পরিচ্ছেদঃ ৭৮। কোন কথা শুনে না বুঝলে জানার জন্য পুনরায় জিজ্ঞেস করা
১০৪। সা’ঈদ ইবনু আবূ মারয়াম (রহঃ) .... ইবনু আবূ মুলায়কা (রহঃ) বলেন, নবী করিম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সহধর্মিণী ’আয়িশা (রাঃ) কোন কথা শুনে বুঝতে না পারলে বার বার জিজ্ঞাসা করতেন। একবার নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, “(কিয়ামতের দিন) যার হিসাব নেওয়া হবে তাকে আযাব দেওয়া হবে।” ’আয়িশা (রাঃ) বলেনঃ আমি জিজ্ঞাসা করলাম, আল্লাহ্ তা’আলা কি ইরশাদ করেননি, (فَسَوْفَ يُحَاسَبُ حِسَابًا يَسِيرًا) (তার হিসার-নিকাশ সহজেই নেওয়া হবে) (৮৪ : ৮)। তখন তিনি বললেনঃ তা কেবল হিসাব পেশ করা। কিন্তু যার হিসাব পুঙ্খানুপুঙ্খরুপে নেওয়া হবে সে ধবংস হবে।
باب مَنْ سَمِعَ شَيْئًا، فَرَاجَعَ حَتَّى يَعْرِفَهُ
حَدَّثَنَا سَعِيدُ بْنُ أَبِي مَرْيَمَ، قَالَ أَخْبَرَنَا نَافِعُ بْنُ عُمَرَ، قَالَ حَدَّثَنِي ابْنُ أَبِي مُلَيْكَةَ، أَنَّ عَائِشَةَ، زَوْجَ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم صلى الله عليه وسلم كَانَتْ لاَ تَسْمَعُ شَيْئًا لاَ تَعْرِفُهُ إِلاَّ رَاجَعَتْ فِيهِ حَتَّى تَعْرِفَهُ، وَأَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم قَالَ " مَنْ حُوسِبَ عُذِّبَ ". قَالَتْ عَائِشَةُ فَقُلْتُ أَوَ لَيْسَ يَقُولُ اللَّهُ تَعَالَى (فَسَوْفَ يُحَاسَبُ حِسَابًا يَسِيرًا) قَالَتْ فَقَالَ " إِنَّمَا ذَلِكَ الْعَرْضُ، وَلَكِنْ مَنْ نُوقِشَ الْحِسَابَ يَهْلِكْ ".
Whoever heard something (but did not understand it) and then asked again till he understood it completely
Narrated Ibn Abu Mulaika: Whenever `Aisha (the wife of the Prophet) heard anything which she did not understand, she used to ask again till she understood it completely. Aisha said: "Once the Prophet (sallallahu 'alaihi wa sallam) said, "Whoever will be called to account (about his deeds on the Day of Resurrection) will surely be punished." I said, "Doesn't Allah say: "He surely will receive an easy reckoning." (84.8) The Prophet (sallallahu 'alaihi wa sallam) replied, "This means only the presentation of the accounts but whoever will be argued about his account, will certainly be ruined."
পরিচ্ছেদঃ ৮১৫. নবী (ﷺ)-এর বাণী: পরিজনের কান্নার কারণে মৃত ব্যক্তি কে আযাব দেওয়া হয়, যদি বিলাপ করা তার অভ্যাস হয়ে থাকে। কারণ আল্লাহ তা’আলা ইরশাদ করেন: তোমরা নিজেদের এবং তোমাদের পরিবার পরিজনদের জাহান্নামের আগুন থেকে রক্ষা কর। (সূরা তাহরীম: ৬) এবং নবী (সা:) বলেছেন: তোমাদের প্রত্যেকেই দায়িত্ব প্রাপ্ত এবং প্রত্যেকেই তার দায়িত্ব সম্পর্কে জিজ্ঞাসিত হবে। কিন্তু তা যদি তার অভ্যাস না হয়ে থাকে তা হলে তার বিধান হবে যা আয়িশা (রা.) উদ্ধুত করেছেন: নিজ বোঝা বহনকারী কোন ব্যক্তি অপরের বোঝা বহন করবে না (সূরা ফাতির : ১৮)। আর এ হলো আল্লাহ্ পাকের এ বাণীর ন্যায়- “কোন (গুনাহের) বোঝা বহনকারী ব্যক্তি যদি কাকেও তা বহন করতে আহবান করে তবে তা থেকে এর কিছুই বহন করা হবে না। (সূরা ফাতির: ১৮)। আর বিলাপ ছাড়া কান্নার অনুমতি দেওয়া হয়েছে। নবী (সা:) বলেছেন: অন্যায়ভাবে কাউকে খুন করা হলে সে খুনের অপরাধের অংশ প্রথম আদম সন্তান (কাবিল) এর উপর বর্তাবে। আর তা এ কারণে যে, সেই প্রথম ব্যক্তি য়ে খুনের প্রবর্তন করেছে।
১২১১। আবদান (রহঃ) ... আবদুল্লাহ ইবনু উবাইদুল্লাহ্ ইবনু আবূ মুলাইকা (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, মক্কায় উসমান (রাঃ) এর এক কন্যার ওফাত হল। আমরা সেখানে (জানাযায়) শরীক হওয়ার জন্য গেলাম। ইবনু উমর এবং ইবনু আব্বাস (রাঃ)ও সেখানে হাযির হলেন। আমি তা্ঁদের দু’জনের মাঝে বসা ছিলাম, অথবা তিনি বলেছেন, আমি তাঁদের এক জনের পাশে গিয়ে বসলাম, পরে অন্য জন এসে আমার পাশে বসলেন। (কান্নার আওয়াজ শুনে) ইবনু উমর (রাঃ) আমর ইবনু উসমানকে বললেন, তুমি কেন কাঁদতে নিষেধ করছনা? কেননা, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ মৃত ব্যাক্তিকে তার পরিজনদের কান্নার কারণে আযাব দেওয়া হয়। তখন ইবনু আব্বাস (রাঃ) বললেন, উমর (রাঃ)ও এরকম কিছু বলতেন।
এরপর ইবনু আব্বাস (রাঃ) বর্ণনা করলেন, উমর (রাঃ) এর সাথে মক্কা থেকে ফিরছিলাম। আমরা বায়দা (নামক স্থানে) পৌঁছলে উমর (রাঃ) বাবলা গাছের ছায়ায় একটি কাফেলা দেখতে পেয়ে আমাকে বললেন, গিয়ে দেখোতো এ কাফেলা কার? ইবনু আব্বাস (রাঃ) বলেন, আমি গিয়ে দেখলাম সেখানে সুহাইব (রাঃ) রয়েছেন। আমি তাকে তা জানালাম। তিনি বললেন, তাকে আমার কাছে ডেকে নিয়ে আস। আমি সুহাইব (রাঃ)-এর নিকটে আবার গেলাম এবং বললাম, চলুন, আমীরুল মু’মিনীনের সঙ্গে সাক্ষাত করুন। এরপর যখন উমর (রাঃ) (ঘাতকের আঘাতে) আহত হলেন, তখন সুহাইব (রাঃ) তাঁর কাছে এসে এ বলে কাঁদতে লাগলেন, হায় আমার ভাই! হায় আমার বন্ধু! এতে উমর (রাঃ) তাকে বললেন, তুমি আমার জন্য কাঁদছো? অথচ রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ মৃত ব্যাক্তির জন্য তার আপন জনের কোন কোন কান্নার কারণে অবশ্যই তাকে আযাব দেওয়া হয়।
ইবনু আব্বাস (রাঃ) বলেন, উমর (রাঃ)-এর ওফাতের পর আয়িশা (রাঃ)-এর কাছে আমি উমর (রাঃ)-এর এ উক্তি উল্লেখ করলাম। তিনি বললেন, আল্লাহ উমর (রাঃ)-কে রহম করুন। আল্লাহর কসম! রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম একথা বলেননি যে, আল্লাহ ঈমানদার(মৃত) ব্যাক্তিকে, তার জন্য তার পরিজনের কান্নার কারণে আযাব দিবেন। তবে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ আল্লাহ তা’আলা কাফিরদের আযাব বাড়িয়ে দেন, তার জন্য তার পরিজনের কান্নার কারণে। এরপর আয়িশা (রাঃ) বলেন, আল্লাহর কুরআনই তোমাদের জন্য যথেষ্ট (ইরশাদ হয়েছেঃ) “বোঝা বহনকারী কোন ব্যাক্তি অপরের বোঝা বহন করবেনা”। তখন ইবনু আব্বাস (রাঃ) বললেন, আল্লাহই (বান্দাকে) হাসান এবং কাঁধান। রাবী ইবনু আবূ মুলাইকা (রহঃ) বলেন, আল্লাহর কসম! (একথা শুনে) ইবনু উমর (রাঃ) কোন মন্তব্য করলেন না।
হাদিস নং - ১২৮৬, ১২৮৭ ও ১২৮৮
باب قَوْلِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم: «يُعَذَّبُ الْمَيِّتُ بِبَعْضِ بُكَاءِ أَهْلِهِ عَلَيْهِ» إِذَا كَانَ النَّوْحُ مِنْ سُنَّتِهِ لِقَوْلِ اللَّهِ تَعَالَى: {قُوا أَنْفُسَكُمْ وَأَهْلِيكُمْ نَارًا}. وَقَالَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «كُلُّكُمْ رَاعٍ، وَمَسْئُولٌ عَنْ رَعِيَّتِهِ». فَإِذَا لَمْ يَكُنْ مِنْ سُنَّتِهِ، فَهُوَ كَمَا قَالَتْ عَائِشَةُ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهَا: {لاَ تَزِرُ وَازِرَةٌ وِزْرَ أُخْرَى}. وَهُوَ كَقَوْلِهِ: {وَإِنْ تَدْعُ مُثْقَلَةٌ} ذُنُوبًا {إِلَى حِمْلِهَا لاَ يُحْمَلْ مِنْهُ شَيْءٌ} وَمَا يُرَخَّصُ مِنَ الْبُكَاءِ فِي غَيْرِ نَوْحٍ. وَقَالَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «لاَ تُقْتَلُ نَفْسٌ ظُلْمًا إِلاَّ كَانَ عَلَى ابْنِ آدَمَ الأَوَّلِ كِفْلٌ مِنْ دَمِهَا». وَذَلِكَ لأَنَّهُ أَوَّلُ مَنْ سَنَّ الْقَتْلَ
حَدَّثَنَا عَبْدَانُ، حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ، أَخْبَرَنَا ابْنُ جُرَيْجٍ، قَالَ أَخْبَرَنِي عَبْدُ اللَّهِ بْنُ عُبَيْدِ اللَّهِ بْنِ أَبِي مُلَيْكَةَ، قَالَ تُوُفِّيَتِ ابْنَةٌ لِعُثْمَانَ ـ رضى الله عنه ـ بِمَكَّةَ وَجِئْنَا لِنَشْهَدَهَا، وَحَضَرَهَا ابْنُ عُمَرَ وَابْنُ عَبَّاسٍ ـ رضى الله عنهم ـ وَإِنِّي لَجَالِسٌ بَيْنَهُمَا ـ أَوْ قَالَ جَلَسْتُ إِلَى أَحَدِهِمَا. ثُمَّ جَاءَ الآخَرُ، فَجَلَسَ إِلَى جَنْبِي فَقَالَ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ عَمَرَ ـ رضى الله عنهما ـ لِعَمْرِو بْنِ عُثْمَانَ أَلاَ تَنْهَى عَنِ الْبُكَاءِ، فَإِنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ " إِنَّ الْمَيِّتَ لَيُعَذَّبُ بِبُكَاءِ أَهْلِهِ عَلَيْهِ ". فَقَالَ ابْنُ عَبَّاسٍ ـ رضى الله عنهما ـ قَدْ كَانَ عُمَرُ ـ رضى الله عنه ـ يَقُولُ بَعْضَ ذَلِكَ، ثُمَّ حَدَّثَ قَالَ صَدَرْتُ مَعَ عُمَرَ ـ رضى الله عنه ـ مِنْ مَكَّةَ حَتَّى إِذَا كُنَّا بِالْبَيْدَاءِ، إِذَا هُوَ بِرَكْبٍ تَحْتَ ظِلِّ سَمُرَةٍ فَقَالَ اذْهَبْ، فَانْظُرْ مَنْ هَؤُلاَءِ الرَّكْبُ قَالَ فَنَظَرْتُ فَإِذَا صُهَيْبٌ، فَأَخْبَرْتُهُ فَقَالَ ادْعُهُ لِي. فَرَجَعْتُ إِلَى صُهَيْبٍ فَقُلْتُ ارْتَحِلْ فَالْحَقْ أَمِيرَ الْمُؤْمِنِينَ. فَلَمَّا أُصِيبَ عُمَرُ دَخَلَ صُهَيْبٌ يَبْكِي يَقُولُ وَاأَخَاهُ، وَاصَاحِبَاهُ. فَقَالَ عُمَرُ ـ رضى الله عنه ـ يَا صُهَيْبُ أَتَبْكِي عَلَىَّ وَقَدْ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " إِنَّ الْمَيِّتَ يُعَذَّبُ بِبَعْضِ بُكَاءِ أَهْلِهِ عَلَيْهِ ". قَالَ ابْنُ عَبَّاسٍ ـ رضى الله عنهما فَلَمَّا مَاتَ عُمَرُ ـ رضى الله عنه ـ ذَكَرْتُ ذَلِكَ لِعَائِشَةَ ـ رضى الله عنها ـ فَقَالَتْ رَحِمَ اللَّهُ عُمَرَ، وَاللَّهِ مَا حَدَّثَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم إِنَّ اللَّهَ لَيُعَذِّبُ الْمُؤْمِنَ بِبُكَاءِ أَهْلِهِ عَلَيْهِ. وَلَكِنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ " إِنَّ اللَّهَ لَيَزِيدُ الْكَافِرَ عَذَابًا بِبُكَاءِ أَهْلِهِ عَلَيْهِ ". وَقَالَتْ حَسْبُكُمُ الْقُرْآنُ (وَلاَ تَزِرُ وَازِرَةٌ وِزْرَ أُخْرَى). قَالَ ابْنُ عَبَّاسٍ ـ رضى الله عنهما ـ عِنْدَ ذَلِكَ وَاللَّهُ هُوَ أَضْحَكَ وَأَبْكَى. قَالَ ابْنُ أَبِي مُلَيْكَةَ وَاللَّهِ مَا قَالَ ابْنُ عُمَرَ ـ رضى الله عنهما ـ شَيْئًا.
Narrated `Abdullah bin 'Ubaidullah bin Abi Mulaika:
One of the daughters of `Uthman died at Mecca. We went to attend her funeral procession. Ibn `Umar and Ibn `Abbas were also present. I sat in between them (or said, I sat beside one of them. Then a man came and sat beside me.) `Abdullah bin `Umar said to `Amr bin `Uthman, "Will you not prohibit crying as Allah's Messenger (ﷺ) has said, 'The dead person is tortured by the crying of his relatives.?" Ibn `Abbas said, "`Umar used to say so." Then he added narrating, "I accompanied `Umar on a journey from Mecca till we reached Al-Baida. There he saw some travelers in the shade of a Samura (A kind of forest tree). He said (to me), "Go and see who those travelers are." So I went and saw that one of them was Suhaib. I told this to `Umar who then asked me to call him. So I went back to Suhaib and said to him, "Depart and follow the chief of the faithful believers." Later, when `Umar was stabbed, Suhaib came in weeping and saying, "O my brother, O my friend!" (on this `Umar said to him, "O Suhaib! Are you weeping for me while the Prophet (ﷺ) said, "The dead person is punished by some of the weeping of his relatives?" Ibn `Abbas added, "When `Umar died I told all this to Aisha and she said, 'May Allah be merciful to `Umar. By Allah, Allah's Messenger (ﷺ) did not say that a believer is punished by the weeping of his relatives. But he said, Allah increases the punishment of a non-believer because of the weeping of his relatives." Aisha further added, "The Qur'an is sufficient for you (to clear up this point) as Allah has stated: 'No burdened soul will bear another's burden.' " (35.18). Ibn `Abbas then said, "Only Allah makes one laugh or cry." Ibn `Umar did not say anything after that.
পরিচ্ছেদঃ ১৬৩৫. পরিচ্ছেদ নাই
২৪৪৮। ইবরাহীম ইবনু মূসা (রহঃ) ... আবদুল্লাহ ইবনু উবায়দুল্লাহ্ ইবনু আবূ মুলায়কা (রহঃ) থেকে বর্ণিত তিনি বলেন, ইবন জুদ’আনের আযাদকৃত গোলাম সুহাইবের সন্তান দু’টি ঘর ও একটি কামরা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সুহায়ব (রাঃ) কে দান করেছিলেন বলে দাবী জানান। (মদিনার গভর্নর) মারওয়ান (রহঃ) তখন বললেন, এ ব্যাপারে তোমাদের পক্ষে কে সাক্ষী দিবে? তারা বলল, ইবনু উমর (রাঃ) (আমাদের হয়ে সাক্ষী দিবেন) মারওয়ান (রহঃ) তখন ইবনু উমর (রাঃ) কে ডেকে পাঠালেন। তিনি এ মর্মে সাক্ষী দিলেন যে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সুহায়ব (রাঃ)-কে দু’টি ঘর ও একটি কামরা দান করেছিলেন। তাদের স্বপক্ষে ইবনু উমরের সাক্ষী অনুযায়ী মারওয়ান ফায়সালা করলেন।
باب
حَدَّثَنَا إِبْرَاهِيمُ بْنُ مُوسَى، أَخْبَرَنَا هِشَامُ بْنُ يُوسُفَ، أَنَّ ابْنَ جُرَيْجٍ، أَخْبَرَهُمْ قَالَ أَخْبَرَنِي عَبْدُ اللَّهِ بْنُ عُبَيْدِ اللَّهِ بْنِ أَبِي مُلَيْكَةَ، أَنَّ بَنِي صُهَيْبٍ، مَوْلَى ابْنِ جُدْعَانَ ادَّعَوْا بَيْتَيْنِ وَحُجْرَةً، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم أَعْطَى ذَلِكَ صُهَيْبًا، فَقَالَ مَرْوَانُ مَنْ يَشْهَدُ لَكُمَا عَلَى ذَلِكَ قَالُوا ابْنُ عُمَرَ. فَدَعَاهُ فَشَهِدَ لأَعْطَى رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم صُهَيْبًا بَيْتَيْنِ وَحُجْرَةً. فَقَضَى مَرْوَانُ بِشَهَادَتِهِ لَهُمْ.
Narrated Asma' bint Abu Bakr (ra):
My mother came to me during the lifetime of Allah's Messenger (ﷺ) and she was a Mushrikah (polytheist, idolatress, pagan). I said to Allah's Messenger (ﷺ) (seeking his verdict), "My mother has come to and she desires to recieve a reward from me, shall I keep good relations with her ?" The Prophet (ﷺ) said, "Yes, keep good relation with her."
পরিচ্ছেদঃ ১৬৬১. অর্থ-সম্পদ ও হদ্দ এর (শরীয়ত নির্ধারিত দান্ড সমূহ) এর বেলায় বিবাদীর কসম করা। নাবী (সাঃ) বলেছেন, দু’জন সাক্ষী পেশ করতে হবে কিংবা তার (বিবাদীর) কসম করতে হবে। কুতায়বা (র) বলেন, সুফইয়ান ইবনু শুবরুমা (র) হতে বর্ণনা করেছেন, আবূ যিনাদ (র) সাক্ষীর সাক্ষ্য এবং বাদীর কসমের ব্যাপারে আমার সঙ্গে আলোচনা করলেন। আমি তাকে বললাম, আল্লাহ তা’আলা বলেছেন : “...সাক্ষীদের মধ্যে যাদের উপর তোমরা রাজী, তাদের মধ্যে দু’জন পুরুষ সাক্ষী রাখবে, যদি দু’জন পুরুষ না থাকে, তবে একজন পুরুষ ও দু’জন স্ত্রীলোক, স্ত্রীলোকদের মধ্যে একজন যদি ভুলে যায়, তবে একজন অন্যজনকে স্মরণ করিয়ে দেয়...” (সূরা আল-বাক্বারা : ২:২৮২)। আমি বললাম, একজন সাক্ষীর সাক্ষ্য আর বাদীর কসম যথেষ্ঠ হলে এক মহিলা অপর মহিলাকে স্মরণ করিয়ে দেয়ার কী প্রয়োজন আছে? এই অপর মহিলাটির স্মরণ করাতে কী কাজ হবে?
২৪৯১। আবূ নু’আইম (রহঃ) ... ইবনু আবূ মূলায়কা (রহঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, ইবনু আব্বাস (রাঃ) আমাকে লিখে জানিয়েছেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ফায়াসালা দিয়েছেন যে, বিবাদীকে কসম করতে হবে।
بَابُ الْيَمِينُ عَلَى الْمُدَّعَى عَلَيْهِ، فِي الأَمْوَالِ وَالْحُدُودِ وَقَالَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «شَاهِدَاكَ أَوْ يَمِينُهُ». الزِّنَادِ فِي شَهَادَةِ الشَّاهِدِ وَيَمِينِ الْمُدَّعِي فَقُلْتُ قَالَ اللَّهُ تَعَالَى {وَاسْتَشْهِدُوا شَهِيدَيْنِ مِنْ رِجَالِكُمْ فَإِنْ لَمْ يَكُونَا رَجُلَيْنِ فَرَجُلٌ وَامْرَأَتَانِ مِمَّنْ تَرْضَوْنَ مِنَ الشُّهَدَاءِ أَنْ تَضِلَّ إِحْدَاهُمَا فَتُذَكِّرَ إِحْدَاهُمَا الأُخْرَى}. قُلْتُ إِذَا كَانَ يُكْتَفَى بِشَهَادَةِ شَاهِدٍ وَيَمِينِ الْمُدَّعِي، فَمَا تَحْتَاجُ أَنْ تُذَكِّرَ إِحْدَاهُمَا الأُخْرَى، مَا كَانَ يَصْنَعُ بِذِكْرِ هَذِهِ الأُخْرَى
حَدَّثَنَا أَبُو نُعَيْمٍ، حَدَّثَنَا نَافِعُ بْنُ عُمَرَ، عَنِ ابْنِ أَبِي مُلَيْكَةَ، قَالَ كَتَبَ ابْنُ عَبَّاسٍ ـ رضى الله عنهما ـ أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم قَضَى بِالْيَمِينِ عَلَى الْمُدَّعَى عَلَيْهِ.
Narrated Ibn Abu Mulaika:
Ibn `Abbas wrote that the Prophet (ﷺ) gave his verdict on the basis of the defendant's oath.
পরিচ্ছেদঃ ১৯৩৭. বিজয়ী যোদ্ধাগণকে অভ্যর্থনা জানানো
২৮৬৪। আবদুল্লাহ ইবনু আবূল আসওয়াদ (রহঃ) ... ইবনু আবূ মূলাইকা (রহঃ) থেকে বর্ণিত যে, ইবনু যুবাইর (রাঃ), ইবনু জাফর (রাঃ) কে বললেন, তোমার কি স্মরণ আছে, যখন আমি ও তুমি এবং ইবনু আব্বাস (রাঃ) রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সঙ্গে মিলিত হয়েছিলাম? ইবনু জাফর (রাঃ) বললেন, হ্যাঁ, স্মরণ আছে। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাদেরকে বাহনে তুলে নিলেন আর তোমাকে ছেড়ে আসেন।
باب اسْتِقْبَالِ الْغُزَاةِ
حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ أَبِي الأَسْوَدِ، حَدَّثَنَا يَزِيدُ بْنُ زُرَيْعٍ، وَحُمَيْدُ بْنُ الأَسْوَدِ، عَنْ حَبِيبِ بْنِ الشَّهِيدِ، عَنِ ابْنِ أَبِي مُلَيْكَةَ، قَالَ ابْنُ الزُّبَيْرِ لاِبْنِ جَعْفَرٍ ـ رضى الله عنهم أَتَذْكُرُ إِذْ تَلَقَّيْنَا رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم أَنَا وَأَنْتَ وَابْنُ عَبَّاسٍ قَالَ نَعَمْ، فَحَمَلَنَا وَتَرَكَكَ.
Narrated Ibn Abi Mulaika:
Ibn Az-Zubair said to Ibn Ja`far "Do you remember when I, you and Ibn `Abbas went out to receive Allah's Messenger (ﷺ)?" Ibn Ja`far replied in the affirmative. Ibn Az-Zubair added, "And Allah's Messenger (ﷺ) made us (i.e. I and Ibn `Abbas) ride along with him and left you."
পরিচ্ছেদঃ ১৯৫১. ইমামের নিকট যা আসে, তা বন্টন করা এবং যে ব্যক্তি সেখানে উপস্থিত হয় নি কিংবা যে দূরে আছে তার জন্য রেখে দেওয়া
২৯০৭। আবদুল্লাহ ইবনু আবদুল ওহহাব (রহঃ) ... আবদুল্লাহ ইবনু আবূ মূলায়কা (রাঃ) থেকে বর্ণিত যে, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কে সোনালী কারুকার্য খচিত কিছু রেশমী কাবা জাতীয় পোষাক হাদীয়া দেয়া হল। তিনি তাঁর সাহাবীগণের মধ্যে থেকে কয়েকজনকে তা বণ্টন করে দেন এবং তা থেকে একটি কাবা মাখরামা ইবনু নাওফল (রাঃ)-এর জন্য আলাদা করে রাখেন। তারপর মাখরামা (রাঃ) তাঁর পুত্র মিসওয়ার ইবনু মাখরামা (রাঃ) কে সাথে নিয়ে এসে দরজায় দাঁড়ালেন আর পুত্রকে বললেন, তাঁকে আমার জন্য আহবান কর। তখন নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাঁর আওয়াজ শুনতে পেলেন। তিনি একটি কাবা নিয়ে তাঁর সাথে সাক্ষাৎ করেন। আর এর কারুকার্য খচিত অংশ তাঁর সামনে তুলে ধরে বললেন, হে আবুল মিসওয়ার! আমি এটি তোমার জন্য রেখে দিয়েছি। আমি এটি তোমার জন্য রেখে দিয়েছি। আর মাখরামা (রাঃ) কিছুটা স্বভাবে কিছুটা রুঢ়তা ছিল।
এ হাদীসটি ইসমাঈল ইবন উলাইয়া (রহঃ)-ও আইউব (রহঃ) থেকে বর্ণনা করেছেন। আর হাতিম ইবনু ওয়ারদান (রহঃ) বলেন, আইউব (রহঃ) ইবনু আবূ মুলায়কা (রহঃ) সূত্রে মিসওয়ার ইবনু মাখরামা (রাঃ) থেকে বর্ণণা করেছেন। তিনি বলেন যে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর কাছে কয়েকটি কাবা জাতীয় পোষাক এসেছিল। (বাকী অংশ আগের মত) লাইস (রহঃ) ইবনু আবূ মূলাইকা (রহঃ) থেকে হাদীস বর্ণনায় আইয়ূব (রহঃ) এর অনুসরণ করেছেন।
باب قِسْمَةِ الإِمَامِ مَا يَقْدَمُ عَلَيْهِ، وَيَخْبَأُ لِمَنْ لَمْ يَحْضُرْهُ أَوْ غَابَ عَنْهُ
حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ عَبْدِ الْوَهَّابِ، حَدَّثَنَا حَمَّادُ بْنُ زَيْدٍ، عَنْ أَيُّوبَ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ أَبِي مُلَيْكَةَ، أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم أُهْدِيَتْ لَهُ أَقْبِيَةٌ مِنْ دِيبَاجٍ مُزَرَّرَةٌ بِالذَّهَبِ، فَقَسَمَهَا فِي نَاسٍ مِنْ أَصْحَابِهِ، وَعَزَلَ مِنْهَا وَاحِدًا لِمَخْرَمَةَ بْنِ نَوْفَلٍ، فَجَاءَ وَمَعَهُ ابْنُهُ الْمِسْوَرُ بْنُ مَخْرَمَةَ، فَقَامَ عَلَى الْبَابِ فَقَالَ ادْعُهُ لِي. فَسَمِعَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم صَوْتَهُ فَأَخَذَ قَبَاءً فَتَلَقَّاهُ بِهِ وَاسْتَقْبَلَهُ بِأَزْرَارِهِ فَقَالَ " يَا أَبَا الْمِسْوَرِ، خَبَأْتُ هَذَا لَكَ، يَا أَبَا الْمِسْوَرِ، خَبَأْتُ هَذَا لَكَ ". وَكَانَ فِي خُلُقِهِ شِدَّةٌ. وَرَوَاهُ ابْنُ عُلَيَّةَ عَنْ أَيُّوبَ. قَالَ حَاتِمُ بْنُ وَرْدَانَ حَدَّثَنَا أَيُّوبُ عَنِ ابْنِ أَبِي مُلَيْكَةَ عَنِ الْمِسْوَرِ قَدِمَتْ عَلَى النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم أَقْبِيَةٌ. تَابَعَهُ اللَّيْثُ عَنِ ابْنِ أَبِي مُلَيْكَةَ.
Narrated `Abdullah bin Abu Mulaika:
Some silken cloaks with golden buttons were presented to the Prophet. He distributed them amongst his companions and kept one for Makhrama, bin Naufal. Later on Makhrama came along with his son Al-Miswar bin Makhrama, and stood up at the gate and said (to his son). "Call him (i.e. the Prophet) to me." The Prophet (ﷺ) heard his voice, took a silken cloak and brought it to him, placing those golden buttons in front of him saying, "O Abu-al-Miswar! I have kept this aside for you! O Abu-al Miswar! I have kept this aside for you!" Makhrama was a bad-tempered man.
পরিচ্ছেদঃ ১৯৯৭. মুসলিমের সর্বোত্তম সম্পদ ছাগ-পাল, যা নিয়ে তারা পাহাড়ের চুড়ায় চলে যায়
৩০৭৮। আমর ইবনু আলী (রহঃ) ... ইবনু আবূ মূলায়কা (রহঃ) থেকে বর্ণিত যে, ইবনু উমর (রাঃ) প্রথমে সাপ মেরে ফেলতেন। পরে মারতে নিষেধ করেছেন। তিনি বলেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম একবার তাঁর একটি দেয়াল ভেঙ্গে ফেলেন। তাতে তিন সাপের খোলস দেখতে পান। তখন তিনি বললেন, দেখ! কোথায় সাপ আছে? লোকেরা দেখল (এবং তাঁকে জানাল) তিনি বললেন, একে মেরে ফেল। এ কারণে আমি সাপ মেরে ফেলতাম। এরপর আবূ লুবাবার সাথে আমার দেখা হল। তিনি আমাকে জানালেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, পিঠের উপর দু’টি রেখা বিশিষ্ট এবং লেজকাটা সাপ ব্যতীত অন্য কোন সাপকে তোমরা মেরা না। কেননা এগুলো গর্ভপাত ঘটায় এবং চোখের জ্যোতি নষ্ট করে দেয়। তাই এ জাতীয় সাপ মেরে ফেল।
باب خَيْرُ مَالِ الْمُسْلِمِ غَنَمٌ يَتْبَعُ بِهَا شَعَفَ الْجِبَالِ
حَدَّثَنِي عَمْرُو بْنُ عَلِيٍّ، حَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي عَدِيٍّ، عَنْ أَبِي يُونُسَ الْقُشَيْرِيِّ، عَنِ ابْنِ أَبِي مُلَيْكَةَ، أَنَّ ابْنَ عُمَرَ، كَانَ يَقْتُلُ الْحَيَّاتِ ثُمَّ نَهَى قَالَ إِنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم هَدَمَ حَائِطًا لَهُ، فَوَجَدَ فِيهِ سِلْخَ حَيَّةٍ فَقَالَ " انْظُرُوا أَيْنَ هُوَ ". فَنَظَرُوا فَقَالَ " اقْتُلُوهُ ". فَكُنْتُ أَقْتُلُهَا لِذَلِكَ. فَلَقِيتُ أَبَا لُبَابَةَ فَأَخْبَرَنِي أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم قَالَ " لاَ تَقْتُلُوا الْجِنَّانَ، إِلاَّ كُلَّ أَبْتَرَ ذِي طُفْيَتَيْنِ، فَإِنَّهُ يُسْقِطُ الْوَلَدَ، وَيُذْهِبُ الْبَصَرَ، فَاقْتُلُوهُ ".
Narrated Abu Mulaika:
Ibn `Umar used to kill snakes, but afterwards he forbade their killing and said, "Once the Prophet (ﷺ) pulled down a wall and saw a cast-off skin of a snake in it. He said, 'Look for the snake. 'They found it and the Prophet (ﷺ) said, "Kill it." For this reason I used to kill snakes. Later on I met Abu Lubaba who told me the Prophet (ﷺ) said, 'Do not kill snakes except the short-tailed or mutilated-tailed snake with two white lines on its back, for it causes abortion and makes one blind. So kill it.' "
পরিচ্ছেদঃ ২০৮৩. নবী করীম (সাঃ) এর উক্তিঃ আমি যদি কাউকে অন্তরঙ্গ বন্ধুরূপে গ্রহন করতাম। আবু সাঈদ (রাঃ) এটা বর্ণনা করেছেন
৩৩৯৬। সুলায়মান ইবনু হারব (রহঃ) ... আবদুল্লাহ ইবনু আবূ মুলায়কা (রহঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, কুফাবাসীগণ দাদার (মিরাস) সম্পর্কে জানতে চেয়ে ইবনু যুবায়রের নিকট পত্র পাঠালেন, তিনি বললেন, ঐ মহান ব্যাক্তি যার সম্পর্কে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, এ উম্মতের কাউকে যদি অন্তরঙ্গ বন্ধুরূপে গ্রহণ করতাম, তবে তাকেই করতাম, [অর্থাৎ আবূ বকর (রাঃ)] তিনি দাদাকে মিরাসের ক্ষেত্রে পিতার সমপর্যায়ভুক্ত করেছেন।
باب قَوْلِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم " لَوْ كُنْتُ مُتَّخِذًا خَلِيلاً " قَالَهُ أَبُو سَعِيدٍ
حَدَّثَنَا سُلَيْمَانُ بْنُ حَرْبٍ، أَخْبَرَنَا حَمَّادُ بْنُ زَيْدٍ، عَنْ أَيُّوبَ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ أَبِي مُلَيْكَةَ، قَالَ كَتَبَ أَهْلُ الْكُوفَةِ إِلَى ابْنِ الزُّبَيْرِ فِي الْجَدِّ. فَقَالَ أَمَّا الَّذِي قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " لَوْ كُنْتُ مُتَّخِذًا مِنْ هَذِهِ الأُمَّةِ خَلِيلاً لاَتَّخَذْتُهُ ". أَنْزَلَهُ أَبًا يَعْنِي أَبَا بَكْرٍ.
Narrated `Abdullah bin Abi Mulaika:
The people of Kufa sent a letter to Ibn Az-Zubair, asking about (the inheritance of) (paternal) grandfather. He replied that the right of the inheritance of (paternal) grandfather is the same as that of father if the father is dead) and added, "Allah's Messenger (ﷺ) said, ' If I were to take a Khalil from this nation, I would have taken him (i.e. Abu Bakr).
পরিচ্ছেদঃ ২১০৮. মু'আবিয়া (রাঃ) এর আলোচনা
৩৪৯২। হাসান ইবনু বিশর (রহঃ) ... ইবনু আবূ মুলায়কা (রহঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, একবার মু’আবিয়া (রাঃ) ইশার সালাতের পর এক রাকআত মিলিয়ে বিতরের সালাত (নামায/নামাজ) আদায় করেন। তখন তাঁর নিকট ইবনু আব্বাসের আযাদকৃত গোলাম উপস্থিত ছিলেন। তিনি ইবনু আব্বাস (রাঃ) এর নিকট ঘটনাটি বর্ণনা করেন, তখন ইবনু আব্বাস (রাঃ) বললেন, তাঁকে কিছু বলোনা, তিনি রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সাহচর্য লাভে ধন্য হয়েছেন।
باب ذِكْرُ مُعَاوِيَةَ رضى الله عنه
حَدَّثَنَا الْحَسَنُ بْنُ بِشْرٍ، حَدَّثَنَا الْمُعَافَى، عَنْ عُثْمَانَ بْنِ الأَسْوَدِ، عَنِ ابْنِ أَبِي مُلَيْكَةَ، قَالَ أَوْتَرَ مُعَاوِيَةُ بَعْدَ الْعِشَاءِ بِرَكْعَةٍ وَعِنْدَهُ مَوْلًى لاِبْنِ عَبَّاسٍ، فَأَتَى ابْنَ عَبَّاسٍ فَقَالَ دَعْهُ، فَإِنَّهُ صَحِبَ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم.
Narrated Ibn Abu Mulaika:
Muawiya offered one rak`a witr prayer after the `Isha prayer, and at that time a freed slave of Ibn `Abbas was present. He (i.e. the slave) went to Ibn `Abbas (and told him that Muawiya offered one rak`a witr prayer). Ibn `Abbas said, "Leave him, for he was in the company of Allah's Messenger (ﷺ)."
পরিচ্ছেদঃ ২১০৮. মু'আবিয়া (রাঃ) এর আলোচনা
৩৪৯৩। ইবনু আবূ মারইয়াম (রহঃ) ... ইবনু আবূ মুলায়কা (রহঃ) থেকে বর্ণিত, ইবনু আব্বাস (রাঃ) কে বলা হলে, আপনি আমীরুল মু’মিনীন মু’আবিয়া (রাঃ) এর সাথে এ বিষয় আলাপ করবেন কি? যেহেতু তিনি বিতর সালাত (নামায/নামাজ) এক রাকআত মিলিয়ে আদায় করেছেন। ইবনু আব্বাস বললেন, তিনি (তাঁর দৃষ্টিতে) ঠিকই করেছেন, কেননা তিনি নিজেই একজন ফকীহ্।
باب ذِكْرُ مُعَاوِيَةَ رضى الله عنه
حَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي مَرْيَمَ، حَدَّثَنَا نَافِعُ بْنُ عُمَرَ، حَدَّثَنِي ابْنُ أَبِي مُلَيْكَةَ، قِيلَ لاِبْنِ عَبَّاسٍ هَلْ لَكَ فِي أَمِيرِ الْمُؤْمِنِينَ مُعَاوِيَةَ، فَإِنَّهُ مَا أَوْتَرَ إِلاَّ بِوَاحِدَةٍ. قَالَ إِنَّهُ فَقِيهٌ.
Narrated Ibn Abi Mulaika:
Somebody said to Ibn `Abbas, "Can you speak to the chief of the believers Muwaiya, as he does not pray except one rak`a as witr?" Ibn `Abbas replied, "He is a Faqih (i.e. a learned man who can give religious verdicts) ."
পরিচ্ছেদঃ ২২৯৮. আল্লাহর বাণীঃ তোমাদের সপতীক অবস্থায় যাদের মৃত্যু আসন্ন তারা যেন তাদের স্ত্রীদের গৃহ হতে বহিস্কার না করে তাদের ভরন পোষণের ওসীয়ত করে। কিন্তু যদি তারা বের হয়ে যায় তবে বিধিমত নিজেদের জন্য তারা যা করে তাতে তোমাদের কোন পাপ নেই। আল্লাহ পরাক্রান্ত, প্রজ্ঞাময় (২ঃ ২৪০)
৪১৮০। আবদুল্লাহ ইবনু আবূল আসওয়াদ (রহঃ) ... ইবনু আবূ মূলায়কা (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, ইবনু যুবায়র (রাঃ) বললেন, আমি উসমান (রাঃ) কে জিজ্ঞাসা করলাম যে, সূরা বাকারার এ আয়াতটিوَالَّذِينَ يُتَوَفَّوْنَ مِنْكُمْ وَيَذَرُونَ أَزْوَاجًا) إِلَى قَوْلِهِ غَيْرَ إِخْرَاجٍ কে তো অন্য একটি আয়াত রহিত করে দিয়েছে। তারপরও আপনি এভাবে লিখছেন কেন? জবাবে উসমান (রাঃ) বললেন, ভ্রাতুষ্পুত্র। আমরা তা যথাস্থানে রেখে দিয়েছি। আপন স্থান থেকে কোন কিছুই আমরা পরিবর্তন করিনি। হুমাইদ (রহঃ) বললেন, ’’অথবা প্রায় এরকমই উত্তর দিয়ে দিলেন।’’
باب والذين يتوفون منكم ويذرون أزواجا
حَدَّثَنِي عَبْدُ اللَّهِ بْنُ أَبِي الأَسْوَدِ، حَدَّثَنَا حُمَيْدُ بْنُ الأَسْوَدِ، وَيَزِيدُ بْنُ زُرَيْعٍ، قَالاَ حَدَّثَنَا حَبِيبُ بْنُ الشَّهِيدِ، عَنِ ابْنِ أَبِي مُلَيْكَةَ، قَالَ قَالَ ابْنُ الزُّبَيْرِ قُلْتُ لِعُثْمَانَ هَذِهِ الآيَةُ الَّتِي فِي الْبَقَرَةِ (وَالَّذِينَ يُتَوَفَّوْنَ مِنْكُمْ وَيَذَرُونَ أَزْوَاجًا) إِلَى قَوْلِهِ (غَيْرَ إِخْرَاجٍ) قَدْ نَسَخَتْهَا الأُخْرَى، فَلِمَ تَكْتُبُهَا قَالَ تَدَعُهَا. يَا ابْنَ أَخِي لاَ أُغَيِّرُ شَيْئًا مِنْهُ مِنْ مَكَانِهِ. قَالَ حُمَيْدٌ أَوْ نَحْوَ هَذَا.
Narrated Ibn Az-Zubair:
I said to `Uthman, "This Verse which is in Surat-al-Baqara: "Those of you who die and leave widows behind...without turning them out." has been abrogated by another Verse. Why then do you write it (in the Qur'an)?" `Uthman said. "Leave it (where it is), O the son of my brother, for I will not shift anything of it (i.e. the Qur'an) from its original position."
পরিচ্ছেদঃ ২৩১০. আল্লাহর বাণীঃ যারা আল্লাহর সাথে কৃত প্রতিশ্রুতি এবং নিজেদের শপথকে তুচ্ছ মুল্যে বিক্রয় করে, আখেরাতে তাদের কোন অংশ নেই (৩ঃ ৭৭) لا خلاق কোন কল্যাণ নেই। أليم শব্দটি مفعل এর আকৃতিতে ألم থেকে গঠিত। অর্থাৎ জ্বালাময়ী।
৪১৯৫। নসর ইবনু আলী (রহঃ) ... ইবনু আবূ মূলায়কা (রহঃ) থেকে বর্ণিত যে, দু’জন মহিলা একটি ঘর কিংবা একটি কক্ষে সেলাই করছিল। হাতের তালুতে সুই বিদ্ধ হয়ে তাদের একজন বেরিয়ে পড়ল এবং অপর জনের বিরুদ্ধে সুই ফুটিয়ে দেওয়ার অভিযোগ করল। এই ব্যাপারটি ইবনু আব্বাস (রাঃ) এর নিকট উপস্থাপন করা হলে তিনি বললেন, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, যদি শুধু মাত্র দাবির উপর ভিত্তি করে মানুষের দাবি পূরণ করা হয়, তাহলে তাদের জান ও মালের নিরাপত্তা থাকবে না। সুতরাং তোমরা বিবাদিদের আল্লাহর নামে শপথ করাও এ আয়াত তার সম্মুখে পাঠ কর। এরপর তারা তাকে শপথ করাল এবং সে নিজ দোষ স্বীকার করল। ইবনু আব্বাস (রাঃ) বললে যে, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, শপথ করা বিবাদীর জন্য প্রযোজ্য।
باب إن الذين يشترون بعهد الله وأيمانهم ثمنا قليلا أولئك لا خلاق لهم لا خير أليم مؤلم موجع من الألم وهو في موضع مفعل
حَدَّثَنَا نَصْرُ بْنُ عَلِيِّ بْنِ نَصْرٍ، حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ دَاوُدَ، عَنِ ابْنِ جُرَيْجٍ، عَنِ ابْنِ أَبِي مُلَيْكَةَ، أَنَّ امْرَأَتَيْنِ، كَانَتَا تَخْرِزَانِ فِي بَيْتٍ ـ أَوْ فِي الْحُجْرَةِ ـ فَخَرَجَتْ إِحْدَاهُمَا وَقَدْ أُنْفِذَ بِإِشْفًى فِي كَفِّهَا، فَادَّعَتْ عَلَى الأُخْرَى، فَرُفِعَ إِلَى ابْنِ عَبَّاسٍ، فَقَالَ ابْنُ عَبَّاسٍ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " لَوْ يُعْطَى النَّاسُ بِدَعْوَاهُمْ لَذَهَبَ دِمَاءُ قَوْمٍ وَأَمْوَالُهُمْ ". ذَكِّرُوهَا بِاللَّهِ وَاقْرَءُوا عَلَيْهَا (إِنَّ الَّذِينَ يَشْتَرُونَ بِعَهْدِ اللَّهِ). فَذَكَّرُوهَا فَاعْتَرَفَتْ، فَقَالَ ابْنُ عَبَّاسٍ قَالَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم " الْيَمِينُ عَلَى الْمُدَّعَى عَلَيْهِ ".
Narrated Ibn Abu Mulaika:
Two women were stitching shoes in a house or a room. Then one of them came out with an awl driven into her hand, and she sued the other for it. The case was brought before Ibn `Abbas, Ibn `Abbas said, "Allah's Messenger (ﷺ) said, 'If people were to be given what they claim (without proving their claim) the life and property of the nation would be lost.' Will you remind her (i.e. the defendant), of Allah and recite before her:--"Verily! Those who purchase a small gain at the cost of Allah's Covenant and their oaths..."(3.77) So they reminded her and she confessed. Ibn `Abbas then said, "The Prophet (ﷺ) said, 'The oath is to be taken by the defendant (in the absence of any proof against him).
পরিচ্ছেদঃ ২৩৩৯. আল্লাহর বাণীঃ তোমাদের কী হল যে, তোমরা যুদ্ধ করবে না আল্লাহর পথে এবং অসহায় নর-নারী ও শিশুগণের জন্য … যার অধিবাসী জালিম (৪ঃ ৭৫)
৪২৩৩। সুলায়মান ইবনু হারব (রহঃ) ... ইবনু আবূ মূলায়কা (রহঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, ইবনু আব্বাস (রাঃ)الاَّ الْمُسْتَضْعَفِينَ مِنَ الرِّجَالِ وَالنِّسَاءِ وَالْوِلْدَانِ ’’তবে যেসব অসহায় পুরুষ, নারী ও শিশু (৪ঃ ৯৮) আয়াতটি তিলাওয়াত করলেন এবং বললেন, আল্লাহ যাদের অক্ষমতা অনুমোদন করেছেন আমি এবং আমার আম্মা তাদের অন্তর্ভুক্ত ছিলাম। ইবনু আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতحَصِرَتْ সংকুচিত হয়েছে।تَلْوُوا أَلْسِنَتَكُمْ بِالشَّهَادَةِ সাক্ষ্য দিতে তাদের জিহবা বক্র হয়।الْمُرَاغَمُ الْمُهَاجَرُ হিজরতের স্থান,رَاغَمْتُ قَوْمِي আমার গোত্রকে ছেড়ে দিয়েছি,مَوْقُوتًا এবংمُوَقَّتًا তাদের উপর সময় নির্ধারণ করে দেয়া হয়েছে।
باب وما لكم لا تقاتلون في سبيل الله والمستضعفين من الرجال والنساء الآية
حَدَّثَنَا سُلَيْمَانُ بْنُ حَرْبٍ، حَدَّثَنَا حَمَّادُ بْنُ زَيْدٍ، عَنْ أَيُّوبَ، عَنِ ابْنِ أَبِي مُلَيْكَةَ، أَنَّ ابْنَ عَبَّاسٍ، تَلاَ (ِلاَّ الْمُسْتَضْعَفِينَ مِنَ الرِّجَالِ وَالنِّسَاءِ وَالْوِلْدَانِ) قَالَ كُنْتُ أَنَا وَأُمِّي مِمَّنْ عَذَرَ اللَّهُ. وَيُذْكَرُ عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ (حَصِرَتْ) ضَاقَتْ (تَلْوُوا) أَلْسِنَتَكُمْ بِالشَّهَادَةِ. وَقَالَ غَيْرُهُ الْمُرَاغَمُ الْمُهَاجَرُ. رَاغَمْتُ هَاجَرْتُ قَوْمِي. (مَوْقُوتًا) مُوَقَّتًا وَقْتَهُ عَلَيْهِمْ.
Narrated Ibn Abi Mulaika:
Ibn `Abbas recited:-- "Except the weak ones among men women and children," (4.98) and said, "My mother and I were among those whom Allah had excused."
পরিচ্ছেদঃ ২৩৯৯. আল্লাহ তা'আলার বাণীঃ যখন তারা উভয়ে গুহার মধ্যে ছিলেন এবং তিনি ছিলেন দু’জনের একজন (৯ঃ ৪০) معنا অর্থ আল্লাহ আমাদের সাহায্যকারী, فعيلة السكينة এর সম ওযনে سكون থেকে, অর্থ প্রশান্তি
৪৩০৮। আবদুল্লাহ ইবনু মুহাম্মদ (রহঃ) ... ইবনু আবূ মূলায়কা (রহঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, যখন ইবনু আব্বাস (রাঃ) ও ইবনু যুবায়র (রাঃ) এর মধ্যে বায়আত নিয়ে মতভেদ সৃষ্টি হল, তখন আমি ইবনু আব্বাসের কাছে গিয়ে বললাম, আপনি কি আল্লাহ যা হারাম করেছেন, তা হালাল করে ইবনু যুবায়রের বিরুদ্ধে লড়াই করতে চান? তখন তিনি বললেন, আল্লাহর কাছে পানাহ চাচ্ছি, এ কাজ তো ইবনু যুবায়র ও বনী উমাইয়ার জন্যই আল্লাহ লিপিবদ্ধ করে রেখেছেন। আল্লাহর কসম! কখনো আমি তা হালাল মনে করব না, (আবূ মূলায়কা বলেন) তখন লোকজন ইবনু আব্বাস (রাঃ) কে বলল, আপনি ইবনু যুবায়রের পক্ষে বায়আত গ্রহণ করুন।
তখন ইবনু আব্বাস বললেন, তাতে ক্ষতির কি আছে? তিনি এটার জন্য যোগ্যতম ব্যাক্তি। তাঁর পিতা যুবায়র তো নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সাহায্যকারী ছিলেন, তার নানা আবূ বকর (রাঃ) নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সওর গুহার সহচর ছিলেন। তার মা আসমা, যার উপাধি ছিল খাতুন নেতাক। তার খালা আয়িশা (রাঃ) উম্মূল মু’মিনীন ছিলেন, তার ফুফু খাদিজা (রাঃ) রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর স্ত্রী ছিলেন, আর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর ফুফু সফিয়া ছিলেন তার দাদী। এ ছাড়া তিনি (ইবনু যুবায়রের) তো ইসলামী জগতে নিষ্কলুষ ব্যাক্তি ও কুরআনের ক্বারী। আল্লাহর কসম! যদি তারা (বনী উমাইয়া) আমার সাথে সম্পর্ক রাখে তবে তারা আমার নিকটআত্মীয়-স্বজনের সাথে সম্পর্ক রাখল।
আর যদি তারা আমাদের রক্ষণাবেক্ষণ করে তবে তারা সমকক্ষ মর্যাদাসম্পন্ন ব্যাক্তিরই রক্ষণাবেক্ষণ করল। ইবনু যুবায়র, বনী আসা’দ, বনী তুআইত, বনী উসামা-এসব গোত্রকে আমার চেয়ে নিকটতম করে নিয়েছেন। নিশ্চই আবিল আস-এর পুত্র অর্থাৎ আবদুল মালিক ইবনু মারওয়ান অহংকারী চালচলন আরম্ভ করেছে। নিশ্চই তিনি অর্থাৎ আবদুল্লাহ ইবনু যুবায়র (রাঃ) তার লেজ গুটিয়ে নিয়েছেন।
باب قوله ثاني اثنين إذ هما في الغار إذ يقول لصاحبه لا تحزن إن الله معنا أي ناصرنا السكينة فعيلة من السكون
حَدَّثَنِي عَبْدُ اللَّهِ بْنُ مُحَمَّدٍ، قَالَ حَدَّثَنِي يَحْيَى بْنُ مَعِينٍ، حَدَّثَنَا حَجَّاجٌ، قَالَ ابْنُ جُرَيْجٍ قَالَ ابْنُ أَبِي مُلَيْكَةَ وَكَانَ بَيْنَهُمَا شَىْءٌ فَغَدَوْتُ عَلَى ابْنِ عَبَّاسٍ فَقُلْتُ أَتُرِيدُ أَنْ تُقَاتِلَ ابْنَ الزُّبَيْرِ، فَتُحِلُّ حَرَمَ اللَّهِ. فَقَالَ مَعَاذَ اللَّهِ، إِنَّ اللَّهَ كَتَبَ ابْنَ الزُّبَيْرِ وَبَنِي أُمَيَّةَ مُحِلِّينَ، وَإِنِّي وَاللَّهِ لاَ أُحِلُّهُ أَبَدًا. قَالَ قَالَ النَّاسُ بَايِعْ لاِبْنِ الزُّبَيْرِ. فَقُلْتُ وَأَيْنَ بِهَذَا الأَمْرِ عَنْهُ أَمَّا أَبُوهُ فَحَوَارِيُّ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم، يُرِيدُ الزُّبَيْرَ، وَأَمَّا جَدُّهُ فَصَاحِبُ الْغَارِ، يُرِيدُ أَبَا بَكْرٍ، وَأُمُّهُ فَذَاتُ النِّطَاقِ، يُرِيدُ أَسْمَاءَ، وَأَمَّا خَالَتُهُ فَأُمُّ الْمُؤْمِنِينَ، يُرِيدُ عَائِشَةَ، وَأَمَّا عَمَّتُهُ فَزَوْجُ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم، يُرِيدُ خَدِيجَةَ، وَأَمَّا عَمَّةُ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم فَجَدَّتُهُ، يُرِيدُ صَفِيَّةَ، ثُمَّ عَفِيفٌ فِي الإِسْلاَمِ، قَارِئٌ لِلْقُرْآنِ. وَاللَّهِ إِنْ وَصَلُونِي وَصَلُونِي مِنْ قَرِيبٍ، وَإِنْ رَبُّونِي رَبَّنِي أَكْفَاءٌ كِرَامٌ، فَآثَرَ التُّوَيْتَاتِ وَالأُسَامَاتِ وَالْحُمَيْدَاتِ، يُرِيدُ أَبْطُنًا مِنْ بَنِي أَسَدٍ بَنِي تُوَيْتٍ وَبَنِي أُسَامَةَ وَبَنِي أَسَدٍ، إِنَّ ابْنَ أَبِي الْعَاصِ بَرَزَ يَمْشِي الْقُدَمِيَّةَ، يَعْنِي عَبْدَ الْمَلِكِ بْنَ مَرْوَانَ، وَإِنَّهُ لَوَّى ذَنَبَهُ، يَعْنِي ابْنَ الزُّبَيْرِ.
Narrated Ibn Abi Mulaika:
There was a disagreement between them (i.e. Ibn `Abbas and Ibn Az-Zubair) so I went to Ibn `Abbas in the morning and said (to him), "Do you want to fight against Ibn Zubair and thus make lawful what Allah has made unlawful (i.e. fighting in Meccas?" Ibn `Abbas said, "Allah forbid! Allah ordained that Ibn Zubair and Bani Umaiya would permit (fighting in Mecca), but by Allah, I will never regard it as permissible." Ibn `Abbas added. "The people asked me to take the oath of allegiance to Ibn AzZubair. I said, 'He is really entitled to assume authority for his father, Az-Zubair was the helper of the Prophet, his (maternal) grandfather, Abu Bakr was (the Prophet's) companion in the cave, his mother, Asma' was 'Dhatun-Nitaq', his aunt, `Aisha was the mother of the Believers, his paternal aunt, Khadija was the wife of the Prophet (ﷺ) , and the paternal aunt of the Prophet (ﷺ) was his grandmother. He himself is pious and chaste in Islam, well versed in the Knowledge of the Qur'an. By Allah! (Really, I left my relatives, Bani Umaiya for his sake though) they are my close relatives, and if they should be my rulers, they are equally apt to be so and are descended from a noble family.
পরিচ্ছেদঃ ২৩৯৯. আল্লাহ তা'আলার বাণীঃ যখন তারা উভয়ে গুহার মধ্যে ছিলেন এবং তিনি ছিলেন দু’জনের একজন (৯ঃ ৪০) معنا অর্থ আল্লাহ আমাদের সাহায্যকারী, فعيلة السكينة এর সম ওযনে سكون থেকে, অর্থ প্রশান্তি
৪৩০৯। মুহাম্মদ ইবনু ’উবায়দ ইবনু মায়মূনা (রহঃ) ... ইবনু আবূ মূলায়কা (রহঃ) বলেন, আমরা ইবনু আব্বাস (রাঃ) এর ঘরে প্রবেশ করলাম। তিনি বললেন, তোমরা কি ইবনু যুবায়রের বিষয়ে বিস্মিত হবে না? তিনি তো আর এ কাজে (খিলাফতের বিষয়) স্থিতিশীল। আমি বললাম, আমি অবশ্য মনে মনে তার ব্যাপারে চিন্তা ভাবনা করি, কিন্তু আবূ বকর (রাঃ) কিংবা উমর (রাঃ) এর ব্যাপারে তটুকু চিন্তা-ভাবনা করিনি। সব দিক থেকে তার চেয়ে তারা উভয়ে উত্তম ছিলেন। আমি বললাম, তিনি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর ফুফু সফিয়া (রাঃ) এর সন্তান, যুবায়রের ছেলে, আবূ বকর (রাঃ) এর নাতি। খাদিজা (রাঃ) এর ভাতিজা, আয়িশা (রাঃ) এর বোন আসমার ছেলে। কিন্তু তিনি (নিজেকে বড় মনে করে) আমার থেকে দূরে সরে থাকেন এবং তিনি আমার সহযোগিতা কামনা করেন না। আমি বললাম, আমি নিজে থেকে এজন্য তা প্রকাশ করি না যে, হয়ত তিনি তা প্রত্যাখান করবেন। এবং আমি মনে করি না যে, তিনি এটা ভাল করেছেন। অগত্যা বণী উমাইয়ার নেতৃত্ব ও শাসন আমার কাছে অন্যদের থেকে উত্তম।
باب قوله ثاني اثنين إذ هما في الغار إذ يقول لصاحبه لا تحزن إن الله معنا أي ناصرنا السكينة فعيلة من السكون
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عُبَيْدِ بْنِ مَيْمُونٍ، حَدَّثَنَا عِيسَى بْنُ يُونُسَ، عَنْ عُمَرَ بْنِ سَعِيدٍ، قَالَ أَخْبَرَنِي ابْنُ أَبِي مُلَيْكَةَ، دَخَلْنَا عَلَى ابْنِ عَبَّاسٍ فَقَالَ أَلاَ تَعْجَبُونَ لاِبْنِ الزُّبَيْرِ قَامَ فِي أَمْرِهِ هَذَا فَقُلْتُ لأُحَاسِبَنَّ نَفْسِي لَهُ مَا حَاسَبْتُهَا لأَبِي بَكْرٍ وَلاَ لِعُمَرَ، وَلَهُمَا كَانَا أَوْلَى بِكُلِّ خَيْرٍ مِنْهُ، وَقُلْتُ ابْنُ عَمَّةِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم، وَابْنُ الزُّبَيْرِ، وَابْنُ أَبِي بَكْرٍ، وَابْنُ أَخِي خَدِيجَةَ، وَابْنُ أُخْتِ عَائِشَةَ فَإِذَا هُوَ يَتَعَلَّى عَنِّي وَلاَ يُرِيدُ ذَلِكَ فَقُلْتُ مَا كُنْتُ أَظُنُّ أَنِّي أَعْرِضُ هَذَا مِنْ نَفْسِي، فَيَدَعُهُ، وَمَا أُرَاهُ يُرِيدُ خَيْرًا، وَإِنْ كَانَ لاَ بُدَّ لأَنْ يَرُبَّنِي بَنُو عَمِّي أَحَبُّ إِلَىَّ مِنْ أَنْ يَرُبَّنِي غَيْرُهُمْ.
Narrated Ibn Abi Mulaika:
We entered upon Ibn `Abbas and he said "Are you not astonished at Ibn Az-Zubair's assuming the caliphate?" I said (to myself), "I will support him and speak of his good traits as I did not do even for Abu Bakr and `Umar though they were more entitled to receive al I good than he was." I said "He (i.e Ibn Az-Zubair) is the son of the aunt of the Prophet (ﷺ) and the son of AzZubair, and the grandson of Abu Bakr and the son of Khadija's brother, and the son of `Aisha's sister." Nevertheless, he considers himself to be superior to me and does not want me to be one of his friends. So I said, "I never expected that he would refuse my offer to support him, and I don't think he intends to do me any good, therefore, if my cousins should inevitably be my rulers, it will be better for me to be ruled by them than by some others."
পরিচ্ছেদঃ আল্লাহ তা’আলার বাণীঃ “যখন তোমরা মুখে মুখে এ ঘটনা ছড়াচ্ছিলে এবং এমন বিষয় মুখে উচ্চারন করছিলে যার কোন জ্ঞান তোমাদের ছিলনা এবং তোমরা একে তুচ্ছ মনে করেছিলে, যদিও আল্লাহর নিকট এটা ছিল গুরুতর বিষয়”।
৪৩৯৩। ইব্রাহিম ইবনু মূসা (রহঃ) ... ইবনু আবূ মুলায়কা (রহঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন আমি আয়শা (রাঃ) কে ل এর জের ও ق এর পেশ দিয়ে পড়তে শুনেছি। আল্লাহ তা’আলার বাণীঃ “ এবং তোমরা যখন এ কথা শ্রবন করলে, তখন কেন বললে না; এ বিষয় বলাবলি করা আমাদের উচিত নয়, আল্লাহ পবিত্র ও মহান, এ তো এক গুরুতর মিথ্যা অপবাদ”।
باب إذ تلقونه بألسنتكم وتقولون بأفواهكم ما ليس لكم به علم وتحسبونه هينا وهو عند الله عظيم
حَدَّثَنَا إِبْرَاهِيمُ بْنُ مُوسَى، حَدَّثَنَا هِشَامٌ، أَنَّ ابْنَ جُرَيْجٍ، أَخْبَرَهُمْ قَالَ ابْنُ أَبِي مُلَيْكَةَ سَمِعْتُ عَائِشَةَ، تَقْرَأُ (إِذْ تَلِقُونَهُ بِأَلْسِنَتِكُمْ)
Narrated Ibn Abi Mulaika:
I heard `Aisha reciting: "When you invented a lie (and carry it) on your tongues." (24.15)
পরিচ্ছেদঃ আল্লাহ তা’আলার বাণীঃ “যখন তোমরা মুখে মুখে এ ঘটনা ছড়াচ্ছিলে এবং এমন বিষয় মুখে উচ্চারন করছিলে যার কোন জ্ঞান তোমাদের ছিলনা এবং তোমরা একে তুচ্ছ মনে করেছিলে, যদিও আল্লাহর নিকট এটা ছিল গুরুতর বিষয়”।
৪৩৯৮। মুহাম্মাদ ইবনুল মূসান্না (রহঃ) ... ইবনু আবূ মুলায়কা (রহঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, ইবনু আব্বাস (রাঃ) আয়শা (রাঃ) এর ইন্তেকালের পূর্বে তার কাছে যাওয়ার জন্য অনুমতি চাইলেন। এ সময় তিনি (আয়শা (রাঃ) মৃত্যুশয্যায় শায়িত ছিলেন। তিনি বললেন, আমি ভয় করছি তিনি আমার কাছে এসে প্রশংসা করবেন। তখন তাঁর (আয়শা (রাঃ) এর কাছে বলা হল, তিনি হলেন রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর চাচাতো ভাই এবং সম্মানিত মুসলিমের অন্তর্ভুক্ত। তিনি বললেন, তবে তাকে অনুমতি দাও। তিনি এসে জিজ্ঞেস করলেন, আপনার কাছে আপনার অবস্থা কেমন লাগছে? তিনি বললেন, আমি যদি নেক হই তবে ভালই আছি। ইবনু আব্বাস (রাঃ) বললেন, আল্লাহ চাহেতো আপনি নেকই আছেন। আপনি রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সহধর্মিণী এবং তিনি আপনাকে ছাড়া আর কোন কুমারীকে বিয়ে করেন নি এবং আপনার সাফাই আসমান থেকে অবতীর্ণ হয়েছে। এরপর তাঁর পিছনে ইবনু যুবায়র (রাঃ) প্রবেশ করলেন। তখন আয়শা (রাঃ) বললেন, ইবনু আব্বাস (রাঃ) আমার কাছে এসেছিলেন এবং আমার প্রশংসা করেছেন। কিন্তু আমি এ-ই পছন্দ করি যে, আমি লোকের স্মৃতি থেকে সম্পূর্ণ বিস্মৃত হয়ে যেতাম।
باب إذ تلقونه بألسنتكم وتقولون بأفواهكم ما ليس لكم به علم وتحسبونه هينا وهو عند الله عظيم
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الْمُثَنَّى، حَدَّثَنَا يَحْيَى، عَنْ عُمَرَ بْنِ سَعِيدِ بْنِ أَبِي حُسَيْنٍ، قَالَ حَدَّثَنِي ابْنُ أَبِي مُلَيْكَةَ، قَالَ اسْتَأْذَنَ ابْنُ عَبَّاسٍ قَبْلَ مَوْتِهَا عَلَى عَائِشَةَ، وَهْىَ مَغْلُوبَةٌ قَالَتْ أَخْشَى أَنْ يُثْنِيَ عَلَىَّ. فَقِيلَ ابْنُ عَمِّ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم وَمِنْ وُجُوهِ الْمُسْلِمِينَ. قَالَتِ ائْذَنُوا لَهُ. فَقَالَ كَيْفَ تَجِدِينَكِ قَالَتْ بِخَيْرٍ إِنِ اتَّقَيْتُ. قَالَ فَأَنْتِ بِخَيْرٍ ـ إِنْ شَاءَ اللَّهُ ـ زَوْجَةُ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم وَلَمْ يَنْكِحْ بِكْرًا غَيْرَكِ، وَنَزَلَ عُذْرُكِ مِنَ السَّمَاءِ. وَدَخَلَ ابْنُ الزُّبَيْرِ خِلاَفَهُ فَقَالَتْ دَخَلَ ابْنُ عَبَّاسٍ فَأَثْنَى عَلَىَّ وَوَدِدْتُ أَنِّي كُنْتُ نِسْيًا مَنْسِيًّا.
Narrated Ibn Abu Mulaika:
Ibn `Abbas asked permission to visit Aisha before her death, and at that time she was in a state of agony. She then said. "I am afraid that he will praise me too much." And then it was said to her, "He is the cousin of Allah's Messenger (ﷺ) and one of the prominent Muslims." Then she said, "Allow him to enter." (When he entered) he said, "How are you?" She replied, "I am Alright if I fear (Allah)." Ibn `Abbas said, "Allah willing, you are Alright as you are the wife of Allah's Messenger (ﷺ) and he did not marry any virgin except you and proof of your innocence was revealed from the Heaven." Later on Ibn Az-Zubair entered after him and `Aisha said to him, "Ibn `Abbas came to me and praised me greatly, but I wish that I was a thing forgotten and out of sight."
পরিচ্ছেদঃ আল্লাহ্র বাণীঃ لا ترفعوا أصواتكم فوق صوت النبي (হে মুমিনগণ) তোমরা নবীর কণ্ঠস্বরের উপর নিজেদের কণ্ঠ উঁচু করোনা (৪৯ঃ২) تشعرون মানে তোমরা জ্ঞাত আছ। الشاعر শব্দটি এ ধাতু থেকেই নির্গত হয়েছে।
সুরা হুজুরাত
মুজাহিদ (রহ.) বলেন, لَاتُقَدِّمُوْا অর্থ, রসূল সাল্লাল্লাহু ’আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর কাছে কোন বিষয় তোমরা জিজ্ঞেস করবে না যতক্ষণ না, আল্লাহ্ তাঁর যবানে এর ফয়সালা জানিয়ে দেন। امْتَحَنَ মানে পরিশুদ্ধ করেছেন। لَا تَنَابَزُوْا ইসলাম গ্রহণের পর অপরকে যেন কুফরীর প্রতি না ডাকা হয়। يَلِتْكُمْ মানে হ্রাস করা হবে তোমাদের أَلَتْنَا মানে হ্রাস করেছি আমি।
৪৪৮৫। ইয়াসারা ইবনু সাফওয়ান ইবনু জামীল লাখমী (রহঃ) ... ইবনু আবূ মুলায়কা (রহঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, উত্তম দুই জন- আবূ বকর ও উমর (রাঃ) নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর কাছে কন্ঠস্বর উঁচু করে ধ্বংস হওয়ার উপক্রম হয়ে পড়েছিলেন। যখন বনী তামীম গোত্রের একদল লোক নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর কাছে এসেছিল। তাদের একজন বনী মাজাশে গোত্রের আকরা ইবনু হাবিসকে নির্বাচন করার জন্য প্রস্তাব করল এবং অপরজন অন্য ব্যাক্তির নাম প্রস্তাব করল। নাফি বলেন, এ লোকটির নাম আমার মনে নেই। তখন আবূ বকর সিদ্দীক (রাঃ) উমর (রাঃ) কে বললেন, আপনার ইচ্ছাই হল কেবল আমার বিরোধিতা করা। তিনি বললেন, না, আপনার বিরোধিতা করার ইচ্ছা আমার নেই। এ ব্যাপারটি নিয়ে তাঁদের কন্ঠস্বর উঁচু হয়ে গেল। তখন আল্লাহ্ তা’আলা নাযিল করলেন, “হে মু’মিনগণ! তোমরা নবীর কন্ঠস্বরের উপর নিজেদের কন্ঠস্বর উঁচু করবে না” … শেষ পর্যন্ত।
ইবনু যুবায়র (রাঃ) বলেন, এ আয়াত নাযিল হওয়ার পর উমর (রাঃ) এতো আস্তে কথা বলতেন যে, দ্বিতীয়বার জিজ্ঞেস না করা পর্যন্ত রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তা শুনতে পেতেন না। তিনি আবূ বকর (রাঃ) সম্পর্কে এ ধরনের কথা বর্ণনা করেন নি।
باب لا ترفعوا أصواتكم فوق صوت النبي الآية تشعرون تعلمون ومنه الشاعر
حَدَّثَنَا يَسَرَةُ بْنُ صَفْوَانَ بْنِ جَمِيلٍ اللَّخْمِيُّ، حَدَّثَنَا نَافِعُ بْنُ عُمَرَ، عَنِ ابْنِ أَبِي مُلَيْكَةَ، قَالَ كَادَ الْخَيِّرَانِ أَنْ يَهْلِكَا ـ أَبَا بَكْرٍ وَعُمَرَ ـ رضى الله عنهما ـ رَفَعَا أَصْوَاتَهُمَا عِنْدَ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم حِينَ قَدِمَ عَلَيْهِ رَكْبُ بَنِي تَمِيمٍ، فَأَشَارَ أَحَدُهُمَا بِالأَقْرَعِ بْنِ حَابِسٍ أَخِي بَنِي مُجَاشِعٍ، وَأَشَارَ الآخَرُ بِرَجُلٍ آخَرَ ـ قَالَ نَافِعٌ لاَ أَحْفَظُ اسْمَهُ ـ فَقَالَ أَبُو بَكْرٍ لِعُمَرَ مَا أَرَدْتَ إِلاَّ خِلاَفِي. قَالَ مَا أَرَدْتُ خِلاَفَكَ. فَارْتَفَعَتْ أَصْوَاتُهُمَا فِي ذَلِكَ، فَأَنْزَلَ اللَّهُ (يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا لاَ تَرْفَعُوا أَصْوَاتَكُمْ) الآيَةَ. قَالَ ابْنُ الزُّبَيْرِ فَمَا كَانَ عُمَرُ يُسْمِعُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم بَعْدَ هَذِهِ الآيَةِ حَتَّى يَسْتَفْهِمَهُ. وَلَمْ يَذْكُرْ ذَلِكَ عَنْ أَبِيهِ، يَعْنِي أَبَا بَكْرٍ.
Narrated Ibn Abi Mulaika:
The two righteous persons were about to be ruined. They were Abu Bakr and `Umar who raised their voices in the presence of the Prophet (ﷺ) when a mission from Bani Tamim came to him. One of the two recommended Al-Aqra' bin Habeas, the brother of Bani Mujashi (to be their governor) while the other recommended somebody else. (Nafi`, the sub-narrator said, I do not remember his name). Abu Bakr said to `Umar, "You wanted nothing but to oppose me!" `Umar said, "I did not intend to oppose you." Their voices grew loud in that argument, so Allah revealed: 'O you who believe! Raise not your voices above the voice of the Prophet.' (49.2) Ibn Az-Zubair said, "Since the revelation of this Verse, `Umar used to speak in such a low tone that the Prophet (ﷺ) had to ask him to repeat his statements." But Ibn Az-Zubair did not mention the same about his (maternal) grandfather (i.e. Abu Bakr).
পরিচ্ছেদঃ আল্লাহ্র বাণীঃ "যারা ঘরের পেছন থেকে আপনাকে উচ্চ স্বরে ডাকে, তাদের অধিকাংশই নির্বোধ" (৪৯ঃ ৪)
৪৪৮৭। হাসান ইবনু মুহাম্মদ (রহঃ) ... ইবনু আবূ মুলায়কা (রহঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, “আবদুল্লাহ ইবনু যুবায়র (রাঃ) তাদেরকে জানিয়েছেন যে, একবার বনী তামীম গোত্রের একদল লোক সাওয়ার হয়ে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর কাছে আসলেন। আবূ বকর সিদ্দীক (রাঃ) বললেন, কা’কা ইবনু মাবাদ (রাঃ) কে আমীর বানানো হোক এবং উমর (রাঃ) বললেন, আকরা ইবনু হাবিস (রাঃ) কে আমীর নিযুক্ত করা হোক। তখন আবূ বকর সিদ্দীক (রাঃ) বললেন, আপনার ইচ্ছা হল কেবল আমার বিরোধিতা করা। উত্তরে উমর (রাঃ) বললেন, আমি আপনার বিরোধিতা করার ইচ্ছা করিনি। এ নিয়ে তাঁরা পরস্পর তর্ক-বিতর্ক করতে লাগলেন, এক পর্যায়ে তাদের কন্ঠস্বর উঁচু হয়ে গেল। এ উপলক্ষে আল্লাহ্ নাযিল করলেন, “হে মু’মিনগণ! আল্লাহ্ ও তাঁর রাসূলের সমক্ষে তোমরা কোন বিষয়ে অগ্রণী হয়ো না। … আয়াত শেষ।”
بَاب قَوْلِهِ وَلَوْ أَنَّهُمْ صَبَرُوا حَتَّى تَخْرُجَ إِلَيْهِمْ لَكَانَ خَيْرًا لَهُمْ
অনুচ্ছেদঃ আল্লাহ্র বাণীঃ وَلَوْ أَنَّهُمْ صَبَرُوا حَتَّىٰ تَخْرُجَ إِلَيْهِمْ لَكَانَ خَيْرًا لَهُمْ ۚ وَاللَّهُ غَفُورٌ رَحِيمٌ "তুমি বের হয়ে তাদের কাছে আসা পর্যন্ত যদি তারা ধৈর্যধারণ করত, তা তোমার জন্য উত্তম হতো। আল্লাহ্ ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু।" (৪৯ঃ ৫)
باب إن الذين ينادونك من وراء الحجرات أكثرهم لا يعقلون
حَدَّثَنَا الْحَسَنُ بْنُ مُحَمَّدٍ، حَدَّثَنَا حَجَّاجٌ، عَنِ ابْنِ جُرَيْجٍ، قَالَ أَخْبَرَنِي ابْنُ أَبِي مُلَيْكَةَ، أَنَّ عَبْدَ اللَّهِ بْنَ الزُّبَيْرِ، أَخْبَرَهُمْ أَنَّهُ، قَدِمَ رَكْبٌ مِنْ بَنِي تَمِيمٍ عَلَى النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم فَقَالَ أَبُو بَكْرٍ أَمِّرِ الْقَعْقَاعَ بْنَ مَعْبَدٍ. وَقَالَ عُمَرُ بَلْ أَمِّرِ الأَقْرَعَ بْنَ حَابِسٍ. فَقَالَ أَبُو بَكْرٍ مَا أَرَدْتَ إِلَى ـ أَوْ إِلاَّ ـ خِلاَفِي. فَقَالَ عُمَرُ مَا أَرَدْتُ خِلاَفَكَ. فَتَمَارَيَا حَتَّى ارْتَفَعَتْ أَصْوَاتُهُمَا، فَنَزَلَ فِي ذَلِكَ (يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا لاَ تُقَدِّمُوا بَيْنَ يَدَىِ اللَّهِ وَرَسُولِهِ) حَتَّى انْقَضَتِ الآيَةُ.
Narrated `Abdullah bin Az-Zubair:
A group of Bani Tamim came to the Prophet (and requested him to appoint a governor for them). Abu Bakr said, "Appoint Al-Qaqa bin Mabad." `Umar said, "Appoint Al-Aqra' bin Habeas." On that Abu Bakr said (to `Umar). "You did not want but to oppose me!" `Umar replied "I did not intend to oppose you!" So both of them argued till their voices grew loud. So the following Verse was revealed: 'O you who believe! Be not for ward......' (49.1)
পরিচ্ছেদঃ ২৫১৫. মানুষের সঙ্গে শিষ্টাচার করা। আবূ দারদা (রাঃ) হতে বর্ণিত আছে, আমরা কোন কোন কাওমের সঙ্গে বাহ্যত হাসি-খুশি মেলামেশা করি। কিন্তু আমাদের অন্তরগুলো তাদের উপর লা’নাত বর্ষণ করে।
৫৭০২। আবদুল্লাহ ইবনু আবদুল ওহহাব (রহঃ) ... আবদুল্লাহ ইবনু আবূ মুলায়কাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিত যে। তিনি একবার নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কে কয়েকটি রেশমের তৈরী (সোনার বোতাম লাগান) ’কাবা’ হাদিয়া দেওয়া হলো। তিনি এগুলো সাহাবীদের মধ্যে বণ্টন করে দিলেন এবং তা থেকে একটি মাখরামা (রাঃ) এর জন্য আলাদা রেখে দিলেন। পরে যখন তিনি এলেন, তখন তিনি (সেটি তাকে দিয়ে) বললেনঃ আমি এটি তোমার জন্য লুকিয়ে রেখেছিলাম। আইউব নিজের কাপড়ের দিকে ইশারা করলেন, তিনি যেন তার কাপড় মাখরামাকে দেখাচ্ছিলেন। মাখরামা (রাঃ) এর মেজাজের মধ্যে কিছু (অসন্তষের ভাব) ছিল।
باب الْمُدَارَاةِ مَعَ النَّاسِ وَيُذْكَرُ عَنْ أَبِي الدَّرْدَاءِ إِنَّا لَنَكْشِرُ فِي وُجُوهِ أَقْوَامٍ، وَإِنَّ قُلُوبَنَا لَتَلْعَنُهُمْ
حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ عَبْدِ الْوَهَّابِ، أَخْبَرَنَا ابْنُ عُلَيَّةَ، أَخْبَرَنَا أَيُّوبُ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ أَبِي مُلَيْكَةَ، أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم أُهْدِيَتْ لَهُ أَقْبِيَةٌ مِنْ دِيبَاجٍ مُزَرَّرَةٌ بِالذَّهَبِ، فَقَسَمَهَا فِي نَاسٍ مِنْ أَصْحَابِهِ وَعَزَلَ مِنْهَا وَاحِدًا لِمَخْرَمَةَ، فَلَمَّا جَاءَ قَالَ " خَبَأْتُ هَذَا لَكَ ". قَالَ أَيُّوبُ بِثَوْبِهِ أَنَّهُ يُرِيهِ إِيَّاهُ، وَكَانَ فِي خُلُقِهِ شَىْءٌ. رَوَاهُ حَمَّادُ بْنُ زَيْدٍ عَنْ أَيُّوبَ وَقَالَ حَاتِمُ بْنُ وَرْدَانَ حَدَّثَنَا أَيُّوبُ، عَنِ ابْنِ أَبِي مُلَيْكَةَ، عَنِ الْمِسْوَرِ، قَدِمَتْ عَلَى النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم أَقْبِيَةٌ.
Narrated `Abdullah bin Abu Mulaika:
The Prophet (ﷺ) was given a gift of a few silken cloaks with gold buttons. He distributed them amongst some of his companions and put aside one of them for Makhrama. When Makhrama came, the Prophet said, "I kept this for you." (Aiyub, the sub-narrator held his garment to show how the Prophet (ﷺ) showed the cloak to Makhrama who had something unfavorable about his temper.)