লগইন করুন
পরিচ্ছেদঃ প্রথম অনুচ্ছেদ - হাওযে কাওসার ও শাফাআতের বর্ণনা
৫৫৭৬-[১১] হুযায়ফাহ্ (রাঃ) রাসূলুল্লাহ (সা.) এ থেকে শাফা’আতের হাদীস বর্ণনা প্রসঙ্গে বলেন, তিনি (সা.) বলেছেন: আমানত ও আত্মীয়তাকে পাঠানো হবে, তখন উভয়টি পুলসিরাতের ডানে ও বামে উভয় পার্শ্বে দাঁড়াবে। (মুসলিম)
الفصل الاول (بَاب الْحَوْض والشفاعة )
وَعَنْ حُذَيْفَةَ فِي حَدِيثِ الشَّفَاعَةِ عَنْ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: «وَتُرْسَلُ الْأَمَانَةُ وَالرَّحِمُ فَتَقُومَانِ جَنَبَتَيِ الصِّرَاطِ يَمِينًا وَشِمَالًا» رَوَاهُ مُسلم رواہ مسلم (329 / 195)، (482) ۔ (صَحِيح)
ব্যাখ্যা: আমানত এবং রেহেম বা আত্মীয়তার সম্পর্ক- এ দুটি বস্তুর রয়েছে মহান মর্যাদা। কিয়ামতের দিন এ দু'টিকে বিরাট মর্যাদা ও অধিকার দিয়ে পুলসিরাতের নিকট পাঠানো হবে, তারা পুলসিরাতের ডানপার্শ্বে ও বামপার্শে দাঁড়াবে এবং তাদের অধিকারের ব্যাপারে বান্দাকে ধরবে, কে আমানত রক্ষা করেছে, আর কে খিয়ানত করেছে, আর কে আত্মীয়তা সম্পর্ক বজায় রেখেছে, আর কে ছিন্ন করেছে। অতঃপর উভয়ে আমানত রক্ষাকীর পক্ষে এবং আত্মীয়তা রক্ষাকারীর পক্ষে বাদানুবাদ তথা যুক্তিতর্ক পেশ করবে, আর যে এগুলোর হক নষ্ট করবে তার বিরুদ্ধে সাক্ষী দিবে। কেউ কেউ বলেছেন, তাদের জন্য মালাক (ফেরেশতা) প্রেরণ করা হবে যারা তাদের পক্ষে অথবা বিপক্ষে যুক্তি-তর্ক পেশ করবেন।
‘আল্লামাহ্ ত্বীবী (রহিমাহুল্লাহ) বলেন, আমানত দ্বারা এখানে আমানতে উযমা বা মহা আমানতও উদ্দেশ্য হতে পারে, সেটা হলো আল কুরআন অথবা তার নির্দেশাবলী। যেমন আল্লাহর বাণী, “আমি এই আমানত পেশ করেছিলাম। আসমানসমূহ, জমিন এবং পর্বতমালার সম্মুখে, অনন্তর তারা ঐ আমানত গ্রহণ করতে অস্বীকার করল....।” (সূরা আল আহযাব ৩৩: ৭২)
আর সিলায়ে রেহমী বা আত্মীয়তার সম্পর্ক দ্বারা সবচেয়ে বড় সম্পর্ক রক্ষা উদ্দেশ্য আর তা হলো আল্লাহর এই বাণীর মধ্যে নিহিত, “হে মানবমণ্ডলী! তোমরা তোমাদের প্রতিপালক আল্লাহকে ভয় কর, যিনি একটি মাত্র প্রাণ থেকে তোমাদের সৃষ্টি করেছেন.... আর তোমরা আল্লাহকে ভয় কর, যার নামে তোমরা পরস্পরের নিকট স্বীয় অধিকারের দাবী করে থাক এবং আত্মীয়তার সম্পর্ক (বিনষ্ট করা) হতেও ভয় কর....।” (সূরা আন্ নিসা ৩: ১)।
অতএব হাদীসের অর্থ হলো আল্লাহর নির্দেশসমূহের তা'যীম করা এবং তার সৃষ্টিকে মুহাব্বাত করা। এটা যেন ইসলামের দুই পার্শ্বকে অন্তর্ভুক্ত করে নেয় আর তা হলো সিরাতে মুস্তাকীম এবং ঈমান ও দীনের দুই প্রান্ত। (মিরক্বাতুল মাফাতীহ)।