লগইন করুন
পরিচ্ছেদঃ প্রথম অনুচ্ছেদ - কুরায়শ ও অন্যান্য গোত্রসমূহের গুণাবলি
৫৯৮২-[৪] মু’আবিয়াহ্ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ (সা.)-কে বলতে শুনেছি, এ বিষয়টি (অর্থাৎ শাসন-কর্তৃত্ব) কুরায়শদের হাতেই থাকবে। যতদিন তারা দীন-ইসলাম প্রতিষ্ঠার কাজে লিপ্ত থাকবে, যে কেউ তাদের বিরুদ্ধাচরণ করবে, আল্লাহ তাআলা তাকে তার মুখের উপর উপুড় করে নিক্ষেপ করবেন। (অর্থাৎ লাঞ্ছিত ও অপমানিত করবেন) (বুখারী)
الفصل الاول (بَابُ مَنَاقِبِ قُرَيْشٍ وَذِكْرِ الْقَبَائِلِ)
وَعَنْ مُعَاوِيَةَ قَالَ: سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقُولُ: «إِنَّ هَذَا الْأَمْرَ فِي قُرَيْشٍ لَا يُعَادِيهِمْ أَحَدٌ إِلَّا كَبَّهُ اللَّهُ عَلَى وَجهه مَا أَقَامُوا الدّين» . رَوَاهُ البُخَارِيّ رواہ البخاری (3500) ۔ (صَحِيح)
ব্যাখ্যা: খিলাফতের আসল উদ্দেশ্য যেহেতু দীনকে প্রতিষ্ঠা করা এবং ইসলামের পতাকা সমুন্নত করা, এজন্য কুরায়শগণ যে পর্যন্ত দীন ও শারী'আতের প্রচার ও প্রসারে লেগে থাকবে এবং ইসলামের পতাকা সমুন্নত রাখার চেষ্টা চালিয়ে যাবে, তারা খিলাফাতের পদমর্যাদার অধিকারী হবে এবং মহান আল্লাহও তাদের শাসন ও কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠিত রাখবেন। কিন্তু যখন তারা তাদের মূল দায়িত্ব অর্থাৎ দীন ও ইসলাম প্রতিষ্ঠা হতে গাফিল হয়ে যাবে এবং খিলাফতের মূল চাহিদাগুলো পূরণ করা হতে পিছপা হবে তখন তারা উপেক্ষিত হবে এবং খিলাফত ও কর্তৃত্বের লাগাম তাদের থেকে ছিনিয়ে নেয়া হবে।
কতক ব্যাখ্যাকার লিখেছেন যে, দীন প্রতিষ্ঠা করার দ্বারা উদ্দেশ্য সালাত প্রতিষ্ঠা করা। যেমনিভাবে এক বর্ণনায় এসেছে, “যতদিন তারা সালাত প্রতিষ্ঠিত রাখবে"। তদ্রুপ কতক স্থানে দীন ও ঈমানের প্রয়োগ সালাতের উপর হয়েছে। এ কথার উপর ভিত্তি করে কতক ‘আলিমের বক্তব্য হলো, উক্ত মূল্যবান ঘোষণার আসল উদ্দেশ্য কুরায়শগণকে সালাত প্রতিষ্ঠার নির্দেশ ও উৎসাহ দান এবং এ কথা থেকে ভয় দেখানো যে, যদি তারা সালাত প্রতিষ্ঠিত না রাখে তাহলে সম্ভাবনা আছে যে, খিলাফাত ও কর্তৃত্বের পদমর্যাদা তাদের আয়ত্ব বর্হিভূত হবে এবং অন্য লোকেরা তাদের ওপর কর্তৃত্বেও ছড়ি ঘুরাবে। (মাযাহিরে হাক শারহে মিশকাত ৭ম খণ্ড, ২২৭-২২৮ পৃষ্ঠা)