পরিচ্ছেদঃ ১৪/১০. ইহূদী পুরুষ ও নারীকে রজম করা
১/২৫৫৬। ইবনে উমার (রাঃ) থেকে বর্ণিত। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম দু’ ইয়াহূদীকে রজম করার নির্দেশ দিয়েছিলেন। আমিও রজমকারীদের অন্তর্ভুক্ত ছিলাম। আমি পুরুষ লোকটিকে দেখেছি যে, সে নারীটিকে পাথর থেকে আড়াল করছে।
তাহকীক আলবানীঃ সহীহ।
بَاب رَجْمِ الْيَهُودِيِّ وَالْيَهُودِيَّةِ
حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ مُحَمَّدٍ، حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ نُمَيْرٍ، عَنْ عُبَيْدِ اللَّهِ بْنِ عُمَرَ، عَنْ نَافِعٍ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم رَجَمَ يَهُودِيَّيْنِ أَنَا فِيمَنْ رَجَمَهُمَا فَلَقَدْ رَأَيْتُهُ وَإِنَّهُ يَسْتُرُهَا مِنَ الْحِجَارَةِ .
It was narrated from Ibn`Umar:
The Prophet (ﷺ) stoned two Jews, and I was among those who stoned them. I saw (the man) trying to shield (the woman) from the stones.”
পরিচ্ছেদঃ ১৪/১০. ইহূদী পুরুষ ও নারীকে রজম করা
২/২৫৫৭। জাবির ইবনে সামুরা (রাঃ) থেকে বর্ণিত। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম একজোড়া ইহূদী নারী-পুরুষকে রজম করেছিলেন।
তাহকীক আলবানীঃ সহীহ। উক্ত হাদিসের রাবী ইসমাইল বিন মুসা সম্পর্কে আবু হাতিম আর-রাযী বলেন, তিনি সত্যবাদী তবে হাদিস বর্ণনায় সংমিশ্রণ করেন, তার ব্যাপারে শীয়া মতাবলম্বী হওয়ার অভিযোগ রয়েছে। ইমাম যাহাবী বলেন, তিনি সত্যবাদী তবে শীয়া মতাবলম্বী। (তাহযীবুল কামালঃ রাবী নং ৪৯১, ৩/২১০ নং পৃষ্ঠা) ২. সিমাক বিন হারব সম্পর্কে ইয়াহইয়া বিন মাঈন বলেন, তিনি সিকাহ। ইয়াকুব বিন শায়বাহ বলেন, তার পূর্বে বর্ণিত হাদিস যারা শ্রবন করেছেন তা সহীহ। ইবনু হিব্বান বলেন, তিনি সিকাহ তবে হাদিস বর্ণনায় অধিক ভুল করেন। আবদুল্লাহ ইবনুল মুবারাক বলেন, তিনি হাদিস বর্ণনায় দুর্বল। (তাহযীবুল কামালঃ রাবী নং ২৫৭৯, ১২/১১৫ নং পৃষ্ঠা)
بَاب رَجْمِ الْيَهُودِيِّ وَالْيَهُودِيَّةِ
حَدَّثَنَا إِسْمَاعِيلُ بْنُ مُوسَى، حَدَّثَنَا شَرِيكٌ، عَنْ سِمَاكِ بْنِ حَرْبٍ، عَنْ جَابِرِ بْنِ سَمُرَةَ، أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم رَجَمَ يَهُودِيًّا وَيَهُودِيَّةً .
It was narrated from Jabir bin Samurah that :
the Prophet (ﷺ) stoned a Jewish man and a Jewish woman.
পরিচ্ছেদঃ ১৪/১০. ইহূদী পুরুষ ও নারীকে রজম করা
৩/২৫৫৮। বারাআ ইবনে আযেব (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এমন এক ইহূদীকে অতিক্রম করে যাচ্ছিলেন, যার মুখে কালি মাখিয়ে বেত্রাঘাত করা হয়েছিল। তিনি তাদেরকে ডেকে জিজ্ঞেস করলেনঃ তোমরা কি তোমাদের কিতাবে যেনাকারীরর এরূপ শাস্তি পেয়েছো? তারা বললো, হ্যাঁ।
তিনি তাদের আলেমদের মধ্যকার একজনকে ডেকে বলেনঃ আমি তোমাকে সেই সত্তার শপথ দিয়ে বলছি যিনি মূসা (রাঃ) এর উপর তাওরাত কিতাব নাযিল করেছেন! তোমরা কি যেনাকারীর এরূপ শাস্তিই পেয়েছো? সে বললো, না। আপনি যদি আমাকে শপথ দিয়ে জিজ্ঞেস না করতেন তবে আমি আপনাকে এ কথা বলতাম না। আমরা আমাদের কিতাবে যেনাকারীর শাস্তি পেয়েছি রজম করা। কিন্তু আমাদের সম্ভ্রান্ত লোকেদের মধ্যে রজমের (যেনার) অপরাধ বেড়ে গেলো।
এমতাবস্থায় আমরা সম্ভ্রান্ত লোককে (এ অপরাধে) গ্রেপ্তার করলে তাকে ছেড়ে দিতাম এবং আমাদের দুর্বল ও অসহায় লোককে (একইরূপ অপরাধে) গ্রেপ্তার করলে তার উপর হদ্দ কার্যকর করতাম। (এক পর্যায়ে) আমরা বললা এসো আমরা একটা বিষয়ে একমত হই, যা আমরা সম্ভ্রান্ত ও দুর্বল সকলের উপর কার্যকর করতে পারি। তখন থেকে আমরা (শাস্তি লাঘব করে) রজমের পরিবর্তে মুখমণ্ডল ে কালি মেখে বেত্রাঘাতের শাস্তি কার্যকর করতে একমত হই। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেনঃ ইয়া আল্লাহ! আমিই প্রথম ব্যক্তি, যে তাদের ধ্বংস করা তোমার হুকুমকে জীবিত করেছে। অতঃপর তাঁর নির্দেশে ঐ ইহূদীকে রজম করা হয়।
তাহকীক আলবানীঃ সহীহ।
بَاب رَجْمِ الْيَهُودِيِّ وَالْيَهُودِيَّةِ
حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ مُحَمَّدٍ، حَدَّثَنَا أَبُو مُعَاوِيَةَ، عَنِ الأَعْمَشِ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ مُرَّةَ، عَنِ الْبَرَاءِ بْنِ عَازِبٍ، قَالَ مَرَّ النَّبِيُّ بِيَهُودِيٍّ مُحَمَّمٍ مَجْلُودٍ فَدَعَاهُمْ فَقَالَ " هَكَذَا تَجِدُونَ فِي كِتَابِكُمْ حَدَّ الزَّانِي " . قَالُوا نَعَمْ . فَدَعَا رَجُلاً مِنْ عُلَمَائِهِمْ فَقَالَ " أَنْشُدُكَ بِاللَّهِ الَّذِي أَنْزَلَ التَّوْرَاةَ عَلَى مُوسَى أَهَكَذَا تَجِدُونَ حَدَّ الزَّانِي قَالَ لاَ وَلَوْلاَ أَنَّكَ نَشَدْتَنِي لَمْ أُخْبِرْكَ نَجِدُ حَدَّ الزَّانِي فِي كِتَابِنَا الرَّجْمَ وَلَكِنَّهُ كَثُرَ فِي أَشْرَافِنَا فَكُنَّا إِذَا أَخَذْنَا الشَّرِيفَ تَرَكْنَاهُ وَكُنَّا إِذَا أَخَذْنَا الضَّعِيفَ أَقَمْنَا عَلَيْهِ الْحَدَّ . فَقُلْنَا تَعَالَوْا فَلْنَجْتَمِعْ عَلَى شَىْءٍ نُقِيمُهُ عَلَى الشَّرِيفِ وَالْوَضِيعِ فَاجْتَمَعْنَا عَلَى التَّحْمِيمِ وَالْجَلْدِ مَكَانَ الرَّجْمِ . فَقَالَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم اللَّهُمَّ إِنِّي أَوَّلُ مَنْ أَحْيَا أَمْرَكَ إِذْ أَمَاتُوهُ " . وَأَمَرَ بِهِ فَرُجِمَ .
It was narrated that Bara' bin Azib said:
“The Messenger of Allah (ﷺ) passed by a Jew with a blackened face who had been flogged. He called them and said: 'Is this the punishment for the adulterer that you find in your Book?' They said: 'Yes.' Then he called one of their scholars and said: 'I adjure you by Allah (SWT) Who sent down the Tawrah (Torah) to Musa! Is this the punishment for the adulterer that you find in your Book?' He said: 'No; if you had not adjured me by Allah (SWT), I would not have told you. The punishment for the adulterer that we find in our Book is stoning, but many of our nobles were being stoned (because of the prevalence of adultery among them), so if we caught one of our nobles (committing adultery), we would let him go; but if we caught one of the weak among us, we would carry out the punishment on him. We said: “Come, let us agree upon something that we may impose on both noble and weak alike.” So we agreed to blacken the face and whip them, instead of stoning.' The Prophet (ﷺ) 'O Allah (SWT), I am the first of those who revive your command which they had killed off,' and he issued orders that (the man) be stoned.”