পরিচ্ছেদঃ ১৯৯২. জাহান্নামের বিবরণ আর তা সৃষ্টবস্তু। غَسَاقًا প্রবাহিত পুঁজ যেমন কেউ বলে, তার চোখ প্রবাহিত হয়েছে ও ঘা প্রবাহিত হচ্ছে। غَسَاق আর غسيق একই অর্থ। غِسْلِينَ যে কোন বস্তুকে ধৌত করার পর তা থেকে যা কিছু বের হয়, তাকে غِسْلِينَ বলা হয়, এটা غَسْلِ শব্দ থেকে فِعْلِينَ এর ওযনে হয়ে থাকে। ইকরিমা (রহঃ) বলেছেন, حَصَبُ جَهَنَّمَ এর অর্থ জাহান্নামের জ্বালানী। এটা হাবশীদের ভাষা। আর অন্যরা বলেছেন, حَاصِبًا অর্থ দমকা হাওয়া। আর الْحَاصِبُ অর্থ বায়ু যা ছুড়ে ফেলে। এ থেকে হয়েছে حَصَبُ جَهَنَّمَ যার অর্থ হচ্ছে যা কিছু জাহান্নামে ছুড়ে ফেলা হয় আর এগুলোই এর জ্বালানী। الْحَصَبُ আর শব্দটি حَصْبَاءِ শব্দ হতে উৎপত্তি। যার অর্থ কংকরসমূহ। صَدِيدٌ পুঁজ ও রক্ত। خَبَتْ- নিভে গেছে। تُورُونَ তোমরা আগুন বের করছ। أَوْرَيْتُ অর্থ আমি আগুন জালিয়েছি। لِلْمُقْوِينَ মুসাফিরগনের উপকারার্থে। আর الْقِيُّ তরুলতা বিহীন মাঠ। ইবন আব্বাস (রাঃ) বলেছেন, صِرَاطُ الْجَحِيمِ অর্থ জাহান্নামের দিক ও তার মধ্যস্থল। لَشَوْبًا তাদের খাদ্য অতি গরম পানির সাথে মিশানো হবে। زَفِيرٌ وَشَهِيقٌ কঠোর চিৎকার ও আর্তনাদ। وِرْدًا পিপাসার্ত। غَيًّا ক্ষতিগ্রস্ত। মুজাহিদ (রহঃ) বলেছেন, يُسْجَرُونَ তাদের দ্বারা আগুন জালানো হবে। আর نُحَاسٌ অর্থ শীশা যা গলিয়ে তাদের মাথায় ঢেলে দেওয়া হবে। বলা হয়েছে, ذُوقُوا এর অর্থ স্বাদ গ্রহন কর এবং অভিজ্ঞতা হাসিল কর। এটা কিন্তু মুখের দ্বারা স্বাদ গ্রহ করা নয়। مَارِجٌ নির্ভেজাল অগ্নি। مَرَجَ الأَمِيرُ رَعِيَّتَهُ আমীর তার প্রজাকে ছেড়ে দিয়েছে, কথাটি এ সময় বলা হয় যখন সে তাদেরকে ছেড়ে দেয় আর তারা একে অন্যের প্রতি অত্যাচার করতে থাকে। مَرِيجٍ মিশ্রিত। مَرَجَ أَمْرُ النَّاسِ যখন মানুষ কোন বিষয় তালগোল পাকিয়ে যায়। আর مَرَجَ الْبَحْرَيْنِ অর্থ তিনি দু’টি নদী প্রবাহিত করেছেন। مَرَجْتَ دَابَّتَكَ এ কথাটি সে সময় বলা হয়, যখন তুমি তোমার চতুষ্পদ জন্তুকে ছেড়ে দাও।
৩০৩৩। আবদুল্লাহ ইবনু মুহাম্মদ (রহঃ) ... আবূ জামরা যুবায়ী (রহঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি মক্কায় ইবনু আব্বাস (রাঃ) এর কাছে বসতাম। একবার আমি জ্বরে আক্রান্ত হই। তখন তিনি আমাকে বললেন, ’তুমি তোমার গায়ের জ্বর যমযমের পানি দ্বারা শীতল কর।’ কেননা, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, এটা দোযখের উত্তাপ থেকেই হয়ে থাকে। অতএব তোমরা তা পানি দ্বারা ঠান্ডা কর অথবা বলেছেন, যমযমের পানি ঠান্ডা কর। (এর কোনটা রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন) এ বিষয়ে বর্ণনাকারী হাম্মাম সন্দেহ পোষণ করেছেন।
باب صِفَةِ النَّارِ وَأَنَّهَا مَخْلُوقَةٌ {غَسَاقًا} يُقَالُ غَسَقَتْ عَيْنُهُ وَيَغْسِقُ الْجُرْحُ، وَكَأَنَّ الْغَسَاقَ وَالْغَسْقَ وَاحِدٌ. {غِسْلِينَ} كُلُّ شَيْءٍ غَسَلْتَهُ فَخَرَجَ مِنْهُ شَيْءٌ فَهُوَ غِسْلِينَ، فِعْلِينَ مِنَ الْغَسْلِ مِنَ الْجُرْحِ وَالدَّبَرِ. وَقَالَ عِكْرِمَةُ: {حَصَبُ جَهَنَّمَ} حَطَبُ بِالْحَبَشِيَّةِ. وَقَالَ غَيْرُهُ: {حَاصِبًا} الرِّيحُ الْعَاصِفُ، وَالْحَاصِبُ مَا تَرْمِي بِهِ الرِّيحُ، وَمِنْهُ حَصَبُ جَهَنَّمَ، يُرْمَى بِهِ فِي جَهَنَّمَ هُمْ حَصَبُهَا، وَيُقَالُ حَصَبَ فِي الأَرْضِ ذَهَبَ، وَالْحَصَبُ مُشْتَقٌّ مِنْ حَصْبَاءِ الْحِجَارَةِ. {صَدِيدٌ} قَيْحٌ وَدَمٌ. {خَبَتْ} طَفِئَتْ. {تُورُونَ} تَسْتَخْرِجُونَ، أَوْرَيْتُ أَوْقَدْتُ. {لِلْمُقْوِينَ} لِلْمُسَافِرِينَ، وَالْقِيُّ الْقَفْرُ. وَقَالَ ابْنُ عَبَّاسٍ صِرَاطُ الْجَحِيمِ سَوَاءُ الْجَحِيمِ وَوَسَطُ الْجَحِيمِ {لَشَوْبًا مِنْ حَمِيمٍ} يُخْلَطُ طَعَامُهُمْ وَيُسَاطُ بِالْحَمِيمِ. {زَفِيرٌ وَشَهِيقٌ} صَوْتٌ شَدِيدٌ، وَصَوْتٌ ضَعِيفٌ. {وِرْدًا} عِطَاشًا. {غَيًّا} خُسْرَانًا، وَقَالَ مُجَاهِدٌ: {يُسْجَرُونَ} تُوقَدُ بِهِمُ النَّارُ {وَنُحَاسٌ} الصُّفْرُ، يُصَبُّ عَلَى رُءُوسِهِمْ، يُقَالُ: {ذُوقُوا} بَاشِرُوا وَجَرِّبُوا، وَلَيْسَ هَذَا مِنْ ذَوْقِ الْفَمِ. مَارِجٌ خَالِصٌ مِنَ النَّارِ، مَرَجَ الأَمِيرُ رَعِيَّتَهُ إِذَا خَلاَّهُمْ يَعْدُو بَعْضُهُمْ عَلَى بَعْضٍ. {مَرِيجٍ} مُلْتَبِسٌ، مَرَجَ أَمْرُ النَّاسِ اخْتَلَطَ، {مَرَجَ الْبَحْرَيْنِ} مَرَجْتَ دَابَّتَكَ تَرَكْتَهَا
حَدَّثَنِي عَبْدُ اللَّهِ بْنُ مُحَمَّدٍ، حَدَّثَنَا أَبُو عَامِرٍ، حَدَّثَنَا هَمَّامٌ، عَنْ أَبِي جَمْرَةَ الضُّبَعِيِّ، قَالَ كُنْتُ أُجَالِسُ ابْنَ عَبَّاسٍ بِمَكَّةَ، فَأَخَذَتْنِي الْحُمَّى، فَقَالَ أَبْرِدْهَا عَنْكَ بِمَاءِ زَمْزَمَ، فَإِنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ " الْحُمَّى مِنْ فَيْحِ جَهَنَّمَ فَأَبْرِدُوهَا بِالْمَاءِ ". أَوْ قَالَ " بِمَاءِ زَمْزَمَ ". شَكَّ هَمَّامٌ.
Narrated Abu Jamra Ad-Dabi:
I used to sit with Ibn `Abbas in Mecca. Once I had a fever and he said (to me), "Cool your fever with Zamzam water, for Allah's Messenger (ﷺ) said: 'It, (the Fever) is from the heat of the (Hell) Fire; so, cool it with water (or Zamzam water).
পরিচ্ছেদঃ ২৬. হজ্জের মাসসমুহে উমরা পালন করা জায়েয
২৮৮৫। মুহাম্মাদ ইবনু মূসান্না ও ইবনু বাশশার (রহঃ) ... আবূ যামরা যুবাঈ (রহঃ) বলেন, আমি তামাত্তু হাজ্জ (হজ্জ) করলাম। কতিপয় লোক আমাকে তা করতে নিষেধ করল। আমি ইবনু আব্বাস (রাঃ) এর নিকট উপস্থিত হয়ে তাকে এ সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করলাম। তিনি আমাকে তা করার নির্দেশ দিলেন। এরপর আমি বায়তূল্লাহ শরীফে আসলাম এবং ঘূমালাম। স্বপ্নে আমার কাছে এক ব্যাক্তি এসে বলল, উমরাও কবুল হয়েছে এবং হাজ্জ (হজ্জ)ও কবুল হয়েছে। আমি ইবনু আব্বাস (রাঃ)-এর নিকট উপস্থিত হয়ে তাকে এ স্বপ্নের কথা বললাম। তিনি বললেন, আল্লাহু আকবার, আল্লাহু আকবার! এতো আবূল কাসিম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সুন্নাত।
باب جَوَازِ الْعُمْرَةِ فِي أَشْهُرِ الْحَجِّ
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الْمُثَنَّى، وَابْنُ، بَشَّارٍ قَالاَ حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ جَعْفَرٍ، حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، قَالَ سَمِعْتُ أَبَا جَمْرَةَ الضُّبَعِيَّ، قَالَ تَمَتَّعْتُ فَنَهَانِي نَاسٌ عَنْ ذَلِكَ، فَأَتَيْتُ ابْنَ عَبَّاسٍ فَسَأَلْتُهُ عَنْ ذَلِكَ، فَأَمَرَنِي بِهَا . - قَالَ - ثُمَّ انْطَلَقْتُ إِلَى الْبَيْتِ فَنِمْتُ فَأَتَانِي آتٍ فِي مَنَامِي فَقَالَ عُمْرَةٌ مُتَقَبَّلَةٌ وَحَجٌّ مَبْرُورٌ - قَالَ - فَأَتَيْتُ ابْنَ عَبَّاسٍ فَأَخْبَرْتُهُ بِالَّذِي رَأَيْتُ فَقَالَ اللَّهُ أَكْبَرُ اللَّهُ أَكْبَرُ سُنَّةُ أَبِي الْقَاسِمِ صلى الله عليه وسلم .
Abu Jam at al-Dubu'i reported:
I performed Tamattu' but the people dis- couraged me to do so. I came to Ibn 'Abbas and asked him about it. He ordered me to do so. I came to the House (Ka'ba) and slept. I saw a visitant in the dream who said: 'Umra is acceptable and so is the Hajj performed for God's sake. I came to Ibn Abbas and informed him about that Which I saw in the dream whereupon he said: Allah is the Greatest, Allah is the Greatest This is the Sunnah of Abu'l-Qasim (the Holy Pro- phet) (ﷺ).
পরিচ্ছেদঃ ৪৮. যারা মাদকদ্রব্যকে বৈধ বলেছেন, তাদের দলীল
৫৬৯১. মুহাম্মদ ইবন বাশশার (রহঃ) ... আবু জামরা (রহঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি ইবন আব্বাস (রাঃ) এবং অন্যান্য লোকের মধ্যে দোভাষীর কাজ করতাম। একবার এক নারী তাঁর নিকট উপস্থিত হয়ে কলসে নবীয প্রস্তুত করা সম্বন্ধে প্রশ্ন করলে তিনি তাকে তা থেকে নিষেধ করলেন। আমি বললামঃ হে ইবন আব্বাস! আমি সবুজ কলসে নবীয প্রস্তুত করি, মিষ্টি নবীয, আমি তা পান করলে আমার পেটে ভুড়ভুড় করে। তিনি বললেনঃ তা মধু থেকে মিষ্টি হলে পান করবে না।
ذِكْرُ الْأَخْبَارِ الَّتِي اعْتَلَّ بِهَا مَنْ أَبَاحَ شَرَابَ السُّكْرِ
أَخْبَرَنَا مُحَمَّدُ بْنُ بَشَّارٍ قَالَ حَدَّثَنَا مُحَمَّدٌ قَالَ حَدَّثَنَا شُعْبَةُ عَنْ أَبِي جَمْرَةَ قَالَ كُنْتُ أُتَرْجِمُ بَيْنَ ابْنِ عَبَّاسٍ وَبَيْنَ النَّاسِ فَأَتَتْهُ امْرَأَةٌ تَسْأَلُهُ عَنْ نَبِيذِ الْجَرِّ فَنَهَى عَنْهُ قُلْتُ يَا أَبَا عَبَّاسٍ إِنِّي أَنْتَبِذُ فِي جَرَّةٍ خَضْرَاءَ نَبِيذًا حُلْوًا فَأَشْرَبُ مِنْهُ فَيُقَرْقِرُ بَطْنِي قَالَ لَا تَشْرَبْ مِنْهُ وَإِنْ كَانَ أَحْلَى مِنْ الْعَسَلِ
It was narrated that Abu Hamzah said:
"I used to interpret between Ibn 'Abbas and the people. A woman came to him and asked him about Nabidh made in earthenware jars, and he forbade it. I said: 'O Abu 'Abbas, I make a sweet Nabidh in a green earthenware jar; when I drink it, my stomach makes noises.' He said: 'Do not drink it even if it is sweeter than honey.'
পরিচ্ছেদঃ ৪৮. যারা মাদকদ্রব্যকে বৈধ বলেছেন, তাদের দলীল
৫৬৯২. আবু দাউদ (রহঃ) ... আবু জামরা নাসর (রহঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, একদা আমি ইবন আব্বাস (রাঃ)-কে বললামঃ আমার দাদী এক কলসিতে নবীয প্রস্তুত করেন, যা আমি পান করে থাকি, তা মিষ্টি হয়। অধিকমাত্রায় তা পান করে লোকের মধ্যে যেতে আমার ভয় হয়, পাছে লজ্জিত হয়ে পড়ি। তিনি বললেনঃ আবদে কায়স গােত্রের প্রতিনিধি দল রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর নিকট উপস্থিত হলে তিনি বললেনঃ যারা লজ্জিত ও অপদস্থ হয়ে আসেনি তাদেরকে স্বাগত। তারা বললো, ইয়া রাসূলাল্লাহ! আমাদের ও আপনার মধ্যে এক মুশরিক দল রয়েছে। তাই আমরা হারাম মাস ব্যতীত আপনার নিকট উপস্থিত হতে পারি না। অতএব আপনি আমাদেরকে এমন কিছু শিক্ষা দিন, যা দ্বারা আমরা জান্নাতে প্রবেশ করতে পারি। আর আমরা অন্যান্য লোকদেরকেও তা শিক্ষা দিতে পারি।
রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ আমি তোমাদেরকে তিনটি কাজ করার আদেশ দিচ্ছি এবং চারটি কাজ থেকে নিষেধ করছি। আমি তোমাদেরকে এক আল্লাহর উপর ঈমান আনতে আদেশ করছি। তোমরা জান কি, আল্লাহর উপর ঈমান কী বস্তু? তারা বললোঃ আল্লাহ্ এবং তাঁর রাসূল অধিক জ্ঞাত। তিনি বললেনঃ এ কথার সাক্ষ্য দেওয়া যে, আল্লাহ্ ব্যতীত কোন ইলাহ্ নেই, সালাত আদায় করা, যাকাত দেওয়া এবং যুদ্ধলব্ধ মালের এক-পঞ্চমাংশ বায়তুলমালে দান করা। আর আমি চারিটি বস্তু থেকে তোমাদেরকে নিষেধ করছি। কদুর খোল, সবুজ মাটির পাত্র, কাঠের পাত্র এবং আলকাতরা মাখানো পাত্রে প্রস্তুত করা নবীয় পান করা হতে।
ذِكْرُ الْأَخْبَارِ الَّتِي اعْتَلَّ بِهَا مَنْ أَبَاحَ شَرَابَ السُّكْرِ
أَخْبَرَنَا أَبُو دَاوُدَ قَالَ حَدَّثَنَا أَبُو عَتَّابٍ وَهُوَ سَهْلُ بْنُ حَمَّادٍ قَالَ حَدَّثَنَا قُرَّةُ قَالَ حَدَّثَنَا أَبُو جَمْرَةَ نَصْرٌ قَالَ قُلْتُ لِابْنِ عَبَّاسٍ إِنَّ جَدَّةً لِي تَنْبِذُ نَبِيذًا فِي جَرٍّ أَشْرَبُهُ حُلْوًا إِنْ أَكْثَرْتُ مِنْهُ فَجَالَسْتُ الْقَوْمَ خَشِيتُ أَنْ أَفْتَضِحَ فَقَالَ قَدِمَ وَفْدُ عَبْدِ الْقَيْسِ عَلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَقَالَ مَرْحَبًا بِالْوَفْدِ لَيْسَ بِالْخَزَايَا وَلَا النَّادِمِينَ قَالُوا يَا رَسُولَ اللَّهِ إِنَّ بَيْنَنَا وَبَيْنَكَ الْمُشْرِكِينَ وَإِنَّا لَا نَصِلُ إِلَيْكَ إِلَّا فِي أَشْهُرِ الْحُرُمِ فَحَدِّثْنَا بِأَمْرٍ إِنْ عَمِلْنَا بِهِ دَخَلْنَا الْجَنَّةَ وَنَدْعُو بِهِ مَنْ وَرَاءَنَا قَالَ آمُرُكُمْ بِثَلَاثٍ وَأَنْهَاكُمْ عَنْ أَرْبَعٍ آمُرُكُمْ بِالْإِيمَانِ بِاللَّهِ وَهَلْ تَدْرُونَ مَا الْإِيمَانُ بِاللَّهِ قَالُوا اللَّهُ وَرَسُولُهُ أَعْلَمُ قَالَ شَهَادَةُ أَنْ لَا إِلَهَ إِلَّا اللَّهُ وَإِقَامُ الصَّلَاةِ وَإِيتَاءُ الزَّكَاةِ وَأَنْ تُعْطُوا مِنْ الْمَغَانِمِ الْخُمُسَ وَأَنْهَاكُمْ عَنْ أَرْبَعٍ عَمَّا يُنْبَذُ فِي الدُّبَّاءِ وَالنَّقِيرِ وَالْحَنْتَمِ وَالْمُزَفَّتِ
Abu Hamzah Nasr said:
"I said to Ibn 'Abbas that my grandmother makes Nabidh in an earthenware jar and it is sweet. If I drink a lot of it and sit with people, I am worried that they will find out. He said: 'The delegation of 'Abdul-Qais came to the Messenger of Allah [SAW] and he said: Welcome to a delegation that is not disgraced or filled with regret. They said: O Messenger of Allah, the idolators are between us and you, and we can only reach you during the sacred months. Tell us of something which, if we do it, we will enter Paradise, and we can tell it to those whom we left behind. He said: I will enjoin three things upon you, and forbid four things to you. I order you to have faith in Allah, and do you know what faith in Allah is? They said: Allah and His Messenger know best. He said: (It means) testifying that there is none worthy of worship except Allah, establishing Salah, paying Zakah and giving one-fifth (the Khums) of the spoils of war. And I forbid four things to you: That which is soaked in Ad-Dubba', An-Naqir, Al-Hantam, and Al-Muzaffat.'
পরিচ্ছেদঃ ২/৪০ গনীমতের এক পঞ্চমাংশ আদায় করা ঈমানের শামিল।
৫৩. আবূ জামরাহ (রহ.) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি ইবনু ‘আব্বাস (রাযি.)-এর সাথে বসতাম। তিনি আমাকে তাঁর আসনে বসাতেন। একবার তিনি বললেনঃ তুমি আমার কাছে থেকে যাও, আমি তোমাকে আমার ধন-সম্পদ হতে কিয়দংশ প্রদান করব। আমি তাঁর সাথে দু’মাস থাকলাম। অতঃপর একদা তিনি বললেন, আবদুল কায়েস-এর একটি প্রতিনিধি দল আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম -এর নিকট আগমন করলে তিনি বললেনঃ তোমরা কোন্ গোত্রের? কিংবা বললেন, কোন্ প্রতিনিধিদলের? তারা বলল, ‘রাবী‘আ গোত্রের।’ তিনি বললেনঃ স্বাগতম সে গোত্র বা সে প্রতিনিধি দলের প্রতি, যারা অপদস্থ ও লজ্জিত না হয়েই আগমন করেছে। তারা বলল, হে আল্লাহর রাসূল! শাহরুল হারাম ব্যতীত অন্য কোন সময় আমরা আপনার নিকট আগমন করতে পারি না। আমাদের এবং আপনার মধ্যে মুযার গোত্রীয় কাফিরদের বসবাস। তাই আমাদের কিছু স্পষ্ট নির্দেশ দিন, যাতে করে আমরা যাদের পিছনে ছেড়ে এসেছি তাদের অবগত করতে পারি এবং যাতে করে আমরা জান্নাতে দাখিল হতে পারি। তারা পানীয় সম্বন্ধেও জিজ্ঞেস করল।
তখন তিনি তাদেরকে চারটি বিষয়ের আদেশ এবং চারটি বিষয় হতে নিষেধ করলেন। তাদেরকে এক আল্লাহ্তে বিশ্বাস স্থাপনের নির্দেশ দিয়ে বললেনঃ
‘এক আল্লাহর প্রতি কীভাবে বিশ্বাস স্থাপন করা হয় তা কি তোমরা অবগত আছ?’ তাঁরা বলল, ‘আল্লাহ ও তাঁর রাসূলই অধিক জ্ঞাত।’ তিনি বললেনঃ ‘তা হচ্ছে এ সাক্ষ্য দেয়া যে, আল্লাহ্ ব্যতীত প্রকৃত কোন উপাস্য নেই এবং মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আল্লাহর রাসূল এবং সালাত প্রতিষ্ঠা করা, যাকাত আদায় করা, রমাযানের সিয়ামব্রত পালন করা; আর তোমরা গানীমাতের সম্পদ হতে এক-পঞ্চমাংশ আদায় করবে। তিনি তাদেরকে চারটি বিষয় হতে বিরত থাকতে বললেন। আর তা হচ্ছেঃ সবুজ কলস, শুকনো কদুর খোল, খেজুর বৃক্ষের গুড়ি হতে তৈরী বাসন এবং আলকাতরা দ্বারা রাঙানো পাত্র। রাবী বলেন, বর্ণনাকারী (মুযাফ্ফাত-এর স্থলে) কখনও আন্নাক্বীর উল্লেখ করেছেন (দু‘টি শব্দের অর্থ একইরূপ)। তিনি আরো বলেন, তোমরা এ বিষয়গুলো ভালো করে জেনে নাও এবং অন্যদেরও এগুলো অবগত কর।
(৮৭, ৫২৩, ১৩৯৮, ৩০৯৫, ৩৫১০, ৪৩৬৮, ৪২৬৯, ৬১৭৬, ৭২৬৬, ৭৫৫৬; মুসলিম ১/৬ হাঃ ১৭) (আধুনিক প্রকাশনীঃ ৫১, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ৫১)
باب أَدَاءُ الْخُمُسِ مِنَ الإِيمَانِ
حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ الْجَعْدِ، قَالَ أَخْبَرَنَا شُعْبَةُ، عَنْ أَبِي جَمْرَةَ، قَالَ كُنْتُ أَقْعُدُ مَعَ ابْنِ عَبَّاسٍ، يُجْلِسُنِي عَلَى سَرِيرِهِ فَقَالَ أَقِمْ عِنْدِي حَتَّى أَجْعَلَ لَكَ سَهْمًا مِنْ مَالِي، فَأَقَمْتُ مَعَهُ شَهْرَيْنِ، ثُمَّ قَالَ إِنَّ وَفْدَ عَبْدِ الْقَيْسِ لَمَّا أَتَوُا النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم قَالَ " مَنِ الْقَوْمُ أَوْ مَنِ الْوَفْدُ ". قَالُوا رَبِيعَةُ. قَالَ " مَرْحَبًا بِالْقَوْمِ ـ أَوْ بِالْوَفْدِ ـ غَيْرَ خَزَايَا وَلاَ نَدَامَى ". فَقَالُوا يَا رَسُولَ اللَّهِ، إِنَّا لاَ نَسْتَطِيعُ أَنْ نَأْتِيَكَ إِلاَّ فِي شَهْرِ الْحَرَامِ، وَبَيْنَنَا وَبَيْنَكَ هَذَا الْحَىُّ مِنْ كُفَّارِ مُضَرَ، فَمُرْنَا بِأَمْرٍ فَصْلٍ، نُخْبِرْ بِهِ مَنْ وَرَاءَنَا، وَنَدْخُلْ بِهِ الْجَنَّةَ. وَسَأَلُوهُ عَنِ الأَشْرِبَةِ. فَأَمَرَهُمْ بِأَرْبَعٍ، وَنَهَاهُمْ عَنْ أَرْبَعٍ، أَمَرَهُمْ بِالإِيمَانِ بِاللَّهِ وَحْدَهُ. قَالَ " أَتَدْرُونَ مَا الإِيمَانُ بِاللَّهِ وَحْدَهُ ". قَالُوا اللَّهُ وَرَسُولُهُ أَعْلَمُ. قَالَ " شَهَادَةُ أَنْ لاَ إِلَهَ إِلاَّ اللَّهُ وَأَنَّ مُحَمَّدًا رَسُولُ اللَّهِ، وَإِقَامُ الصَّلاَةِ، وَإِيتَاءُ الزَّكَاةِ، وَصِيَامُ رَمَضَانَ، وَأَنْ تُعْطُوا مِنَ الْمَغْنَمِ الْخُمُسَ ". وَنَهَاهُمْ عَنْ أَرْبَعٍ عَنِ الْحَنْتَمِ وَالدُّبَّاءِ وَالنَّقِيرِ وَالْمُزَفَّتِ. وَرُبَّمَا قَالَ الْمُقَيَّرِ. وَقَالَ " احْفَظُوهُنَّ وَأَخْبِرُوا بِهِنَّ مَنْ وَرَاءَكُمْ ".
(40) Chapter: To pay Al-Khumus (one-fifth of the war booty to be given in Allah's Cause) is a part of faith
Narrated Abu Jamra:
I used to sit with Ibn 'Abbas and he made me sit on his sitting place. He requested me to stay with him in order that he might give me a share from his property. So I stayed with him for two months. Once he told (me) that when the delegation of the tribe of 'Abdul Qais came to the Prophet, the Prophet (ﷺ) asked them, "Who are the people (i.e. you)? (Or) who are the delegate?" They replied, "We are from the tribe of Rabi'a." Then the Prophet (ﷺ) said to them, "Welcome! O people (or O delegation of 'Abdul Qais)! Neither will you have disgrace nor will you regret." They said, "O Allah's Messenger (ﷺ)! We cannot come to you except in the sacred month and there is the infidel tribe of Mudar intervening between you and us. So please order us to do something good (religious deeds) so that we may inform our people whom we have left behind (at home), and that we may enter Paradise (by acting on them)." Then they asked about drinks (what is legal and what is illegal). The Prophet (ﷺ) ordered them to do four things and forbade them from four things. He ordered them to believe in Allah Alone and asked them, "Do you know what is meant by believing in Allah Alone?" They replied, "Allah and His Apostle know better." Thereupon the Prophet (ﷺ) said, "It means:
1. To testify that none has the right to be worshipped but Allah and Muhammad is Allah's Messenger (ﷺ).
2. To offer prayers perfectly
3. To pay the Zakat (obligatory charity)
4. To observe fast during the month of Ramadan.
5. And to pay Al-Khumus (one fifth of the booty to be given in Allah's Cause).
Then he forbade them four things, namely, Hantam, Dubba,' Naqir Ann Muzaffat or Muqaiyar; (These were the names of pots in which Alcoholic drinks were prepared) (The Prophet (ﷺ) mentioned the container of wine and he meant the wine itself). The Prophet (ﷺ) further said (to them): "Memorize them (these instructions) and convey them to the people whom you have left behind."
পরিচ্ছেদঃ ৩/২৫ আবদুল কায়েস গোত্রের প্রতিনিধি দলকে ঈমান ও ‘ইলমের রক্ষণাবেক্ষণ এবং পরবর্তীদেরকে তা জানিয়ে দেয়ার ব্যাপারে নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম - এর উদ্ধুদ্ধকরণ।
وَقَالَ مَالِكُ بْنُ الْحُوَيْرِثِ قَالَ لَنَا النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم ارْجِعُوا إِلَى أَهْلِيكُمْ فَعَلِّمُوهُمْ.
মালিক ইবনুল হুওয়াইরিস (রাযি.) বলেন, নবী (সঃ) আমাদের বলেছিলেন, তোমরা তোমাদের গোত্রের নিকট ফিরে যাও এবং তাদেরকে শিক্ষা দাও।
৮৭. আবূ জামরাহ (রহঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি ইবনু ’আব্বাস (রাযি.) ও লোকদের মধ্যে ভাষান্তরের কাজ করতাম। একদা ইবনু ’আব্বাস (রাযি.) বললেন, ’আবদুল কায়স গোত্রের প্রতিনিধি দল নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর নিকট আসলে তিনি বললেনঃ তোমরা কোন্ প্রতিনিধি দল? অথবা বললেনঃ তোমরা কোন্ গোত্রের? তারা বলল, ’রাবী’আহ গোত্রের। তিনি বললেনঃ ’স্বাগতম। এ গোত্রের প্রতি অথবা এ প্রতিনিধি দলের প্রতি, এরা কোনরূপ অপদস্থ ও লাঞ্ছিত না হয়েই এসেছে। তারা বলল, ’আমরা বহু দূর হতে আপনার নিকট এসেছি। আর আমাদের ও আপনার মধ্যে রয়েছে কাফিরদের এই ’মুযার’ গোত্রের বাস। আমরা নিষিদ্ধ মাস ব্যতীত আপনার নিকট আসতে সক্ষম নই। সুতরাং আমাদের এমন কিছু নির্দেশ দিন, যা আমাদের পশ্চাতে যারা রয়েছে তাদের নিকট পৌঁছাতে এবং তার ওয়াসীলায় আমরা জান্নাতে প্রবেশ করতে পারি।’ তখন তিনি তাদের চারটি কাজের নির্দেশ দিলেন এবং চারটি কাজ থেকে নিষেধ করলেন। তাদের এক আল্লাহর উপর বিশ্বাস স্থাপনের আদেশ করলেন। তিনি বললেনঃ এক আল্লাহর উপর বিশ্বাস স্থাপন কীরূপে হয় জান? তারা বললঃ ’আল্লাহ্ ও তাঁর রাসূলই ভাল জানেন।’ তিনি বললেনঃ ’তা হল এ সাক্ষ্য দেয়া যে, আল্লাহ্ ব্যতীত প্রকৃত কোন উপাস্য নেই এবং মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আল্লাহর রাসূল, সালাত প্রতিষ্ঠা করা, যাকাত আদায় করা এবং রমাযান-এর সিয়াম পালন করা আর তোমরা গনীমাতের মাল থেকে এক-পঞ্চমাংশ দান করবে।’ আর তাদের নিষেধ করলেন শুকনো কদুর খোল, সবুজ কলস এবং আলকাতরা দ্বারা রঙ করা পাত্র ব্যবহার করতে। শু’বা বলেন, কখনও (আবূ জামরা) খেজুর গাছ থেকে তৈরি পাত্রের কথাও বলেছেন আবার তিনি কখনও النَّقِيرِ -এর স্থলে الْمُقَيَّرِ বলেছেন। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ তোমরা এগুলো মনোযোগ সহকারে স্মরণ রাখ এবং তোমাদের পশ্চাতে যারা রয়েছে তাদের নিকট পৌঁছে দাও। (৫৩) (আধুনিক প্রকাশনীঃ ৮৭, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ৮৭)
بَابُ تَحْرِيضِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَفْدَ عَبْدِ الْقَيْسِ عَلَى أَنْ يَحْفَظُوا الإِيمَانَ وَالْعِلْمَ وَيُخْبِرُوا مَنْ وَرَاءَهُمْ
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ بَشَّارٍ، قَالَ حَدَّثَنَا غُنْدَرٌ، قَالَ حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، عَنْ أَبِي جَمْرَةَ، قَالَ كُنْتُ أُتَرْجِمُ بَيْنَ ابْنِ عَبَّاسٍ وَبَيْنَ النَّاسِ فَقَالَ إِنَّ وَفْدَ عَبْدِ الْقَيْسِ أَتَوُا النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم فَقَالَ " مَنِ الْوَفْدُ ـ أَوْ مَنِ الْقَوْمُ ". قَالُوا رَبِيعَةُ. فَقَالَ " مَرْحَبًا بِالْقَوْمِ ـ أَوْ بِالْوَفْدِ ـ غَيْرَ خَزَايَا وَلاَ نَدَامَى ". قَالُوا إِنَّا نَأْتِيكَ مِنْ شُقَّةٍ بَعِيدَةٍ، وَبَيْنَنَا وَبَيْنَكَ هَذَا الْحَىُّ مِنْ كُفَّارِ مُضَرَ، وَلاَ نَسْتَطِيعُ أَنْ نَأْتِيَكَ إِلاَّ فِي شَهْرٍ حَرَامٍ فَمُرْنَا بِأَمْرٍ نُخْبِرْ بِهِ مَنْ وَرَاءَنَا، نَدْخُلُ بِهِ الْجَنَّةَ. فَأَمَرَهُمْ بِأَرْبَعٍ، وَنَهَاهُمْ عَنْ أَرْبَعٍ أَمَرَهُمْ بِالإِيمَانِ بِاللَّهِ عَزَّ وَجَلَّ وَحْدَهُ. قَالَ " هَلْ تَدْرُونَ مَا الإِيمَانُ بِاللَّهِ وَحْدَهُ ". قَالُوا اللَّهُ وَرَسُولُهُ أَعْلَمُ. قَالَ " شَهَادَةُ أَنْ لاَ إِلَهَ إِلاَّ اللَّهُ وَأَنَّ مُحَمَّدًا رَسُولُ اللَّهِ، وَإِقَامُ الصَّلاَةِ، وَإِيتَاءُ الزَّكَاةِ، وَصَوْمُ رَمَضَانَ، وَتُعْطُوا الْخُمُسَ مِنَ الْمَغْنَمِ ". وَنَهَاهُمْ عَنِ الدُّبَّاءِ وَالْحَنْتَمِ وَالْمُزَفَّتِ. قَالَ شُعْبَةُ رُبَّمَا قَالَ النَّقِيرِ، وَرُبَّمَا قَالَ الْمُقَيَّرِ. قَالَ " احْفَظُوهُ وَأَخْبِرُوهُ مَنْ وَرَاءَكُمْ ".
(25) Chapter: The Prophet (saws) urged the people (mission) of 'Abdul Qais to memorize the faith and the (religious) knowledge (as he explained to them) and to inform (convey) to their people whom they left behind (at home)
Narrated Abu Jamra:
I was an interpreter between the people and Ibn `Abbas. Once Ibn `Abbas said that a delegation of the tribe of `Abdul Qais came to the Prophet (ﷺ) who asked them, "Who are the people (i.e. you)? (Or) who are the delegates?" They replied, "We are from the tribe of Rabi`a." Then the Prophet (ﷺ) said to them, "Welcome, O people (or said, "O delegation (of `Abdul Qais).") Neither will you have disgrace nor will you regret." They said, "We have come to you from a distant place and there is the tribe of the infidels of Mudar intervening between you and us and we cannot come to you except in the sacred month. So please order us to do something good (religious deeds) and that we may also inform our people whom we have left behind (at home) and that we may enter Paradise (by acting on them.)" The Prophet ordered them to do four things, and forbade them from four things. He ordered them to believe in Allah Alone, the Honorable the Majestic and said to them, "Do you know what is meant by believing in Allah Alone?" They replied, "Allah and His Apostle know better." Thereupon the Prophet (ﷺ) said, "(That means to testify that none has the right to be worshipped but Allah and that Muhammad is His Apostle, to offer prayers perfectly, to pay Zakat, to observe fasts during the month of Ramadan, (and) to pay Al-Khumus (one fifth of the booty to be given in Allah's cause)." Then he forbade them four things, namely Ad-Dubba.' Hantam, Muzaffat (and) An-Naqir or Muqaiyar (These were the names of pots in which alcoholic drinks used to be prepared). The Prophet (ﷺ) further said, "Memorize them (these instructions) and tell them to the people whom you have left behind."
পরিচ্ছেদঃ ২৫/৩৪. তামাত্তু‘, ‘ক্বিরান ও ইফরাদ হজ্জ করা এবং যার সঙ্গে কুরবানীর জন্তু নেই তার জন্য হজ্জের ইহরাম পরিত্যাগ করা
১৫৬৭. আবূ জামরাহ নাসর ইবনু ‘ইমরান যুবা‘য়ী (রহ.) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি তামাত্তু‘ হাজ্জ করতে ইচ্ছা করলে কিছু লোক আমাকে নিষেধ করল। আমি তখন ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ)-এর নিকট জিজ্ঞেস করলে তিনি তা করতে আমাকে নির্দেশ দেন। এরপর আমি স্বপ্নে দেখলাম, যেন এক ব্যক্তি আমাকে বলছে, উত্তম হাজ্জ ও মাকবূল ‘উমরাহ। ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ)-এর নিকট স্বপ্নটি বললাম। তিনি বললেন, তা নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম -এর সুন্নাত। এরপর আমাকে বললেন, তুমি আমার কাছে থাক, তোমাকে আমার মালের কিছু অংশ দিব। রাবী শু‘বাহ্ (রহ.) বলেন, আমি (আবূ জামরাকে) বললাম, তা কেন? তিনি বললেন, আমি যে স্বপ্ন দেখেছি সে জন্য। (১৬৮৮) (আধুনিক প্রকাশনীঃ ১৪৬৪, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ১৪৭০)
بَاب التَّمَتُّعِ وَالإِقْرَانِ وَالإِفْرَادِ بِالْحَجِّ وَفَسْخِ الْحَجِّ لِمَنْ لَمْ يَكُنْ مَعَهُ هَدْيٌ
حَدَّثَنَا آدَمُ حَدَّثَنَا شُعْبَةُ أَخْبَرَنَا أَبُو جَمْرَةَ نَصْرُ بْنُ عِمْرَانَ الضُّبَعِيُّ قَالَ تَمَتَّعْتُ فَنَهَانِي نَاسٌ فَسَأَلْتُ ابْنَ عَبَّاسٍ فَأَمَرَنِي فَرَأَيْتُ فِي الْمَنَامِ كَأَنَّ رَجُلاً يَقُولُ لِي حَجٌّ مَبْرُورٌ وَعُمْرَةٌ مُتَقَبَّلَةٌ فَأَخْبَرْتُ ابْنَ عَبَّاسٍ فَقَالَ سُنَّةَ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم فَقَالَ لِي أَقِمْ عِنْدِي فَأَجْعَلَ لَكَ سَهْمًا مِنْ مَالِي قَالَ شُعْبَةُ فَقُلْتُ لِمَ فَقَالَ لِلرُّؤْيَا الَّتِي رَأَيْتُ
Narrated Shu`ba:
Abu Jamra Nasr bin `Imran Ad-Duba'i said, "I intended to perform Hajj-at-Tamattu` and the people advised me not to do so. I asked Ibn `Abbas regarding it and he ordered me to perform Hajj-at- Tammatu'. Later I saw in a dream someone saying to me, 'Hajj-Mabrur (Hajj performed in accordance with the Prophet's tradition without committing sins and accepted by Allah) and an accepted `Umra.' So I told that dream to Ibn `Abbas. He said, 'This is the tradition of Abul-Qasim.' Then he said to me, 'Stay with me and I shall give you a portion of my property.' " I (Shu`ba) asked, "Why (did he invite you)?" He (Abu Jamra) said, "Because of the dream which I had seen."
পরিচ্ছেদঃ ২৫/১০২. ‘‘আর তোমাদের মধ্যে যারা হজ্জ ও ‘উমরাহ একত্রে একই সঙ্গে পালন করতে চায়, তাহলে যা কিছু সহজলভ্য, তা দিয়ে কুরবানী করাই তার উপর কর্তব্য। বস্তুত যারা কুরবানীর পশু পাবে না, তারা হজ্জের দিনগুলোর মধ্যে তিনটি সওম পালন করবে এবং সাতটি পালন করবে ফিরে যাবার পর। এভাবে দশটি সিয়াম পূর্ণ হয়ে যাবে। এ নির্দেশটি তাদের জন্য যাদের পরিবার-পরিজন মাসজিদুল হারামের আশেপাশে বসবাস করে না।’’ (আল-বাকারাঃ ১৯৬)
১৬৮৮. আবূ জামরাহ (রহ.) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ)-কে তামাত্তু‘ হাজ্জ সম্পর্কে জিজ্ঞেস করলাম। তিনি আমাকে তা আদায় করতে আদেশ দিলেন। এরপর আমি তাঁকে কুরবানী সম্বন্ধে জিজ্ঞেস করলাম। তিনি বললেন, তামাত্তু‘র কুরবানী হলো একটি উট, গরু বা বকরী অথবা এক কুরবানীর পশুর মধ্যে শরীকানা এক অংশ। আবূ জামরাহ (রহ.) বলেন, লোকেরা তামাত্তু‘ হাজ্জকে যেন অপছন্দ করত। একদা আমি ঘুমালাম তখন দেখলাম, একটি লোক যেন (আমাকে লক্ষ্য করে) ঘোষণা দিচ্ছে, উত্তম হাজ্জ এবং মাকবূল তামাত্তু‘। এরপর আমি ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ)-এর কাছে এসে স্বপ্নের কথা বললাম। তিনি আল্লাহু আকবার উচ্চারণ করে বললেন, এটাই তো আবুল কাসিম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম -এর সুন্নাত। আদম, ওয়াহাব ইবনু জারীর এবং গুনদার (রহ.) শু‘বাহ্ (রহ.) হতে মাকবূল ‘উমরাহ এবং উত্তম হাজ্জ বলে উল্লেখ করেছেন। (১৫৬৭) (আধুনিক প্রকাশনীঃ অনুচ্ছেদ ১০২, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ১৫৭৯)
بَاب { فَمَنْ تَمَتَّعَ بِالْعُمْرَةِ إِلَى الْحَجِّ فَمَا اسْتَيْسَرَ مِنْ الْهَدْيِ فَمَنْ لَمْ يَجِدْ فَصِيَامُ ثَلاَثَةِ أَيَّامٍ فِي الْحَجِّ وَسَبْعَةٍ إِذَا رَجَعْتُمْ تِلْكَ عَشَرَةٌ كَامِلَةٌ ذَلِكَ لِمَنْ لَمْ يَكُنْ أَهْلُهُ حَاضِرِي الْمَسْجِدِ الْحَرَامِ }
حَدَّثَنَا إِسْحَاقُ بْنُ مَنْصُورٍ أَخْبَرَنَا النَّضْرُ أَخْبَرَنَا شُعْبَةُ حَدَّثَنَا أَبُو جَمْرَةَ قَالَ سَأَلْتُ ابْنَ عَبَّاسٍعَنْ الْمُتْعَةِ فَأَمَرَنِي بِهَا وَسَأَلْتُهُ عَنْ الْهَدْيِ فَقَالَ فِيهَا جَزُورٌ أَوْ بَقَرَةٌ أَوْ شَاةٌ أَوْ شِرْكٌ فِي دَمٍ قَالَ وَكَأَنَّ نَاسًا كَرِهُوهَا فَنِمْتُ فَرَأَيْتُ فِي الْمَنَامِ كَأَنَّ إِنْسَانًا يُنَادِي حَجٌّ مَبْرُورٌ وَمُتْعَةٌ مُتَقَبَّلَةٌ فَأَتَيْتُ ابْنَ عَبَّاسٍ فَحَدَّثْتُهُ فَقَالَ اللهُ أَكْبَرُ سُنَّةُ أَبِي الْقَاسِمِ قَالَ وَقَالَ آدَمُ وَوَهْبُ بْنُ جَرِيرٍ وَغُنْدَرٌ عَنْ شُعْبَةَ عُمْرَةٌ مُتَقَبَّلَةٌ وَحَجٌّ مَبْرُورٌ
Narrated Abu Jamra:
I asked Ibn `Abbas about Hajj-at-Tamattu`. He ordered me to perform it. I asked him about the Hadi (sacrifice). He said, "You have to slaughter a camel, a cow or a sheep, or you may share the Hadi with the others." It seemed that some people disliked it (Hajj-at-Tamattu`). I slept and dreamt as if a person was announcing: "Hajj Mabrur and accepted Mut'ah (Hajj-at-Tamattu`)" I went to Ibn `Abbas and narrated it to him. He said, "Allah is Greater. (That was) the tradition of Abu Al-Qasim (i.e. Prophet). Narrated Shu`ba that the call in the dream was. "An accepted `Umra and Hajj-Mabrur. "
পরিচ্ছেদঃ ৫৯/১০. জাহান্নামের বিবরণ আর তা হচ্ছে সৃষ্ট বস্তু।
৩২৬১. আবূ জামরাহ যুবা‘য়ী (রহ.) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি মক্কা্য় ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ)-এর নিকট বসতাম। একবার আমি জ্বরাক্রান্ত হই। তখন তিনি আমাকে বললেন, ‘তুমি তোমার গায়ের জ্বর যমযমের পানি দিয়ে ঠান্ডা কর।’ কারণ, আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, এটা জাহান্নামের উত্তাপ হতেই হয়ে থাকে। কাজেই তোমরা তা পানি দিয়ে ঠান্ডা কর অথবা বলেছেন, যমযমের পানি দিয়ে ঠান্ডা কর। এ বিষয়ে বর্ণনাকারী হাম্মাম সন্দেহ পোষণ করেছেন। (আধুনিক প্রকাশনীঃ ৩০২০, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ৩০৩০)
بَابُ صِفَةِ النَّارِ وَأَنَّهَا مَخْلُوقَة
حَدَّثَنِيْ عَبْدُ اللهِ بْنُ مُحَمَّدٍ حَدَّثَنَا أَبُوْ عَامِرٍ هُوَ الْعَقَدِيُّ حَدَّثَنَا هَمَّامٌ عَنْ أَبِيْ جَمْرَةَ الضُّبَعِيِّ قَالَ كُنْتُ أُجَالِسُ ابْنَ عَبَّاسٍ بِمَكَّةَ فَأَخَذَتْنِي الْحُمَّى فَقَالَ أَبْرِدْهَا عَنْكَ بِمَاءِ زَمْزَمَ فَإِنَّ رَسُوْلَ اللهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ الْحُمَّى مِنْ فَيْحِ جَهَنَّمَ فَأَبْرِدُوْهَا بِالْمَاءِ أَوْ قَالَ بِمَاءِ زَمْزَمَ شَكَّ هَمَّامٌ
Narrated Abu Jamra Ad-Dabi:
I used to sit with Ibn `Abbas in Mecca. Once I had a fever and he said (to me), "Cool your fever with Zamzam water, for Allah's Messenger (ﷺ) said: 'It, (the Fever) is from the heat of the (Hell) Fire; so, cool it with water (or Zamzam water).
পরিচ্ছেদঃ ৬১/১১. যমযম কূপের ঘটনা।
61/10. باب قصة إسلام أبي ذر
৬১/১০. অধ্যায় : আবূ যর গিফারী (রাঃ)-এর ইসলাম গ্রহণের ঘটনা।[1]
৩৫২২. আবূ জামরাহ (রহ.) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, ’আবদুল্লাহ ইবনু ’আব্বাস (রাঃ) আমাদেরকে বললেন, আমি কি তোমাদেরকে আবূ যার (রাঃ) এর ইসলাম গ্রহণের ঘটনা বিস্তারিতভাবে বর্ণনা করব? আমরা বললাম হাঁ, অবশ্যই। তিনি বলেন, আবূ যার (রাঃ) বলেছেন, আমি গিফার গোত্রের একজন মানুষ। আমরা জানতে পেলাম মক্কা্য় এক ব্যক্তি আত্মপ্রকাশ করে নিজেকে নবী বলে দাবী করছেন। আমি আমার ভাইকে বললাম, তুমি মক্কা্য় গিয়ে ঐ ব্যক্তির সাথে সাক্ষাৎ ও আলোচনা করে বিস্তারিত খোঁজ-খবর নিয়ে এস। সে রওয়ানা হয়ে গেল এবং মক্কার ঐ লোকটির সঙ্গে সাক্ষাৎ ও আলাপ-আলোচনা করে ফিরে আসলে আমি জিজ্ঞেস করলাম- কী খবর নিয়ে এলে? সে বলল, আল্লাহর কসম! আমি একজন মহান ব্যক্তিকে দেখেছি যিনি সৎকাজের আদেশ এবং মন্দ কাজ হতে নিষেধ করেন। আমি বললাম, তোমার খবরে আমি সন্তুষ্ট হতে পারলাম না। অতঃপর আমি একটি ছড়ি ও এক পাত্র খাবার নিয়ে মক্কার দিকে রওয়ানা হলাম। মক্কা্য় পৌঁছে আমার অবস্থা দাঁড়াল এমন- তিনি আমার পরিচিত নন, কারো নিকট জিজ্ঞেস করাও আমি সমীচীন মনে করি না। তাই আমি যমযমের পানি পান করে মসজিদে থাকতে লাগলাম। একদিন সন্ধ্যা বেলা ’আলী (রাঃ) আমার নিকট দিয়ে গমনকালে আমার প্রতি ইশারা করে বললেন, মনে হয় লোকটি বিদেশী। আমি বললাম, হাঁ। তিনি বললেন, আমার সঙ্গে আমার বাড়িতে চল। পথেই তিনি আমাকে কোন কিছু জিজ্ঞেস করেননি। আর আমিও ইচ্ছা করে কোন কিছু বলিনি। তাঁর বাড়িতে রাত্রি যাপন করে ভোর বেলায় আবার মসজিদে গেলাম যাতে ঐ ব্যক্তি সম্পর্কে জিজ্ঞেস করব। কিন্তু ওখানে এমন কোন লোক ছিল না যে ঐ ব্যক্তি সম্পর্কে কিছু বলবে। ঐ দিনও ’আলী (রাঃ) আমার নিকট দিয়ে চলার সময় বললেন, এখনো কি লোকটি তার গন্তব্যস্থল ঠিক করতে পারেনি? আমি বললাম, না। তিনি বললেন, আমার সঙ্গে চল। পথিমধ্যে তিনি আমাকে জিজ্ঞেস করলেন বল, তোমার বিষয় কী? কেন এ শহরে এসেছ? আমি বললাম, যদি আপনি আমার বিষয়টি গোপন রাখার আশ্বাস দেন তাহলে তা আপনাকে বলতে পারি। তিনি বললেন নিশ্চয়ই আমি গোপন করব। আমি বললাম, আমরা জানতে পেরেছি, এখানে এমন এক লোকের আবির্ভাব হয়েছে যিনি নিজেকে নবী বলে দাবী করেন। আমি তাঁর সঙ্গে বিস্তারিত আলাপ আলোচনা করার জন্য আমার ভাইকে পাঠিয়েছিলাম। কিন্তু সে ফেরত গিয়ে আমাকে সন্তোষজনক কোন কিছু বলতে পারেনি। তাই নিজে দেখা করার ইচ্ছা নিয়ে এখানে আগমন করেছি। ’আলী (রাঃ) বললেন, তুমি সঠিক পথপ্রদর্শক পেয়েছ। আমি এখনই তাঁর কাছে উপস্থিত হবার জন্য রওয়ানা হয়েছি। তুমি আমাকে অনুসরণ কর এবং আমি যে গৃহে প্রবেশ করি তুমিও সে গৃহে প্রবেশ করবে। রাস্তায় যদি তোমার বিপদজনক কোন লোক দেখতে পাই তবে আমি জুতা ঠিক করার অজুহাতে দেয়ালের পার্শ্বে সরে দাঁড়াব, যেন আমি জুতা ঠিক করছি। তুমি কিন্তু চলতেই থাকবে। আলী (রাঃ) পথ চলতে শুরু করলেন। আমিও তাঁর অনুসরণ করে চলতে লাগলাম। তিনি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর নিকট প্রবেশ করলে, আমিও তাঁর সঙ্গে ঢুকে পড়লাম। আমি বললাম, আমার নিকট ইসলাম পেশ করুন। তিনি পেশ করলেন। আর আমি মুসলিম হয়ে গেলাম। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, হে আবূ যার। এখনকার মত তোমার ইসলাম গ্রহণ গোপন রেখে তোমার দেশে চলে যাও। যখন আমাদের বিজয়ের খবর জানতে পাবে তখন এসো। আমি বললাম, যে আল্লাহ্ আপনাকে সত্য দ্বীনসহ পাঠিয়েছেন তাঁর শপথ! আমি কাফির মুশরিকদের সামনে উচ্চস্বরে তৌহীদের বাণী ঘোষণা করব। (ইবনু ’আব্বাস (রাঃ) বলেন,) এই কথা বলে তিনি মসজিদে হারামে গমন করলেন, কুরাইশের লোকজনও সেখানে হাজির ছিল। তিনি বললেন, হে কুরাইশগণ! আমি নিশ্চিতভাবে সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, আল্লাহ্ ছাড়া কোন মা’বুদ নেই এবং আমি আরো সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আল্লাহর বান্দা ও তাঁর রাসূল। এতদশ্রবণে কুরাইশগণ বলে উঠল, ধর এই ধর্মত্যাগী লোকটিকে। তারা আমার দিকে এগিয়ে আসল এবং আমাকে নির্মমভাবে প্রহার করতে লাগল; যেন আমি মরে যাই। তখন ’আব্বাস (রাঃ) আমার নিকট পৌঁছে আমাকে ঘিরে রাখলেন। অতঃপর তিনি কুরাইশকে উদ্দেশ্য করে বললেন, তোমাদের বিপদ অবশ্যম্ভাবী। তোমরা গিফার বংশের জনৈক ব্যক্তিকে হত্যা করতে উদ্যোগী হয়েছ অথচ তোমাদের ব্যবসা-বাণিজ্যের কাফেলাকে গিফার গোত্রের নিকট দিয়ে যাতায়াত করতে হয়। এ কথা শুনে তারা সরে পড়ল। পরদিন ভোরবেলা কাবাগৃহে উপস্থিত হয়ে গতদিনের মতই আমি আমার ইসলাম গ্রহণের পূর্ণ ঘোষণা দিলাম। কুরাইশগণ বলে উঠলো, ধর এই ধর্মত্যাগী লোকটিকে। গতদিনের মত আজও তারা নির্মমভাবে আমাকে মারধর করলো। এই দিনও ’আব্বাস (রাঃ) এসে আমাকে রক্ষা করলেন এবং কুরাইশদেরকে উদ্দেশ্য করে ঐ দিনের মত বক্তব্য রাখলেন। ইবনু ’আব্বাস (রাঃ) বলেন, এটাই ছিল আবূ যার (রাঃ)-এর ইসলাম গ্রহণের প্রথম ঘটনা। (৩৮৬১, মুসলিম ৪৪/২৮ হাঃ ২৪৭৪) (আধুনিক প্রকাশনীঃ ৩২৬০, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ৩২৬৫)
بَابُ قِصَّةِ زَمْزَمَ
حَدَّثَنَا زَيْدٌ هُوَ ابْنُ أَخْزَمَ قَالَ حَدَّثَنَا أَبُوْ قُتَيْبَةَ سَلْمُ بْنُ قُتَيْبَةَ حَدَّثَنِيْ مُثَنَّى بْنُ سَعِيْدٍ الْقَصِيْرُ قَالَ حَدَّثَنِيْ أَبُوْ جَمْرَةَ قَالَ قَالَ لَنَا ابْنُ عَبَّاسٍ أَلَا أُخْبِرُكُمْ بِإِسْلَامِ أَبِيْ ذَرٍّ قَالَ قُلْنَا بَلَى
قَالَ قَالَ أَبُوْ ذَرٍّ كُنْتُ رَجُلًا مِنْ غِفَارٍ فَبَلَغَنَا أَنَّ رَجُلًا قَدْ خَرَجَ بِمَكَّةَ يَزْعُمُ أَنَّهُ نَبِيٌّ فَقُلْتُ ِلأَخِيْ انْطَلِقْ إِلَى هَذَا الرَّجُلِ كَلِّمْهُ وَأْتِنِيْ بِخَبَرِهِ فَانْطَلَقَ فَلَقِيَهُ ثُمَّ رَجَعَ فَقُلْتُ مَا عِنْدَكَ فَقَالَ وَاللهِ لَقَدْ رَأَيْتُ رَجُلًا يَأْمُرُ بِالْخَيْرِ وَيَنْهَى عَنْ الشَّرِّ فَقُلْتُ لَهُ لَمْ تَشْفِنِيْ مِنْ الْخَبَرِ فَأَخَذْتُ جِرَابًا وَعَصًا ثُمَّ أَقْبَلْتُ إِلَى مَكَّةَ فَجَعَلْتُ لَا أَعْرِفُهُ وَأَكْرَهُ أَنْ أَسْأَلَ عَنْهُ وَأَشْرَبُ مِنْ مَاءِ زَمْزَمَ وَأَكُوْنُ فِي الْمَسْجِدِ قَالَ فَمَرَّ بِيْ عَلِيٌّ فَقَالَ كَأَنَّ الرَّجُلَ غَرِيْبٌ قَالَ قُلْتُ نَعَمْ قَالَ فَانْطَلِقْ إِلَى الْمَنْزِلِ قَالَ فَانْطَلَقْتُ مَعَهُ لَا يَسْأَلُنِيْ عَنْ شَيْءٍ وَلَا أُخْبِرُهُ فَلَمَّا أَصْبَحْتُ غَدَوْتُ إِلَى الْمَسْجِدِ لِأَسْأَلَ عَنْهُ وَلَيْسَ أَحَدٌ يُخْبِرُنِيْ عَنْهُ بِشَيْءٍ قَالَ فَمَرَّ بِيْ عَلِيٌّ فَقَالَ أَمَا نَالَ لِلرَّجُلِ يَعْرِفُ مَنْزِلَهُ بَعْدُ قَالَ قُلْتُ لَا قَالَ انْطَلِقْ مَعِيْ قَالَ فَقَالَ مَا أَمْرُكَ وَمَا أَقْدَمَكَ هَذِهِ الْبَلْدَةَ قَالَ قُلْتُ لَهُ إِنْ كَتَمْتَ عَلَيَّ أَخْبَرْتُكَ قَالَ فَإِنِّيْ أَفْعَلُ قَالَ قُلْتُ لَهُ بَلَغَنَا أَنَّهُ قَدْ خَرَجَ هَا هُنَا رَجُلٌ يَزْعُمُ أَنَّهُ نَبِيٌّ فَأَرْسَلْتُ أَخِيْ لِيُكَلِّمَهُ فَرَجَعَ وَلَمْ يَشْفِنِيْ مِنْ الْخَبَرِ فَأَرَدْتُ أَنْ أَلْقَاهُ فَقَالَ لَهُ أَمَا إِنَّكَ قَدْ رَشَدْتَ هَذَا وَجْهِيْ إِلَيْهِ فَاتَّبِعْنِيْ ادْخُلْ حَيْثُ أَدْخُلُ فَإِنِّيْ إِنْ رَأَيْتُ أَحَدًا أَخَافُهُ عَلَيْكَ قُمْتُ إِلَى الْحَائِطِ كَأَنِّيْ أُصْلِحُ نَعْلِيْ وَامْضِ أَنْتَ فَمَضَى وَمَضَيْتُ مَعَهُ حَتَّى دَخَلَ وَدَخَلْتُ مَعَهُ عَلَى النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم فَقُلْتُ لَهُ اعْرِضْ عَلَيَّ الْإِسْلَامَ فَعَرَضَهُ فَأَسْلَمْتُ مَكَانِيْ فَقَالَ لِيْ يَا أَبَا ذَرٍّ اكْتُمْ هَذَا الأَمْرَ وَارْجِعْ إِلَى بَلَدِكَ فَإِذَا بَلَغَكَ ظُهُوْرُنَا فَأَقْبِلْ فَقُلْتُ وَالَّذِيْ بَعَثَكَ بِالْحَقِّ لَاصْرُخَنَّ بِهَا بَيْنَ أَظْهُرِهِمْ فَجَاءَ إِلَى الْمَسْجِدِ وَقُرَيْشٌ فِيْهِ فَقَالَ يَا مَعْشَرَ قُرَيْشٍ إِنِّيْ أَشْهَدُ أَنْ لَا إِلَهَ إِلَّا اللهُ وَأَشْهَدُ أَنَّ مُحَمَّدًا عَبْدُهُ وَرَسُوْلُهُ فَقَالُوْا قُومُوْا إِلَى هَذَا الصَّابِئِ فَقَامُوْا فَضُرِبْتُ لِأَمُوْتَ فَأَدْرَكَنِي الْعَبَّاسُ فَأَكَبَّ عَلَيَّ ثُمَّ أَقْبَلَ عَلَيْهِمْ فَقَالَ وَيْلَكُمْ تَقْتُلُوْنَ رَجُلًا مِنْ غِفَارَ وَمَتْجَرُكُمْ وَمَمَرُّكُمْ عَلَى غِفَارَ فَأَقْلَعُوْا عَنِّيْ فَلَمَّا أَنْ أَصْبَحْتُ الْغَدَ رَجَعْتُ فَقُلْتُ مِثْلَ مَا قُلْتُ بِالأَمْسِ فَقَالُوْا قُومُوْا إِلَى هَذَا الصَّابِئِ فَصُنِعَ بِيْ مِثْلَ مَا صُنِعَ بِالأَمْسِ وَأَدْرَكَنِي الْعَبَّاسُ فَأَكَبَّ عَلَيَّ وَقَالَ مِثْلَ مَقَالَتِهِ بِالأَمْسِ قَالَ فَكَانَ هَذَا أَوَّلَ إِسْلَامِ أَبِيْ ذَرٍّ رَحِمَهُ اللَّهُ
Narrated Abu Jamra:
Ibn `Abbas said to us, "Shall I tell you the story of Abu Dhar's conversion to Islam?" We said, "Yes." He said, "Abu Dhar said: I was a man from the tribe of Ghifar. We heard that a man had appeared in Mecca, claiming to be a Prophet. ! said to my brother, 'Go to that man and talk to him and bring me his news.' He set out, met him and returned. I asked him, 'What is the news with you?' He said, 'By Allah, I saw a man enjoining what is good and forbidding what is evil.' I said to him, 'You have not satisfied me with this little information.' So, I took a waterskin and a stick and proceeded towards Mecca. Neither did I know him (i.e. the Prophet (ﷺ) ), nor did I like to ask anyone about him. I Kept on drinking Zam zam water and staying in the Mosque. Then `Ali passed by me and said, 'It seems you are a stranger?' I said, 'Yes.' He proceeded to his house and I accompanied him. Neither did he ask me anything, nor did I tell him anything. Next morning I went to the Mosque to ask about the Prophet but no-one told me anything about him. `Ali passed by me again and asked, 'Hasn't the man recognized his dwelling place yet' I said, 'No.' He said, 'Come along with me.' He asked me, 'What is your business? What has brought you to this town?' I said to him, 'If you keep my secret, I will tell you.' He said, 'I will do,' I said to him, 'We have heard that a person has appeared here, claiming to be a Prophet. I sent my brother to speak to him and when he returned, he did not bring a satisfactory report; so I thought of meeting him personally.' `Ali said (to Abu Dhar), 'You have reached your goal; I am going to him just now, so follow me, and wherever I enter, enter after me. If I should see someone who may cause you trouble, I will stand near a wall pretending to mend my shoes (as a warning), and you should go away then.' `Ali proceeded and I accompanied him till he entered a place, and I entered with him to the Prophet (ﷺ) to whom I said, 'Present (the principles of) Islam to me.' When he did, I embraced Islam 'immediately. He said to me, 'O Abu Dhar! Keep your conversion as a secret and return to your town; and when you hear of our victory, return to us. ' I said, 'By H him Who has sent you with the Truth, I will announce my conversion to Islam publicly amongst them (i.e. the infidels),' Abu Dhar went to the Mosque, where some people from Quraish were present, and said, 'O folk of Quraish ! I testify that None has the right to be worshipped except Allah, and I (also) testify that Muhammad is Allah's Slave and His Apostle.' (Hearing that) the Quraishi men said, 'Get at this Sabi (i.e. Muslim) !' They got up and beat me nearly to death. Al `Abbas saw me and threw himself over me to protect me. He then faced them and said, 'Woe to you! You want to kill a man from the tribe of Ghifar, although your trade and your communications are through the territory of Ghifar?' They therefore left me. The next morning I returned (to the Mosque) and said the same as I have said on the previous day. They again said, 'Get at this Sabi!' I was treated in the same way as on the previous day, and again Al-Abbas found me and threw himself over me to protect me and told them the same as he had said the day before.' So, that was the conversion of Abu Dhar (may Allah be Merciful to him) to Islam."
পরিচ্ছেদঃ ৬৪/৩৬. হুদাইবিয়াহর যুদ্ধ
৪১৭৬. আবূ জামরাহ (রহ.) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, বৃক্ষতলের বাইআতে অংশগ্রহণকারী নবী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর সাহাবী ‘আয়িয ইবনু ‘আমর (রাঃ)-কে আমি জিজ্ঞেস করলাম, বিতর কি ভাঙ্গা যাবে? তিনি বললেন, রাতের প্রথম অংশে বিতর আদায় করলে রাতের শেষে আর আদায় করবে না।[1] (আধুনিক প্রকাশনীঃ ৩৮৬০, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ৩৮৬৩)
بَاب غَزْوَةِ الْحُدَيْبِيَة
مُحَمَّدُ بْنُ حَاتِمِ بْنِ بَزِيْعٍ حَدَّثَنَا شَاذَانُ عَنْ شُعْبَةَ عَنْ أَبِيْ جَمْرَةَ قَالَ سَأَلْتُ عَائِذَ بْنَ عَمْرٍو رَضِيَ اللهُ عَنْهُ وَكَانَ مِنْ أَصْحَابِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم مِنْ أَصْحَابِ الشَّجَرَةِ هَلْ يُنْقَضُ الْوِتْرُ قَالَ إِذَا أَوْتَرْتَ مِنْ أَوَّلِهِ فَلَا تُوْتِرْ مِنْ آخِرِهِ.
Narrated Abu Jamra:
I asked Aidh bin `Amr, who was one of the companions of the Prophet (ﷺ) one of those (who gave the allegiance to the Prophet (ﷺ) the Tree: "Can the witr prayer be repeated (in one night)?" He said, "If you have offered it in the first part of the night, you should not repeat it in the last part 'of the night."
পরিচ্ছেদঃ ৬৪/৭০. ‘আবদুল কায়স গোত্রের প্রতিনিধি দল।
৪৩৬৮. আবূ জামরাহ (রহ.) হতে বর্ণিত। (তিনি বলেন) আমি ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ)-কে বললামঃ আমার একটি কলসী আছে। তাতে আমার জন্য (খেজুর ভিজিয়ে) নবীয তৈরী করা হয় এবং পানি মিঠা হলে আমি তা আরেকটি পাত্রে ঢেলে পানি করি। কিন্তু কখনো যদি ঐ পানি অধিক পরিমাণ পান করে লোকজনের সঙ্গে বসে যাই এবং দীর্ঘ সময় মসজিদে বসে থাকি তখন আমার ভয় হয় যে, (নেশার কারণে) আমি অপমানিত হব। তখন ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ) বললেন, ‘আবদুল কায়স গোত্রের একটি প্রতিনিধি দল রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর নিকটে আসলে তিনি বললেন, কাওমের জন্য খোশ-আমদেদ যাদের আগমন না ক্ষতিগ্রস্ত অবস্থায় হয়েছে, না অপমানিত অবস্থায়। তারা আরয করল, হে আল্লাহর রাসূল! আমাদের ও আপনার মধ্যে মুদার গোত্রের মুশরিকরা প্রতিবন্ধক হয়ে আছে। এ জন্য আমরা আপনার কাছে নিষিদ্ধ মাসসমূহ ব্যতীত অন্য সময়ে আসতে পারি না। কাজেই আমাদেরকে সংক্ষিপ্ত কয়েকটি কথা বলে দিন, যেগুলোর উপর ‘আমল করলে আমরা জান্নাতে প্রবেশ করতে পারব। আর যাঁরা আমাদের পেছনে (বাড়িতে) রয়ে গেছে তাদেরকে এর দা‘ওয়াত দেব। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, আমি তোমাদেরকে চারটি জিনিস পালন করার নির্দেশ দিচ্ছি। আর চারটি জিনিস থেকে বিরত থাকতে বলছি। আল্লাহর প্রতি ঈমান আনার নির্দেশ দিচ্ছি। তোমরা কি জান আল্লাহর প্রতি ঈমান আনা কাকে বলে? তা হলঃ ‘আল্লাহ ব্যতীত আর কোন ইলাহ নেই’- এ কথার সাক্ষ্য দেয়া, আর সালাত আদায় করা, যাকাত দেয়া, রমাযানের সওম পালন করা এবং গানীমাতের মালের এক-পঞ্চমাংশ জমা দেয়ার নির্দেশ দিচ্ছি। আর চারটি জিনিস-লাউয়ের পাত্র, কাঠের তৈরী নাকীর নামক পাত্র, সবুজ কলসী এবং মুযাফ্ফাত নামক তৈল মাখানো পাত্রে নবীয* তৈরী করা থেকে নিষেধ করছি। [৫৩] (আধুনিক প্রকাশনীঃ ৪০২২, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ৪০২৬)
بَاب : وَفْدِ عَبْدِ الْقَيْسِ
إِسْحَاقُ أَخْبَرَنَا أَبُوْ عَامِرٍ الْعَقَدِيُّ حَدَّثَنَا قُرَّةُ عَنْ أَبِيْ جَمْرَةَ قُلْتُ لِابْنِ عَبَّاسٍ رَضِيَ اللهُ عَنْهُمَا إِنَّ لِيْ جَرَّةً يُنْتَبَذُ لِيْ نَبِيْذٌ فَأَشْرَبُهُ حُلْوًا فِيْ جَرٍّ إِنْ أَكْثَرْتُ مِنْهُ فَجَالَسْتُ الْقَوْمَ فَأَطَلْتُ الْجُلُوْسَ خَشِيْتُ أَنْ أَفْتَضِحَ فَقَالَ قَدِمَ وَفْدُ عَبْدِ الْقَيْسِ عَلَى رَسُوْلِ اللهِ صلى الله عليه وسلم فَقَالَ مَرْحَبًا بِالْقَوْمِ غَيْرَ خَزَايَا وَلَا النَّدَامَى فَقَالُوْا يَا رَسُوْلَ اللهِ إِنَّ بَيْنَنَا وَبَيْنَكَ الْمُشْرِكِيْنَ مِنْ مُضَرَ وَإِنَّا لَا نَصِلُ إِلَيْكَ إِلَّا فِيْ أَشْهُرِ الْحُرُمِ حَدِّثْنَا بِجُمَلٍ مِنَ الْأَمْرِ إِنْ عَمِلْنَا بِهِ دَخَلْنَا الْجَنَّةَ وَنَدْعُوْ بِهِ مَنْ وَرَاءَنَا قَالَ آمُرُكُمْ بِأَرْبَعٍ وَأَنْهَاكُمْ عَنْ أَرْبَعٍ الإِيْمَانِ بِاللهِ هَلْ تَدْرُوْنَ مَا الإِيْمَانُ بِاللهِ شَهَادَةُ أَنْ لَا إِلَهَ إِلَّا اللهُ وَإِقَامُ الصَّلَاةِ وَإِيْتَاءُ الزَّكَاةِ وَصَوْمُ رَمَضَانَ وَأَنْ تُعْطُوْا مِنَ الْمَغَانِمِ الْخُمُسَ وَأَنْهَاكُمْ عَنْ أَرْبَعٍ مَا انْتُبِذَ فِي الدُّبَّاءِ وَالنَّقِيْرِ وَالْحَنْتَمِ وَالْمُزَفَّتِ.
Narrated Abu Jamra:
I said to Ibn `Abbas, "I have an earthenware pot containing Nabidh (i.e. water and dates or grapes) for me, and I drink of it while it is sweet. If I drink much of it and stay with the people for a long time, I get afraid that they may discover it (for I will appear as if I were drunk). Ibn `Abbas said, "A delegation of `Abdul Qais came to Allah's Messenger (ﷺ) and he said, "Welcome, O people! Neither will you have disgrace nor will you regret." They said, "O Allah's Messenger (ﷺ)! There are the Mudar pagans between you and us, so we cannot come to you except in the sacred Months. So please teach us some orders on acting upon which we will enter Paradise. Besides, we will preach that to our people who are behind us." The Prophet (ﷺ) said, "I order you to do four things and forbid you from four things (I order you): To believe in Allah...Do you know what is to believe in Allah? That is to testify that None has the right to be worshipped except Allah: (I order you also to offer prayers perfectly to pay Zakat; and to fast the month of Ramadan and to give the Khumus (i.e. one-fifth of the booty) (for Allah's Sake). I forbid you from four other things (i.e. the wine that is prepared in) Ad-Dubba, An-Naquir, Az-Hantam and Al-Muzaffat.
পরিচ্ছেদঃ ৬৪/৭০. ‘আবদুল কায়স গোত্রের প্রতিনিধি দল।
৪৩৬৯. আবূ জামরাহ (রহ.) হতে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ আমি ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ) থেকে শুনেছি, তিনি বলেছেন-আবদুল কায়স গোত্রে একটি প্রতিনিধি দল নবী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর নিকটে এসে বলল, হে আল্লাহর রাসূল! আমরা অর্থাৎ এই ছোট্ট দল রাবী‘আহ’র গোত্র। আমাদের এবং আপনার মাঝখানে প্রতিবন্ধক হয়ে আছে মুদার গোত্রের মুশরিকরা। কাজেই আমরা নিষিদ্ধ মাসগুলো ব্যতীত অন্য সময়ে আপনার কাছে আসতে পারি না। এ জন্য আপনি আমাদেরকে এমন কিছু বিষয়ের নির্দেশ দিয়ে দিন যেগুলোর উপর আমরা ‘আমল করতে থাকব এবং যারা আমাদের পেছনে রয়েছে তাদেরকেও সেই দিকে আহবান জানাব। তিনি বললেন, আমি তোমাদেরকে চারটি বিষয়ের হুকুম দিচ্ছি এবং চারটি বিষয় থেকে নিষেধ করছি। (বিষয়গুলো হল) আল্লাহর উপর ঈমান আনা অর্থাৎ আল্লাহ ব্যতীত অন্য কোন ইলাহ নেই এ কথার সাক্ষ্য দেয়া। (কথাটি বলে) তিনি আঙ্গুলের সাহায্যে এক গুণলেন। আর সালাত আদায় করা, যাকাত দেয়া এবং তোমরা যে গানীমাত লাভ করবে তার এক-পঞ্চমাংশ আল্লাহর জন্য জমা দেয়া। আর আমি তোমাদেরকে লাউয়ের পাত্র, নাকীর নামক খোদাইকৃত কাঠের পাত্র, সবুজ কলসী এবং মুযাফ্ফাত নামক তৈল মাখানো পাত্র ব্যবহার থেকে নিষেধ করছি। [৫৩] (আধুনিক প্রকাশনীঃ ৪০২৩, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ৪০২৭)
بَاب : وَفْدِ عَبْدِ الْقَيْسِ
سُلَيْمَانُ بْنُ حَرْبٍ حَدَّثَنَا حَمَّادُ بْنُ زَيْدٍ عَنْ أَبِيْ جَمْرَةَ قَالَ سَمِعْتُ ابْنَ عَبَّاسٍ يَقُوْلُ قَدِمَ وَفْدُ عَبْدِ الْقَيْسِ عَلَى النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم فَقَالُوْا يَا رَسُوْلَ اللهِ إِنَّا هَذَا الْحَيَّ مِنْ رَبِيْعَةَ وَقَدْ حَالَتْ بَيْنَنَا وَبَيْنَكَ كُفَّارُ مُضَرَ فَلَسْنَا نَخْلُصُ إِلَيْكَ إِلَّا فِيْ شَهْرٍ حَرَامٍ فَمُرْنَا بِأَشْيَاءَ نَأْخُذُ بِهَا وَنَدْعُوْ إِلَيْهَا مَنْ وَرَاءَنَا قَالَ آمُرُكُمْ بِأَرْبَعٍ وَأَنْهَاكُمْ عَنْ أَرْبَعٍ الإِيْمَانِ بِاللهِ شَهَادَةِ أَنْ لَا إِلَهَ إِلَّا اللهُ وَعَقَدَ وَاحِدَةً وَإِقَامِ الصَّلَاةِ وَإِيْتَاءِ الزَّكَاةِ وَأَنْ تُؤَدُّوْا لِلهِ خُمْسَ مَا غَنِمْتُمْ وَأَنْهَاكُمْ عَنْ الدُّبَّاءِ وَالنَّقِيْرِ وَالْحَنْتَمِ وَالْمُزَفَّتِ.
Narrated Ibn `Abbas:
The delegation of `Abdul Qais came to the Prophet (ﷺ) and said, "O Allah's Messenger (ﷺ) We belong to the tribe of Rabi`a. The infidels of Mudar tribe intervened between us and you so that we cannot come to you except in the Sacred Months, so please order us some things we may act on and invite those left behind to act on. The Prophet (ﷺ) said, "I order you to observe four things and forbid you from four things: (I order you) to believe in Allah, i.e. to testify that None has the right to be worshipped except Allah." The Prophet (ﷺ) pointed with finger indicating one and added, "To offer prayers perfectly: to give Zakat, and to give one-fifth of the booty you win (for Allah's Sake). I forbid you to use Ad-Dubba', An-Naquir, Al-Hantam and Al-Muzaffat, (Utensils used for preparing alcoholic liquors and drinks).
পরিচ্ছেদঃ ৬৭/৩২. অবশেষে রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মুত‘আহ বিয়ে নিষেধ করেছেন।
৫১১৬. আবূ জামরাহ (রাঃ) হতে বর্ণিত যে, আমি মহিলাদের মুত’আহ বিয়ে সম্পর্কে ইবনু ’আব্বাস (রাঃ)-কে প্রশ্ন করতে শুনেছি, তখন তিনি তার অনুমতি দেন। তাঁর আযাদকৃত গোলাম তাঁকে বললেন যে, এরূপ হুকুম নিতান্ত প্রয়োজন ও মহিলাদের স্বল্পতা ইত্যাদির কারণেই ছিল? ইবনু ’আব্বাস (রাঃ) বললেন, হাঁ। (আধুনিক প্রকাশনী- ৪৭৪১, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৪৭৪৩)
بَاب نَهْيِ رَسُوْلِ اللهِ صلى الله عليه وسلم عَنْ نِكَاحِ الْمُتْعَةِ آخِرًا
مُحَمَّدُ بْنُ بَشَّارٍ حَدَّثَنَا غُنْدَرٌ حَدَّثَنَا شُعْبَةُ عَنْ أَبِي جَمْرَةَ قَالَ سَمِعْتُ ابْنَ عَبَّاسٍ سُئِلَ عَنْ مُتْعَةِ النِّسَاءِ فَرَخَّصَ فَقَالَ لَه مَوْلًى لَه إِنَّمَا ذ‘لِكَ فِي الْحَالِ الشَّدِيدِ وَفِي النِّسَاءِ قِلَّةٌ أَوْ نَحْوَه“ فَقَالَ ابْنُ عَبَّاسٍ نَعَمْ.
Narrated Abu Jamra:
I heard Ibn `Abbas (giving a verdict) when he was asked about the Mut'a with the women, and he permitted it (Nikah-al-Mut'a). On that a freed slave of his said to him, "That is only when it is very badly needed and women are scarce." On that, Ibn `Abbas said, "Yes."
পরিচ্ছেদঃ ৯৫/৫. আরবের বিভিন্ন প্রতিনিধি দলের প্রতি নাবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম)-এর ওসিয়ত ছিল, যেন তারা (তাঁর কথাগুলো) তাদের পরবর্তী মানুষের কাছে পৌঁছে দেয়।
৭২৬৬. আবূ জামরাহ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, ইবনু ’আব্বাস (রাঃ) আমাকে তার খাটে বসাতেন। তিনি আমাকে বললেন, ’আবদুল কায়েস গোত্রের প্রতিনিধিদল যখন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর নিকট আসল। তিনি বললেনঃ এ কোন্ প্রতিনিধিদল? তারা বলল, আমরা রাবী’আ গোত্রের। রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ গোত্র ও তার প্রতিনিধিদলকে ধন্যবাদ, যারা অপমানিত হয়নি এবং লজ্জিতও হয়নি। তারা বলল, হে আল্লাহর রাসূল! আপনার ও আমাদের মাঝে মুদার গোত্রের কাফিররা (বাধা হয়ে) আছে। কাজেই আমাদের এমন আদেশ দিন, যাতে আমরা জান্নাতে প্রবেশ করতে পারি এবং আমাদের পরবর্তীদেরকেও জানাতে পারি। তারা পানীয় দ্রব্যের ব্যাপারে জিজ্ঞেস করল। তিনি তাদের চারটি বিষয় থেকে নিষেধ করলেন এবং চারটি বিষয়ের আদেশ করলেন। তিনি তাদেরকে আল্লাহর প্রতি ঈমান আনতে আদেশ করলেন।
তিনি বললেনঃ আল্লাহর প্রতি ঈমান কী তোমরা জান? তারা বলল, আল্লাহ্ ও তাঁর রাসূলই বেশি জানেন। তিনি বললেনঃ সাক্ষ্য দান করা যে, আল্লাহ্ ব্যতীত অন্য কোন ইলাহ্ নেই, তিনি একক, তাঁর কোন অংশীদার নেই। আর মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আল্লাহর রাসূল এবং সালাত কায়িম করা, যাকাত দেয়া। ইবনু ’আব্বাস (রাঃ) বলেন, আমার মনে হয় তাতে সওমের কথাও ছিল। আর গনীমতের মাল হতে পাঁচ ভাগের এক ভাগ দাও এবং তিনি তাদের জন্য দুববা (লাউয়ের খোলের পাত্র), হান্তাম (মাটির সবুজ রঙের পাত্র), (মুযাফ্ফাত এক রকম তৈলাক্ত পাত্র), নাকীর (কাঠের খোদাই করা পাত্র) নিষেধ করলেন। কোন কোন বর্ণনায় ’নাকীর’-এর জায়গায় ’মুকাইয়ার’ কথাটির উল্লেখ রয়েছে। এবং তিনি তাদের বললেন, এ কথাগুলো ভার। ভাবে মনে রেখ এবং তোমাদের পিছনে যারা আছে তাদের কাছে পৌঁছে দিও।[1] [৫৩] (আধুনিক প্রকাশনী- ৬৭৫৮, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৬৭৭০)
بَاب وَصَاةِ النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وُفُودَ الْعَرَبِ أَنْ يُبَلِّغُوا مَنْ وَرَاءَهُمْ قَالَهُ مَالِكُ بْنُ الْحُوَيْرِثِ
عَلِيُّ بْنُ الْجَعْدِ أَخْبَرَنَا شُعْبَةُ ح و حَدَّثَنِي إِسْحَاقُ أَخْبَرَنَا النَّضْرُ أَخْبَرَنَا شُعْبَةُ عَنْ أَبِي جَمْرَةَ قَالَ كَانَ ابْنُ عَبَّاسٍ يُقْعِدُنِي عَلَى سَرِيرِهِ فَقَالَ لِي إِنَّ وَفْدَ عَبْدِ الْقَيْسِ لَمَّا أَتَوْا رَسُولَ اللهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ مَنْ الْوَفْدُ قَالُوا رَبِيعَةُ قَالَ مَرْحَبًا بِالْوَفْدِ أَوْ الْقَوْمِ غَيْرَ خَزَايَا وَلاَ نَدَامَى قَالُوا يَا رَسُولَ اللهِ صلى الله عليه وسلم إِنَّ بَيْنَنَا وَبَيْنَكَ كُفَّارَ مُضَرَ فَمُرْنَا بِأَمْرٍ نَدْخُلُ بِهِ الْجَنَّةَ وَنُخْبِرُ بِهِ مَنْ وَرَاءَنَا فَسَأَلُوا عَنْ الأَشْرِبَةِ فَنَهَاهُمْ عَنْ أَرْبَعٍ وَأَمَرَهُمْ بِأَرْبَعٍ أَمَرَهُمْ بِالإِيمَانِ بِاللهِ قَالَ هَلْ تَدْرُونَ مَا الإِيمَانُ بِاللهِ قَالُوا اللهُ وَرَسُولُهُ أَعْلَمُ قَالَ شَهَادَةُ أَنْ لاَ إِلَهَ إِلاَّ اللهُ وَحْدَهُ لاَ شَرِيكَ لَهُ وَأَنَّ مُحَمَّدًا رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم وَإِقَامُ الصَّلاَةِ وَإِيتَاءُ الزَّكَاةِ وَأَظُنُّ فِيهِ صِيَامُ رَمَضَانَ وَتُؤْتُوا مِنْ الْمَغَانِمِ الْخُمُسَ وَنَهَاهُمْ عَنْ الدُّبَّاءِ وَالْحَنْتَمِ وَالْمُزَفَّتِ وَالنَّقِيرِ وَرُبَّمَا قَالَ الْمُقَيَّرِ قَالَ احْفَظُوهُنَّ وَأَبْلِغُوهُنَّ مَنْ وَرَاءَكُمْ.
Narrated Ibn `Abbas:
When the delegate of `Abd Al-Qais came to Allah's Messenger (ﷺ), he said, "Who are the delegate?" They said, "The delegate are from the tribe of Rabi`a." The Prophet (ﷺ) said, "Welcome, O the delegate, and welcome! O people! Neither you will have any disgrace nor will you regret." They said, "O Allah's Apostle! Between you and us there are the infidels of the tribe of Mudar, so please order us to do something good (religious deeds) that by acting on them we may enter Paradise, and that we may inform (our people) whom we have left behind, about it." They also asked (the Prophet) about drinks. He forbade them from four things and ordered them to do four things. He ordered them to believe in Allah, and asked them, "Do you know what is meant by belief in Allah?" They said, "Allah and His Apostle know best." He said, ''To testify that none has the right to be worshipped except Allah, the One, Who has no partners with Him, and that Muhammad is Allah's Messenger (ﷺ); and to offer prayers perfectly and to pay Zakat." (the narrator thinks that fasting in Ramadan is included), "and to give one-fifth of the war booty (to the state)." Then he forbade four (drinking utensils): Ad-Duba', Al56 Hantam, Al-Mazaffat and An-Naqir, or probably, Al-Muqaiyar. And then the Prophet (ﷺ) said, "Remember all these things by heart and preach it to those whom you have left behind."