লগইন করুন
পরিচ্ছেদঃ প্রথম অনুচ্ছেদ - সৃষ্টির সূচনা ও নবী-রাসূলদের আলোচনা
৫৭২৩-[২৬] উক্ত রাবী [আবূ হুরায়রাহ্ (রাঃ)] হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন: প্রতিটি আদম সন্তান জন্মলাভকালে শয়তান অঙ্গুলি দ্বারা তার পার্শ্বস্থলে খোঁচা দেয় ’ঈসা ইবনু মারইয়াম আলায়হিস সালাম ছাড়া। শয়তান তাঁকে খোঁচা দিতে গেলে, তখন শুধু তাঁর আবরণে খোঁচা দিতে সক্ষম হয় (তার শরীরে আঘাত করতে পারেনি।)। (বুখারী ও মুসলিম)
الفصل الاول (بَاب بدءالخلق وَذِكْرِ الْأَنْبِيَاءِ عَلَيْهِمُ الصَّلَاةُ وَالسَّلَامُ)
وَعَنْهُ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «كُلُّ بَنِي آدَمَ يَطْعَنُ الشَّيْطَانُ فِي جَنْبَيْهِ بِإِصْبَعَيْهِ حِينَ يُوَلَدُ غَيْرَ عِيسَى بْنِ مَرْيَمَ ذَهَبَ يَطْعَنُ فَطَعَنَ فِي الْحِجَابِ» . مُتَّفَقٌ عَلَيْهِ متفق علیہ ، رواہ البخاری (3286) و مسلم (147 / 2366)، (6133) ۔ (مُتَّفَقٌ عَلَيْهِ)
ব্যাখ্যা: (يَطْعَنُ) অর্থ: আঘাত করা। এখানে উদ্দেশ্য হলো শয়তানের স্পর্শ করা এবং আক্রান্ত করা।
(حِينَ يُوَلَدُ) জন্মের সময়। অর্থাৎ জন্মের প্রথম দিন তথা বাচ্চা ভূমিষ্ঠ হওয়ার সময় শয়তান এ কাজটি করে। তবে ‘ঈসা আলায়হিস সালাম শয়তানের এই আক্রমণ থেকে মুক্ত থাকেন। তার নানী হান্নার দু'আয় আল্লাহ তা'আলা তাঁকে মুক্ত রাখেন। হান্না তার মেয়ে মারইয়াম তথা ‘ঈসা আলায়হিস সালাম-এর মায়ের জন্য দু'আ করে বলেছিলেন, এই (وَ اِنِّیۡ سَمَّیۡتُهَا مَرۡیَمَ وَ اِنِّیۡۤ اُعِیۡذُهَا بِکَ وَ ذُرِّیَّتَهَا مِنَ الشَّیۡطٰنِ الرَّجِیۡمِ) “আর আমি তার নাম রাখলাম মারইয়াম। আর আমি তাকে ও তার সন্তানদেরকে তোমার আশ্রয়ে সমপর্ণ করছি অভিশপ্ত শয়তানের কবল থেকে।” (সূরাহ্ আ-লি ‘ইমরান ৩ : ৩৬)।
(فَطَعَنَ فِي الْحِجَابِ) “অতএব সে পর্দায় আঘাত করে।” অর্থাৎ শয়তান যখন ‘ঈসা আলায়হিস সালাম-কে আঘাত ও খোঁচা দিতে ব্যর্থ হয় তখন সে তার মায়ের উদরের আবরণে আঘাত করে। এই আঘাত ‘ঈসা আলায়হিস সালাম-কে স্পর্শ করেনি। এর দ্বারা বুঝা যায়, শয়তানের স্পর্শকরণ প্রকৃত অর্থে। বর্ণনাকারী এখানে কেবল ‘ঈসা আলায়হিস সালাম-এর কথা উল্লেখ করেছেন। অথচ মূল হাদীসে মারইয়াম ও তার ছেলের কথা রয়েছে। অর্থাৎ মারইয়াম এবং ঈসা দু'জনই জন্মের সময় শয়তানের এই খোচা থেকে মুক্ত ছিলেন। (মিরক্বাতুল মাফাতীহ)।