লগইন করুন
পরিচ্ছেদঃ ১০. জিবরীল (আ.) এর ইমামতি
১০০৮(২৫). আল-হুসাইন ইবনে ইসমাঈল (রহঃ) ... সুলায়মান ইবনে বুরায়দা (রহঃ) থেকে তার পিতার সূত্রে বর্ণিত। তিনি বলেন, এক ব্যক্তি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর নিকট এসে নামাযের ওয়াক্ত সম্পর্কে জানতে চাইল। তিনি কোন উত্তর না দিয়ে বলেন, তুমি আমাদের সাথে এই দুই দিন নামায পড়ো। রাবী বলেন, সূর্য (সামান্য) ঢলে পড়লে তিনি বিলাল (রাঃ)-কে আযান দেয়ার নির্দেশ দিলে তিনি আযান দেন। তারপর তিনি তাকে ইকামত দেয়ার নির্দেশ দিলে তিনি ইকামত দেন এবং তিনি যুহরের নামায পড়েন। অতঃপর তিনি তাকে নির্দেশ দিলে তিনি ইকামত দেন এবং তিনি আসরের নামায পড়লেন, সূর্য তখনও উপরে এবং তা আলোক উদ্ভাসিত ও ফর্সা ছিল। অতঃপর তিনি তাকে নির্দেশ দিলে তিনি ইকামত দেন এবং তিনি সূর্য অস্ত যাওয়ার পর মাগরিবের নামায পড়লেন। অতঃপর তিনি তাকে নির্দেশ দিলে তিনি ইকামত দেন এবং শাফাক অদৃশ্য হলে এশার নামায পড়েন। অতঃপর তিনি তাকে নির্দেশ দিলে তিনি ইকামত দেন এবং সুবহে সাদেক উদিত হলে তিনি ফজরের নামায পড়েন।
পরদিন তিনি বিলাল (রাঃ)-কে নির্দেশ দিলে (তিনি ইকামত দেন) রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যথেষ্ট ঠাণ্ডা হওয়া পর্যন্ত বিলম্ব করে যুহরের নামায পড়লেন। অতঃপর তিনি তাকে নির্দেশ দিলে তিনি ইকামত দেন এবং তিনি আসরের নামায পড়লেন সূর্য উপরে থাকতেই, তবে পূর্ববর্তী দিনের তুলনায় বিলম্বে। অতঃপর তিনি তাকে নির্দেশ দিলে তিনি ইকামত দেন এবং তিনি মাগরিবের নামায পড়লেন লালিমা অদৃশ্য হওয়ার সামান্য পূর্বে। অতঃপর তিনি তাকে নির্দেশ দিলে তিনি ইকামত দেন এবং তিনি এশার নামায পড়লেন এক-তৃতীয়াংশ রাত অতিবাহিত হওয়ার পর। অতঃপর তিনি তাকে নির্দেশ দিলে তিনি ইকামত দিলেন এবং তিনি ফজরের নামায পড়লেন ভাের যথেষ্ট পরিষ্কার হওয়ার পর।
অতঃপর তিনি জিজ্ঞেস করেন, নামাযের ওয়াক্ত সম্পর্কে প্রশ্নকারী কোথায়? লোকটি তাঁর সামনে দাঁড়ালে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেনঃ তোমাদের নামাযের ওয়াক্ত তোমরা যা (দুই সময়সীমা) প্রত্যক্ষ করলে তার মাঝখানে।
بَابُ إِمَامَةِ جِبْرِيلَ
حَدَّثَنَا الْحُسَيْنُ بْنُ إِسْمَاعِيلَ ، نَا يَعْقُوبُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ الدَّوْرَقِيُّ ، وَعَلِيُّ بْنُ شُعَيْبٍ ، وَمُحَمَّدُ بْنُ أَبِي عَوْنٍ ، وَحَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ مَخْلَدٍ ، ثَنَا عَلِيُّ بْنُ إِشْكَابٍ ، وَحَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ مُبَشِّرٍ ، ثَنَا أَحْمَدُ بْنُ سِنَانٍ ، قَالُوا : حَدَّثَنَا إِسْحَاقُ بْنُ يُوسُفَ الْأَزْرَقُ ، عَنْ سُفْيَانَ الثَّوْرِيِّ ، عَنْ عَلْقَمَةَ بْنِ مَرْثَدٍ ، عَنْ سُلَيْمَانَ بْنِ بُرَيْدَةَ ، عَنْ أَبِيهِ ، قَالَ : أَتَى النَّبِيَّ - صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ - رَجُلٌ ، فَسَأَلَهُ عَنْ وَقْتِ الصَّلَاةِ ؟ فَقَالَ : " صَلِّ مَعَنَا هَذَيْنِ الْيَوْمَيْنِ " ، قَالَ : فَأَمَرَ بِلَالًا حِينَ زَالَتِ الشَّمْسُ فَأَذَّنَ ثُمَّ أَمَرَهُ فَأَقَامَ فَصَلَّى الظُّهْرَ ، ثُمَّ أَمَرَهُ فَأَقَامَ الْعَصْرَ وَالشَّمْسُ مُرْتَفِعَةٌ بَيْضَاءُ نَقِيَّةٌ ، ثُمَّ أَمَرَهُ فَأَقَامَ الْمَغْرِبَ حِينَ غَابَتِ الشَّمْسُ ، ثُمَّ أَمَرَهُ فَأَقَامَ الْعِشَاءَ حِينَ غَابَ الشَّفَقُ ، ثُمَّ أَمَرَهُ فَأَقَامَ الْفَجْرَ حِينَ طَلَعَ الْفَجْرُ ، ثُمَّ لَمَّا كَانَ الْيَوْمُ الثَّانِي أَمَرَهُ فَأَبْرَدَ بِالظُّهْرِ ، فَأَنْعَمَ أَنْ يُبْرِدَ بِهَا ، ثُمَّ أَمَرَهُ فَأَقَامَ الْعَصْرَ وَالشَّمْسُ مُرْتَفِعَةٌ - أَخَّرَهَا فَوْقَ ذَلِكَ الَّذِي كَانَ - ثُمَّ أَمَرَهُ فَأَقَامَ الْمَغْرِبَ قَبْلَ أَنْ يَغِيبَ الشَّفَقُ ، ثُمَّ أَمَرَهُ فَأَقَامَ الْعِشَاءَ حِينَ ذَهَبَ ثُلُثُ اللَّيْلِ ، ثُمَّ أَمَرَهُ فَأَقَامَ الْفَجْرَ فَأَسْفَرَ بِهَا ، ثُمَّ قَالَ : " أَيْنَ السَّائِلُ عَنْ وَقْتِ الصَّلَاةِ ؟ " . فَقَامَ إِلَيْهِ الرَّجُلُ ، فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ - صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ - : " وَقْتُ صَلَاتِكُمْ بَيْنَ مَا رَأَيْتُمْ