পরিচ্ছেদঃ ৩১/৩৭. শাফা‘আতের আলোচনা
১/৪৩০৭। আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ প্রত্যেক নবীর জন্য একটি করে দোয়া আছে যা কবুল করা হয়। আর প্রত্যেক নবী তাঁর দু’আর ব্যাপারে তাড়াহুড়া করেছেন আর আমি আমার দু’আ আমার উম্মাতের শাফাআতের জন্য জমা রেখেছি। অতএব আমার উম্মাতের মধ্যে যারা আল্লাহর সাথে শিরক না করে মারা যাবে তারা আমার শাফাআত প্রাপ্ত হবে।
بَاب ذِكْرِ الشَّفَاعَةِ
حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا أَبُو مُعَاوِيَةَ، عَنِ الأَعْمَشِ، عَنْ أَبِي صَالِحٍ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ " لِكُلِّ نَبِيٍّ دَعْوَةٌ مُسْتَجَابَةٌ فَتَعَجَّلَ كُلُّ نَبِيٍّ دَعْوَتَهُ وَإِنِّي اخْتَبَأْتُ دَعْوَتِي شَفَاعَةً لأُمَّتِي فَهِيَ نَائِلَةٌ مَنْ مَاتَ مِنْهُمْ لاَ يُشْرِكُ بِاللَّهِ شَيْئًا " .
It was narrated from Abu Hurairah that the Messenger of Allah (ﷺ) said:
“Every Prophet had a prayer that was answered, and every Prophet offered this prayer in this world. But I am saving my prayer so that I can intercede for my nation, and it reaches every one of them who dies not associating anything with Allah.”
পরিচ্ছেদঃ ৩১/৩৭. শাফা‘আতের আলোচনা
২/৪৩০৮। আবূ সাঈদ (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ আমি আদম সন্তানদের সরদার, তাতে গর্বের কিছু নেই। কিয়ামতের দিন সর্বপ্রথম আমার জন্য জমীন বিদীর্ণ হবে (কবর থেকে সর্বপ্রথম আমিই উঠবো), এতে গর্বের কিছু নাই। আমিই হবো সর্বপ্রথম শাফাআতকারী এবং সর্বাগ্রে আমার শাফাআত কবুল করা হবে। এতেও কোন গর্ব নেই। কিয়ামতের দিন আল্লাহর প্রশংসার পতাকা আমার হাতে থাকবে। এতেও গর্বের কিছু নেই।
উক্ত হাদিসটি সহীহ কিন্তু আলী বিন যায়দ বিন জুদআন এর কারণে সানাদটি দুর্বল। হাদিসটির ১৭৯ টি শাহিদ হাদিস রয়েছে, ১৭ টি খুবই দুর্বল, ৪০ টি দুর্বল, ৫৮ টি হাসান, ৬৪ টি সহীহ হাদিস পাওয়া যায়। তন্মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলঃ মুসলিম ২২৭৯, তিরমিযি ৩১৪৮, ৩৬১৫, আবু দাউদ ৪৬৭৩, দারিমী ১০৫৮৯, ১০৬০৪, ২২৭৮৩, ২২৭৮৪, ২২৭৮৫, ২২৭৮৬, মুসান্নাফ আবদুর রাযযাক ৫২৪৬, মু'জামুল আওসাত ১৭০, ৫০৮২।
بَاب ذِكْرِ الشَّفَاعَةِ
حَدَّثَنَا مُجَاهِدُ بْنُ مُوسَى، وَأَبُو إِسْحَاقَ الْهَرَوِيُّ إِبْرَاهِيمُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ حَاتِمٍ قَالاَ حَدَّثَنَا هُشَيْمٌ، أَنْبَأَنَا عَلِيُّ بْنُ زَيْدِ بْنِ جُدْعَانَ، عَنْ أَبِي نَضْرَةَ، عَنْ أَبِي سَعِيدٍ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ " أَنَا سَيِّدُ وَلَدِ آدَمَ وَلاَ فَخْرَ وَأَنَا أَوَّلُ مَنْ تَنْشَقُّ الأَرْضُ عَنْهُ يَوْمَ الْقِيَامَةِ وَلاَ فَخْرَ وَأَنَا أَوَّلُ شَافِعٍ وَأَوَّلُ مُشَفَّعٍ وَلاَ فَخْرَ وَلِوَاءُ الْحَمْدِ بِيَدِي يَوْمَ الْقِيَامَةِ وَلاَ فَخْرَ " .
It was narrated from Abu Sa’eed that the Messenger of Allah (ﷺ) said:
“I am the leader of the sons of Adam, and it is no boast. I will be the first one for whom the earth will be split open on the Day of Resurrection, and it is no boast. I will be the first to intercede and the first whose intercession will be accepted, and it is no boast. The banner of praise will be in my hand on the Day of Resurrection, and it is no boast.”
পরিচ্ছেদঃ ৩১/৩৭. শাফা‘আতের আলোচনা
৩/৪৩০৯। আবূ সাঈদ (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ আহা দোখবাসী, যারা জাহান্নামবাসী তারা সেখানে মরবেও না, বাঁচবেও না। তবে কতক লোক তাদের ভুলত্রুটি ও গুনাহের কারণে জাহান্নামে শাস্তি ভোগ করবে। আগুন তাদের দগ্ধীভূত করবে, ফলে তারা কয়লাবৎ হয়ে যাবে। তখন তাদের শাফাআতের অনুমতি দেয়া হবে। তাদের দলে দলে জাহান্নাম থেকে বের করে আনা হবে এবং জান্নাতের ঝরনার নিকট ছড়িয়ে রাখা হবে। তখন বলা হবে, হে জান্নাতবাসীরা! তোমরা তাদের উপর পানি ছিটিয়ে দাও। ফলে তারা প্লাবনের পর উর্বর মাটিতে চারাগাছ গজানোর মত গজিয়ে উঠবে। রাবী বলেন, উপস্থিত এক ব্যক্তি বললো, মনে হয় রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যেন বন-বাদাড়ে বসবাস করতেন।
بَاب ذِكْرِ الشَّفَاعَةِ
حَدَّثَنَا نَصْرُ بْنُ عَلِيٍّ، وَإِسْحَاقُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ بْنِ حَبِيبٍ، قَالاَ حَدَّثَنَا بِشْرُ بْنُ الْمُفَضَّلِ، حَدَّثَنَا سَعِيدُ بْنُ يَزِيدَ، عَنْ أَبِي نَضْرَةَ، عَنْ أَبِي سَعِيدٍ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ " أَمَّا أَهْلُ النَّارِ الَّذِينَ هُمْ أَهْلُهَا فَإِنَّهُمْ لاَ يَمُوتُونَ فِيهَا وَلاَ يَحْيَوْنَ وَلَكِنْ نَاسٌ أَصَابَتْهُمُ النَّارُ بِذُنُوبِهِمْ أَوْ بِخَطَايَاهُمْ فَأَمَاتَتْهُمْ إِمَاتَةً حَتَّى إِذَا كَانُوا فَحْمًا أُذِنَ لَهُمْ فِي الشَّفَاعَةِ فَجِيءَ بِهِمْ ضَبَائِرَ ضَبَائِرَ فَبُثُّوا عَلَى أَنْهَارِ الْجَنَّةِ فَقِيلَ يَا أَهْلَ الْجَنَّةِ أَفِيضُوا عَلَيْهِمْ فَيَنْبُتُونَ نَبَاتَ الْحِبَّةِ تَكُونُ فِي حَمِيلِ السَّيْلِ " . قَالَ فَقَالَ رَجُلٌ مِنَ الْقَوْمِ كَأَنَّ رَسُولَ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ قَدْ كَانَ فِي الْبَادِيَةِ .
It was narrated from Abu Sa’eed that the Messenger of Allah (ﷺ) said:
“As for the people of Hell, who are its people (i.e., its permanent residents), they will neither die nor live therein. But there are some people who will be punished with fire because of their sins, whom it will kill, then when they have become like coal, permission will be granted for intercession for them. They will be brought, group by group, and scattered on the banks of the rivers of Paradise. It will be said: ‘O people of Paradise, pour water on them.’ Then they will grow like seeds carried by a flood (i.e., quickly).” A man among the people said: It is as if the Messenger of Allah (ﷺ) has been in the desert.”
পরিচ্ছেদঃ ৩১/৩৭. শাফা‘আতের আলোচনা
৪/৪৩১০। জাবির (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কে বলতে শুনেছিঃ কিয়ামতের দিন আমার শাফাআত হবে আমার উম্মাতের কবীরা গুনাহগারদের জন্যই।
بَاب ذِكْرِ الشَّفَاعَةِ
حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ إِبْرَاهِيمَ الدِّمَشْقِيُّ، حَدَّثَنَا الْوَلِيدُ بْنُ مُسْلِمٍ، حَدَّثَنَا زُهَيْرُ بْنُ مُحَمَّدٍ، عَنْ جَعْفَرِ بْنِ مُحَمَّدٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ جَابِرٍ، قَالَ سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ يَقُولُ " إِنَّ شَفَاعَتِي يَوْمَ الْقِيَامَةِ لأَهْلِ الْكَبَائِرِ مِنْ أُمَّتِي " .
It was narrated that Jabir said:
“I heard the Messenger of Allah (ﷺ) say: ‘My intercession on the Day of Resurrection will be for those among my nation who committed major sins.’”
পরিচ্ছেদঃ ৩১/৩৭. শাফা‘আতের আলোচনা
৫/৪৩১১। আবূ মূসা আল-আশআরী (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ আমাকে শাফাআত করার অথবা আমার উম্মাতের অর্ধেক জান্নাতী হওয়ার মধ্যে যে কোন একটি গ্রহণ করার অবকাশ দেয়া হয়েছিলো। আমি শাফাআতকে গ্রহণ করেছি। কেননা তা ব্যাপক বিস্তৃত এবং অধিক ফলপ্রসূ। তোমরা কি মনে করো যে, শাফাআত মুত্তাকীদের জন্য? না, বরং তা গুনাহগার, অপরাধে অভিযুক্ত এবং সত্য-মিথ্যার মধ্যে মিশ্রণকারীদের জন্য।
بَاب ذِكْرِ الشَّفَاعَةِ
حَدَّثَنَا إِسْمَاعِيلُ بْنُ أَسَدٍ، حَدَّثَنَا أَبُو بَدْرٍ، حَدَّثَنَا زِيَادُ بْنُ خَيْثَمَةَ، عَنْ نُعَيْمِ بْنِ أَبِي هِنْدٍ، عَنْ رِبْعِيِّ بْنِ حِرَاشٍ، عَنْ أَبِي مُوسَى الأَشْعَرِيِّ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ " خُيِّرْتُ بَيْنَ الشَّفَاعَةِ وَبَيْنَ أَنْ يَدْخُلَ نِصْفُ أُمَّتِي الْجَنَّةَ فَاخْتَرْتُ الشَّفَاعَةَ لأَنَّهَا أَعَمُّ وَأَكْفَى أَتُرَوْنَهَا لِلْمُتَّقِينَ لاَ وَلَكِنَّهَا لِلْمُذْنِبِينَ الْخَطَّائِينَ الْمُتَلَوِّثِينَ " .
It was narrated from Abu Musa Al-Ash’ari that the Messenger of Allah (ﷺ) said:
“I was given the choice between being admitted to Paradise, and I chose intercession, because it is more general and more sufficient. Do you think it is for the pious? No, it is for the impure sinners.”
পরিচ্ছেদঃ ৩১/৩৭. শাফা‘আতের আলোচনা
৬/৪৩১২। আনাস ইবনে মালেক (রাঃ) থেকে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেনঃ কিয়ামতের দিন ঈমানদার বান্দারা সমবেত হবে। তখন তাদের অন্তরে ইলহাম করা হবে এবং তারা বলবে, কেউ যদি আমাদের প্রভুর নিকট আমাদের জন্য শাফাআত করতো তাহলে তিনি আমাদেরকে এ অবস্থা থেকে শান্তি দিতে পারতেন। অতএব তারা আদম আলাইহিস সালামের নিকট এসে বলবে, আপনি আদম, মানবজাতির পিতা। আল্লাহ নিজ হাতে আপনাকে সৃষ্টি করেছেন এবং তাঁর ফেরেশতাদের দ্বারা আপনাকে সিজদা করিয়েছেন। আপনি আমাদের এ অবস্থা থেকে নাজাতের জন্য আপনার প্রতিপালকের নিকট শাফাআত করুন। তিনি বলবেনঃ আমি তোমাদের এ কাজের উপযুক্ত নই। তিনি তাদের নিকট নিজের কৃত গুনাহের কথা উল্লেখ করে আক্ষেপ করবেন এবং এতে লজ্জিত হবেন। বরং তোমরা নূহ আলাইহিস সালামের নিকট যাও। কেননা তিনি ছিলেন পৃথিবীবাসীর প্রতি আল্লাহর প্রেরিত প্রথম রাসূল। অতএব তারা তাঁর নিকট উপস্থিত হবে।
তিনি বলবেনঃ আমি তোমাদের এ কাজের উপযুক্ত নই। তিনি অজ্ঞাতে আল্লাহর নিকট যে নিবেদন করেছিলেন, তা স্মরণ করে লজ্জিত হবেন। বরং তোমরা দয়াময় রহমানের প্রিয় বান্দা ইবরাহীম আলাইহিস সালামের নিকট যাও। অতএব তারা তাঁর নিকট আসলে তিনি বলবেনঃ আমি তোমাদের এ কাজের যোগ্য নই। বরং তোমরা মুস আলাইহিস সালামের নিকট যাও। তিনি ছিলেন আল্লাহর প্রিয় বান্দা, তাঁর সাথে আল্লাহ বাক্যালাপ করেছেন এবং তাঁকে তাওরাত কিতাব দান করেছেন। অতএব তারা তাঁর নিকট উপস্থিত হবে। তিনি বলবেনঃ আমি তোমাদের এ কাজের যোগ্য নই। তিনি একটি অন্যায় হত্যাকান্ডের কথা স্মরণ করবেন। তোমরা বরং আল্লাহর বানদা ও রাসূল, তাঁর বাক্য, তাঁর দেয়া রূহ ঈসা আলাইহিস সালামের নিকট যাও।
অতএব লোকেরা তাঁর নিকট এসে উপস্থিত হবে। তিনি বলবেনঃ আমি তোমাদের এ কাজের যোগ্য নই। বরং তোমরা মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম -এর নিকট যাও, যাঁর পূর্বাপর সমস্ত গুনাহ আল্লাহ ক্ষমা করে দিয়েছেন। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেনঃ তখন তারা আমার নিকট আসবে এবং আমি রওয়ানা হবো। রাবী বলেন, হাসান (রাঃ) -এর সনদে এই শব্দাবলী বর্ণিত আছেঃ তিনি বলেন, আমি মুমিনদের দু’টি সারির মাঝখান দিয়ে অগ্রসর হতে থাকবো। কাতাদা (রাঃ) বলেন, তারপর রাবী আনাস (রাঃ) থেকে বর্ণিত হাদীসের শব্দাবলীতে বর্ণনা করেছেন। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেনঃ আমি আমার প্রভুর নিকট (শাফাআতের) অনুমতি প্রার্থনা করবো এবং আমাকে অনুমতি দেয়া হবে। আমি তাঁকে দেখামাত্র সিজদায় লুটিয়ে পড়বো। আল্লাহ যতক্ষণ চাইবেন আমাকে সিজদাবনত অবস্থায় রাখবেন।
অতঃপর নির্দেশ দেওয়া হবে, হে মুহাম্মাদ! মাথা উঠাও, বলো, শোনা হবে এবং চাও, দেয়া হবে, শাফাআত করো, কবুল করা হবে। অতএব তিনি যা আমাকে শিখিয়ে দিবেন সেই বাক্যে আমি তাঁর প্রশংসা করবো। অতঃপর আমি শাফাআত করবো। তবে আমার জন্য শাফাআতের একটি সীমা বেঁধে দেয়া হবে। আল্লাহ শাফাআতপ্রাপ্তদের জান্নাতে প্রবেশ করাবেন। আমি পুনরায় আমার প্রভুর নিকট ফিরে আসবো এবং তাঁকে দেখামাত্র সিজদায় লুটিয়ে পড়বো। আল্লাহ যতক্ষণ চাইবেন আমাকে সিজদাবনত রাখবেন। অতঃপর আমাকে বলা হবে, হে মুহাম্মাদ! মাথা উঠাও, বলো শোনা হবে; চাও দেয়া হবে; শাফাআত করো কুবল করা হবে। তিনি আমাকে যে বাক্য শিখিয়ে দিবেন, আমি সেই বাক্যে তাঁর প্রশংসা করবো, অতঃপর শাফাআত করবো। আমাকে একটি সীমা নির্দিষ্ট করে দেয়া হবে।
আল্লাহ শাফাআতপ্রাপ্তদের জান্নাতে প্রবেশ করাবেন। আমি তৃতীয় বারের মত ফিরে যাবো এবং আমার প্রভুকে দেখামাত্র সিজদায় পতিত হবো। আল্লাহ যতক্ষণ চাইবেন আমাকে সিজদাবনত রাখবেন। অতঃপর বলা হবে, হে মুহাম্মাদ! মাথা উঠাও; বলো, শোনা হবে; প্রার্থনা করো, কবুল করা হবে; শাফাআত করো, মঞ্জুর করা হবে। আমি আমার মাথা উঠাবো এবং তাঁর শিখানো বাক্যে তাঁর প্রশংসা করবো এবং তারপর আমি শাফাআত করবো এবং আমাকে একটা সীমা বেঁধে দেয়া হবে। আল্লাহ শাফাআতকৃতদের জান্নাতে প্রবেশ করাবেন। আমি চতুর্থবার গিয়ে বলবো, হে প্রভু! কুরআন যাদের আটক করে রেখেছে তারা ব্যতীত আর কেউ অবশিষ্ট নেই।
রাবী বলেন, কাতাদা (রাঃ) এই হাদীস বর্ণনা করে বলেছেন, আনাস ইবনে মালেক (রাঃ) আমাদে কাছে বর্ণনা করেছেন যে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ শেষে এমন ব্যক্তিকে জাহান্নাম থেকে রে করা হবে যে শুধু বলেছে, ’’লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ’’ (আল্লাহ ব্যতীত কোন ইলাহ নেই) এবং যার অন্তরে একটি গমের দানা পরিমাণ নেক আমল থাকবে। আর এমন ব্যক্তিকেও জাহান্নাম থেকে বের করে আনা হবে যে বলেছে, ’’লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ ’’ এবং যার অন্তরে থাকবে বার্লির দানা পরিমাণ নেক আমল (ঈমান)। এমন ব্যক্তিকেও জাহান্নাম থেকে বের করা হবে যে বলেছেঃ লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু এবং যার অন্তরে অণু পরিমাণ নেক আমল থাকবে।
بَاب ذِكْرِ الشَّفَاعَةِ
حَدَّثَنَا نَصْرُ بْنُ عَلِيٍّ، حَدَّثَنَا خَالِدُ بْنُ الْحَارِثِ، حَدَّثَنَا سَعِيدٌ، عَنْ قَتَادَةَ، عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ قَالَ " يَجْتَمِعُ الْمُؤْمِنُونَ يَوْمَ الْقِيَامَةِ يُلْهَمُونَ - أَوْ يَهُمُّونَ شَكَّ سَعِيدٌ - فَيَقُولُونَ لَوْ تَشَفَّعْنَا إِلَى رَبِّنَا فَأَرَاحَنَا مِنْ مَكَانِنَا فَيَأْتُونَ آدَمَ فَيَقُولُونَ أَنْتَ آدَمُ أَبُو النَّاسِ خَلَقَكَ اللَّهُ بِيَدِهِ وَأَسْجَدَ لَكَ مَلاَئِكَتَهُ فَاشْفَعْ لَنَا عِنْدَ رَبِّكَ يُرِحْنَا مِنْ مَكَانِنَا هَذَا . فَيَقُولُ لَسْتُ هُنَاكُمْ - وَيَذْكُرُ وَيَشْكُو إِلَيْهِمْ ذَنْبَهُ الَّذِي أَصَابَ فَيَسْتَحْيِي مِنْ ذَلِكَ - وَلَكِنِ ائْتُوا نُوحًا فَإِنَّهُ أَوَّلُ رَسُولٍ بَعَثَهُ اللَّهُ إِلَى أَهْلِ الأَرْضِ فَيَأْتُونَهُ فَيَقُولُ لَسْتُ هُنَاكُمْ - وَيَذْكُرُ سُؤَالَهُ رَبَّهُ مَا لَيْسَ لَهُ بِهِ عِلْمٌ وَيَسْتَحْيِي مِنْ ذَلِكَ - وَلَكِنِ ائْتُوا خَلِيلَ الرَّحْمَنِ إِبْرَاهِيمَ فَيَأْتُونَهُ فَيَقُولُ لَسْتُ هُنَاكُمْ وَلَكِنِ ائْتُوا مُوسَى عَبْدًا كَلَّمَهُ اللَّهُ وَأَعْطَاهُ التَّوْرَاةَ . فَيَأْتُونَهُ فَيَقُولُ لَسْتُ هُنَاكُمْ - وَيَذْكُرُ قَتْلَهُ النَّفْسَ بِغَيْرِ النَّفْسِ - وَلَكِنِ ائْتُوا عِيسَى عَبْدَ اللَّهِ وَرَسُولَهُ وَكَلِمَةَ اللَّهِ وَرُوحَهُ . فَيَأْتُونَهُ فَيَقُولُ لَسْتُ هُنَاكُمْ وَلَكِنِ ائْتُوا مُحَمَّدًا عَبْدًا غَفَرَ اللَّهُ لَهُ مَا تَقَدَّمَ مِنْ ذَنْبِهِ وَمَا تَأَخَّرَ . قَالَ فَيَأْتُونِي فَأَنْطَلِقُ - قَالَ فَذَكَرَ هَذَا الْحَرْفَ عَنِ الْحَسَنِ . قَالَ فَأَمْشِي بَيْنَ السِّمَاطَيْنِ مِنَ الْمُؤْمِنِينَ . قَالَ ثُمَّ عَادَ إِلَى حَدِيثِ أَنَسٍ - قَالَ " فَأَسْتَأْذِنُ عَلَى رَبِّي فَيُؤْذَنُ لِي فَإِذَا رَأَيْتُهُ وَقَعْتُ سَاجِدًا فَيَدَعُنِي مَا شَاءَ اللَّهُ أَنْ يَدَعَنِي ثُمَّ يُقَالُ ارْفَعْ يَا مُحَمَّدُ وَقُلْ تُسْمَعْ وَسَلْ تُعْطَهْ وَاشْفَعْ تُشَفَّعْ فَأَحْمَدُهُ بِتَحْمِيدٍ يُعَلِّمُنِيهِ ثُمَّ أَشْفَعُ فَيَحُدُّ لِي حَدًّا فَيُدْخِلُهُمُ الْجَنَّةَ ثُمَّ أَعُودُ الثَّانِيَةَ فَإِذَا رَأَيْتُهُ وَقَعْتُ سَاجِدًا فَيَدَعُنِي مَا شَاءَ اللَّهُ أَنْ يَدَعَنِي ثُمَّ يُقَالُ لِي ارْفَعْ مُحَمَّدُ قُلْ تُسْمَعْ وَسَلْ تُعْطَهْ وَاشْفَعْ تُشَفَّعْ فَأَرْفَعُ رَأْسِي فَأَحْمَدُهُ بِتَحْمِيدٍ يُعَلِّمُنِيهِ ثُمَّ أَشْفَعُ فَيَحُدُّ لِي حَدًّا فَيُدْخِلُهُمُ الْجَنَّةَ ثُمَّ أَعُودُ الثَّالِثَةَ فَإِذَا رَأَيْتُ رَبِيِّ وَقَعْتُ سَاجِدًا فَيَدَعُنِي مَا شَاءَ اللَّهُ أَنْ يَدَعَنِي ثُمَّ يُقَالُ ارْفَعْ مُحَمَّدُ قُلْ تُسْمَعْ وَسَلْ تُعْطَهْ وَاشْفَعْ تُشَفَّعْ فَأَرْفَعُ رَأْسِي فَأَحْمَدُهُ بِتَحْمِيدٍ يُعَلِّمُنِيهِ ثُمَّ أَشْفَعُ فَيَحُدُّ لِي حَدًّا فَيُدْخِلُهُمُ الْجَنَّةَ ثُمَّ أَعُودُ الرَّابِعَةَ فَأَقُولُ يَا رَبِّ مَا بَقِيَ إِلاَّ مَنْ حَبَسَهُ الْقُرْآنُ " .
قَالَ يَقُولُ قَتَادَةُ عَلَى أَثَرِ هَذَا الْحَدِيثِ وَحَدَّثَنَا أَنَسُ بْنُ مَالِكٍ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ قَالَ " يَخْرُجُ مِنَ النَّارِ مَنْ قَالَ لاَ إِلَهَ إِلاَّ اللَّهُ وَكَانَ فِي قَلْبِهِ مِثْقَالُ شَعِيرَةٍ مِنْ خَيْرٍ وَيَخْرُجُ مِنَ النَّارِ مَنْ قَالَ لاَ إِلَهَ إِلاَّ اللَّهُ وَكَانَ فِي قَلْبِهِ مِثْقَالُ بُرَّةٍ مِنْ خَيْرٍ وَيَخْرُجُ مِنَ النَّارِ مَنْ قَالَ لاَ إِلَهَ إِلاَّ اللَّهُ وَكَانَ فِي قَلْبِهِ مِثْقَالُ ذَرَّةٍ مِنْ خَيْرٍ " .
It was narrated from Anas bin Malik that the Messenger of Allah (ﷺ) said:
“The believers will be gathered on the Day of Resurrection, inspired or worried.” – Sa’eed was not sure – “And they will say: ‘If we seek someone to intercede for us with our Lord, we may find relief from our situation.’ So they will go to Adam and will say: ‘You are Adam, the father of mankind. Allah created you with His Hand and His angels prostrated to you. Intercede for us with your Lord, that He might grant us relief from our situation.’ He will say: ‘I am not the one,’ and he will mention to them and complain of the sin that he committed. He will feel too shy to do that (and will say): ‘Rather go to Nuh, for he is the first Messenger whom Allah sent to the people of earth.’ So they will go to him, but he will say: ‘I am not the one,’ and he will mention of how he asked of Allah that of which he had no knowledge.* He will feel too shy to do that (and will say): ‘Rather go to the Close Friend of the Most Merciful, Ibrahim.’ So they will go to him and he will say: ‘I am not the one. Rather go to Musa, a slave to whom Allah spoke and to whom He gave the Torah.’ So they will go to him and he will say: ‘I am not the one,’ and he will mention how he killed a soul, not in retaliation for murder (and will say): ‘Rather go to ‘Isa, the slave of Allah and His Messenger, the Word of Allah and a spirit created by Him.’ So they will go to him, but he will say: ‘I am not the one. Rather go to Muhammad, a slave whose past and future sins Allah forgave.’ So they will come to me and I will go with them.” – There was a similar report from Hasan who added (the Prophet (ﷺ) said:) And I will walk between two rows of the believers.” Then he went back to the Hadith of Anas. – And he said: “And I will ask my Lord for permission and permission will be given to me. When I see Him I will fall down prostrating, and I will be left as long as Allah wills to leave me. Then it will be said: ‘Get up, O Muhammad. Speak, you will be heard; ask, you will be given; intercede, your intercession will be accepted.’ I will praise Him with praise that He will teach me, then I will intercede, and a limit will be set. Then they will be admitted to Paradise, and I will come back a second time. When I see Him I will fall down prostrating, and I will be left as long as Allah wills to leave me. Then it will be said: ‘Get up, O Muhammad. Speak, you will be heard; ask, you will be given; intercede, your intercession will be accepted.’ I will praise Him with praise that He will teach me, then I will intercede, and a limit will be set. Then they will be admitted to Paradise, and I will come back a third time. When I see Him I will fall down prostrating, and I will be left as long as Allah wills to leave me. Then it will be said: ‘Get up, O Muhammad. Speak, you will be heard; ask, you will be given; intercede, your intercession will be accepted.’ I will praise Him with praise that He will teach me, then I will intercede, and a limit will be set. Then they will be admitted to Paradise, and I will come back a fourth time and will say: ‘O Lord, there is no one left except those who are detained by the Qur’an.’”
পরিচ্ছেদঃ ৩১/৩৭. শাফা‘আতের আলোচনা
৭/৪৩১৩। উষমান ইবনে আফফান (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ কিয়ামতের দিন তিন শ্রেণীর লোক শাফা’আত করবে। নবীগণ, অতঃপর আলেমগণ, অতঃপর শহীদগণ।
بَاب ذِكْرِ الشَّفَاعَةِ
حَدَّثَنَا سَعِيدُ بْنُ مَرْوَانَ حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ يُونُسَ حَدَّثَنَا عَنْبَسَةُ بْنُ عَبْدِ الرَّحْمٰنِ عَنْ عَلَّاقِ بْنِ أَبِي مُسْلِمٍ عَنْ أَبَانَ بْنِ عُثْمَانَ عَنْ عُثْمَانَ بْنِ عَفَّانَ قَالَ قَالَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم يَشْفَعُ يَوْمَ الْقِيَامَةِ ثَلَاثَةٌ الْأَنْبِيَاءُ ثُمَّ الْعُلَمَاءُ ثُمَّ الشُّهَدَاءُ
It was narrated from ‘Uthman bin ‘Affan that the Messenger of Allah (ﷺ) said:
“Three will intercede on the Day of Resurrection: The Prophets, then the scholars, then the martyrs.”
পরিচ্ছেদঃ ৩১/৩৭. শাফা‘আতের আলোচনা
৮/৪৩১৪। উবাই ইবনে কাব (রাঃ) থেকে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেনঃ কিয়ামতের দিন আমি হবো নবীগণের ইমাম, তাদের পক্ষ থেকে বক্তব্য পেশকারী এবং তাদের প্রধান সুপারিশকারী, তাতে কোন গর্ব নেই।
بَاب ذِكْرِ الشَّفَاعَةِ
حَدَّثَنَا إِسْمَعِيلُ بْنُ عَبْدِ اللهِ الرَّقِّيُّ حَدَّثَنَا عُبَيْدُ اللهِ بْنُ عَمْرٍو عَنْ عَبْدِ اللهِ بْنِ مُحَمَّدِ بْنِ عَقِيلٍ عَنْ الطُّفَيْلِ بْنِ أُبَيِّ بْنِ كَعْبٍ عَنْ أَبِيهِ أَنَّ رَسُولَ اللهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ إِذَا كَانَ يَوْمُ الْقِيَامَةِ كُنْتُ إِمَامَ النَّبِيِّينَ وَخَطِيبَهُمْ وَصَاحِبَ شَفَاعَتِهِمْ غَيْرَ فَخْرٍ
It was narrated from Ubayy bin Ka’b, from his father, that the Messenger of Allah (ﷺ) said:
“When the Day of Resurrection comes, I will be the leader of the Prophets and the one who addresses them, and the one among them who will agree to intercede, and it is no boast.”
পরিচ্ছেদঃ ৩১/৩৭. শাফা‘আতের আলোচনা
৯/৪৩১৫। ইমরান ইবনুল হুসাইন (রাঃ) থেকে বর্ণিত। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেনঃ আমার শাফাআতের বদৌলতে ’জাহান্নামী’ নামের একদল জাহান্নাম থেকে নাজাত পাবে।
بَاب ذِكْرِ الشَّفَاعَةِ
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ بَشَّارٍ، حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ سَعِيدٍ، حَدَّثَنَا الْحُسَيْنُ بْنُ ذَكْوَانَ، عَنْ أَبِي رَجَاءٍ الْعُطَارِدِيِّ، عَنْ عِمْرَانَ بْنِ الْحُصَيْنِ، عَنِ النَّبِيِّ ـ صلى الله عليه وسلم ـ قَالَ " لَيَخْرُجَنَّ قَوْمٌ مِنَ النَّارِ بِشَفَاعَتِي يُسَمَّوْنَ الْجَهَنَّمِيِّينَ " .
It was narrated from ‘Imran bin Husain that the Prophet (ﷺ) said:
“Some people will be brought forth from Hell by my intercession, who will be called Al-Jahannamiyyin (those who came out of Hell).”
পরিচ্ছেদঃ ৩১/৩৭. শাফা‘আতের আলোচনা
১০/৪৩১৬। আবদুল্লাহ ইবনে আবুল জাদ’আ (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কে বলতে শুনেছেনঃ আমার উম্মাতের এক ব্যক্তির শাফাআতে তামীম গোত্রের জনসংখ্যার চেয়েও অধিক লোক জান্নাতে যাবে। তারা জিজ্ঞাসা করলেন, হে আল্লাহর রাসূল! সেই ব্যক্তি কি আপনি ব্যতীত অন্য কেউ? তিনি বলেনঃ আমি ব্যতীত। আমি (আবদুল্লাহ ইবনে আবুল জাদ’আ) জিজ্ঞাসা করলাম, আপনি কি এটা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর নিকট শুনেছেন? তিনি বলেন, আমি তাঁর নিকট শুনেছি।
بَاب ذِكْرِ الشَّفَاعَةِ
حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا عَفَّانُ، حَدَّثَنَا وُهَيْبٌ، حَدَّثَنَا خَالِدٌ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ شَقِيقٍ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ أَبِي الْجَذْعَاءِ، أَنَّهُ سَمِعَ النَّبِيَّ ـ صلى الله عليه وسلم ـ يَقُولُ " لَيَدْخُلَنَّ الْجَنَّةَ بِشَفَاعَةِ رَجُلٍ مِنْ أُمَّتِي أَكْثَرُ مِنْ بَنِي تَمِيمٍ " . قَالُوا يَا رَسُولَ اللَّهِ سِوَاكَ قَالَ " سِوَاىَ " . قُلْتُ أَنْتَ سَمِعْتَهُ مِنْ رَسُولِ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ قَالَ أَنَا سَمِعْتُهُ .
It was narrated from ‘Abdullah bin Abi Jad’a’ that he heard the Prophet (ﷺ) say:
“More than (the members of the tribe of) Banu Tamim will enter Paradise through the intercession of a man from among my nation.” They said: “O Messenger of Allah, besides you?” He said: “Besides me.”
পরিচ্ছেদঃ ৩১/৩৭. শাফা‘আতের আলোচনা
১১/৪৩১৭। আওফ ইবনে মালেক আল-আশজাঈ (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ তোমরা কি জানো, আমার প্রভু আজ রাতে আমাকে কোন্ বিষয়ে অবকাশ দিয়েছেন? আমরা বললাম, আল্লাহ ও তাঁর রাসূল অধিক অবগত। তিনি বলেনঃ তিনি (আল্লাহ) আমাকে এই অবকাশ দিয়েছেন যে, আমার উম্মাতের অর্ধেক সংখ্যক জান্নাতে প্রবেশ করবে অথবা তাদের নাজাতের জন্য শাফা’আতের অনুমতি থাকবে। আমি শাফা’আতের অবকাশ গ্রহণ করলাম। আমরা বললাম, হে আল্লাহর রাসূল! আপনি আল্লাহর কাছে দোয়া করুন যেন তিনি আমাদেরকে শাফা’আত লাভের যোগ্য বানান। তিনি বলেনঃ এই শাফা’আত প্রত্যেক মুসলিমের জন্য।
بَاب ذِكْرِ الشَّفَاعَةِ
حَدَّثَنَا هِشَامُ بْنُ عَمَّارٍ، حَدَّثَنَا صَدَقَةُ بْنُ خَالِدٍ، حَدَّثَنَا ابْنُ جَابِرٍ، قَالَ سَمِعْتُ سُلَيْمَ بْنَ عَامِرٍ، يَقُولُ سَمِعْتُ عَوْفَ بْنَ مَالِكٍ الأَشْجَعِيَّ، يَقُولُ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ " أَتَدْرُونَ مَا خَيَّرَنِي رَبِّيَ اللَّيْلَةَ " . قُلْنَا اللَّهُ وَرَسُولُهُ أَعْلَمُ قَالَ " فَإِنَّهُ خَيَّرَنِي بَيْنَ أَنْ يَدْخُلَ نِصْفُ أُمَّتِي الْجَنَّةَ وَبَيْنَ الشَّفَاعَةِ فَاخْتَرْتُ الشَّفَاعَةَ " . قُلْنَا يَا رَسُولَ اللَّهِ ادْعُ اللَّهَ أَنْ يَجْعَلَنَا مِنْ أَهْلِهَا . قَالَ " هِيَ لِكُلِّ مُسْلِمٍ " .
‘Awf bin Malik Al-Ashja’i said:
“The Messenger of Allah (ﷺ) said: ‘Do you know what choice my Lord gave me on this night?’ We said: ‘Allah and His Messenger know best.’ He said: ‘He gave me the choice between admitting half of my nation to Paradise and intercession, and I chose intercession.’ We said: ‘O Messenger of Allah, pray that we will be among its people (the people for whom you will intercede).’ He said: ‘It is for every Muslim.’”