আবদুল্লাহ আস-সুনাবিহী (রাঃ) থেকে বর্ণিত হাদিস পাওয়া গেছে ১৪ টি

পরিচ্ছেদঃ ২২৫২. পরিচ্ছেদ নাই

৪১১৮। আসবাগ (রহঃ) ... সুনাবিহী (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, তাঁকে কেউ জিজ্ঞাসা করেন আপনি কখন হিজরত করেছেন? তিনি বলেন, আমরা ইয়ামান থেকে হিজরতের উদ্দেশ্যে বের হয়ে জুহফাতে পৌঁছি। তখন একজন অশ্বারোহীকে পেয়ে জিজ্ঞাসা করলাম, খবর কি খবর কি? তিনি বললেন, পাঁচদিন অতিবাহিত হল আমরা নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কে সমাহিত করেছি। তখন আমি তাঁকে জিজ্ঞাসা করলাম, তুমি কি শবে কদর সম্পর্কে কিছু শুনেছ? তিনি বললেন, হ্যাঁ, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর মুয়াযযিন বিলাল (রাঃ) আমাকে জানিয়েছেন যে, তা রমযানের শেষ দশ দিনের সপ্তম দিনে রয়েছে।

باب

حَدَّثَنَا أَصْبَغُ، قَالَ أَخْبَرَنِي ابْنُ وَهْبٍ، قَالَ أَخْبَرَنِي عَمْرٌو، عَنِ ابْنِ أَبِي حَبِيبٍ، عَنْ أَبِي الْخَيْرِ، عَنِ الصُّنَابِحِيِّ، أَنَّهُ قَالَ لَهُ مَتَى هَاجَرْتَ قَالَ خَرَجْنَا مِنَ الْيَمَنِ مُهَاجِرِينَ، فَقَدِمْنَا الْجُحْفَةَ، فَأَقْبَلَ رَاكِبٌ فَقُلْتُ لَهُ الْخَبَرَ فَقَالَ دَفَنَّا النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم مُنْذُ خَمْسٍ‏.‏ قُلْتُ هَلْ سَمِعْتَ فِي لَيْلَةِ الْقَدْرِ شَيْئًا قَالَ نَعَمْ أَخْبَرَنِي بِلاَلٌ مُؤَذِّنُ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم أَنَّهُ فِي السَّبْعِ فِي الْعَشْرِ الأَوَاخِرِ‏.‏


Narrated Ibn Abu Habib: Abu Al-Khair said, "As-Sanabih, I asked (me), 'When did you migrate?' I (i.e. Abu Al-Khair) said, 'We went out from Yemen as emigrants and arrived at Al-Juhfa, and there came a rider whom I asked about the news. The rider said: We buried the Prophet (ﷺ) five days ago." I asked (As-Sanabihi), 'Did you hear anything about the night of Qadr?' He replied, 'Bilal, the Mu'adh-dhin of the Prophet (ﷺ) informed me that it is on one of the seven nights of the last ten days (of Ramadan).


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ আবদুল্লাহ আস-সুনাবিহী (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ

পরিচ্ছেদঃ ৮৫/ মাথার সাথে কান মাসাহ করা ও তার বর্ণনা যা দিয়ে প্রমাণ করা হয় যে, উভয় কান মাথার অংশ

১০৩। কুতায়বা ও উতবা ইবনু আবদুল্লাহ (রহঃ) ... আবদুল্লাহ সুনাবিহী (রাঃ) থেকে বর্ণিত। রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেনঃ মুমিন বান্দা যখন উযূ (ওজু/অজু/অযু) করে এবং কুলি করে, তখন তার মুখের গুনাহ বের হয়ে যায়। যখন নাকে পানি দেয় তখন নাকের গুনাহ বের হয়ে যায়। যখন মুখমণ্ডল ধৌত করে, তখন মুখমণ্ডল ের গুনাহ বের হয়ে যায়। এমনকি গুনাহ বের হয়ে যায় দু’চোখের পাতার নিচ থেকে। যখন হাত ধৌত করে, তখন হাতের গুনাহ বের হয়ে যায়। এমনকি তা বের হয়ে যায় দু’ হাতের নখের নিচ থেকে। যখন মাথা মাসহ(মাসেহ) করে তখন মাথার গুনাহ বের হয়ে যায়। এমনকি তা বের হয়ে যায় তার দু’কান থেকে। যখন পা ধৌত করে, তখন পায়ের গুনাহ বের হয়ে যায়। এমনকি তা বের হয়ে যায় নখের নিচ থেকে। তারপর মসজিদে যাওয়া ও সালাত (নামায/নামাজ) আদায় করা তার জন্য অতিরিক্ত ইবাদত (অতিরিক্ত সওয়াব) হিসেবে গণ্য হয়।

أَخْبَرَنَا قُتَيْبَةُ، وَعُتْبَةُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ، عَنْ مَالِكٍ، عَنْ زَيْدِ بْنِ أَسْلَمَ، عَنْ عَطَاءِ بْنِ يَسَارٍ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ الصُّنَابِحِيِّ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ ‏ "‏ إِذَا تَوَضَّأَ الْعَبْدُ الْمُؤْمِنُ فَتَمَضْمَضَ خَرَجَتِ الْخَطَايَا مِنْ فِيهِ فَإِذَا اسْتَنْثَرَ خَرَجَتِ الْخَطَايَا مِنْ أَنْفِهِ فَإِذَا غَسَلَ وَجْهَهُ خَرَجَتِ الْخَطَايَا مِنْ وَجْهِهِ حَتَّى تَخْرُجَ مِنْ تَحْتِ أَشْفَارِ عَيْنَيْهِ فَإِذَا غَسَلَ يَدَيْهِ خَرَجَتِ الْخَطَايَا مِنْ يَدَيْهِ حَتَّى تَخْرُجَ مِنْ تَحْتِ أَظْفَارِ يَدَيْهِ فَإِذَا مَسَحَ بِرَأْسِهِ خَرَجَتِ الْخَطَايَا مِنْ رَأْسِهِ حَتَّى تَخْرُجَ مِنْ أُذُنَيْهِ فَإِذَا غَسَلَ رِجْلَيْهِ خَرَجَتِ الْخَطَايَا مِنْ رِجْلَيْهِ حَتَّى تَخْرُجَ مِنْ تَحْتِ أَظْفَارِ رِجْلَيْهِ ثُمَّ كَانَ مَشْيُهُ إِلَى الْمَسْجِدِ وَصَلاَتُهُ نَافِلَةً لَهُ ‏"‏ ‏‏ قَالَ قُتَيْبَةُ عَنِ الصُّنَابِحِيِّ أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم قَالَ ‏


It was narrated from 'Abdullah As-Sunabihi that the Messenger of Allah (ﷺ) said: "When the believing slave performs Wudu' and rinses his mouth, his sins come out from his mouth. When he sniffs water into his nose and blows it out, his sins come from his nose. When he washes his face, his sins come out from his face, even from beneath his eyelashes. When he washes his hands, his sins come out from his hands, even from beneath his fingernails. When he wipes his head, his sins come out from his head, even from his ears. When washes his feet, his sins come from his feet, even from beneath his toenails. Then his walking to the Masjid and his Salah will earn extra merit for him."


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ আবদুল্লাহ আস-সুনাবিহী (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ

পরিচ্ছেদঃ ৩১/ নামাযের নিষিদ্ধ ওয়াক্ত।

৫৬০। কুতায়বা (রহঃ) ... আবদুল্লাহ সুনাবিহী (রাঃ) থেকে বর্ণিত। রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, সুর্য শয়তানের দুই শিঙের মধ্য দিয়ে উদিত হয়। যখন সুর্য উপরে উঠে, তখন শয়তান তা থেকে দুরে সরে যায়। আবার যখন সুর্য মাথার উপর আসে, তখন শয়তান এসে মিলিত হয়। আবার ঢলে পড়লে পৃথক হয়ে যায়। আবার যখন সুর্য অস্তগমনের নিকটবর্তী হয়, তখন শয়তান মিলিত হয় এবং যখন সুর্য অস্তমিত হয়, তখন শয়তান সরে যায়। এ জন্যই রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এ তিন সময় সালাত আদায় করতে নিষেধ করেছেন।

أَخْبَرَنَا قُتَيْبَةُ، عَنْ مَالِكٍ، عَنْ زَيْدِ بْنِ أَسْلَمَ، عَنْ عَطَاءِ بْنِ يَسَارٍ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ الصُّنَابِحِيِّ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ ‏ "‏ الشَّمْسُ تَطْلُعُ وَمَعَهَا قَرْنُ الشَّيْطَانِ فَإِذَا ارْتَفَعَتْ فَارَقَهَا فَإِذَا اسْتَوَتْ قَارَنَهَا فَإِذَا زَالَتْ فَارَقَهَا فَإِذَا دَنَتْ لِلْغُرُوبِ قَارَنَهَا فَإِذَا غَرَبَتْ فَارَقَهَا ‏"‏ ‏.‏ وَنَهَى رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم عَنِ الصَّلاَةِ فِي تِلْكَ السَّاعَاتِ ‏.‏


It was narrated from 'Abdullah As-Sunabihi that the Messenger of Allah (ﷺ) said: "The sun rises and with it the horn of the Shaitan, then when it is fully risen, he goes away. Then when it approaches the meridian he comes near to it, and when it has passed the zenith he goes away. Then when it is close to setting, he comes near to it, then when it has set, he goes away." And the Messenger of Allah (ﷺ) forbade praying at those times.


হাদিসের মানঃ সহিহ/যঈফ [মিশ্রিত]
বর্ণনাকারীঃ আবদুল্লাহ আস-সুনাবিহী (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ

পরিচ্ছেদঃ ১/৬. পবিত্রতা অর্জনের প্রতিফল

২/২৮২। আবদুল্লাহ আস-সুনাবিহী (রাঃ) থেকে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেনঃ যে ব্যাক্তি উযূ (ওজু/অজু/অযু) করে কুলি করলো এবং নাকে পানি পৌঁছালো, তার গুনাহ্সমূহ তার মুখ ও নাক থেকে বের হয়ে যায়। সে তার মুখমণ্ডল ধৌত করলে তার গুনাহসমূহ তার মুখমণ্ডল থেকে বের হয়ে যায়, এমনকি তার দু চোখের ভ্রুর নিম্নাংশ থেকেও গুনাহসমূহ বেরিয়ে যায়। সে তার উভয় হাত ধৌত করলে তার দু হাত থেকে গুনাহসমূহ বেরিয়ে যায়। সে তার মাথা মাসহ(মাসেহ) করলে তার মাথা থেকে গুনাহসমূহ বের হয়ে যায়, এমনকি তার দু কান থেকেও গুনাহসমূহ বের হয়ে যায়। সে তার উভয় পা ধৌত করলে তার পদদ্বয় থেকেও গুনাহসমূহ ঝরে যায়, এমনকি তার পদদ্বয়ের নখের নিম্নভাগ থেকেও গুনাহ বের হয়ে যায়। এরপর তার সালাত ও তার মসজিদে যাতায়াতের সাওয়াব (উল্লিখিত বিষয়ের) অতিরিক্ত।

بَاب ثَوَابِ الطُّهُورِ

حَدَّثَنَا سُوَيْدُ بْنُ سَعِيدٍ، حَدَّثَنِي حَفْصُ بْنُ مَيْسَرَةَ، حَدَّثَنِي زَيْدُ بْنُ أَسْلَمَ، عَنْ عَطَاءِ بْنِ يَسَارٍ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ الصُّنَابِحِيِّ، عَنْ رَسُولِ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ قَالَ ‏ "‏ مَنْ تَوَضَّأَ فَمَضْمَضَ وَاسْتَنْشَقَ خَرَجَتْ خَطَايَاهُ مِنْ فَمِهِ وَأَنْفِهِ فَإِذَا غَسَلَ وَجْهَهُ خَرَجَتْ خَطَايَاهُ مِنْ وَجْهِهِ حَتَّى تَخْرُجَ مِنْ تَحْتِ أَشْفَارِ عَيْنَيْهِ فَإِذَا غَسَلَ يَدَيْهِ خَرَجَتْ خَطَايَاهُ مِنْ يَدَيْهِ فَإِذَا مَسَحَ رَأْسَهُ خَرَجَتْ خَطَايَاهُ مِنْ رَأْسِهِ حَتَّى تَخْرُجَ مِنْ أُذُنَيْهِ فَإِذَا غَسَلَ رِجْلَيْهِ خَرَجَتْ خَطَايَاهُ مِنْ رِجْلَيْهِ حَتَّى تَخْرُجَ مِنْ تَحْتِ أَظْفَارِ رِجْلَيْهِ وَكَانَتْ صَلاَتُهُ وَمَشْيُهُ إِلَى الْمَسْجِدِ نَافِلَةً ‏"‏ ‏.‏


It was narrated from 'Abdullah As-Sunabihi that: The Messenger of Allah said: "Whoever performs ablution and rinses his mouth and nose, his sins will exit through his mouth and nose. When he washes his face, his sins will exit from his face, even from beneath his eyelids. When he washes his hands, his sins will exit from his hands. When he wipes his head, his sins will exit from his head, and even from his ears. When he washes his feet, his sins will exit from his feet, even from beneath his toenails. Then his prayer and walking towards the mosque will earn extra merit for him."


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ আবদুল্লাহ আস-সুনাবিহী (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ

পরিচ্ছেদঃ ৫/১৪৮. যে সকল সময়ে সালাত পড়া মাকরূহ।

৩/১২৫৩। আবূ আবদুল্লাহ আস-সুনাবিহী (রাঃ) থেকে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেনঃ নিশ্চয় সূর্য শয়তানের দু শিং-এর মধ্যখান দিয়ে উদিত হয় অথবা তার সাথে শয়তানের দু শিং-ও উদিত হয়। সূর্য উপরে উঠলে তা থেকে সে পৃথক হয়ে যায়। আবার সূর্য যখন আসমানের মধ্যখানে আসে তখন সে তার সামনে আসে। সূর্য যখন ঢলে যায় তখন সে তা থেকে পৃথক হয়ে যায়। আবার যখন তা অস্ত যাওয়ার কাছাকাছি আসে তখন সে তার সামনে এসে যায়। অতঃপর তা অস্তমিত হলে সে আবার পৃথক হয়ে যায়। অতএব তোমরা এই তিন সময়ে (নফল) সালাত (নামায/নামাজ) পড়ো না।

بَاب مَا جَاءَ فِي السَّاعَاتِ الَّتِي تُكْرَهُ فِيهَا الصَّلَاةُ

حَدَّثَنَا إِسْحَاقُ بْنُ مَنْصُورٍ، أَنْبَأَنَا عَبْدُ الرَّزَّاقِ، أَنْبَأَنَا مَعْمَرٌ، عَنْ زَيْدِ بْنِ أَسْلَمَ، عَنْ عَطَاءِ بْنِ يَسَارٍ، عَنْ أَبِي عَبْدِ اللَّهِ الصُّنَابِحِيِّ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ قَالَ ‏ "‏ إِنَّ الشَّمْسَ تَطْلُعُ بَيْنَ قَرْنَىِ الشَّيْطَانِ - أَوْ قَالَ يَطْلُعُ مَعَهَا قَرْنَا الشَّيْطَانِ - فَإِذَا ارْتَفَعَتْ فَارَقَهَا فَإِذَا كَانَتْ فِي وَسَطِ السَّمَاءِ قَارَنَهَا فَإِذَا دَلَكَتْ - أَوْ قَالَ زَالَتْ - فَارَقَهَا فَإِذَا دَنَتْ لِلْغُرُوبِ قَارَنَهَا فَإِذَا غَرَبَتْ فَارَقَهَا فَلاَ تُصَلُّوا هَذِهِ السَّاعَاتِ الثَّلاَثَ ‏"‏ ‏.‏


It was narrated from Abu ‘Abdullah As-Sunabihi that the Messenger of Allah (ﷺ) said: “The sun rises between the two horns of Satan” or he said “The two horns of Satan rise with it, and when it has risen, Satan parts from it. When it is in the middle of the sky he accompanies it, then when it has crossed the zenith he parts from it. When it is about to set, he accompanies it, and when it has set he parts from it. So do no pray at these three times.”


হাদিসের মানঃ যঈফ (Dai'f)
বর্ণনাকারীঃ আবদুল্লাহ আস-সুনাবিহী (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ

পরিচ্ছেদঃ 'আল্লাহ্‌ ছাড়া কোন ইলাহ নেই'-এ কথার সাক্ষ্য দিয়ে যে ব্যক্তি মারা যায়।

২৬৩৯. কুতায়বা (রহঃ) ... সুনাবিহী (রহঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ আমি উবাদা ইবনুল সামিত (রাঃ) এর কাছে গেলাম। তার তখন মৃত্যু কষ্ট হচ্ছিল। আমি (তাঁর অবস্থা দেখে) কেঁদে ফেললাম। তিনি বললেনঃ থাম, কাঁদছ কেন? আল্লাহর কসম, যদি আমাকে (আখিরাতে) সাক্ষী মানা হয় তবে অবশ্যই তোমার পক্ষে আমি সাক্ষ্য দিব। যদি আমাকে সুপারিশের অনুমতি দেওয়া হয় তবে অবশ্যই তোমার জন্য সুপারিশ করব। যদি আমি সক্ষম হই তবে অবশ্যই তোমার উাপকার করব।

এরপর তিনি বললেনঃ আল্লাহ্ কসম, রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর নিকট থেকে যত হাদীস আমি শুনেছি এবং যাতে ছিল তোমাদের জন্য কল্যাণ নিহিত সে সবের কোন হাদীসও এমন নেই যা আমি তোমাদের বর্ণনা করিনি। তবে একটি হাদীস ছিল বাকী যা আজ তোমাদের আমি এমন অবস্থায় বর্ণনা করতে যাচ্ছি যে, চতুর্দিক থেকে মৃত্যু আমাকে বেষ্টন করে নিয়েছে। আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে বলতে শুনেছিঃ যে ব্যক্তি এই কথার সাক্ষ্য দেয় যে, আল্লাহ্ ছাড়া কোন মা’বুদ নেই এবং মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আল্লাহর রাসূল। আল্লাহ্ তা’আলা তার জন্য জাহান্নাম হারাম করে দেন। হাসান, মুসলিম ১/৪৩, তিরমিজী হাদিস নম্বরঃ ২৬৩৮ [আল মাদানী প্রকাশনী]

এই বিষয়ে আবূ বকর, উমর, উসমান, আলী তালহা, জাবির ইবন উমর, যায়দ ইবন খালিদ (রাঃ) থেকেও হাদীস বর্ণিত আছে। সুনাবিহী (রহঃ) হলেন আবদুর রহমান ইবন উসায়লা আবূ আবদুল্লাহ্। হাদীসটি হাসান-সহীহ-তবে এই সূত্রে গারীব।

যুহরী (রহঃ) থেকে বর্ণিত আছে যে, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর বাণী ’’যে ব্যাক্তি আল্লাহ্ ছাড়া মা’বুদ নাই, এ কথা স্বীকার করবে সে জান্নাতে প্রবেশ করবে’’- সম্পর্কে তাকে (যুহরী) জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি বলেছিলেনঃ এটি ছিল ইসলামের শুরুতে যখন ফরয, আদেশ, নিষেধ ইত্যাদি বিধি-বিধান নাযিল হয়নি তখনকার যুগের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য।

কোন কোন আলিম এই হাদীসটির মর্ম প্রসঙ্গে বলেন যে, তওহীদে বিশ্বাসীরা অবশ্য একদিন জান্নাতে প্রবেশ করবে। যদিও গুনাহের দরুন তাদেরকে জাহান্নামে শাস্তি দেওয়া হবে। তারা তাদের জাহান্নামে সব সময়ের জন্য অবস্থান করতে হবে না।

ইবন মাসঊদ, আবূ যর, ইমরান ইবন হুসায়ন, জাবিন ইবন আবদুল্লাহ্, ইবন আব্বাস, আবূ সাঈদ খুদরী ও আনাস (রাঃ) সূত্রে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে বর্ণিত যে, তিনি বলেছেনঃ তাওহীদে বিশ্বাসী এক দল লোক জাহান্নাম থেকে বের হবে এবং জান্নাতে প্রবেশ করবে।

(‏رُبَمَا يَوَدُّ الَّذِينَ كَفَرُوا لَوْ كَانُوا مُسْلِمِينَ‏) কখনও কখনও কাফিররা আকঙ্ক্ষা করবে যে, তারা যদি মুসলিম হত। (হিজর ১৫ : ২) আয়াতটির তাফসীরেও সাঈদ জুবায়র, ইবরাহীম নাখঈ প্রমূখ তাবিঈন (রহঃ) থেকে এরূপ অভিমত বর্ণিত আছে। তাঁরা বলেছেনঃ তাওহীদে বিশ্বাসীগণকে জাহান্নাম থেকে বের করে আনা এবং তাদের জান্নাতে প্রবেশ করানো হবে তখন কাফিররা আকাঙ্ক্ষা করবে যে, হায় তার যদি মুসলিম হত।

باب مَا جَاءَ فِيمَنْ يَمُوتُ وَهُوَ يَشْهَدُ أَنْ لاَ إِلَهَ إِلاَّ اللَّهُ

حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ، حَدَّثَنَا اللَّيْثُ، عَنِ ابْنِ عَجْلاَنَ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ يَحْيَى بْنِ حَبَّانَ، عَنِ ابْنِ مُحَيْرِيزٍ، عَنِ الصُّنَابِحِيِّ، عَنْ عُبَادَةَ بْنِ الصَّامِتِ، أَنَّهُ قَالَ دَخَلْتُ عَلَيْهِ وَهُوَ فِي الْمَوْتِ فَبَكَيْتُ فَقَالَ مَهْلاً لِمَ تَبْكِي فَوَاللَّهِ لَئِنِ اسْتُشْهِدْتُ لأَشْهَدَنَّ لَكَ وَلَئِنْ شُفِّعْتُ لأَشْفَعَنَّ لَكَ وَلَئِنِ اسْتَطَعْتُ لأَنْفَعَنَّكَ ثُمَّ قَالَ وَاللَّهِ مَا مِنْ حَدِيثٍ سَمِعْتُهُ مِنْ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم لَكُمْ فِيهِ خَيْرٌ إِلاَّ حَدَّثْتُكُمُوهُ إِلاَّ حَدِيثًا وَاحِدًا وَسَوْفَ أُحَدِّثُكُمُوهُ الْيَوْمَ وَقَدْ أُحِيطَ بِنَفْسِي سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ ‏"‏ مَنْ شَهِدَ أَنْ لاَ إِلَهَ إِلاَّ اللَّهُ وَأَنَّ مُحَمَّدًا رَسُولُ اللَّهِ حَرَّمَ اللَّهُ عَلَيْهِ النَّارَ ‏"‏ ‏.‏ وَفِي الْبَابِ عَنْ أَبِي بَكْرٍ وَعُمَرَ وَعُثْمَانَ وَعَلِيٍّ وَطَلْحَةَ وَجَابِرٍ وَابْنِ عُمَرَ وَزَيْدِ بْنِ خَالِدٍ ‏.‏ قَالَ سَمِعْتُ ابْنَ أَبِي عُمَرَ يَقُولُ سَمِعْتُ ابْنَ عُيَيْنَةَ يَقُولُ مُحَمَّدُ بْنُ عَجْلاَنَ كَانَ ثِقَةً مَأْمُونًا فِي الْحَدِيثِ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ غَرِيبٌ مِنْ هَذَا الْوَجْهِ وَالصُّنَابِحِيُّ هُوَ عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ عُسَيْلَةَ أَبُو عَبْدِ اللَّهِ ‏.‏ وَقَدْ رُوِيَ عَنِ الزُّهْرِيِّ أَنَّهُ سُئِلَ عَنْ قَوْلِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم ‏"‏ مَنْ قَالَ لاَ إِلَهَ إِلاَّ اللَّهُ دَخَلَ الْجَنَّةَ ‏"‏ ‏.‏ فَقَالَ إِنَّمَا كَانَ هَذَا فِي أَوَّلِ الإِسْلاَمِ قَبْلَ نُزُولِ الْفَرَائِضِ وَالأَمْرِ وَالنَّهْىِ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى وَوَجْهُ هَذَا الْحَدِيثِ عِنْدَ بَعْضِ أَهْلِ الْعِلْمِ أَنَّ أَهْلَ التَّوْحِيدِ سَيَدْخُلُونَ الْجَنَّةَ وَإِنْ عُذِّبُوا بِالنَّارِ بِذُنُوبِهِمْ فَإِنَّهُمْ لاَ يُخَلَّدُونَ فِي النَّارِ ‏.‏ وَقَدْ رُوِيَ عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ مَسْعُودٍ وَأَبِي ذَرٍّ وَعِمْرَانَ بْنِ حُصَيْنٍ وَجَابِرِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ وَابْنِ عَبَّاسٍ وَأَبِي سَعِيدٍ الْخُدْرِيِّ وَأَنَسِ بْنِ مَالِكٍ عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم أَنَّهُ قَالَ ‏"‏ سَيَخْرُجُ قَوْمٌ مِنَ النَّارِ مِنْ أَهْلِ التَّوْحِيدِ وَيَدْخُلُونَ الْجَنَّةَ ‏"‏ ‏.‏ هَكَذَا رُوِيَ عَنْ سَعِيدِ بْنِ جُبَيْرٍ وَإِبْرَاهِيمَ النَّخَعِيِّ وَغَيْرِ وَاحِدٍ مِنَ التَّابِعِينَ وَقَدْ رُوِيَ مِنْ غَيْرِ وَجْهٍ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم فِي تَفْسِيرِ هَذِهِ الآيَةَِ‏:‏ ‏(‏رُبَمَا يَوَدُّ الَّذِينَ كَفَرُوا لَوْ كَانُوا مُسْلِمِينَ‏)‏ قَالُوا إِذَا أُخْرِجَ أَهْلُ التَّوْحِيدِ مِنَ النَّارِ وَأُدْخِلُوا الْجَنَّةَ يَوَدُّ الَّذِينَ كَفَرُوا لَوْ كَانُوا مُسْلِمِينَ ‏.‏


Narrated As-Sunabihi: from Ubadah bin As-Samit, he said: "I entered upon him while he was dying, so I cried, and he said: "There now, why are you crying? For by Allah, if I am a martyr , then I will intercede for you, and if I can I will benefit you,' then he said: 'By Allah! There is no Hadith which I heard from the Messenger of Allah (ﷺ) which is good for you but I narrate it to you today, while I am near death. I heard the Messenger of Allah (ﷺ) say: "Whoever testifies to La Ilaha Illallah and that Muhammad is the Messenger of Allah, then Allah has forbidden the fire for him."


হাদিসের মানঃ হাসান (Hasan)
বর্ণনাকারীঃ আবদুল্লাহ আস-সুনাবিহী (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ

পরিচ্ছেদঃ ৬৪/৮৯. পরিচ্ছেদ নাই।

৪৪৭০. সুনাবিহী (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, তাঁকে কেউ জিজ্ঞেস করেন, আপনি কখন হিজরত করেছিলেন? তিনি বলেন, আমরা ইয়ামান থেকে হিজরতের নিয়্যাতে বের হয়ে জুহফাতে পৌঁছি। তখন একজন অশ্বারোহী পেয়ে জিজ্ঞেস করলাম, খবর কী খবর কী? তিনি বললেন, পাঁচদিন পূর্বে আমরা নবী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে সমাহিত করেছি। তখন আমি তাঁকে বললাম, তুমি কি কাদারের রাত সম্পর্কে কিছু শুনেছ? তিনি বললেন, হ্যাঁ, নবী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর মুয়ায্যিন বিলাল (রাঃ) আমাকে জানিয়েছেন যে, তা হল রমাযানের শেষ দশকের সপ্তম দিনে। (আধুনিক প্রকাশনীঃ ৪১১২, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ৪১১৫)

بَاب

أَصْبَغُ قَالَ أَخْبَرَنِي ابْنُ وَهْبٍ قَالَ أَخْبَرَنِيْ عَمْرُوْ بْنُ الْحَارِثِ عَنْ ابْنِ أَبِيْ حَبِيْبٍ عَنْ أَبِي الْخَيْرِ عَنْ الصُّنَابِحِيِّ أَنَّهُ قَالَ لَهُ مَتَى هَاجَرْتَ قَالَ خَرَجْنَا مِنَ الْيَمَنِ مُهَاجِرِيْنَ فَقَدِمْنَا الْجُحْفَةَ فَأَقْبَلَ رَاكِبٌ فَقُلْتُ لَهُ الْخَبَرَ فَقَالَ دَفَنَّا النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم مُنْذُ خَمْسٍ قُلْتُ هَلْ سَمِعْتَ فِيْ لَيْلَةِ الْقَدْرِ شَيْئًا قَالَ نَعَمْ أَخْبَرَنِيْ بِلَالٌ مُؤَذِّنُ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم أَنَّهُ فِي السَّبْعِ فِي الْعَشْرِ الْأَوَاخِرِ


Narrated Ibn Abu Habib: Abu Al-Khair said, "As-Sanabih, I asked (me), 'When did you migrate?' I (i.e. Abu Al-Khair) said, 'We went out from Yemen as emigrants and arrived at Al-Juhfa, and there came a rider whom I asked about the news. The rider said: We buried the Prophet (ﷺ) five days ago." I asked (As-Sanabihi), 'Did you hear anything about the night of Qadr?' He replied, 'Bilal, the Mu'adh-dhin of the Prophet (ﷺ) informed me that it is on one of the seven nights of the last ten days (of Ramadan).


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ আবদুল্লাহ আস-সুনাবিহী (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ

পরিচ্ছেদঃ ১৭. "আল্লাহ তা’আলা ব্যতীত আর কোন প্ৰভু নেই" এই সাক্ষ্যে অটল থেকে যে ব্যক্তি মৃত্যুবরণ করে

২৬৩৮। আস-সুনাবিহী (রহঃ) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি উবাদাহ ইবনুস সামিত (রাযিঃ)-এর নিকট উপস্থিত হলাম, সে সময় তিনি অন্তিম অবস্থায় ছিলেন। আমি (তাকে এ অবস্থায় দেখে) কেঁদে ফেললাম। তিনি বললেন, থামো, কাঁদছো কেন? আল্লাহর শপথ! যদি আমার সাক্ষ্য চাওয়া হয় তবে আমি অবশ্যই তোমার (ঈমানের) পক্ষে সাক্ষ্য দিব, যদি সুপারিশের অনুমতি আমাকে দেয়া হয় তবে অবশ্যই তোমার জন্য আমি সুপারিশ করবো; আর আমার পক্ষে সম্ভব হলে আমি অবশ্যই তোমার উপকার করবো।

তিনি আবার বললেন, আল্লাহর কসম! আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর কাছে তোমাদের জন্য কল্যাণকর যেসব কথা শুনেছি তার সবই তোমাদেরকে বলেছি। শুধুমাত্র একটি কথা বলা বাকি আছে, যা আমি আজ তোমাদেরকে এমন অবস্থায় বলছি যে, মৃত্যু আমাকে বেষ্টন করে ফেলেছে। আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে বলতে শুনেছিঃ যে ব্যক্তি সাক্ষ্য দিবে যে, আল্লাহ তা’আলা ব্যতীত আর কোন প্ৰভু নেই এবং মুহাম্মাদ আল্লাহর রাসূল, তার জন্য আল্লাহ তা’আলা জাহান্নামকে হারাম করে দিবেন।

হাসানঃ মুসলিম (১/৪৩)

আবূ বকর, উমার, উসমান, তালহা, জাবির, ইবনু উমার ও যাইদ ইবনু খালিদ (রাযিঃ) হতেও এ অনুচ্ছেদে হাদীস বর্ণিত আছে। ইবনু আজলান নির্ভরযোগ্য বর্ণনাকারী ও হাদীস শাস্ত্রে বিশ্বস্ত ব্যক্তি। আবূ ঈসা বলেন, এ হাদীসটি হাসান সহীহ এবং এ সূত্রে গারীব। আস-সুনাবিহী হলেন আবদুর রহমান ইবনু উসাইল উপনাম আবূ আবদুল্লাহ।

যুহরী (রহঃ) হতে বর্ণিত যে, তাকে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর বাণী- “যে ব্যক্তি বলবে আল্লাহ তা’আলা ব্যতীত আর কোন প্ৰভু নেই, সে জান্নাতে প্রবেশ করবে”-এর তাৎপর্য প্রসঙ্গে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, ইসলামের প্রাথমিক যুগে যখন ফরযসমূহ, আদেশ-নিষেধ ইত্যাদি বিধান পুরাপুরি অবতীর্ণ হয়নি, তখন হাদীসের এ অর্থ প্রযোজ্য ছিল। কিছু আলিমের মতে এ হাদীসের অর্থ এই যে, তাওহীদপন্থীরা জান্নাতে যাবেই, যদিও তাদের গুনাহর কারণে কিছু দিন জাহান্নামে শাস্তি দেয়া হবে, কিন্তু তারা চিরদিন জাহান্নামে থাকবে না।

’আবদুল্লাহ ইবনু মাসউদ, আবূ যার, ইমরান ইবনু হুসাইন, জাবির ইবনু ’আবদুল্লাহ, ইবনু আব্বাস, আবূ সাঈদ আল-খুদরী ও আনাস (রাযিঃ) প্রমুখ সাহাবী নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হতে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেছেনঃ তাওহীদপন্থীরা জাহান্নাম থেকে বেরিয়ে আসবে এবং জান্নাতে প্রবেশ করবে। একইভাবে সাঈদ ইবনু জুবাইর, ইবরাহীম নাখঈ প্রমুখ তাবিঈগণ- “কখনো কখনো কাফিররা আকাঙ্ক্ষা করবে যে, তারা যদি মুসলিম হত”– (সূরা হিজরঃ ২) আয়াতের তাফসীরে বলেন, যখন তাওহীদপন্থীদেরকে জাহান্নাম থেকে বের করা হবে এবং জান্নাতে প্রবেশ করানো হবে তখন কাফিররা আফসোস করে বলবে যে, তারাও যদি মুসলিম হতো।

باب مَا جَاءَ فِيمَنْ يَمُوتُ وَهُوَ يَشْهَدُ أَنْ لاَ إِلَهَ إِلاَّ اللَّهُ

حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ، حَدَّثَنَا اللَّيْثُ، عَنِ ابْنِ عَجْلاَنَ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ يَحْيَى بْنِ حَبَّانَ، عَنِ ابْنِ مُحَيْرِيزٍ، عَنِ الصُّنَابِحِيِّ، عَنْ عُبَادَةَ بْنِ الصَّامِتِ، أَنَّهُ قَالَ دَخَلْتُ عَلَيْهِ وَهُوَ فِي الْمَوْتِ فَبَكَيْتُ فَقَالَ مَهْلاً لِمَ تَبْكِي فَوَاللَّهِ لَئِنِ اسْتُشْهِدْتُ لأَشْهَدَنَّ لَكَ وَلَئِنْ شُفِّعْتُ لأَشْفَعَنَّ لَكَ وَلَئِنِ اسْتَطَعْتُ لأَنْفَعَنَّكَ ثُمَّ قَالَ وَاللَّهِ مَا مِنْ حَدِيثٍ سَمِعْتُهُ مِنْ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم لَكُمْ فِيهِ خَيْرٌ إِلاَّ حَدَّثْتُكُمُوهُ إِلاَّ حَدِيثًا وَاحِدًا وَسَوْفَ أُحَدِّثُكُمُوهُ الْيَوْمَ وَقَدْ أُحِيطَ بِنَفْسِي سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ ‏"‏ مَنْ شَهِدَ أَنْ لاَ إِلَهَ إِلاَّ اللَّهُ وَأَنَّ مُحَمَّدًا رَسُولُ اللَّهِ حَرَّمَ اللَّهُ عَلَيْهِ النَّارَ ‏"‏ ‏.‏ وَفِي الْبَابِ عَنْ أَبِي بَكْرٍ وَعُمَرَ وَعُثْمَانَ وَعَلِيٍّ وَطَلْحَةَ وَجَابِرٍ وَابْنِ عُمَرَ وَزَيْدِ بْنِ خَالِدٍ ‏.‏ قَالَ سَمِعْتُ ابْنَ أَبِي عُمَرَ يَقُولُ سَمِعْتُ ابْنَ عُيَيْنَةَ يَقُولُ مُحَمَّدُ بْنُ عَجْلاَنَ كَانَ ثِقَةً مَأْمُونًا فِي الْحَدِيثِ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ غَرِيبٌ مِنْ هَذَا الْوَجْهِ وَالصُّنَابِحِيُّ هُوَ عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ عُسَيْلَةَ أَبُو عَبْدِ اللَّهِ ‏.‏ وَقَدْ رُوِيَ عَنِ الزُّهْرِيِّ أَنَّهُ سُئِلَ عَنْ قَوْلِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم ‏"‏ مَنْ قَالَ لاَ إِلَهَ إِلاَّ اللَّهُ دَخَلَ الْجَنَّةَ ‏"‏ ‏.‏ فَقَالَ إِنَّمَا كَانَ هَذَا فِي أَوَّلِ الإِسْلاَمِ قَبْلَ نُزُولِ الْفَرَائِضِ وَالأَمْرِ وَالنَّهْىِ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى وَوَجْهُ هَذَا الْحَدِيثِ عِنْدَ بَعْضِ أَهْلِ الْعِلْمِ أَنَّ أَهْلَ التَّوْحِيدِ سَيَدْخُلُونَ الْجَنَّةَ وَإِنْ عُذِّبُوا بِالنَّارِ بِذُنُوبِهِمْ فَإِنَّهُمْ لاَ يُخَلَّدُونَ فِي النَّارِ ‏.‏ وَقَدْ رُوِيَ عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ مَسْعُودٍ وَأَبِي ذَرٍّ وَعِمْرَانَ بْنِ حُصَيْنٍ وَجَابِرِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ وَابْنِ عَبَّاسٍ وَأَبِي سَعِيدٍ الْخُدْرِيِّ وَأَنَسِ بْنِ مَالِكٍ عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم أَنَّهُ قَالَ ‏"‏ سَيَخْرُجُ قَوْمٌ مِنَ النَّارِ مِنْ أَهْلِ التَّوْحِيدِ وَيَدْخُلُونَ الْجَنَّةَ ‏"‏ ‏.‏ هَكَذَا رُوِيَ عَنْ سَعِيدِ بْنِ جُبَيْرٍ وَإِبْرَاهِيمَ النَّخَعِيِّ وَغَيْرِ وَاحِدٍ مِنَ التَّابِعِينَ وَقَدْ رُوِيَ مِنْ غَيْرِ وَجْهٍ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم فِي تَفْسِيرِ هَذِهِ الآيَةَِ‏:‏ ‏(‏رُبَمَا يَوَدُّ الَّذِينَ كَفَرُوا لَوْ كَانُوا مُسْلِمِينَ‏)‏ قَالُوا إِذَا أُخْرِجَ أَهْلُ التَّوْحِيدِ مِنَ النَّارِ وَأُدْخِلُوا الْجَنَّةَ يَوَدُّ الَّذِينَ كَفَرُوا لَوْ كَانُوا مُسْلِمِينَ ‏.‏


Narrated As-Sunabihi: from Ubadah bin As-Samit, he said: "I entered upon him while he was dying, so I cried, and he said: "There now, why are you crying? For by Allah, if I am a martyr , then I will intercede for you, and if I can I will benefit you,' then he said: 'By Allah! There is no Hadith which I heard from the Messenger of Allah (ﷺ) which is good for you but I narrate it to you today, while I am near death. I heard the Messenger of Allah (ﷺ) say: "Whoever testifies to La Ilaha Illallah and that Muhammad is the Messenger of Allah, then Allah has forbidden the fire for him."


হাদিসের মানঃ হাসান (Hasan)
বর্ণনাকারীঃ আবদুল্লাহ আস-সুনাবিহী (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ

পরিচ্ছেদঃ ১০. যে ব্যক্তি তাওহীদের উপর মৃত্যুবরণ করবে সে অবশ্যই জান্নাতে প্রবেশ করবে এর দলীল প্রমাণ।

৪৮-(৪৭/২৯) কুতাইবাহ বিন সাঈদ (রহঃ) ..... সুনাবিহী (রহঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি উবাদাহ ইবনু সামিত (রাযিঃ) এর উদ্ধৃতি দিয়ে বর্ণনা করেন। সুনাবিহী বলেন, উবাদাহ ইবনু সীমিত (রাযিঃ) যখন মৃত্যু শয্যায় তখন আমি তার নিকট গেলাম, (তাকে দেখে) আমি কেঁদে ফেললাম। এ সময় তিনি আমাকে ধমক দিয়ে বললেন, থামো, কাদছো কেন? আল্লাহর কসম! আমাকে যদি সাক্ষী বানানো হয়, আমি তোমার স্বপক্ষে সাক্ষ্য দিবো, আর যদি সুপারিশ করার অধিকারী হই তবে তোমার জন্য সুপারিশ করবো। আর যদি তোমার কোন উপকার করতে পারি, নিশ্চয় সেটাও করবো। অতঃপর তিনি বললেন, আল্লাহর কসম! এ যাবৎ আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম থেকে যে কোন হাদীস শুনেছি, যার মধ্যে তোমাদের জন্য কল্যাণ নিহিত আছে, তা আমি অবশ্যই তোমাদের কাছে বর্ণনা করেছি। কিন্তু একটি মাত্র হাদীস (যা এতদিন আমি তোমাদেরকে বলিনি) আজ এখনই তা আমি তোমাদের কাছে বর্ণনা করবো। কেননা বর্তমানে আমি মৃত্যুর বেষ্টনীতে আবদ্ধ। আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম কে বলতে শুনেছি, যে ব্যক্তি এ সাক্ষ্য দেয় যে, "আল্লাহ ব্যতীত প্রকৃত কোন ইলাহ নেই এবং মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আল্লাহর রাসূল, আল্লাহ তার উপর জাহান্নামের আগুন হারাম করে দিবেন।" (ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ৪৯, ইসলামিক সেন্টারঃ ৫০)

باب مَنْ لَقِيَ اللَّهَ بِالإِيمَانِ وَهُوَ غَيْرُ شَاكٍّ فِيهِ دَخَلَ الْجَنَّةَ وَحَرُمَ عَلَى النَّارِ

حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ بْنُ سَعِيدٍ، حَدَّثَنَا لَيْثٌ، عَنِ ابْنِ عَجْلاَنَ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ يَحْيَى بْنِ حَبَّانَ، عَنِ ابْنِ مُحَيْرِيزٍ، عَنِ الصُّنَابِحِيِّ، عَنْ عُبَادَةَ بْنِ الصَّامِتِ، أَنَّهُ قَالَ دَخَلْتُ عَلَيْهِ وَهُوَ فِي الْمَوْتِ فَبَكَيْتُ فَقَالَ مَهْلاً لِمَ تَبْكِي فَوَاللَّهِ لَئِنِ اسْتُشْهِدْتُ لأَشْهَدَنَّ لَكَ وَلَئِنْ شُفِّعْتُ لأَشْفَعَنَّ لَكَ وَلَئِنِ اسْتَطَعْتُ لأَنْفَعَنَّكَ ثُمَّ قَالَ وَاللَّهِ مَا مِنْ حَدِيثٍ سَمِعْتُهُ مِنْ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم لَكُمْ فِيهِ خَيْرٌ إِلاَّ حَدَّثْتُكُمُوهُ إِلاَّ حَدِيثًا وَاحِدًا وَسَوْفَ أُحَدِّثُكُمُوهُ الْيَوْمَ وَقَدْ أُحِيطَ بِنَفْسِي سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ ‏ "‏ مَنْ شَهِدَ أَنْ لاَ إِلَهَ إِلاَّ اللَّهُ وَأَنَّ مُحَمَّدًا رَسُولُ اللَّهِ حَرَّمَ اللَّهُ عَلَيْهِ النَّارَ ‏"‏ ‏.‏

Chapter: The evidence that one who dies believing in tawhid will definitely enter paradise


It is narrated on the authority of Sunabihi that he went to Ubada b. Samit when he was about to die. I burst into tears. Upon this he said to me: Allow me some time (so that I may talk with you). Why do you weep? By Allah, if I am asked to bear witness, I would certainly testify for you (that you are a believer). Should I be asked to intercede, I would certainly intercede for you, and if I have the power, I would certainly do good to you, and then observed: By Allah, never did I hear anything from the Messenger of Allah (ﷺ) which could have been a source of benefit to you and then not conveyed it to you except this single hadith. That I intend to narrate to you today, since I am going to breathe my last. I heard the Messenger of Allah (ﷺ) say: He who testifies that there is no god but Allah and that Muhammad is the messenger of Allah, Allah would prohibit the fire of Hell for him.


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ আবদুল্লাহ আস-সুনাবিহী (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ

পরিচ্ছেদঃ ৬. ওযু সম্পৰ্কীয় বিবিধ হাদীস

রেওয়ায়ত ৩০. আবদুল্লাহ সুনাবিহী (রাঃ) হইতে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলিয়াছেনঃ মুমিন বান্দা যখন ওযু করে এবং কুলি করে, তাহার মুখ হইতে পাপসমূহ বাহির হইয়া যায়। সে যখন মুখমণ্ডল ধৌত করে তাহার মুখমণ্ডল হইতে তখন পাপসমূহ বাহির হইয়া যায়। এমনকি চক্ষুদ্বয়ের পালকের নিচ হইতেও গুনাহ বাহির হইয়া যায়। তারপর যখন সে তাহার উভয় হাত ধোয় তখন পাপসমূহ হস্তদ্বয় হইতে বাহির হইয়া যায়; এমনকি তাহার উভয় হাতের নখসমূহের নিচ হইতেও গুনাহ বাহির হইয়া যায়। অতঃপর যখন সে তাহার মাথা মসেহ করে তাহার পাপসমূহ তখন তাহার মাথা হইতে বাহির হইয়া যায়; এমনকি তাহার উভয় কান হইতেও বাহির হইয়া যায়। যখন সে তাহার উভয় পা ধোয় তখন পাপসমূহ তাহার উভয় পা হইতে বাহির হইয়া যায়; এমনকি তাহার উভয় পায়ের সকল নখের নিচ হইতেও গুনাহ বাহির হইয়া যায়। তিনি (রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলিয়াছেনঃ অতঃপর সেই ব্যক্তির মসজিদে গমন এবং নামায পড়া তাহার জন্য নফল (অতিরিক্ত সওযাবের বস্তু)-স্বরূপ হয়।

بَاب جَامِعِ الْوُضُوءِ

وَحَدَّثَنِي عَنْ مَالِكٍ، عَنْ زَيْدِ بْنِ أَسْلَمَ، عَنْ عَطَاءِ بْنِ يَسَارٍ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ الصُّنَابِحِيِّ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ ‏ "‏ إِذَا تَوَضَّأَ الْعَبْدُ الْمُؤْمِنُ فَتَمَضْمَضَ خَرَجَتِ الْخَطَايَا مِنْ فِيهِ وَإِذَا اسْتَنْثَرَ خَرَجَتِ الْخَطَايَا مِنْ أَنْفِهِ فَإِذَا غَسَلَ وَجْهَهُ خَرَجَتِ الْخَطَايَا مِنْ وَجْهِهِ حَتَّى تَخْرُجَ مِنْ تَحْتِ أَشْفَارِ عَيْنَيْهِ فَإِذَا غَسَلَ يَدَيْهِ خَرَجَتِ الْخَطَايَا مِنْ يَدَيْهِ حَتَّى تَخْرُجَ مِنْ تَحْتِ أَظْفَارِ يَدَيْهِ فَإِذَا مَسَحَ بِرَأْسِهِ خَرَجَتِ الْخَطَايَا مِنْ رَأْسِهِ حَتَّى تَخْرُجَ مِنْ أُذُنَيْهِ فَإِذَا غَسَلَ رِجْلَيْهِ خَرَجَتِ الْخَطَايَا مِنْ رِجْلَيْهِ حَتَّى تَخْرُجَ مِنْ تَحْتِ أَظْفَارِ رِجْلَيْهِ - قَالَ - ثُمَّ كَانَ مَشْيُهُ إِلَى الْمَسْجِدِ وَصَلاَتُهُ نَافِلَةً لَهُ ‏"‏ ‏.‏


Yahya related to me from Malik from Zayd ibn Aslam from Ata ibn Yasar from Abdullah as-Sanabihi that the Messenger of Allah, may Allah bless him and grant him peace, said, "A trusting slave does wudu and as he rinses his mouth the wrong actions leave it. As he cleans his nose the wrong actions leave it. As he washes his face, the wrong actions leave it, even from underneath his eyelashes. As he washes his hands the wrong actions leave them, even from underneath his fingernails. As he wipes his head the wrong actions leave it, even from his ears. And as he washes his feet the wrong actions leave them, even from underneath the toenails of both his feet." He added, "Then his walking to the mosque and his prayer are an extra reward for him."


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ আবদুল্লাহ আস-সুনাবিহী (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ

পরিচ্ছেদঃ ১০. ফজর ও আসরের পর নামায নিষিদ্ধ হওয়া

রেওয়ায়ত ৪৪. আবদুল্লাহ্ সুনাবিহি (রাঃ) হইতে বর্ণিত- রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলিয়াছেন, নিশ্চয়ই সূর্য উদিত হয় এবং উহার সাথে শয়তানের শিং থাকে। অতঃপর যখন সূর্য উর্ধ্বে উঠে তখন শিং সূর্য হইতে পৃথক হইয়া যায়। ইহার পর সূর্য যখন বরাবর হয়, তখন উহা শয়তানের শিং-এর সহিত মিলিত হয়। ইহার পর যখন সূর্য হেলিয়া যায়, তখন উহা পৃথক হইয়া যায়। সূর্য যখন অস্তমিত হওয়ার সময় হয়, তখন উহা সূর্যের সহিত মিলিত হয়। অতঃপর যখন অস্তমিত হয়, তখন উহাকে ছাড়িয়া দেয়। এই সময়গুলিতে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম নামায পড়িতে নিষেধ করিয়াছেন।

بَاب النَّهْيِ عَنْ الصَّلَاةِ بَعْدَ الصُّبْحِ وَبَعْدَ الْعَصْرِ

حَدَّثَنِي يَحْيَى عَنْ مَالِك عَنْ زَيْدِ بْنِ أَسْلَمَ عَنْ عَطَاءِ بْنِ يَسَارٍ عَنْ عَبْدِ اللَّهِ الصُّنَابِحِيِّ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ إِنَّ الشَّمْسَ تَطْلُعُ وَمَعَهَا قَرْنُ الشَّيْطَانِ فَإِذَا ارْتَفَعَتْ فَارَقَهَا ثُمَّ إِذَا اسْتَوَتْ قَارَنَهَا فَإِذَا زَالَتْ فَارَقَهَا فَإِذَا دَنَتْ لِلْغُرُوبِ قَارَنَهَا فَإِذَا غَرَبَتْ فَارَقَهَا وَنَهَى رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَنْ الصَّلَاةِ فِي تِلْكَ السَّاعَاتِ


Yahya related to me from Malik from Zayd ibn Aslam from Ata ibn Yasar from Abdullah as-Sunabihi that the Messenger of Allah, may Allah bless him and grant him peace, said, "The sun rises and with it is a horn of Shaytan and when the sun gets higher the horn leaves it. Then when the sun reaches the meridian the horn joins it and when the sun declines the horn leaves it, and when the sun has nearly set it joins it again." The Messenger of Allah, may Allah bless him and grant him peace, forbade prayer at these times.


হাদিসের মানঃ তাহকীক অপেক্ষমাণ
বর্ণনাকারীঃ আবদুল্লাহ আস-সুনাবিহী (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ

পরিচ্ছেদঃ ৮৫: মাথার সাথে কান মাসাহ করা ও তার বর্ণনা যা দিয়ে প্রমাণ করা হয় যে, উভয় কান মাথার অংশ

১০৩. কুতায়বাহ্ ও ’উতবাহ্ ইবনু আবদুল্লাহ (রহ.) ..... ’আবদুল্লাহ আস্ সুনাবিহী (রাঃ) হতে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেন: মু’মিন বান্দা যখন উযূ করে এবং কুলি করে তখন তার মুখের পাপ বের হয়ে যায়। যখন নাক ঝাড়ে তখন নাকের পাপ বের হয়ে যায়। যখন মুখমণ্ডল ধৌত করে তখন মুখমণ্ডলের পাপ বের হয়ে যায়। এমনকি তার চক্ষু-পলকের ভিতরের গুনাহ পর্যন্ত বের হয়ে যায়। যখন হাত ধৌত করে তখন হাতের পাপ বের হয়ে যায়। এমনকি তার নখের নীচের পাপ পর্যন্ত বের হয়ে যায়। যখন মাথা মাসাহ করে তখন মাথার পাপ বের হয়ে যায় এমনকি কানের পাপ পর্যন্ত বের হয়ে যায়। যখন পা ধৌত করে তখন পায়ের পাপ বের হয়ে যায়। এমনকি তার পায়ের নখের নীচের পাপ পর্যন্ত। তারপর মসজিদে যাওয়া ও সালাত আদায় করা তার জন্যে অতিরিক্ত (নফল) ইবাদত হিসেবে গণ্য হয়।

بَاب مَسْحِ الْأُذُنَيْنِ مَعَ الرَّأْسِ وَمَا يُسْتَدَلُّ بِهِ عَلَى أَنَّهُمَا مِنْ الرَّأْسِ

أَخْبَرَنَا قُتَيْبَةُ، ‏‏‏‏‏‏وَعُتْبَةُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ، ‏‏‏‏‏‏عَنْ مَالِكٍ، ‏‏‏‏‏‏عَنْ زَيْدِ بْنِ أَسْلَمَ، ‏‏‏‏‏‏عَنْ عَطَاءِ بْنِ يَسَارٍ، ‏‏‏‏‏‏عَنْ عَبْدِ اللَّهِ الصُّنَابِحِيِّ، ‏‏‏‏‏‏أَنّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، ‏‏‏‏‏‏قَالَ:‏‏‏‏ إِذَا تَوَضَّأَ الْعَبْدُ الْمُؤْمِنُ فَتَمَضْمَضَ خَرَجَتِ الْخَطَايَا مِنْ فِيهِ، ‏‏‏‏‏‏فَإِذَا اسْتَنْثَرَ خَرَجَتِ الْخَطَايَا مِنْ أَنْفِهِ، ‏‏‏‏‏‏فَإِذَا غَسَلَ وَجْهَهُ خَرَجْتِ الْخَطَايَا مِنْ وَجْهِهِ حَتَّى تَخْرُجَ مِنْ تَحْتِ أَشْفَارِ عَيْنَيْهِ، ‏‏‏‏‏‏فَإِذَا غَسَلَ يَدَيْهِ خَرَجَتِ الْخَطَايَا مِنْ يَدَيْهِ حَتَّى تَخْرُجَ مِنْ تَحْتِ أَظْفَارِ يَدَيْهِ، ‏‏‏‏‏‏فَإِذَا مَسَحَ بِرَأْسِهِ خَرَجَتِ الْخَطَايَا مِنْ رَأْسِهِ حَتَّى تَخْرُجَ مِنْ أُذُنَيْهِ، ‏‏‏‏‏‏فَإِذَا غَسَلَ رِجْلَيْهِ خَرَجَتِ الْخَطَايَا مِنْ رِجْلَيْهِ حَتَّى تَخْرُجَ مِنْ تَحْتِ أَظْفَارِ رِجْلَيْهِ، ‏‏‏‏‏‏ثُمَّ كَانَ مَشْيُهُ إِلَى الْمَسْجِدِ وَصَلَاتُهُ نَافِلَةً لَهُ . قَالَ قُتَيْبَةُ:‏‏‏‏ عَنْ الصُّنَابِحِيِّ، ‏‏‏‏‏‏أَنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، ‏‏‏‏‏‏قَالَ.

تخریج دارالدعوہ: سنن ابن ماجہ/الطہارة ۶ (۲۸۲)، موطا امام مالک/فیہ ۶ (۳۰)، (تحفة الأشراف: ۹۶۷۷)، مسند احمد ۴/۳۴۸، ۳۴۹ (صحیح)

صحيح وضعيف سنن النسائي الألباني: حديث نمبر 103 - صحيح

85. Wiping The Ears Along With The Head, And The Evidence That They Are Part Of The Head


It was narrated from 'Abdullah As-Sunabihi that the Messenger of Allah (ﷺ) said: When the believing slave performs Wudu' and rinses his mouth, his sins come out from his mouth. When he sniffs water into his nose and blows it out, his sins come from his nose. When he washes his face, his sins come out from his face, even from beneath his eyelashes. When he washes his hands, his sins come out from his hands, even from beneath his fingernails. When he wipes his head, his sins come out from his head, even from his ears. When washes his feet, his sins come from his feet, even from beneath his toenails. Then his walking to the Masjid and his Salah will earn extra merit for him.


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ আবদুল্লাহ আস-সুনাবিহী (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ

পরিচ্ছেদঃ ৩১: সালাতের নিষিদ্ধ ওয়াক্ত

৫৫৯. কুতায়বাহ্ (রহ.) ..... ’আবদুল্লাহ আস্ সুনাবিহী (রাঃ) হতে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন: সূর্য শয়তানের দুই শিংয়ের মাঝখান দিয়ে উঠে যখন সূর্য উপরে উঠে তখন শয়তান তা হতে দূরে সরে যায়। আবার যখন সূর্য মাথার উপর আসে তখন শয়তান এসে মিলিত হয়। আবার ঢলে পড়লে পৃথক হয়ে যায়। আবার যখন সূর্য অস্তগমনের নিকটবর্তী হয় তখন শয়তান মিলিত হয় এবং যখন সূর্য অস্তমিত হয় তখন শয়তান সরে যায়। এজন্যেই রাসূলুল্লাহ (সা.) - এ তিন সময়ে সালাত আদায় করতে নিষেধ করেছেন।

الساعات التي نهي عن الصلاة فيها

أَخْبَرَنَا قُتَيْبَةُ، ‏‏‏‏‏‏عَنْ مَالِكٍ، ‏‏‏‏‏‏عَنْ زَيْدِ بْنِ أَسْلَمَ، ‏‏‏‏‏‏عَنْ عَطَاءِ بْنِ يَسَارٍ، ‏‏‏‏‏‏عَنْ عَبْدِ اللَّهِ الصُّنَابِحِيِّ، ‏‏‏‏‏‏أَنّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، ‏‏‏‏‏‏قَالَ:‏‏‏‏ الشَّمْسُ تَطْلُعُ وَمَعَهَا قَرْنُ الشَّيْطَانِ، ‏‏‏‏‏‏فَإِذَا ارْتَفَعَتْ فَارَقَهَا، ‏‏‏‏‏‏فَإِذَا اسْتَوَتْ قَارَنَهَا، ‏‏‏‏‏‏فَإِذَا زَالَتْ فَارَقَهَا، ‏‏‏‏‏‏فَإِذَا دَنَتْ لِلْغُرُوبِ قَارَنَهَا، ‏‏‏‏‏‏فَإِذَا غَرَبَتْ فَارَقَهَا، ‏‏‏‏‏‏وَنَهَى رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَنِ الصَّلَاةِ فِي تِلْكَ السَّاعَاتِ .

تخریج دارالدعوہ: سنن ابن ماجہ/إقامة ۱۴۸ (۱۲۵۳)، موطا امام مالک/القرآن ۱۰ (۴۴)، (تحفة الأشراف: ۹۶۷۸)، مسند احمد ۴/۳۴۸، ۳۴۹ (صحیح) (لیکن تعلیل میں ’’فإذا استوت قارنھا، فإذا زالت فارقھا‘‘ کا جملہ منکر ہے، اس کی جگہ عمروبن عبسہ کی حدیث (رقم: ۵۷۳) میں ’’فإنہا ساعة تفتح فیہا أبواب جہنم وتسجر‘‘ کا جملہ صحیح ہے)

صحيح وضعيف سنن النسائي الألباني: حديث نمبر 560 - صحيح إلا قوله فإذا استوت قارنها فإذا زالت فارقها

31. Times During Which Salah Is Prohibited


It was narrated from 'Abdullah As-Sunabihi that the Messenger of Allah (ﷺ) said: The sun rises and with it the horn of the Shaitan, then when it is fully risen, he goes away. Then when it approaches the meridian he comes near to it, and when it has passed the zenith he goes away. Then when it is close to setting, he comes near to it, then when it has set, he goes away. And the Messenger of Allah (ﷺ) forbade praying at those times.


হাদিসের মানঃ সহিহ/যঈফ [মিশ্রিত]
বর্ণনাকারীঃ আবদুল্লাহ আস-সুনাবিহী (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ

পরিচ্ছেদঃ ৭) ওযু করা এবং তা পরিপূর্ণ করার প্রতি উদ্ধুদ্ধ করণ

১৮৫. (সহীহ্ লি গাইরিহী) আবদুল্লাহ সুনাবেহী (রাঃ) থেকে বর্ণিত। নিশ্চয় রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ

’’বান্দা ওযু করতে গিয়ে যখন কুলি করে, তখন তার মুখের মধ্যে থেকে পাপসমূহ বের হয়ে যায়। যখন নাকে পানি দিয়ে নাক ঝাড়ে, তখন তার নাক থেকে পাপরাশি ঝরে পড়ে। যখন মুখমণ্ডল ধৌত করে, তখন তার মুখমণ্ডল থেকে পাপসমূহ বের হয়ে যায়, এমনকি চোখের পাতার প্রান্তদেশ থেকেও। যখন হস্তদ্বয় ধৌত করে, তখন তার উভয় হাতের পাপরাশি ঝরে পড়ে, এমনকি তার উভয় হাতের নখের নীচ থেকেও। যখন মাথা মাসেহ করে, তখন তার মাথা থেকে পাপসমূহ বেরিয়ে যায়, এমনকি তার উভয় কান থেকেও। যখন পদদ্বয় ধৌত করে, তখন তার উভয় পা থেকে পাপসমূহ ঝরে পড়ে, এমনকি তার উভয় পায়ের নখের নীচ থেকেও। অতঃপর মসজিদে গমন ও সালাত আদায় তার জন্য নফল বা অতিরিক্ত হয়।’’

(হাদীছটি বর্ণনা করেছেন মুয়াত্বা মালেক ১/৩১, নাসাঈ ১/৭৪, ইবনু মাজাহ্ ২৮২ ও হাকেম ১/১২৯। হাকেম বলেন, বুখারী ও মুসলিমের শর্তানুযায়ী হাদীছটি সহীহ)

الترغيب في الوضوء وإسباغه

(صحيح لغيره) و عَنْ عَبْدِ اللَّهِ الصُّنَابِحِيِّ أنَّ رَسُوْلَ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ إِذَا تَوَضَّأَ الْعَبْدُ فَمَضْمَضَ خَرَجَتْ الْخَطَايَا مِنْ فِيهِ فَإِذَا اسْتَنْثَرَ خَرَجَتْ الْخَطَايَا مِنْ أَنْفِهِ فَإِذَا غَسَلَ وَجْهَهُ خَرَجْتِ الْخَطَايَا مِنْ وَجْهِهِ حَتَّى تَخْرُجَ مِنْ تَحْتِ أَشْفَارِ عَيْنَيْهِ فَإِذَا غَسَلَ يَدَيْهِ خَرَجَتْ الْخَطَايَا مِنْ يَدَيْهِ حَتَّى تَخْرُجَ مِنْ تَحْتِ أَظْفَارِ يَدَيْهِ فَإِذَا مَسَحَ بِرَأْسِهِ خَرَجَتْ الْخَطَايَا مِنْ رَأْسِهِ حَتَّى تَخْرُجَ مِنْ أُذُنَيْهِ فَإِذَا غَسَلَ رِجْلَيْهِ خَرَجَتْ الْخَطَايَا مِنْ رِجْلَيْهِ حَتَّى تَخْرُجَ مِنْ تَحْتِ أَظْفَارِ رِجْلَيْهِ ثُمَّ كَانَ مَشْيُهُ إِلَى الْمَسْجِدِ وَصَلَاتُهُ نَافِلَةً. رواه مالك والنسائي وابن ماجه والحاكم


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ আবদুল্লাহ আস-সুনাবিহী (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
দেখানো হচ্ছেঃ থেকে ১৪ পর্যন্ত, সর্বমোট ১৪ টি রেকর্ডের মধ্য থেকে