সুনান আত তিরমিজী (তাহকীককৃত) ৩৮/ ঈমান (كتاب الإيمان عن رسول الله ﷺ)
২৬০৬

পরিচ্ছেদঃ ১. যতক্ষণ পর্যন্ত মানুষ “লা-ইলা-হা ইল্লাল্লা-হ’ না বলবে ততক্ষণ পর্যন্ত তাদের বিরুদ্ধে কিতাল করতে আমি আদেশপ্রাপ্ত হয়েছি

২৬০৬। আবূ হুরাইরাহ (রাযিঃ) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ মানুষ “আল্লাহ তা’আলা ব্যতীত আর কোন প্ৰভু নেই”-এর স্বীকারোক্তি না করা পর্যন্ত আমি তাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করতে আদেশপ্রাপ্ত হয়েছি। তারা এটা বললে (একত্ববাদে ঈমান আনলে) তাদের রক্ত (জান) ও সম্পদ আমার থেকে নিরাপদ হবে। তবে ইসলামের অধিকার সম্পর্কে ভিন্ন কথা (অর্থাৎ- অপরাধ করলে শাস্তি পেতে হবে)। আর তাদের চূড়ান্ত হিসাব আল্লাহ তা’আলার দায়িত্বে।

সহীহ মুতাওয়াতিরঃ ইবনু মা-জাহ (৭১), বুখারী ও মুসলিম।

জাবির, আবূ সাঈদ ও ইবনু উমর (রাযিঃ) হতেও এই অনুচ্ছেদে হাদীস বর্ণিত আছে। আবূ ঈসা বলেন, এই হাদীসটি হাসান সহীহ।

باب مَا جَاءَ أُمِرْتُ أَنْ أُقَاتِلَ النَّاسَ حَتَّى يَقُولُوا لاَ إِلَهَ إِلاَّ اللَّهُ ‏

حَدَّثَنَا هَنَّادٌ، حَدَّثَنَا أَبُو مُعَاوِيَةَ، عَنِ الأَعْمَشِ، عَنْ أَبِي صَالِحٍ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏ "‏ أُمِرْتُ أَنْ أُقَاتِلَ النَّاسَ حَتَّى يَقُولُوا لاَ إِلَهَ إِلاَّ اللَّهُ فَإِذَا قَالُوهَا مَنَعُوا مِنِّي دِمَاءَهُمْ وَأَمْوَالَهُمْ إِلاَّ بِحَقِّهَا وَحِسَابُهُمْ عَلَى اللَّهِ ‏"‏ ‏.‏ وَفِي الْبَابِ عَنْ جَابِرٍ وَأَبِي سَعِيدٍ وَابْنِ عُمَرَ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ ‏.‏

حدثنا هناد، حدثنا ابو معاوية، عن الاعمش، عن ابي صالح، عن ابي هريرة، قال قال رسول الله صلى الله عليه وسلم ‏ "‏ امرت ان اقاتل الناس حتى يقولوا لا اله الا الله فاذا قالوها منعوا مني دماءهم واموالهم الا بحقها وحسابهم على الله ‏"‏ ‏.‏ وفي الباب عن جابر وابي سعيد وابن عمر ‏.‏ قال ابو عيسى هذا حديث حسن صحيح ‏.‏


Narrated Abu Hurairah:
narrated that the Messenger of Allah (ﷺ) said: "I have been ordered to fight the people until they say La Ilaha Illallah", and if they say that, then their blood and wealth will be protected from me, except what it makes obligatory upon them, and their reckoning is up to Allah."


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ আবূ হুরায়রা (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
৩৮/ ঈমান (كتاب الإيمان عن رسول الله ﷺ) 38. The Book on Faith
২৬০৭

পরিচ্ছেদঃ ১. যতক্ষণ পর্যন্ত মানুষ “লা-ইলা-হা ইল্লাল্লা-হ’ না বলবে ততক্ষণ পর্যন্ত তাদের বিরুদ্ধে কিতাল করতে আমি আদেশপ্রাপ্ত হয়েছি

২৬০৭। আবূ হুরাইরাহ (রাযিঃ) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম -এর মৃত্যুর পর আবূ বকর (রাযিঃ) যখন খলীফা নির্বাচিত হন, তখন আরবের কিছু সংখ্যক লোক কাফির হয়ে যায়। উমার ইবনুল খাত্তাব (রাযিঃ) আবূ বকর (রাযিঃ)-কে বললেন, আপনি এদের বিরুদ্ধে কিভাবে অস্ত্ৰধারণ করবেন, অথচ রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ মানুষ যে পর্যন্ত না "আল্লাহ তা’আলা ব্যতীত আর কোন প্ৰভু নেই" এই কথার স্বীকৃতি দিবে সেই পর্যন্ত আমি তাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করতে আদিষ্ট হয়েছি। আর যে ব্যক্তি বললো, “আল্লাহ ব্যতীত আর কোন প্ৰভু নেই" সে আমার থেকে তার মাল ও রক্ত (জীবন) নিরাপদ করে নিল। তবে ইসলামের অধিকার সম্পর্কে ভিন্ন কথা। আর তাদের প্রকৃত হিসাব-নিকাশ রয়েছে আল্লাহ তা’আলার দায়িত্বে।

আবূ বকর (রাযিঃ) বললেনঃ আল্লাহর শপথ নামায ও যাকাতের মধ্যে যে ব্যক্তি পার্থক্য করে আমি তার বিরুদ্ধে যুদ্ধ করবোই। কেননা যাকাত সম্পদের হাক্ক। কেউ উটের একটি রশি দিতেও যদি অস্বীকার করে, যা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম -কে দিত, আল্লাহর কসম! আমি তার বিরুদ্ধে যুদ্ধ করবোই। তারপর উমার ইবনুল খাত্তাব (রাযিঃ) বলেন, আল্লাহর শপথ! আমি দেখতে পেলাম আল্লাহ যেন যুদ্ধের জন্য আবূ বকরের অন্তর উন্মুক্ত করে দিয়েছেন। অতঃপর আমি বুঝতে পারলাম যে, তার সিদ্ধান্তই যথার্থ।

সহীহঃ সহীহাহ (৪০৭), সহীহ আবূ দাউদ (১৩৯১-১৩৯৩), বুখারী ও মুসলিম।

আবূ ঈসা বলেন, এই হাদীসটি হাসান সহীহ। শু’আইব ইবনু আবী হামযা (রহঃ) যুহরী হতে, তিনি উবাইদুল্লাহ ইবনু আবদিল্লাহ হতে, তিনি আবূ হুরাইরাহ (রাযিঃ)-এর সূত্রে একই রকম বর্ণনা করেছেন। এই হাদীস মামার-যুহরী হতে, তিনি আনাস (রাযিঃ) হতে, তিনি আবূ বকর (রাযিঃ) হতে এই সূত্রে ইমরান আল-কাত্তান বর্ণনা করেছেন। এ বর্ণনাটি ভুল। ’ইমরানের ব্যাপারে মা’মার হতে বর্ণিত বর্ণনাতে বিরোধিতা করা হয়েছে।

باب مَا جَاءَ أُمِرْتُ أَنْ أُقَاتِلَ النَّاسَ حَتَّى يَقُولُوا لاَ إِلَهَ إِلاَّ اللَّهُ ‏

حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ، حَدَّثَنَا اللَّيْثُ، عَنْ عُقَيْلٍ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، أَخْبَرَنِي عُبَيْدُ اللَّهِ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عُتْبَةَ بْنِ مَسْعُودٍ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ لَمَّا تُوُفِّيَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم وَاسْتُخْلِفَ أَبُو بَكْرٍ بَعْدَهُ كَفَرَ مَنْ كَفَرَ مِنَ الْعَرَبِ فَقَالَ عُمَرُ بْنُ الْخَطَّابِ لأَبِي بَكْرٍ كَيْفَ تُقَاتِلُ النَّاسَ وَقَدْ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏ "‏ أُمِرْتُ أَنْ أُقَاتِلَ النَّاسَ حَتَّى يَقُولُوا لاَ إِلَهَ إِلاَّ اللَّهُ وَمَنْ قَالَ لاَ إِلَهَ إِلاَّ اللَّهُ عَصَمَ مِنِّي مَالَهُ وَنَفْسَهُ إِلاَّ بِحَقِّهِ وَحِسَابُهُ عَلَى اللَّهِ ‏"‏ ‏.‏ قَالَ أَبُو بَكْرٍ وَاللَّهِ لأُقَاتِلَنَّ مَنْ فَرَّقَ بَيْنَ الزَّكَاةِ وَالصَّلاَةِ فَإِنَّ الزَّكَاةَ حَقُّ الْمَالِ وَاللَّهِ لَوْ مَنَعُونِي عِقَالاً كَانُوا يُؤَدُّونَهُ إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم لَقَاتَلْتُهُمْ عَلَى مَنْعِهِ فَقَالَ عُمَرُ بْنُ الْخَطَّابِ فَوَاللَّهِ مَا هُوَ إِلاَّ أَنْ رَأَيْتُ أَنَّ اللَّهَ قَدْ شَرَحَ صَدْرَ أَبِي بَكْرٍ لِلْقِتَالِ فَعَرَفْتُ أَنَّهُ الْحَقُّ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ وَهَكَذَا رَوَى شُعَيْبُ بْنُ أَبِي حَمْزَةَ عَنِ الزُّهْرِيِّ عَنْ عُبَيْدِ اللَّهِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ ‏.‏ وَرَوَى عِمْرَانُ الْقَطَّانُ هَذَا الْحَدِيثَ عَنْ مَعْمَرٍ عَنِ الزُّهْرِيِّ عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ عَنْ أَبِي بَكْرٍ وَهُوَ حَدِيثٌ خَطَأٌ وَقَدْ خُولِفَ عِمْرَانُ فِي رِوَايَتِهِ عَنْ مَعْمَرٍ ‏.‏

حدثنا قتيبة، حدثنا الليث، عن عقيل، عن الزهري، اخبرني عبيد الله بن عبد الله بن عتبة بن مسعود، عن ابي هريرة، قال لما توفي رسول الله صلى الله عليه وسلم واستخلف ابو بكر بعده كفر من كفر من العرب فقال عمر بن الخطاب لابي بكر كيف تقاتل الناس وقد قال رسول الله صلى الله عليه وسلم ‏ "‏ امرت ان اقاتل الناس حتى يقولوا لا اله الا الله ومن قال لا اله الا الله عصم مني ماله ونفسه الا بحقه وحسابه على الله ‏"‏ ‏.‏ قال ابو بكر والله لاقاتلن من فرق بين الزكاة والصلاة فان الزكاة حق المال والله لو منعوني عقالا كانوا يودونه الى رسول الله صلى الله عليه وسلم لقاتلتهم على منعه فقال عمر بن الخطاب فوالله ما هو الا ان رايت ان الله قد شرح صدر ابي بكر للقتال فعرفت انه الحق ‏.‏ قال ابو عيسى هذا حديث حسن صحيح وهكذا روى شعيب بن ابي حمزة عن الزهري عن عبيد الله بن عبد الله عن ابي هريرة ‏.‏ وروى عمران القطان هذا الحديث عن معمر عن الزهري عن انس بن مالك عن ابي بكر وهو حديث خطا وقد خولف عمران في روايته عن معمر ‏.‏


Narrated Abu Hurairah:
said: "When the Messenger of Allah (ﷺ) died and Abu Bakr became the Khalifah after him, whoever disbelieved from the Arabs disbelieved, so Umar bin Al-Khattab said to Abu Bakr: 'How will you fight the people while the Messenger of Allah has said: 'I have been ordered to fight the people until they say La Ilaha Illallah, and if they say that, then their blood and wealth will be protected from me, except what it makes obligatory upon them, and their reckoning is with Allah?' So Abu Bakr said: 'By Allah I will fight whoever differentiates between Salat and Zakat. For indeed, Zakat is the right due upon wealth. And by Allah! If they withhold even (camel) tethers which they used to give to the Messenger of Allah (ﷺ) I will fight them for withholding it.' So Umar bin Al-Khattab said: 'By Allah! I saw that Allah had opened Abu Bakr's chest to fighting, so I knew that it was correct.'"


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ আবূ হুরায়রা (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
৩৮/ ঈমান (كتاب الإيمان عن رسول الله ﷺ) 38. The Book on Faith
২৬০৮

পরিচ্ছেদঃ ২. আমি লোকদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করতে আদিষ্ট হয়েছি যতক্ষণ পর্যন্ত না তারা “লা-ইলা-হা ইল্লাল্লা-হ’ বলবে এবং নামায আদায় করবে

২৬০৮। আনাস ইবনু মালিক (রাযিঃ) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ আমি লোকদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করার জন্য আদিষ্ট হয়েছি যতক্ষণ পর্যন্ত না তারা সাক্ষ্য দিবে যে, আল্লাহ তা’আলা ব্যতীত আর কোন প্ৰভু নেই এবং মুহাম্মাদ আল্লাহ তা’আলার বান্দা ও তার রাসূল এবং আমাদের কিবলামুখী হয়ে নামায আদায় করবে, আমাদের যবেহকৃত পশুর মাংস খাবে এবং আমাদের মতো নামায আদায় করবে। তারা এগুলো করলে তাদের জান ও মালে হস্তক্ষেপ করা আমাদের জন্য হারাম হয়ে যাবে। কিন্তু ইসলামের অধিকারের বিষয়টি ভিন্ন। মুসলিমদের প্রাপ্য সুযোগ-সুবিধা তারাও পাবে এবং মুসলিমদের উপর অর্পিত দায়-দায়িত্ব তাদের উপরও বর্তাবে।

সহীহঃ সহীহাহ (৩০৩) ও (১/১৫২), সহীহ আবূ দাউদ (২৩৭৪), বুখারী অনুরূপ।

মুআয ইবনু জাবাল ও আবূ হুরাইরাহ (রাযিঃ) হতেও এই অনুচ্ছেদে হাদীস বর্ণিত আছে। আবূ ঈসা বলেন, এই হাদীসটি হাসান সহীহ এবং উপরোক্ত সূত্রে গারীব। ইয়াহইয়া (রাহঃ) হুমাইদ হতে, তিনি আনাস (রাযিঃ)-এর সূত্রে একই রকম হাদীস বর্ণনা করেছেন।

باب مَا جَاءَ فِي قَوْلِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم ‏"‏ أُمِرْتُ بِقِتَالِهِمْ حَتَّى يَقُولُوا لاَ إِلَهَ إِلاَّ اللَّهُ وَيُقِيمُوا الصَّلاَةَ ‏"‏ ‏.‏ ‏

حَدَّثَنَا سَعِيدُ بْنُ يَعْقُوبَ الطَّالْقَانِيُّ، حَدَّثَنَا ابْنُ الْمُبَارَكِ، أَخْبَرَنَا حُمَيْدٌ الطَّوِيلُ، عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏ "‏ أُمِرْتُ أَنْ أُقَاتِلَ النَّاسَ حَتَّى يَشْهَدُوا أَنْ لاَ إِلَهَ إِلاَّ اللَّهُ وَأَنَّ مُحَمَّدًا عَبْدُهُ وَرَسُولُهُ وَأَنْ يَسْتَقْبِلُوا قِبْلَتَنَا وَيَأْكُلُوا ذَبِيحَتَنَا وَأَنْ يُصَلُّوا صَلاَتَنَا فَإِذَا فَعَلُوا ذَلِكَ حُرِّمَتْ عَلَيْنَا دِمَاؤُهُمْ وَأَمْوَالُهُمْ إِلاَّ بِحَقِّهَا لَهُمْ مَا لِلْمُسْلِمِينَ وَعَلَيْهِمْ مَا عَلَى الْمُسْلِمِينَ ‏"‏ ‏.‏ وَفِي الْبَابِ عَنْ مُعَاذِ بْنِ جَبَلٍ وَأَبِي هُرَيْرَةَ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ غَرِيبٌ مِنْ هَذَا الْوَجْهِ ‏.‏ وَقَدْ رَوَاهُ يَحْيَى بْنُ أَيُّوبَ عَنْ حُمَيْدٍ عَنْ أَنَسٍ نَحْوَ هَذَا ‏.‏

حدثنا سعيد بن يعقوب الطالقاني، حدثنا ابن المبارك، اخبرنا حميد الطويل، عن انس بن مالك، قال قال رسول الله صلى الله عليه وسلم ‏ "‏ امرت ان اقاتل الناس حتى يشهدوا ان لا اله الا الله وان محمدا عبده ورسوله وان يستقبلوا قبلتنا وياكلوا ذبيحتنا وان يصلوا صلاتنا فاذا فعلوا ذلك حرمت علينا دماوهم واموالهم الا بحقها لهم ما للمسلمين وعليهم ما على المسلمين ‏"‏ ‏.‏ وفي الباب عن معاذ بن جبل وابي هريرة ‏.‏ قال ابو عيسى هذا حديث حسن صحيح غريب من هذا الوجه ‏.‏ وقد رواه يحيى بن ايوب عن حميد عن انس نحو هذا ‏.‏


Narrated Anas bin Malik:
that the Messenger of Allah (ﷺ) said: "I have been ordered to fight the people until they bear witness to La Ilaha Illallah, and that Muhammad is His servant and Messenger, and they face our Qiblah, eat our slaughtered (meat), and perform our Salat. And if they do that, then their blood and wealth will be unlawful to us, except with its due right. For them shall be whatever is for the Muslims, and they shall be obliged with that which the Muslims are obliged."


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
৩৮/ ঈমান (كتاب الإيمان عن رسول الله ﷺ) 38. The Book on Faith
২৬০৯

পরিচ্ছেদঃ ৩. পাঁচটি ভিত্তির উপর ইসলাম প্রতিষ্ঠিত

২৬০৯। ইবনু উমার (রাযিঃ) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ ধ্ৰু বলেছেনঃ পাচটি ভিত্তির উপর ইসলাম প্রতিষ্ঠিতঃ (১) এই কথার সাক্ষ্য প্রদান করা যে, আল্লাহ তা’আলা ব্যতীত আর কোন প্ৰভু নেই এবং মুহাম্মদ আল্লাহর রাসূল, (২) নামায প্রতিষ্ঠা করা, (৩) যাকাত প্রদান করা, (৪) রামাযানের রোযা রাখা ও (৫) বাইতুল্লাহর হাজ্জ্ব সম্পাদন করা।

সহীহঃ ইরওয়াহ (৭৮১), ঈমান আবী উবাইদ (২), রাওযুন নায়ীর (২৭০)

জারীর ইবনু আব্দুল্লাহ (রাযিঃ) হতেও এই অনুচ্ছেদে হাদীস বর্ণিত আছে। আবূ ঈসা বলেন, এই হাদীসটি হাসান সহীহ। ইবনু উমার (রাযিঃ)-এর বরাতে একাধিক সূত্রে রাসূলুল্লাহ হতে একই রকম হাদীস বর্ণিত আছে। সুআইর ইবনু খিমস হাদীস বিশারদগণের মতে সিকাহ বর্ণনাকারী। আবূ কুরাইব-ওয়াকী হতে, তিনি হানযালা ইবনু আবূ সুফইয়ান আল-জুমাহী হতে, তিনি ইকরিমাহ ইবনু খালিদ আল-মাখযুমী হতে, তিনি ইবনু উমর (রাযিঃ) হতে উপরোক্ত হাদীসের সমার্থক হাদীস বর্ণিত আছে। এই সনদে বর্ণিত হাদীসটিও হাসান সহীহ।

باب مَا جَاءَ بُنِيَ الإِسْلاَمُ عَلَى خَمْسٍ ‏

حَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي عُمَرَ، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ بْنُ عُيَيْنَةَ، عَنْ سُعَيْرِ بْنِ الْخِمْسِ التَّمِيمِيِّ، عَنْ حَبِيبِ بْنِ أَبِي ثَابِتٍ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏ "‏ بُنِيَ الإِسْلاَمُ عَلَى خَمْسٍ شَهَادَةُ أَنْ لاَ إِلَهَ إِلاَّ اللَّهُ وَأَنَّ مُحَمَّدًا رَسُولُ اللَّهِ وَإِقَامُ الصَّلاَةِ وَإِيتَاءُ الزَّكَاةِ وَصَوْمُ رَمَضَانَ وَحَجُّ الْبَيْتِ ‏"‏ ‏.‏ وَفِي الْبَابِ عَنْ جَرِيرِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ وَقَدْ رُوِيَ مِنْ غَيْرِ وَجْهٍ عَنِ ابْنِ عُمَرَ عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم نَحْوُ هَذَا ‏.‏ وَسُعَيْرُ بْنُ الْخِمْسِ ثِقَةٌ عِنْدَ أَهْلِ الْحَدِيثِ ‏.‏
حَدَّثَنَا أَبُو كُرَيْبٍ، حَدَّثَنَا وَكِيعٌ، عَنْ حَنْظَلَةَ بْنِ أَبِي سُفْيَانَ الْجُمَحِيِّ، عَنْ عِكْرِمَةَ بْنِ خَالِدٍ الْمَخْزُومِيِّ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم نَحْوَهُ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ ‏.‏

حدثنا ابن ابي عمر، حدثنا سفيان بن عيينة، عن سعير بن الخمس التميمي، عن حبيب بن ابي ثابت، عن ابن عمر، قال قال رسول الله صلى الله عليه وسلم ‏ "‏ بني الاسلام على خمس شهادة ان لا اله الا الله وان محمدا رسول الله واقام الصلاة وايتاء الزكاة وصوم رمضان وحج البيت ‏"‏ ‏.‏ وفي الباب عن جرير بن عبد الله ‏.‏ قال ابو عيسى هذا حديث حسن صحيح وقد روي من غير وجه عن ابن عمر عن النبي صلى الله عليه وسلم نحو هذا ‏.‏ وسعير بن الخمس ثقة عند اهل الحديث ‏.‏ حدثنا ابو كريب، حدثنا وكيع، عن حنظلة بن ابي سفيان الجمحي، عن عكرمة بن خالد المخزومي، عن ابن عمر، عن النبي صلى الله عليه وسلم نحوه ‏.‏ قال ابو عيسى هذا حديث حسن صحيح ‏.‏


Narrated Ibn 'Umar:
that the Messenger of Allah (ﷺ) said: "Islam is based upon five: the testimony of La Ilaha Illallah, and that Muhammad is the Messenger of Allah, the establishment of the Salat, giving the Zakat, fasting (the month of) Ramadan, and performing Hajj to the House."


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
৩৮/ ঈমান (كتاب الإيمان عن رسول الله ﷺ) 38. The Book on Faith
২৬১০

পরিচ্ছেদঃ ৪. জিবরীল (আঃ) কর্তৃক রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে ঈমান ও ইসলামের পরিচয় প্রদান

২৬১০। ইয়াহইয়া ইবনু ইয়ামার (রহঃ) হতে বর্ণিত, তাকদীর মতবাদের ব্যাপারে সর্বপ্রথম মা’বাদ আল-জুহানীই কথা বলেন। কোন এক সময় আমি ও হুমাইদ ইবনু আব্দুর রাহমান আল-হিময়ারী মদীনায় আসলাম এবং নিজেদের মধ্যে আলোচনা করলাম, আমরা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর কোন সাহাবীর সাক্ষাৎ পেলে এসব লোকেরা যে নতুন কথা বের করেছে সেই বিষয়ে তাকে প্রশ্ন করতাম। আমরা আব্দুল্লাহ ইবনু উমার (রাযিঃ)-এর দেখা পেলাম। তিনি মাসজিদ থেকে বের হচ্ছিলেন। আমি ও আমার সাথী গিয়ে তার পাশে পাশে চললাম।

আমি মনে করলাম আমার সঙ্গী আমার উপরি কথা বলার দায়িত্ব দিবেন। তাই আমি বললাম, হে আবূ আব্দুর রাহমান! কিছু সংখ্যক লোক কুরআন তিলাওয়াত করে, জ্ঞানও অন্বেষণ করে, কিন্তু তাদের ধারণায় তাকূদীর বলতে কিছু নেই, যা কিছু হচ্ছে তা তাৎক্ষণিকভাবে ঘটে।

ইবনু উমর (রাযিঃ) বললেন, তাদের সাথে তোমার দেখা হলে বলবে, তাদের সাথে আমার কোন সম্পক নেই এবং তারাও আমার হতে সম্পর্ক মুক্ত। তারপর ইবনু উমর (রাযিঃ) আল্লাহ তা’আলার নামে শপথ করে বলেন, তাদের কেউ উহুদ পাহাড় সমান স্বর্ণ দান-খাইরাত করলেও তা গ্রহণ করা হবে না, তাকদীিরের ভাল-মন্দের উপর যে পর্যন্ত না সে ঈমান আনবে।

তারপর তিনি বললেন, "উমার ইবনু খাত্তাব (রাযিঃ) বলেছেন, কোন এক সময় আমরা রাসূলুল্লাহ -এর সামনে বসে ছিলাম। এমন সময় সাদা ধবধবে জামা পরা এবং কালো কুচকুচে চুলধারী এক লোক এসে উপস্থিত। তার মধ্যে সফরের কোন চিহ্নও ছিল না এবং আমাদের মধ্যে কেউই তাকে চিনতে পারলো না। তারপর তিনি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সামনে এসে তার হাটুদ্বয় রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর হাটুদ্বয়ের সাথে মিলিয়ে বসলেন।

অতঃপর তিনি প্রশ্ন করেন, হে মুহাম্মাদ! ঈমান কি? তিনি বললেনঃ ঈমান হলো-তুমি আল্লাহ, তার ফেরেশতাকুলে, কিতাবসমূহে, রাসূলগণে, পরকালে এবং তাকদীিরের ভাল-মন্দের উপর বিশ্বাস স্থাপন কর।

আগন্তুক প্রশ্ন করলেন, ইসলাম কি? তিনি বললেনঃ এ কথার সাক্ষ্য প্রদান করা যে, আল্লাহ তা’আলা ব্যতীত আর কোন প্ৰভু নেই এবং মুহাম্মাদ আল্লাহর বান্দাহ ও তার রাসূল, নামায প্রতিষ্ঠা করা, যাকাত প্রদান করা, বাইতুল্লাহর হাজ্জ্ব আদায় করা এবং রামাযানের রোযা রাখা।

তিনি আবার প্রশ্ন করেন, ইহসান কি? তিনি বললেনঃ তুমি (এমনভাবে) আল্লাহ তা’আলার ইবাদাত করবে যেন তুমি তাকে দেখছো। তুমি যদি তাকে না দেখ তাহলে অবশ্যই তিনি তোমাকে দেখেন। বর্ণনাকারী বলেন, প্রতিটি প্রশ্নের উত্তরেই তিনি বলতেন, আপনি সত্যই বলেছেন। তার এই আচরণে আমরা অবাক হলাম যে, তিনিই প্রশ্ন করছেন আবার তিনিই তা সমর্থন করছেন।

তিনি আবার প্রশ্ন করেন, কখন কিয়ামত সংঘটিত হবে? তিনি এবার বললেনঃ জিজ্ঞাসিত ব্যক্তি এই ব্যাপারে প্রশ্নকারীর চাইতে বেশি কিছু জানে না। তিনি আবার প্রশ্ন করেন, এর নিদর্শনগুলো কি কি?

তিনি বললেনঃ যখন দাসী তার মনিবকে প্রসব করবে এবং খোলা পা, উলঙ্গ শরীরের অভাবী মেষপালক রাখালগণকে বিশাল দালান-কোঠার প্রতিযোগিতায় গর্ব করতে দেখবে। উমর (রাযিঃ) বলেন, তারপর নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তিনদিন পর আমার সাক্ষাৎ পেয়ে প্রশ্ন করেনঃ হে উমার! তুমি কি জানো, ঐ প্রশ্নকারী কে ছিলেন? তিনি ছিলেন জিবরীল (আঃ), তোমাদেরকে ধর্মীয় অনুশাসন শিখাতে এসেছিলেন।

সহীহঃ ইবনু মা-জাহ (৬৩), মুসলিম।

উক্ত মৰ্মে আহমাদ ইবনু মুহাম্মদ-ইবনুল মুবারাক হতে, তিনি কাহমাস ইবনুল হাসান (রহঃ) সূত্রে একই রকম বর্ণনা করেছেন। মুহাম্মাদ ইবনুল মুসান্না-মুআয ইবনু হিশাম-কাহমাস (রাযিঃ) সূত্রে উক্ত মর্মে একই রকম বর্ণনা করেছেন। তালহা ইবনু উবাইদুল্লাহ, আনাস ইবনু মালিক ও আবূ হুরাইরাহ (রাযিঃ) হতেও এই অনুচ্ছেদে হাদীস বর্ণিত আছে।

আবূ ঈসা বলেন, বর্ণিত হাদীসটি হাসান সহীহ। এ হাদীসটি একাধিকসূত্রে উমার (রাযিঃ) হতে অনুরূপ বর্ণিত হয়েছে। ইবনু উমার (রাযিঃ)-এর সূত্রে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হতে হাদীসটি বর্ণিত হলেও সঠিক সনদসূত্র হলো ইবনু উমার-উমার (রাযিঃ)-এর বরাতে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হতে।

باب مَا جَاءَ فِي وَصْفِ جِبْرِيلَ لِلنَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم الإِيمَانَ وَالإِسْلاَمَ ‏

حَدَّثَنَا أَبُو عَمَّارٍ الْحُسَيْنُ بْنُ حُرَيْثٍ الْخُزَاعِيُّ، أَخْبَرَنَا وَكِيعٌ، عَنْ كَهْمَسِ بْنِ الْحَسَنِ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ بُرَيْدَةَ، عَنْ يَحْيَى بْنِ يَعْمُرَ، قَالَ أَوَّلُ مَنْ تَكَلَّمَ فِي الْقَدَرِ مَعْبَدٌ الْجُهَنِيُّ قَالَ فَخَرَجْتُ أَنَا وَحُمَيْدُ بْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ الْحِمْيَرِيُّ حَتَّى أَتَيْنَا الْمَدِينَةَ فَقُلْنَا لَوْ لَقِينَا رَجُلاً مِنْ أَصْحَابِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم فَسَأَلْنَاهُ عَمَّا أَحْدَثَ هَؤُلاَءِ الْقَوْمُ ‏.‏ قَالَ فَلَقِينَاهُ يَعْنِي عَبْدَ اللَّهِ بْنَ عُمَرَ وَهُوَ خَارِجٌ مِنَ الْمَسْجِدِ قَالَ فَاكْتَنَفْتُهُ أَنَا وَصَاحِبِي قَالَ فَظَنَنْتُ أَنَّ صَاحِبِي سَيَكِلُ الْكَلاَمَ إِلَىَّ فَقُلْتُ يَا أَبَا عَبْدِ الرَّحْمَنِ إِنَّ قَوْمًا يَقْرَءُونَ الْقُرْآنَ وَيَتَقَفَّرُونَ الْعِلْمَ وَيَزْعُمُونَ أَنْ لاَ قَدَرَ وَأَنَّ الأَمْرَ أُنُفٌ قَالَ فَإِذَا لَقِيتَ أُولَئِكَ فَأَخْبِرْهُمْ أَنِّي مِنْهُمْ بَرِيءٌ وَأَنَّهُمْ مِنِّي بُرَآءُ وَالَّذِي يَحْلِفُ بِهِ عَبْدُ اللَّهِ لَوْ أَنَّ أَحَدَهُمْ أَنْفَقَ مِثْلَ أُحُدٍ ذَهَبًا مَا قُبِلَ ذَلِكَ مِنْهُ حَتَّى يُؤْمِنَ بِالْقَدَرِ خَيْرِهِ وَشَرِّهِ ‏.‏ قَالَ ثُمَّ أَنْشَأَ يُحَدِّثُ فَقَالَ قَالَ عُمَرُ بْنُ الْخَطَّابِ كُنَّا عِنْدَ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَجَاءَ رَجُلٌ شَدِيدُ بَيَاضِ الثِّيَابِ شَدِيدُ سَوَادِ الشَّعَرِ لاَ يُرَى عَلَيْهِ أَثَرُ السَّفَرِ وَلاَ يَعْرِفُهُ مِنَّا أَحَدٌ حَتَّى أَتَى النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم فَأَلْزَقَ رُكْبَتَهُ بِرُكْبَتِهِ ثُمَّ قَالَ يَا مُحَمَّدُ مَا الإِيمَانُ قَالَ ‏"‏ أَنْ تُؤْمِنَ بِاللَّهِ وَمَلاَئِكَتِهِ وَكُتُبِهِ وَرُسُلِهِ وَالْيَوْمِ الآخِرِ وَالْقَدَرِ خَيْرِهِ وَشَرِّهِ ‏"‏ ‏.‏ قَالَ فَمَا الإِسْلاَمُ قَالَ ‏"‏ شَهَادَةُ أَنْ لاَ إِلَهَ إِلاَّ اللَّهُ وَأَنَّ مُحَمَّدًا عَبْدُهُ وَرَسُولُهُ وَإِقَامُ الصَّلاَةِ وَإِيتَاءُ الزَّكَاةِ وَحَجُّ الْبَيْتِ وَصَوْمُ رَمَضَانَ ‏"‏ ‏.‏ قَالَ فَمَا الإِحْسَانُ قَالَ ‏"‏ أَنْ تَعْبُدَ اللَّهَ كَأَنَّكَ تَرَاهُ فَإِنَّكَ إِنْ لَمْ تَكُنْ تَرَاهُ فَإِنَّهُ يَرَاكَ ‏"‏ ‏.‏ قَالَ فِي كُلِّ ذَلِكَ يَقُولُ لَهُ صَدَقْتَ ‏.‏ قَالَ فَتَعَجَّبْنَا مِنْهُ يَسْأَلُهُ وَيُصَدِّقُهُ ‏.‏ قَالَ فَمَتَى السَّاعَةُ قَالَ ‏"‏ مَا الْمَسْئُولُ عَنْهَا بِأَعْلَمَ مِنَ السَّائِلِ ‏"‏ ‏.‏ قَالَ فَمَا أَمَارَتُهَا قَالَ أَنْ تَلِدَ الأَمَةُ رَبَّتَهَا وَأَنْ تَرَى الْحُفَاةَ الْعُرَاةَ الْعَالَةَ أَصْحَابَ الشَّاءِ يَتَطَاوَلُونَ فِي الْبُنْيَانِ ‏"‏ ‏.‏ قَالَ عُمَرُ فَلَقِيَنِي النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم بَعْدَ ذَلِكَ بِثَلاَثٍ فَقَالَ ‏"‏ يَا عُمَرُ هَلْ تَدْرِي مَنِ السَّائِلُ ذَاكَ جِبْرِيلُ أَتَاكُمْ يُعَلِّمُكُمْ مَعَالِمَ دِينِكُمْ ‏"‏ ‏.‏
حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ مُحَمَّدٍ، أَخْبَرَنَا ابْنُ الْمُبَارَكِ، أَخْبَرَنَا كَهْمَسُ بْنُ الْحَسَنِ، بِهَذَا الإِسْنَادِ نَحْوَهُ ‏.‏
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الْمُثَنَّى، حَدَّثَنَا مُعَاذُ بْنُ مُعَاذٍ، عَنْ كَهْمَسٍ، بِهَذَا الإِسْنَادِ نَحْوَهُ بِمَعْنَاهُ ‏.‏ وَفِي الْبَابِ عَنْ طَلْحَةَ بْنِ عُبَيْدِ اللَّهِ وَأَنَسِ بْنِ مَالِكٍ وَأَبِي هُرَيْرَةَ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ قَدْ رُوِيَ مِنْ غَيْرِ وَجْهٍ نَحْوُ هَذَا عَنْ عُمَرَ ‏.‏ وَقَدْ رُوِيَ هَذَا الْحَدِيثُ عَنِ ابْنِ عُمَرَ عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم وَالصَّحِيحُ هُوَ ابْنُ عُمَرَ عَنْ عُمَرَ عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم ‏.‏

حدثنا ابو عمار الحسين بن حريث الخزاعي، اخبرنا وكيع، عن كهمس بن الحسن، عن عبد الله بن بريدة، عن يحيى بن يعمر، قال اول من تكلم في القدر معبد الجهني قال فخرجت انا وحميد بن عبد الرحمن الحميري حتى اتينا المدينة فقلنا لو لقينا رجلا من اصحاب النبي صلى الله عليه وسلم فسالناه عما احدث هولاء القوم ‏.‏ قال فلقيناه يعني عبد الله بن عمر وهو خارج من المسجد قال فاكتنفته انا وصاحبي قال فظننت ان صاحبي سيكل الكلام الى فقلت يا ابا عبد الرحمن ان قوما يقرءون القران ويتقفرون العلم ويزعمون ان لا قدر وان الامر انف قال فاذا لقيت اولىك فاخبرهم اني منهم بريء وانهم مني براء والذي يحلف به عبد الله لو ان احدهم انفق مثل احد ذهبا ما قبل ذلك منه حتى يومن بالقدر خيره وشره ‏.‏ قال ثم انشا يحدث فقال قال عمر بن الخطاب كنا عند رسول الله صلى الله عليه وسلم فجاء رجل شديد بياض الثياب شديد سواد الشعر لا يرى عليه اثر السفر ولا يعرفه منا احد حتى اتى النبي صلى الله عليه وسلم فالزق ركبته بركبته ثم قال يا محمد ما الايمان قال ‏"‏ ان تومن بالله وملاىكته وكتبه ورسله واليوم الاخر والقدر خيره وشره ‏"‏ ‏.‏ قال فما الاسلام قال ‏"‏ شهادة ان لا اله الا الله وان محمدا عبده ورسوله واقام الصلاة وايتاء الزكاة وحج البيت وصوم رمضان ‏"‏ ‏.‏ قال فما الاحسان قال ‏"‏ ان تعبد الله كانك تراه فانك ان لم تكن تراه فانه يراك ‏"‏ ‏.‏ قال في كل ذلك يقول له صدقت ‏.‏ قال فتعجبنا منه يساله ويصدقه ‏.‏ قال فمتى الساعة قال ‏"‏ ما المسىول عنها باعلم من الساىل ‏"‏ ‏.‏ قال فما امارتها قال ان تلد الامة ربتها وان ترى الحفاة العراة العالة اصحاب الشاء يتطاولون في البنيان ‏"‏ ‏.‏ قال عمر فلقيني النبي صلى الله عليه وسلم بعد ذلك بثلاث فقال ‏"‏ يا عمر هل تدري من الساىل ذاك جبريل اتاكم يعلمكم معالم دينكم ‏"‏ ‏.‏ حدثنا احمد بن محمد، اخبرنا ابن المبارك، اخبرنا كهمس بن الحسن، بهذا الاسناد نحوه ‏.‏ حدثنا محمد بن المثنى، حدثنا معاذ بن معاذ، عن كهمس، بهذا الاسناد نحوه بمعناه ‏.‏ وفي الباب عن طلحة بن عبيد الله وانس بن مالك وابي هريرة ‏.‏ قال ابو عيسى هذا حديث حسن صحيح قد روي من غير وجه نحو هذا عن عمر ‏.‏ وقد روي هذا الحديث عن ابن عمر عن النبي صلى الله عليه وسلم والصحيح هو ابن عمر عن عمر عن النبي صلى الله عليه وسلم ‏.‏


Narrated Abdullah bin Buraidah from Yahya bin Ya'mur who said:
"The first person to speak about Al-Qadar was Ma'bad Al-Juhani." He said: "Humaid bin Abdur-Rahman Al-Himyari and I went out until we reached Al-Madinah, and we said: 'If we could only meet someone among the companions of the Prophet (ﷺ) so we could ask him about what those people have innovated." [He said:] "So we met him - meaning Abdullah bin 'Umar - while he was leaving the Masjid." [He said:] "My companion and I were on either side of him." [He said:] I thought my companion was going to leave the speaking to me so I said: "O Abu Abdur-Rahman! There is a group of people who recite the Qur'an and seek knowledge, and they claim there is no Al-Qadar, and that the affair is left to chance.' He said: "Whenever you meet those people, then tell them that I am not of them and they are not of me. By the One Whom Abdullah swears by! If one of them were to spend gold the like of Uhud (mountain) in charity, it would not be accepted from him until he believes in Al-Qadar; the good of it and the bad of it.'" He said: "Then he began to narrate, he said: "'Umar bin Al-Khattab said: "We were with the Messenger of Allah when a man came with extremely white garments, and extremely black hair. He had no appearance of traveling visible on him, yet none of us recognized him. He came until he reached the Prophet (ﷺ). He put his knees up against his knees, and then said: "O Muhammad! What is Iman?' He said 'To believe in Allah, His Angels, His, Books, His Messengers, the Day of Judgement, and Al-Qadar, the good of it and the bad of it.' He said: 'Then what is Islam?' He said: 'Testifying to La Ilaha Illallah, and that Muhammad is His servant and Messenger, establishing the Salat, giving the Zakat, performing Hajj to the House, and fasting (the month of) Ramadan.' He said: 'Then what is Ihsan?' He said 'That (is) you worship Allah as if you see Him, and although you do not see Him, He certainly sees you.' He said: 'For all of those he replied to him: 'You have told the truth.'" He said: "So we were amazed at him, he would ask, and then tell him that he is telling the truth. He said: 'Then when is the Hour?' He (ﷺ) said: 'The one being asked knows no more than the questioner.' He said: 'Then what are its signs?' He said: 'That the slave woman gives birth to her master, and that the naked, poor, and bare-footed shepherds rival each other in the height of the buildings.'" 'Umar said: 'Then the Prophet (ﷺ) met me three days after that and said: 'O 'Umar! Do you know who the questioner was? It was Jibril. He came to teach you about the matters of your religion.'"


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
৩৮/ ঈমান (كتاب الإيمان عن رسول الله ﷺ) 38. The Book on Faith
২৬১১

পরিচ্ছেদঃ ৫. ঈমানের মৌলিক বিষয়ের সাথে ফরয কাজসমূহ সংশ্লিষ্ট

২৬১১। ইবনু আব্বাস (রাযিঃ) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, আব্দুল কাইস বংশের একটি প্রতিনিধিদল এসে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কে বলে, আমরা রাবীআ বংশের লোক। আমরা আপনার নিকট হারাম মাসগুলো ছাড়া আসতে পারি না। সুতরাং আমাদেরকে এমন কতগুলো বিষয়ের আদেশ করুন, যা আমরা ধারণ করতে পারি এবং যারা আমাদের পিছনে আছে তাদেরকেও সেগুলোর দাওয়াত দিতে পারি।

তিনি বললেন, আমি তোমাদেরকে চারটি বিষয়ের আদেশ করছিঃ আল্লাহ তা’আলার প্রতি ঈমান আনয়ন, তারপর এই কথার ব্যাখ্যা করে বললেনঃ এই সাক্ষ্য দেয়া যে, আল্লাহ তা’আলা ব্যতীত আর কোন প্ৰভু নেই, আমি আল্লাহর রাসূল, নামায প্রতিষ্ঠা করা, যাকাত দেয়া এবং গানীমাতের সম্পদের এক-পঞ্চমাংশ (বাইতুল মালে) প্রদান করা।

সহীহঃ ঈমান আবী উবাইদ, পৃষ্ঠা (৫৮-৫৯), মুসলিম।

কুতাইবা-হাম্মাদ ইবনু যাইদ হতে, তিনি আবু হামযা হতে, তিনি ইবনু আব্বাস (রাযিঃ) হতে তিনি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হতে এই সূত্রে উপরের হাদীসের মতো বর্ণিত আছে। আবূ ঈসা বলেন, এই হাদীসটি হাসান সহীহ। আবূ হামযা আয-যুবাঈর নাম নাসর ইবনু ইমরান। এই হাদীসটি আবূ হামযার সূত্রে শুবাহ (রাহঃ)ও বর্ণনা করেছেন। তবে তাতে এভাবে আছে, তোমরা কি অবগত আছো যে, ঈমান কি? এই সাক্ষ্য দেয়া যে, আল্লাহ তা’আলা ব্যতীত আর কোন প্ৰভু নেই এবং আমি আল্লাহর রাসূল..... তারপর পূর্ণ হাদীস বর্ণনা করেছেন।

কুতাইবা ইবনু সাঈদ বলেন, আমি নিম্নবর্ণিত চারজন উচ্চ মর্যাদাসম্পন্ন ফকীহর মতো আর কাউকে দেখিনিঃ মালিক ইবনু আনাস, আল-লাইস ইবনু সাদ, আব্বাদ ইবনু আব্বাদ আল-মুহাল্লাবী ও আব্দুল ওয়াহহাব আস-সাকাফী (রাহঃ)। কুতাইবাহ আরো বলেন, আমরা এতে সন্তুষ্ট যে, আমরা প্রতি দিন আব্বাদ ইবনু আব্বাদের নিকট হতে দুটি করে হাদীস সংগ্রহ করে ফিরবো। আব্বাদ হলেন আল-মুহাল্লাব ইবনু আবূ সুফরার বংশধর।

باب مَا جَاءَ فِي إِضَافَةِ الْفَرَائِضِ إِلَى الإِيمَانِ ‏

حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ، حَدَّثَنَا عَبَّادُ بْنُ عَبَّادٍ الْمُهَلَّبِيُّ، عَنْ أَبِي جَمْرَةَ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، قَالَ قَدِمَ وَفْدُ عَبْدِ الْقَيْسِ عَلَى رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَقَالُوا إِنَّا هَذَا الْحَىَّ مِنْ رَبِيعَةَ وَلَسْنَا نَصِلُ إِلَيْكَ إِلاَّ فِي أَشْهُرِ الْحَرَامِ فَمُرْنَا بِشَيْءٍ نَأْخُذُهُ عَنْكَ وَنَدْعُو إِلَيْهِ مَنْ وَرَاءَنَا ‏.‏ فَقَالَ ‏ "‏ آمُرُكُمْ بِأَرْبَعٍ الإِيمَانِ بِاللَّهِ ثُمَّ فَسَّرَهَا لَهُمْ شَهَادَةَ أَنْ لاَ إِلَهَ إِلاَّ اللَّهُ وَأَنِّي رَسُولُ اللَّهِ وَإِقَامَ الصَّلاَةِ وَإِيتَاءَ الزَّكَاةِ وَأَنْ تُؤَدُّوا خُمْسَ مَا غَنِمْتُمْ ‏"‏ ‏.‏
حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ، حَدَّثَنَا حَمَّادُ بْنُ زَيْدٍ، عَنْ أَبِي جَمْرَةَ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم مِثْلَهُ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ وَأَبُو جَمْرَةَ الضُّبَعِيُّ اسْمُهُ نَصْرُ بْنُ عِمْرَانَ ‏.‏ وَقَدْ رَوَاهُ شُعْبَةُ عَنْ أَبِي جَمْرَةَ أَيْضًا وَزَادَ فِيهِ أَتَدْرُونَ مَا الإِيمَانُ شَهَادَةُ أَنْ لاَ إِلَهَ إِلاَّ اللَّهُ وَأَنِّي رَسُولُ اللَّهِ وَذَكَرَ الْحَدِيثَ ‏.‏ سَمِعْتُ قُتَيْبَةَ بْنَ سَعِيدٍ يَقُولُ مَا رَأَيْتُ مِثْلَ هَؤُلاَءِ الأَشْرَافِ الأَرْبَعَةِ مَالِكِ بْنِ أَنَسٍ وَاللَّيْثِ بْنِ سَعْدٍ وَعَبَّادِ بْنِ عَبَّادٍ الْمُهَلَّبِيِّ وَعَبْدِ الْوَهَّابِ الثَّقَفِيِّ ‏.‏ قَالَ قُتَيْبَةُ كُنَّا نَرْضَى أَنْ نَرْجِعَ مِنْ عِنْدِ عَبَّادٍ كُلَّ يَوْمٍ بِحَدِيثَيْنِ وَعَبَّادُ بْنُ عَبَّادٍ هُوَ مِنْ وَلَدِ الْمُهَلَّبِ بْنِ أَبِي صُفْرَةَ ‏.‏

حدثنا قتيبة، حدثنا عباد بن عباد المهلبي، عن ابي جمرة، عن ابن عباس، قال قدم وفد عبد القيس على رسول الله صلى الله عليه وسلم فقالوا انا هذا الحى من ربيعة ولسنا نصل اليك الا في اشهر الحرام فمرنا بشيء ناخذه عنك وندعو اليه من وراءنا ‏.‏ فقال ‏ "‏ امركم باربع الايمان بالله ثم فسرها لهم شهادة ان لا اله الا الله واني رسول الله واقام الصلاة وايتاء الزكاة وان تودوا خمس ما غنمتم ‏"‏ ‏.‏ حدثنا قتيبة، حدثنا حماد بن زيد، عن ابي جمرة، عن ابن عباس، عن النبي صلى الله عليه وسلم مثله ‏.‏ قال ابو عيسى هذا حديث حسن صحيح وابو جمرة الضبعي اسمه نصر بن عمران ‏.‏ وقد رواه شعبة عن ابي جمرة ايضا وزاد فيه اتدرون ما الايمان شهادة ان لا اله الا الله واني رسول الله وذكر الحديث ‏.‏ سمعت قتيبة بن سعيد يقول ما رايت مثل هولاء الاشراف الاربعة مالك بن انس والليث بن سعد وعباد بن عباد المهلبي وعبد الوهاب الثقفي ‏.‏ قال قتيبة كنا نرضى ان نرجع من عند عباد كل يوم بحديثين وعباد بن عباد هو من ولد المهلب بن ابي صفرة ‏.‏


Narrated Ibn 'Abbas:
"A delegation of Abdul-Qais came to the Messenger of Allah (ﷺ) and said: 'We are a tribe from Rabi'ah, and we cannot come to you except during the sacred months. So order us with something that we can take from you, and then we call those who are behind us to it.' So he said: 'I order you with four things: To testify to La Ilaha Illallah, and that I am the Messenger of Allah; to establish the Salat, to give the Zakat, and to give the Khumus from the spoils of war that you gain.'"


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
৩৮/ ঈমান (كتاب الإيمان عن رسول الله ﷺ) 38. The Book on Faith
২৬১২

পরিচ্ছেদঃ ৬. ঈমানের পূর্ণতা ও হ্রাসবৃদ্ধি

২৬১২। আইশা (রাঃ) হতে বর্ণিত আছে, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ যার চরিত্র ভালো এবং যে নিজ পরিবার-পরিজনের সাথে দয়ার্দ্র ব্যবহার করে সে-ই ঈমানের দিক হতে পরিপূর্ণ মুমিন।

যঈফ, সহীহা (২৮৪) হাদীসের আওতায়

এ অনুচ্ছেদে আবূ হুরাইরা ও আনাস (রাঃ) হতেও হাদীস বর্ণিত আছে। আবূ ঈসা বলেনঃ এ হাদীসটি সহীহ। আবূ কিলাবা (রাহঃ) আইশা (রাঃ) হতে হাদীস শুনেছেন বলে আমাদের জানা নাই। অবশ্য তিনি আইশা (রাঃ)-এর দুধভাই আবদুল্লাহ ইবনু ইয়াযীদ-আইশা (রাঃ) হতে অন্যান্য হাদীস রিওয়ায়াত করেছেন। আবূ কিলাবার নাম আবদুল্লাহ ইবনু যাইদ আল-জারমী। ইবনু আবূ উমার-সুফিয়ান ইবনু উয়াইনা হতে বর্ণনা করেছেন তিনি বলেন, আইউব আস-সিখতিয়ানী (রাহঃ) আবূ কিলাবার আলোচনা প্রসঙ্গে বলেন, আল্লাহ্ তা’আলার শপথ! তিনি ছিলেন প্রজ্ঞাবান ফকীহগণের অন্তর্ভুক্ত।

উমারাহ ইবনু গাযিয়্যাহ এই হাদীসটি আবূ সালিহ হতে আবূ হুরাইরার সূত্রে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হতে এই শব্দে বর্ণনা করেছেন “আল-ঈমানু আরবায়াতুন ওয়া সিত্তুনা বাবান" ঈমানের ৬৪টি দরজা আছে। এই শব্দটি শাজ।

باب مَا جَاءَ فِي اسْتِكْمَالِ الإِيمَانِ وَزِيَادَتِهِ وَنُقْصَانِهِ ‏

حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ مَنِيعٍ الْبَغْدَادِيُّ، حَدَّثَنَا إِسْمَاعِيلُ ابْنُ عُلَيَّةَ، حَدَّثَنَا خَالِدٌ الْحَذَّاءُ، عَنْ أَبِي قِلاَبَةَ، عَنْ عَائِشَةَ، قَالَتْ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏ "‏ إِنَّ مِنْ أَكْمَلِ الْمُؤْمِنِينَ إِيمَانًا أَحْسَنُهُمْ خُلُقًا وَأَلْطَفُهُمْ بِأَهْلِهِ ‏"‏ ‏.‏ وَفِي الْبَابِ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ وَأَنَسِ بْنِ مَالِكٍ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ ‏.‏ وَلاَ نَعْرِفُ لأَبِي قِلاَبَةَ سَمَاعًا مِنْ عَائِشَةَ ‏.‏ وَقَدْ رَوَى أَبُو قِلاَبَةَ عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ يَزِيدَ رَضِيعٌ لِعَائِشَةَ عَنْ عَائِشَةَ غَيْرَ هَذَا الْحَدِيثِ وَأَبُو قِلاَبَةَ اسْمُهُ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ زَيْدٍ الْجَرْمِيُّ ‏.‏ حَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي عُمَرَ حَدَّثَنَا سُفْيَانُ بْنُ عُيَيْنَةَ قَالَ ذَكَرَ أَيُّوبُ السَّخْتِيَانِيُّ أَبَا قِلاَبَةَ فَقَالَ كَانَ وَاللَّهِ مِنَ الْفُقَهَاءِ ذَوِي الأَلْبَابِ ‏.‏

حدثنا احمد بن منيع البغدادي، حدثنا اسماعيل ابن علية، حدثنا خالد الحذاء، عن ابي قلابة، عن عاىشة، قالت قال رسول الله صلى الله عليه وسلم ‏ "‏ ان من اكمل المومنين ايمانا احسنهم خلقا والطفهم باهله ‏"‏ ‏.‏ وفي الباب عن ابي هريرة وانس بن مالك ‏.‏ قال ابو عيسى هذا حديث حسن ‏.‏ ولا نعرف لابي قلابة سماعا من عاىشة ‏.‏ وقد روى ابو قلابة عن عبد الله بن يزيد رضيع لعاىشة عن عاىشة غير هذا الحديث وابو قلابة اسمه عبد الله بن زيد الجرمي ‏.‏ حدثنا ابن ابي عمر حدثنا سفيان بن عيينة قال ذكر ايوب السختياني ابا قلابة فقال كان والله من الفقهاء ذوي الالباب ‏.‏


Narrated 'Aishah:
that the Messenger of Allah (ﷺ) said: "Indeed among the believers with the most complete faith is the one who is the best in conduct, and the most kind to his family."


হাদিসের মানঃ যঈফ (Dai'f)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
৩৮/ ঈমান (كتاب الإيمان عن رسول الله ﷺ) 38. The Book on Faith
২৬১৩

পরিচ্ছেদঃ ৬. ঈমানের পূর্ণতা ও হ্রাসবৃদ্ধি

২৬১৩। আবূ হুরাইরাহ (রাযিঃ) হতে বর্ণিত আছে যে, জনতার উদ্দেশ্যে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম নাসীহাতপূর্ণ খুতবাহ প্রদান করেন এবং বলেনঃ হে নারী সম্প্রদায়! তোমরা বেশি পরিমাণে দান-খয়রাত কর। কেননা, জাহান্নামে তোমাদের সংখ্যাই বেশি হবে। তাদের মধ্যকার এক মহিলা প্রশ্ন করেন, হে আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তা কেন? তিনি বললেনঃ তোমাদের মাঝে অভিশাপ দানের প্রবণতার আধিক্যের কারণে, অর্থাৎ- তোমাদের স্বামীদের অনুগ্রহের প্রতি অকৃতজ্ঞ হবার কারণে।

তিনি আরো বলেনঃ আমি তোমাদের স্বল্পবুদ্ধি ও দ্বীনের ব্যাপারে সংকীর্ণ হওয়া সত্ত্বেও বুদ্ধিমান বিচক্ষণদের উপর বিজয়ী হতে পারঙ্গম আর কাউকে দেখিনি। জনৈকা মহিলা প্রশ্ন করলো, তার বুদ্ধি ও দ্বীনের ব্যাপারে কমতি হলো কি করে? তিনি বললেনঃ তোমাদের দুজন স্ত্রীলোকের সাক্ষ্য একজন পুরুষের সাক্ষ্যের সমান। এটা হলো বুদ্ধির স্বল্পতা। আর তোমাদের হায়িয (ঋতুস্রাব) হলে তিন-চার দিন তোমরা নামায আদায় কর না। এটা হলো দ্বীনের স্বল্পতা।

সহীহঃ ইরওয়াহ (১/২০৫), আযযিলাল (৯৫৬), মুসলিম।

আবূ সাঈদ ও ইবনু উমার (রাযিঃ) হতেও এই অনুচ্ছেদে হাদীস বর্ণিত আছে। আবূ ঈসা বলেন, এই হাদীসটি হাসান সহীহ। এই সনদ সূত্রে গারীব।

باب مَا جَاءَ فِي اسْتِكْمَالِ الإِيمَانِ وَزِيَادَتِهِ وَنُقْصَانِهِ ‏

حَدَّثَنَا أَبُو عَبْدِ اللَّهِ، هُرَيْمُ بْنُ مِسْعَرٍ الأَزْدِيُّ التِّرْمِذِيُّ حَدَّثَنَا عَبْدُ الْعَزِيزِ بْنُ مُحَمَّدٍ، عَنْ سُهَيْلِ بْنِ أَبِي صَالِحٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم خَطَبَ النَّاسَ فَوَعَظَهُمْ ثُمَّ قَالَ ‏"‏ يَا مَعْشَرَ النِّسَاءِ تَصَدَّقْنَ فَإِنَّكُنَّ أَكْثَرُ أَهْلِ النَّارِ ‏"‏ ‏.‏ فَقَالَتِ امْرَأَةٌ مِنْهُنَّ وَلِمَ ذَاكَ يَا رَسُولَ اللَّهِ قَالَ ‏"‏ لِكَثْرَةِ لَعْنِكُنَّ ‏"‏ ‏.‏ يَعْنِي وَكُفْرَكُنَّ الْعَشِيرَ ‏.‏ قَالَ ‏"‏ وَمَا رَأَيْتُ مِنْ نَاقِصَاتِ عَقْلٍ وَدِينٍ أَغْلَبَ لِذَوِي الأَلْبَابِ وَذَوِي الرَّأْىِ مِنْكُنَّ ‏"‏ ‏.‏ قَالَتِ امْرَأَةٌ مِنْهُنَّ وَمَا نُقْصَانُ دِينِهَا وَعَقْلِهَا قَالَ ‏"‏ شَهَادَةُ امْرَأَتَيْنِ مِنْكُنَّ بِشَهَادَةِ رَجُلٍ وَنُقْصَانُ دِينِكُنَّ الْحَيْضَةُ تَمْكُثُ إِحْدَاكُنَّ الثَّلاَثَ وَالأَرْبَعَ لاَ تُصَلِّي ‏"‏ ‏.‏ وَفِي الْبَابِ عَنْ أَبِي سَعِيدٍ وَابْنِ عُمَرَ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ صَحِيحٌ غَرِيبٌ حَسَنٌ مِنْ هَذَا الْوَجْهِ ‏.‏

حدثنا ابو عبد الله، هريم بن مسعر الازدي الترمذي حدثنا عبد العزيز بن محمد، عن سهيل بن ابي صالح، عن ابيه، عن ابي هريرة، ان رسول الله صلى الله عليه وسلم خطب الناس فوعظهم ثم قال ‏"‏ يا معشر النساء تصدقن فانكن اكثر اهل النار ‏"‏ ‏.‏ فقالت امراة منهن ولم ذاك يا رسول الله قال ‏"‏ لكثرة لعنكن ‏"‏ ‏.‏ يعني وكفركن العشير ‏.‏ قال ‏"‏ وما رايت من ناقصات عقل ودين اغلب لذوي الالباب وذوي الراى منكن ‏"‏ ‏.‏ قالت امراة منهن وما نقصان دينها وعقلها قال ‏"‏ شهادة امراتين منكن بشهادة رجل ونقصان دينكن الحيضة تمكث احداكن الثلاث والاربع لا تصلي ‏"‏ ‏.‏ وفي الباب عن ابي سعيد وابن عمر ‏.‏ قال ابو عيسى هذا حديث صحيح غريب حسن من هذا الوجه ‏.‏


Narrated Abu Hurairah:
that the Messenger of Allah (ﷺ) delivered a Khtubah in which he exhorted them, then he said: "O women! Give charity for you are the majority of the people of the Fire." A woman among them said: "And why is that O Messenger of Allah?" He said: "Because of your cursing so much." - meaning your ungratefulness towards your husbands. He said: "And I have not seen any among those lacking in intellect and religion who are more difficult upon people possessing reason and insight than you." A woman among them said: "And what is the deficiency of her intellect and religion?" He said: "The testimony of two women among you is like the testimony of a man, and the deficiency in your religion is menstruation, because one of you will go three or four days without performing Salat."


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ আবূ হুরায়রা (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
৩৮/ ঈমান (كتاب الإيمان عن رسول الله ﷺ) 38. The Book on Faith
২৬১৪

পরিচ্ছেদঃ ৬. ঈমানের পূর্ণতা ও হ্রাসবৃদ্ধি

২৬১৪। আবূ হুরাইরাহ (রাযিঃ) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ ঈমানের দরজা (স্তর) হলো সত্তরের অধিক। তার সর্বনিম্ন স্তর হলো রাস্তা থেকে কষ্টদায়ক বস্তু দূর করা এবং সর্বোচ্চ স্তর হলো লাইলাহা ইল্লাল্লা-হ’ বলা।

সহীহঃ সহীহাহ (১৩৬৯), বুখারীর বর্ণনায় ষাটের অধিক এবং মুসলিমের বর্ণনায় সত্তরের অধিক উল্লেখ আছে। আর এটাই অগ্রগণ্য। তাখরাজুল ঈমান (২১/৬৭)।

আবূ ঈসা বলেন, এই হাদীসটি হাসান সহীহ। সুহাইল ইবনু আবী সালিহ (রাহঃ) আব্দুল্লাহ ইবনু দীনার হতে, তিনি আবূ সালিহ হতে, তিনি আবূ হুরাইরাহ (রাযিঃ)-এর সূত্রে একই রকম বর্ণনা করেছেন। এ হাদীসটি আবূ সালিহ-আবূ হুরাইরাহ (রাযিঃ) হতে, তিনি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হতে এই সূত্রে উমারাহ ইবনু গাযিয়্যাহ্ (রহঃ) বর্ণনা করেছেন। তাতে আছেঃ “ঈমানের চৌষট্টিটি দরজা (স্তর) আছে”। এই অর্থে হাদীসটি শাজ। কুতাইবা বাকর ইবনু মুযার হতে, তিনি উমারাহ ইবনু গাযিয়্যাহ হতে, তিনি আবূ সালিহ হতে, তিনি আবূ হুরাইরাহ (রাযিঃ) হতে, তিনি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হতে এই সূত্রে তা বর্ণিত হয়েছে।

باب مَا جَاءَ فِي اسْتِكْمَالِ الإِيمَانِ وَزِيَادَتِهِ وَنُقْصَانِهِ ‏

حَدَّثَنَا أَبُو كُرَيْبٍ، حَدَّثَنَا وَكِيعٌ، عَنْ سُفْيَانَ، عَنْ سُهَيْلِ بْنِ أَبِي صَالِحٍ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ دِينَارٍ، عَنْ أَبِي صَالِحٍ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏"‏ الإِيمَانُ بِضْعٌ وَسَبْعُونَ بَابًا فَأَدْنَاهَا إِمَاطَةُ الأَذَى عَنِ الطَّرِيقِ وَأَرْفَعُهَا قَوْلُ لاَ إِلَهَ إِلاَّ اللَّهُ ‏"‏ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ وَهَكَذَا رَوَى سُهَيْلُ بْنُ أَبِي صَالِحٍ عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ دِينَارٍ عَنْ أَبِي صَالِحٍ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ ‏.‏
وَرَوَى عُمَارَةُ بْنُ غَزِيَّةَ، هَذَا الْحَدِيثَ عَنْ أَبِي صَالِحٍ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ ‏"‏ الإِيمَانُ أَرْبَعَةٌ وَسِتُّونَ بَابًا ‏"‏ ‏.‏ قَالَ حَدَّثَنَا بِذَلِكَ قُتَيْبَةُ حَدَّثَنَا بَكْرُ بْنُ مُضَرَ عَنْ عُمَارَةَ بْنِ غَزِيَّةَ عَنْ أَبِي صَالِحٍ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم ‏.‏

حدثنا ابو كريب، حدثنا وكيع، عن سفيان، عن سهيل بن ابي صالح، عن عبد الله بن دينار، عن ابي صالح، عن ابي هريرة، قال قال رسول الله صلى الله عليه وسلم ‏"‏ الايمان بضع وسبعون بابا فادناها اماطة الاذى عن الطريق وارفعها قول لا اله الا الله ‏"‏ ‏.‏ قال ابو عيسى هذا حديث حسن صحيح وهكذا روى سهيل بن ابي صالح عن عبد الله بن دينار عن ابي صالح عن ابي هريرة ‏.‏ وروى عمارة بن غزية، هذا الحديث عن ابي صالح، عن ابي هريرة، عن النبي صلى الله عليه وسلم قال ‏"‏ الايمان اربعة وستون بابا ‏"‏ ‏.‏ قال حدثنا بذلك قتيبة حدثنا بكر بن مضر عن عمارة بن غزية عن ابي صالح عن ابي هريرة عن النبي صلى الله عليه وسلم ‏.‏


Narrated Abu Hurairah:
that the Messenger of Allah (ﷺ) said: "Faith has seventy-some odd doors, the lowest of which is removing something harmful from the road, and its highest is the statement 'La Ilaha Illallah.'"


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ আবূ হুরায়রা (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
৩৮/ ঈমান (كتاب الإيمان عن رسول الله ﷺ) 38. The Book on Faith
২৬১৫

পরিচ্ছেদঃ ৭. লজ্জা ও সম্ভ্রমবোধ ঈমানের অঙ্গ

২৬১৫। সালিম (রহঃ) হতে তার বাবার সূত্রে বর্ণিত আছে যে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কোন একজনের পাশ দিয়ে যাচ্ছিলেন। সে তার ভাইকে লজ্জা সম্পর্কে উপদেশ দিচ্ছিলো। তখন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ লজ্জা ও সন্ত্ৰমবোধ ঈমানের অঙ্গ।

সহীহঃ ইবনু মা-জাহ (৫৮), বুখারী ও মুসলিম।

আহমাদ ইবনু মানী কর্তৃক বর্ণিত হাদিসে আছে যে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কোন একজনকে তার ভাইকে লজ্জা সম্পর্কে উপদেশ দিতে শুনলেন।

এ হাদীসটি হাসান সহীহ। আবূ হুরাইরাহ, আবূ বকরাহ ও আবূ উমামাহ (রাযিঃ) হতেও এই অনুচ্ছেদে হাদীস বর্ণিত আছে।

باب مَا جَاءَ أَنَّ الْحَيَاءَ مِنَ الإِيمَانِ ‏

حَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي عُمَرَ، وَأَحْمَدُ بْنُ مَنِيعٍ، - الْمَعْنَى وَاحِدٌ قَالاَ حَدَّثَنَا سُفْيَانُ بْنُ عُيَيْنَةَ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، عَنْ سَالِمٍ، عَنْ أَبِيهِ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم مَرَّ بِرَجُلٍ وَهُوَ يَعِظُ أَخَاهُ فِي الْحَيَاءِ فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏ "‏ الْحَيَاءُ مِنَ الإِيمَانِ ‏"‏ ‏.‏ قَالَ أَحْمَدُ بْنُ مَنِيعٍ فِي حَدِيثِهِ إِنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم سَمِعَ رَجُلاً يَعِظُ أَخَاهُ فِي الْحَيَاءِ ‏.‏ قَالَ هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ ‏.‏ وَفِي الْبَابِ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ وَأَبِي بَكْرَةَ وَأَبِي أُمَامَةَ ‏.‏

حدثنا ابن ابي عمر، واحمد بن منيع، - المعنى واحد قالا حدثنا سفيان بن عيينة، عن الزهري، عن سالم، عن ابيه، ان رسول الله صلى الله عليه وسلم مر برجل وهو يعظ اخاه في الحياء فقال رسول الله صلى الله عليه وسلم ‏ "‏ الحياء من الايمان ‏"‏ ‏.‏ قال احمد بن منيع في حديثه ان النبي صلى الله عليه وسلم سمع رجلا يعظ اخاه في الحياء ‏.‏ قال هذا حديث حسن صحيح ‏.‏ وفي الباب عن ابي هريرة وابي بكرة وابي امامة ‏.‏


Narrated Ibn 'Umar:
that the Messenger of Allah (ﷺ) passed by a man and he was chastising his brother about modesty, so the Messenger of Allah (ﷺ) said: "Al-Haya' is part of faith."


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
৩৮/ ঈমান (كتاب الإيمان عن رسول الله ﷺ) 38. The Book on Faith
২৬১৬

পরিচ্ছেদঃ ৮. নামাযের মাহাত্ম্য

২৬১৬। মু’আয ইবনু জাবাল (রাযিঃ) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি কোন এক ভ্রমণে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর সাথে ছিলাম। একদিন যেতে যেতে আমি তার নিকটবর্তী হলাম। আমি বললাম, হে আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এমন একটি কাজ সম্পর্কে আমাকে জানিয়ে দিন যা আমাকে জান্নাতে প্রবেশ করাবে এবং জাহান্নাম হতে দূরে রাখবে। তিনি বললেনঃ তুমি তো আমাকে একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে প্রশ্ন করেছো। তবে সেই ব্যক্তির জন্য এ ব্যাপারটা অতি সহজ যে ব্যক্তির জন্য আল্লাহ তা’আলা তা সহজ করে দেন।

তুমি আল্লাহ তা’আলার ইবাদাত করবে, কোন কিছুকে তার সাথে শরীক করবে না, নামায প্রতিষ্ঠা করবে, যাকাত দিবে, রামাযানের রোযা রাখবে এবং বাইতুল্লাহর হাজ্জ করবে। তিনি আরো বললেনঃ আমি কি তোমাকে কল্যাণের দরজাসমূহ সম্পর্কে বলে দিব না? রোযা হলো ঢালস্বরূপ, দান-খাইরাত গুনাহসমূহ বিলীন করে দেয়, যেমনিভাবে পানি আগুনকে নিভিয়ে দেয় এবং কোন ব্যক্তির মধ্যরাতের নামায আদায় করা। তারপর তিনি এই আয়াতটি তিলাওয়াত করেনঃ “তাদের দেহপাশ বিছানা থেকে আলাদা হয়ে যায় এবং তারা তাদের প্রভুকে ডাকে আশায় ও ভয়ে এবং আমি তাদেরকে যে রিযক দান করেছি তা থেকে তারা ব্যয় করে। কেউই জানে না তাদের জন্য নয়নপ্রীতিকর কি লুকিয়ে রাখা হয়েছে তাদের কৃতকর্মের পুরস্কারস্বরূপ " (সূরা আস-সিজদা ১৬, ১৭)

তিনি আবার বলেনঃ আমি কি সমস্ত কাজের মূল, স্তম্ভ ও সর্বোচ্চ শিখর সম্পর্কে তোমাকে অবহিত করবো না? আমি বললাম, হ্যাঁ, ইয়া রাসূলাল্লাহ! তিনি বললেনঃ সকল কাজের মূল হলো ইসলাম, স্তম্ভ হলো নামায এবং সর্বোচ্চ শিখর হলো জিহাদ। তিনি আরো বললেন? আমি কি এসব কিছুর সার সম্পর্কে তোমাকে বলব না? আমি বললাম, হ্যাঁ, হে আল্লাহর রাসূল! তিনি তার জিহ্বা ধরে বললেনঃ এটা সংযত রাখ। আমি প্রশ্ন করলাম, হে আল্লাহর নবী! আমরা যে কথাবার্তা বলি এগুলো সম্পর্কেও কি পাকড়াও করা (জবাবদিহি) হবে? তিনি বললেনঃ হে মু’আয! তোমার মা তোমাকে হারিয়ে ফেলুক! মানুষকে শুধুমাত্র জিহবার উপার্জনের কারণেই অধঃমুখে জাহান্নামে নিক্ষেপ করা হবে।

সহীহঃ ইবনু মাজাহ (৩৯৭৩)।

আবূ ঈসা বলেন, এ হাদীসটি হাসান সহীহ।

باب مَا جَاءَ فِي حُرْمَةِ الصَّلاَةِ ‏

حَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي عُمَرَ، حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ مُعَاذٍ الصَّنْعَانِيُّ، عَنْ مَعْمَرٍ، عَنْ عَاصِمِ بْنِ أَبِي النَّجُودِ، عَنْ أَبِي وَائِلٍ، عَنْ مُعَاذِ بْنِ جَبَلٍ، قَالَ كُنْتُ مَعَ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم فِي سَفَرٍ فَأَصْبَحْتُ يَوْمًا قَرِيبًا مِنْهُ وَنَحْنُ نَسِيرُ فَقُلْتُ يَا رَسُولَ اللَّهِ أَخْبِرْنِي بِعَمَلٍ يُدْخِلُنِي الْجَنَّةَ وَيُبَاعِدُنِي مِنَ النَّارِ ‏.‏ قَالَ ‏"‏ لَقَدْ سَأَلْتَنِي عَنْ عَظِيمٍ وَإِنَّهُ لَيَسِيرٌ عَلَى مَنْ يَسَّرَهُ اللَّهُ عَلَيْهِ تَعْبُدُ اللَّهَ وَلاَ تُشْرِكُ بِهِ شَيْئًا وَتُقِيمُ الصَّلاَةَ وَتُؤْتِي الزَّكَاةَ وَتَصُومُ رَمَضَانَ وَتَحُجُّ الْبَيْتَ ‏"‏ ‏.‏ ثُمَّ قَالَ ‏"‏ أَلاَ أَدُلُّكَ عَلَى أَبْوَابِ الْخَيْرِ الصَّوْمُ جُنَّةٌ وَالصَّدَقَةُ تُطْفِئُ الْخَطِيئَةَ كَمَا يُطْفِئُ الْمَاءُ النَّارَ وَصَلاَةُ الرَّجُلِ مِنْ جَوْفِ اللَّيْلِ ‏"‏ ‏.‏ قَالَ ثُمَّ تَلاََ‏:‏ ‏(‏ تَتَجَافَى جُنُوبُهُمْ عَنِ الْمَضَاجِعِ ‏)‏ حَتَّى بَلَغَ‏:‏ ‏(‏يَعْمَلُونَ‏)‏ ثُمَّ قَالَ ‏"‏ أَلاَ أُخْبِرُكَ بِرَأْسِ الأَمْرِ كُلِّهِ وَعَمُودِهِ وَذِرْوَةِ سَنَامِهِ ‏"‏ ‏.‏ قُلْتُ بَلَى يَا رَسُولَ اللَّهِ ‏.‏ قَالَ ‏"‏ رَأْسُ الأَمْرِ الإِسْلاَمُ وَعَمُودُهُ الصَّلاَةُ وَذِرْوَةُ سَنَامِهِ الْجِهَادُ ‏"‏ ‏.‏ ثُمَّ قَالَ ‏"‏ أَلاَ أُخْبِرُكَ بِمَلاَكِ ذَلِكَ كُلِّهِ ‏"‏ ‏.‏ قُلْتُ بَلَى يَا نَبِيَّ اللَّهِ قَالَ فَأَخَذَ بِلِسَانِهِ قَالَ ‏"‏ كُفَّ عَلَيْكَ هَذَا ‏"‏ ‏.‏ فَقُلْتُ يَا نَبِيَّ اللَّهِ وَإِنَّا لَمُؤَاخَذُونَ بِمَا نَتَكَلَّمُ بِهِ فَقَالَ ‏"‏ ثَكِلَتْكَ أُمُّكَ يَا مُعَاذُ وَهَلْ يَكُبُّ النَّاسَ فِي النَّارِ عَلَى وُجُوهِهِمْ أَوْ عَلَى مَنَاخِرِهِمْ إِلاَّ حَصَائِدُ أَلْسِنَتِهِمْ ‏"‏ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ ‏.‏

حدثنا ابن ابي عمر، حدثنا عبد الله بن معاذ الصنعاني، عن معمر، عن عاصم بن ابي النجود، عن ابي واىل، عن معاذ بن جبل، قال كنت مع النبي صلى الله عليه وسلم في سفر فاصبحت يوما قريبا منه ونحن نسير فقلت يا رسول الله اخبرني بعمل يدخلني الجنة ويباعدني من النار ‏.‏ قال ‏"‏ لقد سالتني عن عظيم وانه ليسير على من يسره الله عليه تعبد الله ولا تشرك به شيىا وتقيم الصلاة وتوتي الزكاة وتصوم رمضان وتحج البيت ‏"‏ ‏.‏ ثم قال ‏"‏ الا ادلك على ابواب الخير الصوم جنة والصدقة تطفى الخطيىة كما يطفى الماء النار وصلاة الرجل من جوف الليل ‏"‏ ‏.‏ قال ثم تلا‏:‏ ‏(‏ تتجافى جنوبهم عن المضاجع ‏)‏ حتى بلغ‏:‏ ‏(‏يعملون‏)‏ ثم قال ‏"‏ الا اخبرك براس الامر كله وعموده وذروة سنامه ‏"‏ ‏.‏ قلت بلى يا رسول الله ‏.‏ قال ‏"‏ راس الامر الاسلام وعموده الصلاة وذروة سنامه الجهاد ‏"‏ ‏.‏ ثم قال ‏"‏ الا اخبرك بملاك ذلك كله ‏"‏ ‏.‏ قلت بلى يا نبي الله قال فاخذ بلسانه قال ‏"‏ كف عليك هذا ‏"‏ ‏.‏ فقلت يا نبي الله وانا لمواخذون بما نتكلم به فقال ‏"‏ ثكلتك امك يا معاذ وهل يكب الناس في النار على وجوههم او على مناخرهم الا حصاىد السنتهم ‏"‏ ‏.‏ قال ابو عيسى هذا حديث حسن صحيح ‏.‏


Narrated Mu'adh bin Jabal:
"I accompanied the Prophet (ﷺ) on a journey. One day I was near him while we were moving so I said: 'O Messenger of Allah! Inform me about an action by which I will be admitted into Paradise, and which will keep me far from the Fire.' He said: 'You have asked me about something great, but it is easy for whomever Allah makes it easy: Worship Allah and do not associate any partners with Him, establish the Salat, give the Zakat, fast Ramadan and perform Hajj to the HOuse.' Then he said: 'Shall I not guide you to the doors of good? Fasting is a shield, and charity extinguishes sins like water extinguishes fire - and a man's praying in depths of the night.'" He said: "Then he recited: 'Their sides forsake their beds to call upon their Lord.' Until he reached: 'What they used to do.' [32:16-17] Then he said: 'Shall I not inform you about the head of the entire matter, and its pillar, and its hump?' I said: 'Of course O Messenger of Allah! He said: 'The head of the matter is Islam, and its pillar is the Salat, and its hump is Jihad.' Then he said: 'Shall I not inform you about what governs all of that?' I said: 'Of course O Messenger of Allah!'" He (ﷺ) said: "So he grabbed his tongue. He said 'Restrain this.' I said: 'O Prophet of Allah! Will we be taken to account for what we say?' He said: 'May your mother grieve your loss O Mu'adh! Are the people tossed into the Fire upon their faces, or upon their noses, except because of what their tongues have wrought'"


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
৩৮/ ঈমান (كتاب الإيمان عن رسول الله ﷺ) 38. The Book on Faith
২৬১৭

পরিচ্ছেদঃ ৮. নামাযের মাহাত্ম্য

২৬১৭। আবূ সাঈদ (রাঃ) হতে বর্ণিত আছে, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ তোমরা কাউকে মসজিদের খিদমাতে নিয়োজিত দেখলে তাকে ইমানদার বলে সাক্ষ্য দিও। কেননা আল্লাহ্ তা’আলা বলেনঃ “আল্লাহর মসজিদসমূহের তো তারাই রক্ষণাবেক্ষণ করে, যারা আল্লাহ ও পরকালে ঈমান রাখে, নামায কায়িম করে এবং যাকাত প্রদান করে"। (সূরা তাওবাঃ ১৮)

যঈফ, ইবনু মাজাহ (৮০২)

আবূ ঈসা বলেনঃ এ হাদীসটি গারীব হাসান।

باب مَا جَاءَ فِي حُرْمَةِ الصَّلاَةِ ‏

حَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي عُمَرَ، حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ وَهْبٍ، عَنْ عَمْرِو بْنِ الْحَارِثِ، عَنْ دَرَّاجٍ أَبِي السَّمْحِ، عَنْ أَبِي الْهَيْثَمِ، عَنْ أَبِي سَعِيدٍ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏"‏ إِذَا رَأَيْتُمُ الرَّجُلَ يَتَعَاهَدُ الْمَسْجِدَ فَاشْهَدُوا لَهُ بِالإِيمَانِ فَإِنَّ اللَّهَ تَعَالَى يَقُولُ‏:‏ ‏(‏إِنَّمَا يَعْمُرُ مَسَاجِدَ اللَّهِ مَنْ آمَنَ بِاللَّهِ وَالْيَوْمِ الآخِرِ وَأَقَامَ الصَّلاَةَ وَآتَى الزَّكَاةَ ‏)‏ ‏"‏ ‏.‏ الآيَةَ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ غَرِيبٌ حَسَنٌ ‏.‏

حدثنا ابن ابي عمر، حدثنا عبد الله بن وهب، عن عمرو بن الحارث، عن دراج ابي السمح، عن ابي الهيثم، عن ابي سعيد، قال قال رسول الله صلى الله عليه وسلم ‏"‏ اذا رايتم الرجل يتعاهد المسجد فاشهدوا له بالايمان فان الله تعالى يقول‏:‏ ‏(‏انما يعمر مساجد الله من امن بالله واليوم الاخر واقام الصلاة واتى الزكاة ‏)‏ ‏"‏ ‏.‏ الاية ‏.‏ قال ابو عيسى هذا حديث غريب حسن ‏.‏


Narrated Abu Sa'eed:
that the Messenger of Allah (ﷺ) said: "If you see a man who comes to the Masjid then bear witness to his faith." Because Allah, the Exalted, says: Only those who believe in Allah, and the Last Day, and establish the Salat, and give the Zakat (should) maintain the Masajid until the end of the Ayah (9:18)


হাদিসের মানঃ যঈফ (Dai'f)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
৩৮/ ঈমান (كتاب الإيمان عن رسول الله ﷺ) 38. The Book on Faith
২৬১৮

পরিচ্ছেদঃ ৯. নামায ত্যাগের পরিণতি

২৬১৮। জাবির (রাযিঃ) হতে বর্ণিত আছে যে, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ কুফর ও ঈমানের মধ্যে পার্থক্য হল নামায ত্যাগ করা।

সহীহঃ ইবনু মা-জাহ (১০৭৮), মুসলিম।

باب مَا جَاءَ فِي تَرْكِ الصَّلاَةِ ‏

حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ، حَدَّثَنَا جَرِيرٌ، وَأَبُو مُعَاوِيَةَ عَنِ الأَعْمَشِ، عَنْ أَبِي سُفْيَانَ، عَنْ جَابِرٍ، أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم قَالَ ‏ "‏ بَيْنَ الْكُفْرِ وَالإِيمَانِ تَرْكُ الصَّلاَةِ ‏"‏ ‏.‏

حدثنا قتيبة، حدثنا جرير، وابو معاوية عن الاعمش، عن ابي سفيان، عن جابر، ان النبي صلى الله عليه وسلم قال ‏ "‏ بين الكفر والايمان ترك الصلاة ‏"‏ ‏.‏


Narrated Jabir:
that the Prophet (ﷺ) said: "Between disbelief and faith is abandoning the Salat."


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
৩৮/ ঈমান (كتاب الإيمان عن رسول الله ﷺ) 38. The Book on Faith
২৬১৯

পরিচ্ছেদঃ ৯. নামায ত্যাগের পরিণতি

২৬১৯। আমাশ (রহঃ) হতেও উপরোক্ত সনদে একই রকম হাদীস বর্ণিত আছে। এতে রাসূলুল্লাহ বলেছেনঃ বান্দাহ ও শিরকের মধ্যে অথবা বান্দাহ্ ও কুফরীর মধ্যে পার্থক্য হল নামায ত্যাগ করা।

সহীহঃ দেখুন পূর্বের হাদীস

আবূ ঈসা বলেন, এ হাদীসটি হাসান সহীহ। আবূ সুফইয়ানের নাম তালহা ইবনু নাফি।

باب مَا جَاءَ فِي تَرْكِ الصَّلاَةِ ‏

حَدَّثَنَا هَنَّادٌ، حَدَّثَنَا أَسْبَاطُ بْنُ مُحَمَّدٍ، عَنِ الأَعْمَشِ، بِهَذَا الإِسْنَادِ نَحْوَهُ وَقَالَ ‏ "‏ بَيْنَ الْعَبْدِ وَبَيْنَ الشِّرْكِ أَوِ الْكُفْرِ تَرْكُ الصَّلاَةِ ‏"‏ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ وَأَبُو سُفْيَانَ اسْمُهُ طَلْحَةُ بْنُ نَافِعٍ ‏.‏

حدثنا هناد، حدثنا اسباط بن محمد، عن الاعمش، بهذا الاسناد نحوه وقال ‏ "‏ بين العبد وبين الشرك او الكفر ترك الصلاة ‏"‏ ‏.‏ قال ابو عيسى هذا حديث حسن صحيح وابو سفيان اسمه طلحة بن نافع ‏.‏


Narrated Al-A'mash:
Similar to the previous chain and said: "Between a slave and Shirk or disbelief is abandoning the Salat."


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ আ‘মাশ (রহঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
৩৮/ ঈমান (كتاب الإيمان عن رسول الله ﷺ) 38. The Book on Faith
২৬২০

পরিচ্ছেদঃ ৯. নামায ত্যাগের পরিণতি

২৬২০। জাবির (রাযিঃ) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ (মু’মিন) বান্দাহ্ ও কুফরের মধ্যে পার্থক্য হলো নামায ত্যাগ করা।

পূর্বের হাদীসের সহায়তায় সহীহ, মুসলিম

আবূ ঈসা বলেন, এ হাদীসটি হাসান সহীহ। আবূয যুবাইরের নাম মুহাম্মাদ ইবনু মুসলিম ইবনু তাদরুস। তিনি তাদলীস করেন বলে প্রসিদ্ধ।

باب مَا جَاءَ فِي تَرْكِ الصَّلاَةِ ‏

حَدَّثَنَا هَنَّادٌ، حَدَّثَنَا وَكِيعٌ، عَنْ سُفْيَانَ، عَنْ أَبِي الزُّبَيْرِ، عَنْ جَابِرٍ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏ "‏ بَيْنَ الْعَبْدِ وَبَيْنَ الْكُفْرِ تَرْكُ الصَّلاَةِ ‏"‏ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ وَأَبُو الزُّبَيْرِ اسْمُهُ مُحَمَّدُ بْنُ مُسْلِمِ بْنِ تَدْرُسَ ‏.‏

حدثنا هناد، حدثنا وكيع، عن سفيان، عن ابي الزبير، عن جابر، قال قال رسول الله صلى الله عليه وسلم ‏ "‏ بين العبد وبين الكفر ترك الصلاة ‏"‏ ‏.‏ قال ابو عيسى هذا حديث حسن صحيح وابو الزبير اسمه محمد بن مسلم بن تدرس ‏.‏


Narrated Jabir:
that the Messenger of Allah (ﷺ) said: "Between a slave of Allah and disbelief is abandoning the Salat."


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
৩৮/ ঈমান (كتاب الإيمان عن رسول الله ﷺ) 38. The Book on Faith
২৬২১

পরিচ্ছেদঃ ৯. নামায ত্যাগের পরিণতি

২৬২১। বুরাইদাহ (রাযিঃ) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ আমাদের ও তাদের (কাফিরদের) মধ্যে (মুক্তির) যে প্রতিশ্রুতি আছে তা হল নামায। সুতরাং যে ব্যক্তি নামায ছেড়ে দেয়, সে কুফুরী কাজ করে।

সহীহঃ ইবনু মাজাহ (১০৭৯)

আনাস ও ইবনু আব্বাস (রাযিঃ) হতেও এ অনুচ্ছেদে হাদীস বর্ণিত আছে। আবূ ঈসা বলেন, এ হাদীসটি হাসান সহীহ গারীব।

باب مَا جَاءَ فِي تَرْكِ الصَّلاَةِ ‏

حَدَّثَنَا أَبُو عَمَّارٍ الْحُسَيْنُ بْنُ حُرَيْثٍ، وَيُوسُفُ بْنُ عِيسَى، قَالاَ حَدَّثَنَا الْفَضْلُ بْنُ مُوسَى، عَنِ الْحُسَيْنِ بْنِ وَاقِدٍ، ح وَحَدَّثَنَا أَبُو عَمَّارٍ الْحُسَيْنُ بْنُ حُرَيْثٍ، وَمَحْمُودُ بْنُ غَيْلاَنَ، قَالاَ حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ الْحُسَيْنِ بْنِ وَاقِدٍ، عَنْ أَبِيهِ، ح وَحَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عَلِيِّ بْنِ الْحَسَنِ بْنِ شَقِيقٍ، وَمَحْمُودُ بْنُ غَيْلاَنَ، قَالاَ حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ الْحَسَنِ بْنِ شَقِيقٍ، عَنِ الْحُسَيْنِ بْنِ وَاقِدٍ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ بُرَيْدَةَ، عَنْ أَبِيهِ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏ "‏ الْعَهْدُ الَّذِي بَيْنَنَا وَبَيْنَهُمُ الصَّلاَةُ فَمَنْ تَرَكَهَا فَقَدْ كَفَرَ ‏"‏ ‏.‏ وَفِي الْبَابِ عَنْ أَنَسٍ وَابْنِ عَبَّاسٍ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ غَرِيبٌ ‏.‏

حدثنا ابو عمار الحسين بن حريث، ويوسف بن عيسى، قالا حدثنا الفضل بن موسى، عن الحسين بن واقد، ح وحدثنا ابو عمار الحسين بن حريث، ومحمود بن غيلان، قالا حدثنا علي بن الحسين بن واقد، عن ابيه، ح وحدثنا محمد بن علي بن الحسن بن شقيق، ومحمود بن غيلان، قالا حدثنا علي بن الحسن بن شقيق، عن الحسين بن واقد، عن عبد الله بن بريدة، عن ابيه، قال قال رسول الله صلى الله عليه وسلم ‏ "‏ العهد الذي بيننا وبينهم الصلاة فمن تركها فقد كفر ‏"‏ ‏.‏ وفي الباب عن انس وابن عباس ‏.‏ قال ابو عيسى هذا حديث حسن صحيح غريب ‏.‏


Narrated Abdullah bin Buraidah narrated from his father:
that the Messenger of Allah (ﷺ) said: "The covenant between us and them is the Salat, so whoever abandons it he has committed disbelief."


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
৩৮/ ঈমান (كتاب الإيمان عن رسول الله ﷺ) 38. The Book on Faith
২৬২২

পরিচ্ছেদঃ ৯. নামায ত্যাগের পরিণতি

২৬২২। আবদুল্লাহ ইবনু শাকীক আল-উকাইলী (রাহঃ) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর কোন সাহাবী নামায ব্যাতিত অন্য কোন আমল ছেড়ে দেয়াকে কুফুরী কাজ বলে মনে করতেন না।

সহীহঃ সহীহুত তারগীব (১/২২৭-৫৬৫)

আবু ঈসা বলেন, আমি আবু মুসআব আল মাদানীকে বলতে শুনেছি, যে ব্যক্তি বলে যে, “শুধুমাত্র মৌখিক স্বীকৃতির নামই ঈমান” তাকে তওবাহ করতে বলা হবে, তওবাহ না করলে তাকে হত্যা করতে হবে।

باب مَا جَاءَ فِي تَرْكِ الصَّلاَةِ ‏

حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ، حَدَّثَنَا بِشْرُ بْنُ الْمُفَضَّلِ، عَنِ الْجُرَيْرِيِّ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ شَقِيقٍ الْعُقَيْلِيِّ، قَالَ كَانَ أَصْحَابُ مُحَمَّدٍ صلى الله عليه وسلم لاَ يَرَوْنَ شَيْئًا مِنَ الأَعْمَالِ تَرْكُهُ كُفْرٌ غَيْرَ الصَّلاَةِ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى سَمِعْتُ أَبَا مُصْعَبٍ الْمَدَنِيَّ يَقُولُ مَنْ قَالَ الإِيمَانُ قَوْلٌ يُسْتَتَابُ فَإِنْ تَابَ وَإِلاَّ ضُرِبَتْ عُنُقُهُ ‏.‏

حدثنا قتيبة، حدثنا بشر بن المفضل، عن الجريري، عن عبد الله بن شقيق العقيلي، قال كان اصحاب محمد صلى الله عليه وسلم لا يرون شيىا من الاعمال تركه كفر غير الصلاة ‏.‏ قال ابو عيسى سمعت ابا مصعب المدني يقول من قال الايمان قول يستتاب فان تاب والا ضربت عنقه ‏.‏


Narrated Abdullah bin Shaqiq Al-'Uqayli:
The Companions of Muhammad (ﷺ) didn't consider leaving anything to be disblief except for the Salat.


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
৩৮/ ঈমান (كتاب الإيمان عن رسول الله ﷺ) 38. The Book on Faith
২৬২৩

পরিচ্ছেদঃ ১০. (ঈমানের স্বাদ লাভকারী ব্যক্তি)

২৬২৩। আল-আব্বাস ইবনু আবদিল মুত্তালিব (রাযিঃ) হতে বর্ণিত আছে যে, তিনি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে বলতে শুনেছেনঃ সেই ব্যক্তি ঈমানের স্বাদ লাভ করেছে, যে ব্যক্তি আল্লাহ তা’আলাকে প্রতিপালক হিসেবে, ইসলামকে দ্বীন হিসেবে এবং মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কে নবী হিসেবে খুশী মনে মেনে নিয়েছে।

সহীহঃ মুসলিম (১/৪৬)

আবূ ঈসা বলেন, এ হাদীসটি হাসান সহীহ।

باب ‏

حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ، حَدَّثَنَا اللَّيْثُ، عَنِ ابْنِ الْهَادِ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ إِبْرَاهِيمَ بْنِ الْحَارِثِ، عَنْ عَامِرِ بْنِ سَعْدِ بْنِ أَبِي وَقَّاصٍ، عَنِ الْعَبَّاسِ بْنِ عَبْدِ الْمُطَّلِبِ، أَنَّهُ سَمِعَ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ ‏ "‏ ذَاقَ طَعْمَ الإِيمَانِ مَنْ رَضِيَ بِاللَّهِ رَبًّا وَبِالإِسْلاَمِ دِينًا وَبِمُحَمَّدٍ نَبِيًّا ‏"‏ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ ‏.‏

حدثنا قتيبة، حدثنا الليث، عن ابن الهاد، عن محمد بن ابراهيم بن الحارث، عن عامر بن سعد بن ابي وقاص، عن العباس بن عبد المطلب، انه سمع رسول الله صلى الله عليه وسلم يقول ‏ "‏ ذاق طعم الايمان من رضي بالله ربا وبالاسلام دينا وبمحمد نبيا ‏"‏ ‏.‏ قال ابو عيسى هذا حديث حسن صحيح ‏.‏


Narrated Al-Abbas bin Abdul-Muttalib:
that he heard the Messenger of Allah (ﷺ) say: "Whoever is pleased with Allah as (his) Lord, and Islam as (his) religion, and Muhammad as (his) Prophet, then he has tasted the sweetness of faith."


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
৩৮/ ঈমান (كتاب الإيمان عن رسول الله ﷺ) 38. The Book on Faith
২৬২৪

পরিচ্ছেদঃ ১০. (ঈমানের স্বাদ লাভকারী ব্যক্তি)

২৬২৪ আনাস ইবনু মালিক (রাযিঃ) হতে বর্ণিত আছে যে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ যে ব্যক্তির মধ্যে তিনটি গুণ রয়েছে সে ঈমানের স্বাদ লাভ করেছে। (১) যে ব্যক্তির কাছে আল্লাহ ও তার রাসূলই অন্য সকল কিছু হতে প্রিয়তর, (২) যে আল্লাহ তা’আলার ওয়াস্তে কোন মানুষকে ভালবাসে এবং (৩) আল্লাহ তা’আলা কাউকে (ঈমানের মাধ্যমে) কুফুর হতে মুক্তিদানের পর সে আবার তাতে ফিরে যেতে এতটা অপছন্দ করে যতটা অপছন্দ করে আগুনে নিক্ষিপ্ত হতে।

সহীহঃ ইবনু মা-জাহ (৪০৩৩), বুখারী ও মুসলিম।

আবূ ঈসা বলেন, এ হাদীসটি হাসান সহীহ। কাতাদাহ (রাযিঃ) এ হাদীসটি আনাস ইবনু মালিক (রাযিঃ)-এর বরাতে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হতে বর্ণনা করেছেন।

باب ‏

حَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي عُمَرَ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الْوَهَّابِ الثَّقَفِيُّ، عَنْ أَيُّوبَ، عَنْ أَبِي قِلاَبَةَ، عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ ‏ "‏ ثَلاَثٌ مَنْ كُنَّ فِيهِ وَجَدَ بِهِنَّ طَعْمَ الإِيمَانِ مَنْ كَانَ اللَّهُ وَرَسُولُهُ أَحَبَّ إِلَيْهِ مِمَّا سِوَاهُمَا وَأَنْ يُحِبَّ الْمَرْءَ لاَ يُحِبُّهُ إِلاَّ لِلَّهِ وَأَنْ يَكْرَهَ أَنْ يَعُودَ فِي الْكُفْرِ بَعْدَ إِذْ أَنْقَذَهُ اللَّهُ مِنْهُ كَمَا يَكْرَهُ أَنْ يُقْذَفَ فِي النَّارِ ‏"‏ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ وَقَدْ رَوَاهُ قَتَادَةُ عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم ‏.‏

حدثنا ابن ابي عمر، حدثنا عبد الوهاب الثقفي، عن ايوب، عن ابي قلابة، عن انس بن مالك، ان رسول الله صلى الله عليه وسلم قال ‏ "‏ ثلاث من كن فيه وجد بهن طعم الايمان من كان الله ورسوله احب اليه مما سواهما وان يحب المرء لا يحبه الا لله وان يكره ان يعود في الكفر بعد اذ انقذه الله منه كما يكره ان يقذف في النار ‏"‏ ‏.‏ قال ابو عيسى هذا حديث حسن صحيح وقد رواه قتادة عن انس بن مالك عن النبي صلى الله عليه وسلم ‏.‏


Narrated Anas bin Malik:
that the Messenger of Allah (ﷺ) said: "There are three things for which whomever has them, then he has tasted the sweetness of faith: The one for whom Allah and His Messenger are more beloved than anything else; whoever loves someone and he does not love him except for the sake of Allah, and whoever hates to return to disbelief after Allah has saved him from it, just as he hates to be thrown into fire."


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
৩৮/ ঈমান (كتاب الإيمان عن رسول الله ﷺ) 38. The Book on Faith
২৬২৫

পরিচ্ছেদঃ ১১. কেউ যিনায় লিপ্ত থাকা অবস্থায় মু’মিন থাকে না

২৬২৫। আবূ হুরাইরাহ (রাযিঃ) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ যিনাকারী যিনায় লিপ্ত থাকাবস্থায় মুমিন থাকে না, চোর চুরি করার সময় মুমিন থাকে না। তবে তওবা করার সুযোগ আছে।

সহীহ ইবনু মা-জাহ (৩৯৩৬), বুখারী ও মুসলিম।

ইবনু আব্বাস, আয়িশাহ ও আবদুল্লাহ ইবনু আবী আওফা (রাযিঃ) হতেও এ অনুচ্ছেদে হাদীস বর্ণিত আছে। আবূ ঈসা বলেন, আবূ হুরাইরাহ (রাযিঃ) হতে বর্ণিত হাদীসটি হাসান সহীহ এবং এ সূত্রে গারীব।

অধিকন্তু আবূ হুরাইরাহ (রাযিঃ) হতে বর্ণিত, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেনঃ “বান্দা যখন যিনায় লিপ্ত থাকে, তখন ঈমান তার থেকে বেরিয়ে যায় এবং ছায়ার মতো তার মাথার উপর অবস্থান করে। তারপর সে যখন সেই দুষ্কর্ম হতে সরে আসে তখন ঈমানও তার মাঝে ফিরে আসে।”

আবূ জাফর মুহাম্মাদ ইবনু আলী (রহঃ) হতে বর্ণিত আছে। তিনি বলেন, “অপরাধী ব্যক্তি এ ধরনের পরিস্থিতে ঈমানের স্তর হতে বেরিয়ে ইসলামের স্তরে নেমে আসে”।

একাধিক সূত্রে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হতে বর্ণিত, তিনি যিনা ও চুরি সম্পর্কে বলেনঃ “যে ব্যক্তি যিনা ও চুরির অপরাধে অপরাধী সাব্যস্ত হয়েছে এবং তার উপর হদ (নির্ধারিত শাস্তি) কার্যকর করা হয়েছে, তাতে তার গুনাহর কাফফারা হয়ে গেছে। আর কেউ এ অপরাধে লিপ্ত হলে এবং আল্লাহ তা’আলা তা গোপন রাখলে এটা আল্লাহ তা’আলার ইচ্ছার উপর নির্ভরশীল। তিনি চাইলে কিয়ামত দিবসে তাকে শাস্তিও দিতে পারেন, ক্ষমাও করতে পারেন"।

সহীহঃ সহীহাহ (২৩১৭), বুখারী ও মুসলিম।

তাছাড়া এ হাদীসটি আলী ইবনু আবূ তালিব, উবাদাহ ইবনুস সামিত ও খুযাইমাহ (রাযিঃ) প্রমুখগণ নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হতে বর্ণনা করেছেন।

باب مَا جَاءَ لاَ يَزْنِي الزَّانِي وَهُوَ مُؤْمِنٌ

حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ مَنِيعٍ، حَدَّثَنَا عَبِيدَةُ بْنُ حُمَيْدٍ، عَنِ الأَعْمَشِ، عَنْ أَبِي صَالِحٍ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏"‏ لاَ يَزْنِي الزَّانِي حِينَ يَزْنِي وَهُوَ مُؤْمِنٌ وَلاَ يَسْرِقُ السَّارِقُ حِينَ يَسْرِقُ وَهُوَ مُؤْمِنٌ وَلَكِنِ التَّوْبَةُ مَعْرُوضَةٌ ‏"‏ ‏.‏ وَفِي الْبَابِ عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ وَعَائِشَةَ وَعَبْدِ اللَّهِ بْنِ أَبِي أَوْفَى ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى حَدِيثُ أَبِي هُرَيْرَةَ حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ غَرِيبٌ مِنْ هَذَا الْوَجْهِ ‏.‏ - وَقَدْ رُوِيَ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ ‏"‏ إِذَا زَنَى الْعَبْدُ خَرَجَ مِنْهُ الإِيمَانُ فَكَانَ فَوْقَ رَأْسِهِ كَالظُّلَّةِ فَإِذَا خَرَجَ مِنْ ذَلِكَ الْعَمَلِ عَادَ إِلَيْهِ الإِيمَانُ ‏"‏ ‏.‏ وَقَدْ رُوِيَ عَنْ أَبِي جَعْفَرٍ مُحَمَّدِ بْنِ عَلِيٍّ أَنَّهُ قَالَ فِي هَذَا خَرَجَ مِنَ الإِيمَانِ إِلَى الإِسْلاَمِ ‏.‏ وَقَدْ رُوِيَ مِنْ غَيْرِ وَجْهٍ عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم أَنَّهُ قَالَ فِي الزِّنَا وَالسَّرِقَةِ ‏"‏ مَنْ أَصَابَ مِنْ ذَلِكَ شَيْئًا فَأُقِيمَ عَلَيْهِ الْحَدُّ فَهُوَ كَفَّارَةُ ذَنْبِهِ وَمَنْ أَصَابَ مِنْ ذَلِكَ شَيْئًا فَسَتَرَ اللَّهُ عَلَيْهِ فَهُوَ إِلَى اللَّهِ إِنْ شَاءَ عَذَّبَهُ يَوْمَ الْقِيَامَةِ وَإِنْ شَاءَ غَفَرَ لَهُ ‏"‏ ‏.‏ رَوَى ذَلِكَ عَلِيُّ بْنُ أَبِي طَالِبٍ وَعُبَادَةُ بْنُ الصَّامِتِ وَخُزَيْمَةُ بْنُ ثَابِتٍ عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم ‏.‏

حدثنا احمد بن منيع، حدثنا عبيدة بن حميد، عن الاعمش، عن ابي صالح، عن ابي هريرة، قال قال رسول الله صلى الله عليه وسلم ‏"‏ لا يزني الزاني حين يزني وهو مومن ولا يسرق السارق حين يسرق وهو مومن ولكن التوبة معروضة ‏"‏ ‏.‏ وفي الباب عن ابن عباس وعاىشة وعبد الله بن ابي اوفى ‏.‏ قال ابو عيسى حديث ابي هريرة حديث حسن صحيح غريب من هذا الوجه ‏.‏ - وقد روي عن ابي هريرة عن النبي صلى الله عليه وسلم قال ‏"‏ اذا زنى العبد خرج منه الايمان فكان فوق راسه كالظلة فاذا خرج من ذلك العمل عاد اليه الايمان ‏"‏ ‏.‏ وقد روي عن ابي جعفر محمد بن علي انه قال في هذا خرج من الايمان الى الاسلام ‏.‏ وقد روي من غير وجه عن النبي صلى الله عليه وسلم انه قال في الزنا والسرقة ‏"‏ من اصاب من ذلك شيىا فاقيم عليه الحد فهو كفارة ذنبه ومن اصاب من ذلك شيىا فستر الله عليه فهو الى الله ان شاء عذبه يوم القيامة وان شاء غفر له ‏"‏ ‏.‏ روى ذلك علي بن ابي طالب وعبادة بن الصامت وخزيمة بن ثابت عن النبي صلى الله عليه وسلم ‏.‏


Narrated Abu Hurairah:
that the Messenger of Allah (ﷺ) said: "The adulterer is not a believer while he is committing adultery, and the thief is not a believer while he is stealing, but there is a chance for repentance; (if he repents, Allah will accept the repentance)."


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ আবূ হুরায়রা (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
৩৮/ ঈমান (كتاب الإيمان عن رسول الله ﷺ) 38. The Book on Faith
দেখানো হচ্ছেঃ থেকে ২০ পর্যন্ত, সর্বমোট ৩৯ টি রেকর্ডের মধ্য থেকে পাতা নাম্বারঃ 1 2 পরের পাতা »