পরিচ্ছেদঃ ১. ইসতিহাযা (রক্তপ্রদরের রোগিণী)
৮১৭(৫৫)। আল-হুসাইন ইবনে ইসমাঈল (রহঃ) ... ইবনে আবু মুলায়কা (রহঃ) থেকে বর্ণিত। ফাতেমা বিনতে আবু হুবায়েশ (রাঃ) রক্তপ্রদরে আক্রান্ত ছিলেন, বেশ কিছু দিন ধরে নামায পড়নেনি। অতঃপর তিনি উম্মুল মুমিনীন আয়েশা (রাঃ)-র নিকট আসেন এবং ব্যাপারটা তাকে জানান। তিনি বলেন, হে উম্মুল মুমিনীন! সে ভয় পাচ্ছে যে, সে দোযখবাসী হবে এবং তার জন্য দীন ইসলামে এর কোন অংশ নেই। আমি দীর্ঘ দিন থেকে অপেক্ষারত আছি। রক্তস্রাবের কারণে নামায পড়তে সক্ষম হইনি। আয়েশা (রাঃ) তাকে বললেন, আপনি অপেক্ষা করুন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আসলে আপনি এ ব্যাপারে তাকে জিজ্ঞেস করুন যা আমাকে জিজ্ঞেস করেছেন। অতএব রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এলেন এবং তিনি বললেন, ইয়া রাসূলাল্লাহ! এই ফাতেমা বিনতে আবু হুবায়েশ। তিনি বর্ণনা করেছেন যে, তিনি রক্তপ্রদরে আক্রান্ত এবং বেশ কিছু দিন যাবত নামায পড়তে সক্ষম হচ্ছেন না। তিনি আশংকা করছেন যে, তিনি কুফরীতে লিপ্ত হয়েছেন কিনা অথবা আল্লাহর কাছে দীন ইসলামে তার জন্য কোন অংশ নেই।
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেনঃ তুমি ফাতেমাকে বলে দাও, সে যেন প্রতি মাসে তার মাসিক ঋতুর সম-পরিমাণ সময় নামায থেকে বিরত থাকে। মাসিক ঋতুর সেই (স্বাভাবিক) সময়কাল অতিবাহিত হওয়ার পর সে যেন পবিত্র ও পরিচ্ছন্ন হওয়ার জন্য একবার গোসল করে এবং (লজ্জাস্থানে) পট্টি বাঁধে, অতঃপর প্রতি ওয়াক্ত নামাযের সময় পবিত্রতা অর্জন করে (উযু করে) নামায পড়বে। এটা শয়তানের একটা আঘাত ছাড়া কিছু নয় অথবা শিরার রক্ত যা ফেটে গেছে অথবা (জরায়ুর) অসুস্থতার কারণে রক্তক্ষরণ হচ্ছে। উসমান ইবনে সাঈদ (রহঃ) বলেন, আমরা হিশাম ইবনে উরওয়া (রহঃ)-কে জিজ্ঞেস করলে তিনি তার পিতা-আয়েশা (রাঃ) সূত্রে পূর্বোক্ত হাদীসের অনুরূপ আমাকে অবহিত করেছেন। আর আবুল আশ’আছ (রহঃ) তার সনদে বলেন, ইবনে আবু মুলায়কা আমাকে অবহিত করেছেন যে, তার খালা ফাতেমা বিনতে আবু হুবায়েশ।
حَدَّثَنَا الْحُسَيْنُ بْنُ إِسْمَاعِيلَ ، نَا أَبُو الْأَشْعَثِ أَحْمَدُ بْنُ الْمِقْدَامِ ، ح : وَحَدَّثَنَا أَبُو ذَرٍّ أَحْمَدُ بْنُ مُحَمَّدِ بْنِ أَبِي بَكْرٍ ، حَدَّثَنَا حَمَّادُ بْنُ الْحَسَنِ بْنِ عَنْبَسَةَ ، قَالَا : نَا مُحَمَّدُ بْنُ بَكْرٍ الْبُرْسَانِيُّ ، ثَنَا عُثْمَانُ بْنُ سَعْدٍ الْكَاتِبُ ، أَخْبَرَنِي ابْنُ أَبِي مُلَيْكَةَ أَنَّ فَاطِمَةَ بِنْتَ أَبِي حُبَيْشٍ : اسْتُحِيضَتْ ، فَلَبِثَتْ زَمَانًا لَا تُصَلِّي ، فَأَتَتْ أُمَّ الْمُؤْمِنِينَ عَائِشَةَ - رَضِيَ اللَّهُ عَنْهَا - فَذَكَرَتْ ذَلِكَ لَهَا ، فَقَالَتْ : يَا أُمَّ الْمُؤْمِنِينَ ، قَدْ خَافَتْ أَنْ تَكُونَ مِنْ أَهْلِ النَّارِ ، وَلَا يَكُونَ لَهَا فِي الْإِسْلَامِ حَظٌّ ، أَلْبَثُ زَمَانًا لَا أَقْدِرُ عَلَى صَلَاةٍ مِنَ الدَّمِ ؟ فَقَالَتْ لَهَا : امْكُثِي حَتَّى يَدْخُلَ رَسُولُ اللَّهِ - صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ - فَتَسْأَلِينَهُ عَمَّا سَأَلْتِنِي عَنْهُ . فَدَخَلَ ، فَقَالَتْ : يَا رَسُولَ اللَّهِ ، هَذِهِ فَاطِمَةُ بِنْتُ أَبِي حُبَيْشٍ ، ذَكَرَتْ أَنَّهَا تُسْتَحَاضُ وَتَلْبَثُ الزَّمَانَ لَا تَقْدِرُ عَلَى الصَّلَاةِ ، وَتَخَافُ أَنْ تَكُونَ قَدْ كَفَرَتْ ، أَوْ لَيْسَ لَهَا عِنْدَ اللَّهِ فِي الْإِسْلَامِ حَظٌّ ؟ فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ - صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ - : " قُولِي لِفَاطِمَةَ : تُمْسِكُ فِي كُلِّ شَهْرٍ عَنِ الصَّلَاةِ عَدَدَ قُرْئِهَا ، فَإِذَا مَضَتْ تِلْكَ الْأَيَّامُ ، فَلْتَغْتَسِلْ غَسْلَةً وَاحِدَةً ، تَسْتَدْخِلُ وَتُنَظِّفُ وَتَسْتَثْفِرُ ، ثُمَّ الطُّهُورُ عِنْدَ كُلِّ صَلَاةٍ وَتُصَلِّي ، فَإِنَّ الَّذِي أَصَابَهَا رَكْضَةٌ مِنَ الشَّيْطَانِ ، أَوْ عِرْقٌ انْقَطَعَ ، أَوْ دَاءٌ عَرَضَ لَهَا قَالَ عُثْمَانُ بْنُ سَعْدٍ : فَسَأَلْنَا هِشَامَ بْنَ عُرْوَةَ ؟ فَأَخْبَرَنِي بِنَحْوِهِ ، عَنْ أَبِيهِ ، عَنْ عَائِشَةَ . وَقَالَ أَبُو الْأَشْعَثِ فِي الْإِسْنَادِ : " أَخْبَرَنِي ابْنُ أَبِي مُلَيْكَةَ ؛ أَنَّ خَالَتَهُ فَاطِمَةَ بِنْتَ أَبِي حُبَيْشٍ