পরিচ্ছেদঃ ৫/৭১. কুরআন মজীদে তিলাওয়াতের সাজাদাহর সংখ্যা।
৩/১০৫৭। আমর ইবনুল আস (রাঃ) থেকে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাকে কুরআনের পনেরটি সিজদা্ পড়িয়েছেন। তন্মধ্যে মুফাসসাল সূরায় তিনটি এবং সূরাহ হাজ্জে (হজ্জ) দুটি সিজদা্ রয়েছে।
তাহক্বীক্ব আলবানী: যঈফ। তাখরীজ আলবানী: আবূ দাঊদ ১৪০১ যঈফ, মিশকাত ১০২৯। উক্ত হাদিসের রাবী হারিস বিন সাঈদ আল-উতাকী সম্পর্কে ইবনু কাত্তান বলেন, তার অবস্থা সম্পর্কে কিছুই জানা যায়না। ইমাম যাহাবী বলেন, তিনি অপরিচিত।
بَاب عَدَدِ سُجُودِ الْقُرْآنِ
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ يَحْيَى، حَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي مَرْيَمَ، عَنْ نَافِعِ بْنِ يَزِيدَ، حَدَّثَنَا الْحَارِثُ بْنُ سَعِيدٍ الْعُتَقِيُّ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ مُنَيْنٍ، - مِنْ بَنِي عَبْدِ كِلاَلٍ - عَنْ عَمْرِو بْنِ الْعَاصِ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ أَقْرَأَهُ خَمْسَ عَشْرَةَ سَجْدَةً فِي الْقُرْآنِ مِنْهَا ثَلاَثٌ فِي الْمُفَصَّلِ وَفِي الْحَجِّ سَجْدَتَيْنِ .
It was narrated from ‘Amr bin ‘As that the Messenger of Allah (ﷺ) taught him fifteen prostrations in the Qur’an, including three in the Mufassal and two in Al-Hajj.
পরিচ্ছেদঃ ১০/৩৩. উম্মুল ওয়ালাদ-এর ইদ্দাত।
১/২০৮৩। ’আমর ইবনুল আস (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, তোমরা আমাদের সামনে আমাদের নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মুহাম্মাদ রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সুন্নাতকে বিপর্যস্ত করো না। উম্মুল ওয়ালাদের উদ্দাত চার মাস দশ দিন।
তাহকীক আলবানীঃ সহীহ। উক্ত হাদিসের রাবী মাতারিল ওয়াররাক সম্পর্কে আবু বকর আল-বাযযার বলেন, তার হাদিস কেউ বর্জন করেছেন এ মর্মে আমার জানা নেই। আবু জা'ফার আল-উকায়লী বলেন, এই সানাদে তার হাদিসের অনুসরণ করা যাবে না। আবু হাতিম বিন হিব্বান বলেন, তিনি হাদিস বর্ণনায় কখনো কখনো ভুল করেন। আহমাদ বিন হাম্বল বলেন, তিনি নির্ভরযোগ্য নয়। ইবনু হাজার আল-আসকালানী বলেন, তিনি সত্যবাদী তবে হাদিস বর্ণনায় ভুল করেন। (তাহযীবুল কামালঃ রাবী নং ৫৯৯৪, ২৮/৫১ নং পৃষ্ঠা)
بَاب عِدَّةِ أُمِّ الْوَلَدِ
حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ مُحَمَّدٍ حَدَّثَنَا وَكِيعٌ عَنْ سَعِيدِ بْنِ أَبِي عَرُوبَةَ عَنْ مَطَرٍ الْوَرَّاقِ عَنْ رَجَاءِ بْنِ حَيْوَةَ عَنْ قَبِيصَةَ بْنِ ذُؤَيْبٍ عَنْ عَمْرِو بْنِ الْعَاصِ قَالَ لَا تُفْسِدُوا عَلَيْنَا سُنَّةَ نَبِيِّنَا مُحَمَّدٍ صلى الله عليه وسلم عِدَّةُ أُمِّ الْوَلَدِ أَرْبَعَةُ أَشْهُرٍ وَعَشْرًا
It was narrated that 'Amr bin 'As said:
"Do not corrupt the Sunnah of our Prophet Muhammad (ﷺ). The waiting period of an Umm Walad is four months and ten (days)."
পরিচ্ছেদঃ ১৩/৩. বিচারকের ইজতিহাদ করে সঠিক সিদ্ধান্তে পৌঁছা।
১/২৩১৪। ’আমর ইবনুল আস (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলতে শুনেছেনঃ বিচারক যখন ইজতিহাদ করে (চিন্তাভাবনা করে সঠিক সিদ্ধান্তে পৌঁছার চেষ্টা করে) বিচার করে, অতঃপর সঠিক সিদ্ধান্তে পৌঁছে যায়, তার জন্য রয়েছে দু’টি পুরস্কার। আর সে যখন ইজতিহাদ করে বিচার করতে গিয়ে ভুল করে বসে তবুও তার জন্য রয়েছে একটি পুরস্কার। রাবী ইয়াযীদ (রাঃ) বলেন, আমি হাদীসটি আবূ বকর ইবনে আমর ইবনে হাযমের নিকট বর্ণনা করলে তিনি বলেন, আবূ সালামা (রাঃ) আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকেও আমার নিকট অনুরূপ বর্ণনা করেছেন।
بَاب الْحَاكِمِ يَجْتَهِدُ فَيُصِيبُ الْحَقَّ
حَدَّثَنَا هِشَامُ بْنُ عَمَّارٍ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الْعَزِيزِ بْنُ مُحَمَّدٍ الدَّرَاوَرْدِيُّ، حَدَّثَنَا يَزِيدُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ الْهَادِ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ إِبْرَاهِيمَ التَّيْمِيِّ، عَنْ بُسْرِ بْنِ سَعِيدٍ، عَنْ أَبِي قَيْسٍ، - مَوْلَى عَمْرِو بْنِ الْعَاصِ - عَنْ عَمْرِو بْنِ الْعَاصِ، أَنَّهُ سَمِعَ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ " إِذَا حَكَمَ الْحَاكِمُ فَاجْتَهَدَ فَأَصَابَ فَلَهُ أَجْرَانِ وَإِذَا حَكَمَ فَاجْتَهَدَ فَأَخْطَأَ فَلَهُ أَجْرٌ " .
قَالَ يَزِيدُ فَحَدَّثْتُ بِهِ أَبَا بَكْرِ بْنَ عَمْرِو بْنِ حَزْمٍ، فَقَالَ هَكَذَا حَدَّثَنِيهِ أَبُو سَلَمَةَ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَة.َ
It was narrated from 'Amr bin 'As that he heard the Messenger of Allah (ﷺ) say:
“When the judge passes a judgement and does his best and gets it right, he will have two rewards, and if he passes a judgement and does his best and gets it wrong, he will have one reward.” (Sahih) Yazid (one of narrators) said : “So I Narrated it to Abu Bakr bin 'Amr bin Hazm. He said: 'This is how it was narrated to me by Abu Salamah from Abu Hurairah.'”
পরিচ্ছেদঃ সাহরী খাওয়ার ফযীলত।
৭০৭. কুতায়বা (রহঃ) ..... আমর ইবনু আস (রাঃ) সূত্রে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে হাদিসটি বর্ণিত আছে। - হিজাবুল মারআতিল মুসলিমা পৃঃ ৮৮, সহিহ আবু দাউদ ২০২৯, মুসলিম, তিরমিজী হাদিস নম্বরঃ ৭০৯ [আল মাদানী প্রকাশনী]
এই হাদিসটি হাসান সহীহ্। এই হাদীসটির রাবী মূসা সম্পর্কে মিশরবাসী (মুহাদ্দিসগণ) বলেন, মূসা ইবনু আলী। আর ইরাকবাসী (মুহদ্দিসগণ) বলেন, মূসা ইবনু উলাই। তিনি হলেন, মূসা ইবনু উলাই ইবনু রাবাহ্ লাখমী।
باب مَا جَاءَ فِي فَضْلِ السُّحُورِ
وَرُوِيَ عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم أَنَّهُ قَالَ " فَصْلُ مَا بَيْنَ صِيَامِنَا وَصِيَامِ أَهْلِ الْكِتَابِ أَكْلَةُ السَّحَرِ " . حَدَّثَنَا بِذَلِكَ قُتَيْبَةُ حَدَّثَنَا اللَّيْثُ عَنْ مُوسَى بْنِ عَلِيٍّ عَنْ أَبِيهِ عَنْ أَبِي قَيْسٍ مَوْلَى عَمْرِو بْنِ الْعَاصِ عَنْ عَمْرِو بْنِ الْعَاصِ عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم بِذَلِكَ . قَالَ وَهَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ . وَأَهْلُ مِصْرَ يَقُولُونَ مُوسَى بْنُ عَلِيٍّ وَأَهْلُ الْعِرَاقِ يَقُولُونَ مُوسَى بْنُ عُلَىٍّ وَهُوَ مُوسَى بْنُ عَلِيِّ بْنِ رَبَاحٍ اللَّخْمِيُّ .
see previous Hadith.
পরিচ্ছেদঃ ৬২/৬. পরিচ্ছেদ নাই।
৩৬৬২.’আমর ইবনু ’আস (রাঃ) হতে বর্ণিত যে, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাঁকে যাতুস্ সালাসিল যুদ্ধের সেনাপতি করে পাঠিয়ে ছিলেন। তিনি বলেন, আমি তাঁর নিকট উপস্থিত হয়ে জিজ্ঞেস করলাম, মানুষের মধ্যে কে আপনার নিকট সবচেয়ে প্রিয়? তিনি বললেন, ’আয়িশাহ্। আমি বললাম, পুরুষদের মধ্যে কে? তিনি বললেন, তাঁর পিতা (আবূ বকর)। আমি জিজ্ঞেস করলাম, অতঃপর কোন লোকটি? তিনি বললেন, ’উমার ইবনু খাত্তাব অতঃপর আরো কয়েকজনের নাম করলেন। (৪৩৫৮, মুসলিম ৪৪/হাঃ ২৩৮৪, আহমাদ ১৭৮৫৭) (আধুনিক প্রকাশনীঃ ৩৩৯০, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ৩৩৯৭)
بَاب
حَدَّثَنَا مُعَلَّى بْنُ أَسَدٍ حَدَّثَنَا عَبْدُ الْعَزِيْزِ بْنُ الْمُخْتَارِ قَالَ خَالِدٌ الْحَذَّاءُ حَدَّثَنَا عَنْ أَبِيْ عُثْمَانَ قَالَ حَدَّثَنِيْ عَمْرُوْ بْنُ الْعَاصِ أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم بَعَثَهُ عَلَى جَيْشِ ذَاتِ السُّلَاسِلِ فَأَتَيْتُهُ فَقُلْتُ أَيُّ النَّاسِ أَحَبُّ إِلَيْكَ قَالَ عَائِشَةُ فَقُلْتُ مِنْ الرِّجَالِ فَقَالَ أَبُوْهَا قُلْتُ ثُمَّ مَنْ قَالَ ثُمَّ عُمَرُ بْنُ الْخَطَّابِ فَعَدَّ رِجَالًا
Narrated `Amr bin Al-As:
The Prophet (ﷺ) deputed me to read the Army of Dhat-as-Salasil. I came to him and said, "Who is the most beloved person to you?" He said, " `Aisha." I asked, "Among the men?" He said, "Her father." I said, "Who then?" He said, "Then `Umar bin Al-Khattab." He then named other men.
পরিচ্ছেদঃ ৬৩/২৬. জাহিলীয়্যাতের যুগ।
৩৮৩৭. ‘আমর (রাঃ) হতে বর্ণিত যে, ‘আবদুর রাহমান ইবনু কাসিম (রাঃ) তার কাছে বলেছেন যে, কাসিম জানাযা বহন করার সময় আগে আগে চলতেন। জানাযা দেখলে তিনি দাঁড়াতেন না* এবং তিনি বর্ণনা করেছেন যে, ‘আয়িশাহ (রাঃ) বলতেন, জাহিলী যুগে মুশরিকগণ জানাযা দেখলে দাঁড়াত এবং মৃত ব্যক্তির রূহকে লক্ষ্য করে বলত, তুমি তোমার আপন জনদের সাথেই আছ যেমন তোমার জীবদ্দশায় ছিলে। এ কথাটি তারা দু’বার বলত। (আধুনিক প্রকাশনীঃ ৩৫৫২, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ৩৫৫৭)
بَابُ أَيَّامُ الْجَاهِلِيَّةِ
حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ سُلَيْمَانَ قَالَ حَدَّثَنِيْ ابْنُ وَهْبٍ قَالَ أَخْبَرَنِيْ عَمْرٌو أَنَّ عَبْدَ الرَّحْمَنِ بْنَ الْقَاسِمِ حَدَّثَهُ أَنَّ الْقَاسِمَ كَانَ يَمْشِيْ بَيْنَ يَدَيْ الْجَنَازَةِ وَلَا يَقُومُ لَهَا وَيُخْبِرُ عَنْ عَائِشَةَ قَالَتْ كَانَ أَهْلُ الْجَاهِلِيَّةِ يَقُومُوْنَ لَهَا يَقُوْلُوْنَ إِذَا رَأَوْهَا كُنْتِ فِيْ أَهْلِكِ مَا أَنْتِ مَرَّتَيْنِ
Narrated `Abdur-Rahman bin Al-Qasim:
Al-Qasim used to walk in front of the funeral procession. He used not to get up for the funeral procession (in case it passed by him). And he narrated from `Aisha that she said, "The people of the pre-lslamic period of ignorance used to stand up for the funeral procession. When they saw it they used to say twice: 'You were noble in your family. What are you now?"
পরিচ্ছেদঃ ৭৮/১৪. রক্ত সম্পর্ক প্রাণবন্ত হয়, যদি সুসম্পর্কের মাধ্যমে তাতে পানি সিঞ্চন করা হয়।
৫৯৯০. ’আমর ইবনু ’আস (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কে উচ্চস্বরে বলতে শুনেছি, আস্তে নয়। তিনি বলেছেনঃ অমুকের বংশ আমার বন্ধু নয়। ’আমর বলেনঃ মুহাম্মাদ ইবনু জা’ফরের কিতাবে বংশের পরে জায়গা খালি রয়েছে। (কোন বংশের নাম নাই)। বরং আমার বন্ধু আল্লাহ ও নেককার মু’মিনগণ।
’আনবাসা অন্য সূত্রে ’আমর ইবনু ’আস (রাঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে আমি শুনেছিঃ বরং তাদের সাথে (আমার) আত্মীয়তার সম্পর্ক আছে, আমি সুসম্পর্কের রস দিয়ে তা প্রাণবন্ত রাখি। [মুসলিম ১/৯৩, হাঃ ২১৫] (আধুনিক প্রকাশনী- ৫৫৫৫, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫৪৫১)
بَاب تُبَلُّ الرَّحِمُ بِبَلاَلِهَا
حَدَّثَنَا عَمْرُو بْنُ عَبَّاسٍ، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ جَعْفَرٍ، حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، عَنْ إِسْمَاعِيلَ بْنِ أَبِي خَالِدٍ، عَنْ قَيْسِ بْنِ أَبِي حَازِمٍ، أَنَّ عَمْرَو بْنَ الْعَاصِ، قَالَ سَمِعْتُ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم جِهَارًا غَيْرَ سِرٍّ يَقُولُ " إِنَّ آلَ أَبِي " ـ قَالَ عَمْرٌو فِي كِتَابِ مُحَمَّدِ بْنِ جَعْفَرٍ بَيَاضٌ ـ لَيْسُوا بِأَوْلِيَائِي، إِنَّمَا وَلِيِّيَ اللَّهُ وَصَالِحُ الْمُؤْمِنِينَ. زَادَ عَنْبَسَةُ بْنُ عَبْدِ الْوَاحِدِ عَنْ بَيَانٍ عَنْ قَيْسٍ عَنْ عَمْرِو بْنِ الْعَاصِ قَالَ سَمِعْتُ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم " وَلَكِنْ لَهُمْ رَحِمٌ أَبُلُّهَا بِبَلاَلِهَا ". يَعْنِي أَصِلُهَا بِصِلَتِهَا.
Narrated `Amr bin Al-`As:
I heard the Prophet (ﷺ) saying openly not secretly, "The family of Abu so-and-so (i.e. Talib) are not among my protectors." `Amr said that there was a blank space (1) in the Book of Muhammad bin Ja`far. He added, "My Protector is Allah and the righteous believing people." `Amr bin Al-`As added: I heard the Prophet (ﷺ) saying, 'But they (that family) have kinship (Rahm) with me and I will be good and dutiful to them. "
পরিচ্ছেদঃ ৯৬/২১. বিচারক ইজ্তিহাদে ঠিক করুক বা ভুল করুক তার প্রতিদান পাবে।
৭৩৫২. ’আমর ইবনু ’আস (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে এ কথা বলতে শুনেছেন, কোন বিচারক ইজ্তিহাদে সঠিক সিদ্ধান্তে পৌঁছলে তার জন্য আছে দু’টি পুরস্কার। আর বিচারক ইজ্তিহাদে ভুল করলে তার জন্যও রয়েছে একটি পুরস্কার।[1]
রাবী বলেন, আমি হাদীসটি আবূ বকর ইবনু মুহাম্মাদ ইবনু ’আমর ইবনু হাযিম (রহ.)-এর নিকট বর্ণনা করলে তিনি বললেন, আবূ সালামাহ ইবনু ’আবদুর রহমান আবূ হুরাইরাহ (রাঃ) থেকে এরকম বর্ণনা করেছেন।
এবং ’আবদুল ’আযীয ইবনু ’আবদুল মুত্তালিব.....আবূ সালামাহ (রাঃ) সূত্রে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে এরকমই বর্ণনা করেছেন। [মুসলিম ৩০/৬, হাঃ ১৭১৬] (আধুনিক প্রকাশনী- ৬৮৩৮, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৬৮৫০)
তার মধ্যে রয়েছে : وقاض قضى بغير حق فهو في النار وقاض قضى وهو لا يعلم فهو في النار
এখানে (الامر) নির্দেশ বা হুকুম দ্বারা উদ্দেশ্য إفعل সিগা (শব্দরূপ) এবং (النهي) নিষেধ দ্বারা উদ্দেশ্য لا تفعل সিগা (শব্দরূপ)।
আর সাহাবীর কথা যেমন : أمرنا رسول الله بكذا অর্থাৎ ‘‘রসূলসাঃ আমদেরকে এমন করতে নির্দেশ দেন অথবা ওটা হতে নিষেধ করেছেন’’ এ বিষয়ে মতভেদ রয়েছে।
কিন্তু অধিকাংশ সালাফদের নিকট راجح বা অগ্রাধিকারযোগ্য মত হচ্ছে যে, কোন পার্থক্য নেই (অর্থাৎ রসূলের কথা افعل এবং সাহাবীর কথা امرنا رسول الله بكذا এতদুভয়ের মাঝে কোন পার্থক্য নেই। অনুরূপভাবে রসূলের কথা لا تفعل এবং সাহাবীর কথা نهانا عنه এবং মাঝে কোনই পার্থক্য নেই)। আবার কিছু কিছু উসূলবাদী আমরের সিগার (নির্দেশ সূচক শব্দরূপের) ১৭টি অর্থ এবং নাহীর সিগার (নিষেধ সূচক শব্দরূপের) ৮টি অর্থ উল্লেখ করেন। আর কাজী আবূ বকর ত্বায়্যিব ইমাম মালেক ও ইমাম শাফে’য়ী থেকে বর্ণনা করেন যে, তাদের উভয়ের নিকটই আমরের সীগা ওয়াজিবের জন্য এবং নাহীর সীগা হারামের জন্য প্রয়োগ হবে যতক্ষণ পর্যন্ত এর বিপরীত কোন প্রমাণ প্রতিষ্ঠিত না হবে।
ইমাম ইবনু বাত্তাল বলেন : জামহুরের মত এটাই।
بَاب أَجْرِ الْحَاكِمِ إِذَا اجْتَهَدَ فَأَصَابَ أَوْ أَخْطَأَ
عَبْدُ اللهِ بْنُ يَزِيدَ الْمُقْرِئُ الْمَكِّيُّ حَدَّثَنَا حَيْوَةُ بْنُ شُرَيْحٍ حَدَّثَنِي يَزِيدُ بْنُ عَبْدِ اللهِ بْنِ الْهَادِ عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ إِبْرَاهِيمَ بْنِ الْحَارِثِ عَنْ بُسْرِ بْنِ سَعِيدٍ عَنْ أَبِي قَيْسٍ مَوْلَى عَمْرِو بْنِ الْعَاصِ عَنْ عَمْرِو بْنِ الْعَاصِ أَنَّهُ سَمِعَ رَسُولَ اللهِ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ إِذَا حَكَمَ الْحَاكِمُ فَاجْتَهَدَ ثُمَّ أَصَابَ فَلَهُ أَجْرَانِ وَإِذَا حَكَمَ فَاجْتَهَدَ ثُمَّ أَخْطَأَ فَلَهُ أَجْرٌ قَالَ فَحَدَّثْتُ بِهَذَا الْحَدِيثِ أَبَا بَكْرِ بْنَ عَمْرِو بْنِ حَزْمٍ فَقَالَ هَكَذَا حَدَّثَنِي أَبُو سَلَمَةَ بْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ وَقَالَ عَبْدُ الْعَزِيزِ بْنُ الْمُطَّلِبِ عَنْ عَبْدِ اللهِ بْنِ أَبِي بَكْرٍ عَنْ أَبِي سَلَمَةَ عَنْ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم مِثْلَهُ
Narrated `Amr bin Al-`As:
That he heard Allah's Messenger (ﷺ) saying, "If a judge gives a verdict according to the best of his knowledge and his verdict is correct (i.e. agrees with Allah and His Apostle's verdict) he will receive a double reward, and if he gives a verdict according to the best of his knowledge and his verdict is wrong, (i.e. against that of Allah and His Apostle) even then he will get a reward ."
পরিচ্ছেদঃ ১/৯১. মুমিনদের সাথে বন্ধু স্থাপন, অপরদের সাথে সম্পর্কচ্ছেদ আর তাদের দায়-দায়িত্ব থেকে নিস্কৃতি।
১২৮. ’আমর ইবনু ’আস (রাযি.) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে উচ্চস্বরে বলতে শুনেছি, আস্তে নয়। তিনি বলেছেনঃ অমুকের বংশ আমার বন্ধু নয়। ’আমর বলেনঃ মুহাম্মাদ ইবনু জা’ফরের কিতাবে বংশের পরে জায়গা খালি রয়েছে। (কোন বংশের নাম উল্লেখ নেই)। আমার বন্ধু বরং আল্লাহ ও নেককার মু’মিনগণ। ’আনবাসাহ ভিন্ন সূত্রে ’আমর ইবনুল ’আস (রাযি.) থেকে বর্ণনা করেন যে, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে আমি শুনেছিঃ বরং তাদের সাথে (আমার) আত্মীয়তার হক রয়েছে, আমি সুসম্পর্কের রস দিয়ে তা সঞ্জীবিত রাখি।
حَدِيْثُ عَمْرَو بْنَ الْعَاصِ قَالَ سَمِعْتُ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم جِهَارًا غَيْرَ سِرٍّ يَقُولُ إِنَّ آلَ أَبِي قَالَ عَمْرٌو فِي كِتَابِ مُحَمَّدِ بْنِ جَعْفَرٍ بَيَاضٌ لَيْسُوا بِأَوْلِيَائِي إِنَّمَا وَلِيِّيَ اللهُ وَصَالِحُ الْمُؤْمِنِينَ زَادَ عَنْبَسَةُ بْنُ عَبْدِ الْوَاحِدِ عَنْ بَيَانٍ عَنْ قَيْسٍ عَنْ عَمْرِو بْنِ الْعَاصِ قَالَ سَمِعْتُ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم وَلَكِنْ لَهُمْ رَحِمٌ أَبُلُّهَا بِبَلَاهَا يَعْنِي أَصِلُهَا بِصِلَتِهَا
পরিচ্ছেদঃ ৩০/৬. বিচারকের সওয়াব যখন সে সঠিক ফায়সালায় পৌছতে আপ্রাণ চেষ্টা করে- তার ফায়সালা ঠিক হোক বা ভুল হোক।
১১১৮. আমর ইবনু ’আস (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে এ কথা বলতে শুনেছেন, কোন বিচারক ইজতিহাদে সঠিক সিদ্ধান্ত নিলে তার জন্য রয়েছে দু’টি পুরস্কার। আর যদি কোন বিচারক ইজতিহাদে ভুল করেন তার জন্যও রয়েছে একটি পুরস্কার।
بيان أجر الحاكم إِذا اجتهد فأصاب أو أخطأ
حديث عَمْرِو بْنِ الْعَاصِ، أَنَّهُ سَمِعَ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقُولُ: إِذَا حَكَمَ الْحَاكِمُ فَاجْتَهَدَ ثُمَّ أَصَابَ فَلَهُ أَجْرَانِ، وَإِذَا حَكَمَ فَاجْتَهَدَ ثُمَّ أَخْطَأَ فَلَهُ أَجْرٌ
পরিচ্ছেদঃ ৪৪/১. আবু বকর আস্সিদ্দীক (রাঃ)-এর মর্যাদা।
১৫৪২. ’আমর ইবনু ’আস (রাঃ) হতে বর্ণিত। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাকে যাতুস সালাসিল যুদ্ধের সেনাপতি করে পাঠিয়ে ছিলেন। তিনি বলেন, আমি তাঁর নিকট উপস্থিত হয়ে জিজ্ঞেস করলাম, মানুষের মধ্যে কে আপনার নিকট সবচেয়ে প্রিয়? তিনি বললেন, ’আয়িশাহ্। আমি বললাম, পুরুষদের মধ্যে কে? তিনি বললেন, তাঁর পিতা (আবূ বকর)। আমি জিজ্ঞেস করলাম, অতঃপর কোন্ লোকটি? তিনি বললেন, উমর ইবনু খাত্তাব অতঃপর আরো কয়েকজনের নাম করলেন।
من فضائل أبي بكر الصديق رضي الله عنه
حديث عَمْرِو بْنِ الْعَاصِ رضي الله عنه، أَنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، بَعَثَهُ عَلَى جَيْشِ ذَاتِ السَّلاَسِلِ فَأَتَيْتُهُ فَقُلْتُ: أَيُّ النَّاسِ أَحَبُّ إِلَيْكَ قَالَ: عَائِشَةُ فَقُلْتُ: مِنَ الرِّجَالِ قَالَ: أَبُوهَا، قُلْتُ: ثُمَّ مَنْ قَالَ: ثُمَّ عُمَرُ بْنُ الْخَطَّابِ فَعَدَّ رِجَالاً
পরিচ্ছেদঃ ৬৩. আইশাহ (রাযিঃ) এর মর্যাদা
৩৮৮৫। আমর ইবনুল আস (রাযিঃ) হতে বর্ণিত আছে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাকে যাতুস সালাসিল যুদ্ধে প্রধান সেনাপতি নিযুক্ত করেন। আমর (রাযিঃ) বলেন ,আমি তার নিকট এসে বললাম, হে আল্লাহর রাসূল! আপনার নিকট কোন লোক সর্বাধিক প্রিয়? তিনি বললেন, আয়িশাহ। আমি বললাম, পুরুষদের মাঝে কে? তিনি বললেনঃ তার বাবা।
সহীহঃ আত-তা’লীক ’আলা আল-ইহসান (৪৫২৩), বুখারী ও মুসলিম।
আবূ ঈসা বলেন, এ হাদীসটি হাসান সহীহ।
حَدَّثَنَا إِبْرَاهِيمُ بْنُ يَعْقُوبَ، وَمُحَمَّدُ بْنُ بَشَّارٍ، وَاللَّفْظُ، لاِبْنِ يَعْقُوبَ قَالاَ حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ حَمَّادٍ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الْعَزِيزِ بْنُ الْمُخْتَارِ، حَدَّثَنَا خَالِدٌ الْحَذَّاءُ، عَنْ أَبِي عُثْمَانَ النَّهْدِيِّ، عَنْ عَمْرِو بْنِ الْعَاصِ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم اسْتَعْمَلَهُ عَلَى جَيْشِ ذَاتِ السَّلاَسِلِ . قَالَ فَأَتَيْتُهُ فَقُلْتُ يَا رَسُولَ اللَّهِ أَىُّ النَّاسِ أَحَبُّ إِلَيْكَ قَالَ " عَائِشَةُ " . قُلْتُ مِنَ الرِّجَالِ قَالَ " أَبُوهَا " . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ .
Narrated 'Amr bin Al-'As:
that the Messenger of Allah (ﷺ) appointed him as a leader of the army of Dhatis-Salasil. He said: "So I went to him and said: 'O Messenger of Allah! Who is the most beloved to you among the people?' He said: ''Aishah.' I said: 'From the men?' He said: 'Her father.'"
পরিচ্ছেদঃ ৬৩. আইশাহ (রাযিঃ) এর মর্যাদা
৩৮৮৬। আমর ইবনুল ’আস (রাযিঃ) হতে বর্ণিত আছে যে, তিনি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে বললেন, আপনার নিকট সর্বাধিক প্রিয় কোন ব্যক্তি? তিনি বললেনঃ আয়িশাহ। তিনি আবার প্রশ্ন করলেন, পুরুষদের মাঝে কে? তিনি বললেনঃ তার পিতা।
সহীহঃ বুখারী ও মুসলিম।
আবূ ঈসা বলেন, এ হাদীসটি হাসান এবং ইসমাঈল-কাইস হতে এই সনদে বর্ণিত হাদীস হিসেবে গারীব।
حَدَّثَنَا إِبْرَاهِيمُ بْنُ سَعِيدٍ الْجَوْهَرِيُّ، حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ سَعِيدٍ الأُمَوِيُّ، عَنْ إِسْمَاعِيلَ بْنِ أَبِي خَالِدٍ، عَنْ قَيْسِ بْنِ أَبِي حَازِمٍ، عَنْ عَمْرِو بْنِ الْعَاصِ، أَنَّهُ قَالَ يَا رَسُولَ اللَّهِ مَنْ أَحَبُّ النَّاسِ إِلَيْكَ قَالَ " عَائِشَةُ " . قَالَ مِنَ الرِّجَالِ قَالَ " أَبُوهَا " . هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ غَرِيبٌ مِنْ هَذَا الْوَجْهِ مِنْ حَدِيثِ إِسْمَاعِيلَ عَنْ قَيْسٍ .
Narrated 'Amr bin Al-'As:
that he said to the Messenger of Allah (ﷺ): "Who is the most beloved of the people to you?" He said: "'Aishah." He said: "From the men?" He said: "Her farther."
পরিচ্ছেদঃ ৯৩. মু'মিনদের সঙ্গে বন্ধুত্ব রক্ষা করা ও অন্যদের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করা ও তাদেরকে এড়িয়ে চলা।
৪০৭-(৩৬৬/২১৫) আহমাদ ইবনু হাম্বাল (রহঃ) ..... আমর ইবনু আস (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কে চুপে চুপে নয় স্পষ্ট বলতে শুনেছি যে, জেনে রেখ! অমুক বংশ (আত্মীয়তার কারণে) আমার বন্ধু নয়, বরং আল্লাহর এবং নেককার মুমিনগণই হলেন আমার বন্ধু। (ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ৪১২, ইসলামিক সেন্টারঃ ৪২৬)
باب مُوَالاَةِ الْمُؤْمِنِينَ وَمُقَاطَعَةِ غَيْرِهِمْ وَالْبَرَاءَةِ مِنْهُمْ
حَدَّثَنِي أَحْمَدُ بْنُ حَنْبَلٍ، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ جَعْفَرٍ، حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، عَنْ إِسْمَاعِيلَ بْنِ أَبِي خَالِدٍ، عَنْ قَيْسٍ، عَنْ عَمْرِو بْنِ الْعَاصِ، قَالَ سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم جِهَارًا غَيْرَ سِرٍّ يَقُولُ " أَلاَ إِنَّ آلَ أَبِي - يَعْنِي فُلاَنًا - لَيْسُوا لِي بِأَوْلِيَاءَ إِنَّمَا وَلِيِّيَ اللَّهُ وَصَالِحُ الْمُؤْمِنِينَ " .
Chapter: Allegiance to the believers, and forsaking others and disavowing them
'Amr b. 'As reported: I heard it from the Messenger of Allah (ﷺ) quite audibly and not secretly: Behold! the posterity of my fathers, that is, so and so, are not my friends. Verily Allah and the pious believers are my friends.
পরিচ্ছেদঃ ৯. সাহরীর ফযীলত, সাহরী খাওয়া মুস্তাহাব, এর প্রতি গুরুত্বারোপ এবং সাহরী বিলম্বে খাওয়া ও ইফতার তাড়াতাড়ি করা মুস্তাহাব
২৪৪০-(৪৬/১০৯৬) কুতায়বাহ ইবনু সাঈদ (রহঃ) ...... আমর ইবনু আস (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেনঃ আমাদের ও কিতাবীদের সিয়ামের মধ্যে পার্থক্য হল সাহরী খাওয়া। (ইসলামিক ফাউন্ডেশন ২৪১৭, ইসলামীক সেন্টার ২৪১৬)
باب فَضْلِ السُّحُورِ وَتَأْكِيدِ اسْتِحْبَابِهِ وَاسْتِحْبَابِ تَأْخِيرِهِ وَتَعْجِيلِ الْفِطْرِ
حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ بْنُ سَعِيدٍ، حَدَّثَنَا لَيْثٌ، عَنْ مُوسَى بْنِ عُلَىٍّ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ أَبِي قَيْسٍ، مَوْلَى عَمْرِو بْنِ الْعَاصِ عَنْ عَمْرِو بْنِ الْعَاصِ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ " فَصْلُ مَا بَيْنَ صِيَامِنَا وَصِيَامِ أَهْلِ الْكِتَابِ أَكْلَةُ السَّحَرِ " .
'Amr b. al-'As reported Allah's Messenger (ﷺ) as saying:
The difference between our fasting and that of the people of the Book is eating shortly before dawn.
পরিচ্ছেদঃ ৬. বিচারকের প্রতিদান, প্রচেষ্টার পর সে যথাযথ সমাধানে পৌছুক বা ভুল করুক
৪৩৭৯-(১৫/১৭১৬) ইয়াহইয়া ইবনু ইয়াহইয়া তামিমী (রহঃ) ..... আমর ইবনু আস (রাযিঃ) হতে বর্ণিত যে, তিনি রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে বলতে শুনেছেন, যদি কোন বিচারক যথাযথ চিন্তা-গবেষণার পর সমাধান প্রদান করেন, অতঃপর তিনি সঠিক সিদ্ধান্তে পৌছেন, তার জন্য রয়েছে দ্বিগুণ পুরস্কার। আর যদি তিনি চিন্তা-গবেষণা করে রায় প্রদান করেন তারপরও তিনি ভুল করেন, তবুও তার জন্য রয়েছে একটি পুরস্কার।* (ইসলামিক ফাউন্ডেশন ৪৩৩৮, ইসলামিক সেন্টার ৪৩৩৯)
باب بَيَانِ أَجْرِ الْحَاكِمِ إِذَا اجْتَهَدَ فَأَصَابَ أَوْ أَخْطَأَ
حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ يَحْيَى التَّمِيمِيُّ، أَخْبَرَنَا عَبْدُ الْعَزِيزِ بْنُ مُحَمَّدٍ، عَنْ يَزِيدَ بْنِ عَبْدِ، اللَّهِ بْنِ أُسَامَةَ بْنِ الْهَادِ عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ إِبْرَاهِيمَ، عَنْ بُسْرِ بْنِ سَعِيدٍ، عَنْ أَبِي قَيْسٍ، مَوْلَى عَمْرِو بْنِ الْعَاصِ عَنْ عَمْرِو بْنِ الْعَاصِ، أَنَّهُ سَمِعَ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ " إِذَا حَكَمَ الْحَاكِمُ فَاجْتَهَدَ ثُمَّ أَصَابَ فَلَهُ أَجْرَانِ . وَإِذَا حَكَمَ فَاجْتَهَدَ ثُمَّ أَخْطَأَ فَلَهُ أَجْرٌ " .
'Amr b. al-'As reported that he heard Allah's Messenger (ﷺ) as saying:
When a judge gives a decision, having tried his best to decide correctly and is right, there are two rewards for him; and if he gave a judgment after having tried his best (to arrive at a correct decision) but erred, there is one reward for him.
পরিচ্ছেদঃ ১. আবূ বাকর সিদ্দীক (রাযিঃ)-এর ফযীলত
৬০৭১-(৮/২৩৮৪) ইয়াহইয়া ইবনু ইয়াহইয়া (রহঃ) ..... আমর ইবনুল আস (রাযিঃ) হতে বর্ণিত যে, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাকে যাতুস সালাসিলের সেনা বাহিনীর সঙ্গে পাঠালেন, তখন আমি রসূলের নিকট এসে বললাম, আপনার নিকট সর্বাধিক পছন্দনীয় ব্যক্তি কে? তিনি বললেন, ’আয়িশাহ। আমি বললাম, পুরুষদের মাঝে কে? তিনি বললেনঃ ’আয়িশাহর পিতা (আবূ বকর)। আমি বললাম, তারপর? তিনি বললেনঃ উমার। তারপর তিনি আরো কিছু সংখ্যক ব্যক্তির নাম বর্ণনা করলেন। (ইসলামিক ফাউন্ডেশন ৫৯৬১, ইসলামিক সেন্টার ৬০০০)
باب مِنْ فَضَائِلِ أَبِي بَكْرٍ الصِّدِّيقِ رضى الله عنه
حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ يَحْيَى، أَخْبَرَنَا خَالِدُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ، عَنْ خَالِدٍ، عَنْ أَبِي عُثْمَانَ، أَخْبَرَنِي عَمْرُو بْنُ الْعَاصِ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم بَعَثَهُ عَلَى جَيْشِ ذَاتِ السَّلاَسِلِ فَأَتَيْتُهُ فَقُلْتُ أَىُّ النَّاسِ أَحَبُّ إِلَيْكَ قَالَ " عَائِشَةُ " . قُلْتُ مِنَ الرِّجَالِ قَالَ " أَبُوهَا " . قُلْتُ ثُمَّ مَنْ قَالَ " عُمَرُ " . فَعَدَّ رِجَالاً .
'Amr b. al-'As reported that Allah's Messenger (ﷺ) sent him in command of the army despatched to Dhat-as-Salasil. When 'Amr b. al-'As came back to the Prophet (ﷺ) he said:
Who amongst people are dearest to you? He said: A'isha. He then said: Who amongst men? He said: Her father, and I said: And who next? He said: Umar. He then enumerated some other men.
পরিচ্ছেদঃ প্রথম অনুচ্ছেদ
২৮-[২৭] ’আমর ইবনুল ’আস (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর খিদমাতে উপস্থিত হয়ে বললাম, হে আল্লাহর রসূল! আমার দিকে আপনার হাত প্রসারিত করে দিন আমি আপনার কাছে ইসলাম গ্রহণের বায়’আত করব। তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) তাঁর হাত প্রসারিত করে দিলেন, কিন্তু আমি আমার হাত টেনে নিলাম। তখন তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) (অবাক হয়ে) বললেন, তোমার কি হলো হে ’আমর! আমি বললাম, আমার কিছু শর্ত আছে। তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বললেন, কি শর্ত? আমি বললাম, আমি চাই আমার (পূর্বের কৃত) গুনাহ যেন মাফ করে দেয়া হয়। তখন তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বললেন, ’আমর! তুমি কি জানো না ’ইসলাম গ্রহণ’ পূর্বেকার সকল গুনাহ বিনাশ করে দেয়। হিজরত সে সকল গুনাহ মাফ করে দেয় যা হিজরতের পূর্বে করা হয়েছে। এমনিভাবে হাজ্জ (হজ / হজ্জ)ও তার পূর্বের সকল গুনাহ মিটিয়ে দেয়? (বুখারী, মুসলিম)[1]
আবূ হুরায়রাহ্ (রাঃ) হতে বর্ণিত হয়েছে দু’টি হাদীস, প্রথমটি তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলেছেন, আল্লাহ তা’আলা বলেনঃ আমি শরীককারীদের শির্ক হতে মুক্ত। ..... দ্বিতীয়টি হচ্ছে, ’অহংকার আমার চাদর ইন-শা-আল্লাহ তা’আলা রিয়ার অনুচ্ছেদে শীঘ্রই তা বর্ণনা করব।
الفصل الاول
وَعَن عَمْرو بن الْعَاصِ قَالَ: «أَتَيْتُ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَقلت ابْسُطْ يَمِينك فلأبايعك فَبسط يَمِينه قَالَ فَقَبَضْتُ يَدِي فَقَالَ مَا لَكَ يَا عَمْرُو قلت أردْت أَن أشْتَرط قَالَ تَشْتَرِطُ مَاذَا قُلْتُ أَنْ يُغْفَرَ لِي قَالَ أما علمت أَنَّ الْإِسْلَامَ يَهْدِمُ مَا كَانَ قَبْلَهُ وَأَنَّ الْهِجْرَةَ تَهْدِمُ مَا كَانَ قَبْلَهَا وَأَنَّ الْحَجَّ يهدم مَا كَانَ قبله» ؟
وَالْحَدِيثَانِ الْمَرْوِيَّانِ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ قَالَ: قَالَ اللَّهُ تَعَالَى: «أَنَا أَغْنَى الشُّرَكَاءِ عَنِ الشِّرْكِ» . والاخر: «الْكِبْرِيَاء رِدَائي» سَنَذْكُرُهُمَا فِي بَابِ الرِّيَاءِ وَالْكِبْرِ إِنْ شَاءَ الله تَعَالَى
Chapter - Section 1
'Amr b. al-‘As said:
I came to the Prophet and said, “Stretch out your right hand and let me swear allegiance to you.” He stretched out his right hand, but I clenched my hand and he said, “What is the matter with you, ‘Amr?” I replied, “I want to make a condition.” He asked, “What condition do you make?” I replied, “That I should receive forgiveness.” He said, “Do you not know, 'Amr, that Islam demolishes what preceded it, that the Hijra demolishes what preceded it, and the Pilgrimage demolishes what preceded it?”
Muslim transmitted it. We shall mention the two traditions transmitted from Abu Huraira, (1) He declared that God said, “I am the one who is most able to dispense with partnership”; (2) “Pride is my cloak”, in the chapters on Hypocrisy and Pride, if God most high will.
ব্যাখ্যা: কোন অমুসলিম ইসলাম গ্রহণ করার ফলে তার পূর্বের সকল গুনাহ মাফ হয়ে যায়। চাই তা আল্লাহর হক হোক অথবা বান্দার ওপর যুলম হোক। তা সগীরাহ্ গুনাহ হোক অথবা কাবীরাহ্ (কবিরা) গুনাহ হোক। তবে হিজরত এবং হাজ্জ (হজ/হজ্জ)- এ দু’টি কাজ সম্পাদনের ফলে আল্লাহ ও বান্দার মাঝে যে হক আছে তা মাফ হয় কিন্তু বান্দার হক মাফ হয় না। এর উপর ইজমা, অর্থাৎ- সকল উম্মাতের ঐকমত্য প্রতিষ্ঠিত আছে।
পরিচ্ছেদঃ তৃতীয় অনুচ্ছেদ
৩৫৮২-[২৮] ’আমর ইবনুল ’আস (রাঃ) বলেন, আমি শুনেছি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ যে জাতির মাঝে যিনা-ব্যভিচার ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়বে তারা দুর্ভিক্ষ ও অভাব-অনটনে পতিত হবে। আর যে জাতির মাঝে ঘুষের ব্যাপক প্রচলন শুরু হবে তারা ভীরুতা ও কাপুরুষতায় পতিত হবে। (আহমাদ)[1]
اَلْفَصْلُ الثَّالِثُ
وَعَنْ عَمْرِو بْنِ الْعَاصِ قَالَ: سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقُولُ: «مَا مِنْ قَوْمٍ يَظْهَرُ فِيهِمُ الزِّنَا إِلَّا أُخِذُوا بِالسَّنَةِ وَمَا مِنْ قَوْمٍ يَظْهَرُ فِيهِمُ الرِّشَا إِلَّا أخذُوا بِالرُّعْبِ» . رَوَاهُ أَحْمد
ব্যাখ্যা: ‘‘যিনার মাধ্যমে অনাবৃষ্টি ও দুর্ভিক্ষ পরিবেশ টেনে আনে’’ এর হিকমাহ্ হলো যিনার মাধ্যমে বংশের পরক্রমাকে ধূলিস্যাৎ করা হয় ফলে অভাব-অনটন অবশ্যম্ভাবী হয়ে উঠে ফসলাদি ধ্বংসের মাধ্যমে।
«الرِّشْوَةُ» নিহায়াহ্ গ্রন্থে বলা হয়েছে, ঘুষ হলো অন্যায়ভাবে প্রয়োজন হাসিল করা। ঘুষদাতা ঘুষগ্রহণকারী থেকে অন্যায়ভাবে সাহায্য আদায় করে থাকে আর ঘুষ দু’জনের মাঝে তথা ঘুষদাতা ও ঘুষগ্রহীতার মধ্যে কম বেশি করতে প্রচেষ্টা চালায়। আর ঘুষ হলো বালতির রশির ন্যায় যার মাধ্যমে দুরাচারে পৌঁছে যেমন রশির মাধ্যমে পানির নিকট পৌঁছে। (মিরকাতুল মাফাতীহ)
পরিচ্ছেদঃ ৩. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - বিচারকদের (সহকর্মীদের) বেতন ও হাদিয়া গ্রহণ করা
৩৭৫৬-[১২] ’আমর ইবনুল ’আস (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, একদিন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমার নিকট সংবাদ পাঠালেন যে, (সফরের উদ্দেশে) তুমি তোমার যুদ্ধাস্ত্র ও প্রয়োজনীয় বস্ত্রাদি নিয়ে আমার নিকট চলে আসো। তিনি বলেনঃ অতএব আমি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর নিকট উপস্থিত হলাম, তখন তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) উযূ করছিলেন। আমাকে দেখে তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বললেনঃ হে ’আমর! আমি তোমাকে এজন্য ডেকে এনেছি যে, তোমাকে (গভর্নর বা শাসকরূপে) এক অঞ্চলে পাঠাব। আল্লাহ তা’আলা তোমাকে নিরাপত্তায় রাখুন এবং গনীমাতের ধন-সম্পদও দান করুন। আর আমিও তোমাকে কিছু মাল দিবো। তখন আমি জিজ্ঞেস করলাম : হে আল্লাহর রসূল! ধন-সম্পদের লোভে আমার হিজরত ছিল না; বরং আমার হিজরত ছিল আল্লাহ ও তাঁর রসূল-এর সন্তুষ্টি কামনায়। তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বললেনঃ সৎলোকের জন্য পবিত্র মাল কতই না উত্তম। (শারহুস্ সুন্নাহ্)[1]
আর আহমাদও অনুরূপ বর্ণনা করেছেন এবং তাঁর অপর বর্ণনাতে আছে, সৎলোকের জন্য ভালো মালই উত্তম জিনিস।
وَعَن عَمْرِو بن العاصِ قَالَ: أَرْسَلَ إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «أَنِ اجْمَعْ عَلَيْكَ سِلَاحَكَ وَثِيَابَكَ ثُمَّ ائْتِنِي» قَالَ: فَأَتَيْتُهُ وَهُوَ يَتَوَضَّأُ فَقَالَ: «يَا عَمْرُو إِنِّي أَرْسَلْتُ إِلَيْكَ لِأَبْعَثَكَ فِي وُجْةٍ يُسَلِّمُكَ اللَّهُ وَيُغَنِّمُكَ وَأَزْعَبَ لَكَ زَعْبَةً مِنَ الْمَالِ» . فَقُلْتُ: يَا رَسُولَ اللَّهِ مَا كَانَتْ هِجْرَتِي لِلْمَالِ وَمَا كَانَتْ إِلَّا لِلَّهِ ولرسولِه قَالَ: «نِعِمَّا بِالْمَالِ الصَّالِحِ لِلرَّجُلِ الصَّالِحِ» . رَوَاهُ فِي «شَرْحِ السُّنَّةِ» وَرَوَى أَحْمَدُ نَحْوَهُ وَفِي روايتِه: قَالَ: «نِعْمَ المالُ الصَّالحُ للرَّجُلِ الصالحِ»
ব্যাখ্যা: ‘আমর বিন ‘আস (রাঃ) থেকে বর্ণিত এ হাদীসটি থেকে আমরা যা শিখতে পারি-
(ক) নেতার প্রতি আনুগত্য।
(খ) অযূরত অবস্থায় দীনী কথাবার্তা বলা জায়িয।
(গ) নেতা তার অধিনস্থদেরকে কল্যাণের প্রতি আহবান করবে।
(ঘ) ধন-সম্পদের ক্ষেত্রে বিশেষ নাসীহাত প্রয়োজন। (মিরকাতুল মাফাতীহ)