পরিচ্ছেদঃ ৩১/৩৮. জাহান্নামের বর্ণনা

১/৪৩১৮। আনাস ইবনে মালেক (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ তোমাদের দুনিয়ার এ আগুন জাহান্নামের আগুনের সত্তর ভাগের একভাগ (উত্তাপের দিক থেকে)। যদি সেই আগুনকে দু’বার পানি দ্বারা ঠান্ডা করা না হতো তবে তোমরা এর দ্বারা উপকৃত হতে পারতে না। এ আগুন মহামহিম আল্লাহর নিকট প্রার্থনা করছে যে আবার তাকে জাহান্নামে ফেরত না নেয়া হয়।

بَاب صِفَةِ النَّارِ

حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ نُمَيْرٍ، حَدَّثَنَا أَبِي وَيَعْلَى، قَالاَ حَدَّثَنَا إِسْمَاعِيلُ بْنُ أَبِي خَالِدٍ، عَنْ نُفَيْعٍ أَبِي دَاوُدَ، عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ ‏ "‏ إِنَّ نَارَكُمْ هَذِهِ جُزْءٌ مِنْ سَبْعِينَ جُزْءًا مِنْ نَارِ جَهَنَّمَ وَلَوْلاَ أَنَّهَا أُطْفِئَتْ بِالْمَاءِ مَرَّتَيْنِ مَا انْتَفَعْتُمْ بِهَا وَإِنَّهَا لَتَدْعُو اللَّهَ عَزَّ وَجَلَّ أَنْ لاَ يُعِيدَهَا فِيهَا ‏"‏ ‏.‏

حدثنا محمد بن عبد الله بن نمير، حدثنا ابي ويعلى، قالا حدثنا اسماعيل بن ابي خالد، عن نفيع ابي داود، عن انس بن مالك، قال قال رسول الله ـ صلى الله عليه وسلم ـ ‏ "‏ ان ناركم هذه جزء من سبعين جزءا من نار جهنم ولولا انها اطفىت بالماء مرتين ما انتفعتم بها وانها لتدعو الله عز وجل ان لا يعيدها فيها ‏"‏ ‏.‏


It was narrated from Anas bin Malik that the Messenger of Allah (ﷺ) said:
“This fire of yours is one-seventieth part of the fire of Hell. Were it not that its heat has been reduced by water twice, you would not have been able to benefit from it. And it is praying to Allah, asking Allah not to return it (to its original level of heat).”


হাদিসের মানঃ সহিহ/যঈফ [মিশ্রিত]
পুনঃনিরীক্ষণঃ
সুনান ইবনু মাজাহ
৩১/ পার্থিব ভোগবিলাসের প্রতি অনাসক্তি (كتاب الزهد) 31/ Zuhd

পরিচ্ছেদঃ ৩১/৩৮. জাহান্নামের বর্ণনা

২/৪৩১৯। আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ জাহান্নাম তার প্রভুর নিকট অভিযোগ করে বললো, হে আমার রব! আমার একাংশ অপরাংশকে গ্রাস করেছে। তখন আল্লাহ তাকে দু’বার নিঃশ্বাস নেয়ার অনুমতি দিলেনঃ একটি শীতকালে অপরটি গ্রীষ্মকালে। তোমরা দুনিয়াতে যে ঠান্ডা অনুভব করো তা হলো জাহান্নামের হিম শীতলতা থেকে এবং যে গরম অনুভব করো তা হলো জাহান্নামের আগুনের উষ্ণতা থেকে।

بَاب صِفَةِ النَّارِ

حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ إِدْرِيسَ، عَنِ الأَعْمَشِ، عَنْ أَبِي صَالِحٍ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ ‏ "‏ اشْتَكَتِ النَّارُ إِلَى رَبِّهَا فَقَالَتْ يَا رَبِّ أَكَلَ بَعْضِي بَعْضًا ‏.‏ فَجَعَلَ لَهَا نَفَسَيْنِ نَفَسٌ فِي الشِّتَاءِ وَنَفَسٌ فِي الصَّيْفِ فَشِدَّةُ مَا تَجِدُونَ مِنَ الْبَرْدِ مِنْ زَمْهَرِيرِهَا وَشِدَّةُ مَا تَجِدُونَ مِنَ الْحَرِّ مِنْ سَمُومِهَا ‏"‏ ‏.‏

حدثنا ابو بكر بن ابي شيبة، حدثنا عبد الله بن ادريس، عن الاعمش، عن ابي صالح، عن ابي هريرة، قال قال رسول الله ـ صلى الله عليه وسلم ـ ‏ "‏ اشتكت النار الى ربها فقالت يا رب اكل بعضي بعضا ‏.‏ فجعل لها نفسين نفس في الشتاء ونفس في الصيف فشدة ما تجدون من البرد من زمهريرها وشدة ما تجدون من الحر من سمومها ‏"‏ ‏.‏


It was narrated from Abu Hurairah that the Messenger of Allah (ﷺ) said:
“The Fire complained to its Lord and said: ‘O Lord, parts of me have consumed other parts.’ So He gave it two occasions to exhale, one in winter and one in summer. The intense cold that you feel (in winter) is part of its severe frost (Zamharir) and the intense heat that you feel in summer is part of its hot wind (Samum).”


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
সুনান ইবনু মাজাহ
৩১/ পার্থিব ভোগবিলাসের প্রতি অনাসক্তি (كتاب الزهد) 31/ Zuhd

পরিচ্ছেদঃ ৩১/৩৮. জাহান্নামের বর্ণনা

৩/৪৩২০। আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেনঃ জাহান্নামের আগুন হাজার বছর ধরে উত্তপ্ত করার পর তা সাদা রং ধারণ করে আবার তা হাজার বছর ধরে উতপ্ত করার পর লাল রং ধারণ করে। আবার হাজার বছর ধরে উত্তপ্ত করার পর তা কালো বর্ণ ধারণ করে। এখন তা গভীর অন্ধকার রাতের মতো অন্ধকার অবস্থায় আছে।

بَاب صِفَةِ النَّارِ

حَدَّثَنَا الْعَبَّاسُ بْنُ مُحَمَّدٍ الدُّورِيُّ، حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ أَبِي بُكَيْرٍ، حَدَّثَنَا شَرِيكٌ، عَنْ عَاصِمٍ، عَنْ أَبِي صَالِحٍ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، عَنِ النَّبِيِّ ـ صلى الله عليه وسلم ـ قَالَ ‏ "‏ أُوقِدَتِ النَّارُ أَلْفَ سَنَةٍ فَابْيَضَّتْ ثُمَّ أُوقِدَتْ أَلْفَ سَنَةٍ فَاحْمَرَّتْ ثُمَّ أُوقِدَتْ أَلْفَ سَنَةٍ فَاسْوَدَّتْ فَهِيَ سَوْدَاءُ كَاللَّيْلِ الْمُظْلِمِ ‏"‏ ‏.‏

حدثنا العباس بن محمد الدوري، حدثنا يحيى بن ابي بكير، حدثنا شريك، عن عاصم، عن ابي صالح، عن ابي هريرة، عن النبي ـ صلى الله عليه وسلم ـ قال ‏ "‏ اوقدت النار الف سنة فابيضت ثم اوقدت الف سنة فاحمرت ثم اوقدت الف سنة فاسودت فهي سوداء كالليل المظلم ‏"‏ ‏.‏


It was narrated from Abu Hurairah that the Prophet (ﷺ) said:
“The Hell-Fire was kindled for one thousand years and turned white. Then it was kindled for another thousand years and it turned red. Then it was kindled for another thousand years and it turned black. So it is black like the darkest night.”


হাদিসের মানঃ যঈফ (Dai'f)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
সুনান ইবনু মাজাহ
৩১/ পার্থিব ভোগবিলাসের প্রতি অনাসক্তি (كتاب الزهد) 31/ Zuhd

পরিচ্ছেদঃ ৩১/৩৮. জাহান্নামের বর্ণনা

৪/৪৩২১। আনাস ইবনে মালেক (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ কিয়ামতের দিন কাফেরদের মধ্য থেকে এমন এক ব্যক্তিকে হাযির করা হবে, যে দুনিয়াতে আরাম-আয়েশে দিন কাটিয়েছে। বলা হবে, তোমরা (ফেরেশতারা) একে জাহান্নামে একটি চুবান দাও। অতএব তাকে জাহান্নামে একটি চুবান দেয়া হবে। অতঃপর তাকে জিজ্ঞেস করা হবে, হে অমুক! তুকি কি কখনো সুখের ছোঁয়া পেয়েছো? সে বলবে, না, আমি কখনো সুখের ছোঁয়া পাইনি। অতঃপর (কিয়ামতের দিন) ঈমানদারদের মধ্য হতে এমন এক ব্যক্তিকে হাযির করা হবে, যে দুনিয়াতে দুঃখ-কষ্ট ও বিপদাপদে জীবন কাটিয়েছে। বলা হবে, একে একটু জান্নাত দেখাও। অতঃপর তাকে জান্নাত দেখানো হবে। এরপর তাকে বলা হবে, হে অমুক! তোমাকে কি কখনো দুঃখ-কষ্ট ও বিপদাপদ স্পর্শ করেছে? সে বলবে, আমি কখনো দুঃখ-কষ্টে পতিত হইনি।

بَاب صِفَةِ النَّارِ

حَدَّثَنَا الْخَلِيلُ بْنُ عَمْرٍو، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ سَلَمَةَ الْحَرَّانِيُّ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ إِسْحَاقَ، عَنْ حُمَيْدٍ الطَّوِيلِ، عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ ‏ "‏ يُؤْتَى يَوْمَ الْقِيَامَةِ بِأَنْعَمِ أَهْلِ الدُّنْيَا مِنَ الْكُفَّارِ فَيُقَالُ اغْمِسُوهُ فِي النَّارِ غَمْسَةً ‏.‏ فَيُغْمَسُ فِيهَا ثُمَّ يُقَالُ لَهُ أَىْ فُلاَنُ هَلْ أَصَابَكَ نَعِيمٌ قَطُّ فَيَقُولُ لاَ مَا أَصَابَنِي نَعِيمٌ قَطُّ ‏.‏ وَيُؤْتَى بِأَشَدِّ الْمُؤْمِنِينَ ضُرًّا وَبَلاَءً ‏.‏ فَيُقَالُ اغْمِسُوهُ غَمْسَةً فِي الْجَنَّةِ ‏.‏ فَيُغْمَسُ فِيهَا غَمْسَةً فَيُقَالُ لَهُ أَىْ فُلاَنُ هَلْ أَصَابَكَ ضُرٌّ قَطُّ أَوْ بَلاَءٌ فَيَقُولُ مَا أَصَابَنِي قَطُّ ضُرٌّ وَلاَ بَلاَءٌ ‏"‏ ‏.‏

حدثنا الخليل بن عمرو، حدثنا محمد بن سلمة الحراني، عن محمد بن اسحاق، عن حميد الطويل، عن انس بن مالك، قال قال رسول الله ـ صلى الله عليه وسلم ـ ‏ "‏ يوتى يوم القيامة بانعم اهل الدنيا من الكفار فيقال اغمسوه في النار غمسة ‏.‏ فيغمس فيها ثم يقال له اى فلان هل اصابك نعيم قط فيقول لا ما اصابني نعيم قط ‏.‏ ويوتى باشد المومنين ضرا وبلاء ‏.‏ فيقال اغمسوه غمسة في الجنة ‏.‏ فيغمس فيها غمسة فيقال له اى فلان هل اصابك ضر قط او بلاء فيقول ما اصابني قط ضر ولا بلاء ‏"‏ ‏.‏


It was narrated from Anas bin Malik that the Messenger of Allah (ﷺ) said:
“On the Day of Resurrection the disbeliever who lived the most luxurious will be brought, and it will be said: ‘Dip him once in Hell.’ So he will be dipped in it, then it will be said to him: ‘O so- and-so, have you every enjoyed any pleasure?’ He will say: ‘No, I have never enjoyed any pleasure.’ Then the believer who suffered the most hardship and trouble will be brought and it will be said: ‘Dip him once in Paradise.’ So he will be dipped in it and it will be said to him: ‘O so-and-so, have you ever suffered any hardship or trouble?’ He will say: ‘I have never suffered any hardship or trouble.’”


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
সুনান ইবনু মাজাহ
৩১/ পার্থিব ভোগবিলাসের প্রতি অনাসক্তি (كتاب الزهد) 31/ Zuhd

পরিচ্ছেদঃ ৩১/৩৮. জাহান্নামের বর্ণনা

৫/৪৩২২। আবূ সাঈদ আল-খুদরী (রাঃ) থেকে বর্ণিত। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেনঃ কাফেরদের দেহ হবে অস্বাভাবিক মোটা, এমনকি তার এক একটি দাঁত হবে উহুদ পাহাড়ের চেয়েও বড়ো। আর তার দেহ হবে তার দাঁতের তুলনায় এতো বিরাট, যেমন তোমাদের কারো দাঁতের তুলনায় তার দেহ অনেক বড় হয়ে থাকে।

بَاب صِفَةِ النَّارِ

حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا بَكْرُ بْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ، حَدَّثَنَا عِيسَى بْنُ الْمُخْتَارِ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ أَبِي لَيْلَى، عَنْ عَطِيَّةَ الْعَوْفِيِّ، عَنْ أَبِي سَعِيدٍ الْخُدْرِيِّ، عَنِ النَّبِيِّ ـ صلى الله عليه وسلم ـ قَالَ ‏ "‏ إِنَّ الْكَافِرَ لَيَعْظُمُ حَتَّى إِنَّ ضِرْسَهُ لأَعْظَمُ مِنْ أُحُدٍ وَفَضِيلَةُ جَسَدِهِ عَلَى ضِرْسِهِ كَفَضِيلَةِ جَسَدِ أَحَدِكُمْ عَلَى ضِرْسِهِ ‏"‏ ‏.‏

حدثنا ابو بكر بن ابي شيبة، حدثنا بكر بن عبد الرحمن، حدثنا عيسى بن المختار، عن محمد بن ابي ليلى، عن عطية العوفي، عن ابي سعيد الخدري، عن النبي ـ صلى الله عليه وسلم ـ قال ‏ "‏ ان الكافر ليعظم حتى ان ضرسه لاعظم من احد وفضيلة جسده على ضرسه كفضيلة جسد احدكم على ضرسه ‏"‏ ‏.‏


It was narrated from Abu Sa’eed Al-Khudri that the Prophet (ﷺ) said:
“The disbeliever will be made huge so much so that his molar will be bigger than (Mount) Uhud, and the size of his body in relation to his molar will be like the size of the body of anyone of you in relation to his molar.”


হাদিসের মানঃ সহিহ/যঈফ [মিশ্রিত]
পুনঃনিরীক্ষণঃ
সুনান ইবনু মাজাহ
৩১/ পার্থিব ভোগবিলাসের প্রতি অনাসক্তি (كتاب الزهد) 31/ Zuhd

পরিচ্ছেদঃ ৩১/৩৮. জাহান্নামের বর্ণনা

৬/৪৩২৩। আবদুল্লাহ ইবনে কায়েস (রাঃ) বলেন, এক রাতে আমি আবূ বুরদা (রাঃ)-র নিকট উপস্থিত ছিলাম। ইত্যবসরে হারিস ইবনে উকাইস (রাঃ) আমাদের নিকট প্রবেশ করলেন। হারিস (রাঃ) সে রাতে আমাদের নিকট হাদীস বর্ণনা করেন যে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ আমার উম্মাতের মধ্যে এমন ব্যক্তিও হবে যার শাফা’আতে মুদার গোত্রের লোকসংখ্যার চেয়ে অধিক সংখ্যক লোক জান্নাতে প্রবেশ করবে। আবার আমার উম্মাতের মধ্যে এমন ব্যক্তিও হবে, যে জাহান্নামের জন্য এতো হৃষ্টপুষ্ট হবে যে, এমনকি তার এক কোণা ভরে যাবে।

بَاب صِفَةِ النَّارِ

حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّحِيمِ بْنُ سُلَيْمَانَ، عَنْ دَاوُدَ بْنِ أَبِي هِنْدٍ، حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ قَيْسٍ، قَالَ كُنْتُ عِنْدَ أَبِي بُرْدَةَ ذَاتَ لَيْلَةٍ فَدَخَلَ عَلَيْنَا الْحَارِثُ بْنُ أُقَيْشٍ فَحَدَّثَنَا الْحَارِثُ، لَيْلَتَئِذٍ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ قَالَ ‏ "‏ إِنَّ مِنْ أُمَّتِي مَنْ يَدْخُلُ الْجَنَّةَ بِشَفَاعَتِهِ أَكْثَرُ مِنْ مُضَرَ وَإِنَّ مِنْ أُمَّتِي مَنْ يَعْظُمُ لِلنَّارِ حَتَّى يَكُونَ أَحَدَ زَوَايَاهَا ‏"‏ ‏.‏

حدثنا ابو بكر بن ابي شيبة، حدثنا عبد الرحيم بن سليمان، عن داود بن ابي هند، حدثنا عبد الله بن قيس، قال كنت عند ابي بردة ذات ليلة فدخل علينا الحارث بن اقيش فحدثنا الحارث، ليلتىذ ان رسول الله ـ صلى الله عليه وسلم ـ قال ‏ "‏ ان من امتي من يدخل الجنة بشفاعته اكثر من مضر وان من امتي من يعظم للنار حتى يكون احد زواياها ‏"‏ ‏.‏



‘Abdullah bin Qais said:
“I was with Abu Burdah one night, and Harith bin Uqaish entered upon us. Harith told us that night that the Messenger of Allah (ﷺ) said: ‘Among my nation are some by whose intercession more (than the members of the tribe of) Mudar will enter Paradise, and among my nation are some who will be made huge for the Fire until they fill one of its corners.’”


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
সুনান ইবনু মাজাহ
৩১/ পার্থিব ভোগবিলাসের প্রতি অনাসক্তি (كتاب الزهد) 31/ Zuhd

পরিচ্ছেদঃ ৩১/৩৮. জাহান্নামের বর্ণনা

৭/৪৩২৪। আনাস ইবনে মালেক (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ জাহান্নামীদের জন্য পাঠানো হবে কেবল কান্নাকাটি। তারা কাঁদতে কাঁদতে তাদের চোখের পানি শেষ হয়ে যাবে। অতঃপর তাদের চোখ দিয়ে ঝরতে থাকবে রক্তাশ্রু। ফলে তাদের মুখমণ্ডল ে বিরাটকায় গর্ত সদৃশ গর্ত সৃষ্টি হবে। তাতে নৌযান ছেড়ে দিলে অব্যশই তা অনায়াসে চলতে পারবে।

بَاب صِفَةِ النَّارِ

حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ نُمَيْرٍ، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عُبَيْدٍ، عَنِ الأَعْمَشِ، عَنْ يَزِيدَ الرَّقَاشِيِّ، عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ ‏ "‏ يُرْسَلُ الْبُكَاءُ عَلَى أَهْلِ النَّارِ فَيَبْكُونَ حَتَّى يَنْقَطِعَ الدُّمُوعُ ثُمَّ يَبْكُونَ الدَّمَ حَتَّى يَصِيرَ فِي وُجُوهِهِمْ كَهَيْئَةِ الأُخْدُودِ لَوْ أُرْسِلَتْ فِيهِ السُّفُنُ لَجَرَتْ ‏"‏ ‏.‏

حدثنا محمد بن عبد الله بن نمير، حدثنا محمد بن عبيد، عن الاعمش، عن يزيد الرقاشي، عن انس بن مالك، قال قال رسول الله ـ صلى الله عليه وسلم ـ ‏ "‏ يرسل البكاء على اهل النار فيبكون حتى ينقطع الدموع ثم يبكون الدم حتى يصير في وجوههم كهيىة الاخدود لو ارسلت فيه السفن لجرت ‏"‏ ‏.‏


It was narrated from Anas bin Malik that the Messenger of Allah (ﷺ) said:
“The people of Hell will be made to weep and they will weep until they run out of tears. Then they will weep blood until something like trenches appear on their faces, and if ships were placed in them they would float.”


হাদিসের মানঃ সহিহ/যঈফ [মিশ্রিত]
পুনঃনিরীক্ষণঃ
সুনান ইবনু মাজাহ
৩১/ পার্থিব ভোগবিলাসের প্রতি অনাসক্তি (كتاب الزهد) 31/ Zuhd

পরিচ্ছেদঃ ৩১/৩৮. জাহান্নামের বর্ণনা

৮/৪৩২৫। ইবনে আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এ আয়াত পড়লেন (অনুবাদঃ) ’’হে ঈমানদারগণ! তোমরা আল্লাহকে যথার্থভাবে ভয় করো এবং তোমরা আত্মসমপর্ণকারী না হয়ে কোন অবস্থায় মরো না’’ (সূরা আল ইমরানঃ ১০২)। যাক্কুমের একটি বিন্দুও যদি পৃথিবীতে পতিত হতো তাহলে দুনিয়াবাসীর জীবন দুর্বিসহ হয়ে যেতো। আর এটাই যাদের খাদ্য হবে তাদের কী অবস্থা হবে।

بَاب صِفَةِ النَّارِ

حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ بَشَّارٍ، حَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي عَدِيٍّ، عَنْ شُعْبَةَ، عَنْ سُلَيْمَانَ، عَنْ مُجَاهِدٍ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، قَالَ قَرَأَ رَسُولُ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ ‏(يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا اتَّقُوا اللَّهَ حَقَّ تُقَاتِهِ وَلاَ تَمُوتُنَّ إِلاَّ وَأَنْتُمْ مُسْلِمُونَ )‏ ‏"‏ وَلَوْ أَنَّ قَطْرَةً مِنَ الزَّقُّومِ قُطِرَتْ فِي الأَرْضِ لأَفْسَدَتْ عَلَى أَهْلِ الدُّنْيَا مَعِيشَتَهُمْ فَكَيْفَ بِمَنْ لَيْسَ لَهُ طَعَامٌ غَيْرُهُ ‏"‏ ‏.‏

حدثنا محمد بن بشار، حدثنا ابن ابي عدي، عن شعبة، عن سليمان، عن مجاهد، عن ابن عباس، قال قرا رسول الله ـ صلى الله عليه وسلم ـ ‏(يا ايها الذين امنوا اتقوا الله حق تقاته ولا تموتن الا وانتم مسلمون )‏ ‏"‏ ولو ان قطرة من الزقوم قطرت في الارض لافسدت على اهل الدنيا معيشتهم فكيف بمن ليس له طعام غيره ‏"‏ ‏.‏


It was narrated from Ibn ‘Abbas that the Messenger of Allah (ﷺ) recited:
“O you who believe! Have fear of Allah as is His due, and die not except as Muslims. [3:102] (Then he said): ‘If a drop of Zaqqum were to be dropped on the earth, it would ruin the livelihood of the people of this world, so how about those who have no food other than it (i.e. Zaqqum)?’”


হাদিসের মানঃ যঈফ (Dai'f)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
সুনান ইবনু মাজাহ
৩১/ পার্থিব ভোগবিলাসের প্রতি অনাসক্তি (كتاب الزهد) 31/ Zuhd

পরিচ্ছেদঃ ৩১/৩৮. জাহান্নামের বর্ণনা

৯/৪৩২৬। আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেনঃ জাহান্নামের আগুন সিজদার চিহ্নসম্বলিত স্থান ব্যতীত আদম সন্তানের সমস্ত দেহ খেয়ে ফেলবে। আল্লাহ তা’আলা সিজদার চিহ্নসমূহ গ্রাস করা জাহান্নামের আগুনের জন্য হারাম করেছেন।

بَاب صِفَةِ النَّارِ

حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عَبَادَةَ الْوَاسِطِيُّ، حَدَّثَنَا يَعْقُوبُ بْنُ مُحَمَّدٍ الزُّهْرِيُّ، حَدَّثَنَا إِبْرَاهِيمُ بْنُ سَعْدٍ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، عَنْ عَطَاءِ بْنِ يَزِيدَ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، عَنِ النَّبِيِّ ـ صلى الله عليه وسلم ـ قَالَ ‏ "‏ تَأْكُلُ النَّارُ ابْنَ آدَمَ إِلاَّ أَثَرَ السُّجُودِ حَرَّمَ اللَّهُ عَلَى النَّارِ أَنْ تَأْكُلَ أَثَرَ السُّجُودِ ‏"‏ ‏.‏

حدثنا محمد بن عبادة الواسطي، حدثنا يعقوب بن محمد الزهري، حدثنا ابراهيم بن سعد، عن الزهري، عن عطاء بن يزيد، عن ابي هريرة، عن النبي ـ صلى الله عليه وسلم ـ قال ‏ "‏ تاكل النار ابن ادم الا اثر السجود حرم الله على النار ان تاكل اثر السجود ‏"‏ ‏.‏


It was narrated from Abu Hurairah that the Prophet (ﷺ) said:
“The Fire will consume all of the son of Adam except the mark of prostration. Allah has forbidden the Fire to consume the mark of prostration.’”


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
সুনান ইবনু মাজাহ
৩১/ পার্থিব ভোগবিলাসের প্রতি অনাসক্তি (كتاب الزهد) 31/ Zuhd

পরিচ্ছেদঃ ৩১/৩৮. জাহান্নামের বর্ণনা

১০/৪৩২৭। আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ ’’মৃত্যু’’ নামক সৃষ্টিকে এনে কিয়ামতের দিন পুলসিরাতের উপর স্থাপন করা হবে। অতঃপর ডাকা হবে, হে জান্নাতবাসীগণ! তারা ভীত-সন্ত্রস্ত হয়ে আবির্ভূত হবে, না জানি তাদের বর্তমান অবস্থান থেকে তাদেরকে বহিস্কার করা হয়। অতঃপর বলা হবে, হে জাহান্নামবাসীরা! তারা আনন্দিত ও উৎফুল্ল হয়ে আত্মপ্রকাশ করবে, হয়তো তাদের বর্তমান অবস্থান থেকে তাদেরকে মুক্তি দেয়া হবে। অতঃপর বলা হবে, তোমরা কি একে চিনো? তারা বলবে, হাঁ, এ হলো ’’মৃত্যু’’। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেনঃ অতঃপর তার সম্পর্কে নির্দেশ দেয়া হলে তাকে পুরসিরাতের উপর যবেহ করা হবে। অতঃপর জান্নাতাবাসী ও জাহান্নামবাসীদের বলা হবে, তোমরা উভয় দল স্ব স্ব স্থানে স্থায়ীভাবে অবস্থান করো। এখানে কখনো মৃত্যু নেই।

بَاب صِفَةِ النَّارِ

حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ بِشْرٍ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ عَمْرٍو، عَنْ أَبِي سَلَمَةَ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ ‏ "‏ يُؤْتَى بِالْمَوْتِ يَوْمَ الْقِيَامَةِ فَيُوقَفُ عَلَى الصِّرَاطِ فَيُقَالُ يَا أَهْلَ الْجَنَّةِ ‏.‏ فَيَطَّلِعُونَ خَائِفِينَ وَجِلِينَ أَنْ يُخْرَجُوا مِنْ مَكَانِهِمُ الَّذِي هُمْ فِيهِ ثُمَّ يُقَالُ يَا أَهْلَ النَّارِ فَيَطَّلِعُونَ مُسْتَبْشِرِينَ فَرِحِينَ أَنْ يُخْرَجُوا مِنْ مَكَانِهِمُ الَّذِي هُمْ فِيهِ فَيُقَالُ هَلْ تَعْرِفُونَ هَذَا قَالُوا نَعَمْ هَذَا الْمَوْتُ ‏.‏ قَالَ فَيُؤْمَرُ بِهِ فَيُذْبَحُ عَلَى الصِّرَاطِ ثُمَّ يُقَالُ لِلْفَرِيقَيْنِ كِلاَهُمَا خُلُودٌ فِيمَا تَجِدُونَ لاَ مَوْتَ فِيهِ أَبَدًا ‏"‏ ‏.‏

حدثنا ابو بكر بن ابي شيبة، حدثنا محمد بن بشر، عن محمد بن عمرو، عن ابي سلمة، عن ابي هريرة، قال قال رسول الله ـ صلى الله عليه وسلم ـ ‏ "‏ يوتى بالموت يوم القيامة فيوقف على الصراط فيقال يا اهل الجنة ‏.‏ فيطلعون خاىفين وجلين ان يخرجوا من مكانهم الذي هم فيه ثم يقال يا اهل النار فيطلعون مستبشرين فرحين ان يخرجوا من مكانهم الذي هم فيه فيقال هل تعرفون هذا قالوا نعم هذا الموت ‏.‏ قال فيومر به فيذبح على الصراط ثم يقال للفريقين كلاهما خلود فيما تجدون لا موت فيه ابدا ‏"‏ ‏.‏


It was narrated from Abu Hurairah that the Messenger of Allah (ﷺ) said:
‘Death will be brought on the Day of Resurrection and made to stand on the Sirat (the Bridge over Hell). It will be said: “O people of Paradise!” And they will look. Anxious and afraid lest they be brought out of the place they are in. Then it will be said: “O people of Hell!” and they will look, hoping that they will be brought out of the place they are in. Then it will be said: “Do you know what this is?” They will say: “Yes, this is Death.” Then the command will be given for it to be slaughtered on the Sirat, and it will be said to both groups: “It is eternal wherever you are, and there will never be any death therein.”


হাদিসের মানঃ হাসান (Hasan)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
সুনান ইবনু মাজাহ
৩১/ পার্থিব ভোগবিলাসের প্রতি অনাসক্তি (كتاب الزهد) 31/ Zuhd
দেখানো হচ্ছেঃ থেকে ১০ পর্যন্ত, সর্বমোট ১০ টি রেকর্ডের মধ্য থেকে