পরিচ্ছেদঃ ৭/৯. ঈদের দু’ মাস
১/১৬৫৯। আবূ বকরাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিত। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেনঃ ঈদের দু’মাস রমযান এবং যুল-হিজ্জা (সাধারণত) একই বছরে কম (ঊনতিরিশ দিনে) হয় না।
তাহকীক আলবানীঃ সহীহ।
بَاب مَا جَاءَ فِي شَهْرَيْ الْعِيدِ
حَدَّثَنَا حُمَيْدُ بْنُ مَسْعَدَةَ حَدَّثَنَا يَزِيدُ بْنُ زُرَيْعٍ حَدَّثَنَا خَالِدٌ الْحَذَّاءُ عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ أَبِي بَكْرَةَ عَنْ أَبِيهِ عَنْ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ شَهْرَا عِيدٍ لَا يَنْقُصَانِ رَمَضَانُ وَذُو الْحِجَّةِ
It was narrated that from ‘Abdur-Rahman bin Abu Bakrah, from his father, that the Prophet (ﷺ) said:
“Two months of ‘Eid whose reward cannot be reduced (even if they are twenty-nine days): ‘Ramaadan and Dhul-Hijjah.”
পরিচ্ছেদঃ ৭/৯. ঈদের দু’ মাস
২/১৬৬০। আবূ হুরাইরাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ যে দিন তোমরা ইফতার (রোযা শেষ) করো সেদিন ঈদুল ফিতর এবং যেদিন তোমরা কুরবানী করো সেদিন ঈদুল আযহা।
তাহকীক আলবানীঃ সহীহ। উক্ত হাদিসের রাবী মুহাম্মাদ বিন উমার বিন আবু উমার আল-মুকরী সম্পর্কে ইবনু হাজার আসকালানী বলেন, তার পরিচয় সম্পর্কে অজ্ঞাত। (তাহযীবুল কামালঃ রাবী নং ৫৪৯৮, ২৬/১৭৬ নং পৃষ্ঠা)। উক্ত হাদিসটি সহীহ কিন্তু মুহাম্মাদ বিন উমার বিন আবু উমার আল-মুকরী এর কারণে সানাদটি দুর্বল। হাদিসটির ৬২ টি শাহিদ হাদিস রয়েছে, তন্মধ্যে ১৬ টি দুর্বল, ২৬ টি হাসান, ২০ টি সহিহ হাদিস পাওয়া যায়। তন্মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলঃ তিরমিযি ৬৯৭, ৮০২, সুনান আদ দারাকুতনী ২১৬০, ২১৬১, ২৪২৪, শারহুস সুন্নাহ ১৭২৫, ১৭২৬, মু'জামুল আওসাত ৩৩১৫ ইত্যাদি।
* এই হাদীস হতে শিক্ষণীয় বিষয়:
১। এই হাদীসটির দ্বারা প্রমাণিত হয় যে, যে কোনো ঈমানদার মুসলিম ব্যক্তি যে কোনো মুসলিম সমাজে মুসলিমগণের সাথেই রোজা পালন করতে শুরু করবে, এবং তাদের সাথেই ঈদুল ফেতর পালন করার জন্য রোজা রাখা ভঙ্গ করবে। তদ্রূপ তাদের সাথেই ঈদুল আদহার কুরবানি জবাই করবে। এবং তাদের সাথেই ঈদ পালন করবে। আর কোনো ঈমানদার মুসলিম ব্যক্তির জন্য এটা জায়েজ নয় যে, সে যে কোনো মুসলিম সমাজে মুসলিমগণকে বাদ দিয়ে নিজে একাই একতরফাভাবে রোজা পালন করবে অথবা ঈদ পালন করবে কিংবা ঈদুল আদহার কুরবানি জবাই করবে। কেননা যে কোনো মুসলিম সমাজে মুসলিমগণের মধ্যে ঐক্য বজায় রাখা অপরিহার্য এবং তাদের মধ্যে থেকে অনৈক্য, পার্থক্য এবং দ্বন্দ্ব দূরে রাখাও একটি অনিবার্য বিষয়।
২। এই হাদীসটির দাবি অনুযায়ী এই বিষয়টি প্রমাণিত হয় যে, প্রকৃত ইসলামের বিধিবিধানের একটি লক্ষ্য হলো মুসলিম সমাজের মধ্যে ঐক্যের বন্ধন রক্ষা করা, মুসলিমগণকে একত্রিত করে রাখা, তাদেরকে ঐক্যবদ্ধ করে রাখা। বিশেষ করে মুসলিম সমাজে মুসলিমগণকে ইবাদত উপাসনা, রোজা, কুরবানি এবং ঈদের নামাজের বিষয়ে একত্রিত করা ও তাদের মধ্যে ঐক্য বজায় রাখা অপরিহার্য। তাই এই সমস্ত ক্ষেত্রে ব্যক্তিগত মতামতের কোনো মূল্য নেই। যদিও প্রকৃতপক্ষে সেই ব্যক্তিগত মতামতগুলি বিশেষভাবে কোনো দিক দিয়ে সত্য ও সঠিক বলে মনে হয়।
بَاب مَا جَاءَ فِي شَهْرَيْ الْعِيدِ
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عُمَرَ بْنِ أَبِي عُمَرَ الْمُقْرِئُ حَدَّثَنَا إِسْحَقُ بْنُ عِيسَى حَدَّثَنَا حَمَّادُ بْنُ زَيْدٍ عَنْ أَيُّوبَ عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ سِيرِينَ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ قَالَ قَالَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم صلى الله عليه وسلم الْفِطْرُ يَوْمَ تُفْطِرُونَ وَالْأَضْحَى يَوْمَ تُضَحُّونَ
It was narrated from Abu Hurairah that the Messenger of Allah (ﷺ) said:
“Al-Fitr is the day when you break your fast and Al-Adha is the day when you offer sacrifices.”