পরিচ্ছেদঃ ১৪/৯. রজম করা
১/২৫৫৩। ইবনে আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, উমার ইবনুল খাত্তাব (রাঃ) বললেন, আমি আশঙ্কা করছি যে, দীর্ঘকাল অতিবাহিত হওয়ার পর কেউ বলে বসবে, আমি আল্লাহর কিতাবে রজমের কথা পাচ্ছি না। ফলে সে আল্লাহর ফয়যসমূহের মধ্যকার একটি ফরয ত্যাগ করার কারণে পথভ্রষ্ট হবে। সাবধান! রজম (প্রস্তরাঘাতে হত্যা) করা বাধ্যতামূলক- অপরাধী বিবাহিত হলে এবং সাক্ষ্য-প্রমাণ পাওয়া গেলে অথবা গর্ভসঞ্চার হলে অথবা স্বীকারোক্তি করলে। অতঃপর আমি রজমের এ আয়াত পাঠ করিঃ ’’বৃদ্ধ ও বৃদ্ধা যেনায় লিপ্ত হলে তোমরা তাদের উভয়কে রজম করো’’। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম রজম করেছেন এবং তাঁর পরে আমরাও রজম করেছি।
তাহকীক আলবানীঃ সহীহ।
بَاب الرَّجْمِ
حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، وَمُحَمَّدُ بْنُ الصَّبَّاحِ، قَالاَ حَدَّثَنَا سُفْيَانُ بْنُ عُيَيْنَةَ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، عَنْ عُبَيْدِ اللَّهِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عُتْبَةَ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، قَالَ قَالَ عُمَرُ بْنُ الْخَطَّابِ لَقَدْ خَشِيتُ أَنْ يَطُولَ، بِالنَّاسِ زَمَانٌ حَتَّى يَقُولَ قَائِلٌ مَا أَجِدُ الرَّجْمَ فِي كِتَابِ اللَّهِ فَيَضِلُّوا بِتَرْكِ فَرِيضَةٍ مِنْ فَرَائِضِ اللَّهِ أَلاَ وَإِنَّ الرَّجْمَ حَقٌّ إِذَا أُحْصِنَ الرَّجُلُ وَقَامَتِ الْبَيِّنَةُ أَوْ كَانَ حَمْلٌ أَوِ اعْتِرَافٌ وَقَدْ قَرَأْتُهَا الشَّيْخُ وَالشَّيْخَةُ إِذَا زَنَيَا فَارْجُمُوهُمَا الْبَتَّةَ . رَجَمَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم وَرَجَمْنَا بَعْدَهُ .
It was narrated from Ibn`Abbas that `Umar bin Khattab said:
“I fear that after a long time has passed, some will say: 'I do not find (the sentence of) stoning in the Book of Allah (ﷺ),' and they will go astray by abandoning one of the obligations enjoined by Allah (SWT). Rather stoning is a must if a man is married (or previously married) and proof is established, or if pregnancy results or if he admits it. I have read it (in the Quran). “And if an old man and an old woman commit adultery, stone them both.” The Messenger of Allah (ﷺ) stoned (adulterers) and we stoned (them) after him.' ”
পরিচ্ছেদঃ ১৪/৯. রজম করা
২/২৫৫৪। আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, মাইয ইবনে মালেক নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর নিকট এসে বললোঃ আমি যেনা করেছি। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তার থেকে মুখ ফিরিয়ে নিলেন। আবার সে বললো, আমি যেনা করেছি। তিনি এবারও তার থেকে মুখ ফিরিয়ে নিলেন। সে আবার বললো, আমি যেনা করেছি। এবারও তিনি তার থেকে মুখ ফিরিয়ে নিলেন। সে আবার বললো, আমি যেনা করেছি। তিনি তার থেকে আবারও মুখ ফিরিয়ে নিলেন। এমনিভাবে সে চারবার স্বীকারোক্তি করলো।
অতঃপর তিনি তাকে রজম করার নির্দেশ দিলেন। তার দেহে পাথর নিক্ষিপ্ত হতে থাকলে সে দ্রুত পালাতে তৎপর হলো। এক ব্যক্তি তার নাগাল পেয়ে গেলো। তার হাতে ছিলো উটের চোয়ালের হাড়। সে তাকে আঘাত করে ভূপাতিত করলো। তার গায়ে পাথর নিক্ষিপ্ত হওয়ায় তার পলায়নের কথা নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর নিকট উল্লেখ করা হলে তিনি বলেনঃ তোমরা কেন তাকে ছেড়ে দিলে না।
তাহকীক আলবানীঃ হাসান সহীহ। উক্ত হাদিসের রাবী আবু আমর বিন মুহাম্মাদ বিন আমর বিন হুরায়স সম্পর্কে ইবনু হিব্বান বলেন, তিনি সিকাহ তবে ইমাম যাহাবী বলেন, তার পরিচয় সম্পর্কে কিছু জানা যায়নি। আবু হাতিম বিন হিব্বান বলেন, তিনি হাদিস বর্ণনায় ভুল করেন। ইবরাহীম বিন ইয়াকুব আল-জাওযুজানী বলেন, তিনি হাদিসের ক্ষেত্রে নির্ভরযোগ্য নয়। ইবনু হাজার আল-আসকালানী বলেন, তিনি সত্যবাদী তবে হাদিস বর্ণনায় সন্দেহ করেন। ইমাম দারাকুতনী তাকে দুর্বল বলেছেন। (তাহযীবুল কামালঃ রাবী নং ৫৫১৩, ২৬/২১২ নং পৃষ্ঠা)
بَاب الرَّجْمِ
حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا عَبَّادُ بْنُ الْعَوَّامِ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ عَمْرٍو، عَنْ أَبِي سَلَمَةَ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ جَاءَ مَاعِزُ بْنُ مَالِكٍ إِلَى النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم . فَقَالَ إِنِّي قَدْ زَنَيْتُ . فَأَعْرَضَ عَنْهُ ثُمَّ قَالَ إِنِّي قَدْ زَنَيْتُ فَأَعْرَضَ عَنْهُ . ثُمَّ قَالَ إِنِّي زَنَيْتُ . فَأَعْرَضَ عَنْهُ . ثُمَّ قَالَ قَدْ زَنَيْتُ . فَأَعْرَضَ عَنْهُ حَتَّى أَقَرَّ أَرْبَعَ مَرَّاتٍ فَأَمَرَ بِهِ أَنْ يُرْجَمَ . فَلَمَّا أَصَابَتْهُ الْحِجَارَةُ أَدْبَرَ يَشْتَدُّ فَلَقِيَهُ رَجُلٌ بِيَدِهِ لَحْىُ جَمَلٍ فَضَرَبَهُ فَصَرَعَهُ فَذُكِرَ لِلنَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم فِرَارُهُ حِينَ مَسَّتْهُ الْحِجَارَةُ قَالَ " فَهَلاَّ تَرَكْتُمُوهُ " .
It was narrated that Abu Hurairah said:
“Ma`iz bin Malik came to the Prophet (ﷺ) and said: 'I have committed fornication,' and he (the Prophet (ﷺ)) turned away from him. He said: 'I have committed fornication,' and he turned away from him. Then, he said: I have committed fornication, and he turned away from him, until when he had confessed four times, he ordered that he should be stoned. When he was being struck with the stones, he ran away, but a man caught up with him who had a camel's jawbone in his hand; he struck him and he fell down. The Prophet (ﷺ) was told about how he fled when the stones hit him and he said: 'Why did you not let him be?'”
পরিচ্ছেদঃ ১৪/৯. রজম করা
৩/২৫৫৫। ইমরান ইবনুল হুসাইন (রাঃ) থেকে বর্ণিত। এক নারী নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর নিকট এসে যেনার স্বীকারেক্তি করলো। তিনি তার দেহে তার পরিধেয় বস্ত্র শক্ত করে পেঁচিয়ে তাকে রজম করার নির্দেশ দিলেন। অতঃপর তিনি তার জানাযার নামায পড়লেন।
তাহকীক আলবানীঃ সহীহ। উক্ত হাদিসের রাবী আব্বাস বিন উসমান আদ-দিমাশকী সম্পর্কে আবুল হাসান বিন সুমায় বলেন, তিনি সিকাহ। আবু হাতিম বিন হিব্বান বলেন, তিনি কখনো কখনো সিকাহ রাবীর বিপরীত হাদিস বর্ণনা করেন। ইবনু হাজার আল-আসকালানী বলেন, তিনি সত্যবাদী তবে হাদিস বর্ণনায় ভুল করেন। ইমাম যাহাবী বলেন, তিনি সিকাহ। (তাহযীবুল কামালঃ রাবী নং ৩১৩২, ১৪/২৩৩ নং পৃষ্ঠা)
بَاب الرَّجْمِ
حَدَّثَنَا الْعَبَّاسُ بْنُ عُثْمَانَ الدِّمَشْقِيُّ، حَدَّثَنَا الْوَلِيدُ بْنُ مُسْلِمٍ، حَدَّثَنَا أَبُو عَمْرٍو، حَدَّثَنِي يَحْيَى بْنُ أَبِي كَثِيرٍ، عَنْ أَبِي قِلاَبَةَ، عَنْ أَبِي الْمُهَاجِرِ، عَنْ عِمْرَانَ بْنِ الْحُصَيْنِ، أَنَّ امْرَأَةً، أَتَتِ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم فَاعْتَرَفَتْ بِالزِّنَا فَأَمَرَ بِهَا فَشُكَّتْ عَلَيْهَا ثِيَابُهَا ثُمَّ رَجَمَهَا ثُمَّ صَلَّى عَلَيْهَا .
It was narrated from `Imran bin Husain that :
a woman came to the Prophet (ﷺ) and confessed to committing fornication. He issued orders, and her garments were tightened around her (so that her private parts would not become uncovered) then he stoned her, then he offered the funeral prayer for her.