পরিচ্ছেদঃ ২৩/৬১. ফল খাওয়া
২/৩৩৬৯। তালহা (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি যখন নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর নিকট উপস্থিত হলাম তখন তাঁর হাতে ছিল এক জাতীয় অম্লফল। তিনি বলেনঃ হে তালহা! এগুলো লও। এগুলো অন্তরকে শান্তি দেয়।
তাহকীক আলবানীঃ যইফ। উক্ত হাদিসের রাবী ইসমাইল বিন মুহাম্মাদ আত-তালহী সম্পর্কে আবু হাতিম আর-রাযী বলেন, তিনি হাদিস বর্ণনায় দুর্বল। ইবনু হাজার আল-আসকালানী বলেন, তিনি সত্যবাদী তবে হাদিস বর্ণনায় সন্দেহ করেন। ইমাম দারাকুতনী বলেন, তিনি নির্ভরযোগ্য নয়। (তাহযীবুল কামালঃ রাবী নং ৪৭৬, ৩/১৮৭ নং পৃষ্ঠা) ২. নুকায়ব বিন হাজিব সম্পর্কে ইবনু হাজার আল-আসকালানী বলেন, তিনি মাজহুল বা অপরিচিত। ইমাম যাহাবী বলেন, তিনি কে তা আমি জানি না। (তাহযীবুল কামালঃ রাবী নং ৬৪৭০, ৩০/১৭ নং পৃষ্ঠা) ৩. আবু সাঈদ সম্পর্কে আবু হাতিম আর-রাযী বলেন, আমি তাকে চিনি না। ইবনু হাজার আল-আসকালানী বলেন, তিনি মাজহুল বা অপরিচিত। ইমাম যাহাবী বলেন, তার পরিচয় সম্পর্কে কিছু জানা যায়না। আল-মিযযী বলেন, তিনি জাহিলদের একজন। (তাহযীবুল কামালঃ রাবী নং ৭৪০১, ৩৩/৩৬০ নং পৃষ্ঠা) ৪. আবদুল মালিক আয-যুবায়রী সম্পর্কে ইবনু হাজার আল-আসকালানী ও ইমাম যাহাবী বলেন, তিনি মাজহুল বা অপরিচিত। আল-মিযযী বলেন, তিনি জাহিলদের একজন। (তাহযীবুল কামালঃ রাবী নং ৩৫৭৫, ১৮/৪৩৬ নং পৃষ্ঠা)
بَاب أَكْلِ الثِّمَارِ
حَدَّثَنَا إِسْمَاعِيلُ بْنُ مُحَمَّدٍ الطَّلْحِيُّ، حَدَّثَنَا نُقَيْبُ بْنُ حَاجِبٍ، عَنْ أَبِي سَعِيدٍ، عَنْ عَبْدِ الْمَلِكِ الزُّبَيْرِيِّ، عَنْ طَلْحَةَ، قَالَ دَخَلْتُ عَلَى النَّبِيِّ ـ صلى الله عليه وسلم ـ وَبِيَدِهِ سَفَرْجَلَةٌ فَقَالَ " دُونَكَهَا يَا طَلْحَةُ فَإِنَّهَا تُجِمُّ الْفُؤَادَ " .
It was narrated that Talhah said:
”I entered upon the Prophet (ﷺ) and in his hand was some quince. He said: ‘Take it, O Talhah, for it soothes the heart.’”
পরিচ্ছেদঃ মুসুল্লীর সুতরা গ্রহণ।
৩৩৫. কুতায়বা ও হান্নাদ (রহঃ) .... তালহা রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণনা করেন যে, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেনঃ উটের পিঠের কাষ্ঠাসনের অনুরূপ কিছু যদি মুসল্লির সামনে থাকে, তবে এর বাইরে দিয়ে কারো যাতায়াতে পরওয়া করার কিছু নেই। - ইবনু মাজাহ ৯৪০, তিরমিজী হাদিস নম্বরঃ ৩৩৫ [আল মাদানী প্রকাশনী]
এই বিষয়ে আবূ হুরায়রা, সাহল ইবনু আবী হাসমা, ইবনু উমর, সাবার ইবনু মা’বাদ আল-জুহানী, আবূ জুহায়ফা ও আয়িশা রাদিয়াল্লাহু আনহআ থেকে হাদীস বর্ণিত আছে। ইমাম আবূ ঈসা তিরমিযী (রহঃ) বলেনঃ তালহা রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণিত হাদীসটি হাসান-সহীহ। আলিমগণ এই হাদীস অনুসারে আমল করেন। তারা বলেনঃ ইমামের সুতরা মুক্তাদীর সুতরা বলেও গন্য হবে।
باب مَا جَاءَ فِي سُتْرَةِ الْمُصَلِّي
حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ، وَهَنَّادٌ، قَالاَ حَدَّثَنَا أَبُو الأَحْوَصِ، عَنْ سِمَاكِ بْنِ حَرْبٍ، عَنْ مُوسَى بْنِ طَلْحَةَ، عَنْ أَبِيهِ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " إِذَا وَضَعَ أَحَدُكُمْ بَيْنَ يَدَيْهِ مِثْلَ مُؤَخَّرَةِ الرَّحْلِ فَلْيُصَلِّ وَلاَ يُبَالِي مَنْ مَرَّ وَرَاءَ ذَلِكَ " . قَالَ وَفِي الْبَابِ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ وَسَهْلِ بْنِ أَبِي حَثْمَةَ وَابْنِ عُمَرَ وَسَبْرَةَ بْنِ مَعْبَدٍ الْجُهَنِيِّ وَأَبِي جُحَيْفَةَ وَعَائِشَةَ . قَالَ أَبُو عِيسَى حَدِيثُ طَلْحَةَ حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ . وَالْعَمَلُ عَلَى هَذَا عِنْدَ أَهْلِ الْعِلْمِ وَقَالُوا سُتْرَةُ الإِمَامِ سُتْرَةٌ لِمَنْ خَلْفَهُ .
Muba bin Talhah narrated from his father (Talhah) that :
Allah's Messenger said: "When one of you placed something like the post (handle) of the camel saddle in front of him, then let him perform Salat and not concern himself with who passes beyond that."
পরিচ্ছেদঃ নতুন চাঁদ দেখার সময় কী পড়বে
৩৪৫১. মুহাম্মদ ইবন বাশশার (রহঃ) .... তালহা ইবন উবায়দুল্লাহ রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত যে, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম নয়া চাঁদ দেখলে বলতেনঃ
اللَّهُمَّ أَهْلِلْهُ عَلَيْنَا بِالْيُمْنِ وَالإِيمَانِ وَالسَّلاَمَةِ وَالإِسْلاَمِ رَبِّي وَرَبُّكَ اللَّهُ
হে আল্লাহ! আমাদের উপর এ চাঁদ উদিত কর বরকত ও ঈমানের সাথে, শান্তি ও ইসলামের সাথে। (হে চাঁদ!) আমার ও তোমার রব আল্লাহ।
সহীহ, সহীহাহ ১৮১৬, আল কালিমুত তাইয়্যিব ১৬১/১১৪, তিরমিজী হাদিস নম্বরঃ ৩৪৫১ [আল মাদানী প্রকাশনী]
(আবু ঈসা বলেন) হাদীসটি হাসান- গারীব।
باب مَا يَقُولُ عِنْدَ رُؤْيَةِ الْهِلاَلِ
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ بَشَّارٍ، حَدَّثَنَا أَبُو عَامِرٍ الْعَقَدِيُّ، حَدَّثَنَا سُلَيْمَانُ بْنُ سُفْيَانَ الْمَدَنِيُّ، حَدَّثَنِي بِلاَلُ بْنُ يَحْيَى بْنِ طَلْحَةَ بْنِ عُبَيْدِ اللَّهِ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ جَدِّهِ، طَلْحَةَ بْنِ عُبَيْدِ اللَّهِ أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم كَانَ إِذَا رَأَى الْهِلاَلَ قَالَ " اللَّهُمَّ أَهْلِلْهُ عَلَيْنَا بِالْيُمْنِ وَالإِيمَانِ وَالسَّلاَمَةِ وَالإِسْلاَمِ رَبِّي وَرَبُّكَ اللَّهُ " . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ غَرِيبٌ .
Bilal bin Yahya bin Talhah bin `Ubaidullah narrated :
from his father, from his grandfather Talhah bin `Ubaidullah that when the Prophet (ﷺ) would see a crescent moon, he would say: “O Allah, bring it over us with blessing and faith, and security and Islam. My Lord and your Lord is Allah (Allāhumma ahlilhu `alainā bil-yumni wal-Īmān, was-salāmati wal-Islām, rabbī wa rabbuk Allāh).”
পরিচ্ছেদঃ ২/৩৪ যাকাত ইসলামের অঙ্গ
وَقَوْلُهُ )وَمَا أُمِرُوا إِلاَّ لِيَعْبُدُوا اللهَ مُخْلِصِينَ لَهُ الدِّينَ حُنَفَاءَ وَيُقِيمُوا الصَّلاَةَ وَيُؤْتُوا الزَّكَاةَ وَذَلِكَ دِينُ الْقَيِّمَةِ(
আল্লাহ্ তা’আলার বাণীঃ ’’তারা তো আদিষ্ট হয়েছিল আল্লাহর আনুগত্যে বিশুদ্ধচিত্ত হয়ে একনিষ্ঠভাবে তাঁরই ইবাদত করতে এবং সালাত প্রতিষ্ঠা করতে, যাকাত আদায় করতে। আর এটি-ই সঠিক দ্বীন।’’ (সূরাহ্ বাইয়িনাহ্ ৯৮/৫)
৪৬. ত্বলহাহ ইবনু ’উবাইদুল্লাহ্ (রাযি.) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, জনৈক নাজ্দবাসী আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম -এর নিকট এলো। তার মাথার চুল ছিল এলোমেলো। আমরা তার কথার মৃদু আওয়ায শুনতে পাচ্ছিলাম, কিন্তু সে কী বলছিল, আমরা তা বুঝতে পারছিলাম না। এভাবে সে নিকটে এসে ইসলাম সম্পর্কে প্রশ্ন করতে লাগল। আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ ’দিন-রাতে পাঁচ ওয়াক্ত সালাত’। সে বলল, ’আমার উপর এ ছাড়া আরো সালাত আছে?’ তিনি বললেনঃ ’না, তবে নফল আদায় করতে পার।’ আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ ’আর রমাযানের সওম।’ সে বলল, ’আমার উপর এছাড়া আরো সওম আছে?’ তিনি বললেনঃ ’না, তবে নফল আদায় করতে পার।’ বর্ণনাকারী বলেন, আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তার নিকট যাকাতের কথা বললেন। সে বলল, ’আমার উপর এছাড়া আরো আছে?’ তিনি বললেনঃ ’না; তবে নফল হিসেবে দিতে পার।’ বর্ণনাকারী বলেন, ’সে ব্যক্তি এই বলে চলে গেলেন; ’আল্লাহর শপথ’’ আমি এর চেয়ে অধিকও করব না এবং কমও করব না।’ তখন আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ ’সে কৃতকার্য হবে যদি সত্য বলে থাকে।’ (১৮৯১, ২৬৭৮, ৬৯৫৬; মুসলিম ১/২ হাঃ ১১, আহমাদ ১৩৯০) (আধুনিক প্রকাশনীঃ ৪৪, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ৪৪)
باب الزَّكَاةُ مِنَ الإِسْلاَمِ
حَدَّثَنَا إِسْمَاعِيلُ، قَالَ حَدَّثَنِي مَالِكُ بْنُ أَنَسٍ، عَنْ عَمِّهِ أَبِي سُهَيْلِ بْنِ مَالِكٍ، عَنْ أَبِيهِ، أَنَّهُ سَمِعَ طَلْحَةَ بْنَ عُبَيْدِ اللَّهِ، يَقُولُ جَاءَ رَجُلٌ إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم مِنْ أَهْلِ نَجْدٍ، ثَائِرُ الرَّأْسِ، يُسْمَعُ دَوِيُّ صَوْتِهِ، وَلاَ يُفْقَهُ مَا يَقُولُ حَتَّى دَنَا، فَإِذَا هُوَ يَسْأَلُ عَنِ الإِسْلاَمِ فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم " خَمْسُ صَلَوَاتٍ فِي الْيَوْمِ وَاللَّيْلَةِ ". فَقَالَ هَلْ عَلَىَّ غَيْرُهَا قَالَ " لاَ، إِلاَّ أَنْ تَطَوَّعَ ". قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " وَصِيَامُ رَمَضَانَ ". قَالَ هَلْ عَلَىَّ غَيْرُهُ قَالَ " لاَ، إِلاَّ أَنْ تَطَوَّعَ ". قَالَ وَذَكَرَ لَهُ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم الزَّكَاةَ. قَالَ هَلْ عَلَىَّ غَيْرُهَا قَالَ " لاَ، إِلاَّ أَنْ تَطَوَّعَ ". قَالَ فَأَدْبَرَ الرَّجُلُ وَهُوَ يَقُولُ وَاللَّهِ لاَ أَزِيدُ عَلَى هَذَا وَلاَ أَنْقُصُ. قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " أَفْلَحَ إِنْ صَدَقَ ".
(34) Chapter: To pay Zakat is a part of Islam
Narrated Talha bin 'Ubaidullah:
A man from Najd with unkempt hair came to Allah's Messenger (ﷺ) and we heard his loud voice but could not understand what he was saying, till he came near and then we came to know that he was asking about Islam. Allah's Messenger (ﷺ) said, "You have to offer prayers perfectly five times in a day and night (24 hours)." The man asked, "Is there any more (praying)?" Allah's Messenger (ﷺ) replied, "No, but if you want to offer the Nawafil prayers (you can)." Allah's Messenger (ﷺ) further said to him: "You have to observe fasts during the month of Ramadan." The man asked, "Is there any more fasting?" Allah's Messenger (ﷺ) replied, "No, but if you want to observe the Nawafil fasts (you can.)" Then Allah's Messenger (ﷺ) further said to him, "You have to pay the Zakat (obligatory charity)." The man asked, "Is there any thing other than the Zakat for me to pay?" Allah's Messenger (ﷺ) replied, "No, unless you want to give alms of your own." And then that man retreated saying, "By Allah! I will neither do less nor more than this." Allah's Messenger (ﷺ) said, "If what he said is true, then he will be successful (i.e. he will be granted Paradise)."
পরিচ্ছেদঃ ৩০/১. রমাযানের সওম ওয়াজিব হওয়া সম্পর্কে।
وَقَوْلِ اللهِ تَعَالَى (يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا كُتِبَ عَلَيْكُمْ الصِّيَامُ كَمَا كُتِبَ عَلَى الَّذِينَ مِنْ قَبْلِكُمْ لَعَلَّكُمْ تَتَّقُونَ)
মহান আল্লাহর বাণীঃ ’’হে মু’মিনগণ! তোমাদের জন্য সিয়াম ফরজ করা হল, যেমন ফরজ করা হয়েছিল তোমাদের পূর্ববর্তীদের উপর, যেন তোমরা মুত্তাকী হতে পার।’’ (আল-বাকারাহ্ঃ ১৮৩)
১৮৯১. তালহা ইবনু ’উবায়দুল্লাহ (রাঃ) হতে বর্ণিত যে, এলোমেলো চুলসহ একজন গ্রাম্য আরব আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম -এর নিকট এলেন। অতঃপর বললেন, হে আল্লাহর রাসূল! আমাকে বলুন, আল্লাহ তা’আলা আমার উপর কত সালাত ফরজ করেছেন? তিনি বললেনঃ পাঁচ (ওয়াক্ত) সালাত; তবে তুমি যদি কিছু নফল আদায় কর তা স্বতন্ত্র কথা। এরপর তিনি বললেন, বলুন, আমার উপর কত সিয়াম আল্লাহ তা’আলা ফরজ করেছেন। আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ রমাযান মাসের সওম; তবে তুমি যদি কিছু নফল সিয়াম আদায় কর তা হল স্বতন্ত্র কথা। এরপর তিনি বললেন, বলুন, আল্লাহ আমার উপর কী পরিমাণ যাকাত ফরজ করেছেন? রাবী বলেন, আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাঁকে ইসলামের বিধান জানিয়ে দিলেন। এরপর তিনি বললেন, ঐ সত্তার কসম, যিনি আপনাকে সত্য দিয়ে সম্মানিত করেছেন, আল্লাহ আমার উপর যা ফরজ করেছেন, আমি এর মাঝে কিছু বাড়াব না এবং কমাবও না। আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ সে সত্য বলে থাকলে সফলতা লাভ করল কিংবা বলেছেন, সে সত্য বলে থাকলে জান্নাত লাভ করল। (৯৪৬) (আধুনিক প্রকাশনীঃ ১৭৫৬, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ১৭৬৭)
بَاب وُجُوبِ صَوْمِ رَمَضَانَ
حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ بْنُ سَعِيدٍ حَدَّثَنَا إِسْمَاعِيلُ بْنُ جَعْفَرٍ عَنْ أَبِي سُهَيْلٍ عَنْ أَبِيهِ عَنْ طَلْحَةَ بْنِ عُبَيْدِ اللَّهِ أَنَّ أَعْرَابِيًّا جَاءَ إِلَى رَسُولِ اللهِ صلى الله عليه وسلم ثَائِرَ الرَّأْسِ فَقَالَ يَا رَسُولَ اللهِ صلى الله عليه وسلم أَخْبِرْنِي مَاذَا فَرَضَ اللهُ عَلَيَّ مِنْ الصَّلاَةِ فَقَالَ الصَّلَوَاتِ الْخَمْسَ إِلاَّ أَنْ تَطَّوَّعَ شَيْئًا فَقَالَ أَخْبِرْنِي مَا فَرَضَ اللهُ عَلَيَّ مِنْ الصِّيَامِ فَقَالَ شَهْرَ رَمَضَانَ إِلاَّ أَنْ تَطَّوَّعَ شَيْئًا فَقَالَ أَخْبِرْنِي بِمَا فَرَضَ اللهُ عَلَيَّ مِنْ الزَّكَاةِ فَقَالَ فَأَخْبَرَهُ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم شَرَائِعَ الإِسْلاَمِ قَالَ وَالَّذِي أَكْرَمَكَ لاَ أَتَطَوَّعُ شَيْئًا وَلاَ أَنْقُصُ مِمَّا فَرَضَ اللهُ عَلَيَّ شَيْئًا فَقَالَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم أَفْلَحَ إِنْ صَدَقَ أَوْ دَخَلَ الْجَنَّةَ إِنْ صَدَقَ
Narrated Talha bin 'Ubaidullah:
A bedouin with unkempt hair came to Allah's Messenger (ﷺ) and said, "O Allah's Messenger (ﷺ)! Inform me what Allah has made compulsory for me as regards the prayers." He replied: "You have to offer perfectly the five compulsory prayers in a day and night (24 hours), unless you want to pray Nawafil." The bedouin further asked, "Inform me what Allah has made compulsory for me as regards fasting." He replied, "You have to fast during the whole month of Ramadan, unless you want to fast more as Nawafil." The bedouin further asked, "Tell me how much Zakat Allah has enjoined on me." Thus, Allah's Messenger (ﷺ) informed him about all the rules (i.e. fundamentals) of Islam. The bedouin then said, "By Him Who has honored you, I will neither perform any Nawafil nor will I decrease what Allah has enjoined on me. Allah's Messenger (ﷺ) said, "If he is saying the truth, he will succeed (or he will be granted Paradise).
পরিচ্ছেদঃ ৫২/২৬. কেমনভাবে শপথ করানো হবে?
قَالَ تَعَالَى : )يَحْلِفُوْنَ بِاللهِ لَكُمْ لِيُرْضُوْكُمْ ( ( التوبة : 62 ) وَقَوْلِهُ عَزَّ وَجَلَّ )ثُمَّ جَآءُوْكَ يَحْلِفُوْنَ بِاللهِ إِنْ أَرَدْنَآ إِلَّآ إِحْسَانًا وَّتَوْفِيْقًا( ( النساء : 62) وَقَوْلِ اللّه )وَيَحْلِفُوْنَ بِاللهِ إِنَّهُمْ لَمِنْكُمْ( ( التوبة : 56) )يحْلِفُوْنَ بِاللهِ لَكُمْ لِيُرْضُوْكُمْ) (فَيُقْسِمَانِ بِاللهِ لَشَهَادَتُنَا أَحَقُّ مِنْ شَهَادَتِهِمَا( ( المائدة : 107 ) يُقَالُ بِاللهِ وَتَاللهِ وَ وَاللهِ. وَقَالَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم وَرَجُلٌ حَلَفَ بِاللهِ كَاذِبًا بَعْدَ الْعَصْرِ وَلَا يُحْلَفُ بِغَيْرِ اللهِ.
মহান আল্লাহর বাণীঃ ‘‘তারা আল্লাহর নামে কসম করে বলবে’’ অতঃপর তারা আপনার নিকট এসে আল্লাহর নামে শপথ করে বলবে আমরা কল্যাণ এবং সম্প্রীতি ব্যতীত অন্য কিছুই চাই না- (সূরা আন-নিসাঃ ৬২)। তারা আল্লাহর নামে শপথ করে যে, তারা তোমাদেরই অন্তর্ভুক্ত- (সূরা আত্-তওবাঃ ৫৬)। তারা তোমাদেরকে সন্তুষ্ট করার জন্য তোমাদের নিকট আল্লাহর শপথ কওে- (সূরা আত্-তওবাঃ ৬২)।
তারা উভয়ে আল্লাহর নামে শপথ করে বলবে, আমাদের সাক্ষ্য অবশ্যই তাদের সাক্ষ্য হতে অধিকতর সত্য- (সূরা আল-মায়িদাহঃ ১০৭)। কসম করার জন্য ব্যবহৃত হয় বিল্লাহে, তাল্লাহে, ওয়াল্লাহে। নবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলেন, আর যে ব্যক্তি ‘আসরের পর আল্লাহর নামে মিথ্যা শপথ করে। আল্লাহ ব্যতীত আর কারো নামে শপথ করা যাবে না।
২৬৭৮. ত্বলহা ইবনু উবায়দুল্লাহ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, একলোক রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম)-এর নিকট এসে তাঁকে ইসলাম সম্পর্কে জিজ্ঞেস করতে লাগল। তখন রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বললেন, দিনে-রাতে পাঁচ ওয়াক্ত সালাত। সে বলল, আমার উপর আরও কিছু ওয়াজিব আছে? তিনি বললেন, না, নেই। তবে নফল হিসাবে পড়তে পার। অতঃপর রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বললেন, আর রমাযান মাসের সিয়াম। সে জিজ্ঞেস করল, আমার উপর এ ছাড়া আরও কিছু ওয়াজিব আছে? তিনি বললেন, না, নেই। তবে নফল হিসাবে পালন করতে পার। অতঃপর রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) তাকে যাকাতের কথা বললেন; সে জানতে চাইল, আমার উপর এছাড়া আরও কিছু ওয়াজিব আছে? তিনি বললেন, না, নেই। তবে নফল হিসাবে করতে পার। অতঃপর সে ব্যক্তিটি এই বলে প্রস্থান করল, আল্লাহর কসম! এতে আমি কোন কম-বেশী করব না। রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বললেন, সত্য বলে থাকলে সে সফল হয়ে গেল। (৪৬) (আধুনিক প্রকাশনীঃ ২৪৮৩, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ২৪৯৯)
بَابُ كَيْفَ يُسْتَحْلَفُ
حَدَّثَنَا إِسْمَاعِيْلُ بْنُ عَبْدِ اللهِ قَالَ حَدَّثَنِيْ مَالِكٌ عَنْ عَمِّهِ أَبِيْ سُهَيْلِ بْنِ مَالِكٍ عَنْ أَبِيْهِ أَنَّهُ سَمِعَ طَلْحَةَ بْنَ عُبَيْدِ اللهِ يَقُوْلُ جَاءَ رَجُلٌ إِلَى رَسُوْلِ اللهِ صلى الله عليه وسلم فَإِذَا هُوَ يَسْأَلُهُ عَنْ الْإِسْلَامِ فَقَالَ رَسُوْلُ اللهِ صلى الله عليه وسلم خَمْسُ صَلَوَاتٍ فِي الْيَوْمِ وَاللَّيْلَةِ فَقَالَ هَلْ عَلَيَّ غَيْرُهَا قَالَ لَا إِلَّا أَنْ تَطَّوَّعَ فَقَالَ رَسُوْلُ اللهِ صلى الله عليه وسلم وَصِيَامُ شَهْرِ رَمَضَانَ قَالَ هَلْ عَلَيَّ غَيْرُهُ قَالَ لَا إِلَّا أَنْ تَطَّوَّعَ قَالَ وَذَكَرَ لَهُ رَسُوْلُ اللهِ صلى الله عليه وسلم الزَّكَاةَ قَالَ هَلْ عَلَيَّ غَيْرُهَا قَالَ لَا إِلَّا أَنْ تَطَّوَّعَ فَأَدْبَرَ الرَّجُلُ وَهُوَ يَقُوْلُ وَاللهِ لَا أَزِيْدُ عَلَى هَذَا وَلَا أَنْقُصُ قَالَ رَسُوْلُ اللهِ صلى الله عليه وسلم أَفْلَحَ إِنْ صَدَقَ.
Narrated Talha bin 'Ubaidullah:
A man came to Allah's Messenger (ﷺ) asking him about Islam, Allah's Messenger (ﷺ) said, "You have to offer five compulsory prayers in a day and a night (24 hours)." The man asked, "Is there any more compulsory prayers for me?" Allah's Messenger (ﷺ) said, "No, unless you like to offer Nawafil (i.e. optional prayers)." Allah's Messenger (ﷺ) then added, "You have to observe fasts during the month of Ramadan." The man said, "Am I to fast any other days?' Allah's Messenger (ﷺ) said, "No, unless you wish to observe the optional fast voluntarily." Then Allah's Messenger (ﷺ) told him about the compulsory Zakat. The man asked, "Do I have to give anything besides?" Allah's Messenger (ﷺ) said, "No, unless you wish to give in charity voluntarily." So, the man departed saying, "By Allah I will neither do more nor less than that." Allah's Messenger (ﷺ) said, "If he has said the truth he will be successful."
পরিচ্ছেদঃ ৯০/৩. যাকাত এবং সদাকাহ দেয়ার ভয়ে যেন একত্রিত পুঁজিকে পৃথক করা না হয় এবং পৃথক পুঁজিকে যেন একত্র করা না হয়।
৬৯৫৬. ত্বলহা ইবনু ’উবাইদুল্লাহ্ (রাঃ) হতে বর্ণিত যে, এক এলোমেলো কেশধারী বেদুঈন রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর কাছে এসে বলল, হে আল্লাহর রাসূল! আল্লাহ্ আমার উপর সালাত থেকে কী ফরজ করেছেন, তা বলে দিন। তিনি বললেনঃ পাঁচ বারের সালাত, তবে তুমি কিছু নফল পড়তে পার। সে বলল, আল্লাহ আমার উপর সওম থেকে কী ফরয করেছেন তা আমাকে বলে দিন। তিনি বললেনঃ রমযান মাসের সওম। তবে তুমি কিছু নফল আদায় করতে পার। সে বলল, আল্লাহ্ আমার উপর যাকাত থেকে কী ফরজ করেছেন সে সম্পর্কে আমাকে বলে দিন। বর্ণনাকারী বলেন, রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাকে ইসলামী হুকুম আহকাম সম্পর্কে জানিয়ে দিলেন। সে বলল, ঐ সত্তার কসম! যিনি আপনাকে সম্মানিত করেছেন, আমি নফল কিছু করব না। এবং আল্লাহ্ আমার উপর যা ফরজ করেছেন তা থেকে কমাবও না। তা শুনে রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ যদি লোকটি এর উপর স্থির থাকে, তাহলে সফলকাম হয়েছে। যদি এ সত্যের উপর স্থির থাকে তাহলে তাকে জান্নাতে প্রবেশ করানো হবে। (আধুনিক প্রকাশনী- ৬৪৭৩, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৬৪৮৬)
কোন কোন মনীষী বলেন, একশ’ বিশটি উটের যাকাত হলো দু’টি হিক্কা। যদি যাকাত থেকে বাঁচার জন্য সে এগুলো স্বেচ্ছায় ধ্বংস করে ফেলে অথবা দান করে দেয় অথবা অন্য কোন বাহানা তালাশ করে যাকাত থেকে বেঁচে থাকার জন্য তাহলে তার উপর কোন কিছু ওয়াজিব হবে না। [৪৬]
بَاب فِي الزَّكَاةِ وَأَنْ لاَ يُفَرَّقَ بَيْنَ مُجْتَمِعٍ وَلاَ يُجْمَعَ بَيْنَ مُتَفَرِّقٍ خَشْيَةَ الصَّدَقَةِ
قُتَيْبَةُ حَدَّثَنَا إِسْمَاعِيلُ بْنُ جَعْفَرٍ عَنْ أَبِي سُهَيْلٍ عَنْ أَبِيهِ عَنْ طَلْحَةَ بْنِ عُبَيْدِ اللهِ أَنَّ أَعْرَابِيًّا جَاءَ إِلَى رَسُولِ اللهِ صلى الله عليه وسلم ثَائِرَ الرَّأْسِ فَقَالَ يَا رَسُولَ اللهِ أَخْبِرْنِي مَاذَا فَرَضَ اللهُ عَلَيَّ مِنْ الصَّلاَةِ فَقَالَ الصَّلَوَاتِ الْخَمْسَ إِلاَّ أَنْ تَطَوَّعَ شَيْئًا فَقَالَ أَخْبِرْنِي بِمَا فَرَضَ اللهُ عَلَيَّ مِنْ الصِّيَامِ قَالَ شَهْرَ رَمَضَانَ إِلاَّ أَنْ تَطَوَّعَ شَيْئًا قَالَ أَخْبِرْنِي بِمَا فَرَضَ اللهُ عَلَيَّ مِنْ الزَّكَاةِ قَالَ فَأَخْبَرَهُ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم شَرَائِعَ الإِسْلاَمِ قَالَ وَالَّذِي أَكْرَمَكَ لاَ أَتَطَوَّعُ شَيْئًا وَلاَ أَنْقُصُ مِمَّا فَرَضَ اللهُ عَلَيَّ شَيْئًا فَقَالَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم أَفْلَحَ إِنْ صَدَقَ أَوْ دَخَلَ الْجَنَّةَ إِنْ صَدَقَ وَقَالَ بَعْضُ النَّاسِ فِي عِشْرِينَ وَمِائَةِ بَعِيرٍ حِقَّتَانِ فَإِنْ أَهْلَكَهَا مُتَعَمِّدًا أَوْ وَهَبَهَا أَوْ احْتَالَ فِيهَا فِرَارًا مِنْ الزَّكَاةِ فَلاَ شَيْءَ عَلَيْهِ
Narrated Talha bin 'Ubaidullah:
A bedouin with unkempt hair came to Allah's Messenger (ﷺ) and said, "O Allah's Messenger (ﷺ)! Tell me what Allah has enjoined on me as regards prayers." The Prophet (ﷺ) said, "You have to offer perfectly the five (compulsory) prayers in a day and a night (24 hrs.), except if you want to perform some extra optional prayers." The bedouin said, "Tell me what Allah has enjoined on me as regards fasting." The Prophet (ﷺ) said, "You have to observe fast during the month of Ramadan except if you fast some extra optional fast." The bedouin said, "Tell me what Allah has enjoined on me as regard Zakat." The Prophet (ﷺ) then told him the Islamic laws and regulations whereupon the bedouin said, "By Him Who has honored you, I will not perform any optional deeds of worship and I will not leave anything of what Allah has enjoined on me." Allah's Messenger (ﷺ) said, "He will be successful if he has told the truth (or he will enter Paradise if he said the truth)." And some people said, "The Zakat for one-hundred and twenty camels is two Hiqqas, and if the Zakat payer slaughters the camels intentionally or gives them as a present or plays some other trick in order to avoid the Zakat, then there is no harm (in it) for him.
পরিচ্ছেদঃ ১/৩. সালাতের বর্ণনা যা ইসলামের অন্যতম রুকন।
৬. তালহা ইবনু ’উবায়দুল্লাহ্ (রাযি.) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, এক নাজ্দবাসী আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর নিকট এলো। তার মাথার চুল ছিল এলোমেলো। আমরা তার কথার মৃদু আওয়ায শুনতে পাচ্ছিলাম, কিন্তু সে কী বলছিল, আমরা তা বুঝতে পারছিলাম না। এভাবে সে নিকটে এসে ইসলাম সম্পর্কে প্রশ্ন করতে লাগল। আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ ’দিন-রাতে পাঁচ ওয়াক্ত সালাত’। সে বলল, ’আমার উপর এ ছাড়া আরো সালাত আছে?’ তিনি বললেনঃ ’না, তবে নফল আদায় করতে পার।’ আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ ’আর রমাযানের সওম।’ সে বলল, ’আমার উপর এ ছাড়া আরো সওম আছে?’
তিনি বললেনঃ ’না, তবে নফল আদায় করতে পার।’ বর্ণনাকারী বলেন, আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তার নিকট যাকাতের কথা বললেন। সে বলল, ’আমার ওপর এছাড়া আরো আছে?’ তিনি বললেনঃ ’না; তবে নফল হিসেবে দিতে পার।’ বর্ণনাকারী বলেন, ’সে ব্যক্তি এই ব’লে চলে গেলেন, ’আল্লাহর শপথ! আমি এর চেয়ে অধিকও করব না এবং কমও করব না।’ তখন আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ ’সে কৃতকার্য হবে যদি সত্য ব’লে থাকে।’
بَاب بَيَانِ الصَّلَوَاتِ الَّتِي هِيَ أَحَدُ أَرْكَانِ الْإِسْلَامِ
. حَدِيْثُ طَلْحَةَ بْنَ عُبَيْدِ اللهِ يَقُولُ جَاءَ رَجُلٌ إِلَى رَسُولِ اللهِ صلى الله عليه وسلم مِنْ أَهْلِ نَجْدٍ ثَائِرَ الرَّأْسِ يُسْمَعُ دَوِيُّ صَوْتِهِ وَلاَ يُفْقَهُ مَا يَقُولُ حَتَّى دَنَا فَإِذَا هُوَ يَسْأَلُ عَنِ الإِسْلامِ فَقَالَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم خَمْسُ صَلَوَاتٍ فِي الْيَوْمِ وَاللَّيْلَةِ فَقَالَ هَلْ عَلَيَّ غَيْرُهَا قَالَ لاَ إِلاَّ أَنْ تَطَوَّعَ قَالَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم وَصِيَامُ رَمَضَانَ قَالَ هَلْ عَلَيَّ غَيْرُهُ قَالَ لاَ إِلاَّ أَنْ تَطَوَّعَ قَالَ وَذَكَرَ لَهُ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم الزَّكَاةَ قَالَ هَلْ عَلَيَّ غَيْرُهَا قَالَ لاَ إِلاَّ أَنْ تَطَوَّعَ قَالَ فَأَدْبَرَ الرَّجُلُ وَهُوَ يَقُولُ وَاللهِ لاَ أَزِيدُ عَلَى هَذَا وَلاَ أَنْقُصُ قَالَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم أَفْلَحَ إِنْ صَدَقَ
পরিচ্ছেদঃ ৫১. নতুন চাঁদ দেখে যে দু’আ পড়তে হয়
৩৪৫১। ত্বালহা ইবনু উবাইদুল্লাহ (রাযিঃ) হতে বর্ণিত আছে, নতুন চাঁদ দেখার পর নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলতেনঃ “হে আল্লাহ আমাদের জন্য চাদটিকে বারাকাতময় (নিরাপদ), ঈমান, নিরাপত্তা ও শান্তির বাহন করে উদিত করো! হে নতুন চাঁদ। আল্লাহ তা’আলা আমারও প্রভু, তোমারও প্রভু।
সহীহঃ সহীহাহ (হাঃ ১৮১৬), আল-কালিমুত তাইয়্যিব (১৬১/১১৪)।
আবূ ঈসা বলেন, হাদীসটি হাসান গারীব।
باب مَا يَقُولُ عِنْدَ رُؤْيَةِ الْهِلاَلِ
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ بَشَّارٍ، حَدَّثَنَا أَبُو عَامِرٍ الْعَقَدِيُّ، حَدَّثَنَا سُلَيْمَانُ بْنُ سُفْيَانَ الْمَدَنِيُّ، حَدَّثَنِي بِلاَلُ بْنُ يَحْيَى بْنِ طَلْحَةَ بْنِ عُبَيْدِ اللَّهِ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ جَدِّهِ، طَلْحَةَ بْنِ عُبَيْدِ اللَّهِ أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم كَانَ إِذَا رَأَى الْهِلاَلَ قَالَ " اللَّهُمَّ أَهْلِلْهُ عَلَيْنَا بِالْيُمْنِ وَالإِيمَانِ وَالسَّلاَمَةِ وَالإِسْلاَمِ رَبِّي وَرَبُّكَ اللَّهُ " . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ غَرِيبٌ .
Bilal bin Yahya bin Talhah bin `Ubaidullah narrated :
from his father, from his grandfather Talhah bin `Ubaidullah that when the Prophet (ﷺ) would see a crescent moon, he would say: “O Allah, bring it over us with blessing and faith, and security and Islam. My Lord and your Lord is Allah (Allāhumma ahlilhu `alainā bil-yumni wal-Īmān, was-salāmati wal-Islām, rabbī wa rabbuk Allāh).”
পরিচ্ছেদঃ ১৯. 'উসমান ইবনু আফফান (রাযিঃ)-এর মর্যাদা।
৩৬৯৮। তালহা ইবনু উবাইদুল্লাহ (রাঃ) হতে বর্ণিত আছে, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ প্রত্যেক নবীর একজন করে ঘনিষ্ঠ বন্ধু আছে। জান্নাতে আমার ঘনিষ্ঠ বন্ধু হবেন উসমান (রাঃ)।
যঈফ, মিশকাত ৬০৭০, ইবনু মাজাহ (১০৯)
আবূ ঈসা বলেনঃ এ হাদীসটি গারীব। এর সনদসূত্র তেমন সুদৃঢ় নয় এবং এটি মুনকাতে হাদীস।
حَدَّثَنَا أَبُو هِشَامٍ الرِّفَاعِيُّ، حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ الْيَمَانِ، عَنْ شَيْخٍ، مِنْ بَنِي زُهْرَةَ عَنِ الْحَارِثِ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ أَبِي ذُبَابٍ، عَنْ طَلْحَةَ بْنِ عُبَيْدِ اللَّهِ، قَالَ قَالَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم " لِكُلِّ نَبِيٍّ رَفِيقٌ وَرَفِيقِي - يَعْنِي فِي الْجَنَّةِ عُثْمَانُ " . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ غَرِيبٌ لَيْسَ إِسْنَادُهُ بِالْقَوِيِّ وَهُوَ مُنْقَطِعٌ .
Narrated Talhah bin 'Ubaidullah:
that the Messenger of Allah (ﷺ) said: "For every Prophet there is a friend (Rafiq), and my friend" - meaning in Paradise - "is 'Uthman."
পরিচ্ছেদঃ ৪৯. 'আমর ইবনুল ‘আস (রাযিঃ)-এর মর্যাদা
৩৮৪৫। তালহা ইবনু উবাইদুল্লাহ (রাঃ) বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে বলতে শুনেছিঃ আমর ইবনু আস কুরাইশদের অধিক ভালো ব্যক্তিদের দলভুক্ত।
সনদ দুর্বল
আবূ ঈসা বলেনঃ আমরা এ হাদীস শুধু নাফি ইবনু উমার আল-জুমাহীর বর্ণনা হতেই জেনেছি। নাফি একজন নির্ভরযোগ্য রাবী। কিন্তু হাদীসটির সনদসূত্র মুত্তাসিল (সংযুক্ত) নয়। ইবনু আবূ মুলাইকা (রাহঃ) তালহা (রাঃ)-এর দেখা পাননি।
حَدَّثَنَا إِسْحَاقُ بْنُ مَنْصُورٍ، أَخْبَرَنَا أَبُو أُسَامَةَ، عَنْ نَافِعِ بْنِ عُمَرَ الْجُمَحِيِّ، عَنِ ابْنِ أَبِي مُلَيْكَةَ، قَالَ قَالَ طَلْحَةُ بْنُ عُبَيْدِ اللَّهِ سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ " إِنَّ عَمْرَو بْنَ الْعَاصِي مِنْ صَالِحِي قُرَيْشٍ " . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ إِنَّمَا نَعْرِفُهُ مِنْ حَدِيثِ نَافِعِ بْنِ عُمَرَ الْجُمَحِيِّ . وَنَافِعٌ ثِقَةٌ وَلَيْسَ إِسْنَادُهُ بِمُتَّصِلٍ وَابْنُ أَبِي مُلَيْكَةَ لَمْ يُدْرِكْ طَلْحَةَ .
Narrated Talhah bin 'Ubaidullah:
"I heard the Messenger of Allah (ﷺ) saying: 'Indeed, 'Amr bin Al-'As is from among the righteous of the Quraish.'"
পরিচ্ছেদঃ ২০৮. বিতর সম্পর্কে
১৬১৬. তালহা ইবন ’উবাদুল্লাহ রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত যে, একজন গ্রাম্য আরব রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের নিকট এলেন, যার মাথা (-এর চুল) ছিল বিক্ষিপ্ত (এলোমেলো)। তারপর তিনি বললেন, ইয়ারাসুলুল্লাহ! আল্লাহ তা’আলা আমার উপর কী কী সালাত ফরজ করেছেন? তিনি বললেনঃ পাঁচ (ওয়াক্ত) সালাত এবং সিয়াম।” রাবী বলেন, এভাবে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তাঁকে ইসলামের (ফরয) বিধানসমূহ জানিয়ে দিলেন। এরপর তিনি বললেন, ঐ সত্তার কসম, যিনি আপনাকে সত্য দিয়ে সম্মানিত করেছেন, আল্লাহ আমার উপর যা ফরয করেছেন, আমি এর অতিরিক্ত আর কিছুই করব না এবং এর থেকে কিছু কমাবোও না। রাসূলুল্লাহ (সাঃ)বললেনঃ “তার পিতার শপথ, সে সত্য বলে থাকলে সফলতা লাভ করল” কিংবা বলেছেন: “তার পিতার শপথ, সে সত্য বলে থাকলে জান্নাত লাভ করল।”[1]
তাখরীজ: বুখারী, ঈমান ৪৬; মুসলিম, ঈমান ১১; সহীহ ইবনু খুযাইমাহ, আস সহীহ নং ৩০৬; ইবনু মানদাহ, আত তাওহীদ ১/২৭৯ নং ১৩৪; ইবনু বিশকাল, গাওয়াযুল আসমা নং ১।
আমরা এর পূর্ণ তাখরীজ দিয়েছি সহীহ ইবনু হিব্বান নং ১৭২৪, ৩২৬২ তে।
بَاب فِي الْوِتْرِ
أَخْبَرَنَا يَحْيَى بْنُ حَسَّانَ حَدَّثَنَا إِسْمَعِيلُ بْنُ جَعْفَرٍ عَنْ أَبِي سُهَيْلٍ نَافِعِ بْنِ مَالِكٍ عَنْ أَبِيهِ عَنْ طَلْحَةَ بْنِ عُبَيْدِ اللَّهِ أَنَّ أَعْرَابِيًّا جَاءَ إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ ثَائِرَ الرَّأْسِ فَقَالَ يَا رَسُولَ اللَّهِ مَاذَا فَرَضَ اللَّهُ عَلَيَّ مِنْ الصَّلَاةِ قَالَ الصَّلَوَاتِ الْخَمْسَ وَالصِّيَامَ فَأَخْبَرَهُ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِشَرَائِعِ الْإِسْلَامِ فَقَالَ وَالَّذِي أَكْرَمَكَ لَا أَتَطَوَّعُ شَيْئًا وَلَا أَنْقُصُ مِمَّا فَرَضَ اللَّهُ عَلَيَّ فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَفْلَحَ وَأَبِيهِ إِنْ صَدَقَ أَوْ دَخَلَ الْجَنَّةَ وَأَبِيهِ إِنْ صَدَقَ
পরিচ্ছেদঃ ৩. নতুন চাঁদ দেখে যা বলতে হয়
১৭২৫. তালহা রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ’আলাইহি ওয়া সাল্লাম নতুন চাঁদ দেখে বলতেন: “আল্লাহুম্মা উহিল্লাহু আলাইনা বিল আমনি ওয়াল ঈমান; ওয়াস সালামাতি ওয়াল ইসলাম; রব্বী ওয়া রব্বুকাল্লাহ্।”[1]
তাখরীজ: আমরা এর পূর্ণ তাখরীজ দিয়েছি মুসানাদুল মাউসিলী নং ৬৬১, ৬৬২।
এছাড়া, ইবনুস সুন্নী, আমলুল ইয়ামি ওয়াল লাইলাহ নং ৬৪১; ইবনু আদী, আল কামিল ৩/১১২১;বাগাবী, শারহুস সুন্নাহ নং ১৩৩৫; খতীব, তারীখ বাগদাদ ১৪/৩২৪।
আমি বলছি: পূর্বের হাদীসটি এর শাহিদ এবং আবূ সাঈদ খুদরীর হাদীস রয়েছে ইবনুস সুন্নী নং ৬৪২; আনাস ইবনু মালিকের হাদীস রয়েছে তাবারাণী, আল আওসাত, যেমন মাজমাউল বাহরাইন নং ৪৫৯৫ ও মাজমাউয যাওয়াইদ ১০/১৩৯ তে হাইছামী উল্লেখ করেছেন। আব্দুল্লাহ ইবনু হিশামের হাদীস রয়েছে তাবারাণী, আওসাত নং ৬২৭৩ তে এবং রাফি’ ইবনু খাদিজ রা: এর হাদীস রয়েছে, তাবারাণী, আল কাবীর ৪/২৭৬ নং ৪৪০৯ তে; আয়িশা রা: এর হাদীসটিও রয়েছে ইবনুস সুন্নী, নং ৬৪৪ এবং মুয়াবিয়ার গোলাম বাশিরের হাদীসে বলা হয়েছে: ‘আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের দশজন সাহাবীকে বলতে শুনেছি...। হ্যাঁ, এ হাদীস গুলির প্রত্যেকের সনদই যয়ীফ। তবে একটি আরেকটির শাহিদ হয় এবং তা হাদীসটিকে শক্তিশালী করে। আল্লাহই ভাল জানেন।; আরো দেখুন, মুসান্নাফ ইবনু আবী শাইবা১০/৩৯৮-৪০১; মুসান্নাফ আব্দুর রাযযাক নং ৭৩৫০, ৭৩৫১, ৭৩৫২, ৭৩৫৩।
بَاب مَا يُقَالُ عِنْدَ رُؤْيَةِ الْهِلَالِ
أَخْبَرَنَا مُحَمَّدُ بْنُ يَزِيدَ الرِّفَاعِيُّ وَإِسْحَقُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ حَدَّثَنَا الْعَقَدِيُّ حَدَّثَنَا سُلَيْمَانُ بْنُ سُفْيَانَ الْمَدَنِيُّ عَنْ بِلَالِ بْنِ يَحْيَى بْنِ طَلْحَةَ عَنْ أَبِيهِ عَنْ طَلْحَةَ قَالَ كَانَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِذَا رَأَى الْهِلَالَ قَالَ اللَّهُمَّ أَهِلَّهُ عَلَيْنَا بِالْأَمْنِ وَالْإِيمَانِ وَالسَّلَامَةِ وَالْإِسْلَامِ رَبِّي وَرَبُّكَ اللَّهُ
পরিচ্ছেদঃ ২. সালাতের বর্ণনা যা ইসলামের একটি রুকন।
৮-(৮/১১) কুতাইবাহ ইবনু সাঈদ ইবনু জামীল ইবনু তারীফ ইবনু আবদুল্লাহ আস্ সাকাফী (রহঃ) ..... তালহাহ ইবনু উবাইদুল্লাহ (রাযিঃ) থেকে বর্ণনা করেন। তালহাহ ইবনু উবাইদুল্লাহ (রাযিঃ) বলেন, নাজদের বাসিন্দা এক ব্যক্তি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর খিদমতে আসলো। তার মাথার চুলগুলো ছিল এলোমেলো ও বিক্ষিপ্ত। আমরা তার গুন গুন আওয়াজ শুনছিলাম, কিন্তু সে কী বলছিল তা বুঝা যাচ্ছিলো না। অতঃপর সে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর অতি নিকটে এসে ইসলাম সম্পর্কে জিজ্ঞেস করল। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বললেনঃ দিন-রাতে পাঁচ ওয়াক্ত সালাত। সে বললো, এ ছাড়া আমার কোন কিছু (সালাত) আছে কি? তিনি বললেন, না তবে নফল আদায় করতে পারো। এরপর রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তাকে যাকাত প্রদানের কথাও বললেন। সে জিজ্ঞেস করলো, এ ছাড়া আমার উপর আরো কোন কর্তব্য আছে কি? তিনি বললেন, না। তবে নফল দান-সাদাকা করতে পারো[1]। বর্ণনাকারী বলেন, এরপর লোকটি এ কথা বলতে বলতে চলে গেল, “আমি এর বেশিও করবো না, আর কমও করবো না। তখন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বললেন, লোকটি যদি তার কথার সত্যতা প্রমাণ করতে পারে তাহলে সফলকাম হয়েছে। (ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ৮, ইসলামিক সেন্টারঃ ৮)
باب بَيَانِ الصَّلَوَاتِ الَّتِي هِيَ أَحَدُ أَرْكَانِ الإِسْلاَمِ
حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ بْنُ سَعِيدِ بْنِ جَمِيلِ بْنِ طَرِيفِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ الثَّقَفِيُّ، عَنْ مَالِكِ بْنِ أَنَسٍ، - فِيمَا قُرِئَ عَلَيْهِ - عَنْ أَبِي سُهَيْلٍ، عَنْ أَبِيهِ، أَنَّهُ سَمِعَ طَلْحَةَ بْنَ عُبَيْدِ اللَّهِ، يَقُولُ جَاءَ رَجُلٌ إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم مِنْ أَهْلِ نَجْدٍ ثَائِرُ الرَّأْسِ نَسْمَعُ دَوِيَّ صَوْتِهِ وَلاَ نَفْقَهُ مَا يَقُولُ حَتَّى دَنَا مِنْ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَإِذَا هُوَ يَسْأَلُ عَنِ الإِسْلاَمِ فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " خَمْسُ صَلَوَاتٍ فِي الْيَوْمِ وَاللَّيْلَةِ " . فَقَالَ هَلْ عَلَىَّ غَيْرُهُنَّ قَالَ " لاَ . إِلاَّ أَنْ تَطَّوَّعَ وَصِيَامُ شَهْرِ رَمَضَانَ " . فَقَالَ هَلْ عَلَىَّ غَيْرُهُ فَقَالَ " لاَ . إِلاَّ أَنْ تَطَّوَّعَ " . وَذَكَرَ لَهُ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم الزَّكَاةَ فَقَالَ هَلْ عَلَىَّ غَيْرُهَا قَالَ " لاَ . إِلاَّ أَنْ تَطَّوَّعَ " قَالَ فَأَدْبَرَ الرَّجُلُ وَهُوَ يَقُولُ وَاللَّهِ لاَ أَزِيدُ عَلَى هَذَا وَلاَ أَنْقُصُ مِنْهُ . فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " أَفْلَحَ إِنْ صَدَقَ " .
Chapter: Explaining the prayers which are one of the pillars of Islam
It is reported on the authority of Talha b. 'Ubaidullah that a person with dishevelled hair, one of the people of Nejd, came to the Messenger of Allah (ﷺ). We heard the humming of his voice but could not fully discern what he had been saying, till he came nigh to the Messenger of Allah (ﷺ). It was then (disclosed to us) that he was asking questions pertaining to Islam. The Messenger of Allah (ﷺ) said: Five prayers during the day and the night. (Upon this he said: Am I obliged to say any other (prayer) besides these? He (the Holy Prophet, ) said: No, but whatever you observe voluntarily, out of your own free will, and the fasts of Ramadan. The inquirer said: Am I obliged to do anything else besides this? He (the Holy Prophet) said: No, but whatever you do out of your own free will. And the Messenger of Allah told him about the Zakat (poor-rate). The inquirer said: Am I obliged to pay anything else besides this? He (the Holy Prophet) said: No, but whatever you pay voluntarily out of your own free will. The man turned back and was saying: I would neither make any addition to this, nor will decrease anything out of it. The Prophet remarked: He is successful, if he is true to what he affirms.
পরিচ্ছেদঃ ২. সালাতের বর্ণনা যা ইসলামের একটি রুকন।
৯-(৯/...) তালহাহ ইবনু উবাইদুল্লাহ থেকে বর্ণিত তিনি এ হাদীসটি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে ইমাম মালিকের বর্ণিত হাদীসের অবিকল বর্ণনা করেছেন। তবে তিনি এ হাদীসের শেষাংশে বলেছেন, অতঃপর রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, “সে সফলকাম হয়েছে তার বাবার কসম! যদি সে সত্য কথা বলে থাকে"। অথবা তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলেছেন, "সে ব্যক্তি জান্নাতে প্রবেশ করেছে, যদি সে সত্য কথা বলে থাকে[1]। (ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ৯, ইসলামিক সেন্টারঃ ৯)
উত্তরে বলা হয় যে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর কসম খাওয়া এটা অভ্যাস মোতাবেক। কেননা আরবের লোকজন এভাবে কসম খাওয়ায় অভ্যস্ত ছিলেন। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এটা কারও সম্মানের জন্য কসম করেননি বা তখন এভাবে কসম খাওয়া নিষেধ হয়নি। প্রকৃতপক্ষে আল্লাহকে বাদ দিয়ে অন্যের নামে কসম করা এজন্য নিষেধ যে, আল্লাহর সামনে কারও স্থান না দেয়া। কতক আলিমের নিকট এটা ছিল আল্লাহ ভিন্ন অন্যের নামে কসম নিষিদ্ধ হবার পূর্বের ঘটনা। (নাবাবী)
باب بَيَانِ الصَّلَوَاتِ الَّتِي هِيَ أَحَدُ أَرْكَانِ الإِسْلاَمِ
حَدَّثَنِي يَحْيَى بْنُ أَيُّوبَ، وَقُتَيْبَةُ بْنُ سَعِيدٍ، جَمِيعًا عَنْ إِسْمَاعِيلَ بْنِ جَعْفَرٍ، عَنْ أَبِي سُهَيْلٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ طَلْحَةَ بْنِ عُبَيْدِ اللَّهِ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم بِهَذَا الْحَدِيثِ نَحْوَ حَدِيثِ مَالِكٍ غَيْرَ أَنَّهُ قَالَ فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " أَفْلَحَ وَأَبِيهِ إِنْ صَدَقَ " . أَوْ " دَخَلَ الْجَنَّةَ وَأَبِيهِ إِنْ صَدَقَ " .
Chapter: Explaining the prayers which are one of the pillars of Islam
Another hadith, the like of which has been narrated by Malik (b. Anas) (and mentioned above) is also reported by Talha b. 'Ubaidullah, with the only variation that the Prophet remarked:
By his father, he shall succeed if he were true (to what he professed), or: By his father, he would enter heaven if he were true (to what he professed).
পরিচ্ছেদঃ ৩৮. শারীআত হিসেবে রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যা আদেশ করেছেন তা পালন করা ওয়াজিব আর পার্থিব বিষয়ে তিনি যে অভিমত ব্যাক্ত করেছেন তা পালন করা ওয়াজিব নয়
৬০২০-(১৩৯/২৩৬১) কুতাইবাহ ইবনু সাঈদ সাকাকী ও আবূ কামিল জাহদারী (রহঃ) ..... তালহাহ্ (রাযিঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সাথে খর্জুর (খেজুর) বৃক্ষের মাথায় দাঁড়ানো একদল লোকের নিকট দিয়ে যাচ্ছিলাম। রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ এরা কি করছে? মানুষেরা বলল, এরা খেজুর গাছের পরাগায়ণ করছে। নরকে মাদীর (কেশর) সংমিশ্রণ করে, ফলে তা গর্ভ ধারণ করে। তখন রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ আমার মনে হয় না এতে কোন লাভ হয়। রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর এ বক্তব্য সাহাবাদের নিকট পৌছলে তারা প্রজনন কর্ম থেকে বিরত থাকেন। তারপর এ সংবাদ রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কে দেয়া হলো। তিনি বললেন, এতে যদি তাদের লাভ হয়ে থাকে তবে তারা করুক। আমি তো ধারণাপ্রসূত এ কথা বলেছি। তাই তোমরা আমার অনুমানকে ধরে রেখো না। কিন্তু আমি যদি আল্লাহর তরফ হতে কোন কথা বলি, তবে সেটার উপর আমল করো। কারণ আমি আল্লাহর উপর কখনই মিথ্যা অপবাদ দেই না। (ইসলামিক ফাউন্ডেশন ৫৯১৪, ইসলামিক সেন্টার ৫৯৫২)
باب وُجُوبِ امْتِثَالِ مَا قَالَهُ شَرْعًا دُونَ مَا ذَكَرَهُ صلى الله عليه وسلم مِنْ مَعَايِشِ الدُّنْيَا على سبيل الرأي
حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ بْنُ سَعِيدٍ الثَّقَفِيُّ، وَأَبُو كَامِلٍ الْجَحْدَرِيُّ - وَتَقَارَبَا فِي اللَّفْظِ وَهَذَا حَدِيثُ قُتَيْبَةَ - قَالاَ حَدَّثَنَا أَبُو عَوَانَةَ عَنْ سِمَاكٍ عَنْ مُوسَى بْنِ طَلْحَةَ عَنْ أَبِيهِ قَالَ مَرَرْتُ مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم بِقَوْمٍ عَلَى رُءُوسِ النَّخْلِ فَقَالَ " مَا يَصْنَعُ هَؤُلاَءِ " . فَقَالُوا يُلَقِّحُونَهُ يَجْعَلُونَ الذَّكَرَ فِي الأُنْثَى فَيَلْقَحُ . فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " مَا أَظُنُّ يُغْنِي ذَلِكَ شَيْئًا " . قَالَ فَأُخْبِرُوا بِذَلِكَ فَتَرَكُوهُ فَأُخْبِرَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم بِذَلِكَ فَقَالَ " إِنْ كَانَ يَنْفَعُهُمْ ذَلِكَ فَلْيَصْنَعُوهُ فَإِنِّي إِنَّمَا ظَنَنْتُ ظَنًّا فَلاَ تُؤَاخِذُونِي بِالظَّنِّ وَلَكِنْ إِذَا حَدَّثْتُكُمْ عَنِ اللَّهِ شَيْئًا فَخُذُوا بِهِ فَإِنِّي لَنْ أَكْذِبَ عَلَى اللَّهِ عَزَّ وَجَلَّ " .
Musa b. Talha reported:
I and Allah's Messenger (ﷺ) happened to pass by people near the date-palm trees. He (the Holy Prophet) said: What are these people doing? They said: They are grafting, i. e. they combine the male with the female (tree) and thus they yield more fruit. Thereupon Allah's Messenger (ﷺ) said: I do not find it to be of any use. The people were informed about it and they abandoned this practice. Allah's Messenger (ﷺ) (was later) on informed (that the yield had dwindled), whereupon he said: If there is any use of it, then they should do it, for it was just a personal opinion of mine, and do not go after my personal opinion; but when I say to you anything on behalf of Allah, then do accept it, for I do not attribute lie to Allah, the Exalted and Glorious.
পরিচ্ছেদঃ প্রথম অনুচ্ছেদ
১৬-[১৫] ত্বলহাহ্ ইবনু ’উবায়দুল্লাহ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, একজন নাজদবাসী লোক এলোমেলো কেশে রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর কাছে আসলো। আমরা তার ফিসফিস শব্দ শুনতে পাচ্ছিলাম। কিন্তু বেশ দূরে থাকার কারণে কিছুই বুঝতে পারছিলাম না। এমনকি সে রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর খুব নিকটে এসে পৌঁছল। সে ইসলাম সম্পর্কে জিজ্ঞেস করলো (ইসলাম কি?)। রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম উত্তরে বললেন, দিন-রাতে পাঁচ ওয়াক্ত সালাত আদায় করা। তখন সে লোকটি বলল, এছাড়া কি আর কোন সালাত (সালাত/নামায/নামাজ) আমার ওপর ফরয? তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বললেন, না। তবে তুমি নফল সালাত আদায় করতে পারো। তারপর রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, রমাযান মাসের সিয়াম পালন করবে। সে ব্যক্তি বলল, এছাড়া কি আর কোন সিয়াম আমার ওপর ফরয? তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বললেন, না। তবে ইচ্ছামাফিক (নফল) সিয়াম পালন করতে পারো। বর্ণনাকারী বলেন, এরপর রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যাকাতের কথা বর্ণনা করলেন। পুনরায় সে লোকটি বলল, এছাড়া কি আর কোন সদাক্বাহ্ (সাদাকা) আমার ওপর ফরয? তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বললেন, না। কিন্তু স্বেচ্ছায় দান করার অবকাশ রয়েছে। অতঃপর লোকটি এ কথা বলতে বলতে চলে গেল- আল্লাহর কসম, এর উপর আমি কিছু বেশিও করবো না এবং কমও করবো না। (এটা শুনে) রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, লোকটি যদি তার কথায় সত্য বলে থাকে, তাহলে (জাহান্নাম হতে) সাফল্য লাভ করল। (বুখারী, মুসলিম)[1]
الفصل الاول
وَعَنْ طَلْحَةَ بْنِ عُبَيْدِ اللَّهِ قَالَ: جَاءَ رَجُلٌ إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مِنْ أَهْلِ نَجْدٍ ثَائِرُ الرَّأْسِ نَسْمَعُ دَوِيَّ صَوْتِهِ وَلَا نَفَقَهُ مَا يَقُولُ حَتَّى دَنَا مِنْ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَإِذَا هُوَ يَسْأَلُ عَنِ الْإِسْلَامِ فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «خَمْسُ صَلَوَاتٍ فِي الْيَوْمِ وَاللَّيْلَةِ» . فَقَالَ: هَلْ عَلَيَّ غَيْرُهُنَّ؟ فَقَالَ: لَا إِلَّا أَنْ تَطَّوَّعَ. قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: وَصِيَامُ شَهْرِ رَمَضَانَ . قَالَ: هَلْ عَلَيَّ غَيْرُهُ؟ قَالَ: «لَا إِلَّا أَنْ تَطَّوَّعَ» . قَالَ: وَذَكَرَ لَهُ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ الزَّكَاةَ فَقَالَ: هَلْ عَلَيَّ غَيْرُهَا؟ فَقَالَ: لَا إِلَّا أَنْ تَطَّوَّعَ. قَالَ: فَأَدْبَرَ الرَّجُلُ وَهُوَ يَقُولُ: وَاللَّهِ لَا أَزِيدُ عَلَى هَذَا وَلَا أَنْقُصُ مِنْهُ. فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «أَفْلح الرجل إِن صدق»
Chapter - Section 1
Talha b. ‘Ubaidallah said:
A man of the people of Najd with dishevelled hair came to God’s messenger. We could hear the sound of his voice, but could not understand what he was saying till he came near God’s messenger and we realised that he was asking about Islam. God’s messenger said, “Five times of prayer each day and night.” He asked, “Must I observe any more than them?” He replied, “No, unless you do it voluntarily.” God's messenger said, “And fasting during the month of Ramadan.” He asked, “Must I observe anything else?” He replied, “No, unless you do it voluntarily.” Talha said that God's messenger mentioned the zakat to him, and he asked, “Must I pay anything else?” He replied, “No, unless you do it voluntarily.” He said that the man turned away saying, “I swear by God that I shall not add anything to this or fall short of it.” So God’s messenger said, “The man will prosper if he is speaking the truth.”
(Bukhari and Muslim.)
ব্যাখ্যা: (نَسْمَعُ دَوِيَّ صَوْتِه وَلَا نَفْقَهٗ مَا يَقُوْلُ) এর অর্থ হচ্ছে বাতাসে তার আওয়াজের শব্দের গুঞ্জরণ শুনা যাচ্ছিল কিন্তু তা থেকে কিছু বুঝা যাচ্ছিল না। যেমন মৌমাছি বা মাছির গুঞ্জরণ শুনা যায়। সে ইসলাম সম্পর্কে জিজ্ঞেস করছিল অর্থাৎ- ইসলামের বিধানাবলী এবং ফরযসমূহ সম্পর্কে জিজ্ঞাসা। এটি জানা যায় ইমাম বুখারীর কিতাবুস্ সিয়ামে ত্বলহাহ্ (রাঃ) বর্ণিত হাদীসের শেষাংশ থেকে। রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাকে ইসলামের বিধানাবলী সম্পর্কে অবহিত করলেন।
(اِلَّا أَنْ تَطَوَّعَ) অর্থাৎ- তোমার মুসতাহাব এই যে, তুমি নফল সালাত (সালাত/নামায/নামাজ) আদায় করবে। হাদীসের এ অংশ দ্বারা এ দলীল গ্রহণ করা হয় যে নফল ‘ইবাদাত শুরু করে ফেললে তা পূর্ণ করা ওয়াজিব নয়। পূর্ণ করা মুসতাহাব, অতএব তা ছেড়ে দেয়া বৈধ। ইচ্ছাকৃতভাবে ছেড়ে দিক অথবা ওজরের কারণে ছেড়ে দিক তা পূর্ণ করা ওয়াজিব নয়। তিরমিযীতে উম্মু হানী থেকে বর্ণিত হাদীসে বক্তব্যের সমর্থন পাওয়া যায়। তাতে আছে ‘‘নফল সিয়াম পালনকারী ব্যক্তি নিজ সত্তার ওপর নিজেই আমীর বা পরিচালক। সে ইচ্ছা করলে সিয়াম পালন করতে পারে আর ইচ্ছা করলে তা ভঙ্গ করতেও পারে।’’ অনুরূপভাবে নাসায়ীতে ‘আয়িশাহ্ (রাঃ) থেকে মারফূ‘ হাদীসেও এ বক্তব্যের সমর্থন মিলে। তাতে আছে ‘‘নফল সওম পালনকারীর উদাহরণ ঐ ব্যক্তির ন্যায় যে স্বীয় মাল থেকে সদাক্বাহ্ (সাদাকা) করে। ইচ্ছা করলে সে সদাক্বাহ্ (সাদাকা) করতে এবং ইচ্ছা করলে তা পরিত্যাগ করতে পারে।’’
নাসায়ীতে বর্ণিত হাদীস ‘‘নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কখনো কখনো নফল সিয়ামের নিয়্যাত করতেন পরে আবার তা ভেঙ্গে ফেলতেন। বুখারীতে বর্ণিত হাদীস ‘‘নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম জুওয়াইবিয়াহ্ বিনতু হারিস (রাঃ)-কে জুমু‘আর দিনে সিয়াম শুরু করার পর ভাঙ্গতে নির্দেশ দিয়েছিলেন। পরে তাকে তা ক্বাযা করার নির্দেশ দেননি।
বায়হাক্বীতে আবূ সা‘ঈদ (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর জন্য খাদ্য প্রস্তুত করলাম। অতঃপর যখন তা দস্তরখানে রাখা হলো তখন এক ব্যক্তি বললোঃ আমি সায়িম। রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ তোমার ভাই তোমাকে দা‘ওয়াত দিয়েছে, তোমার জন্য কষ্ট করেছে। তুমি সিয়াম ভেঙ্গে ফেল ইচ্ছা হলে তুমি তদস্থলে আরেকটি সিয়াম পালন করবে। এ হাদীসগুলো প্রমাণ করে যে, নফল ‘ইবাদাত শুরু করলে তা পূর্ণ করা জরুরী নয়। সিয়ামের ক্ষেত্রে তা সরাসরি দলীল দ্বারা প্রমাণিত।
‘‘রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম প্রশ্নকারীকে যাকাতের কথাও উল্লেখ করলেন’’ এ বাক্যটি বর্ণনাকারীর নিজের। মনে হয় রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম প্রশ্নকারীর উত্তরে যাকাত সম্পর্কে কি শব্দ প্রয়োগ করে উত্তর দিয়েছিলেন বর্ণনাকারী তা ভুলে গেছেন অথবা তার সন্দেহ সৃষ্টি হয়েছে। ফলে তিনি স্বীয় ভাষায় রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর সংবাদটি অবহিত করেছেন। এতে বুঝা যায়, হাদীস বর্ণনার ক্ষেত্রে বর্ণিত শব্দ সংরক্ষণ করাও জরুরী।
হাদীসের শিক্ষাঃ
(১) মুক্তি লাভের জন্য ইসলামের ফরয ও ওয়াজিবগুলোর প্রতি ‘আমল করা আবশ্যক।
(২) এতে মুরজিয়াদের ‘আক্বীদাহ্- নাজাত তথা মুক্তির জন্য বিশ্বাসই যথেষ্ট ‘আমলের প্রয়োজন নেই- প্রত্যাখ্যান করা হয়েছে।
পরিচ্ছেদঃ দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - উসমান (রাঃ)-এর মর্যাদা ও বৈশিষ্ট্য
৬০৭০-[২] ত্বলহাহ্ ইবনু উবায়দুল্লাহ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন: প্রত্যেক নবীরই এক একজন রফীক (সাথি) রয়েছেন, আর জান্নাতে আমার রফীক উসমান। (তিরমিযী)
اَلْفصْلُ الثَّنِ (بَاب مَنَاقِب عُثْمَان)
عَن طَلْحَةَ بْنِ عُبَيْدِ اللَّهِ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «لِكُلِّ نَبِيٍّ رَفِيقٌ وَرَفِيقِي - يَعْنِي فِي الْجنَّة - عُثْمَان» رَوَاهُ التِّرْمِذِيّ
اسنادہ ضعیف ، رواہ الترمذی (3698 وقال : غریب ، لیس اسنادہ بالقوی ‘‘ الخ) و انظر الحدیث الآتی (6062) * فیہ شیخ من بنی زھرۃ : لم اعرفہ ، و شیخہ حارث بن عبد الرحمن بن ابی ذباب لم یدرک طلحۃ رضی اللہ عنہ (انظر تحفۃ الاشراف 4 / 212) ۔
(ضَعِيف)
ব্যাখ্যা: (لِكُلِّ نَبِيٍّ رَفِيقٌ) বলা হয় ঐ ব্যক্তিকে, যে ব্যক্তি তোমার সাথে বন্ধুত্ব করে বা বন্ধুত্বপূর্ণ আচরণ করে।
(وَرَفِيقِي - يَعْنِي فِي الْجنَّة - عُثْمَان) নবী (সা.) -এর কথা ছিল ব্যাপকতার ভিত্তিতে যা দুনিয়া ও আখিরাত উভয়কালকে শামিল করে। উক্ত হাদীস দ্বারা অন্যান্যদের বন্ধুত্ব সম্পর্ক অস্বীকার করা হয় না বরং এ কথা থেকে উপকার হাসিল হয় যে, প্রত্যেক নবীর বন্ধু একজন আর নবী (সা.) -এর বন্ধু একাধিক। আর হাদীসটি শুধুমাত্র ‘উসমান (রাঃ)-এর আলোচনায় তাঁর সম্মান ও মর্যাদাকে উঁচু করা হয়েছে। (মিরক্বাতুল মাফাতীহ; তুহফাতুল আহওয়াযী ৯ম খণ্ড, হা. ৩৭০৭)
পরিচ্ছেদঃ ১০২. মুসল্লী কিরূপ সু্তরাহ স্থাপন করবে
৬৮৫। ত্বালহা ইবনু ’উবাইদুল্লাহ (রাঃ) সূত্রে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ তুমি (খোলা ময়দানে সালাত আদায়কালে) তোমার সামনে উটের পিঠের হাওদার পিছন দিকের কাষ্ঠ খন্ড বা অনুরূপ কোন কিছু স্থাপন করলে তোমার সামনে দিয়ে কারো চলাচলে (সালাতের) কোন ক্ষতি হবে না।[1]
সহীহ : মুসলিম।
-
সুতরাহ্ সম্পর্কে আলোচনাঃ
যে বস্তু দ্বারা কোনো কিছুকে আড়াল দেয়া হয় তাকে সুতরাহ বলে। ইসলামী পরিভাষায় সুতরাহ বলা হয় ঐ খুঁটি দেয়াল, কাঠ বা বস্তুকে যা সালাত আদায়কারীর সামনে রাখা হয়।
নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যেসব বস্তু দ্বারা সুতরাহ করেছেনঃ
নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যেসব বস্তু দ্বারা সুতরাহ গ্রহণ করেছেন বলে হাদীসে বর্ণিত হয়েছে তা নিম্নরূপঃ
১। নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কখনো দেয়ালকে সুতরাহ বানিয়ে তার নিকটবর্তী হয়ে সালাতে দাঁড়াতেন। তখন তাঁর ও দেয়ালের মধ্যে তিন হাতের ব্যবধা থাকতো। আরেক বর্ণনায় রয়েছেঃ তাঁর সিজদার স্থান ও দেয়ালের মধ্যে একটি বকরী অতিক্রম করার মতো ব্যবধান থাকতো। (সহীহুল বুখারী, সহীহ মুসলিম)।
২। তিনি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কখনো খাট (অথচ আয়িশাহ তাতে ঘুমিয়ে থাকতেন), কাঠ, গাছ কিংবা মসজিদের খুঁটিকে সামনে রেখে সালাত আদায় করেছেন। (সহীহুল বুখারী, সহীহ মুসলিম, আবূ ইয়ালা, নাসায়ী, আহমাদ)।
৩। নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যখন যুদ্ধের সফরে থাকতেন, কিংবা খোলা ময়দানে সালাত আদায় করতেন, তখন সামনে (তীর, বর্শা এ ধরণের) হাতিয়ার গেড়ে সুতরাহ বানিয়ে সালাত আদায় করতেন। আর লোকেরা তাঁর পিছনে সালাত আদায় করতো। (সহীহুল বুখারী, সহীহ মুসলিম, ইবনু মাজাহ)।
৪। নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কখনো বাহন কিংবা সওয়ারীর আসনকে সামনে রেখে সুতরাহ বানিয়ে সালাত আদায় করতেন। (সহীহুল বুখারী, সহীহ মুসলিম, আহমাদ, সহীহ ইবনু খুযাইমাহ)।
সুতরাহ ভেতর দিয়ে কাউকে অতিক্রম করতে না দেয়াঃ
নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাঁর এবং সুতরাহর মধ্য দিয়ে কোনো কিছুকে অতিক্রমকরতে দিতেননা। সুতরাহর ভেতর দিয়ে অতিক্রম নিষেধ হওয়া সম্পর্কে নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর কয়েকটি হাদীস উল্লেখ করা হলোঃ
১। একবার নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সালাত আদায় করছিলেন হঠাৎ একটি ছাগল তাঁর সম্মুখ দিয়ে দৌঁড়ে যাচ্ছিল। তিনি তার সাথে পাল্লা দিয়ে তাঁর পেটকে দেয়ালে লাগিয়ে দিলেন (ফলে ছাগলটি তাঁর পেছন দিয়ে অতিক্রম করে)। (সহীহ ইবনু খুযাইমাহ, ত্বাবারানী এবং হাকিম। ইমাম হাকিম ও ইমাম যাহাবী একে সহীহ বলেছেন)।
২। নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেনঃ তোমাদের কেউ সুতরাহর অভিমুখে সালাত আদায়ে দাঁড়ালে সে যেন তার নিকটবর্তী হয়। যাতে শায়ত্বান তার সালাত বিনষ্ট করতে না পারে। (আবূ দাঊদ, বাযযার, হাকিম, তিনি একে সহীহ বলেছেন এবং যাহাবী ও নাববী তার সমর্থন দিয়েছেন)।
৩। নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আরো বলেনঃ সালাত আদায়কারীর সম্মুখ দিয়ে অতিক্রমকারী যদি জানতো এতে কী পরিমাণ (গুনাহ) রয়েছে তবে চল্লিশ (দিন, বৎসর, মাস বা ওয়াক্ত) দাঁড়িয়ে অপেক্ষা করা তার জন্য উত্তম (মনে) হতো। (সহীহুল বুখারী, সহীহ মুসলিম, সহীহ ইবনু খুযাইমাহ)।
৪। নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আরো বলেনঃ সুতরাহ ব্যতীত সালাত আদায় করবে না, আর তোমার সম্মুখ দিয়ে কাউকে অতিক্রম করতে দিবে না, যদি কেউ অগ্রাহ্য করে তবে তার সাথে লড়াই করবে, কেননা তার সাথে ক্বারীন (শায়ত্বান) রয়েছে। (সহীহ ইবনু খুযাইমাহ, সনদ উত্তম)।
৫। নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আরো বলেনঃ তোমাদের কেউ যখন এমন বস্তুর দিকে মুখ করে সালাত আদায় করে যা তাকে লোকজন থেকে আড়াল করে, এরপরও কেউ যদি তার সম্মুখ দিয়ে অক্রিম করতে চায় তবে যেন তার বক্ষ ধরে তাকে প্রতিহত করে (এবং সাধ্যমত তাকে বাধা দেয়)। অপর বর্ণনায় রয়েছেঃ তাকে যেন দু’বার বাধা দেয়, তাও যদি সে অমান্য করে তবে সে যেন তার সাথে লড়াই করে, কেননা সে হচ্ছে একটা শায়ত্বান।’’ (সহীহ সনদে আহমাদ, দারাকুতনী ও ত্বাবারানী। এ হাদীসের মর্ম সহীহুল বুখারী ও সহীহ মুসলিমসহ অন্যান্য কিতাবে একদল সাহাবা থেকে বর্ণিত হয়েছে)।
সুতরাহ সম্পর্কে কতিপয় বিশ্ববরেণ্য ‘আলিমের অভিমতঃ
১। হাফিয ইবনুল কাইয়্যিম (রহঃ) বলেনঃ ‘‘সুতরাহ বিহীন সালাত আদায়কালে মুসল্লীর সামনে দিয়ে বালেগা নারী, গাধা, কালো কুকুর অতিক্রম করলে সালাত ভঙ্গ হবে’’ সহীহ সূত্রে বর্ণিত এ হাদীস এবং আয়িশাহ (রাঃ)-এর বর্ণনাঃ ‘‘তিনি নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর সিজদার জায়গায় আড়াআড়ি হয়ে শুয়ে থাকতেন। নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যখন সিজদা্ করার সময় তার পায়ে চিমটি কাটতেন তখন তিনি পা গুটিয়ে নিতেন। সিজদা থেকে উঠে দাঁড়ালে তিনি আবার পা ছড়িয়ে দিতেন।’’ এ উভয় হাদীসের মধ্যে পার্থক্য হলো, অতিক্রম করা আর অবস্থান করার। (দেখুন, যাদুল মা‘আদ) অর্থাৎ অতিক্রম করলে সালাত ভঙ্গ হবে কিন্তু মুসল্লীর বরাবর অবস্থানকারী স্বীয় স্থান থেকে সরে গেলে সালাত ভঙ্গ হবে না। আল্লাহই অধিক জ্ঞাত।
২। সঊদী আরাবের প্রাক্তন গ্রান্ড মুফতি শায়খ ‘আব্দুল আযীয বিন বায (রহঃ) বলেনঃ সুতরাহর দিকে মুখ করে সালাত আদায় সুন্নাতে মুয়াক্কাদাহ। তবে ওয়াজিব নয়। কেননা নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে প্রমাণিত আছে তিনি কখনো সুতরাহ ছাড়াও সালাত আদায় করেছেন। কেউ সুতরাহর জন্য কিছু না পেলে তার জন্য দাগ টানাই যথেষ্ট। দাগ টানা সম্পর্কিত হাদীসটি আহমাদ ও ইবনু মাজাহ বর্ণনা করেছেন হাসান সনদে এবং ইবনু হিব্বান একে সহীহ বলেছেন। হাফিয ইবনু হাজার বলেন, যারা একে মুয্তারিব বলেছেন তা সঠিক নয় বরং এটি হাসান।
সুতরাহর দূরত্ব হচ্ছে মুসল্লীর পা থেকে তিন হাত (যিরা) পরিমাণ জায়গা। নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে প্রমাণিত আছেঃ তিনি কা‘বা শরীফে সালাত আদায়কালে তাঁর ও কা‘বা শরীফের পশ্চিম পার্শ্বের দেয়ালের মাঝে তিন যিরা দূরত্ব রেখে সালাত আদায় করেছেন। অতএব কেউ তিন যিরার অধিক দূরত্ব পথ দিয়ে অতিক্রম করলে তিনি মুসল্লীর জন্য অতিক্রমকারী হিসেবে গণ্য হবেন না। কিন্তু মুসল্লীর পা থেকে শুরু করে তিন যিরা পরিমাণ জায়গার ভেতর দিয়ে যদি বালেগা নারী, কালো কুকুর ও গাধা অতিক্রম করে তাহলে মুসল্লীর সালাত নষ্ট হবে। উল্লেখ্য হাদীসে বর্ণিত উক্ত তিনজন (বালেগা নারী, কালো কুকুর ও গাধা) ব্যতীত অন্যরা যদি তিন যিরার ভেতর দিয়ে অতিক্রম করে যেমন বালেগ পুরুষ, কালো কুকুর ব্যতীত ভিন্ন রঙের কুকুর, গাধা ব্যতীত অন্য প্রাণী এবং নাবালেগ মেয়ে অতিক্রম করে তাহলে সালাত কাটবে না, নষ্ট হবে না। কিন্তু মুসল্লীকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে সে যেন ঐ তিনজনসহ সাধারণভাবে সকলকেই তার সম্মুখ দিয়ে অতিক্রমে বাঁধা দেয়।
জ্ঞাতব্য, মাসজিদুল হারাম, মসজিদে নাবাবী ও অন্যান্য মসজিদে অধিক ভিড় হলে তাতে অন্যকে বাঁধা দেয়া অসম্ভব হয়ে ওঠে। এমতাবস্থায় সুতরাহ না রাখলে এবং মুসল্লীর সম্মুখ দিয়ে অতিক্রম করলে অসুবিধা নেই। কেননা ওজরের কারণে এখানে শারী‘আত শিথিল। আল্লাহ তা‘আলা বলেনঃ ‘‘তোমরা আমাকে সাধ্য মোতাবেক ভয় করো।’’ রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ আমি তোমাদেরকে কোনো বিষয়ে নির্দেশ দিলে সেটা তোমরা তোমাদের সাধ্যনুযায়ী গ্রহণ করো।’’ (আহমাদ, বুখারী), ইবনু যুবায়র থেকে প্রমাণিত আছে, তিনি মাসজিদুল হারামে সুতরাহ ব্যতীত সালাত আদায় করছিলেন আর তার সম্মুখ দিয়ে লোকেরা তাওয়াফ করছিল। নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকেও অনুরূপ প্রমাণ আছে কিন্তু দুর্বল সনদে। (দেখুন, ফাতাওয়াহ শায়খ বিন বায- (রহঃ))।
৩। শায়খ সালিহ আল-উসাইমিন (রহঃ) বলেনঃ সুতরাহ গ্রহণ করা সুন্নাতে মুয়াক্কাদা। তবে জামা‘আতের সাথে সালাত আদায়কালে সুতরাহর প্রয়োজন নেই। ইমামের সুতরাহ মুক্তাদীর জন্য যথেষ্ট। এর সীমা সম্পর্কে নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেনঃ ‘‘উটের উপর হেলান দিয়ে বসার জন্য তার পিঠে যে কাঠ রাখা হয় তার উচ্চতার বরাবর।’’ (সহীহ মুসলিম)। এটা হচ্ছে সর্বোচ্চ উচ্চতা। এর চেয়ে কমও বৈধ আছে। কেননা হাদীসে এসেছেঃ ‘‘তোমাদের মধ্যে কোনো ব্যক্তি যখন সালাত আদায় করে, সে যেন একটি তীর দিয়ে হলেও সুতরাহ করে নেয়।’’ (ইবনু খুযাইমাহ, আহমাদ)। হাসান সনদে আবূ দাঊদে বর্ণিত অন্য হাদীসে বলা হয়েছেঃ ‘‘কোনো কিছু না পেলে যেন একটি দাগ টেনে নেয়।’’ হাফিয ইবনু হাজার বুলুগুল মারাম গ্রন্থে বলেন, যারা হাদীসটি মুযতারাব বলে অভিমত ব্যক্ত করেছেন তারা সঠিক কথা বলেননি। সুতরাং হাদীসটি প্রত্যাখ্যান করার তেমন কারণ নেই।
আর মাসজিদুল হারাম বা অন্য কোনো স্থানে মুক্তাদী মুসল্লীর সম্মুখ দিয়ে অতিক্রম করতে কোনো অসুবিধা নেই। কেননা ইবনু আব্বাস (রাঃ) মিনায় আগমন করলেন। তখন নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম লোকদের নিয়ে একটি দেয়াল সামনে রেখে সালাত আদায় করছিলেন। ইবনু আব্বাস কাতারের সম্মুখ দিয়ে একটি গাধার পিঠে চড়ে অতিক্রম করলেন। কেউ তার প্রতিবাদ করেননি। (সহীহুল বুখারী, সহীহ মুসলিম)।
কিন্তু মুসল্লী যদি ইমাম বা একাকী হয় তবে তার সম্মুখ দিয়ে যাওয়া জায়িয নেই। চাই তা মাসজিদুল হারাম হোক বা অন্য কোনো স্থানে। কেননা সাধারণভাবে হাদীসগুলো এ কথাই প্রমাণ করে। এমন কোনো দলীল পাওয়া যায় না যে, মক্কাহ বা মসজিদে হারামে বা মদীনাহর মসজিদে মুসল্লীর সামনে দিয়ে অতিক্রম করা যাবে কোনো গুনাহ হবে না। (দেখুন, ফাতাওয়াহ আরকানুল ইসলাম)।
৪। আল্লামা নাসিরুদ্দীন আলবানী (রহঃ) বলেনঃ কোনো মুসল্লীর জন্য জায়িয নয় সুতরাহ ছাড়া সালাত আদায় করা। বরং উচিত হলো এমন কিছু সামনে রেখে সালাত আদায় করা বা মানুষকে তার সম্মুখ দিয়ে অতিক্রমে বাধা সৃষ্টি করবে। ইমাম ও একাকী উভয়ের ক্ষেত্রেই সুতরাহ জরূরী। যদিও তা বিশাল মাসজিদ হয়। সুতরাহর বেলায় ছোট মাসজিদ আর বড় মসজিদের মধ্যে কোনো পার্থক্য নেই। এটাই হাক্ব কথা। ইবনু হানী ইমাম আহমাদ সূত্রে স্বীয় মাসায়িল গ্রন্থে বলেনঃ ‘‘একদা আমাকে আবূ ‘আবদুল্লাহ ইমাম আহমাদ সুতরাহবিহীন সালাত আদায় করতে দেখেন। আমি তার সাথে জামে মসজিদে ছিলাম। তিনি আমাকে বললেনঃ কোনো কিছু দিয়ে আড়াল করো। আমি একটি লোক দ্বারা আড়াল করলাম।’’
শায়খ আলবানী (রহঃ) আরো বলেনঃ মক্কাহ ও মদীনাহর মসজিদে শারঈ ওজর ছাড়া মুসল্লীর সামনে দিয়ে যাওয়া কোনো সহীহ দলীল নেই। তাই যথাসম্ভব মসজিদে হারামে কোনো মুসল্লীর সামনে দিয়ে যাওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে। কারণ অন্যান্য মসজিদের চাইতে মসজিদে হারামের সম্মান বেশি। মসজিদে হারামে মুসল্লীর সামনে দিয়ে অতিক্রমের হাদীসটি দুর্বল, যা দলীলযোগ্য নয়। বরং এর বিপরীতে রয়েছে সাহাবীগণের বিশুদ্ধ আসার। ইয়াহইয়া ইবনু কাসীর বলেনঃ
رأيت انس ابن مالك دخل المسجد الحرام فركز شيأ يصلى اليه
‘‘আমি দেখলাম আনাস ইবনু মালিক (রাঃ) মাসজিদুল হারামে প্রবেশ করলেন, অতঃপর (সুতরাহ স্বরূপ) কিছু একটা তৈরী করে সেদিকে ফিরে সালাত আদায় করলেন।’’ (সহীহ সনদে ইবনু আসাকির, ৮/১৮)।
সালিহ ইবনু কায়সান সূত্রে বর্ণিত, তিনি বলেনঃ رأيت ابن عمر يصلى فى الكعبة و لا يدع أحد يمر بين يدي
‘‘আমি ইবনু উমার (রাঃ)-কে কা‘বা শরীফে সালাত আদায় করতে দেখেছি। তিনি তাঁর সম্মুখ দিয়ে কাউকে অতিক্রম করতে দেননি।’’ (সহীহ সনদে আবূ যুর‘আহ রাযী ‘তারীখে দামিস্ক ৯১/১, অনুরূপ ইবনু আসাকির ‘তারীখে দামিস্ক’ ৮/১০৬/২)
মুসল্লীর সামনে দিয়ে অতিক্রমের ব্যাপারে নিষেধ ও ধমকিমূলক হাদীসগুলো ব্যাপক অর্থবোধক। যা কোনো মাসজিদকে বাদ দিয়ে কোনো মাসজিদকে কিংবা কোনো স্থানকে বাদ দিয়ে কোনো স্থানকে নির্দিষ্ট করেনি। বরং ঐ হাদীসগুলো মাসজিদুল হারাম ও মদীনাহর মাসজিদকে সর্বাগ্রে অন্তর্ভুক্ত করে। কেননা এ সমস্ত হাদীস নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাঁর মসজিদেই বলেছেন। তাই এর দ্বারা মূলত তাঁর মাসজিদ উদ্দেশ্য, এবং তার অনুসরণে অন্যান্য মাসজিদ এর অন্তর্ভুক্ত। আর উল্লিখিত আসার দু’টি স্পষ্টভাবে প্রমাণ করছে যে, মাসজিদুল হারামও ঐ হাদীসগুলোর বিধানে ঢুকে গেছে। কতিপয় লোকে বলে যে, অতিক্রমের নিষেধাজ্ঞা থেকে মক্কাহ ও মদীনাহর মাসজিদ পৃথক। কিন্তু তাদের এ কথার কোনো মৌলিক্ব সুন্নাতে নেই এবং কোনো একজন সাহাবীর সূত্রেও নেই।
ইতিপূর্বে বলা হয়েছে মক্কাহর মসজিদে অতিক্রমের ব্যাপারে একটি মাত্র যে বর্ণনা রয়েছে তার সনদ সহীহ নয় এবং তাতে তাদের দাবীর কোনো দলীলও নেই। এ সত্ত্বেও বর্ণনাটিতে এ কথা স্পষ্ট নেই যে, তারা তাঁর ও তাঁর সিজদার স্থানের মধ্য দিয়ে অতিক্রম করেছে। বর্ণনাটি হচ্ছেঃ মুত্তালিব ইবনু আবূ ওয়াদাহ থেকে বর্ণিত। তিনি দেখলেন নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ও কা‘বার মাঝে সুতরাহ ছিলো। আর লোকেরা তার সম্মুখ দিয়ে যাচ্ছিল।’’ সুতরাহ কতিপয় আহলি ইলম অতিক্রমের কথা বললেও সন্দেহ নেই যে, এরূপ কথা সুন্নাত বিরোধী। কারণ অতিক্রমে নিষেধাজ্ঞা ও বাধাদান মূলক হাদীসগুলো ব্যাপক, যা কোনোটিকে পৃথক না করে যে কোনো মাসজিদকে শামিল করে। আর সাহাবীদের বিশুদ্ধ আসার দ্বারাও মক্কাহর মাসজিদ এর অন্তর্ভুক্ত হওয়া স্পষ্টভাবে প্রমাণ করে। (দেখুন, শায়খ আলবানী প্রণীত হাজ্জাতুন নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম, সিফাতু সালাতিন নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম, ও অন্যান্য)।
باب مَا يَسْتُرُ الْمُصَلِّي
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ كَثِيرٍ الْعَبْدِيُّ، حَدَّثَنَا إِسْرَائِيلُ، عَنْ سِمَاكٍ، عَنْ مُوسَى بْنِ طَلْحَةَ، عَنْ أَبِيهِ، طَلْحَةَ بْنِ عُبَيْدِ اللهِ قَالَ قَالَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم " إِذَا جَعَلْتَ بَيْنَ يَدَيْكَ مِثْلَ مُؤَخَّرَةِ الرَّحْلِ فَلَا يَضُرُّكَ مَنْ مَرَّ بَيْنَ يَدَيْكَ " .
صحيح : م
Talhah b. 'Ubaid Allah reported the Messenger of Allah (ﷺ) as saying:
When you place in front of you something such as the back of a saddle, then there is no harm if someone passes in front of you (i.e. the other side of it).
পরিচ্ছেদঃ ২৩৭. ইমামের খুত্ববাহ দেয়ার সময় কেউ মসজিদে এলে
১১১৭। ত্বালহা (রহঃ) সূত্রে বর্ণিত। তিনি জাবির ইবনু ’আবদুল্লাহ (রাঃ)-কে বলতে শুনেছেন, সুলাইক আল-গাতাফানী (রাঃ) মসজিদে এলেন। অতঃপর পূর্বোক্ত হাদীসের অনুরূপ। তবে এতে রয়েছেঃ অতঃপর রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম লোকদের দিকে ঘুরে বললেনঃ তোমাদের কেউ ইমামের খুত্ববাহ চলাবস্থায় এলে সে যেন সংক্ষেপে দু’ রাক’আত সালাত আদায় করে নেয়।[1]
সহীহ : মুসলিম।
باب إِذَا دَخَلَ الرَّجُلُ وَالإِمَامُ يَخْطُبُ
حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ حَنْبَلٍ، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ جَعْفَرٍ، عَنْ سَعِيدٍ، عَنِ الْوَلِيدِ أَبِي بِشْرٍ، عَنْ طَلْحَةَ، أَنَّهُ سَمِعَ جَابِرَ بْنَ عَبْدِ اللهِ، يُحَدِّثُ أَنَّ سُلَيْكًا، جَاءَ فَذَكَرَ نَحْوَهُ زَادَ ثُمَّ أَقْبَلَ عَلَى النَّاسِ قَالَ " إِذَا جَاءَ أَحَدُكُمْ وَالإِمَامُ يَخْطُبُ فَلْيُصَلِّ رَكْعَتَيْنِ يَتَجَوَّزُ فِيهِمَا " .
- صحيح : م
This tradition has also been transmitted through a different chain of narrators by Jabir b. 'Abd Allah. This version adds:
He (the Prophet) turned to the people and said: When one of you comes (on Friday) while the imam is preaching, he should pray two rak'ahs and make them short.