পরিচ্ছেদঃ ৫/১৪৮. যে সকল সময়ে সালাত পড়া মাকরূহ।
১/১২৫১। আমর ইবনু আবাসা (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর নিকট এসে জিজ্ঞেস করলাম, এমন কোন সময় আছে কি, যা আল্লাহ্র নিকট অন্য সময়ের তুলনায় অধিক প্রিয়? তিনি বলেনঃ হ্যাঁ, মধ্য রাত। অতএব তুমি পারলে তখন থেকে ভোর হওয়ার পুর্ব পর্যন্ত সময়ের মধ্যে সালাত (নামায/নামাজ) পড়ো; অতঃপর (ফজরের সালাত পড়ে) সূর্য উদিত হয়ে তা কিছুটা উপরে না উঠা পর্যন্ত বিরত থাক।
অতঃপর তুমি পারলে খুঁটি তার ছায়ার উপর স্থির হওয়ার পূর্ব (দ্বিপ্রহর) পর্যন্ত সালাত আদায় করতে পারো। অতঃপর সূর্য ঢলে না পড়া পর্যন্ত (সালাত পড়া থেকে) বিরত থাকো। কেননা ঠিক দুপুরে জাহান্নামকে উত্তপ্ত করা হয়। অতঃপর তুমি পারলে তোমার আসরের সালাত পড়ার পূর্ব পর্যন্ত সালাত আদায় করতে পারো। অতঃপর সূর্যাস্তের পূর্ব পর্যন্ত বিরত থাকো। কেননা তা শয়তানের দু শিং-এর মধ্যখান দিয়ে অস্ত যায় ও উদিত হয়।
তাহক্বীক্ব আলবানী: মধ্য রাতের কথা কথাটি ছাড়া সহীহ, কারণ মুনকার। আর সহীহ হচ্ছে মধ্য রাতের কথা। তাখরীজ আলবানী: নাসায়ী ৫৮৪ সহীহ, ইবনু খুযাইমাহ ১১৪৭ সহীহ, সহীহ আবী দাউদ ১১৫৮। উক্ত হাদিসের রাবী ১. ইয়াযীদ বিন তালক সম্পর্কে ইমাম যাহাবী তাকে দুর্বল বলেছেন। ২. আব্দুর রহমান ইবনুল মায়লামানী সম্পর্কে আবু হাতিম আর-রাযী তাকে দুর্বল বলেছেন। সালিহ জাযারাহ বলেন, তার হাদিস মুনকার। ইমাম দারাকুতনী বলেন, তিনি দুর্বল তার হাদিস দ্বারা দলীল গ্রহণযোগ্য হবে না। আল আযদী বলেন, তিনি হাদিস বর্ণনায় মুনকার।
بَاب مَا جَاءَ فِي السَّاعَاتِ الَّتِي تُكْرَهُ فِيهَا الصَّلَاةُ
حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا غُنْدَرٌ، عَنْ شُعْبَةَ، عَنْ يَعْلَى بْنِ عَطَاءٍ، عَنْ يَزِيدَ بْنِ طَلْقٍ، عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ الْبَيْلَمَانِيِّ، عَنْ عَمْرِو بْنِ عَبَسَةَ، قَالَ أَتَيْتُ رَسُولَ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ فَقُلْتُ هَلْ مِنْ سَاعَةٍ أَحَبُّ إِلَى اللَّهِ مِنْ أُخْرَى قَالَ " نَعَمْ جَوْفُ اللَّيْلِ الأَوْسَطُ فَصَلِّ مَا بَدَا لَكَ حَتَّى يَطْلُعَ الصُّبْحُ ثُمَّ انْتَهِ حَتَّى تَطْلُعَ الشَّمْسُ وَمَا دَامَتْ كَأَنَّهَا حَجَفَةٌ حَتَّى تَنْتَشِرَ ثُمَّ صَلِّ مَا بَدَا لَكَ حَتَّى يَقُومَ الْعَمُودُ عَلَى ظِلِّهِ ثُمَّ انْتَهِ حَتَّى تَزُولَ الشَّمْسُ فَإِنَّ جَهَنَّمَ تُسْجَرُ نِصْفَ النَّهَارِ ثُمَّ صَلِّ مَا بَدَا لَكَ حَتَّى تُصَلِّيَ الْعَصْرَ ثُمَّ انْتَهِ حَتَّى تَغْرُبَ الشَّمْسُ فَإِنَّهَا تَغْرُبُ بَيْنَ قَرْنَىِ الشَّيْطَانِ وَتَطْلُعُ بَيْنَ قَرْنَىِ الشَّيْطَانِ " .
It was narrated that ‘Amr bin ‘Abasah said:
“I came to the Messenger of Allah (ﷺ) and said: ‘Is there any time that is more beloved to Allah than another?’ He said: ‘Yes, the middle of the night, so pray as much as you want until dawn comes. Then refrain from praying until the sun has risen, and as long as it looks like a shield until it becomes apparent. Then pray as much as you want until a pole stands on its shadow (i.e., noon), then refrain from praying until it has crossed the zenith, for Hell is heated up at midday. Then pray as much as you want until you pray ‘Asr, then refrain from praying until the sun has set, for it sets between the two horns of Satan and it rises between the two horns of Satan.’”
পরিচ্ছেদঃ ৫/১৪৮. যে সকল সময়ে সালাত পড়া মাকরূহ।
২/১২৫২। আবূ হুরাইরাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, সাফওয়ান ইবনু মুআত্তাল রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর নিকট জিজ্ঞাসা সুরে বলেন, ইয়া রাসূলাল্লাহ্! আমি এমন একটি বিষয় আপনার নিকট জিজ্ঞেস করতে চাই যে সম্পর্কে আপনি জ্ঞাত কিন্তু আমি অজ্ঞ। তিনি বলেনঃ তা কি? তিনি বলেন, রাত ও দিনের সময়সমূহের মধ্যে এমন সময়ও কি আছে যখন সালাত (নামায/নামাজ) পড়া মাকরূহ? তিনি বলেনঃ হ্যাঁ। তুমি ফজরের সালাত পড়ার পর থেকে সূর্য উদিত না হওয়া পর্যন্ত (নফল) সালাত পড়া ত্যাগ করো। কারণ তা শয়তানের দু শিং-এর মধ্যখান দিয়ে উদিত হয়। অতঃপর তুমি সালাত পড়ো।
এই সালাতে (ফেরেশতাগণ) উপস্থিত হয় এবং (ইবাদাত) কবূল করা হয়, (তা পড়তে পারো) যাবত না সূর্য তীরের মত তোমার মাথার উপর এসে সোজা হয়। যখন সূর্য তীরের মত তোমার মাথার উপর স্থির হয় তখন সালাত পড়া ত্যাগ করো। কারণ এ সময় জাহান্নামকে উত্তপ্ত করা হয় এবং এর দরজাসমূহ খুলে দেয়া হয়, যাবত না সূর্য তোমার ডান ভ্রূ দিয়ে ঢলে পড়ে। তা ঢলে পড়ার পর থেকে তোমার আসরের সালাত পড়ার পূর্ব পর্যন্ত (সময়ে নফল) সালাতে ফেরেশতাগণ উপস্থিত হন এবং তা কবূল করা হয়। অতঃপর তুমি সূর্যাস্ত না যাওয়া পর্যন্ত সালাত ত্যাগ কর।
তাহক্বীক্ব আলবানী: সহীহ। তাখরীজ আলবানী: সহীহাহ ১৩৭১।
بَاب مَا جَاءَ فِي السَّاعَاتِ الَّتِي تُكْرَهُ فِيهَا الصَّلَاةُ
حَدَّثَنَا الْحَسَنُ بْنُ دَاوُدَ الْمُنْكَدِرِيُّ، حَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي فُدَيْكٍ، عَنِ الضَّحَّاكِ بْنِ عُثْمَانَ، عَنِ الْمَقْبُرِيِّ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ سَأَلَ صَفْوَانُ بْنُ الْمُعَطَّلِ رَسُولَ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ فَقَالَ يَا رَسُولَ اللَّهِ إِنِّي سَائِلُكَ عَنْ أَمْرٍ أَنْتَ بِهِ عَالِمٌ وَأَنَا بِهِ جَاهِلٌ . قَالَ " وَمَا هُوَ " . قَالَ هَلْ مِنْ سَاعَاتِ اللَّيْلِ وَالنَّهَارِ سَاعَةٌ تُكْرَهُ فِيهَا الصَّلاَةُ قَالَ " نَعَمْ إِذَا صَلَّيْتَ الصُّبْحَ فَدَعِ الصَّلاَةَ حَتَّى تَطْلُعَ الشَّمْسُ فَإِنَّهَا تَطْلُعُ بِقَرْنَىِ الشَّيْطَانِ ثُمَّ صَلِّ فَالصَّلاَةُ مَحْضُورَةٌ مُتَقَبَّلَةٌ حَتَّى تَسْتَوِيَ الشَّمْسُ عَلَى رَأْسِكَ كَالرُّمْحِ فَإِذَا كَانَتْ عَلَى رَأْسِكَ كَالرُّمْحِ فَدَعِ الصَّلاَةَ فَإِنَّ تِلْكَ السَّاعَةَ تُسْجَرُ فِيهَا جَهَنَّمُ وَتُفْتَحُ فِيهَا أَبْوَابُهَا حَتَّى تَزِيغَ الشَّمْسُ عَنْ حَاجِبِكَ الأَيْمَنِ فَإِذَا زَالَتْ فَالصَّلاَةُ مَحْضُورَةٌ مُتَقَبَّلَةٌ حَتَّى تُصَلِّيَ الْعَصْرَ ثُمَّ دَعِ الصَّلاَةَ حَتَّى تَغِيبَ الشَّمْسُ " .
It was narrated that Abu Hurairah said:
“Safwan bin Mu’attal asked the Messenger of Allah (ﷺ): ‘O Messenger of Allah, I want to ask you about something of which you have knowledge and I know nothing.’ He said: ‘What is it?’ He said: ‘Is there any time of the night or day when it is disliked to perform prayer? He said: ‘Yes, when you have prayed the Subh, then do not pray until the sun has risen, for it rises between the two horns of Satan. Then pray, for the prayer is attended (by the angels) and is acceptable (to Allah) until the sun is right overhead like a spear. For at that time Hell is heated up and its gates are opened. (Then refrain from prayer) until the sun passes the zenith. Then when it has passed the zenith, the prayer is attended (by the angels) and is acceptable (to Allah) until you pray the ‘Asr. Then stop praying until the sun has set.’”
পরিচ্ছেদঃ ৫/১৪৮. যে সকল সময়ে সালাত পড়া মাকরূহ।
৩/১২৫৩। আবূ আবদুল্লাহ আস-সুনাবিহী (রাঃ) থেকে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেনঃ নিশ্চয় সূর্য শয়তানের দু শিং-এর মধ্যখান দিয়ে উদিত হয় অথবা তার সাথে শয়তানের দু শিং-ও উদিত হয়। সূর্য উপরে উঠলে তা থেকে সে পৃথক হয়ে যায়। আবার সূর্য যখন আসমানের মধ্যখানে আসে তখন সে তার সামনে আসে। সূর্য যখন ঢলে যায় তখন সে তা থেকে পৃথক হয়ে যায়। আবার যখন তা অস্ত যাওয়ার কাছাকাছি আসে তখন সে তার সামনে এসে যায়। অতঃপর তা অস্তমিত হলে সে আবার পৃথক হয়ে যায়। অতএব তোমরা এই তিন সময়ে (নফল) সালাত (নামায/নামাজ) পড়ো না।
তাহক্বীক্ব আলবানী: যঈফ। তাখরীজ আলবানী: জামি সগীর ৬৬৩ যঈফ, ৭১১৫ সহীহ, আহমাদ ১২৫১, ১২৫২ সহীহ, নাসায়ী ৫৭২ সহীহ, মিশকাত ১০৩৯ মুত্তাফাকুন আলাইহি, যঈফ জামে ১৪৭২। উক্ত হাদিসের রাবী আব্দুর রাযযাক সম্পর্কে ইবনু হিব্বান বলেন, তিনি সিকাহ তবে হাদিস বর্ণনায় ভুল করেন। ইবনু আদী বলেন, আমি আশা করি তার মাঝে কোন সমস্যা নেই।
بَاب مَا جَاءَ فِي السَّاعَاتِ الَّتِي تُكْرَهُ فِيهَا الصَّلَاةُ
حَدَّثَنَا إِسْحَاقُ بْنُ مَنْصُورٍ، أَنْبَأَنَا عَبْدُ الرَّزَّاقِ، أَنْبَأَنَا مَعْمَرٌ، عَنْ زَيْدِ بْنِ أَسْلَمَ، عَنْ عَطَاءِ بْنِ يَسَارٍ، عَنْ أَبِي عَبْدِ اللَّهِ الصُّنَابِحِيِّ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ قَالَ " إِنَّ الشَّمْسَ تَطْلُعُ بَيْنَ قَرْنَىِ الشَّيْطَانِ - أَوْ قَالَ يَطْلُعُ مَعَهَا قَرْنَا الشَّيْطَانِ - فَإِذَا ارْتَفَعَتْ فَارَقَهَا فَإِذَا كَانَتْ فِي وَسَطِ السَّمَاءِ قَارَنَهَا فَإِذَا دَلَكَتْ - أَوْ قَالَ زَالَتْ - فَارَقَهَا فَإِذَا دَنَتْ لِلْغُرُوبِ قَارَنَهَا فَإِذَا غَرَبَتْ فَارَقَهَا فَلاَ تُصَلُّوا هَذِهِ السَّاعَاتِ الثَّلاَثَ " .
It was narrated from Abu ‘Abdullah As-Sunabihi that the Messenger of Allah (ﷺ) said:
“The sun rises between the two horns of Satan” or he said “The two horns of Satan rise with it, and when it has risen, Satan parts from it. When it is in the middle of the sky he accompanies it, then when it has crossed the zenith he parts from it. When it is about to set, he accompanies it, and when it has set he parts from it. So do no pray at these three times.”