পরিচ্ছেদঃ ২১/২. ফারা‘আ ও ‘আতীরা
১/৩১৬৭। নুবাইশা (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, এক ব্যক্তি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কে ডাক দিয়ে বললো, হে আল্লাহর রাসূল! আমরা জাহিলী যুগে রজব মাসে আতীরা করতাম। এখন আপনি আমাদের কী হুকুম করেন? তিনি বলেনঃ তোমরা যে কোন মাসে মহামহিম আল্লাহর জন্য পশু যবেহ করো, আল্লাহর সন্তোষ লাভের উদ্দেশ্যে কোন কাজ করো এবং (দরিদ্রদের) আহার করাও। সাহাবীগণ বলেন, ইয়া রাসূলাল্লাহ! আমরা জাহিলী যুগে ফারা’আ করতাম। এখন এ সম্পর্কে আপনি আমাদের কী বলেন? তিনি বলেনঃ প্রতিটি চরে বেড়ানো পশুতে ফারাআ রয়েছে, তাকে তোমরা ইচ্ছা অনুযায়ী আহার করাও এবং যখন ভারবোঝা বহনের উপযুক্ত হবে তখন তা যবেহ করে তার মাংস পথিকদের মধ্যে দান-খয়রাত করলে তা তোমার জন্য কল্যাণকর।
তাহকীক আলবানীঃ সহীহ।
بَاب الْفَرَعَةِ وَالْعَتِيرَةِ
حَدَّثَنَا أَبُو بِشْرٍ، بَكْرُ بْنُ خَلَفٍ حَدَّثَنَا يَزِيدُ بْنُ زُرَيْعٍ، عَنْ خَالِدٍ الْحَذَّاءِ، عَنْ أَبِي الْمَلِيحِ، عَنْ نُبَيْشَةَ، قَالَ نَادَى رَجُلٌ رَسُولَ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ فَقَالَ يَا رَسُولَ اللَّهِ إِنَّا كُنَّا نَعْتِرُ عَتِيرَةً فِي الْجَاهِلِيَّةِ فِي رَجَبٍ فَمَا تَأْمُرُنَا قَالَ " اذْبَحُوا لِلَّهِ عَزَّ وَجَلَّ فِي أَىِّ شَهْرٍ مَا كَانَ وَبَرُّوا اللَّهَ وَأَطْعِمُوا " . قَالُوا يَا رَسُولَ اللَّهِ إِنَّا كُنَّا نُفْرِعُ فَرَعًا فِي الْجَاهِلِيَّةِ فَمَا تَأْمُرُنَا قَالَ " فِي كُلِّ سَائِمَةٍ فَرَعٌ تَغْذُوهُ مَاشِيَتُكَ حَتَّى إِذَا اسْتَحْمَلَ ذَبَحْتَهُ فَتَصَدَّقْتَ بِلَحْمِهِ - أُرَاهُ قَالَ - عَلَى ابْنِ السَّبِيلِ فَإِنَّ ذَلِكَ هُوَ خَيْرٌ " .
It was narrated that Nubaishah said:
“A man called the Messenger of Allah (ﷺ) and said: ‘O Messenger of Allah, we used to sacrifice the ‘Atirah during the Ignorance days in Rajab,; what do you command us to do?’ He said: “Sacrifice to Allah whatever month it is, do good for the sake of Allah and feed (the poor).’ They said: ‘O Messenger of Allah, we used to sacrifice the Far’ah during the Ignorance days; what do you command us to do?’ He said: ‘For every Sa’imah* (flock of grazing animals), feed the firstborn as you feed the rest of your flock until it reaches an age where it could be used to carry loads, then sacrifice it, and give its meat in charity’ – I** think he said – ‘to the wayfarer, for that is good.’”
পরিচ্ছেদঃ ২১/২. ফারা‘আ ও ‘আতীরা
২/৩১৬৮। আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেনঃ এখন আর ফারা’আ নাই, আতীরাও নাই। হিশাম (রাঃ) তার বর্ণনায় বলেন, ফারা’আ হলো উট বা ছাগল-ভেড়ার প্রথম বাচ্চা। আর আতীরা হলো কোন পরিবারের লোকেরা রজব মাসে যে বকরী যবেহ করে তা।
তাহকীক আলবানীঃ সহীহ।
بَاب الْفَرَعَةِ وَالْعَتِيرَةِ
حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، وَهِشَامُ بْنُ عَمَّارٍ، قَالاَ حَدَّثَنَا سُفْيَانُ بْنُ عُيَيْنَةَ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ الْمُسَيَّبِ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، عَنِ النَّبِيِّ ـ صلى الله عليه وسلم ـ قَالَ " لاَ فَرَعَةَ وَلاَ عَتِيرَةَ " . قَالَ هِشَامٌ فِي حَدِيثِهِ وَالْفَرَعَةُ أَوَّلُ النَّتَاجِ . وَالْعَتِيرَةُ الشَّاةُ يَذْبَحُهَا أَهْلُ الْبَيْتِ فِي رَجَبٍ .
It was narrated from Abu Hurairah that the Prophet (ﷺ) said:
“There is no Far’ah and no ‘Atirah.”
পরিচ্ছেদঃ ২১/২. ফারা‘আ ও ‘আতীরা
৩/৩১৬৯। ইবনে উমার (রাঃ) থেকে বর্ণিত। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেনঃ এখন আর ফারা’আও নাই, আতীরাও নাই। ইবনে মাজা (রাঃ) বলেন, এটা কেবলমাত্র আল-’আদানী কর্তৃক বর্ণিত হাদীস।
তাহকীক আলবানীঃ সহীহ।
بَاب الْفَرَعَةِ وَالْعَتِيرَةِ
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ أَبِي عُمَرَ الْعَدَنِيُّ، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ بْنُ عُيَيْنَةَ، عَنْ زَيْدِ بْنِ أَسْلَمَ، عَنْ أَبِيهِ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، أَنَّ النَّبِيَّ ـ صلى الله عليه وسلم ـ قَالَ " لاَ فَرَعَةَ وَلاَ عَتِيرَةَ " . قَالَ ابْنُ مَاجَهْ هَذَا مِنْ فَرَائِدِ الْعَدَنِيِّ .
It was narrated from Muhammad bin Abu (‘Umar) ‘Adani that the Prophet (ﷺ) said:
“There is no Far’ah and no ‘Atirah.”