতঃপর তা একটি পাতিলের মধ্যে রান্না করা হয়। তখন তাঁরা সকলে তা ভক্ষণ করেন এবং (তৃপ্তি সহকারে) আহার করেন।

রাবী সুলায়মান বলেন, অতঃপর তিনি তাঁর বাহনে আরোহণ করেন এবং রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কা’বা ঘরে গমণ করেন। অতঃপর তিনি মক্কায় যোহরের নামায আদায় করেন। পরে তিনি বনী আবদুল মুত্তালিবদের নিকট গমণ করেন, যারা যমযমের নিকট (লোকদের) পানি পান করাচ্ছিল। অতঃপর তিনি তাঁদেরকে বলেন, তোমরা লোকদেরকে অধিক পানি পান করাতে থাকো। আর আমি যদি লোকদের অত্যধিক ভিড়ের আশংকা না করতাম তবে আমিও তোমাদের সাথে পানি তুলে লোকদের পান করাতাম। অতঃপর তারা তাঁকে এক বালতি যমযমের পানি সরবরাহ করলে তিনি তা হতে কিছু পান করেন।

باب صِفَةِ حَجَّةِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم

حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ مُحَمَّدٍ النُّفَيْلِيُّ، وَعُثْمَانُ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، وَهِشَامُ بْنُ عَمَّارٍ، وَسُلَيْمَانُ بْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ الدِّمَشْقِيَّانِ، - وَرُبَّمَا زَادَ بَعْضُهُمْ عَلَى بَعْضٍ الْكَلِمَةَ وَالشَّىْءَ - قَالُوا حَدَّثَنَا حَاتِمُ بْنُ إِسْمَاعِيلَ حَدَّثَنَا جَعْفَرُ بْنُ مُحَمَّدٍ عَنْ أَبِيهِ قَالَ دَخَلْنَا عَلَى جَابِرِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ فَلَمَّا انْتَهَيْنَا إِلَيْهِ سَأَلَ عَنِ الْقَوْمِ حَتَّى انْتَهَى إِلَىَّ فَقُلْتُ أَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عَلِيِّ بْنِ حُسَيْنٍ ‏.‏ فَأَهْوَى بِيَدِهِ إِلَى رَأْسِي فَنَزَعَ زِرِّي الأَعْلَى ثُمَّ نَزَعَ زِرِّي الأَسْفَلَ ثُمَّ وَضَعَ كَفَّهُ بَيْنَ ثَدْيَىَّ وَأَنَا يَوْمَئِذٍ غُلاَمٌ شَابٌّ ‏.‏ فَقَالَ مَرْحَبًا بِكَ وَأَهْلاً يَا ابْنَ أَخِي سَلْ عَمَّا شِئْتَ ‏.‏ فَسَأَلْتُهُ وَهُوَ أَعْمَى وَجَاءَ وَقْتُ الصَّلاَةِ فَقَامَ فِي نِسَاجَةٍ مُلْتَحِفًا بِهَا يَعْنِي ثَوْبًا مُلَفَّقًا كُلَّمَا وَضَعَهَا عَلَى مَنْكِبِهِ رَجَعَ طَرَفَاهَا إِلَيْهِ مِنْ صِغَرِهَا فَصَلَّى بِنَا وَرِدَاؤُهُ إِلَى جَنْبِهِ عَلَى الْمِشْجَبِ ‏.‏ فَقُلْتُ أَخْبِرْنِي عَنْ حَجَّةِ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏.‏ فَقَالَ بِيَدِهِ فَعَقَدَ تِسْعًا ‏.‏ ثُمَّ قَالَ إِنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم مَكَثَ تِسْعَ سِنِينَ لَمْ يَحُجَّ ثُمَّ أُذِّنَ فِي النَّاسِ فِي الْعَاشِرَةِ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم حَاجٌّ فَقَدِمَ الْمَدِينَةَ بَشَرٌ كَثِيرٌ كُلُّهُمْ يَلْتَمِسُ أَنْ يَأْتَمَّ بِرَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم وَيَعْمَلَ بِمِثْلِ عَمَلِهِ فَخَرَجَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم وَخَرَجْنَا مَعَهُ حَتَّى أَتَيْنَا ذَا الْحُلَيْفَةِ فَوَلَدَتْ أَسْمَاءُ بِنْتُ عُمَيْسٍ مُحَمَّدَ بْنَ أَبِي بَكْرٍ فَأَرْسَلَتْ إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم كَيْفَ أَصْنَعُ قَالَ ‏"‏ اغْتَسِلِي وَاسْتَذْفِرِي بِثَوْبٍ وَأَحْرِمِي ‏"‏ ‏.‏ فَصَلَّى رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فِي الْمَسْجِدِ ثُمَّ رَكِبَ الْقَصْوَاءَ حَتَّى إِذَا اسْتَوَتْ بِهِ نَاقَتُهُ عَلَى الْبَيْدَاءِ ‏.‏ قَالَ جَابِرٌ نَظَرْتُ إِلَى مَدِّ بَصَرِي مِنْ بَيْنِ يَدَيْهِ مِنْ رَاكِبٍ وَمَاشٍ وَعَنْ يَمِينِهِ مِثْلَ ذَلِكَ وَعَنْ يَسَارِهِ مِثْلَ ذَلِكَ وَمِنْ خَلْفِهِ مِثْلَ ذَلِكَ وَرَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم بَيْنَ أَظْهُرِنَا وَعَلَيْهِ يَنْزِلُ الْقُرْآنُ وَهُوَ يَعْلَمُ تَأْوِيلَهُ فَمَا عَمِلَ بِهِ مِنْ شَىْءٍ عَمِلْنَا بِهِ فَأَهَلَّ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم بِالتَّوْحِيدِ ‏"‏ لَبَّيْكَ اللَّهُمَّ لَبَّيْكَ لَبَّيْكَ لاَ شَرِيكَ لَكَ لَبَّيْكَ إِنَّ الْحَمْدَ وَالنِّعْمَةَ لَكَ وَالْمُلْكَ لاَ شَرِيكَ لَكَ ‏"‏ ‏.‏ وَأَهَلَّ النَّاسُ بِهَذَا الَّذِي يُهِلُّونَ بِهِ فَلَمْ يَرُدَّ عَلَيْهِمْ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم شَيْئًا مِنْهُ وَلَزِمَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم تَلْبِيَتَهُ ‏.‏ قَالَ جَابِرٌ لَسْنَا نَنْوِي إِلاَّ الْحَجَّ لَسْنَا نَعْرِفُ الْعُمْرَةَ حَتَّى إِذَا أَتَيْنَا الْبَيْتَ مَعَهُ اسْتَلَمَ الرُّكْنَ فَرَمَلَ ثَلاَثًا وَمَشَى أَرْبَعًا ثُمَّ تَقَدَّمَ إِلَى مَقَامِ إِبْرَاهِيمَ فَقَرَأَ ‏(‏ وَاتَّخِذُوا مِنْ مَقَامِ إِبْرَاهِيمَ مُصَلًّى ‏)‏ فَجَعَلَ الْمَقَامَ بَيْنَهُ وَبَيْنَ الْبَيْتِ قَالَ فَكَانَ أَبِي يَقُولُ قَالَ ابْنُ نُفَيْلٍ وَعُثْمَانُ وَلاَ أَعْلَمُهُ ذَكَرَهُ إِلاَّ عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم ‏.‏ قَالَ سُلَيْمَانُ وَلاَ أَعْلَمُهُ إِلاَّ قَالَ كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَقْرَأُ فِي الرَّكْعَتَيْنِ بِـ ‏(‏ قُلْ هُوَ اللَّهُ أَحَدٌ ‏)‏ وَبِـ ‏(‏ قُلْ يَا أَيُّهَا الْكَافِرُونَ ‏)‏ ثُمَّ رَجَعَ إِلَى الْبَيْتِ فَاسْتَلَمَ الرُّكْنَ ثُمَّ خَرَجَ مِنَ الْبَابِ إِلَى الصَّفَا فَلَمَّا دَنَا مِنَ الصَّفَا قَرَأَ ‏(‏ إِنَّ الصَّفَا وَالْمَرْوَةَ مِنْ شَعَائِرِ اللَّهِ ‏)‏ ‏"‏ نَبْدَأُ بِمَا بَدَأَ اللَّهُ بِهِ ‏"‏ ‏.‏ فَبَدَأَ بِالصَّفَا فَرَقِيَ عَلَيْهِ حَتَّى رَأَى الْبَيْتَ فَكَبَّرَ اللَّهَ وَوَحَّدَهُ وَقَالَ ‏"‏ لاَ إِلَهَ إِلاَّ اللَّهُ وَحْدَهُ لاَ شَرِيكَ لَهُ لَهُ الْمُلْكُ وَلَهُ الْحَمْدُ يُحْيِي وَيُمِيتُ وَهُوَ عَلَى كُلِّ شَىْءٍ قَدِيرٌ لاَ إِلَهَ إِلاَّ اللَّهُ وَحْدَهُ أَنْجَزَ وَعْدَهُ وَنَصَرَ عَبْدَهُ وَهَزَمَ الأَحْزَابَ وَحْدَهُ ‏"‏ ‏.‏ ثُمَّ دَعَا بَيْنَ ذَلِكَ وَقَالَ مِثْلَ هَذَا ثَلاَثَ مَرَّاتٍ ثُمَّ نَزَلَ إِلَى الْمَرْوَةِ حَتَّى إِذَا انْصَبَّتْ قَدَمَاهُ رَمَلَ فِي بَطْنِ الْوَادِي حَتَّى إِذَا صَعِدَ مَشَى حَتَّى أَتَى الْمَرْوَةَ فَصَنَعَ عَلَى الْمَرْوَةِ مِثْلَ مَا صَنَعَ عَلَى الصَّفَا حَتَّى إِذَا كَانَ آخِرُ الطَّوَافِ عَلَى الْمَرْوَةِ قَالَ ‏"‏ إِنِّي لَوِ اسْتَقْبَلْتُ مِنْ أَمْرِي مَا اسْتَدْبَرْتُ لَمْ أَسُقِ الْهَدْىَ وَلَجَعَلْتُهَا عُمْرَةً فَمَنْ كَانَ مِنْكُمْ لَيْسَ مَعَهُ هَدْىٌ فَلْيَحْلِلْ وَلْيَجْعَلْهَا عُمْرَةً ‏"‏ ‏.‏ فَحَلَّ النَّاسُ كُلُّهُمْ وَقَصَّرُوا إِلاَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم وَمَنْ كَانَ مَعَهُ هَدْىٌ فَقَامَ سُرَاقَةُ بْنُ جُعْشُمٍ فَقَالَ يَا رَسُولَ اللَّهِ أَلِعَامِنَا هَذَا أَمْ لِلأَبَدِ فَشَبَّكَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم أَصَابِعَهُ فِي الأُخْرَى ثُمَّ قَالَ ‏"‏ دَخَلَتِ الْعُمْرَةُ فِي الْحَجِّ ‏"‏ ‏.‏ هَكَذَا مَرَّتَيْنِ ‏"‏ لاَ بَلْ لأَبَدِ أَبَدٍ لاَ بَلْ لأَبَدِ أَبَدٍ ‏"‏ ‏.‏ قَالَ وَقَدِمَ عَلِيٌّ - رضى الله عنه - مِنَ الْيَمَنِ بِبُدْنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم فَوَجَدَ فَاطِمَةَ - رضى الله عنها - مِمَّنْ حَلَّ وَلَبِسَتْ ثِيَابًا صَبِيغًا وَاكْتَحَلَتْ فَأَنْكَرَ عَلِيٌّ ذَلِكَ عَلَيْهَا وَقَالَ مَنْ أَمَرَكِ بِهَذَا فَقَالَتْ أَبِي ‏.‏ فَكَانَ عَلِيٌّ يَقُولُ بِالْعِرَاقِ ذَهَبْتُ إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم مُحَرِّشًا عَلَى فَاطِمَةَ فِي الأَمْرِ الَّذِي صَنَعَتْهُ مُسْتَفْتِيًا لِرَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فِي الَّذِي ذَكَرَتْ عَنْهُ فَأَخْبَرْتُهُ أَنِّي أَنْكَرْتُ ذَلِكَ عَلَيْهَا فَقَالَتْ إِنَّ أَبِي أَمَرَنِي بِهَذَا ‏.‏ فَقَالَ ‏"‏ صَدَقَتْ صَدَقَتْ مَاذَا قُلْتَ حِينَ فَرَضْتَ الْحَجَّ ‏"‏ ‏.‏ قَالَ قُلْتُ اللَّهُمَّ إِنِّي أُهِلُّ بِمَا أَهَلَّ بِهِ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏.‏ قَالَ ‏"‏ فَإِنَّ مَعِيَ الْهَدْىَ فَلاَ تَحْلِلْ ‏"‏ ‏.‏ قَالَ وَكَانَ جَمَاعَةُ الْهَدْىِ الَّذِي قَدِمَ بِهِ عَلِيٌّ مِنَ الْيَمَنِ وَالَّذِي أَتَى بِهِ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم مِنَ الْمَدِينَةِ مِائَةً فَحَلَّ النَّاسُ كُلُّهُمْ وَقَصَّرُوا إِلاَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم وَمَنْ كَانَ مَعَهُ هَدْىٌ قَالَ فَلَمَّا كَانَ يَوْمُ التَّرْوِيَةِ وَوَجَّهُوا إِلَى مِنًى أَهَلُّوا بِالْحَجِّ فَرَكِبَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَصَلَّى بِمِنًى الظُّهْرَ وَالْعَصْرَ وَالْمَغْرِبَ وَالْعِشَاءَ وَالصُّبْحَ ثُمَّ مَكَثَ قَلِيلاً حَتَّى طَلَعَتِ الشَّمْسُ وَأَمَرَ بِقُبَّةٍ لَهُ مِنْ شَعَرٍ فَضُرِبَتْ بِنَمِرَةَ فَسَارَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم وَلاَ تَشُكُّ قُرَيْشٌ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم وَاقِفٌ عِنْدَ الْمَشْعَرِ الْحَرَامِ بِالْمُزْدَلِفَةِ كَمَا كَانَتْ قُرَيْشٌ تَصْنَعُ فِي الْجَاهِلِيَّةِ فَأَجَازَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم حَتَّى أَتَى عَرَفَةَ فَوَجَدَ الْقُبَّةَ قَدْ ضُرِبَتْ لَهُ بِنَمِرَةَ فَنَزَلَ بِهَا حَتَّى إِذَا زَاغَتِ الشَّمْسُ أَمَرَ بِالْقَصْوَاءِ فَرُحِلَتْ لَهُ فَرَكِبَ حَتَّى أَتَى بَطْنَ الْوَادِي فَخَطَبَ النَّاسَ فَقَالَ ‏"‏ إِنَّ دِمَاءَكُمْ وَأَمْوَالَكُمْ عَلَيْكُمْ حَرَامٌ كَحُرْمَةِ يَوْمِكُمْ هَذَا فِي شَهْرِكُمْ هَذَا فِي بَلَدِكُمْ هَذَا أَلاَ إِنَّ كُلَّ شَىْءٍ مِنْ أَمْرِ الْجَاهِلِيَّةِ تَحْتَ قَدَمَىَّ مَوْضُوعٌ وَدِمَاءُ الْجَاهِلِيَّةِ مَوْضُوعَةٌ وَأَوَّلُ دَمٍ أَضَعُهُ دِمَاؤُنَا دَمُ ‏"‏ ‏.‏ قَالَ عُثْمَانُ ‏"‏ دَمُ ابْنِ رَبِيعَةَ ‏"‏ ‏.‏ وَقَالَ سُلَيْمَانُ ‏"‏ دَمُ رَبِيعَةَ بْنِ الْحَارِثِ بْنِ عَبْدِ الْمُطَّلِبِ ‏"‏ ‏.‏ وَقَالَ بَعْضُ هَؤُلاَءِ كَانَ مُسْتَرْضَعًا فِي بَنِي سَعْدٍ فَقَتَلَتْهُ هُذَيْلٌ ‏"‏ وَرِبَا الْجَاهِلِيَّةِ مَوْضُوعٌ وَأَوَّلُ رِبًا أَضَعُهُ رِبَانَا رِبَا عَبَّاسِ بْنِ عَبْدِ الْمُطَّلِبِ فَإِنَّهُ مَوْضُوعٌ كُلُّهُ اتَّقُوا اللَّهَ فِي النِّسَاءِ فَإِنَّكُمْ أَخَذْتُمُوهُنَّ بِأَمَانَةِ اللَّهِ وَاسْتَحْلَلْتُمْ فُرُوجَهُنَّ بِكَلِمَةِ اللَّهِ وَإِنَّ لَكُمْ عَلَيْهِنَّ أَنْ لاَ يُوطِئْنَ فُرُشَكُمْ أَحَدًا تَكْرَهُونَهُ فَإِنْ فَعَلْنَ فَاضْرِبُوهُنَّ ضَرْبًا غَيْرَ مُبَرِّحٍ وَلَهُنَّ عَلَيْكُمْ رِزْقُهُنَّ وَكِسْوَتُهُنَّ بِالْمَعْرُوفِ وَإِنِّي قَدْ تَرَكْتُ فِيكُمْ مَا لَنْ تَضِلُّوا بَعْدَهُ إِنِ اعْتَصَمْتُمْ بِهِ كِتَابَ اللَّهِ وَأَنْتُمْ مَسْئُولُونَ عَنِّي فَمَا أَنْتُمْ قَائِلُونَ ‏"‏ ‏.‏ قَالُوا نَشْهَدُ أَنَّكَ قَدْ بَلَّغْتَ وَأَدَّيْتَ وَنَصَحْتَ ‏.‏ ثُمَّ قَالَ بِأُصْبُعِهِ السَّبَّابَةِ يَرْفَعُهَا إِلَى السَّمَاءِ وَيَنْكِبُهَا إِلَى النَّاسِ ‏"‏ اللَّهُمَّ اشْهَدِ اللَّهُمَّ اشْهَدِ اللَّهُمَّ اشْهَدْ ‏"‏ ‏.‏ ثُمَّ أَذَّنَ بِلاَلٌ ثُمَّ أَقَامَ فَصَلَّى الظُّهْرَ ثُمَّ أَقَامَ فَصَلَّى الْعَصْرَ وَلَمْ يُصَلِّ بَيْنَهُمَا شَيْئًا ثُمَّ رَكِبَ الْقَصْوَاءَ حَتَّى أَتَى الْمَوْقِفَ فَجَعَلَ بَطْنَ نَاقَتِهِ الْقَصْوَاءَ إِلَى الصَّخَرَاتِ وَجَعَلَ حَبْلَ الْمُشَاةِ بَيْنَ يَدَيْهِ فَاسْتَقْبَلَ الْقِبْلَةَ فَلَمْ يَزَلْ وَاقِفًا حَتَّى غَرَبَتِ الشَّمْسُ وَذَهَبَتِ الصُّفْرَةُ قَلِيلاً حِينَ غَابَ الْقُرْصُ وَأَرْدَفَ أُسَامَةَ خَلْفَهُ فَدَفَعَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم وَقَدْ شَنَقَ لِلْقَصْوَاءِ الزِّمَامَ حَتَّى إِنَّ رَأْسَهَا لَيُصِيبُ مَوْرِكَ رَحْلِهِ وَهُوَ يَقُولُ بِيَدِهِ الْيُمْنَى ‏"‏ السَّكِينَةَ أَيُّهَا النَّاسُ السَّكِينَةَ أَيُّهَا النَّاسُ ‏"‏ ‏.‏ كُلَّمَا أَتَى حَبْلاً مِنَ الْحِبَالِ أَرْخَى لَهَا قَلِيلاً حَتَّى تَصْعَدَ حَتَّى أَتَى الْمُزْدَلِفَةَ فَجَمَعَ بَيْنَ الْمَغْرِبِ وَالْعِشَاءِ بِأَذَانٍ وَاحِدٍ وَإِقَامَتَيْنِ - قَالَ عُثْمَانُ وَلَمْ يُسَبِّحْ بَيْنَهُمَا شَيْئًا ثُمَّ اتَّفَقُوا - ثُمَّ اضْطَجَعَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم حَتَّى طَلَعَ الْفَجْرُ فَصَلَّى الْفَجْرَ حِينَ تَبَيَّنَ لَهُ الصُّبْحُ - قَالَ سُلَيْمَانُ بِنِدَاءٍ وَإِقَامَةٍ ثُمَّ اتَّفَقُوا - ثُمَّ رَكِبَ الْقَصْوَاءَ حَتَّى أَتَى الْمَشْعَرَ الْحَرَامَ فَرَقِيَ عَلَيْهِ قَالَ عُثْمَانُ وَسُلَيْمَانُ فَاسْتَقْبَلَ الْقِبْلَةَ فَحَمِدَ اللَّهَ وَكَبَّرَهُ وَهَلَّلَهُ زَادَ عُثْمَانُ وَوَحَّدَهُ فَلَمْ يَزَلْ وَاقِفًا حَتَّى أَسْفَرَ جِدًّا ثُمَّ دَفَعَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَبْلَ أَنْ تَطْلُعَ الشَّمْسُ وَأَرْدَفَ الْفَضْلَ بْنَ عَبَّاسٍ وَكَانَ رَجُلاً حَسَنَ الشَّعْرِ أَبْيَضَ وَسِيمًا فَلَمَّا دَفَعَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم مَرَّ الظُّعُنُ يَجْرِينَ فَطَفِقَ الْفَضْلُ يَنْظُرُ إِلَيْهِنَّ فَوَضَعَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَدَهُ عَلَى وَجْهِ الْفَضْلِ وَصَرَفَ الْفَضْلُ وَجْهَهُ إِلَى الشِّقِّ الآخَرِ وَحَوَّلَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَدَهُ إِلَى الشِّقِّ الآخَرِ وَصَرَفَ الْفَضْلُ وَجْهَهُ إِلَى الشِّقِّ الآخَرِ يَنْظُرُ حَتَّى أَتَى مُحَسِّرًا فَحَرَّكَ قَلِيلاً ثُمَّ سَلَكَ الطَّرِيقَ الْوُسْطَى الَّذِي يُخْرِجُكَ إِلَى الْجَمْرَةِ الْكُبْرَى حَتَّى أَتَى الْجَمْرَةَ الَّتِي عِنْدَ الشَّجَرَةِ فَرَمَاهَا بِسَبْعِ حَصَيَاتٍ يُكَبِّرُ مَعَ كُلِّ حَصَاةٍ مِنْهَا بِمِثْلِ حَصَى الْخَذْفِ فَرَمَى مِنْ بَطْنِ الْوَادِي ثُمَّ انْصَرَفَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم إِلَى الْمَنْحَرِ فَنَحَرَ بِيَدِهِ ثَلاَثًا وَسِتِّينَ وَأَمَرَ عَلِيًّا فَنَحَرَ مَا غَبَرَ - يَقُولُ مَا بَقِيَ - وَأَشْرَكَهُ فِي هَدْيِهِ ثُمَّ أَمَرَ مِنْ كُلِّ بَدَنَةٍ بِبَضْعَةٍ فَجُعِلَتْ فِي قِدْرٍ فَطُبِخَتْ فَأَكَلاَ مِنْ لَحْمِهَا وَشَرِبَا مِنْ مَرَقِهَا قَالَ سُلَيْمَانُ ثُمَّ رَكِبَ ثُمَّ أَفَاضَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم إِلَى الْبَيْتِ فَصَلَّى بِمَكَّةَ الظُّهْرَ ثُمَّ أَتَى بَنِي عَبْدِ الْمُطَّلِبِ وَهُمْ يَسْقُونَ عَلَى زَمْزَمَ فَقَالَ ‏"‏ انْزِعُوا بَنِي عَبْدِ الْمُطَّلِبِ فَلَوْلاَ أَنْ يَغْلِبَكُمُ النَّاسُ عَلَى سِقَايَتِكُمْ لَنَزَعْتُ مَعَكُمْ ‏"‏ ‏.‏ فَنَاوَلُوهُ دَلْوًا فَشَرِبَ مِنْهُ ‏.‏


Ja’far bin Muhammad reported on the authority of his father “We entered upon Jabir bin ‘Abd Allaah. When we reached him, he asked about the people (who had come to visit him). When my turn came I said “I am Muhammad bin Ali bin Hussain. He patted my head with his hand and undid my upper then lower buttons. He then placed his hand between my nipples and in those days I was a young boy.” He then said “welcome to you my nephew, ask what you like. I questioned him he was blind. The time of prayer came and he stood wrapped in a mantle. Whenever he placed it on his shoulders its ends fell due to its shortness. He led us in prayer while his mantle was placed on a rack by his side. I said “tell me about the Hajj of the Apostle of Allaah(ﷺ).”He signed with his hand and folded his fingers indicating nine. He then said Apostle of Allaah(ﷺ) remained nine years (at Madeenah ) during which he did not perform Hajj, then made a public announcement in the tenth year to the effect that the Apostle of Allaah(ﷺ) was about to (go to) perform Hajj. A large number of people came to Madeenah everyone desiring to follow him and act like him. The Apostle of Allaah(ﷺ) went out and we too went out with him till we reached Dhu Al Hulaifah. Asma’ daughter of ‘Umais gave birth to Muhammad bin Abi Bakr. She sent message to Apostle of Allaah(ﷺ) asking him What should I do?He replied “take a bath, bandage your private parts with a cloth and put on ihram.” The Apostle of Allaah(ﷺ) then prayed (in the masjid) and mounted Al Qaswa’ and his she Camel stood erect with him on its back. Jabir said “I saw (a large number of) people on mounts and on foot in front of him and a similar number on his right side and a similar number on his left side and a similar number behind him. The Apostle of Allaah(ﷺ) was among us, the Qur’an was being revealed to him and he knew its interpretation. Whatever he did, we did it. The Apostle of Allaah(ﷺ) then raised his voice declaring Allaah’s unity and saying “Labbaik ( I am at thy service), O Allaah, labbaik, labbaik, Thou hast no partner praise and grace are Thine and the Dominion. Thou hast no partner. The people too raised their voices in talbiyah which they used to utter. But the Apostle of Allaah(ﷺ) did not forbid them anything. The Apostle of Allaah(ﷺ) continued his talbiyah. Jabir said “We did not express our intention of performing anything but Hajj, being unaware of ‘Umrah (at that season), but when we came with him to the House (the Ka’bah), he touched the corner (and made seven circuits) walking quickly with pride in three of them and walking ordinarily in four. Then going forward to the station of Abraham he recited “And take the station of Abraham as a place of prayer.” (While praying two rak’ahs) he kept the station between him and the House. The narrator said My father said that Ibn Nufail and ‘Uthman said I do not know that he (Jabir) narrated it from anyone except the Prophet (ﷺ). The narrator Sulaiman said I do not know but he (Jabir) said “The Apostle of Allaah(ﷺ) used to recite in the two rak’ahs “Say, He is Allaah, one” and “Say O infidels”. He then returned to the House (the ka’bah) and touched the corner after which he went out by the gate to Al Safa’. When he reached near Al Safa’ he recited “Al Safa’ and Al Marwah are among the indications of Allaah” and he added “We begin with what Allaah began with”. He then began with Al Safa’ and mounting it till he could see the House (the Ka’bah) he declared the greatness of Allaah and proclaimed his Unity. He then said “there is no god but Allaah alone, Who alone has fulfilled His promise, helped His servant and routed the confederates. He then made supplication in the course of that saying such words three times. He then descended and walked towards Al Marwah and when his feet came down into the bottom of the valley, he ran, and when he began to ascend he walked till he reached Al Marwah. He did at al Marwah as he had done at Al Safa’ and when he came to Al Marwah for the last time, he said “If I had known before what I have come to know afterwards regarding this matter of mine, I would not have brought sacrificial animals but made it an ‘Umrah, so if any of you has no sacrificial animals, he may take off ihram and treat it as an ‘Umrah. All the people then took off ihram and clipped their hair except the Prophet (ﷺ) and those who had brought sacrificial animals. Suraqah (bin Malik) bin Ju’sham then got up and asked Apostle of Allaah(ﷺ)does this apply to the present year or does it apply for ever? The Apostle of Allaah(ﷺ) interwined his fingers and said “The ‘Umarh has been incorporated in Hajj. Adding ‘No’, but forever and ever. ‘Ali came from Yemen with the sacrificial animals of the Apostle of Allaah(ﷺ) and found Fathima among one of those who had taken off their ihram. She said put on colored clothes and stained her eyes with collyrium. ‘Ali disliked (this action of her) and asked Who commanded you for this? She said “My father”. Jabir said ‘Ali said at Iraq I went to Apostle of Allaah(ﷺ) to complain against Fathima for what she had done and to ask the opinion of Apostle of Allaah(ﷺ) about which she mentioned to me. I informed him that I disliked her action and that thereupon she said to me “My father commanded me to do this.” He said “She spoke the truth, she spoke the truth.” What did you say when you put on ihram for Hajj? I said O Allaah, I put on ihram for the same purpose for which Apostle of Allaah(ﷺ) has put it on. He said I have sacrificial animals with me, so do not take off ihram. He (Jabir) said “The total of those sacrificial animals brought by ‘Ali from Yemen and of those brought by the Prophet (ﷺ) from Madeenah was one hundred.” Then all the people except the Prophet (ﷺ) and those who had with them the sacrificial animals took off ihram and clipped their hair. When the 8th of Dhu Al Hijjah (Yaum Al Tarwiyah) came, they went towards Mina having pit on ihram for Hajj and the Apostle of Allaah(ﷺ) rode and prayed at Mina the noon, afternoon, sunset, night and dawn prayers. After that he waited a little till the sun rose and gave orders for a tent of hair to be set up at Namrah. The Apostle of Allaah(ﷺ) then sent out and the Quraish did not doubt that he would halt at Al Mash ‘ar Al Haram at Al Muzdalifah, as the Quraish used to do in the pre Islamic period but he passed on till he came to ‘Arafah and found that the tent had been setup at Namrah. There he dismounted and when the sun had passed the meridian he ordered Al Qaswa’ to be brought and when it was saddled for him, he went down to the bottom of the valley and addressed the people saying “Your lives and your property must be respected by one another like the sacredness of this day of yours in the month of yours in this town of yours. Lo! Everything pertaining to the pre Islamic period has been put under my feet and claims for blood vengeance belonging to the pre Islamic period have been abolished. The first of those murdered among us whose blood vengeance I permit is the blood vengeance of ours (according to the version of the narrator ‘Uthman, the blood vengeance of the son of Rabi’ah and according to the version of the narrator Sulaiman the blood vengeance of the son of Rabi’ah bin Al Harith bin ‘Abd Al Muttalib). Some (scholars) said “he was suckled among Banu Sa’d(i.e., he was brought up among Bani Sa’d) and then killed by Hudhail. The usury of the pre Islamic period is abolished and the first of usury I abolish is our usury, the usury of ‘Abbas bin ‘Abd Al Muttalib for it is all abolished. Fear Allaah regarding women for you have got them under Allah’s security and have the right to intercourse with them by Allaah’s word. It is a duty from you on them not to allow anyone whom you dislike to lie on your beds but if they do beat them, but not severely. You are responsible for providing them with food and clothing in a fitting manner. I have left among you something by which if you hold to it you will never again go astray, that is Allaah’s Book. You will be asked about me, so what will you say? They replied “We testify that you have conveyed and fulfilled the message and given counsel. Then raising his forefinger towards the sky and pointing it at the people, he said “O Allaah! Be witness, O Allaah! Be witness, O Allaah! Be witness! Bilal then uttered the call to prayer and the iqamah and he prayed the noon prayer, he then uttered the iqamah and he prayed the afternoon prayer, engaging in no prayer between the two. He then mounted (his she Camel) al Qaswa’ and came to the place of standing , making his she Camel Al Qaswa‘ turn its back to the rocks and having the path taken by those who went on foot in front of him and he faced the qiblah. He remained standing till sunset when the yellow light had somewhat gone and the disc of the sun had disappeared. He took Usamah up behind him and picked the reins of Al Qaswa’ severely so much so that its head was touching the front part of the saddle. Pointing with is right hand he was saying “Calmness, O People! Calmness, O people. Whenever he came over a mound (of sand) he let loose its reins a little so that it could ascend. He then came to Al Muzdalifah where he combined the sunset and night prayers, with one adhan and two iqamahs. The narrator ‘Uthamn said He did not offer supererogatory prayers between them. The narrators are then agreed upon the version He then lay down till dawn and prayed the dawn prayer when the morning light was clear. The narrator Sulaiman said with one adhan and one iqamah. The narrators are then agreed upon the version He then mounted Al Qaswa’ and came to Al Mash’ar Al Haram and ascended it. The narrators ‘Uthaman and Sulaiman said He faced the qiblah praised Allaah, declared His greatness, His uniqueness. ‘Uthamn added in his version and His Unity and kept standing till the day was very clear. The Apostle of Allaah(ﷺ) then went quickly before the sun rose , taking Al Fadl bin ‘Abbas behind him. He was a man having beautiful hair, white and handsome color. When the Apostle of Allaah(ﷺ) went quickly, the women in the howdas also began to pass him quickly. Al Fadl began to look at them. The Apostle of Allaah(ﷺ) placed his hand on the face of Al Fadl , but Al fadl turned his face towards the other side. The Apostle of Allaah(ﷺ) also turned away his hand to the other side. Al Fadl also turned his face to the other side looking at them till he came to (the Valley of) Muhassir. He urged the Camel a little and following a middle road which comes out at the greatest jamrah, he came to the jamrah which is beside the tree and he threw seven small pebbles at this (jamrah) saying “Allah is most great” each time he threw a pebble like bean seeds. He threw them from the bottom of the valley. The Apostle of Allaah(ﷺ) then went to the place of the sacrifice and sacrificed sixty three Camels with his own hand. He then commanded ‘Ali who sacrificed the remainder and he shared him and his sacrificial animals. After that he ordered that a piece of flesh from each Camel should be put in a pot and when it was cooked the two of them ate some of it and drank some of its broth. The narrator Sulaiman said the he mounted afterwards the Apostle of Allaah(ﷺ) went quickly to the House (the Ka’bah) and prayed the noon prayer at Makkah. He came to Banu ‘Abd Al Muttalib who were supplying water at Zamzam and said draw water Banu ‘Abd Al Muttalib were it not that people would take from you the right to draw water, I would draw it along with you. So they handed him a bucket and he drank from it.


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ জা‘ফার ইবনু মুহাম্মাদ (রহঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ

পরিচ্ছেদঃ ৫৫. মহানবী (ﷺ) - এর বিদায় হজ্জের বিবরণ।

১৯০৪. আবদুল্লাহ্ ইবন মাসলামা, আহমাদ ইবন হাম্বল (রহঃ) .... জা’ফর ইবন মুহাম্মদ (রহঃ) তাঁর পিতা হতে বর্ণনা করেছেন যে, নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আরাফাতে একই আযানে এবং দুই ইকামাতে যোহর ও আসরের নামায আদায় করেন এবং তিনি এর মধ্যবর্তী সময়ে কোন তাসবীহ পাঠ করেননি। আর তিনি (মুযদালিফাতে) মাগরিব ও এশার নামায একই আযানে এবং দুই ইকামাতের সাথে আদায় করেন এবং এর মধ্যবর্তী সময়ে কোনরূপ তাসবীহ পাঠ করেননি।

ইমাম আবূ দাঊদ (রহঃ) জাবির (রাঃ) হতে বর্ণিত হাদীসে এরূপ বর্ণনা করেছেন যে, তিনি মাগরিব ও এশার নামায একই আযান ও একই ইকামাত আদায় করেন।

باب صِفَةِ حَجَّةِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم

حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ مَسْلَمَةَ، حَدَّثَنَا سُلَيْمَانُ يَعْنِي ابْنَ بِلاَلٍ، ح وَحَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ حَنْبَلٍ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الْوَهَّابِ الثَّقَفِيُّ، - الْمَعْنَى وَاحِدٌ - عَنْ جَعْفَرِ بْنِ مُحَمَّدٍ، عَنْ أَبِيهِ، أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم صَلَّى الظُّهْرَ وَالْعَصْرَ بِأَذَانٍ وَاحِدٍ بِعَرَفَةَ وَلَمْ يُسَبِّحْ بَيْنَهُمَا وَإِقَامَتَيْنِ وَصَلَّى الْمَغْرِبَ وَالْعِشَاءَ بِجَمْعٍ بِأَذَانٍ وَاحِدٍ وَإِقَامَتَيْنِ وَلَمْ يُسَبِّحْ بَيْنَهُمَا ‏.‏ قَالَ أَبُو دَاوُدَ هَذَا الْحَدِيثُ أَسْنَدَهُ حَاتِمُ بْنُ إِسْمَاعِيلَ فِي الْحَدِيثِ الطَّوِيلِ وَوَافَقَ حَاتِمَ بْنَ إِسْمَاعِيلَ عَلَى إِسْنَادِهِ مُحَمَّدُ بْنُ عَلِيٍّ الْجُعْفِيُّ عَنْ جَعْفَرٍ عَنْ أَبِيهِ عَنْ جَابِرٍ إِلاَّ أَنَّهُ قَالَ فَصَلَّى الْمَغْرِبَ وَالْعَتَمَةَ بِأَذَانٍ وَإِقَامَةٍ ‏.‏


Ja’far bin Muhammad reported on the authority of his father The Prophet (ﷺ) prayed the noon and the afternoon prayers with one adhan and two iqamahs at ‘Arafah and he did not offer supererogatory prayers between them. He prayed the sunset and night prayers at Al Muzdalifah with one adhan and two iqamahs and he did not offer supererogatory prayers between them. Abu Dawud said This tradition has been narrated by Hatim bin Isma’il as a part of the lengthy tradition. Muhammad bin ‘Ali Al Ju’fi narrated it from Ja’far from his father on the authority of Jabir, like the tradition transmitted by Hatim bin Isma’il. But this version has He offered the sunset and night prayers with one adhan and one iqamah.


হাদিসের মানঃ সহিহ/যঈফ [মিশ্রিত]
বর্ণনাকারীঃ জা‘ফার ইবনু মুহাম্মাদ (রহঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ

পরিচ্ছেদঃ ৫৫. মহানবী (ﷺ) - এর বিদায় হজ্জের বিবরণ।

১৯০৬. মুসাদ্দাদ ..... জা’ফর (রহঃ) হতে পূর্বোক্ত হাদীসের সনদে হাদীস বর্ণিত্ হয়েছে। রাবী (হাফস ইবন গিয়াস) অতিরিক্ত বর্ণনা করেছেন যে, তোমরা তোমাদের বাহনে (আরোহণের স্থানে অর্থাৎ মিনায়) কুরবানী করবে।

باب صِفَةِ حَجَّةِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم

حَدَّثَنَا مُسَدَّدٌ، حَدَّثَنَا حَفْصُ بْنُ غِيَاثٍ، عَنْ جَعْفَرٍ، بِإِسْنَادِهِ زَادَ ‏ "‏ فَانْحَرُوا فِي رِحَالِكُمْ ‏"‏ ‏.‏


The aforesaid tradition has also been transmitted by Hafs bin Ghiyath from Ja’far with the same chain of narrators. But this version adds “Sacrifice in your dwellings.”


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ জা‘ফার ইবনু মুহাম্মাদ (রহঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ

পরিচ্ছেদঃ ১৮৪/ ইহরামের সময় নিফাসওয়ালিদের করণীয় প্রসঙ্গে

২৯২। আমর ইবনু আলী, মুহাম্মদ ইবনু মূসান্না ও ইয়াকুব ইবনু ইবরাহিম (রহঃ) ... জাফর ইবনু মুহাম্মদ (রহঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ আমাকে আমার পিতা বলেছেন, আমরা জাবির ইবনু আবদুল্লাহ (রাঃ) এর নিকট গমন করে তাঁকে রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর বিদায় হাজ্জ (হজ্জ) সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করলাম। তিনি আমাদের নিকট বর্ণনা করেন যে, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যূলকা’দ মাসের পাঁচ দ্বীন অবশিষ্ট থাকতে হাজ্জের (হজ্জ) উদ্দেশ্য বের হলেন। আমরাও তাঁর সাথে বের হলাম। যখন তিনি যুল-হুলায়ফা পৌঁছলেন, তখন আসমা বিনতে উমায়স (রাঃ) মুহাম্মদ ইবনু আবূ বকরকে প্রসব করলেন। তিনি রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর নিকট জিজ্ঞাসা করে পাঠালেনঃ আমি এখন কি করব? তিনি বললেনঃ তুমি গোসল কর তারপর পট্টি পরে নাও এবং ইহরাম বাঁধ।

أَخْبَرَنَا عَمْرُو بْنُ عَلِيٍّ، وَمُحَمَّدُ بْنُ الْمُثَنَّى، وَيَعْقُوبُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ، - وَاللَّفْظُ لَهُ - قَالُوا حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ سَعِيدٍ، قَالَ حَدَّثَنَا جَعْفَرُ بْنُ مُحَمَّدٍ، قَالَ حَدَّثَنِي أَبِي قَالَ، أَتَيْنَا جَابِرَ بْنَ عَبْدِ اللَّهِ فَسَأَلْنَاهُ عَنْ حَجَّةِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم، صلى الله عليه وسلم فَحَدَّثَنَا أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم خَرَجَ لِخَمْسٍ بَقِينَ مِنْ ذِي الْقَعْدَةِ وَخَرَجْنَا مَعَهُ حَتَّى إِذَا أَتَى ذَا الْحُلَيْفَةِ وَلَدَتْ أَسْمَاءُ بِنْتُ عُمَيْسٍ مُحَمَّدَ بْنَ أَبِي بَكْرٍ فَأَرْسَلَتْ إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم كَيْفَ أَصْنَعُ قَالَ ‏ "‏ اغْتَسِلِي وَاسْتَثْفِرِي ثُمَّ أَهِلِّي ‏"‏ ‏.‏


Ja'far bin Muhammad said: "My father told me: 'We cam to jabir bin 'Abdullah and asked him about the hajj of the prophet (ﷺ). He narrated: 'The Messenger of Allah (ﷺ) set out when there were five (days) remaining in Dhul-Qa'dah, and we set out with him. When he came to Dhul-Hulaifah, Asma' bint 'Umais gave birth to Muhammad bin Abi Bakr. She sent word to the Messenger of Allah (ﷺ) asking what she should do. He said: 'Perform Ghusl, bind yourself with a cloth then begin (the Talbiyah for Ihram).'"


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ জা‘ফার ইবনু মুহাম্মাদ (রহঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ

পরিচ্ছেদঃ ২৩/ নিফাসওয়ালী মহিলার ইহরামের সময় গোসল করা

৪২৯। আমর ইবনু আলী, মুহাম্মদ ইবনু মূসান্না ও ইয়াকূব ইবনু ইবরাহীম (রহঃ) ... মুহাম্মদ (রহঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেছেনঃ আমরা জাবির ইবনু আবদুল্লাহ (রাঃ)-এর নিকট উপস্থিত হয়ে তাঁকে বিদায় হাজ্জ (হজ্জ) সম্মন্ধে জিজ্ঞাসা করলাম। তিনি বর্ণনা করলেনঃ রাসূলুল্লাহ্‌ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যিলকা’দা মাসের পাঁচ দিন অবশিষ্ট থাকতে বের হলেন। আমরাও তাঁর সঙ্গে বের হলাম। এরপর তিনি যুল-হুলায়ফায় আগমন করলে আস্‌মা বিনত উমায়স (রাঃ) মুহাম্মদ ইবনু আবূ বকরকে প্রসব করলেন। পরে তিনি রাসূলুল্লাহ্‌ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর নিকট লোক পাঠিয়ে জিজ্ঞাসা করলেন, এখন আমি কি করব? তিনি বলেনঃ তুমি গোসল করবে এবং ন্যাকড়া পরিধান করবে, তারপরে ইহ্‌রাম বাঁধবে।

أَخْبَرَنَا عَمْرُو بْنُ عَلِيٍّ، وَمُحَمَّدُ بْنُ الْمُثَنَّى، وَيَعْقُوبُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ، - وَاللَّفْظُ لَهُ - قَالُوا حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ سَعِيدٍ، قَالَ حَدَّثَنَا جَعْفَرُ بْنُ مُحَمَّدٍ، قَالَ حَدَّثَنِي أَبِي قَالَ، أَتَيْنَا جَابِرَ بْنَ عَبْدِ اللَّهِ فَسَأَلْنَاهُ عَنْ حَجَّةِ الْوَدَاعِ، فَحَدَّثَنَا أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم خَرَجَ لِخَمْسٍ بَقِينَ مِنْ ذِي الْقَعْدَةِ ‏.‏ وَخَرَجْنَا مَعَهُ حَتَّى إِذَا أَتَى ذَا الْحُلَيْفَةِ وَلَدَتْ أَسْمَاءُ بِنْتُ عُمَيْسٍ مُحَمَّدَ بْنَ أَبِي بَكْرٍ فَأَرْسَلَتْ إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم كَيْفَ أَصْنَعُ فَقَالَ ‏ "‏ اغْتَسِلِي ثُمَّ اسْتَثْفِرِي ثُمَّ أَهِلِّي ‏"‏ ‏


Ja'far bin Muhammad said: "My father told me: 'We came to Jabir bin 'Abdullah and asked him about the Hajj of the Prophet (ﷺ). He narrated; "The Messenger of Allah (ﷺ) set out when there were five (days) remaining in Dhul-Qa'dah, and we set out with him. When he came to Dhul-Hulaifah, Asma' bint 'Umais gave birth to Muhammad bin Abi Bakr. She sent word to the Messenger of Allah (ﷺ) asking what he should do. He said: 'Perform Ghusl, bind yourself with a cloth then begin (the Talbiyah for Ihram).'"


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ জা‘ফার ইবনু মুহাম্মাদ (রহঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ

পরিচ্ছেদঃ ৪৭/ না দাঁড়ানোর অনুমতি

১৯৩০। ইবরাহীম ইবনু হারুন বলখী (রহঃ) ... জাফরের পিতা মুহাম্মাদ (রহঃ) থেকে বর্ণিত যে, হাসান ইবনু আলী (রাঃ) বসা ছিলেন, তখন তার কাছ দিয়ে একটি জানাজা নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল সেই জানাজা চলে না যাওয়া পর্যন্ত লোকজন দণ্ডায়মান ছিল। তখন হাসান (রাঃ) বললেন, একজন ইয়াহুদীর জানাজা নিয়ে যাওয়া হল। তখন রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তথায় উপবিষ্ট ছিলেন। ইয়াহুদীর জানাজা তার মাথার উপর দিয়ে যাবে তা তিনি অপছন্দ করার কারণে দাঁড়িয়েছিলেন।

باب الرُّخْصَةِ فِي تَرْكِ الْقِيَامِ ‏

أَخْبَرَنَا إِبْرَاهِيمُ بْنُ هَارُونَ الْبَلْخِيُّ، قَالَ حَدَّثَنَا حَاتِمٌ، عَنْ جَعْفَرِ بْنِ مُحَمَّدٍ، عَنْ أَبِيهِ، أَنَّ الْحَسَنَ بْنَ عَلِيٍّ، كَانَ جَالِسًا فَمُرَّ عَلَيْهِ بِجَنَازَةٍ فَقَامَ النَّاسُ حَتَّى جَاوَزَتِ الْجَنَازَةُ فَقَالَ الْحَسَنُ إِنَّمَا مُرَّ بِجَنَازَةِ يَهُودِيٍّ وَكَانَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم عَلَى طَرِيقِهَا جَالِسًا فَكَرِهَ أَنْ تَعْلُوَ رَأْسَهُ جَنَازَةُ يَهُودِيٍّ فَقَامَ ‏.‏


It was narrated from Ja'far bin Muhammad from his father that: Al-Hasan bin 'Ali was sitting when a funeral passed by. The People stood until the funeral had passed, and Al-Hasan said: "The funeral of Jew passed by when the Messenger of Allah was sitting in its path, and he did not want the funeral of a Jew to pass over his head, so he stood up."


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ জা‘ফার ইবনু মুহাম্মাদ (রহঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ

পরিচ্ছেদঃ ৪৬. মুহরিম ব্যক্তির রঙ্গীন কাপড় ব্যবহার করা মাকরূহ

২৭১৪. মুহাম্মদ ইবন মুছান্না (রহঃ) ... জাফর ইবন মুহাম্মদ (রহঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ আমার পিতা আমার নিকট বর্ণনা করেছেন। তিনি বলেছেনঃ আমরা জাবির (রাঃ)-এর নিকট এসে তাকে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর হজ্জ সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করলাম। তিনি বললেনঃ রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ আমার যে মনােভাব পরে দেখা দিয়েছে, যদি পূর্বে হতো, তা হলে আমি কুরবানীর জন্তু নিয়ে আসতাম না এবং আগে উমরার কাজ সম্পাদন করতাম। অতএব যার কাছে কুরবানীর জন্তু নেই, সে যেন হজ্জের ইহরাম ত্যাগ করে নতুনভাবে উমরার কাজ আদায় করে। আলী (রাঃ) ইয়ামান হতে কুরবানীর পশু নিয়ে আগমন করেছিলেন। আর রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মদীনা থেকে কুরবানীর পশু নিয়ে আসেন। হঠাৎ দেখা গেল, ফাতিমা (রাঃ) রঙ্গীন কাপড় পরিধান করেছেন এবং সুরমা লাগিয়েছেন। আলী (রাঃ) বলেন, আমি এ ব্যাপারে জিজ্ঞাসা করার জন্য রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর নিকট গেলাম, আমি বললামঃ ইয়া রাসূলাল্লাহ্! ফাতিমা রঙ্গীন কাপড় পরিধান করেছে এবং সুরমা লাগিয়েছে। তখন ফাতিমা (রাঃ) বললেনঃ আমার পিতা আমাকে এর আদেশ করেছেন। শুনে রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ ফাতিমা সত্যই বলেছে, ফাতিমা সত্যই বলেছে, ফাতিমা সত্যই বলেছে। আমি তাকে আদেশ করেছি।

الْكَرَاهِيَةُ فِي الثِّيَابِ الْمُصَبَّغَةِ لِلْمُحْرِمِ

أَخْبَرَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الْمُثَنَّى قَالَ حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ سَعِيدٍ عَنْ جَعْفَرِ بْنِ مُحَمَّدٍ قَالَ حَدَّثَنِي أَبِي قَالَ أَتَيْنَا جَابِرًا فَسَأَلْنَاهُ عَنْ حَجَّةِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَحَدَّثَنَا أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ لَوْ اسْتَقْبَلْتُ مِنْ أَمْرِي مَا اسْتَدْبَرْتُ لَمْ أَسُقْ الْهَدْيَ وَجَعَلْتُهَا عُمْرَةً فَمَنْ لَمْ يَكُنْ مَعَهُ هَدْيٌ فَلْيُحْلِلْ وَلْيَجْعَلْهَا عُمْرَةً وَقَدِمَ عَلِيٌّ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ مِنْ الْيَمَنِ بِهَدْيٍ وَسَاقَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مِنْ الْمَدِينَةِ هَدْيًا وَإِذَا فَاطِمَةُ قَدْ لَبِسَتْ ثِيَابًا صَبِيغًا وَاكْتَحَلَتْ قَالَ فَانْطَلَقْتُ مُحَرِّشًا أَسْتَفْتِي رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَقُلْتُ يَا رَسُولَ اللَّهِ إِنَّ فَاطِمَةَ لَبِسَتْ ثِيَابًا صَبِيغًا وَاكْتَحَلَتْ وَقَالَتْ أَمَرَنِي بِهِ أَبِي صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ صَدَقَتْ صَدَقَتْ صَدَقَتْ أَنَا أَمَرْتُهَا


It was narrated that Ja'far bin Muhammad said; " My father said: 'We came to Jabir and asked him about the Hajj of the Prophet. He told us that the Messenger of Allah said: "Had I known when I set out what I know now, I would have brought the Jadi (sacrificial animal ) with me and I would not have made it 'Umrah. Whoever does not have a Jadi with him, let him exit Ihram and make it 'Umrah," 'Ali may Allah be ;eased with him, came from Yemen with a Hadi, and the Messenger of Allah brought a Hadi from Al-Madinah, Fatimah had put on a dyed garment and applied kohl to her eyes, and he ('Ali) said: "I went to the Prophet to complain about that and find out whether she could do that, I said: 'O Messenger of Allah, Fatima had put on a dyed garment and applied kohl to her eyes, and she said, the Messenger of Allah told me to do that. 'He said: 'She is telling the truth, she is telling the truth, I told her to do that


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ জা‘ফার ইবনু মুহাম্মাদ (রহঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ

পরিচ্ছেদঃ ৫১. তালবিয়া পাঠের সময় বিসমিল্লাহ পরিত্যাগ করা

২৭৪২ ইয়াকুব ইবন ইবরাহীম (রহঃ) ... জাফর ইবন মুহাম্মদ (রহঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেছেনঃ আমার পিতা আমার নিকট বর্ণনা করেছেন যে, আমি জাবির ইবন আবদুল্লাহর নিকট গিয়ে তাঁকে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর হজ্জ সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করলাম। তিনি বললেনঃ রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মদীনায় নয় বৎসর অবস্থান করেন। তারপর জনসাধারণের মধ্যে সংবাদ দেয়া হলো যে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এ বৎসর হজ্জ করতে যাবেন। এ সংবাদে মদীনায় বহু লোকের সমাগম হলো। সকলেই কামনা করছিলো যে, তারা রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সাথে হজ্জ সমাপন করবেন এবং তিনি যা করেন তা করবেন। রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যুলকা’দা মাসের পাঁচ দিন বাকী থাকতে মদীনা থেকে বের হন। আর আমরাও তাঁর সাথে বের হই। জাবির (রাঃ) বলেন, এসময় রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাদের মধ্যেই ছিলেন। তাঁর উপর কুরআন অবতীর্ণ হচ্ছিল আর তিনি এর মর্ম অনুধাবন করতেন। তিনি তদনুযায়ী যা করতেন, আমরাও তা করতাম। আমরা একমাত্র হজ্জের উদ্দেশ্যেই বের হয়েছিলাম।

تَرْكُ التَّسْمِيَةِ عِنْدَ الْإِهْلَالِ

أَخْبَرَنَا يَعْقُوبُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ قَالَ حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ سَعِيدٍ قَالَ حَدَّثَنَا جَعْفَرُ بْنُ مُحَمَّدٍ قَالَ حَدَّثَنِي أَبِي قَالَ أَتَيْنَا جَابِرَ بْنَ عَبْدِ اللَّهِ فَسَأَلْنَاهُ عَنْ حَجَّةِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَحَدَّثَنَا أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مَكَثَ بِالْمَدِينَةِ تِسْعَ حِجَجٍ ثُمَّ أُذِّنَ فِي النَّاسِ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي حَاجِّ هَذَا الْعَامِ فَنَزَلَ الْمَدِينَةَ بَشَرٌ كَثِيرٌ كُلُّهُمْ يَلْتَمِسُ أَنْ يَأْتَمَّ بِرَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَيَفْعَلُ مَا يَفْعَلُ فَخَرَجَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لِخَمْسٍ بَقِينَ مِنْ ذِي الْقِعْدَةِ وَخَرَجْنَا مَعَهُ قَالَ جَابِرٌ وَرَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بَيْنَ أَظْهُرِنَا عَلَيْهِ يَنْزِلُ الْقُرْآنُ وَهُوَ يَعْرِفُ تَأْوِيلَهُ وَمَا عَمِلَ بِهِ مِنْ شَيْءٍ عَمِلْنَا فَخَرَجْنَا لَا نَنْوِي إِلَّا الْحَجَّ


Ja`far bin Muhammad said: "My father told me: 'We came to Jabir bin `Abdullah and asked him about the Hajj of the Prophet (ﷺ). He told us: The Messenger of Allah (ﷺ) stayed in al-Madinah for nine years of Hajj, then it was announced to the people that the Messenger of Allah (ﷺ) was going to perform Hajj this year. Many people came to al-Madinah, all of them hoping to learn from the Messenger of Allah (ﷺ) and to do as he did. The Messenger of Allah (ﷺ) set out when there were five days left of Dhul-Qa`dah, and we set out with him,: Jabir said; "And the Messenger of Allah was among us; the Qur'an was being revealed to him, and he knew what it meant. Whatever he did based on it (the Qur'an), we did, and we set out with no intention other than Hajj.


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ জা‘ফার ইবনু মুহাম্মাদ (রহঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ

পরিচ্ছেদঃ ৫২. মুহরিম ব্যক্তির নিয়্যত ব্যতীত হজ্জ আদায় করা

২৭৪৫. মুহাম্মদ ইবন মুছান্না (রহঃ) ... জাফর ইবন মুহাম্মদ (রহঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমার পিতা আমাদেরকে হাদীস বর্ণনা করেছেন। তিনি বলেছেনঃ আমরা জাবির ইবন আবদুল্লাহ্ (রাঃ)-এর নিকট এসে তাকে জিজ্ঞাসা করলাম নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর হজ্জ সম্বন্ধে। তিনি আমাদের নিকট বর্ণনা করলেনঃ আলী (রাঃ) ইয়ামন থেকে আগমন করলেন কুরবানীর জন্তু নিয়ে। আর রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মদীনা থেকে কুরবানীর পশু এনেছিলেন। তিনি আলী (রাঃ)-কে বললেনঃ তুমি কিসের নিয়্যত করেছ? তিনি বললেনঃ আমি বললামঃ হে আল্লাহ্! আমি নিয়াত করছি, রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যার নিয়াত করেছেন। আর আমার সাথে রয়েছে কুরবানীর পশু। রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ তাহলে তুমি ইহরাম ভঙ্গ করো না।

الْحَجُّ بِغَيْرِ نِيَّةٍ يَقْصِدُهُ الْمُحْرِمُ

أَخْبَرَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الْمُثَنَّى قَالَ حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ سَعِيدٍ عَنْ جَعْفَرِ بْنِ مُحَمَّدٍ قَالَ حَدَّثَنَا أَبِي قَالَ أَتَيْنَا جَابِرَ بْنَ عَبْدِ اللَّهِ فَسَأَلْنَاهُ عَنْ حَجَّةِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَحَدَّثَنَا أَنَّ عَلِيًّا قَدِمَ مِنْ الْيَمَنِ بِهَدْيٍ وَسَاقَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مِنْ الْمَدِينَةِ هَدْيًا قَالَ لِعَلِيٍّ بِمَا أَهْلَلْتَ قَالَ قُلْتُ اللَّهُمَّ إِنِّي أُهِلُّ بِمَا أَهَلَّ بِهِ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَمَعِيَ الْهَدْيُ قَالَ فَلَا تَحِلَّ


It was narrated that Ja'far bin Muhammad said: "My father told us: 'we came to Jabir bin'Abdullah and asked him about the Hajj of the Prophet, He told us: "Ali came from Yemen with a Hadi, and the Messenger of Allah brought a Hadi from al-Madinah. He said to ail; 'For what have you entered Ihram?' He said: I 'I said: "O Allah, I am entering Ihram for that for which the Messenger of Allah entered Ihram," and I have the Hadi with me.' He said: 'Do not exit Ihram."'


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ জা‘ফার ইবনু মুহাম্মাদ (রহঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ

পরিচ্ছেদঃ ৭৩. কুরবানীর জন্তু হাঁকিয়ে নেওয়া

২৮০০. ইমরান ইবন ইয়াযীদ (রহঃ) ... জাফর ইবন মুহাম্মদ তাঁর পিতা থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি তাকে জাবির (রাঃ) সূত্রে বর্ণনা করতে শুনেছেন। তিনি জাবিরকে বলতে শুনেছেন যে, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাঁর হজ্জের সময় কুরবানীর জন্তু হাঁকিয়ে নিয়েছেন।

سَوْقُ الْهَدْيِ

أَخْبَرَنَا عِمْرَانُ بْنُ يَزِيدَ قَالَ أَنْبَأَنَا شُعَيْبُ بْنُ إِسْحَقَ قَالَ أَنْبَأَنَا ابْنُ جُرَيْجٍ قَالَ أَخْبَرَنِي جَعْفَرُ بْنُ مُحَمَّدٍ عَنْ أَبِيهِ سَمِعَهُ يُحَدِّثُ عَنْ جَابِرٍ أَنَّهُ سَمِعَهُ يُحَدِّثُ أَنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ سَاقَ هَدْيًا فِي حَجِّهِ


It was narrated that Jabir said: That the Prophet drove a Hadi during his Hajj.


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ জা‘ফার ইবনু মুহাম্মাদ (রহঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ

পরিচ্ছেদঃ ১৭১. সাফা পাহাড়ে 'তাহলীল'

২৯৭৬. ইমরান ইবন ইয়াযীদ (রহঃ) ... জাফর ইবন মুহাম্মদ (রহঃ) বলেছেন। তাঁর পিতা বলেছেন যে, তিনি শুনেছেন, জাবির (রাঃ) নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর হজ্জ সম্বন্ধে বলেছেনঃ তারপর নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সাফায় আরোহণ করে ’লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ’ পড়েন এবং এর মাঝে দু’আ করেন।

التَّهْلِيلُ عَلَى الصَّفَا

أَخْبَرَنَا عِمْرَانُ بْنُ يَزِيدَ قَالَ أَنْبَأَنَا شُعَيْبٌ قَالَ أَخْبَرَنِي ابْنُ جُرَيْجٍ قَالَ أَخْبَرَنِي جَعْفَرُ بْنُ مُحَمَّدٍ أَنَّهُ سَمِعَ أَبَاهُ يُحَدِّثُ أَنَّهُ سَمِعَ جَابِرًا عَنْ حَجَّةِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ ثُمَّ وَقَفَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَلَى الصَّفَا يُهَلِّلُ اللَّهَ عَزَّ وَجَلَّ وَيَدْعُو بَيْنَ ذَلِكَ


Jafar bin Muhammad narrated, that he heard his father narrate, that he heard Jabir, speak of the Pilgrimage of the Prophet: "The Prophet stood atop as-Safa proclaiming the Tahlil of Allah (saying Lal ilaha illallah) and supplicating in between that."


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ জা‘ফার ইবনু মুহাম্মাদ (রহঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ

পরিচ্ছেদঃ ২০২. আরাফার ময়দানে দু‘আয় উভয় হাত উত্তোলন করা

৩০১৮. ইয়াকূব ইবন ইবরাহীম (রহঃ) ... জাফর ইবন মুহাম্মদ (রহঃ) বলেন, আমার পিতা বলেছেন, আমরা জাবির ইবন আবদুল্লাহ (রাঃ)-এর নিকট গিয়ে তাকে জিজ্ঞাসা করলামঃ রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর হজ্জ সম্বন্ধে। তিনি আমাদের বললেনঃ নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ আরাফার সবটাই মাওফিক বা অবস্থানের স্থান।

رَفْعُ الْيَدَيْنِ فِي الدُّعَاءِ بِعَرَفَةَ

أَخْبَرَنَا يَعْقُوبُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ قَالَ حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ سَعِيدٍ قَالَ حَدَّثَنَا جَعْفَرُ بْنُ مُحَمَّدٍ قَالَ حَدَّثَنَا أَبِي قَالَ أَتَيْنَا جَابِرَ بْنَ عَبْدِ اللَّهِ فَسَأَلْنَاهُ عَنْ حَجَّةِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَحَدَّثَنَا أَنَّ نَبِيَّ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ عَرَفَةُ كُلُّهَا مَوْقِفٌ


Ja`far bin Muhammad said: "My father told me: 'We came to Jabir bin `Abdullah and asked him about the Hajj of the Prophet. He told us that the Prophet said: "All of Arafat is the place of standing."


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ জা‘ফার ইবনু মুহাম্মাদ (রহঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ

পরিচ্ছেদঃ ২১১. মুযদালিফায় যে ব্যক্তি ফজরের সালাত ইমামের সঙ্গে আদায় করতে পারেনি

৩০৪৮. ইয়াকূব ইবন ইবরাহীম (রহঃ) ... জা’ফর ইবন মুহাম্মদ (রহঃ) বর্ণনা করেন যে, আমার পিতা বর্ণনা করেছেন যে, আমরা জাবির ইবন আবদুল্লাহ (রাঃ)এর কাছে আগমন করলাম, তিনি আমাদের কাছে হাদীস বর্ণনা করলেন, রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ মুযদালিফার সমস্ত স্থানই মওকিফ বা অবস্থানের জায়গা।

فِيمَنْ لَمْ يُدْرِكْ صَلَاةَ الصُّبْحِ مَعَ الْإِمَامِ بِالْمُزْدَلِفَةِ

أَخْبَرَنَا يَعْقُوبُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ قَالَ حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ سَعِيدٍ قَالَ حَدَّثَنَا جَعْفَرُ بْنُ مُحَمَّدٍ قَالَ حَدَّثَنِي أَبِي قَالَ أَتَيْنَا جَابِرَ بْنَ عَبْدِ اللَّهِ فَحَدَّثَنَا أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ الْمُزْدَلِفَةُ كُلُّهَا مَوْقِفٌ


Jafar bin Muahammad narrated that his father said: "We came to Jabir bin Abdullah and he told us that the Messenger of Allah said: 'All of Al Muzdalifah is a place for (the pilgrims) to stand.'"


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ জা‘ফার ইবনু মুহাম্মাদ (রহঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ

পরিচ্ছেদঃ ২১৫. মুহাসির নামক উপত্যকায় উটকে দ্রুত চালান

৩০৫৭. ইবরাহীম ইবন হারুন (রহঃ) ... জাফর ইন মুহাম্মদ (রহঃ) তাঁর পিতার মাধ্যমে বর্ণনা করেন, তাঁর পিতা বলেন, আমি জাবির ইবন আবদুল্লাহ (রাঃ)-এর কাছে উপস্থিত হয়ে তাকে বললামঃ রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর হজ্জ সম্বন্ধে আমাকে অবহিত করুন। তিনি বললেনঃ রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সূর্য উদিত হওয়ার পূর্বেই মুদালিফা ত্যাগ করেন এবং ফযল ইবন আব্বাসকে তার পেছনের বাহনে বসিয়ে নেন, মুহাসসিরে এসে তিনি তার বাহনকে দ্রুতগতিতে পরিচালনা করেন। পরে তিনি সে পথ ধরে চলেন যা তোমাকে জামরায় কুরবায় পৌছে দেবে। এরপর তিনি বৃক্ষের নিকটে জামরায় উপনীত হন এবং সেখানে সাতটি পাথর টুকরো নিক্ষেপ করেন। তিনি এগুলোর প্রত্যেকটি নিক্ষেপের সময় তাকবীর বলেন। তিনি পাথর টুকরোগুলো নিক্ষেপ করেন উপত্যকার মধ্যে থেকে।

بَاب الْإِيضَاعِ فِي وَادِي مُحَسِّرٍ

أَخْبَرَنِي إِبْرَاهِيمُ بْنُ هَارُونَ قَالَ حَدَّثَنَا حَاتِمُ بْنُ إِسْمَعِيلَ قَالَ حَدَّثَنَا جَعْفَرُ بْنُ مُحَمَّدٍ عَنْ أَبِيهِ قَالَ دَخَلْنَا عَلَى جَابِرِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ فَقُلْتُ أَخْبِرْنِي عَنْ حَجَّةِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَقَالَ إِنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ دَفَعَ مِنْ الْمُزْدَلِفَةِ قَبْلَ أَنْ تَطْلُعَ الشَّمْسُ وَأَرْدَفَ الْفَضْلَ بْنَ الْعَبَّاسِ حَتَّى أَتَى مُحَسِّرًا حَرَّكَ قَلِيلًا ثُمَّ سَلَكَ الطَّرِيقَ الْوُسْطَى الَّتِي تُخْرِجُكَ عَلَى الْجَمْرَةِ الْكُبْرَى حَتَّى أَتَى الْجَمْرَةَ الَّتِي عِنْدَ الشَّجَرَةِ فَرَمَى بِسَبْعِ حَصَيَاتٍ يُكَبِّرُ مَعَ كُلِّ حَصَاةٍ مِنْهَا حَصَى الْخَذْفِ رَمَى مِنْ بَطْنِ الْوَادِي


Jafar bin Muhamad narrated that hi father said: "We enterd upon Jabir bin Abdullah and I said: "Tell me about the Hajj of the Prophet.' He said: 'The Messenger of Allah moved on from Al-Muzadalifah before the sun rose, and Al-Fadl bin Abbas rode behind him. When he came to Muhassir he sped up a little, then he follwed the middle road that brings you out at the largest Jamrat. When he came to the Jamrat whichis by the tree, he threw seven pebbles, saying the Takbir with each one, (using) pebbles the size of the date stones of fingertips, and he threw from the bottom of the valley.'"


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ জা‘ফার ইবনু মুহাম্মাদ (রহঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ

পরিচ্ছেদঃ ২২৭. জামরায় নিক্ষেপের কংকরের সংখ্যা

৩০৭৯. ইবরাহীম ইন হারূন (রহঃ) ... জা’ফার ইবন মুহাম্মাদ ইবন আলী ইবন হুসায়ন তার পিতা থেকে বর্ণনা করেন। তিনি বলেনঃ আমরা জাবির ইবন আবদুল্লাহ (রাঃ)-এর নিকট উপস্থিত হয়ে বললামঃ আমাকে রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর হজ্জ সম্পর্কে অবহিত করুন। তিনি বললেনঃ রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বৃক্ষের নিকটস্থ জামরায় সাতটি কংকর নিক্ষেপ করেন। তিনি এর প্রত্যেক কংকরের সাথে তাকবীর বলেন। তিনি কংকর নিক্ষেপ করেন বাতনে-ওয়াদী হতে। এরপর তিনি যবেহ করার স্থানে গমন করে যবেহ করেন।

بَاب عَدَدِ الْحَصَى الَّتِي يَرْمِي بِهَا الْجِمَارَ

أَخْبَرَنِي إِبْرَاهِيمُ بْنُ هَارُونَ قَالَ حَدَّثَنَا حَاتِمُ بْنُ إِسْمَعِيلَ قَالَ حَدَّثَنَا جَعْفَرُ بْنُ مُحَمَّدِ بْنِ عَلِيِّ بْنِ حُسَيْنٍ عَنْ أَبِيهِ قَالَ دَخَلْنَا عَلَى جَابِرِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ فَقُلْتُ أَخْبِرْنِي عَنْ حَجَّةِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَقَالَ إِنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ رَمَى الْجَمْرَةَ الَّتِي عِنْدَ الشَّجَرَةِ بِسَبْعِ حَصَيَاتٍ يُكَبِّرُ مَعَ كُلِّ حَصَاةٍ مِنْهَا حَصَى الْخَذْفِ رَمَى مِنْ بَطْنِ الْوَادِي ثُمَّ انْصَرَفَ إِلَى الْمَنْحَرِ فَنَحَرَ


Jafar bin Muhammad bin 'Ali bin Husain narrated that his father said: "We entered upon Jabir bin 'Abdullah and I said: 'Tell me about the Hajj of the Prophet. He said: 'The Messenger of Allah stoned the Jamart which is by the tree, with seven pebbles, saying the Takbir with eeach pebble - pebbles that were the size of data stones or fingertips. And he threw them for the bottom of the valley, then he went to the place of sacrifice in Mina."


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ জা‘ফার ইবনু মুহাম্মাদ (রহঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ

পরিচ্ছেদঃ তাওয়াফের দু‘রাকআত সালাতে কি তিলাওয়াত করা হবে?

৮৭১. হান্নাদ (রহঃ) ..... জাফর ইবনু মুহাম্মদ তৎপিতা মুহাম্মদ (রহঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, তিনি তাওয়াফের দুরাকআত সালাতেقُلْ يَا أَيُّهَا الْكَافِرُونَ এবং قُلْ هُوَ اللَّهُ أَحَدٌ তিলাওয়াত করতে পছন্দ করতেন। - তিরমিজী হাদিস নম্বরঃ ৮৭০ [আল মাদানী প্রকাশনী]

ইমাম আবূ ঈসা (রহঃ) বলেন, এই রিওয়ায়াতটি আবদুল আযীয ইবনু ইমরান এর রিওয়ায়াত থেকে অধিকতর সহীহ। জাফর ইবনু মুহাম্মদ তার পিতা মুহাম্মদের বরাতে বর্ণিত রিওয়ায়াতটি এই বিষয়ে জাফর ইবনু মুহাম্মদ তৎপিতা মুহাম্মদ জাবির (রাঃ) সূত্রে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হতে বর্ণিত রিওয়ায়াতটি থেকে অধিকতর সহীহ। রাবী আবদুল আযীয ইবনু ইমরান হাদীসের বর্ণনায় যঈফ।

باب مَا جَاءَ مَا يُقْرَأُ فِي رَكْعَتَىِ الطَّوَافِ

حَدَّثَنَا هَنَّادٌ، حَدَّثَنَا وَكِيعٌ، عَنْ سُفْيَانَ، عَنْ جَعْفَرِ بْنِ مُحَمَّدٍ، عَنْ أَبِيهِ، أَنَّهُ كَانَ يَسْتَحِبُّ أَنْ يَقْرَأَ، فِي رَكْعَتَىِ الطَّوَافِ بِـ ‏(‏ قُلْ يَا أَيُّهَا الْكَافِرُونَ ‏)‏ وَ ‏(‏ قُلْ هُوَ اللَّهُ أَحَدٌ ‏)‏ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى وَهَذَا أَصَحُّ مِنْ حَدِيثِ عَبْدِ الْعَزِيزِ بْنِ عِمْرَانَ وَحَدِيثُ جَعْفَرِ بْنِ مُحَمَّدٍ عَنْ أَبِيهِ فِي هَذَا أَصَحُّ مِنْ حَدِيثِ جَعْفَرِ بْنِ مُحَمَّدٍ عَنْ أَبِيهِ عَنْ جَابِرٍ عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم ‏.‏ وَعَبْدُ الْعَزِيزِ بْنُ عِمْرَانَ ضَعِيفٌ فِي الْحَدِيثِ ‏.‏


Ja'far bin Muhammad narrated from his father: that he considered it recommended for the two Rak'ah of Tawaf to recite: Say: "O you disbelievers!" and: Say: "He is Allah, (the) One."


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ জা‘ফার ইবনু মুহাম্মাদ (রহঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ

পরিচ্ছেদঃ সাক্ষীর সঙ্গে কসমও গ্রহণ করা।

১৩৪৯. আলী ইবনু হুজর (রহঃ) ....... জাফর ইবনু মুহাম্মদ তৎপিতা মুহাম্মদ (রহঃ) থেকে বর্ণিত যে, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম একজন সাক্ষী ও কসমের মাধ্যমে ফায়সালা দিয়েছেন। তিনি বলেন, আর আলী রাদিয়াল্লাহু আনহুও তোমাদের মাঝে এরূপ ফায়সালা দিয়েছেন। - তিরমিজী হাদিস নম্বরঃ ১৩৪৫ [আল মাদানী প্রকাশনী]

ইমাম আবূ ঈসা (রহঃ) বলেন, এটি অধিকতর সহীহ। সুফইয়ান ছাওরী (রহঃ)ও এটিকে জাফর ইবনু মুহাম্মদ তৎপিতা মুহাম্মদ সূত্রে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে মুরসাল রূপে বর্ণনা করেছেন। আবদুল আযীয ইবনু আবূ সালামা ও ইয়াহইয়া ইবনু আবূ সুলায়ম (রহঃ) ও এই হাদীসটি জাফার ইবনু মুহাম্মদ (রহঃ) তৎপিতা মুহাম্মদ আলী রাদিয়াল্লাহু আনহু সূত্রে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে বর্ণনা করেছেন।

সাহাবী ও অপরাপর আলিম এতদনুসারে আমল করেছেন। অধিকার ও সম্পদ জাতীয় বিষয়ে একজন সাক্ষীসহ কসমের মাধ্যমে ফায়সালা প্রদান জায়েয বলে তারা মনে করেন। এ হল ইমাম মালিক ইবনু আনাস, শাফিঈ, আহমাদ ও ইসহাক (রহঃ) এর অভিমত। তারা বললেন, অধিকার ও ধন-সম্পদ জাতীয় বিষয় ছাড়া একজন সাক্ষী ও কসমের মাধ্যমে ফায়সালা প্রদান করা যাবে না। কুফাবাসী কিছু সংখ্যক আলিম এবং অপরাপর কতক আলিম কোন ক্ষেত্রেই একজন সাক্ষী ও কসমের মাধ্যমে ফয়সালা প্রদান জায়েজ বলে মনে করেন না।

باب مَا جَاءَ فِي الْيَمِينِ مَعَ الشَّاهِدِ

حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ حُجْرٍ، أَخْبَرَنَا إِسْمَاعِيلُ بْنُ جَعْفَرٍ، حَدَّثَنَا جَعْفَرُ بْنُ مُحَمَّدٍ، عَنْ أَبِيهِ، أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم قَضَى بِالْيَمِينِ مَعَ الشَّاهِدِ الْوَاحِدِ ‏.‏ قَالَ وَقَضَى بِهَا عَلِيٌّ فِيكُمْ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى وَهَذَا أَصَحُّ وَهَكَذَا رَوَى سُفْيَانُ الثَّوْرِيُّ عَنْ جَعْفَرِ بْنِ مُحَمَّدٍ عَنْ أَبِيهِ عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم مُرْسَلاً ‏.‏ وَرَوَى عَبْدُ الْعَزِيزِ بْنُ أَبِي سَلَمَةَ وَيَحْيَى بْنُ سُلَيْمٍ هَذَا الْحَدِيثَ عَنْ جَعْفَرِ بْنِ مُحَمَّدٍ عَنْ أَبِيهِ عَنْ عَلِيٍّ عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم ‏.‏ وَالْعَمَلُ عَلَى هَذَا عِنْدَ بَعْضِ أَهْلِ الْعِلْمِ مِنْ أَصْحَابِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم وَغَيْرِهِمْ رَأَوْا أَنَّ الْيَمِينَ مَعَ الشَّاهِدِ الْوَاحِدِ جَائِزٌ فِي الْحُقُوقِ وَالأَمْوَالِ ‏.‏ وَهُوَ قَوْلُ مَالِكِ بْنِ أَنَسٍ وَالشَّافِعِيِّ وَأَحْمَدَ وَإِسْحَاقَ وَقَالُوا لاَ يُقْضَى بِالْيَمِينِ مَعَ الشَّاهِدِ الْوَاحِدِ إِلاَّ فِي الْحُقُوقِ وَالأَمْوَالِ ‏.‏ وَلَمْ يَرَ بَعْضُ أَهْلِ الْعِلْمِ مِنْ أَهْلِ الْكُوفَةِ وَغَيْرِهِمْ أَنْ يُقْضَى بِالْيَمِينِ مَعَ الشَّاهِدِ الْوَاحِدِ ‏.‏


Ja'far bin Muhammad narrated from his father: "The Prophet (ﷺ) passed judgement based on an oath along with one witness." He said: "And 'Ali judged between you based on it."


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ জা‘ফার ইবনু মুহাম্মাদ (রহঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
দেখানো হচ্ছেঃ থেকে ২০ পর্যন্ত, সর্বমোট ৪২ টি রেকর্ডের মধ্য থেকে পাতা নাম্বারঃ 1 2 3 পরের পাতা »