৫৯৮৩

পরিচ্ছেদঃ প্রথম অনুচ্ছেদ - কুরায়শ ও অন্যান্য গোত্রসমূহের গুণাবলি

৫৯৮৩-[৫] জাবির ইবনু সামুরাহ্ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ (সা.) -কে বলতে শুনেছি, বারোজন খলীফাহ্ অতিবাহিত হওয়া অবধি ইসলাম শক্তিশালী থাকবে। তারা সকলই হবেন কুরায়শ বংশোদ্ভূত। অপর এক বর্ণনাতে আছে, মানুষের রাষ্ট্রীয় ব্যবস্থা সঠিকভাবে চলতে থাকবে বারোজন খলীফাহ অতিবাহিত হওয়া পর্যন্ত। তারা সকলেই হবে কুরায়শ বংশের।
অপর আরেক বর্ণনাতে আছে, [নবী (সা.) বলেছেন:] দীন-ইসলাম প্রতিষ্ঠিত থাকবে, যে অবধি না কিয়ামত আসে এবং তাদের ওপর বারোজন খলীফার শাসন প্রতিষ্ঠিত হয়। যারা সকলেই হবেন কুরায়শী। (বুখারী ও মুসলিম)

الفصل الاول (بَابُ مَنَاقِبِ قُرَيْشٍ وَذِكْرِ الْقَبَائِلِ)

وَعَنْ جَابِرِ بْنِ سَمُرَةَ قَالَ: سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقُولُ: «لَا يَزَالُ الْإِسْلَامُ عَزِيزًا إِلَى اثْنَيْ عَشَرَ خَلِيفَةً كُلُّهُمْ مِنْ قُرَيْشٍ» . وَفِي رِوَايَةٍ: «لَا يَزَالُ أَمْرُ النَّاسِ مَاضِيًا مَا وَلِيَهُمُ اثْنَا عَشَرَ رَجُلًا كُلُّهُمْ مِنْ قُرَيْشٍ» . وَفِي رِوَايَةٍ: «لَا يَزَالُ الدِّينُ قَائِمًا حَتَّى تَقُومَ السَّاعَة أَو يَكُونُ عَلَيْهِمُ اثْنَا عَشَرَ خَلِيفَةً كُلُّهُمْ مِنْ قُرَيْش» . مُتَّفق عَلَيْهِ

متفق علیہ ، رواہ البخاری (7222) و مسلم (7 / 1821 و الروایۃ الثانیۃ : 6 / 1821 و الروایۃ الثالثۃ : 10 / 1822)، (4708 و 4706 و 4711) ۔
(مُتَّفَقٌ عَلَيْهِ)

وعن جابر بن سمرة قال: سمعت رسول الله صلى الله عليه وسلم يقول: «لا يزال الاسلام عزيزا الى اثني عشر خليفة كلهم من قريش» . وفي رواية: «لا يزال امر الناس ماضيا ما وليهم اثنا عشر رجلا كلهم من قريش» . وفي رواية: «لا يزال الدين قاىما حتى تقوم الساعة او يكون عليهم اثنا عشر خليفة كلهم من قريش» . متفق عليه متفق علیہ ، رواہ البخاری (7222) و مسلم (7 / 1821 و الروایۃ الثانیۃ : 6 / 1821 و الروایۃ الثالثۃ : 10 / 1822)، (4708 و 4706 و 4711) ۔ (متفق عليه)

ব্যাখ্যা: (لَا يَزَالُ الْإِسْلَامُ عَزِيزًا) অর্থাৎ ইসলাম সর্বদা খুবই শক্তিশালী অথবা দৃঢ়ভাবে প্রতিষ্ঠিত থাকবে যতদিন বার জন খলীফাহ্ থাকবে। ত্বীবী (রহিমাহুল্লাহ) বলেন, এই বর্ণনা ও অন্য বর্ণনা দ্বারা জানা যায় যে, দীন সর্বদা প্রতিষ্ঠিত থাকবে এমনকি তাদের নিকট বার জন খলীফাহ্ আগমন করবে।
(كُلُّهُمْ مِنْ قُرَيْشٍ) কতিপয় মুহাক্কিক বলেন, এদের মধ্যে চার খলীফাহ্ অতিবাহিত হয়ে গেছে। আর বাকীগুলো কিয়ামতের আগে পূর্ণ হবেন। কেউ কেউ বলেন, তারা সবাই একই যুগে হবেন আর মানুষ তাদেরকে আলাদা করবে। ইমাম নবাবী (রহিমাহুল্লাহ)-এর শারহে মুসলিমে কাযী ইয়ায (রহিমাহুল্লাহ) বলেন, এখানে একটি প্রশ্ন আছে, তা হলো- হাদীসে এসেছে, আমার পরে খিলাফত হবে ত্রিশ বছর। এর পর হবে রাজত্ব। এটা তো এ হাদীসের বিপরীত। এর উত্তরে বলা হয়েছে, ত্রিশ বছর দ্বারা উদ্দেশ্য নুবুওয়্যাতের খিলাফাত। এ কথা বিস্তারিতভাবে কতিপয় বর্ণনায় এসেছে। আমার পরে নুবুওয়্যাতের খিলাফাত হবে ত্রিশ বছর। এর পরে হবে মুলক বা রাজত্ব। আর রাজত্বের ক্ষেত্রে তিনি বারো জনকে শর্ত করেননি। কথিত আছে যে, বারো জন দ্বারা উদ্দেশ্য হলো খিলাফাতের যোগ্য হবেন যারা ন্যয়পরায়ণ তারা। এদের মধ্যে অনেকে অতিক্রম করেছেন বলে জানা গেছে। আর বাকীগুলো কিয়ামাতের পূর্বে পূর্ণ হবেন।
শী'আরা মনে করেন যে, বারোজন খলীফাহ ধারাবাহিকভাবে আহলে বায়তদের মধ্যে থেকে হবে। তাদের প্রথমজন হলেন ‘আলী (রাঃ), হাসান, হুসায়ন, যায়নুল আবিদীন, মুহাম্মাদ বাকির, জাফার সাদিক, মূসা কাযিম, ‘আলী রিযা, মুহাম্মাদ আত্ তাক্বী, ‘আলী আত্ তাক্বী, হাসান আসকারী, মুহাম্মাদ মাহদী (আঃ) এটা উল্লেখ করেছেন খাজা মুহাম্মাদ ইয়ারসা ফাসলুল খিত্বাব গ্রন্থে বিস্তারিতভাবে। (মিরকাতুল মাফাতীহ)


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত)
পর্ব-৩০: মান-মর্যাদা (كتاب المناقب)