পরিচ্ছেদঃ ৩১/৩৯. জান্নাতের বর্ণনা

১/৪৩২৮। আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ মহান আল্লাহ বলেন, আমি আমার সৎকর্মপরায়ণ বান্দাদের জন্য এমন কিছু তৈরী করে রেখেছি, যা কোন চোখ কখনও দেখেনি, কোন কান কখনো শুনেনি এবং কোন মানুষের অন্তরের কল্পনা তার ধারণাও করতে পারেনি। আবূ হুরায়রা (রাঃ) বলেন, যেসব উপকরণাদির কথা আল্লাহ তা’আলা তোমাদের বলেছেন সেগুলোর কথা বাদ দিয়েও বরং তোমরা ইচ্ছা করলে পড়তে পারোঃ ’’কেউ জানে না তাদের জন্য নয়ন প্রীতিকর কী লুকিয়ে রাখা হয়েছে তাদের কৃতকর্মের পুরস্কার স্বরূপ’’ (সূরা আস-সাজদাঃ ১৭)। আবূ হুরায়রা (রাঃ) এর স্থলেمِنْ قُرَّاتِ أَعْيُنٍ পড়তেন।

بَاب صِفَةِ الْجَنَّةِ

حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا أَبُو مُعَاوِيَةَ، عَنِ الأَعْمَشِ، عَنْ أَبِي صَالِحٍ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ ‏"‏ يَقُولُ اللَّهُ عَزَّ وَجَلَّ أَعْدَدْتُ لِعِبَادِيَ الصَّالِحِينَ مَا لاَ عَيْنٌ رَأَتْ وَلاَ أُذُنٌ سَمِعَتْ وَلاَ خَطَرَ عَلَى قَلْبِ بَشَرٍ ‏"‏ ‏.‏ قَالَ أَبُو هُرَيْرَةَ وَمِنْ بَلْهَ مَا قَدْ أَطْلَعَكُمُ اللَّهُ عَلَيْهِ اقْرَءُوا إِنْ شِئْتُمْ ‏(فَلاَ تَعْلَمُ نَفْسٌ مَا أُخْفِيَ لَهُمْ مِنْ قُرَّةِ أَعْيُنٍ جَزَاءً بِمَا كَانُوا يَعْمَلُونَ )‏ قَالَ وَكَانَ أَبُو هُرَيْرَةَ يَقْرَؤُهَا مِنْ قُرَّاتِ أَعْيُنٍ ‏.‏

حدثنا ابو بكر بن ابي شيبة، حدثنا ابو معاوية، عن الاعمش، عن ابي صالح، عن ابي هريرة، قال قال رسول الله ـ صلى الله عليه وسلم ـ ‏"‏ يقول الله عز وجل اعددت لعبادي الصالحين ما لا عين رات ولا اذن سمعت ولا خطر على قلب بشر ‏"‏ ‏.‏ قال ابو هريرة ومن بله ما قد اطلعكم الله عليه اقرءوا ان شىتم ‏(فلا تعلم نفس ما اخفي لهم من قرة اعين جزاء بما كانوا يعملون )‏ قال وكان ابو هريرة يقروها من قرات اعين ‏.‏


It was narrated from Abu Hurairah that the Messenger of Allah (ﷺ) said:
“Allah says: ‘I have prepared for My righteous slaves that which no eye has seen, no ear has heard, and it has never crossed the mind of man.’”


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
সুনান ইবনু মাজাহ
৩১/ পার্থিব ভোগবিলাসের প্রতি অনাসক্তি (كتاب الزهد) 31/ Zuhd

পরিচ্ছেদঃ ৩১/৩৯. জান্নাতের বর্ণনা

২/৪৩২৯। আবূ সাঈদ আল-খুদরী (রাঃ) থেকে বর্ণিত। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেনঃ জান্নাতের এক বিঘত পরিমাণ স্থান সমগ্র পৃথিবী ও তার মধ্যকার সব কিছু থেকে উত্তম।

بَاب صِفَةِ الْجَنَّةِ

حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا أَبُو مُعَاوِيَةَ، عَنْ حَجَّاجٍ، عَنْ عَطِيَّةَ، عَنْ أَبِي سَعِيدٍ الْخُدْرِيِّ، عَنِ النَّبِيِّ ـ صلى الله عليه وسلم ـ قَالَ ‏"‏ لَشِبْرٌ فِي الْجَنَّةِ خَيْرٌ مِنَ الأَرْضِ وَمَا عَلَيْهَا - الدُّنْيَا وَمَا فِيهَا ‏.‏

حدثنا ابو بكر بن ابي شيبة، حدثنا ابو معاوية، عن حجاج، عن عطية، عن ابي سعيد الخدري، عن النبي ـ صلى الله عليه وسلم ـ قال ‏"‏ لشبر في الجنة خير من الارض وما عليها - الدنيا وما فيها ‏.‏


It was narrated from Abu Sa’eed Al-Khudri that the Prophet (ﷺ) said:
“A hand span in Paradise is better than the earth and everything on it.”


হাদিসের মানঃ যঈফ (Dai'f)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
সুনান ইবনু মাজাহ
৩১/ পার্থিব ভোগবিলাসের প্রতি অনাসক্তি (كتاب الزهد) 31/ Zuhd

পরিচ্ছেদঃ ৩১/৩৯. জান্নাতের বর্ণনা

৩/৪৩৩০। সাহল ইবনে সাদ (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ জান্নাতের এক চাবুক পরিমাণ জায়গা, পৃথিবী ও তার মধ্যকার সবকিছু থেকে উত্তম।

بَاب صِفَةِ الْجَنَّةِ

حَدَّثَنَا هِشَامُ بْنُ عَمَّارٍ، حَدَّثَنَا زَكَرِيَّا بْنُ مَنْظُورٍ، حَدَّثَنَا أَبُو حَازِمٍ، عَنْ سَهْلِ بْنِ سَعْدٍ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ ‏ "‏ مَوْضِعُ سَوْطٍ فِي الْجَنَّةِ خَيْرٌ مِنَ الدُّنْيَا وَمَا فِيهَا ‏"‏ ‏.‏

حدثنا هشام بن عمار، حدثنا زكريا بن منظور، حدثنا ابو حازم، عن سهل بن سعد، قال قال رسول الله ـ صلى الله عليه وسلم ـ ‏ "‏ موضع سوط في الجنة خير من الدنيا وما فيها ‏"‏ ‏.‏


It was narrated from Sahl bin Sa’d that the Messenger of Allah (ﷺ) said:
“A place the size of a whip in Paradise is better than this world and everything in it.”


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ সাহল বিন সা'দ (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
সুনান ইবনু মাজাহ
৩১/ পার্থিব ভোগবিলাসের প্রতি অনাসক্তি (كتاب الزهد) 31/ Zuhd

পরিচ্ছেদঃ ৩১/৩৯. জান্নাতের বর্ণনা

৪/৪৩৩১। মুআয ইবনে জাবাল (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কে বলতে শুনেছিঃ জান্নাতের একশ তলা রয়েছে। এক তলা থেকে অপর তলার ব্যবধান আসমান-জমীনের মধ্যকার দূরত্বের সমান। নিশ্চয় এর শীর্ষ স্তরে রয়েছে ফিরদাওস এবং মধ্যবর্তী স্তরও ফিরদাওস। আল্লাহর আরশ ফিরদাওসের উপরে অবস্থিত। এখান থেকে জান্নাতের ঝরণাসমূহ প্রবাহিত। তোমরা যখন আল্লাহর কাছে চাইবে তখন তাঁর নিকট ফিরদাওস নামক জান্নাত প্রার্থনা করবে।

بَاب صِفَةِ الْجَنَّةِ

حَدَّثَنَا سُوَيْدُ بْنُ سَعِيدٍ، حَدَّثَنَا حَفْصُ بْنُ مَيْسَرَةَ، عَنْ زَيْدِ بْنِ أَسْلَمَ، عَنْ عَطَاءِ بْنِ يَسَارٍ، أَنَّ مُعَاذَ بْنَ جَبَلٍ، قَالَ سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ يَقُولُ ‏ "‏ الْجَنَّةُ مِائَةُ دَرَجَةٍ كُلُّ دَرَجَةٍ مِنْهَا مَا بَيْنَ السَّمَاءِ وَالأَرْضِ وَإِنَّ أَعْلاَهَا الْفِرْدَوْسُ وَإِنَّ أَوْسَطَهَا الْفِرْدَوْسُ وَإِنَّ الْعَرْشَ عَلَى الْفِرْدَوْسِ مِنْهَا تُفَجَّرُ أَنْهَارُ الْجَنَّةِ فَإِذَا مَا سَأَلْتُمُ اللَّهَ فَسَلُوهُ الْفِرْدَوْسَ ‏"‏ ‏.‏

حدثنا سويد بن سعيد، حدثنا حفص بن ميسرة، عن زيد بن اسلم، عن عطاء بن يسار، ان معاذ بن جبل، قال سمعت رسول الله ـ صلى الله عليه وسلم ـ يقول ‏ "‏ الجنة ماىة درجة كل درجة منها ما بين السماء والارض وان اعلاها الفردوس وان اوسطها الفردوس وان العرش على الفردوس منها تفجر انهار الجنة فاذا ما سالتم الله فسلوه الفردوس ‏"‏ ‏.‏


Mu’adh bin Jabal said:
“I heard the Messenger of Allah (ﷺ) say: ‘Paradise has one hundred grades, each of which is as big as the distance between heaven and earth. The highest of them is Firdaws and the best of them is Firdaws. The Throne is above Firdaws and from it spring forth the rivers of Paradise. If you ask of Allah, ask Him for Firdaws.’”


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
সুনান ইবনু মাজাহ
৩১/ পার্থিব ভোগবিলাসের প্রতি অনাসক্তি (كتاب الزهد) 31/ Zuhd

পরিচ্ছেদঃ ৩১/৩৯. জান্নাতের বর্ণনা

৫/৪৩৩২। উসামা ইবনে যায়েদ (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, একদিন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাঁর সাহাবীদের বললেনঃ আছে না কি কেউ জান্নাতের জন্য কোমর বেঁধে কর্ম সম্পাদনকারী? কেননা জান্নাতের বিকল্প বা সমতুল্য কিছু নেই। কাবার প্রভুর শপথ! তার আলো ঝলমল করে বিচ্ছুরিত হয়। পুষ্পরাজি ঘ্রাণ ছড়ায়। সুরম্য অট্টালিকাসমূহ, বহমান স্রোতস্বিনী, সুমিষ্ট ফলের প্রাচুর্য, অলংকারে সজ্জিতা পরমা সুন্দরী স্ত্রী, চিরস্থায়ী বাসস্থান সবুজ শ্যামলিমায় নিয়ামতে ভরপুর, গগনচুম্বী নিরাপদ ও মনোরম বাড়িঘর। তারা বলেন, হে আল্লাহর রাসূল! আমরা এ জান্নাতের জন্য কোমর বাঁধলাম। তিনি বলেনঃ তোমরা ’’ইনশাআল্লাহ’’ বলো। অতঃপর তিনি জিহাদ সম্পর্কে আলোচনা করেন এবং তাতে যোগদানে উৎসাহিত করেন।

بَاب صِفَةِ الْجَنَّةِ

حَدَّثَنَا الْعَبَّاسُ بْنُ عُثْمَانَ الدِّمَشْقِيُّ، حَدَّثَنَا الْوَلِيدُ بْنُ مُسْلِمٍ، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ مُهَاجِرٍ الأَنْصَارِيُّ، حَدَّثَنِي الضَّحَّاكُ الْمَعَافِرِيُّ، عَنْ سُلَيْمَانَ بْنِ مُوسَى، عَنْ كُرَيْبٍ، - مَوْلَى ابْنِ عَبَّاسٍ - قَالَ حَدَّثَنِي أُسَامَةُ بْنُ زَيْدٍ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ ذَاتَ يَوْمٍ لأَصْحَابِهِ ‏"‏ أَلاَ مُشَمِّرٌ لِلْجَنَّةِ فَإِنَّ الْجَنَّةَ لاَ خَطَرَ لَهَا هِيَ وَرَبِّ الْكَعْبَةِ نُورٌ يَتَلأْلأُ وَرَيْحَانَةٌ تَهْتَزُّ وَقَصْرٌ مَشِيدٌ وَنَهَرٌ مُطَّرِدٌ وَفَاكِهَةٌ كَثِيرَةٌ نَضِيجَةٌ وَزَوْجَةٌ حَسْنَاءُ جَمِيلَةٌ وَحُلَلٌ كَثِيرَةٌ فِي مَقَامٍ أَبَدًا فِي حَبْرَةٍ وَنَضْرَةٍ فِي دَارٍ عَالِيَةٍ سَلِيمَةٍ بَهِيَّةٍ ‏"‏ ‏.‏ قَالُوا نَحْنُ الْمُشَمِّرُونَ لَهَا يَا رَسُولَ اللَّهِ ‏.‏ قَالَ ‏"‏ قُولُوا إِنْ شَاءَ اللَّهُ ‏"‏ ‏.‏ ثُمَّ ذَكَرَ الْجِهَادَ وَحَضَّ عَلَيْهِ ‏.‏

حدثنا العباس بن عثمان الدمشقي، حدثنا الوليد بن مسلم، حدثنا محمد بن مهاجر الانصاري، حدثني الضحاك المعافري، عن سليمان بن موسى، عن كريب، - مولى ابن عباس - قال حدثني اسامة بن زيد، قال قال رسول الله ـ صلى الله عليه وسلم ـ ذات يوم لاصحابه ‏"‏ الا مشمر للجنة فان الجنة لا خطر لها هي ورب الكعبة نور يتلالا وريحانة تهتز وقصر مشيد ونهر مطرد وفاكهة كثيرة نضيجة وزوجة حسناء جميلة وحلل كثيرة في مقام ابدا في حبرة ونضرة في دار عالية سليمة بهية ‏"‏ ‏.‏ قالوا نحن المشمرون لها يا رسول الله ‏.‏ قال ‏"‏ قولوا ان شاء الله ‏"‏ ‏.‏ ثم ذكر الجهاد وحض عليه ‏.‏


Usamah bin Zaid said:
“The Messenger of Allah (ﷺ) said one day to his Companions: ‘Who will strive hard with sincerity for Paradise? For there is nothing like Paradise. By the Lord of the Ka’bah, it is sparkling light, sweet basil waving in the breeze, a lofty palace, a flowing river, abundant ripe fruit, a beautiful wife and many fine garments, in a palace of eternal abode, in ease and luxury, in beautiful, strongly-built, lofty houses.’ They said: ‘We will strive heard for it, O Messenger of Allah.’ He said: ‘Say: In sha’ Allah (if Allah wills).’ Then he mentioned Jihad and encouraged them to engage in it.”


হাদিসের মানঃ যঈফ (Dai'f)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
সুনান ইবনু মাজাহ
৩১/ পার্থিব ভোগবিলাসের প্রতি অনাসক্তি (كتاب الزهد) 31/ Zuhd

পরিচ্ছেদঃ ৩১/৩৯. জান্নাতের বর্ণনা

৬/৪৩৩৩। আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ জান্নাতে প্রবেশকারী সর্বপ্রথম দলের লোকেদের চেহারা হবে পূর্ণিমা রাতের পূর্ণ চাঁদের ন্যায় উজ্জ্বল। তাদের পরবর্তী দলের চেহারা হবে আকাশের উজ্জ্বল তারকারাজির মত। জান্নাতবাসীগণ পেশাব করবে না, পায়খানাও করবে না। তাদের নাকে শ্লেষ্মা হবে না এবং থুথুও ফেলবে না। তাদের চিরুনী হবে সোনার তৈরী। তাদের শরীর থেকে নির্গত ঘাম মিশকের ন্যায় সুগন্ধময় হবে। তাদের জন্য চন্দন কাঠ ও আগরবাতি জ্বালানো থাকবে। তাদের স্ত্রীগণ হবে আয়তলোচনা হূর। তাদের চরিত্র.. বৈশিষ্ট্য হবে একই ব্যক্তির ন্যায়। তারা তাদের পিতা আদম আলাইহিস সালামের অবয়বে ষাট হাত লম্ব হবে।


৭/৪৩৩৩(১)। আবূ বকর ইবনে আবূ শাইবা (রাঃ) আবূ মুআবিয়া-আমাশ-আবূ সালেহ-আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত... উমারার সূত্রে ইবনে ফুদাইল (রাঃ) বর্ণিত হাদীসের অনুরূপ।

بَاب صِفَةِ الْجَنَّةِ

حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ فُضَيْلٍ، عَنْ عُمَارَةَ بْنِ الْقَعْقَاعِ، عَنْ أَبِي زُرْعَةَ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ ‏ "‏ أَوَّلُ زُمْرَةٍ تَدْخُلُ الْجَنَّةَ عَلَى صُورَةِ الْقَمَرِ لَيْلَةَ الْبَدْرِ ثُمَّ الَّذِينَ يَلُونَهُمْ عَلَى ضَوْءِ أَشَدِّ كَوْكَبٍ دُرِّيٍّ فِي السَّمَاءِ إِضَاءَةً لاَ يَبُولُونَ وَلاَ يَتَغَوَّطُونَ وَلاَ يَمْتَخِطُونَ وَلاَ يَتْفِلُونَ أَمْشَاطُهُمُ الذَّهَبُ وَرَشْحُهُمُ الْمِسْكُ وَمَجَامِرُهُمُ الأَلُوَّةُ أَزْوَاجُهُمُ الْحُورُ الْعِينُ أَخْلاَقُهُمْ عَلَى خَلْقِ رَجُلٍ وَاحِدٍ عَلَى صُورَةِ أَبِيهِمْ آدَمَ سِتُّونَ ذِرَاعًا ‏"‏ ‏.‏

حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا أَبُو مُعَاوِيَةَ، عَنِ الأَعْمَشِ، عَنْ أَبِي صَالِحٍ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، مِثْلَ حَدِيثِ ابْنِ فُضَيْلٍ عَنْ عُمَارَةَ، ‏.‏

حدثنا ابو بكر بن ابي شيبة، حدثنا محمد بن فضيل، عن عمارة بن القعقاع، عن ابي زرعة، عن ابي هريرة، قال قال رسول الله ـ صلى الله عليه وسلم ـ ‏ "‏ اول زمرة تدخل الجنة على صورة القمر ليلة البدر ثم الذين يلونهم على ضوء اشد كوكب دري في السماء اضاءة لا يبولون ولا يتغوطون ولا يمتخطون ولا يتفلون امشاطهم الذهب ورشحهم المسك ومجامرهم الالوة ازواجهم الحور العين اخلاقهم على خلق رجل واحد على صورة ابيهم ادم ستون ذراعا ‏"‏ ‏.‏ حدثنا ابو بكر بن ابي شيبة، حدثنا ابو معاوية، عن الاعمش، عن ابي صالح، عن ابي هريرة، مثل حديث ابن فضيل عن عمارة، ‏.‏


It was narrated from Abu Hurairah that the Messenger of Allah (ﷺ) said:
“The first group to enter Paradise will enter with (faces) like the moon in the night when it is full. Then those who follow them will be shining with a light brighter than the brightest star in the sky. They will not urinate or defecate, or blow their noses or spit. Their combs will be of gold, their sweat will be musk, their braziers (receptacle for holding live coals for burning incense) will be pearls and their wives will be houris. Their form will be that of a single man, the form of their father Adam, sixty forearm’s length tall.’”


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
সুনান ইবনু মাজাহ
৩১/ পার্থিব ভোগবিলাসের প্রতি অনাসক্তি (كتاب الزهد) 31/ Zuhd

পরিচ্ছেদঃ ৩১/৩৯. জান্নাতের বর্ণনা

৮/৪৩৩৪। ইবনে উমার (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ কাওসার হলো জান্নাতের একটি ঝরনা। এর উভয় তীর স্বর্ণপাতে মোড়ানো। এর পানি প্রবাহিত হবে নীলকান্ত মণি ও মুক্তার উপর দিয়ে। তার মাটি কস্ত্তরীর চেয়েও সুগন্ধযুক্ত, পানি মধুর চেয়েও সুমিষ্ট এবং বরফের চেয়েও অধিক সাদা।

بَاب صِفَةِ الْجَنَّةِ

حَدَّثَنَا وَاصِلُ بْنُ عَبْدِ الأَعْلَى، وَعَبْدُ اللَّهِ بْنُ سَعِيدٍ، وَعَلِيُّ بْنُ الْمُنْذِرِ، قَالُوا حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ فُضَيْلٍ، عَنْ عَطَاءِ بْنِ السَّائِبِ، عَنْ مُحَارِبِ بْنِ دِثَارٍ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ ‏ "‏ الْكَوْثَرُ نَهَرٌ فِي الْجَنَّةِ حَافَتَاهُ مِنْ ذَهَبٍ مَجْرَاهُ عَلَى الْيَاقُوتِ وَالدُّرِّ تُرْبَتُهُ أَطْيَبُ مِنَ الْمِسْكِ وَمَاؤُهُ أَحْلَى مِنَ الْعَسَلِ وَأَشَدُّ بَيَاضًا مِنَ الثَّلْجِ ‏"‏ ‏.‏

حدثنا واصل بن عبد الاعلى، وعبد الله بن سعيد، وعلي بن المنذر، قالوا حدثنا محمد بن فضيل، عن عطاء بن الساىب، عن محارب بن دثار، عن ابن عمر، قال قال رسول الله ـ صلى الله عليه وسلم ـ ‏ "‏ الكوثر نهر في الجنة حافتاه من ذهب مجراه على الياقوت والدر تربته اطيب من المسك وماوه احلى من العسل واشد بياضا من الثلج ‏"‏ ‏.‏


It was narrated from Ibn ‘Umar that the Messenger of Allah (ﷺ) said:
“Kauthar is a river in Paradise whose banks are of gold and its bed is of rubies and pearls. Its soil is more fragrant than musk, its water is sweeter than honey and whiter than snow.”


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
সুনান ইবনু মাজাহ
৩১/ পার্থিব ভোগবিলাসের প্রতি অনাসক্তি (كتاب الزهد) 31/ Zuhd

পরিচ্ছেদঃ ৩১/৩৯. জান্নাতের বর্ণনা

৯/৪৩৩৫। আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ জান্নাতে একটি প্রকান্ড গাছ আছে। এর ছায়া যে কোন আরোহী শত বছর ধরে অতিক্রম করতে থাকবে, কিন্তু তা অতিক্রম করতে পারবে না। তোমরা চাইলে এ আয়াত পড়তে পারো (অর্থঃ) ’’সম্প্রসারিত ছায়া’’ (সূরা ওয়াকিয়াঃ ৩০)।

بَاب صِفَةِ الْجَنَّةِ

حَدَّثَنَا أَبُو عُمَرَ الضَّرِيرُ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ عُثْمَانَ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ عَمْرٍو، عَنْ أَبِي سَلَمَةَ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ ‏"‏ إِنَّ فِي الْجَنَّةِ شَجَرَةً يَسِيرُ الرَّاكِبُ فِي ظِلِّهَا مِائَةَ سَنَةٍ لاَ يَقْطَعُهَا ‏"‏ ‏.‏ وَاقْرَءُوا إِنْ شِئْتُمْ ‏(وَظِلٍّ مَمْدُودٍ * وَمَاءٍ مَسْكُوبٍ ‏)‏ ‏.‏

حدثنا ابو عمر الضرير، حدثنا عبد الرحمن بن عثمان، عن محمد بن عمرو، عن ابي سلمة، عن ابي هريرة، قال قال رسول الله ـ صلى الله عليه وسلم ـ ‏"‏ ان في الجنة شجرة يسير الراكب في ظلها ماىة سنة لا يقطعها ‏"‏ ‏.‏ واقرءوا ان شىتم ‏(وظل ممدود * وماء مسكوب ‏)‏ ‏.‏


It was narrated from Abu Hurairah that the Messenger of Allah (ﷺ) said:
“In Paradise there is a tree under whose shade a rider could travel for one hundred years and never leave it.” "Recite, if you wish: 'And in shade long-extended (56:30).'"


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
সুনান ইবনু মাজাহ
৩১/ পার্থিব ভোগবিলাসের প্রতি অনাসক্তি (كتاب الزهد) 31/ Zuhd

পরিচ্ছেদঃ ৩১/৩৯. জান্নাতের বর্ণনা

১০/৪৩৩৬। সাঈদ ইবনুল মুসাইয়্যাব (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি আবূ হুরায়রা (রাঃ)-র সাথে সাক্ষাত করলে তিনি বলেন, আমি আল্লাহর নিকট প্রার্থনা করছি যে, তিনি যেন আমাকে ও তোমাকে জান্নাতের বাজারে একত্র করেন। সাঈদ (রাঃ) বলেন, জান্নাতে কি বাজারও আছে? তিনি বলেন, হাঁ। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাকে অবহিত করেছেন যে, জান্নাতবাসীরা জান্নাতে প্রবেশ করে নিজ নিজ মর্যাদা অনুসারে সেখানে স্থান পাবে। অতঃপর দুনিয়ার সময় অনুসারে এক জুমুআর দিনে তাদেরকে (তাদের প্রভুকে দেখার) অনুমতি দেয়া হবে এবং তারা তাদের মহামহিম আল্লাহর দর্শন লাভ করবে। তাদের জন্য তাঁর আরশ প্রকাশিত হবে। জান্নাতের কোন এক উদ্যানে তাদের সামনে তাদের প্রভুর (তাজাল্লীর) প্রকাশ ঘটবে। তাদের জন্য নূর, মণি-মুক্তা, পদ্মরাগমণি, যমরূদ ও সোনা-রূপা ইত্যাদির মিম্বার স্থাপন করা হবে। তাদের মধ্যকার সবচেয়ে নিম্নস্তরের জান্নাতবাসীও কস্ত্তরী ও কর্পূরের স্তূপের উপর আসন গ্রহণ করবে। তবে সেখানে কেউ হীন বা নীচ হবে না। মিম্বারে আসীন ব্যক্তিগণকে তারা তাদের চেয়ে শ্রেষ্ঠ বা উৎকৃষ্ট ভাববে না।

আবূ হুরায়রা (রাঃ) বলেন, আমি জিজ্ঞাসা করলাম, ইয়া রাসূলাল্লাহ! আমরা কি আমাদের প্রভুর দর্শন লাভ করবো? তিনি বলেনঃ হাঁ। সূর্য বা পূর্ণিমার চাঁদ দেখতে তোমাদের কি কোন সন্দেহ হয়? আমরা বললাম, না। তিনি বলেনঃ ঠিক সেরূপ তোমরা তোমাদের মহামহিম প্রভুর দর্শন লাভেও তোমাদের কোন সন্দেহ থাকবে না। সেই মজলিসে উপস্থিত এমন কোন লোক থাকবে না যার সামনে মহামহিম আল্লাহ উদ্ভাসিত না হবেন। এমনকি তিনি একে একে তাদের নাম ধরে ডেকে বলবেন, হে অমুকের পুত্র অমুক! তুমি অমুক দিন এরূপ এরূপ কাজ করেছ, তা তোমার স্মরণ আছে কি? এভাবে তিনি তাকে দুনিয়ার কতক নাফরমানী ও বিদ্রোহের কথা স্মরণ করিয়ে দিবেন। সে তখন বলবে, হে আমার প্রভু! আপনি কি আমাকে ক্ষমা করেননি। এ অবস্থায় হঠাৎ তাদের উপর এক খন্ড মেঘ এসে তাদেরকে ছেয়ে ফেলবে এবং তা থেকে তদের উপর সুঘ্রাণ (বৃষ্টি) বর্ষিত হবে, যেরূপ সুঘ্রাণ তারা ইতোপূর্বে কখনো কিছুতে পায়নি।

অতঃপর তিনি বলবেন, ওঠো! আমি তোমাদের সম্মানে মেহমানদারির আয়োজন করেছি, সেদিকে অগ্রসর হও এবং যা কিছু পছন্দ হয় গ্রহণ করো। তখন আমরা একটি বাজারে এসে উপস্থিত হবো যা ফেরেশতাগণ পরিবেষ্টন করে রাখবেন। সেখানে এমন সব পণ্যসামগ্রী থাকবে যা না কোন চোখ দেখেছে, না, কোন কান শুনেছে এবং কখনো অন্তুরের কল্পনা জগতে ভেসেছে। আমরা সেখানে যা চাইবো তাই তুলে দেয়া হবে। তবে ক্রয়-বিক্রয় হবে না। সেই বাজারে জান্নাতবাসীগণ পরস্পরের সাথে সাক্ষাত করবে। উচ্চ মর্যাদাসম্পন্ন জান্নাতবাসী সামনে অগ্রসর হয়ে তার চেয়ে অল্প মর্যাদাসম্পন্ন বেহশতবাসীর সাথে সাক্ষাত করবে। তবে সেখানে তাদের মধ্যে উচুঁ-নীচু বোধ থাকবে না। তিনি তার পোশাক দেখে পেরেশান হয়ে যাবেন। একথা শেষ হতে না হতেই তিনি মনে করতে থাকবেন যে, তার পরনেও পূর্বাপেক্ষা উত্তম পোশাক শোভা পাচ্ছে। আর এরূপ এজন্যই হবে যে, সেখানে কাউকে দুঃখ-কষ্ট বা দুশ্চিন্তা স্পর্শ করবে না।

অতঃপর আমরা নিজেদের জায়গায় ফিরে আসবো এবং স্ব স্ব স্ত্রীর সাক্ষাত পাবো। তারা বলবে, মারহাবা স্বাগতম। কী ব্যাপার! যে আকর্ষণীয় রূপ-সৌন্দর্য নিয়ে বিচ্ছিন্ন হয়েছিলে, তদপেক্ষা উত্তম সৌন্দর্য নিয়ে ফিরে এসেছো। আমরা বলবো, আজ আমরা আমাদের মহাপ্রতাপশালী মহিমাময় প্রভুর সাথে মজলিসে বসেছিলাম। তাই আমাদের এই পরিবর্তন ঘটেছে এবং এরূপ ঘটাই ছিলো স্বাভাবিক।

بَاب صِفَةِ الْجَنَّةِ

حَدَّثَنَا هِشَامُ بْنُ عَمَّارٍ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الْحَمِيدِ بْنُ حَبِيبِ بْنِ أَبِي الْعِشْرِينَ، حَدَّثَنِي عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ عَمْرٍو الأَوْزَاعِيُّ، حَدَّثَنِي حَسَّانُ بْنُ عَطِيَّةَ، حَدَّثَنِي سَعِيدُ بْنُ الْمُسَيَّبِ، أَنَّهُ لَقِيَ أَبَا هُرَيْرَةَ فَقَالَ أَبُو هُرَيْرَةَ أَسْأَلُ اللَّهَ أَنْ يَجْمَعَ، بَيْنِي وَبَيْنَكَ فِي سُوقِ الْجَنَّةِ ‏.‏ قَالَ سَعِيدٌ أَوَفِيهَا سُوقٌ قَالَ نَعَمْ أَخْبَرَنِي رَسُولُ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ أَنَّ أَهْلَ الْجَنَّةِ إِذَا دَخَلُوهَا نَزَلُوا فِيهَا بِفَضْلِ أَعْمَالِهِمْ فَيُؤْذَنُ لَهُمْ فِي مِقْدَارِ يَوْمِ الْجُمُعَةِ مِنْ أَيَّامِ الدُّنْيَا فَيَزُورُونَ اللَّهَ عَزَّ وَجَلَّ وَيُبْرِزُ لَهُمْ عَرْشَهُ وَيَتَبَدَّى لَهُمْ فِي رَوْضَةٍ مِنْ رِيَاضِ الْجَنَّةِ فَتُوضَعُ لَهُمْ مَنَابِرُ مِنْ نُورٍ وَمَنَابِرُ مِنْ لُؤْلُؤٍ وَمَنَابِرُ مِنْ يَاقُوتٍ وَمَنَابِرُ مِنْ زَبَرْجَدٍ وَمَنَابِرُ مِنْ ذَهَبٍ وَمَنَابِرُ مِنْ فِضَّةٍ وَيَجْلِسُ أَدْنَاهُمْ - وَمَا فِيهِمْ دَنِيءٌ - عَلَى كُثْبَانِ الْمِسْكِ وَالْكَافُورِ مَا يُرَوْنَ أَنَّ أَصْحَابَ الْكَرَاسِيِّ بِأَفْضَلَ مِنْهُمْ مَجْلِسًا ‏.‏ قَالَ أَبُو هُرَيْرَةَ قُلْتُ يَا رَسُولَ اللَّهِ هَلْ نَرَى رَبَّنَا قَالَ ‏"‏ نَعَمْ هَلْ تَتَمَارَوْنَ فِي رُؤْيَةِ الشَّمْسِ وَالْقَمَرِ لَيْلَةَ الْبَدْرِ ‏"‏ ‏.‏ قُلْنَا لاَ ‏.‏ قَالَ ‏"‏ كَذَلِكَ لاَ تَتَمَارَوْنَ فِي رُؤْيَةِ رَبِّكُمْ عَزَّ وَجَلَّ وَلاَ يَبْقَى فِي ذَلِكَ الْمَجْلِسِ أَحَدٌ إِلاَّ حَاضَرَهُ اللَّهُ عَزَّ وَجَلَّ مُحَاضَرَةً حَتَّى إِنَّهُ يَقُولُ لِلرَّجُلِ مِنْكُمْ أَلاَ تَذْكُرُ يَا فُلاَنُ يَوْمَ عَمِلْتَ كَذَا وَكَذَا - يُذَكِّرُهُ بَعْضَ غَدَرَاتِهِ فِي الدُّنْيَا - فَيَقُولُ يَا رَبِّ أَفَلَمْ تَغْفِرْ لِي فَيَقُولُ بَلَى فَبِسَعَةِ مَغْفِرَتِي بَلَغْتَ مَنْزِلَتَكَ هَذِهِ ‏.‏ فَبَيْنَمَا هُمْ كَذَلِكَ غَشِيَتْهُمْ سَحَابَةٌ مِنْ فَوْقِهِمْ فَأَمْطَرَتْ عَلَيْهِمْ طِيبًا لَمْ يَجِدُوا مِثْلَ رِيحِهِ شَيْئًا قَطُّ ثُمَّ يَقُولُ قُومُوا إِلَى مَا أَعْدَدْتُ لَكُمْ مِنَ الْكَرَامَةِ فَخُذُوا مَا اشْتَهَيْتُمْ ‏.‏ قَالَ فَنَأْتِي سُوقًا قَدْ حُفَّتْ بِهِ الْمَلاَئِكَةُ فِيهِ مَا لَمْ تَنْظُرِ الْعُيُونُ إِلَى مِثْلِهِ وَلَمْ تَسْمَعِ الآذَانُ وَلَمْ يَخْطُرْ عَلَى الْقُلُوبِ ‏.‏ قَالَ فَيُحْمَلُ لَنَا مَا اشْتَهَيْنَا لَيْسَ يُبَاعُ فِيهِ شَىْءٌ وَلاَ يُشْتَرَى وَفِي ذَلِكَ السُّوقِ يَلْقَى أَهْلُ الْجَنَّةِ بَعْضُهُمْ بَعْضًا فَيُقْبِلُ الرَّجُلُ ذُو الْمَنْزِلَةِ الْمُرْتَفِعَةِ فَيَلْقَى مَنْ هُوَ دُونَهُ - وَمَا فِيهِمْ دَنِيءٌ - فَيَرُوعُهُ مَا يَرَى عَلَيْهِ مِنَ اللِّبَاسِ فَمَا يَنْقَضِي آخِرُ حَدِيثِهِ حَتَّى يَتَمَثَّلَ لَهُ عَلَيْهِ أَحْسَنُ مِنْهُ وَذَلِكَ أَنَّهُ لاَ يَنْبَغِي لأَحَدٍ أَنْ يَحْزَنَ فِيهَا ‏"‏ ‏.‏ قَالَ ‏"‏ ثُمَّ نَنْصَرِفُ إِلَى مَنَازِلِنَا فَيَتَلَقَّانَا أَزْوَاجُنَا فَيَقُلْنَ مَرْحَبًا وَأَهْلاً لَقَدْ جِئْتَ وَإِنَّ بِكَ مِنَ الْجَمَالِ وَالطِّيبِ أَفْضَلَ مِمَّا فَارَقْتَنَا عَلَيْهِ فَنَقُولُ إِنَّا جَالَسْنَا الْيَوْمَ رَبَّنَا الْجَبَّارَ عَزَّ وَجَلَّ وَيَحِقُّنَا أَنْ نَنْقَلِبَ بِمِثْلِ مَا انْقَلَبْنَا ‏"‏ ‏.‏

حدثنا هشام بن عمار، حدثنا عبد الحميد بن حبيب بن ابي العشرين، حدثني عبد الرحمن بن عمرو الاوزاعي، حدثني حسان بن عطية، حدثني سعيد بن المسيب، انه لقي ابا هريرة فقال ابو هريرة اسال الله ان يجمع، بيني وبينك في سوق الجنة ‏.‏ قال سعيد اوفيها سوق قال نعم اخبرني رسول الله ـ صلى الله عليه وسلم ـ ان اهل الجنة اذا دخلوها نزلوا فيها بفضل اعمالهم فيوذن لهم في مقدار يوم الجمعة من ايام الدنيا فيزورون الله عز وجل ويبرز لهم عرشه ويتبدى لهم في روضة من رياض الجنة فتوضع لهم منابر من نور ومنابر من لولو ومنابر من ياقوت ومنابر من زبرجد ومنابر من ذهب ومنابر من فضة ويجلس ادناهم - وما فيهم دنيء - على كثبان المسك والكافور ما يرون ان اصحاب الكراسي بافضل منهم مجلسا ‏.‏ قال ابو هريرة قلت يا رسول الله هل نرى ربنا قال ‏"‏ نعم هل تتمارون في روية الشمس والقمر ليلة البدر ‏"‏ ‏.‏ قلنا لا ‏.‏ قال ‏"‏ كذلك لا تتمارون في روية ربكم عز وجل ولا يبقى في ذلك المجلس احد الا حاضره الله عز وجل محاضرة حتى انه يقول للرجل منكم الا تذكر يا فلان يوم عملت كذا وكذا - يذكره بعض غدراته في الدنيا - فيقول يا رب افلم تغفر لي فيقول بلى فبسعة مغفرتي بلغت منزلتك هذه ‏.‏ فبينما هم كذلك غشيتهم سحابة من فوقهم فامطرت عليهم طيبا لم يجدوا مثل ريحه شيىا قط ثم يقول قوموا الى ما اعددت لكم من الكرامة فخذوا ما اشتهيتم ‏.‏ قال فناتي سوقا قد حفت به الملاىكة فيه ما لم تنظر العيون الى مثله ولم تسمع الاذان ولم يخطر على القلوب ‏.‏ قال فيحمل لنا ما اشتهينا ليس يباع فيه شىء ولا يشترى وفي ذلك السوق يلقى اهل الجنة بعضهم بعضا فيقبل الرجل ذو المنزلة المرتفعة فيلقى من هو دونه - وما فيهم دنيء - فيروعه ما يرى عليه من اللباس فما ينقضي اخر حديثه حتى يتمثل له عليه احسن منه وذلك انه لا ينبغي لاحد ان يحزن فيها ‏"‏ ‏.‏ قال ‏"‏ ثم ننصرف الى منازلنا فيتلقانا ازواجنا فيقلن مرحبا واهلا لقد جىت وان بك من الجمال والطيب افضل مما فارقتنا عليه فنقول انا جالسنا اليوم ربنا الجبار عز وجل ويحقنا ان ننقلب بمثل ما انقلبنا ‏"‏ ‏.‏


Sa’eed bin Al-Musayyab said that he met Abu Hurairah and Abu Hurairah said:
“I supplicate Allah to bring you and I together in the marketplace of Paradise,” Sa’eed said: “Is there a marketplace there?” He said: “Yes. The Messenger of Allah (ﷺ) told me that when the people of Paradise enter it, they will take their places according to their deeds, and they will be given permission for a length of time equivalent to Friday on earth, when they will visit Allah. His Throne will be shown to them and He will appear to them in one of the gardens of Paradise. Chairs of light and chairs of pearls and chairs of rubies and chairs of chrysolite and chairs of gold and chairs of silver will be placed for them. Those who are of a lower status than them, and none of them will be regarded as insignificant, will sit on sandhills of musk and camphor, and they will not feel that those who are sitting on chairs are seated better than them.” Abu Hurairah said: “I said: ‘O Messenger of Allah, will we see our Lord?’ He said: ‘Yes. Do you dispute that you see the sun and the moon on the night when it is full?’ We said: ‘No.’ He said: ‘Likewise, you will not dispute that you see your Lord, the Glorified. There will be no one left in that gathering with whom Allah does not speak face to face, until He will say to a man among you: “Do you not remember, O so-and-so, the day you did such and such?” And He will remind him of some of his sins in this world. He will say: “O Lord, have You not forgiven me?” He will say: “Yes, it is by the vastness of My forgiveness that You have reached the position you are in.” While they are like that, a cloud will cover them from above and will rain down on them perfume the like of whose fragrance they have never smelled before. Then He will say: “Get up and go to the honor that has been prepared for you, and take whatever you desire.” So we will go to a marketplace surrounded by the angels, in which there will be such things as eyes have never seen, ears have never heard and it has not entered the heart of man. Whatever we desire will be carried for us. Nothing will be bought or sold therein. In that marketplace the people of Paradise will meet one another. A man of elevated status will meet those who are of lower status than him, but none shall be regarded as insignificant, and he will be dazzled by the clothes that he sees on him. He will not finish the last of his conversation before better clothes appear on him. That is because no one should be sad there.’” “He said: ‘Then we will go back to our homes where we will be met by our wives, and they will say: ‘Welcome. You have come looking more handsome and with a better fragrance than when you left us.’ And we will say: ‘Today we sat with our Lord, the Compeller, the Glorified, and we deserve to come back as we have come back.’”


হাদিসের মানঃ যঈফ (Dai'f)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
সুনান ইবনু মাজাহ
৩১/ পার্থিব ভোগবিলাসের প্রতি অনাসক্তি (كتاب الزهد) 31/ Zuhd

পরিচ্ছেদঃ ৩১/৩৯. জান্নাতের বর্ণনা

১১/৪৩৩৭। আবূ উমামা (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ মহান আল্লাহ যাদের জান্নাতে প্রবেশ করাবেন তাদের প্রত্যেককেই বাহাত্তরজন স্ত্রীর সাথে বিবাহ দিবেন। তাদের মধ্যে দু’জন হবে আয়তলোচনা হূর এবং সত্তরজন হবে জাহান্নামীদের থেকে ওয়ারিসী সূত্রে প্রাপ্ত। তাদের প্রত্যেকের স্ত্রী অঙ্গ হবে অত্যন্ত কামাতুর এবং পুরুষের অঙ্গ হবে অত্যন্ত সুদৃঢ় অটল। হিশাম ইবনে খালিদ (রাঃ) বলেন, জাহান্নামীদের থেকে প্রাপ্ত স্ত্রী বুঝতে সেইসব পবিত্রা নারীদের বুঝানো হয়েছে যাদের স্বামীরা জাহান্নামী হয়েছে। কিন্তু স্ত্রীরা ঈমানদার হওয়ার কারণে জান্নাতে প্রবেশ করেছে। যেমন ফেরাউনের স্ত্রী জান্নাতী।

بَاب صِفَةِ الْجَنَّةِ

حَدَّثَنَا هِشَامُ بْنُ خَالِدٍ الأَزْرَقُ أَبُو مَرْوَانَ الدِّمَشْقِيُّ، حَدَّثَنَا خَالِدُ بْنُ يَزِيدَ بْنِ أَبِي مَالِكٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ خَالِدِ بْنِ مَعْدَانَ، عَنْ أَبِي أُمَامَةَ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ ‏ "‏ مَا مِنْ أَحَدٍ يُدْخِلُهُ اللَّهُ الْجَنَّةَ إِلاَّ زَوَّجَهُ اللَّهُ عَزَّ وَجَلَّ ثِنْتَيْنِ وَسَبْعِينَ زَوْجَةً ثِنْتَيْنِ مِنَ الْحُورِ الْعِينِ وَسَبْعِينَ مِنْ مِيرَاثِهِ مِنْ أَهْلِ النَّارِ مَا مِنْهُنَّ وَاحِدَةٌ إِلاَّ وَلَهَا قُبُلٌ شَهِيٌّ وَلَهُ ذَكَرٌ لاَ يَنْثَنِي ‏"‏ ‏.‏ قَالَ هِشَامُ بْنُ خَالِدٍ مِنْ مِيرَاثِهِ مِنْ أَهْلِ النَّارِ يَعْنِي رِجَالاً دَخَلُوا النَّارَ فَوَرِثَ أَهْلُ الْجَنَّةِ نِسَاءَهُمْ كَمَا وُرِثَتِ امْرَأَةُ فِرْعَوْنَ ‏.‏

حدثنا هشام بن خالد الازرق ابو مروان الدمشقي، حدثنا خالد بن يزيد بن ابي مالك، عن ابيه، عن خالد بن معدان، عن ابي امامة، قال قال رسول الله ـ صلى الله عليه وسلم ـ ‏ "‏ ما من احد يدخله الله الجنة الا زوجه الله عز وجل ثنتين وسبعين زوجة ثنتين من الحور العين وسبعين من ميراثه من اهل النار ما منهن واحدة الا ولها قبل شهي وله ذكر لا ينثني ‏"‏ ‏.‏ قال هشام بن خالد من ميراثه من اهل النار يعني رجالا دخلوا النار فورث اهل الجنة نساءهم كما ورثت امراة فرعون ‏.‏


It was narrated from Abu Umamah that the Messenger of Allah (ﷺ) said:
“There is no one whom Allah will admit to Paradise but Allah will marry him to seventy-two wives, two from houris and seventy from his inheritance from the people of Hell, all of whom will have desirable front passages and he will have a male member that never becomes flaccid (i.e., soft and limp).’”


হাদিসের মানঃ যঈফ (Dai'f)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
সুনান ইবনু মাজাহ
৩১/ পার্থিব ভোগবিলাসের প্রতি অনাসক্তি (كتاب الزهد) 31/ Zuhd

পরিচ্ছেদঃ ৩১/৩৯. জান্নাতের বর্ণনা

১২/৪৩৩৮। আবূ সাঈদ আল-খুদরী (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ কোন মু’মিন ব্যক্তি জান্নাতে সন্তান কামনা করলে তার স্ত্রী গর্ভধারণ করবে এবং সন্তান প্রসব করবে এবং সন্তানটি হবে বয়সে যুবক (আবূ দাউদ ও তিরমিযি) এসবকিছু মুহূর্তের মধ্যে সম্পন্ন হবে।

بَاب صِفَةِ الْجَنَّةِ

حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ بَشَّارٍ، حَدَّثَنَا مُعَاذُ بْنُ هِشَامٍ، حَدَّثَنَا أَبِي، عَنْ عَامِرٍ الأَحْوَلِ، عَنْ أَبِي الصِّدِّيقِ النَّاجِيِّ، عَنْ أَبِي سَعِيدٍ الْخُدْرِيِّ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ ‏ "‏ الْمُؤْمِنُ إِذَا اشْتَهَى الْوَلَدَ فِي الْجَنَّةِ كَانَ حَمْلُهُ وَوَضْعُهُ فِي سَاعَةٍ وَاحِدَةٍ كَمَا يَشْتَهِي ‏"‏ ‏.‏

حدثنا محمد بن بشار، حدثنا معاذ بن هشام، حدثنا ابي، عن عامر الاحول، عن ابي الصديق الناجي، عن ابي سعيد الخدري، قال قال رسول الله ـ صلى الله عليه وسلم ـ ‏ "‏ المومن اذا اشتهى الولد في الجنة كان حمله ووضعه في ساعة واحدة كما يشتهي ‏"‏ ‏.‏


It was narrated from Abu Sa’eed Al-Khudri that the Messenger of Allah (ﷺ) said:
“When the believer wants a child in Paradise, he will be conceived and born and grown up, in a short while, according to his desire.”


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
সুনান ইবনু মাজাহ
৩১/ পার্থিব ভোগবিলাসের প্রতি অনাসক্তি (كتاب الزهد) 31/ Zuhd

পরিচ্ছেদঃ ৩১/৩৯. জান্নাতের বর্ণনা

১৩/৪৩৩৯। আবদুল্লাহ ইবনে মাসউদ (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ যে ব্যক্তি সবশেষে জাহান্নাম থেকে বের হয়ে আসবে এবং সবেশেষে জান্নাতে প্রবেশ করবে আমি তাকে অবশ্যই চিনি। এক ব্যক্তি হামাগুড়ি দিয়ে জাহান্নাম থেকে বের হয়ে আসবে। তাকে বলা হবে, তুমি যাও এবং জান্নাতে প্রবেশ করো। অতএব সে তথায় পৌঁছার পর তার মনে হবে ইতোপূর্বেই তা ভরপুর হয়ে গেছে। সে ফিরে এসে বলবে, হে প্রভু! আমি তা ভরপুর পেলাম। মহান আল্লাহর বলবেন, যাও এবং জান্নাতে প্রবেশ করো। সে পুনরায় তথায় ফিরে যাবে এবং তার মনে হবে যে, জান্নাত ইতোপূর্বেই ভরপুর হয়ে গেছে। সে ফিরে এসে বলবে, হে প্রভু! তা পরিপূর্ণ হয়ে গেছে। মহিমাময় আল্লাহ বলবেন, তুমি যাও এবং জান্নাতে প্রবেশ করো। কেননা, তোমাকে দেয়া হলো পৃথিবী পরিমাণ স্থান এবং তার দশ গুণ অথবা তোমার জন্য রয়েছে পৃথিবীর দশ গুণ। তখন সে বলবে, আপনি মালিক হয়ে আমার সাথে হাসি-ঠাট্টা করছেন। রাবী বলেন, একথা বলার পর আমি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কে হাসতে দেখলাম। এমনকি তাঁর মাড়ির দাঁত প্রকাশিত হলো। অতঃপর বলা হতো, এ ব্যক্তিই হবে মর্যাদায় সর্বনিম্ন স্তরের জান্নাতী।

بَاب صِفَةِ الْجَنَّةِ

حَدَّثَنَا عُثْمَانُ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا جَرِيرٌ، عَنْ مَنْصُورٍ، عَنْ إِبْرَاهِيمَ، عَنْ عَبِيدَةَ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ مَسْعُودٍ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ ‏ "‏ إِنِّي لأَعْلَمُ آخِرَ أَهْلِ النَّارِ خُرُوجًا مِنْهَا وَآخِرَ أَهْلِ الْجَنَّةِ دُخُولاً الْجَنَّةَ ‏.‏ رَجُلٌ يَخْرُجُ مِنَ النَّارِ حَبْوًا فَيُقَالُ لَهُ اذْهَبْ فَادْخُلِ الْجَنَّةَ ‏.‏ فَيَأْتِيهَا فَيُخَيَّلُ إِلَيْهِ أَنَّهَا مَلأَى فَيَرْجِعُ فَيَقُولُ يَا رَبِّ وَجَدْتُهَا مَلأَى ‏.‏ فَيَقُولُ اللَّهُ اذْهَبْ فَادْخُلِ الْجَنَّةَ ‏.‏ فَيَأْتِيهَا فَيُخَيَّلُ إِلَيْهِ أَنَّهَا مَلأَى فَيَرْجِعُ فَيَقُولُ يَا رَبِّ وَجَدْتُهَا مَلأَى ‏.‏ فَيَقُولُ اللَّهُ سُبْحَانَهُ اذْهَبْ فَادْخُلِ الْجَنَّةَ ‏.‏ فَيَأْتِيهَا فَيُخَيَّلُ إِلَيْهِ أَنَّهَا مَلأَى فَيَرْجِعُ فَيَقُولُ يَا رَبِّ إِنَّهَا مَلأَى ‏.‏ فَيَقُولُ اللَّهُ اذْهَبْ فَادْخُلِ الْجَنَّةَ ‏.‏ فَإِنَّ لَكَ مِثْلَ الدُّنْيَا وَعَشَرَةَ أَمْثَالِهَا - أَوْ إِنَّ لَكَ مِثْلَ عَشَرَةِ أَمْثَالِ الدُّنْيَا - فَيَقُولُ أَتَسْخَرُ بِي - أَوْ أَتَضْحَكُ بِي - وَأَنْتَ الْمَلِكُ ‏"‏ ‏.‏ قَالَ فَلَقَدْ رَأَيْتُ رَسُولَ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ ضَحِكَ حَتَّى بَدَتْ نَوَاجِذُهُ ‏.‏ فَكَانَ يُقَالُ هَذَا أَدْنَى أَهْلِ الْجَنَّةِ مَنْزِلَةً ‏.‏

حدثنا عثمان بن ابي شيبة، حدثنا جرير، عن منصور، عن ابراهيم، عن عبيدة، عن عبد الله بن مسعود، قال قال رسول الله ـ صلى الله عليه وسلم ـ ‏ "‏ اني لاعلم اخر اهل النار خروجا منها واخر اهل الجنة دخولا الجنة ‏.‏ رجل يخرج من النار حبوا فيقال له اذهب فادخل الجنة ‏.‏ فياتيها فيخيل اليه انها ملاى فيرجع فيقول يا رب وجدتها ملاى ‏.‏ فيقول الله اذهب فادخل الجنة ‏.‏ فياتيها فيخيل اليه انها ملاى فيرجع فيقول يا رب وجدتها ملاى ‏.‏ فيقول الله سبحانه اذهب فادخل الجنة ‏.‏ فياتيها فيخيل اليه انها ملاى فيرجع فيقول يا رب انها ملاى ‏.‏ فيقول الله اذهب فادخل الجنة ‏.‏ فان لك مثل الدنيا وعشرة امثالها - او ان لك مثل عشرة امثال الدنيا - فيقول اتسخر بي - او اتضحك بي - وانت الملك ‏"‏ ‏.‏ قال فلقد رايت رسول الله ـ صلى الله عليه وسلم ـ ضحك حتى بدت نواجذه ‏.‏ فكان يقال هذا ادنى اهل الجنة منزلة ‏.‏


It was narrated from ‘Abdullah bin Mas’ud that the Messenger of Allah (ﷺ) said:
“I know the last of the people of Hell who will be brought forth from it, and the last of the people of Paradise to be admitted to Paradise. (It is) a man who will emerge from Hell crawling, and it will be said to him: ‘Go and enter Paradise.’ He will come to it and it will be made to appear to him as if it is full.’ Allah will say: ‘Go and enter Paradise.’ He will come to it and it will appear to him as if it is full. So he will say: ‘O Lord, I found it full.’ Allah will say: ‘Go and enter Paradise.’ He will come to it and it will be made to appear to him as if it is full. So he will say: ‘O Lord, I found it full.’ Allah will say: ‘Go and enter Paradise, for you will have the like of the world and ten times more, or you will have ten times the like of the world.’ He will say: ‘Are You mocking me, or are You laughing at me, when You are the Sovereign?’” He said: "And I saw the Messenger of Allah (ﷺ) smiling so broadly that his molar teeth could be seen." And he used to say: "This is the lowest of the people of Paradise in status."


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
সুনান ইবনু মাজাহ
৩১/ পার্থিব ভোগবিলাসের প্রতি অনাসক্তি (كتاب الزهد) 31/ Zuhd

পরিচ্ছেদঃ ৩১/৩৯. জান্নাতের বর্ণনা

১৪/৪৩৪০। আনাস ইবনে মালেক (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ কোন ব্যক্তি তিনবার জান্নাত প্রার্থনা করলে জান্নাত বলে, ’’হে আল্লাহ! তাকে জান্নাতে প্রবেশ করাও’’। আবার কোন ব্যক্তি তিনবার জাহান্নাম থেকে নিস্কৃতি লাভের প্রার্থনা করলে জাহান্নাম বলে, ’’হে আল্লাহ! তাকে জাহান্নাম থেকে নিস্কৃতি দাও’’।

بَاب صِفَةِ الْجَنَّةِ

حَدَّثَنَا هَنَّادُ بْنُ السَّرِيِّ، حَدَّثَنَا أَبُو الأَحْوَصِ، عَنْ أَبِي إِسْحَاقَ، عَنْ بُرَيْدِ بْنِ أَبِي مَرْيَمَ، عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ ‏ "‏ مَنْ سَأَلَ الْجَنَّةَ ثَلاَثَ مَرَّاتٍ قَالَتِ الْجَنَّةُ اللَّهُمَّ أَدْخِلْهُ الْجَنَّةَ وَمَنِ اسْتَجَارَ مِنَ النَّارِ ثَلاَثَ مَرَّاتٍ قَالَتِ النَّارُ اللَّهُمَّ أَجِرْهُ مِنَ النَّارِ ‏"‏ ‏.‏

حدثنا هناد بن السري، حدثنا ابو الاحوص، عن ابي اسحاق، عن بريد بن ابي مريم، عن انس بن مالك، قال قال رسول الله ـ صلى الله عليه وسلم ـ ‏ "‏ من سال الجنة ثلاث مرات قالت الجنة اللهم ادخله الجنة ومن استجار من النار ثلاث مرات قالت النار اللهم اجره من النار ‏"‏ ‏.‏


It was narrated from Anas bin Malik that the Messenger of Allah (ﷺ) said:
“Whoever asks for Paradise, three times, Paradise will say: “O Allah, admit him to Paradise.” And whoever asked to be saved from Hell, three times, Hell will say: “O Allah, save him from Hell.”


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
সুনান ইবনু মাজাহ
৩১/ পার্থিব ভোগবিলাসের প্রতি অনাসক্তি (كتاب الزهد) 31/ Zuhd

পরিচ্ছেদঃ ৩১/৩৯. জান্নাতের বর্ণনা

১৫/৪৩৪১। আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ তোমাদের প্রত্যেকের জন্য দু’টি করে আবাস রয়েছে। একটি আবাস জান্নাতে এবং একটি জাহান্নামে। অতএব কোন ব্যক্তি মারা যাওয়ার পর জাহান্নামে প্রবেশ করলে তার জান্নাতের আবাস জান্নাতীরা ওয়ারিসী সূত্রে লাভ করবে। এটাই হলো আল্লাহর নিম্নোক্ত বাণীর তাৎপর্য (অনুবাদঃ ’’তারাই হবে ওয়ারিস’’ (সূরা মুমিনূনঃ ১০)।

بَاب صِفَةِ الْجَنَّةِ

حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، وَأَحْمَدُ بْنُ سِنَانٍ، قَالاَ حَدَّثَنَا أَبُو مُعَاوِيَةَ، عَنِ الأَعْمَشِ، عَنْ أَبِي صَالِحٍ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ ‏"‏ مَا مِنْكُمْ مِنْ أَحَدٍ إِلاَّ لَهُ مَنْزِلاَنِ مَنْزِلٌ فِي الْجَنَّةِ وَمَنْزِلٌ فِي النَّارِ فَإِذَا مَاتَ فَدَخَلَ النَّارَ وَرِثَ أَهْلُ الْجَنَّةِ مَنْزِلَهُ فَذَلِكَ قَوْلُهُ تَعَالَى ‏(أُولَئِكَ هُمُ الْوَارِثُونَ )‏ ‏"‏ ‏.‏

حدثنا ابو بكر بن ابي شيبة، واحمد بن سنان، قالا حدثنا ابو معاوية، عن الاعمش، عن ابي صالح، عن ابي هريرة، قال قال رسول الله ـ صلى الله عليه وسلم ـ ‏"‏ ما منكم من احد الا له منزلان منزل في الجنة ومنزل في النار فاذا مات فدخل النار ورث اهل الجنة منزله فذلك قوله تعالى ‏(اولىك هم الوارثون )‏ ‏"‏ ‏.‏


It was narrated from Abu Hurairah that the Messenger of Allah (ﷺ) said:
“There is no one among you who does not have two abodes: An abode in Paradise and an abode in Hell. If he dies and enters Hell, the people of Paradise inherit his abode. This is what Allah says: ‘These are indeed the inheritors.’” [23:10]


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
সুনান ইবনু মাজাহ
৩১/ পার্থিব ভোগবিলাসের প্রতি অনাসক্তি (كتاب الزهد) 31/ Zuhd
দেখানো হচ্ছেঃ থেকে ১৪ পর্যন্ত, সর্বমোট ১৪ টি রেকর্ডের মধ্য থেকে